AHSEC 2020 History Question Paper Solved Bengali Medium | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধান, AHSEC Class 12 History Question Paper Solved PDF Download, দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস 2020 র প্রশ্নপত্র সমাধান করা হয়েছে to each Paper is Assam Board Exam in the list of AHSEC so that you can easily browse through different subjects and select needs one. AHSEC 2020 History Previous Years Question Paper Solved in Bengali can be of great value to excel in the examination.
AHSEC 2020 History Question Paper Solved in Bengali | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধান
AHSEC Old Question Paper provided is as per the 2020 AHSEC Board Exam and covers all the questions from the AHSEC Class 12 History Solved Question Paper 2020 Bengali Medium. Access the detailed Class 12 History 2020 Previous Years Question Paper Solved provided here and get a good grip on the subject. AHSEC 2020 History Question Paper Solved Bengali Medium Access the AHSEC 2020 History Old Question Paper Solved, AHSEC Class 12 History Solved Question Paper 2020 of Bengali in Page Format. Make use of them during your practice and score well in the exams.
HISTORY
2020
HISTORY OLD QUESTION PAPER SOLVED
১। নীচের প্রশ্নসমূহের উত্তর দাওঃ
(ক) হরপ্পা সভ্যতার স্থানগুলোতে প্রাপ্ত একধরনের শস্যের নাম লেখ।
উত্তরঃ গম।
(খ) গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজসভার কবি কে ছিলেন?
উত্তরঃ হরিসেন।
(গ) শূদ্রকের দ্বারা রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত গ্রন্থটির নাম লেখ।
উত্তরঃ মৃচ্ছকটিকা।
(ঘ) জৈন ভিক্ষু এবং ভিক্ষুণীদের দ্বারা গৃহীত পাঁচটি অঙ্গীকারের যেকোন একটি উল্লেখ কর।
উত্তরঃ অহিংসা।
(ঙ) এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব থেকে পুরনো আহোম মুদ্রাগুলো কোন আহোম রাজার সময়ের?
উত্তরঃ শুক্লেংমং।
(চ) পেলজার্ট কে ছিলেন?
উত্তরঃ ওলন্দাজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কমান্ডার।
(ছ) বিজয়নগরের প্রথম রাজবংশটির নাম লেখ।
উত্তরঃ সঙ্গম রাজবংশ।
(জ) পেশকষ কে ছিলেন?
উত্তরঃ মোগল আমলের একপ্রকার রাজস্ব।
(ঝ) কোন সালে বৃটিশ সরকার সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করেছিল?
উত্তরঃ ১৮২৯ সালে।
(ঞ) মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কে ছিলেন?
উত্তরঃ গোপালকৃষ্ণ গোখলে।
(ট) কোন স্থানে মুসলিম লীগ স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ঢাকায়।
(ঠ) সংবিধান সভার কোন সদস্য ‘কার্যপ্রণালী প্রস্তাবনা’ (Objective Resolution) টি উত্থাপন করেছিলেন?
উত্তরঃ পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।
২। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যেকোন বারোটি):
(ক) হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা রাজস্থানের ক্ষেত্রী অঞ্চল এবং দক্ষিণ ভারত থেকে কী কী ধাতু সংগ্রহ করেছিল?
উত্তরঃ হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা রাজস্থানের ক্ষেত্রী অঞ্চল থেকে তাম্র এবং দক্ষিণ ভারত থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করেছিল।
(খ) সুদর্শন হ্রদটি বর্তমান ভারতের কোন রাজ্যে আছে লেখ। এটি কে পুননির্মাণ করেছিল?
উত্তরঃ সুদর্শন হ্রদটি বর্তমান ভারতের গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত। মৌর্য্যেত্তর যুগে সুবিশাল এবং গুপ্তযুগে চক্রপতি হ্রদটি পুননির্মাণ করেছিলেন।
(গ) বহির্বিবাহ এবং বহুপতি প্রথার সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ বহির্বিবাহ হল যখন বৈবাহিক সম্পর্ক ভিন্নজাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে হয়। বহুপতি বলতে স্ত্রীলোকের বহুবিবাহ প্রথাকে বোঝায়। যেখানে এক স্ত্রীর একাধিক স্বামী থাকে।
(ঘ) বৌদ্ধধর্মের যে কোনো দুটি মূল শিক্ষার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ (ক) সৎ চিন্তা।
(খ) সৎকর্ম।
(ঙ) গোমধর কোঁয়র কে ছিলেন? তাঁর একজন সহযোগী বিদ্রোহীর নাম লেখ।
উত্তরঃ গোমধর কোঁয়র আহোম রাজবংশের রাজপুত্র ছিলেন। তাঁর অন্যতম সহযোগী বিদ্রোহী হলেন জিউরাম ডিহিঙ্গিয়া।
(চ) শরিয়া মানে কী? এর যে কোনো একটি ভিত্তির নাম উল্লেখ কর।
উত্তরঃ শরিয়া হলো ইসলামী আইন। ইহার প্রধান ভিত্তি হলো কোরান।
(ছ) বিজয়নগর সাম্রাজ্যে বিকশিত হওয়া মন্দির স্থাপত্যের দুটি নতুন বৈশিষ্ট্যের বিষয়ে উল্লেখ কর।
উত্তরঃ দুটি বৈশিষ্ট্য হল—
(ক) মন্দিরগুলিকে পল্লব বা জৈন জাতির প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
(খ) মন্দিরের আভ্যন্তরীন দেওয়ালে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য।
(জ) মধ্যযুগের ভারতের যে কোনো দু’জন সুফী সন্তু ব্যক্তির নাম লেখ।
উত্তরঃ (ক) আব্দুল রহমান জিলানী।
(খ) আব্দুল রজাক নুরুল ইন।
(ঝ) ষষ্ঠদশ এবং সপ্তদশ শতকের ভারতের গ্রাম্য শিল্পী বা কারিগরদের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ (ক) কুমার (মৃৎশিল্পী)।
(খ) কামার।
(ঞ) ইবন বতুতার মতে ভারতে প্রচলিত দুই ধরনের ডাক ব্যবস্থা কী কী ছিল?
উত্তরঃ ইবন বতুতা বর্ণীত ভারতের দুই প্রকার ডাকব্যবস্থা নিম্নরূগঃ
(ক) ঘোড়াচালিত ডাকব্যবস্থা বা ‘ডল্ক’।
(খ) পদব্ৰজে চালিত ডাকব্যবস্থা।
(ট) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত অনুসারে জমিদারেরা প্রারম্ভিক অবস্থায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে নিয়মিতভাবে ভূমি রাজস্ব পরিশোধ করতে কেন ব্যর্থ হয়েছিল তার দুটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ দুটি কারণ হলো—
(ক) প্রারম্ভিক রাজস্ব ধার্যের পরিমাণ অত্যাধিক যা জমিদারগণের পক্ষে প্রদান করা সম্ভব ছিলো না।
(খ) উচ্চহারে রাজস্ব হার ১৭৯০ এর দশকে ধার্য করা হয় যখন বাজারে কৃষিজাত পণ্যের দাম ব্যাপক হ্রাস পায়। ফলে রায়তগণ জমিদারকে রাজস্ব প্রদান করতে পারে না।
(ঠ) লবণ যাত্রা কেন উল্লেখযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল তার দুটি কারণ দেখাও।
উত্তরঃ ডাণ্ডিযাত্রা তাৎপৰ্যপূৰ্ণ বলে বিবেচিত হওয়ার দুটি কারণ নিম্নরূপঃ
(ক) ডাণ্ডিযাত্রা প্রথমবারের মতো গান্ধীজিকে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
(খ) ডাণ্ডিযাত্রায় মহিলাগণ বিশাল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছিল।
(ড) ক্যাবিনেট মিশনের দু’জন সদস্যের নাম উল্লেখ কর।
উত্তরঃ দু’জন সদস্যের নাম হল—
(ক) প্যাথিক লরেন্স।
(খ) স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রীপস্।
(ঢ) ভারতীয় সংবিধানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) ভারতীয় সংবিধান দীর্ঘতম।
(খ) ভারতীয় সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা আছে।
(ণ) শ্বেতনগর এবং কৃষ্ণনগর কাকে বলে?
উত্তরঃ ব্রিটিশগণ সাদা চামড়াযুক্ত ছিল। এই কারণে তাদের ‘সাদা’ বা ‘শ্বেত’ বলা হত। তারা নিজেদের অন্যদের তুলনায় উচ্চশ্রেণীর মনে করত। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের গায়ের রং ছিল খৈরি ও কালো। সুতরাং তাদের ‘কৃষ্ণাঙ্গ’ বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ ভারতীয় ও আফ্রিকীয়দের উল্লেখ করা যায়। সুতরাং শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনায় উঁচু মর্যাদার ছিল।
ইউরোপীয়গণ কৃষ্ণ অঞ্চল বিশৃঙ্খল ও অরাজক অঞ্চল বলে মনে করত এবং তাকে ঘৃণ্য ও রোগাক্রান্ত স্থান বলে বিবেচনা করত। তারা নিজেদের শ্বেত অঞ্চল স্বাস্থ্যসম্মত করে রাখতে গুরুত্ব দিত। কিন্তু কলেরার মতো মহামারী কৃষ্ণকায় শ্বেতকায় কারোকে রক্ষা করে। না ভেবে ঔপনিবেশিক সরকার সর্বত্র স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের পর ভারতীয় নগরসমূহে জনস্বাস্থ্য, পয়ঃপ্রণালী, নালা-নর্দমার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
ব্রিটিশগণ কৃষ্ণাঙ্গ এলাকায় জলসরবরাহ ও জনস্বাস্থ্য সুনিশ্চিতের উদ্দেশ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। তারা কৃষ্ণাঙ্গ এলাকায় রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তাছাড়াও এই সকল এলাকার উন্নয়নের জন্য ব্রিটিশ সরকার নানা প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
৩। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যেকোন দশটি):
(ক) মহেঞ্জোদারোর গৃহ স্থাপত্যকলা প্রণালী সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বর্তমানকালের বাড়ি-ঘরের নির্মাণ প্রণালীর সঙ্গে এই নগরগুলোর বাড়িগুলোর নির্মাণ প্রণালীর মিল আছে। বর্তমানকালের মতোই তখনকার বাড়িগুলোর কয়েকটি একতলা আর কয়েকটি দোতলা ছিল। বাড়িগুলো ইট আর কাদামাটির সাহায্যে নির্মাণ করা হত। ইটগুলো বর্তমানকালের মতোই আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করে নেওয়া হত। বর্তমানকালের মতো নীচ থেকে উপরের তলাগুলোতে উঠানামা করার জন্য বাড়িগুলোতে সিঁড়ির ব্যবস্থাও ছিল। বাসগৃহের সঙ্গেই থাকত স্নানঘর। স্নানঘর থেকে জল নিষ্কাশনের জন্য নালার সুব্যবস্থাও ছিল।
(খ) পাটলিপুত্রের একটি ইতিহাসমূলক আভাস দাও।
উত্তরঃ পাটলিপুত্র অধুনা পাটনার নিকটবর্তী একটি নগর। খৃষ্টপূর্ব ৪৯০ অব্দে মগধের রাজা উদয়ন ইহা প্রতিষ্ঠিত করেন। ইহা প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন সাম্রাজ্য যেমন শিশুনাগ সাম্রাজ্য, নন্দ সাম্রাজ্য, মৌর্য সাম্রাজ্য গুপ্ত সাম্রাজ্য ও পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। গ্রীক পর্যটক মেগাস্থিনিসের বিবরণ থেকে জানা যায় যে পাটালিপুত্রে বিশ্বের নগর সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম দক্ষ স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাটলিপুত্র নগরের দুইটি বৌদ্ধ মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সম্মেলন বৌদ্ধের মৃত্যুর পর এবং দ্বিতীয় সম্মেলন সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে।
(গ) কোন স্মৃতিশাস্ত্র চন্ডালদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল? এই গ্রন্থটির মতে চন্ডালদের কর্তব্যগুলো কী কী ছিল?
উত্তরঃ ‘মনুস্মৃতি’ স্মৃতিশাস্ত্র চন্ডালদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
মনুস্মৃতিতে চণ্ডালদের জন্য নির্ধারিত দুটি কর্তব্য নিম্নরূপঃ
(ক) চণ্ডালগণ গ্রামের বাইরে বাস করবে।
(খ) তারা মৃত ব্যক্তির কাপড় পরিধান করবে এবং লোহার অলংকার ব্যবহার করবে।
(ঘ) পাইক প্রথার বৈশিষ্ট্যগুলোর বিষয়ে লেখ।
উত্তরঃ অহোম যুগে সামরিক বিভাগে ১৫—৫০ বৎৎসরের প্রত্যেকটি লোককে ‘পাইক’ বলা হত। রাজেশ্বর সিংহের সময় তিনজন পাইক নিয়ে এটি ‘গোট’ সৃষ্টি হয়। এদের মূল, দেরাল এবং তেরাল বলা হত। তারা পালাক্রমে রাজগৃহে ৩/৪ মাস বেগার খাটত। পাইকরা বিনা করে ক্ষেতের জমি ভোগ করত। পাইক প্রথার ফলে সৈন্যদের চাহিদাও পূরণ হত। ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে মোমাই তামুলী পাইকদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন। তিনি বিশ জন পাইকের উপর এক জন বরা, একশ জন পাইকের উপর এক জন শইকীয়া, একহাজার জন পাইকের উপর এক জন হাজারিকা, তিন হাজারের উপর এক জন রাজখোয়া এবং ছয় হাজারের উপর এক জন ফুকন নিযুক্ত করেছিলেন। অহোম রাজ্যে নিয়মিত সৈন্যবাহিনী না থাকাতে পাইক প্রথা দ্বারা যুদ্ধ চালানো হত। পাইকরা করমুক্ত জমি ভোগ করলেও জমির উপর তাদের কোন স্বত্ব ছিল না। পাইকের বয়স ৫০ বৎসর হলে তার জমি অন্য পাইককে দেঙয়া হত।
(ঙ) অসমে ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সংঘটিত কৃষক আন্দোলনসমূহের বিষয়ে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের পর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে কোম্পানী শাসনের অবসানক্রমে ভারতে সরাসরি ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ হতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক নূতন অধ্যায়ের সূচনা হয়। জনস্বার্থ-বিরোধী ব্রিটিশ সরকারের রাজস্ব নীতি ও কর নীতির বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়। এই বিদ্রোহ কালক্রমে গণবিদ্রোহের রূপ ধারণ করে। এই সকল বিদ্রোহে ‘রাজমেল’ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
(ক) ফুলগুড়ি বিদ্রোহ (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ): ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে নওগাঁ জেলার ফুলগুড়ি অঞ্চলের কৃষক জনগণ পপি চাষ নিষিদ্ধকরণ ও পান-সুপারির উপর কর আরোপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আরম্ভ করে। পপি চাষ নিষিদ্ধকরণের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণের মানসিকতার উপর নজর দেয়নি। অধিকন্তু কৃষক জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নতিকল্পে কোনরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে ফুলগুড়ি অঞ্চলের কৃষক জনগণ ‘রাজমেল’-এর মাধ্যমে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে বিদ্রোহম্মুখ হয়ে পড়ে। তারা ইংরেজ অফিসার লেফটেন্যান্ট সিঙ্গারকে নিহত করে। এই ঘটনাকে ফুলগুড়ি যাওয়া’ বলা হয়।
(খ) রঙ্গিয়া বিদ্রোহ (১৮৯৩-৯৪): ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে আসামের চীফ কমিশনার স্যার উইলিয়াম ওয়ার্ড রাজস্ব কর ৭০ শতাংশ হতে ৮০ শতাংশ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। ফলে রঙ্গিয়া, লাচিমা ও পাথারুঘাটের রাইয়তগণ করবিরোধী অভিযান আরম্ভ করে। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর রাত্রে প্রায় তিন হাজার বিদ্রোহীর দল রঙ্গিয়ার পুলিশ থানা ঘেরাও করে এবং থানা ধ্বংস করবার হুমকি দেয়। কিন্তু সময়মতো সেনা মোতায়েনের ফলে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জানুয়ারি কামরূপের জেলাশাসক জোকারা পুলিশবাহিনী সহ রঙ্গিয়ায় উপস্থিত হন এবং অনেক বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার করেন। ১০ ডিসেম্বরও তদ্রূপ ঘটনা ঘটে। সমগ্র রঙ্গিয়ার সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফলে অবস্থা স্বাভাবিক হয়।
(গ) লাচিমা বিদ্রোহ (১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দ): ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২১শে জানুয়ারি বরপেটা জেলার সরুক্ষেত্রি মৌজার লাচিমায় একদল মারমুখী রায়ত কর-সংগ্রহকারী একজন মৌজাদার ও একজন মণ্ডলকে প্রহার করে। বরপেটার মহকুমা শাসক মাধবচন্দ্র বরদলৈ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি অন্তত ৭৫ জন বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার করে ক্যাম্পে আনলে প্রায় তিন হাজার বিদ্রোহী বন্দীদের মুক্তির দাবিতে ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং ক্যাম্প ও রেস্ট হাউস পুড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়। বরপেটার মহকুমা শাসক মধ্যরারে ক্যাম্প পরিত্যাগ করেন এবং জেলাশাসকের সাহায্য প্রার্থনা করেন। পরদিন সন্ধ্যায় জেলাশাসক মেক ক্যাব সিপাহী ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৫৯ জন বিদ্রোহী নেতাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে প্রায় ৬ হাজার মানুষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে জেলাশাসকের ক্যাম্পে সমবেত হন। জেলাশাসক গুলির আদেশ দিলে সমবেত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়।
(ঘ) পাথারুঘাটের বিদ্রোহ (১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দ): ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে জানুয়ারি পরং জেলার মঙ্গলদৈ মহকুমার পাথারুঘাট নামক স্থানে এইরূপ একটি বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল। জেলাশাসক এই অঞ্চল সফরে আসবেন জেনে বিরাট সংখ্যক জনতা পাথরুঘাটে সমবেত হন। তারা জেলাশাসককে তাদের অভাব-অভিযোগ জানায়। কিন্তু জেলাশাসক তাদের ছত্রভঙ্গ করবার আদেশ দেন। জনতা মারমুখী হয়ে ওঠে। জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
(চ) কিতাৰ-উল-হিন্দ-এর ওপরে একটি টীকা লেখ।
উত্তরঃ কিতাব-উল-হিন্দঃ আলবেরুণী ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সহজ, সরল আরবি ভাষায় ‘কিতাব-উল-হিন্দ’ রচনা করেন। তা মোট ৪০ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। গ্ৰন্থখানার বিষয়বস্তু ছিল ধৰ্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দৰ্শন, ভূগোল, অঙ্ক, বিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জ্যোতিষ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার, অন্ধবিশ্বাস, পরিমাপ প্ৰভৃতি। তাঁর বৰ্ণনা থেকে আমরা ভারতীয় সমাজের প্রকৃত স্বরূপ জানতে পাখি। আলবেরুণী সাধারণত ছকটি বিশেষ পদ্ধতিতে প্রতিটি অধ্যায় আরম্ভ করেছিলেন। একটি অধ্যায়ে সাংস্কৃতিক পরম্পরার বৰ্ণনা দেওয়ার পর অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন।
আরবি ভাষায় লেখা তাঁর রচনায় আলবেরুণী খুব সম্ভব উপমহাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষগণকে অধিক গুরুত্ব দিয়ছিলেন। সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার গ্ৰন্থসমূহ অনুবাদ ও আরবি ভাষায় গ্ৰহণ করতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন।
(ছ) লিঙ্গায়তদের ধর্মীয় রীতি-নীতিগুলোর ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ লিঙ্গায়েত হলো কর্ণাটকের বীর শৈব পরম্পরা। দ্বাদশ শতকে প্রখ্যাত দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ “বাসব” কর্ণাটকের লিঙ্গায়েতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় কর্ণটিকের উত্তরাংশে লিঙ্গায়েত দার্শনিক প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। লিঙ্গয়াতেদের সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত বলা হয়। কারণ তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি পরিলক্ষিত হয়। লিঙ্গায়েতগণ একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তাদের পূজা অর্চনা শিব কেন্দ্রিক। তাদের মতে শিব হলেন ব্রহ্মান্ডের একমাত্র দেবতা। লিঙ্গায়তগণ তাদের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতাদের জন্মজয়ন্তী পালন করেন। ইহা ছাড়া শিবরাত্রি, গণেশ চতুর্থী প্রভৃতি হিন্দু ধর্মীয় উৎসবও পালন করেন।
(জ) আবুল ফজল আকবরের সভার বিবরণ কীভাবে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ আবুল ফজল তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ আইন-ই-আকবরীতে আকবরের দরবারের বিস্তৃত বিবরণ প্রদান করেন—
(অ) রাজদরবারের বাহ্যিক কাঠামো সম্রাটের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিফলন করে।
(আ) রাজদরবারের কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ সিংহাসন অবস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
(ই) রাজসিংহাসনের উপরের ছাতা সূর্যকিরণ থেকে সম্রাটকে রক্ষা করে।
(ঈ) দরবারে বসেই সম্রাট আকবর দৈনন্দিন রাজকার্য পরিচালনা করতেন।
(ঝ) ‘ডামিন-ই-কোহ’ কি ছিল? এটি কীভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল?
উত্তরঃ ‘ডামিন-ই-কোহ’ একটি পার্শী শব্দ যার অর্থ হলো পাহাড়ের পাদদেশ। রাজমহল পাহাড়ের পাদদেশে সাঁওতালদের জমি। দক্ষিণ ভারতের রাজমহল পাহাড়ের বনাঞ্চলবেষ্ঠিত এলাকাকে জামিন-ই-কোহ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
বৃটিশ সরকার রাজমহল পাহাড়ের পাদদেশে সাঁওতালদের বাসভূমি ও জীবন যাপনের জন্য জমি প্রদান করে। ১৮৩২ সালে এক বিশাল পরিমান জমি জামিন-ই-কোহ হিসাবে চিহ্নিত করে সাঁওতালদের প্রদান করা হয়।
(ঞ) ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের কারণগুলো আলোচনা কর।
উত্তরঃ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের কারণগুলো হল—
(ক) রাজনৈতিক কারণঃ লর্ড ডালহৌসীর স্বত্ববিলোপ নীতির দ্বারা রাজ্য অধিকার নীতি এবং কতকগুলি উপাধি ও বৃত্তি লোপ করার ফলে ভারতীয় রাজন্যবর্গ এবং জনসাধারণের মনে দারুণ আশঙ্কা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। দিল্লির বাহাদুর শাহকে দিল্লির প্রাসাদ হতে বিতাড়নের পরিকল্পনা এবং পদচ্যুত পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও-এর মৃত্যুর পর তাঁর দত্তক পুত্র নানা সাহেবকে পৈতৃক বৃত্তি হতে বঞ্চনা প্রভৃতি কার্যাবলী ভারতের সর্বত্র অসন্তোষ আনয়ন করে। এই সকল কারণ নানা সাহেব, ঝন্সীর রানি, অযোধ্যার বেগম এবং অন্যান্য রাজ্যচ্যুত ব্যক্তিগণ ইংরেজের পরম শত্রুতে পরিণত হলেন। সিপাহীর অনেক এই সকল দেশীয় রাজ্যের অধিবাসী ছিল বলে এই বিক্ষোভ তাদের স্পৰ্শ করল।
(খ) সামাজিক ও ধর্মসম্বন্ধীয় কারণঃ সতীদাহ নিবারণ, হিন্দু বিধবার পুনর্বিবাহ বিধান প্রভৃতি সামাজিক সংস্কার এবং ইংরেজি শিক্ষার।বিস্তার, রেলওয়ে, টেলিগ্রাফ প্রভৃতির প্রবর্তন এবং বিদেশি খ্রিস্টানদের পারিবারিক সম্পত্তি লাভের অনুকূলে আইন জারি প্রভৃতির ফলে জনসাধারণের ধারণা হয়েছিল যে ইংরেজগণ তাদের জাতি ও ধর্ম নষ্ট করে খ্রিস্টধর্ম প্রচারে ষড়যন্ত্র করছে। এই ধারণা বাংলা, বিহার ও অযোধ্যায় বিশেষ প্রসার লাভ করল।
(গ) অর্থনৈতিক কারণঃ ভারতের বিভিন্ন অংশে বিদেশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা জোর করে চাপানো হয়েছিল। এর ফলে পূর্বতন অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়লেও নতুন ব্যবস্থা চালু হয়নি। এতে জনসাধারণের দুর্দশা বৃদ্ধি পেল। বেন্টিঙ্কের আমলে নিষ্কর জমি বাজেয়াপ্ত করার অনেক লোক নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। দেশীয় রাজ্যগুলি ইংরেজরা অধিকার করায়, তাদের কর্মচারীগণ বেকার হয়ে পড়ে। তাতে ইংরেজের বিরুদ্ধে তিদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
(ঘ) সময় বিভাগীয় কারণঃ সেনা বিভাগেও ইংরেজ বিদ্বেষ সংক্রামিত হয়েছিল। উতর ভারতে সৈন্যবহিনী ব্রাহ্মণ, রাজপুত উচ্চ জতি নিয়ে গঠিত ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ভারতের বাইরে ব্রহ্মদেশ অর্থাৎ মায়ানমার প্রভৃতি দেশে যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। জাতি নাশের ভয়ে সিপাহীরা ক্ষুব্ধ হল। প্রথম আফগান যুদ্ধে ইংরেজের শোচনীয় পরাজর, ইউরোপে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে রাশিয়াবাসীদের বীরত্বের কাহিনি শ্রবণ, ইউরোপীয় কর্মচারীদের সংখ্যা হ্রাস এবং সেনাদলে উচ্ছৃঙ্খলতার প্রসার ভারতীয় সিপাহীগণকে ব্ৰিটিশ শক্তি ধ্বংস করতে।উৎসাহিত করেছিল।
(ট) ভারত ত্যাগ আন্দোলনের কার্যসূচীগুলো ভারতীয়রা কীভাবে রূপায়িত করেছিল?
উত্তরঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের প্রচেষ্টায় স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ই মার্চ ভারতে উপনীত হয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেন। আলোচনা ব্যর্থ হলে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১২ই এপ্রিল ক্রিপস মিশন ইংল্যান্ডে প্রত্যাগমন করে।
ক্রিপস্ মিশন ব্যর্থ হলে ভারতের সর্বত্র এক তীব্র হতাশা দেখা দেয়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতায় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বিস্মিত হলেন। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ‘হরিজন’ পত্রিকায় ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগ করে যেতে বললেন। সমগ্র ভারতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ‘ভারত ছাড়ো’ ধ্বনি উত্থিত হয়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই জুলাই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ব্রিটিশকে ভারতে ত্যাগের জন্য অনুরোধ জানিয়ে এক প্রস্তাব পাস করে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ই আগস্ট বোম্বাইতে (মুম্বাইতে) কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। উক্ত প্রস্তাবের উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপঃ
(ক) একটি নির্দিষ্ট দিনে হরতাল পালন করার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার অনশন ও ব্রত উপাসনা পালন করা, এবং হরতালের জন্য কোন দোকানি বা ব্যবসায়ীকে জোর-জুলুম না করা। হরতালের দিন সভা, শোভাযাত্রা প্রভৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সত্যাগ্রহ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা।
(খ) আন্দোলন মূলত লবণ আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে লবণ প্রস্তুত করা।
(গ) ভূমিরাজস্ব আদায় বন্ধ করা। এর দুইটি দিক ছিল–জমিদারি এলাকায় জমিদার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে তার প্রাপ্য অংশটুকু দান করা হবে; কিন্তু সরকারে প্রাপ্য অংশটুকু আদায় হবে না।
তদানীন্তন কংগ্রেস সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মতে আন্দোলন কার্যসূচী সম্পর্কে গান্ধীজির কোন স্পষ্ট ধারণা ছিল না।
সে যাই হোক গান্ধীজির মতে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সত্য ও অহিংসার বিশ্বাসী কংগ্ৰেসী ও অকংগ্ৰেসী সকল ভারতীয়ই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। দেশের স্বাধীনতাকামী বিপুল জনতা দেশের সর্বত্র অংশগ্ৰহণ করে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ করতে বদ্ধপরিকর হয়েছিল।
(ঠ) মানচিত্র অনুসারে বর্তমান ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হরপ্পা সভ্যতার পরিণত পর্যায়ে চারটি স্থানের নাম রাজ্য-সহ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (অ) কলিবানগান — রাজস্থান।
(আ) আজমগড় — উত্তরপ্রদেশ।
(ই) বানওয়ালি — হরিয়ানা।
(ঈ) নাগেশ্বর — মধ্যপ্রদেশ।
(ড) রাষ্ট্রীয় ভাষা সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গী কি ধরনের ছিল?
উত্তরঃ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩০-এর দশকে হিন্দুস্থানী অর্থাৎ হিন্দি ভারতের।রাষ্ট্রীয় ভাষা হওয়া উচিত এই অভিমত গ্রহণ করেছিল। মহাত্মা গান্ধী উপলব্ধি করেছিলেন যে সকল মানুষকে এমন একটি ভাষায় কথা বলা উচিত যা সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারে। হিন্দি ও উর্দুর সংমিশ্রণে গঠিত হিন্দুস্তানী ভারতের অতি জনপ্রিয় ভাষা ছিল। একটি।বিশাল সংখ্যক মানুষ এই ভাষা বুঝতে ও বলতে পারে। বিভিন্ন সংস্কৃতির সমন্বয়ে এটি একটি সমৃদ্ধশালী ভাষা হিসাবে পরিণত হয়েছে। সুতরাং গান্ধীজি উপলব্ধি করেছিলেন যে এইরূপ একটি বহুবিধ সংস্কৃতি সমন্বয়ী যৌগিক ভাষা বিভিন্ন মানুষের মধ্যে মতামত বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ভাষা হিন্দু ও মুসলমানদের ঐক্য শক্তিশালী করবে। উত্তর ভারতের মানুষকে এবং দক্ষিণ ভারতের মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ করে তুলবে। এককথায় গান্ধীজি হিন্দুস্থানী ভাষার মিশ্র বৈশিষ্ট্য বিশ্বাস করতেন।
৪। কখন এবং কার রাজত্বকালে ক্যাপটেন ওয়েলস্-এর অসম অভিযান সংঘটিত হয়েছিল? ক্যাপটেন ওয়েলস্-এর অসম অভিযানের গুরুত্ব কি কি ছিল?
উত্তরঃ ১৭৯২ সালে গৌরীনাথ সিং-এর রাজত্বকালে ক্যাপটেন ওয়েলস্-এর অসম অভিযান সংঘটিত হয়েছিল।
গৌরীনাথ সিং-এর রাজত্বকালে আসামে মোয়মারি বিদ্রোহ তীব্র আকার ধারণ করে। ১৭৯২ সালে আহোম রাজা গৌরীনাথের অনুরোধ ক্রমে ক্যাপটেন ওয়েলস্কে গোয়ামারি বিদ্রোহ দমন করতে আসামে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়। ওয়েলেস আসামে এসেই কঠোর হস্তে বিদ্রোহ দমন করেন। আসাম ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে আহোম রাজার সঙ্গে কোম্পানির সঙ্গে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদন করেন। ওয়েলেস-এর আসাম অভিযান আসামে বৃটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার সূচনা পর্ব বলা যেতে পারে। তাঁর আসাম অভিযান অবশ্যই রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ।
অথবা
কখন এবং কার কার মধ্যে ইয়াণ্ডাবু সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল? ইয়াণ্ডবু সন্ধির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ ১৮২৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীও আভার (তৎকালীন ব্রহ্মদেশ বর্তমান মায়ানমার) রাজার মধ্যে ইয়ান্ডাবু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
আসাম তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলে ইয়ান্ডুর সন্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। এই সন্ধি বা চুক্তির ফলে আসাম ও কালক্রমে উত্তরপূর্বাঞ্চলের অন্যান্য এলাকা বৃটিশ অধিকৃত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আভার রাজা আসামের উপর অধিকার প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে এ রাজ্যের আভ্যন্তরিণ ব্যাপারে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তবে এ চুক্তিতে এটা বলা হয়নি যে, এরপর থেকে আসামের শাসনভারই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হলো। কিন্তু সন্ধির ২নং অনুচ্ছেদকে অপব্যাখ্যা করে ইংরেজ ঔপনিবেশিকেরা আসাম এবং প্রতিবেশী সমতল এবং পার্বত্য রাজ্যগুলো অধিকার করার প্রয়াস শুরু করে।
৫। আলবেরুনী কে ছিলেন? আলবেরুনীর ওপরে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।
উত্তরঃ আলবেরুণী একজন বিখ্যাত পর্যটক ছিলেন। গজনীর সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণের সময় আলবেরুণী তাঁর সহচর ছিলেন। আলবেরুণী ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান উজবেকিস্থানের খোয়ারিজাম নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্পদিনের মধ্যেই তিনি সিরিয়, আরবি, পারসি, হিব্রু ও সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনি গ্রিক ভাষা না জানার জন্য আরবি ভাষায় অনূদিত গ্রন্থের মাধ্যমে প্লেটো ও অন্যান্য গ্রিক দার্শনিকগণের রচনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। ১০১৭ খ্রিস্টাব্দে গজনীর সুলতান মামুদ খিরা রাজ্য আক্রমণ করেন এবং রাজ্যের বুদ্ধিজীবীগণের সঙ্গে আলবেরণীকেও বন্দী করে গজনী নিয়ে যান। গজনীতে ৭০ বছর বয়সে আলবেরুণীর মৃত্যু হয়।
গজনীতে থাকার সময় ভারতের প্রতি তাঁর দুর্নিবার আকর্ষণ জাগ্রত হয়েছিল। কারণ সংস্কৃত ভাষায় লিখিত জ্যোতির্বিদ্যা, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কীয় গ্রন্থসমূহ খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। আলবেরুণী কিছুদিন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও পুরোহিতগণের সঙ্গে থেকে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার সঙ্গে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও দর্শন-সম্পর্কীয় গ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করেন।
কিতাব-উল-হিন্দঃ আলবেরুণী ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সহজ, সরল আরবি ভাষায় ‘কিতাব-উল-হিন্দ’ গ্রন্থ রচনা করেন। তা মোট ৪০টি অধ্যায়ে বিভক্ত। গ্রন্থখানার বিষয়বস্তু ছিল ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন, ভূগোল, অঙ্ক, বিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জ্যোতিষ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার, অন্ধবিশ্বাস, পরিমাপ প্রভৃতি। তাঁর বর্ণনা থেকে আমরা ভারতীয় সমাজের প্রকৃত স্বরূপ জানতে পারি। আলবেরণী সাধারণত একটি বিশেষ পদ্ধতিতে প্রতিটি অধ্যায় আরম্ভ করেছিলেন। একটি অধ্যায়ে সাংস্কৃতিক পরম্পরার বর্ণনা দেওয়ার পর অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন।
আরবি ভাষায় লেখা তাঁর রচনায় আলবেরুণী খুব সম্ভব উপমহাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষগণকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার গ্রন্থসমূহ অনুবাদ ও আরবি ভাষায় গ্রহণ করতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন।
অথবা
ইবন বটুটা কে ছিলেন? ভারতবর্ষের ওপরে ইবন বটুটার বর্ণনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।
উত্তরঃ ইবন বতুতা আফ্রিকার মরক্কো দেশের একজন পর্যটক ছিলেন। তিনি মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্বকালে ভারত আক্রমণ করেন। সুলতান তাঁকে কাজী পদে নিয়োগ করেন এবং দূত রূপে চীনদেশে প্রেরণ করেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত চরিত্র ভালো ছিল না। তিনি বিচারকের পদে উৎকোচ গ্রহণ করতেন। দেশভ্রমণ তাঁর নেশা ছিল। মরক্কোর তাঞ্জিয়ায় তিনি ১৪০৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
ভারত ভ্রমণ বৃত্তান্তঃ আরবি ভাষায় লিখিত ইবন বতুতার ভ্রমণ কাহিনি ‘রিহ্লা’ নামক গ্রন্থে ১৪ শতকের ভারতের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। স্থলপথে মধ্য এশিয়া ভ্রমণ করে তিনি ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু প্রদেশে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি শিক্ষা-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক দিল্লির সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের বিষয়ে শুনে মুলতান ও উচ (Uch) হয়ে দিল্লি যাত্রা করেন। সুলতান তাঁর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে ইবন বতুতাকে দিল্লির কাজী পদে নিযুক্তি দেন। কিন্তু উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে সুলতান তাঁকে কারাদণ্ড দেন।
চতুর্দশ শতকে ইবন বতুতা দিল্লিতে উপস্থিত হওয়ার সময় উপমহাদেশখানি পূর্বে চীন, উত্তর-পশ্চিমে আফ্রিকা ও পশ্চিমে ইউরোপের এক বৃহৎ অঞ্চলে গোলকীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অংশ হয়ে পড়েছিল। ইবন বতুতা নিজেও এদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মস্থানসমূহ পরিভ্রমণ করেছিলেন। শিক্ষিত মানুষের সঙ্গে থেকে মত বিনিময় করেছিলেন। তাঁর লেখনীতে ধর্মীয় পণ্ডিতগণের কথা, রাজার নিষ্ঠুরতা ও পরোপকারিতা প্রভৃতি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন রীতিনীতির কথা সন্নিবিষ্ট হয়েছে।
ইবন বতুতা উল্লেখ করেছেন যে, যে-কোন একজন সম্পদশালী দক্ষ পর্যটকের জন্যই উপমহাদেশখানার নগরসমূহ উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। তাঁর লিখিত বিবরণে জানা যায় যে, নগরের সকল রাস্তা জনসমাগমপূর্ণ ছিল ও বিভিন্ন জাঁকজমকীয় সামগ্রীতে নগরের বাজারসমূহ পরিপূর্ণ ছিল। তিনি ভারতের মধ্যে দিল্লিই সর্বাপেক্ষা জনবসতিপূর্ণ ছিল বলে জানান। অবশ্য মহারাষ্ট্রের দৌলতাবাদ আয়তনের দিক দিয়ে দিল্লির সমান ছিল।
এদেশের বণিকগণের উৎসাহ দানের জন্য রাজ্য প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। প্রায় সকল বাণিজ্যিক রাস্তায় সুন্দর বিশ্রামঘর ছিল। ইবন বতুতা বণিকগণকে তথ্যাদি, টাকাপয়সা ও দ্রব্যসামগ্রী প্রেরণ করবার জন্য উপযুক্ত ডাকব্যবস্থা দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলেন। ডাকব্যবস্থা এত দক্ষ ছিল যে চিঠিপত্র সিন্ধু থেকে দিল্লি পৌঁছতে ৫০ দিন সময় লেগেছিল।
৬। “সেন্ট জর্জ দুর্গটি সর্বাধিক সংখ্যক ইউরোপীয়বাসী শ্বেতাঙ্গ নগরটির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়েছিল। দেওয়াল এবং বুরুজগুলো এটিকে একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। দুর্গের ভিতরে বসবাসের জন্য কে অনুমতি পাবে সেটি ব্যক্তির দেহের বরণ এবং ধর্ম নিরূপণ করতো। কোম্পানি ভারতীয়দের সঙ্গে বিবাহের অনুমতি দিতো না। ইংরেজ ছাড়া ওলন্দাজ এবং পর্তুগীজরা ইউরোপীয় এবং খ্রিষ্টান হওয়াতে তাদের সেখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক এবং ন্যায়িক ব্যবস্থাগুলো শ্বেতাঙ্গ জনগণকে অনুগ্রহ করতো। সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপীয়রা শাসনাধিষ্ঠিত ছিল এবং সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের সুবিধা এবং প্রয়োজন অনুসারে মাদ্রাজের উন্নয়ন সাধন করা হয়েছিল”।
প্রশ্নাবলীঃ
(ক) মাদ্রাজে কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল?
উত্তরঃ মাদ্রাজে ভারতীয়রা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।
(খ) সেন্ট জর্জ দুর্গে বাস করার প্রধান ভিত্তি কী কী ছিল?
উত্তরঃ সেন্ট জর্জ দুর্গে বাস করার প্রধান ভিত্তি ছিল—দেহের বর্ণ ও ধর্ম, অর্থাৎ শ্বেতাঙ্গ খৃষ্টধর্মীয় ব্যক্তি।
(গ) মাদ্রাজে প্রচলিত ব্যবস্থাগুলো শ্বেতাঙ্গ জনগণের প্রতি পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন কীভাবে ঘটিয়েছিল?
উত্তরঃ শ্বেতাঙ্গ জনগণের প্রতি পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন নানাভাবে ঘটিয়েছিল। কোম্পানি ভারতীয়দের সঙ্গে ইউরোপীয়দের বিবাহের অনুমতি দিতো না। ওলন্দাজরা ও পর্তুগীজরা ইউরোপীয় হওয়াতে সেন্ট জর্জ দূর্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হতো। প্রশাসনিক এবং ন্যায়িক ব্যবস্থাগুলো শ্বেতাঙ্গ জনগণকে অনুগ্রহ করতো। শ্বেতাঙ্গদের সুবিধার্থে মাম্রাজের উন্নয়ন করা হতো।
অথবা
“অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে পরিবর্তনের একটি নতুন পর্যায় শুরু হয়েছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থানান্তরিত হওয়াতে সপ্তদশ শতকে গড়ে ওঠা সুরাট, মসুলিপটনম এবং ঢাকার মত বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর অবনতি ঘটতে থাকে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে বৃটিশরা ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আহরণ করে। তদুপরি ইংরেজ-ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটে। এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে মাদ্রাজ, কলকাতা এবং বোম্বের মত ঔপনিবেশিক বন্দর নগরীগুলোর দ্রুত উত্থান ঘটতে থাকে। সেগুলো ঔপনিবেশিক প্রশাসন এবং সাময়িক শক্তিরও কেন্দ্রস্থল হয়ে পড়ে। নতুন নতুন ঘর-বাড়ি আর প্রতিষ্ঠান গড়ে।ওঠে এবং নগর অঞ্চলগুলো নতুনভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে তোলা হয়। নতুন নতুন বৃত্তি গড়ে ওঠে এবং এই ঔপনিবেশিক মহানগরগুলোতে দলে দলে মানুষের সমাগম হতে থাকে। ১৮০০ সাল নাগাদ জনসংখ্যার দিক থেকে এগুলো ভারতের বৃহত্তম মহানগরে পরিণত হয়”।
প্রশ্নাবলীঃ
(ক) সপ্তদশ শতকে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর অবনতি ঘটেছিল কেন?
উত্তরঃ ব্যবসা-বাণিজ্য স্থানান্তরিত হওয়াতে সপ্তদশ শতকে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর অবনতি ঘটেছিল।
(খ) নতুন অর্থনৈতিক রাজধানীগুলোর উত্থানের কারণগুলো কী ছিল?
উত্তরঃ ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে বৃটিশদের ক্রমান্বরে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আহরণ এবং কোম্পানীর ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ফলে নতুন অর্থনৈতিক রাজধানীগুলোর উত্থান ঘটে।
(গ) নতুন গড়ে ওঠা মহানগরগুলোর বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী ছিল?
উত্তরঃ নতুন গড়ে ওঠা মহানগরগুলোর বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ
(অ) এগুলো ঔপনিবেশিক প্রশাসন এবং সামরিক শক্তির কেন্দ্রস্থল ছিল।
(আ) মহানগরগুলো শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল।
(ই) মহানগরগুলোতে নতুন বৃত্তি গড়ে ওঠে ও জনসমাগম হতে থাকে।
৭। নিম্নলিখিত প্রশ্নটির উত্তর দাওঃ
(ক) ভারতের একটি মানচিত্র এঁকে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ ধর্মীয়স্থল সারনাথ, অমরবর্তী এবং রাঁচির ভৌগোলিক অবস্থান চিহ্নিত কর।
উত্তরঃ
নির্দেশ—১।সারনাথ।
২। অমরাবতী।
৩। সাঁচি।
অথবা
(খ) ভারতের একটি মানচিত্র এঁকে যে-কোনো তিনটি প্রধান মহাজনপদের ভৌগোলিক অবস্থান নাম-সহ চিহ্নিত কর।
উত্তরঃ
কালী— বারানচীর ওচরে-পাজরে এটি অঞ্চল।
অগনা — এইটো আছিল গাংগেয় সমভূমির ওচরত। এই রাজ্যটো মালিনী নামে পরিচিত।
কুরু — কুরু মূলত পূর্ব-ভারত পরিয়ালর অন্তর্ভুক্ত। তেওঁলোক কুরুক্ষেত্রর পরা উদ্ভূত মানুহ।