Class 11 Logic and Philosophy Chapter 5 দর্শন

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 5 দর্শন answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Assam Board Bengali Medium Class 11 Logic and Philosophy Chapter 5 দর্শন and select needs one.

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 5 দর্শন

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Assam Board Class 11 Logic and Philosophy Chapter 5 দর্শন Bengali Medium Solutions for All Subject, You can practice these here.

দর্শন

পাঠ:

দ্বিতীয় খণ্ড

 অতি- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ইংরেজি ‘Philosophy’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ জ্ঞানের প্রতি প্রেম বা ভালোবাসা বা অনুরাগ।

প্রশ্ন ২। পাশ্চাত্য দর্শনের জনক কে?

উত্তরঃ থেলিস।

প্রশ্ন ৩। ‘দর্শন’ শব্দটি কোন্ ধাতু থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Join Now

উত্তরঃ ‘দৃশ’ ধাতু থেকে।

প্রশ্ন ৪। কে প্রথম জ্ঞানসম্পৰ্কীয় বিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ দার্শনিক জন লক্ সর্বপ্রথম জ্ঞানের বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে দর্শনের ক্ষেত্রে জ্ঞানসম্পর্কীয় আলোচনার স্বীকৃতি দেন। 

প্রশ্ন ৫। Critique of Pure Reason গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তরঃ জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট।

প্রশ্ন ৬। অধিবিদ্যাকে ‘প্রথম দর্শন’ বলে কে অভিহিত করেছেন?

উত্তরঃ অ্যারিস্টটল।

প্রশ্ন ৭। “দর্শন বিজ্ঞানের বিজ্ঞান।” উক্তিটি কার?

উত্তরঃ দার্শনিক কোঁতে (Komte)।

প্রশ্ন ৮। ‘দর্শন’ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ ‘দর্শন’ বলতে তত্ত্বদর্শন অর্থাৎ এই বিশ্বজগৎ এবং তার অন্তর্গত জগৎ ও জীবের স্বরূপ উপলব্ধি করাই বোঝায়।

প্রশ্ন ৯। “দর্শন হল জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং সমালোচনা।” উক্তিটি কার?

উত্তরঃ ইমানুয়েল কান্ট।

প্রশ্ন ১০। অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তরঃ বস্তুর আন্তর-সত্তা বা পরমসত্তাই অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।

প্রশ্ন ১১। কোন্ বিদ্যাকে তত্ত্ববিজ্ঞান বলে?

উত্তরঃ অধিবিদ্যাকে।

প্রশ্ন ১২। “দর্শন সার্বিকতার উচ্চতম পরিণামের জ্ঞান।” উক্তিটি কার?

উত্তরঃ হার্বাট স্পেনসরের।

প্রশ্ন ১৩। দর্শন উৎপত্তির মূল উৎসসমূহ কী কী?

উত্তরঃ বিস্ময়, সংশয়, সন্দেহ, জিজ্ঞাসা, উপযোগিতা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৪। দর্শনের আদিগুরু থেলিসের মতে জগতের আদিমূল কী?

উত্তরঃ জল।

প্রশ্ন ১৫। আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক কে?

উত্তরঃ রেনে ডেকার্ত।

প্রশ্ন ১৬। “আমি চিন্তা করি, অতএব, আমি আছি।” কথাটি কার?

উত্তরঃ রেনে ডেকার্তের।

প্রশ্ন ১৭। “দর্শন জগৎ এবং জীবনসম্পর্কিত সুসংহত এবং যুক্তিপূর্ণ জ্ঞান”। কথাটি কি সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সত্য।

প্রশ্ন ১৮। প্লেটোর মতে, দর্শনের মূল উৎস কী?

উত্তরঃ বিস্ময়।

প্রশ্ন ১৯। কয়েকজন উপযোগিতাবাদীর নাম লেখো। 

উত্তরঃ জেমস, ডিউই, শিলার ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২০। “অধিবিদ্যা প্রথম দর্শন।” কে বলেছিলেন?

উত্তরঃ অ্যারিস্টটল।

প্রশ্ন ২১। ‘Episteme’ কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ জ্ঞান।

প্রশ্ন ২২। “দর্শন কেবল অধিবিদ্যা বা তত্ত্বমীমাংসার সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করে।” একথা কি সত্য?

উত্তরঃ না, সত্য নয়।

প্রশ্ন ২৩। “বিজ্ঞান ও দর্শনের মূল লক্ষ্য একই।” উক্তিটি কি সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সত্য।

প্রশ্ন ২৪। “দর্শনহীন বিজ্ঞান আত্মাহীন দেহের মতো।” কথাটি কি সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সত্য।

প্রশ্ন ২৫ | জ্ঞানমীমাংসার জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে প্রধান সিদ্ধান্তগুলি কী কী?

উত্তরঃ বুদ্ধিবাদ, অভিজ্ঞতাবাদ, সবিচারবাদ ও প্রজ্ঞাবাদ।

প্রশ্ন ২৬। দর্শনের প্রধান শাখাগুলির নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জ্ঞানবিদ্যা, অধিবিদ্যা এবং প্রমূল্যবিদ্যা।

প্রশ্ন ২৭। প্ৰমূল্যবিজ্ঞানের তিনটি পরম আদর্শ কী? 

উত্তরঃ সত্য, কল্যাণ এবং সৌন্দর্য (সত্য, শিব, সুন্দর)।

প্রশ্ন ২৮। জ্ঞানবিদ্যা কী?

উত্তরঃ জ্ঞান-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা।

প্রশ্ন ২৯। অধিবিদ্যা কী?

উত্তরঃ দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে থাকা পরমসত্তার যথার্থ স্বরূপ-সম্পর্কিত অধ্যয়ন।

প্রশ্ন ৩০। তর্কবিজ্ঞানের আদর্শ কী?

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৩১। নীতিবিজ্ঞানের আদর্শ কী?

উত্তরঃ কল্যাণ বা মঙ্গল (শিব)।

 প্রশ্ন ৩২। নন্দনতত্ত্ব বা সৌন্দর্যবিদ্যার বা কান্তি বিজ্ঞানের আদর্শ কী?

উত্তরঃ সুন্দর বা সৌন্দর্য।

প্রশ্ন ৩৩। তিনজন পাশ্চাত্য দার্শনিকের নাম লেখো।

উত্তরঃ সক্রেটিস, প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল।

প্রশ্ন ৩৪। ধর্মীয় দর্শন প্রমূল্যবিজ্ঞান কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৩৫। ধর্মীয় দর্শন বা ধর্মবিদ্যার আদর্শ কী?

উত্তরঃ পবিত্রতা।

প্রশ্ন ৩৬। “অধিবিদ্যা কেবল সত্তাসম্বন্ধীয় সমস্যাগুলির অধ্যয়ন।” কথাটি কী সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৩৭। তত্ত্ববিদ্যা কী?

উত্তরঃ অধিবিদ্যাকে তত্ত্ববিদ্যা বা তত্ত্ববিজ্ঞান বা Ontology বলে। ‘Onto’ শব্দের অর্থ ‘মূলতত্ত্ব’ এবং ‘logos’ শব্দের অর্থ বিজ্ঞান।

প্রশ্ন ৩৮। “জ্ঞানবিদ্যা কেবল জ্ঞানসম্পর্কীয় সমস্যাগুলোরই আলোচনা করে।” কথাটি কি সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৩৯। “দর্শন জ্ঞানের বিজ্ঞান এবং সমালোচনা।” কথাটি কে বলেছিলেন?

উত্তরঃ ইমানুয়েল কান্ট। 

প্রশ্ন ৪০। কোন্ দার্শনিক সর্বপ্রথম দর্শনের ক্ষেত্রে জ্ঞানসম্পর্কীয় আলোচনার স্বীকৃতি দেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ দার্শনিক জন লক্।

প্রশ্ন ৪১। “দর্শন হচ্ছে জ্ঞানের বিজ্ঞান।” উক্তিটি কার?

উত্তরঃ দার্শনিক ফিখ্টে (Fichte)

প্রশ্ন ৪২। “দর্শন ব্যতীত বিজ্ঞান ঐক্যহীন সমষ্টি মাত্র, আত্মাহীন দেহমাত্র। আবার বিজ্ঞান ব্যতীত দর্শন দেহহীন আত্মা।” উক্তিটি কার?

উত্তরঃ দার্শনিক ওয়েবার ( Weber)।

শুদ্ধ উত্তর দাও:

১। দর্শন সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড/পদার্থ/সংশয় অধ্যয়ন করে।

উত্তরঃ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।

২। দর্শন জ্ঞান-প্রীতি/পদার্থবিজ্ঞান।

উত্তরঃ জ্ঞান-প্রীতি।

৩। অধিবিদ্যা জ্ঞান/সত্তা/প্রমূল্যঅধ্যয়ন।

উত্তরঃ সত্তা।

৪। অধিবিদ্যা কেবল সত্তাসম্বন্ধীয় সমস্যাগুলির অধ্যয়ন করে/করে না।

উত্তরঃ অধ্যয়ন করে।

৫। জ্ঞানতত্ত্ব প্রধানত জ্ঞান/সত্য/মূল্যের বিষয়ে আলোচনা করে।

উত্তরঃ জ্ঞান।

৬। গ্রিক ভাষায় ‘Philos’ শব্দের অর্থ—বীতরাগ/অনুরাগ/বিরাগ।

উত্তরঃ অনুরাগ।

৭। সংস্কৃত ভাষায় দর্শন শব্দটি দৃশ্য/দ্রশ্য/দৃশ্ ধাতু থেকে উৎপন্ন।

উত্তরঃ দৃশ।

৮। “দর্শন বিজ্ঞানের বিজ্ঞান”—উক্তিটি দার্শনিক কোঁতের/ অ্যারিস্টটলের/প্লেটোর।

উত্তরঃ কোঁতের।

৯। দর্শনের আলোচ্য বিষয়— জড় এবং জগৎ/জীবন এবং জড়/জীবন এবং জগৎ।

উত্তরঃ জীবন এবং জগৎ।

১০। “দর্শন সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ জ্ঞান”। কথাটি বলেন পলসন/ স্পেন্সার/হেগেল। 

উত্তরঃ স্পেন্সার।

শূন্যস্থান পূরণ করো:

১। ‘Philos’ -এর অর্থ ______।

উত্তরঃ অনুরাগ।

২। দর্শন হচ্ছে অভিজ্ঞতার ______।

উত্তরঃ অধিবিদ্যা।

৩। দর্শনের আলোচ্য বিষয় ______ এবং ______।

উত্তরঃ জীবন, জগৎ।

৪। প্রতিটি বিজ্ঞানের পরিসর ______।

উত্তরঃ সীমিত।

৫। দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি ______।

উত্তরঃ বিচারত্মক।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। দর্শন শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘দর্শন’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Philosophy’। ‘Philosophy’ শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। শব্দ দুটি হল— ‘Philos’ এবং ‘Sophia’. ‘Philos ‘ শব্দের অর্থ হল ‘অনুরাগ’ বা ‘প্রীতি’ এবং ‘Sophia’ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান। সুতরাং ‘Philosophy’ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ’।

প্রশ্ন ২। দর্শনের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দর্শনের বৈশিষ্টগুলি নিম্নরূপ: 

(ক) দর্শন হচ্ছে বিশ্বের এক সামগ্রিক অধ্যয়ন।

(খ) মূল্য বা আদর্শের বিচার দার্শনিক চিন্তায় এক অসাধারণ মাত্রা যোগ করেছে। 

(গ) দার্শনিক দৃষ্টি জ্ঞানকেন্দ্রিক। এই জ্ঞান বিশুদ্ধ জ্ঞান এবং সিদ্ধান্তমূলক।

প্রশ্ন ৩। জ্ঞানের কয়টি স্তর এবং কী কী?

উত্তরঃ জ্ঞানের তিনটি স্তর; যথা—সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং দর্শন।

প্রশ্ন ৪। বিজ্ঞান কী?

উত্তরঃ প্রকৃতির কোনো বিশেষ বিভাগ সম্পর্কে যথাযথ সুনিশ্চিত এবং সুসংহত জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে।

প্রশ্ন ৫। দর্শন কী?

উত্তরঃ যে শাস্ত্র দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে থাকা পরমসত্তার স্বরূপের সন্ধান করে সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সুসংহত, যুক্তিপূর্ণ এবং সামগ্রিক জ্ঞান দেয় এবং তার মূল্য নির্ধারণ করে তাকে দর্শন বলে।

প্রশ্ন ৬। দর্শন ও বিজ্ঞান সম্পর্কে বিখ্যাত দার্শনিক ওয়েবার (Weber)-এর উক্তিটি উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ দর্শন ও বিজ্ঞান সম্পর্কে বিখ্যাত দার্শনিক ওয়েবারের উক্তিটি হল—“দর্শন ব্যতীত বিজ্ঞান ঐক্যহীন সমষ্টিমাত্র, আত্মাহীন দেহমাত্র। আবার বিজ্ঞান ব্যতীত দর্শন দেহহীন আত্মা। নিছক কাব্য ও স্বপ্ন থেকে এর কোনো পার্থক্য নেই।” 

প্রশ্ন ৭। ‘জ্ঞানবিদ্যা’ বা ‘জ্ঞানমীমাংসা’ (Epistemology) শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?

উত্তরঃ ইংরেজিতে জ্ঞানবিদ্যাকে ‘Epistemology’ বলে। ‘Epistemology’ শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ ‘Episteme’ এবং ‘Logos’ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। ‘Episteme’ শব্দের অর্থ ‘জ্ঞান’ এবং ‘Logos’ শব্দের অর্থ ‘বিদ্যা’ বা ‘বিজ্ঞান’। সুতরাং ‘Epistemology’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ‘জ্ঞানসম্পর্কীয় বিজ্ঞান’।

প্রশ্ন ৮। অধিবিদ্যা বা তত্ত্বমীমাংসা বা তত্ত্ববিদ্যা (Metaphysics) শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?

উত্তরঃ ইংরেজিতে অধিবিদ্যাকে ‘Metaphysics’ বলে। গ্রিক শব্দ ‘Meta’ এবং ‘Physika’ থেকে উদ্ভূত ইংরেজি শব্দ ‘Metaphysics’। ‘Meta’ শব্দের অর্থ হল ‘Beyond’ অর্থাৎ ‘যা অতিক্রম করে যায়’ এবং ‘Physika’ শব্দের অর্থ ‘Physics’ অর্থাৎ ‘পদার্থবিদ্যা’। সুতরাং ‘অধিবিদ্যা’ বা ‘Metaphysics শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল যে বিদ্যা পদার্থবিদ্যার সীমারেখাকে অতিক্রম করে যায়।’ 

প্রশ্ন ৯। প্ৰমূল্যবিজ্ঞান বা মূল্যবিদ্যা (Axiology) কী?

উত্তরঃ দর্শনের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল মূল্যবিদ্যা বা প্ৰমূল্যবিজ্ঞান। মূল্য কী? মূল্যায়ন বলতে কী বোঝায়? মানবজীবনের পরম মূল্য কী? এই সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আলোচনা এবং তৎসংক্রান্ত সমস্যাবলি দর্শনের যে শাখায় আলোচিত হয়, সেই শাখাকে বলা হয় মূল্যবিদ্যা।

যে মানদণ্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়, সেই মানদণ্ডকে বলা হয় মূল্য-বিষয়ক মানদণ্ড বা আদর্শ।

প্রশ্ন ১০। “দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যা ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।”—কীভাবে? 

উত্তরঃ “দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যা সমার্থক নয়। জ্ঞানবিদ্যাকে দর্শন বলে ভুল করা আর বাড়ির ভিতকে বাড়ি ভাবা, একই কথা।” উক্তিটি জে. এন. সিনহার। তাঁর গ্রন্থে তিনি একথা লিখেছেন। আসলে দর্শনের পথ জ্ঞানের পথ। আর জ্ঞানবিদ্যা জ্ঞানের স্বরূপ, উপকরণ, শর্ত, উৎস, সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করে। তাই বলা যায় এদের উভয়ের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক আছে।

রচনাভিত্তিক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। দর্শন শাস্ত্রের পরিসর আলোচনা করো।

উত্তরঃ দর্শনের প্রধান কাজ হল জগৎ, জীবন ও অভিজ্ঞতার সামগ্রিক ব্যাখ্যা। সুতরাং, দর্শনের আলোচনার পরিসরের মধ্যে যেমন জগৎ প্রসঙ্গ, জীবন প্রসঙ্গ থাকে, তেমনি জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গেও আলোচনা করা হয়।

বিশ্বের প্রতিটি ঘটনার দুটি রূপ—একটি হল তার আভাস এবং অপরটি তার স্বরূপ বা সত্তা। দর্শন যুক্তি ও বিচারবুদ্ধির আলোকে আভাস ও সত্তা উভয়েরই আলোচনা করে। সুতরাং, বলা যায়, দর্শনের পরিসর অন্তহীন। জীবনের এমন কোনো দিক নেই, অভিজ্ঞতার এমন কোনো রূপ নেই, জগতের এমন কোনো বস্তু নেই যা দর্শনের পরিধির মধ্যে পড়ে না। দর্শন এক বিরাট, ব্যাপক এবং সার্বিক বিদ্যা। 

প্রশ্ন ২। দর্শনের প্রধান শাখাসমূহ কী কী? আলোচনা করো।

উত্তরঃ দর্শন হচ্ছে জগৎ এবং জীবনসম্পর্কিত সামগ্রিক জ্ঞান। দর্শনের এই ব্যাপক পরিসরে আমরা তিনটি প্রধান শাখা পাই। সেগুলো হল— 

(ক) জ্ঞানবিদ্যা বা জ্ঞানমীমাংসা। 

(খ) অধিবিদ্যা বা তত্ত্বমীমাংসা। ও 

(গ) প্ৰমূল্যবিজ্ঞান বা মূল্যবিদ্যা।

(ক) জ্ঞানবিদ্যা বা জ্ঞানমীমাংসা: দর্শনের যে শাখা জ্ঞানের উৎপত্তি, স্বরূপ, সম্ভাবনা, সীমা ও বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে, তাকে জ্ঞানবিদ্যা বা জ্ঞানমীমাংসা বলে।

(খ) অধিবিদ্যা বা তত্ত্বমীমাংসা: যে শাস্ত্র দৃশ্যমান জগতের আড়ালে অবস্থিত বস্তুর শাশ্বত ও আন্তর সত্তা সম্পর্কে জ্ঞানদান করে, তাকে অধিবিদ্যা বা তত্ত্বমীমাংসা বলে।

(গ) প্রমূল্যবিজ্ঞান বা মূল্যবিদ্যা: দর্শনের যে শাখা পরমসত্তার জ্ঞানের আধারে বস্তুর মূল্য বা আদর্শ নির্ণয় করে, তাকে প্রমূল্যবিজ্ঞান বা মূল্যবিদ্যা বলে। 

প্রশ্ন ৩। দর্শন এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সাদৃশ্য বা মিল উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দর্শন এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সাদৃশ্য বা মিল নিম্নরূপ:

(ক) দর্শন ও বিজ্ঞান উভয়েই অভিজ্ঞতালব্ধ জগৎ ও ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে।

(খ) অভিজ্ঞতালব্ধ জগৎ ও ঘটনাবলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আবিষ্কার করে তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট, সুসংগঠিত এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞানদানই উভয়ের লক্ষ্য। 

(গ) দর্শন ও বিজ্ঞান উভয়েরই উদ্দেশ্য যথার্থ জ্ঞান অনুসন্ধান করা।

(ঘ) কোনো জটিল সমস্যাকে তার সরল উপাদানে রূপান্তর করে বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান দান করা দর্শন ও বিজ্ঞান উভয়েরই উদ্দেশ্য। 

প্রশ্ন ৪। দর্শন এবং বিজ্ঞানের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বা অমিল বা পার্থক্য উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ দর্শন এবং বিজ্ঞানের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বা অমিল বা পার্থক্য নিম্নরূপ:

(ক) বিজ্ঞান প্রকৃতির একটি বিশেষ নির্দিষ্ট বিভাগ নিয়ে আলোচনা করে, বিশ্বজগৎ সম্পর্কে আমাদের কোনো সামগ্রিক জ্ঞান দেয় না। কিন্তু দর্শন সমগ্র বিশ্বজগৎ নিয়েই আলোচনা করে।

(খ) বিজ্ঞান ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতাতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু দর্শন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং অতীন্দ্রিয় জগৎ—উভয় নিয়েই আলোচনা করে।

(গ) বিজ্ঞানের পরিসর দর্শনের তুলনায় অতি সংকীর্ণ। 

(ঘ) বিজ্ঞান শুধুমাত্র সত্যের অনুসন্ধান করে। কিন্তু দর্শনের আদর্শ সত্য, শিব এবং সুন্দরের প্রতিষ্ঠা।

প্রশ্ন ৫। বিজ্ঞান ও দর্শনের মধ্যে সম্বন্ধ আলোচনা করো। 

উত্তরঃ বিজ্ঞান ও দর্শনের মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও উভয়ের সম্বন্ধ অতি ঘনিষ্ঠ। বিজ্ঞান এবং দর্শন পরস্পরের উপর নির্ভরশীল এবং একে অন্যের পরিপূরক। বিভিন্ন বিজ্ঞানের সিদ্ধাত্তসমূহের ব্যাখ্যার জন্য বিজ্ঞানকে দর্শনের উপরে নির্ভর করতে হয়। আবার দর্শন তার দার্শনিক চিন্তার উপাদানের জন্য বিজ্ঞানের উপরে নির্ভর করে। কারণ, দর্শন বিভিন্ন বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তগুলোকে ঐক্যবদ্ধ এবং সুসংহত করে। প্রকৃতির বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে যে এক সংহতির সূত্র আছে, দর্শন তাকেই ব্যাখ্যা করে। দর্শন বিজ্ঞানের সমষ্টিমাত্র নয়। বিজ্ঞান থেকে লব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে জগৎ ও জীবন সম্বন্ধে সামগ্রিক জ্ঞানদান দর্শনের উদ্দেশ্য। 

আবার বিজ্ঞান দর্শনের উপরে অনেকাংশেই নির্ভর করে। বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাখ্যা, একত্রীকরণ এবং বিন্যাস দর্শনের উপরে নির্ভর করে। বিজ্ঞান যে তত্ত্বগুলো করে, তার সত্যতা যাচাই করা দর্শনের কাজ।

সুতরাং, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন দর্শন অলস কল্পনামাত্র, তেমনি দর্শনের সহায়তা ছাড়া বিজ্ঞানও আংশিক বা খণ্ডজ্ঞান মাত্র। 

প্রশ্ন ৬। দর্শনের ধারণা সম্বন্ধে আলোচনা করো।

উত্তরঃ সংস্কৃত ভাষায় ‘দর্শন’ শব্দটির অর্থ ‘দেখা’, যা ‘দৃশ’ ধাতু থেকে উৎপন্ন। তবে এই দেখা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষণ নয়, তত্ত্বদর্শন অর্থাৎ জগতের এবং জীবনের স্বরূপ উপলব্ধি। সত্যের প্রত্যক্ষ উপলব্ধি বা তত্ত্বসাক্ষাৎকারকেই ‘দর্শন’ বলে। ভারতবর্ষে ‘দর্শন’ কথাটিকে আধ্যাত্মিক প্রত্যক্ষ’ বা ‘আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি’ অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে।

পাশ্চাত্যে ‘দর্শন’-এর প্রতিশব্দ ‘Philosophy’ (ফিলসফি )। Philosophy শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ। কিন্তু যে-কোনো জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ—দর্শন বা দার্শনিক জ্ঞান নয়। দর্শন বা দার্শনিক জ্ঞান হল জগৎ এবং জীবনের স্বরূপ জ্ঞান বা যথার্থ জ্ঞান। দর্শন এই দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে থাকা পরমসত্তার স্বরূপের সন্ধান করে সমগ্র জগৎ এবং জীবন সম্পর্কে সুসংহত, যুক্তিপূর্ণ এবং সামগ্রিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে। 

প্রশ্ন ৭। দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যার মধ্যে সম্বন্ধ আলোচনা করো।

অথবা,

জ্ঞানবিজ্ঞান বা জ্ঞানবিদ্যাকে দর্শনশাস্ত্রের ভিত্তি বলা হয় কেন?

উত্তরঃ দর্শনের যে শাখা জ্ঞানের উৎপত্তি, স্বরূপ, সম্ভাবনা, সীমা ও বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে, তাকে জ্ঞানবিদ্যা বলে। দর্শনের কাজ হল, সামগ্রিকভাবে জীবন ও জগৎকে ব্যাখ্যা করা এবং তার মূল্য নির্ধারণ করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দর্শন যে পথে অপ্রসর হয়, তা মূলত জ্ঞানের পথ। জ্ঞানের উপকরণ, সীমা, শর্ত, সম্ভাবনা প্রভৃতি জানা না থাকলে দার্শনিক চিন্তায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। কান্ট দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যাকে এক এবং অভিন্ন বলে দাবি করেন।

সুতরাং, বলা যায় দর্শন ও জ্ঞানবিদ্যার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। জ্ঞানবিদ্যাকে দর্শনের ভিত্তি বা অঙ্গ বলে। জ্ঞানবিদ্যা শুধু দর্শনের ভিত্তিই নয়, দর্শনের গতিপথের  নিয়ন্ত্রকও বটে। জ্ঞানবিদ্যায় আমরা যে মতবাদ স্বীকার এবং গ্রহণ করব, আমাদের দার্শনিক সিদ্ধান্তগুলো তারই উপরে প্রতিষ্ঠিত হবে। দর্শনশাস্ত্র এভাবে জ্ঞানবিদ্যাকে অনুসরণ করে বলেই জ্ঞানবিদ্যাকে দর্শনশাস্ত্রের ভিত্তি বলা হয়।

প্রখ্যাত দর্শনশাস্ত্র লেখক জে. এন. সিনহা তাঁর ‘Introduction to Philosophy’ গ্রন্থে এই সম্পর্কে একটি সুন্দর উপমা দিয়েছেন—“জ্ঞান বিদ্যাকে দর্শন বলে ভুল করা আর বাড়ির ভিতকে বাড়ি বলে ভাবা একই কথা।”

প্রশ্ন ৮। অধিবিদ্যা বা তত্ত্বমীমাংসা (Metaphysics) সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ দর্শনের প্রধান কাজ হল সামগ্রিকভাবে জীবন এবং জগতের আলোচনা করে তার মূল্য নিরূপণ করা। কেননা জগৎ এবং জীবন আমাদের কাছে যে রূপে প্রকাশিত হয়, সেই রূপ সম্পর্কে আমাদের ধারণা ও জ্ঞানের মধ্যে প্রচুর অসঙ্গতি থাকে। এই অসঙ্গতি দূর করতে হলে প্রতিভাত বস্তুর যথার্থ রূপকে জানতে হয়। বাহ্যসত্তার আড়ালে বস্তুর যে আন্তরসত্তা থাকে, সেটাই হল বস্তুর স্বরূপ। এই বস্তুস্বরূপকে না জানলে আমাদের জান যথার্থ বা পূর্ণ হয় না। জগৎ, জীবন এবং ঈশ্বরের স্বরূপ, নির্ধারণ করা অধিবিদ্যার কাজ। অধিবিদ্যাকে ‘তত্ত্ববিজ্ঞান’ও বলে। যে-কোনো বস্তুর অবভাসিক রূপের (appearance) পেছনে যে বস্তুসত্তা (Reality) থাকে, তার সম্পর্কে আলোচনাই অধিবিদ্যার মুখ্য উদ্দেশ্য। এছাড়াও পরম সত্তার স্বরূপ আধ্যাত্মিক না বস্তুধর্মী—অধিবিদ্যা এ-বিষয়েও আলোচনা করে।

প্রশ্ন ৯। দর্শন ও অধিবিদ্যার মধ্যে সম্বন্ধ আলোচনা করো।

উত্তরঃ দর্শন হচ্ছে সেই শাস্ত্র যা বিশ্বজগৎ ও জীবনের সামগ্রিক ব্যাখ্যা করে এবং তার মূল্য নির্ধারণ করে। বাহ্য বা দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে বস্তুর যে আন্তরসত্তা থাকে, তাকে জানাও দর্শনের কাজ। দর্শনের যে শাখা দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে অবস্থিত বস্তুর শাশ্বত ও আন্তরসত্তা সম্পর্কে জ্ঞান দান করে, তাকে অধিবিদ্যা বলে।

উপরোক্ত সংজ্ঞা দুটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, দর্শন ও অধিবিদ্যার সম্বন্ধ অতি ঘনিষ্ঠ। প্লেটো, অ্যারিস্টটল প্রমুখ দার্শনিকবৃন্দ দর্শন ও অধিবিদ্যাকে এক ও অভিন্ন বলে দাবি করেন। আমাদের বহির্জগত আমাদেরকে জগতের রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ সম্পর্কে সংবেদনের মাধ্যমে জ্ঞান দেয়। তখনই আমাদের মধ্যে একটি জ্ঞানস্পৃহা বা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। সেই জিজ্ঞাসা বা কৌতূহল থেকে মানুষ অতীন্দ্রিয় সত্তাকে জানবার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তখনই জন্ম হয় দর্শনের বা আরও স্পষ্টভাবে বললে দার্শনিক মননের। তাই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ এবং অতীন্দ্রিয় জগৎ দুই-ই দর্শন শাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়। প্লেটো বলেন, দৃশ্যমান জগৎ অতীন্দ্রিয় জগতেরই প্রতিচ্ছবি। অধিবিদ্যা অতীন্দ্রিয় জগৎ নিয়েই আলোচনা করে। সুতরাং অধিবিদ্যা দর্শনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

প্রশ্ন ১০। দর্শন ও প্রমূল্যবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক কী? আলোচনা করো।

উত্তরঃ দর্শন বিশ্ব জগৎ এবং জীবনকে সামগ্রিকভাবে ব্যাখ্যা করে ও তার মূল্য নির্ধারণ করে। অন্যদিকে, দর্শনের যে শাখা বা বিভাগ মূল্য সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, তাকে প্রমূল্যবিজ্ঞান বা মূল্যবিদ্যা বলে।

প্রমূল্যবিজ্ঞানের মূল্যায়ন তিনটি আদর্শের উপরে প্রতিষ্ঠিত। সেই তিনটি আদর্শ হচ্ছে—সত্য, শিব ও সুন্দরের আদর্শ। মূল্যায়ন মানুষের অভিজ্ঞতার অঙ্গ। সত্য, শিব ও সুন্দরের আদর্শে আমরা সব বিষয়ের মূল্যায়ন করি। জ্ঞান ও যুক্তির দিক থেকে সত্য আমাদের আদর্শ। সত্যের আলোকে জ্ঞান ও যুক্তির মূল্য বিচার করা হয়। তেমনি আবেগ ও ভাবের দিক থেকে বস্তুকে সুন্দর বা অসুন্দর হিসাবে মূল্যায়ন করি। এখানে সৌন্দর্য আমাদের আদর্শ এবং সেই আলোকেই এখানে বস্তুর মূল্য বিচার হয়।

আবার, পরম মঙ্গল-এর আদর্শ সামনে রেখে আমরা মানুষের কাজ, অভিপ্রায় ও চরিত্র—ভালো বা মন্দ, উচিত বা অনুচিত ইত্যাদি বিচার করি।

যুক্তিবিদ্যায় বা তর্কবিজ্ঞানে ‘সত্যের স্বরূপ ও শর্তাবলি, সৌন্দর্যবিদ্যায় বা নন্দনতত্ত্বে ‘সৌন্দর্যের স্বরূপ ও শর্তাবলি’, এবং নীতিবিদ্যায় ‘মঙ্গলের স্বরূপ ও শর্তাবলি’ আলোচিত হয়। 

সুতরাং, তর্কবিজ্ঞান, নীতিবিজ্ঞান এবং নন্দনতত্ত্ব—প্রমূল্যবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top