Class 9 Science Chapter 7 জীবের বৈচিত্র্য Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Science Chapter 7 জীবের বৈচিত্র্য and select needs one.
Class 9 Science Chapter 7 জীবের বৈচিত্র্য
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 9 Science Chapter 7 জীবের বৈচিত্র্য Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 9 Science Chapter 7 জীবের বৈচিত্র্যThese solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Science in Bengali Chapter 7 জীবের বৈচিত্র্য for All Subject, You can practice these here…
জীবের বৈচিত্র্য
Chapter – 7
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। আমরা কেন জীবের শ্রেণিবিভাগ করি ?
উত্তরঃ জীবের শ্রেণিবিভাগ করার কারণ হল-
(i) শ্রেণিবিভাগের দ্বারা বিভিন্ন প্রজাতির জীবকে অধ্যয়ন করতে সুবিধা হয়।
(ii) এর দ্বারা সমস্ত ধরনের জীবের একটি পরিষ্কার চিত্র চোখের সম্মুখে দেখা যায়।
(iii) ইহা বিভিন্ন শ্রেণির জীবের মধ্যে থাকা সম্পর্ককে আমাদের বুঝতে সাহায্য করে।
(iv) ইহা উদ্ভিদ এবং প্রাণীর ভৌগোলিক বিন্যাসে সাহায্য করে।
(v) ইহা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সহিত সম্পর্ক রাখে, যেমন- কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ বিজ্ঞান ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২। তুমি তোমার চারিপাশে দেখতে পাও এরকম তিনটি বৈচিত্র্য থাকা জীবের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ উদাহরণসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্য হল-
(i) রং – যেমন কিছু কিছু জীবের রং একই মনে করি সাদা থাকে, গরু, ঘোড়া, কুকুর ইত্যাদি। কিছু কিছু পাখি উভচর বর্ণের হয় আবার ফুলের রংও উজ্জ্বল হয়।
(ii) আবার – কিছু জীব এত ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না, যেমন- এ্যামিবা। আবার কিছু জীব খুব বড় হয়, যেমন- মহিষ, গরু ইত্যাদি।
(iii) সময় – যেখানে গরু, কুকুর বছরের পর বছর বাসা করে সেখানে কিছু দিনের জন্য হলেও মশা থাকে।
প্রশ্ন ৩। বিভিন্ন জীবের শ্রেণিবিভাগ করার জন্য মৌলিক বৈশিষ্ট্য কি বলে মনে কর ?
(a) বসবাস করার স্থান।
(b) যে সব কোষ দিয়ে তাদের দেহ গঠিত। কেন?
উত্তরঃ শ্রেণি বিভাজনের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল- যে সব জীবের সুষ্ঠু নিউক্লিয়াস বা অন্যান্য কোষ অংগাণু থাকে না তাদের বিভিন্ন উপায়ে জৈব রাসায়নিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হয়। তাই প্রত্যেক কোষের গঠন বা কাজের উপর এর প্রভাব পড়ে। আবার নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ বিশেষ বিশেষ কাজ করতে পারার ক্ষমতা থাকার জন্যে বহুকোষী জীব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।
যে সমস্ত কোষ শ্রেণিবদ্ধভাবে থাকে তারা নিজেদের কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এই প্রকার দেহের সব কোষ এক রকম দেখতে হয় না। তার বদলে অনেক কোষ একসঙ্গে বিশেষ কাজ করতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন জীবের দেহের আকৃতি বিভিন্ন রকম হয়। ফলে এমিবা বা অন্য কৃমির মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য আছে।
যে সব জীব নিজেদের খাদ্য তৈরী করতে পারে তাদের থেকে যারা নিজেদের খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করে তারা অনেক আলাদা।
উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করতে দেহের আকৃতির বিশেষত্ব একটি উদ্ভিদকে একটি প্রাণী থেকে পৃথক করে দেয়। কারণ মৌলিক আকার আকৃতি পৃথক, উদ্ভিদের ক্ষেত্রে নিজেদের খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় আকৃতি প্রাণীর ক্ষেত্রে নিজের খাদ্য প্রস্তুত না করার জন্য প্রয়োজনীয় আকৃতির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। অতএব এইসব আকৃতিগত পার্থক্য বড় বড় শ্রেণিতে বিভক্ত না করে ছোট ছোট শ্রেণিতে বিভক্ত করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৪। জীবের প্রথম শ্রেণিবিভাগ করতে প্রধান বৈশিষ্ট্য কি ?
উত্তরঃ যখন আমরা কোনও পৃথক শ্রেণি তৈরী করতে চাই, তখন আমাদের দেখতে হবে যে এই ধরনের প্রাণীদের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য এক। এইসব বৈশিষ্ট্য হল আকৃতি, বা ব্যবহারের বিশদ বিবরণ অর্থাৎ তাদের গঠন বা কার্য।
প্রশ্ন ৫। কিসের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদ এবং প্রাণীকে পৃথক পৃথক শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয় ?
উত্তরঃ খাদ্যের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদ এবং প্রাণীকে পৃথক পৃথক শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়।
যেমন- উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেরা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রস্তুত করে অপরদিকে প্রাণীরা বাইরে থেকে খাদ্য গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ৬। কোন্ কোন্ জীবকে পুরাতন বলা হয় এবং তারা কিভাবে তথাকথিত নবীন প্রজন্মের থেকে পৃথক ?
উত্তরঃ যে সমস্ত জীবের মধ্যে বেশী পরিবর্তন হয় না সেই সমস্ত জীবকে পুরাতন (Primitive) বলা হয়।
নবীন প্রজন্মের জীবের দৈহিক গঠনে কিছু অর্জিত গুণের ফলে পরিবর্তন লক্ষিত হয়।
পুরাতন অপেক্ষা নবীন প্রজন্মের জীবের গঠন জটিল হয়।
প্রশ্ন ৭। নবীন প্রজন্মের জীবেরাই কি জটিল জীব ? কেন ?
উত্তরঃ নবীন প্রজন্মের জীবরাই জটিল জীব কারণ এদের বেঁচে থাকার জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হয় ফলে গঠনগত পরিবর্তন এবং উচ্চাকাঙ্খাযুক্ত মনোভাবের জন্য এরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।
প্রশ্ন ৮। মোনেরা বা প্রোটিষ্টা রাজ্যের অন্তর্গত জীবের শ্রেণীবিভাগের জন্য কি কি লক্ষণ থাকা প্রয়োজন ?
উত্তরঃ মোনেরা (Monera) – এই শ্রেণীর জীবের কোষে নিউক্লয়াস বা অন্যান্য কোষ অংগাণু থাকে না বা এদের কারোর বহুকোষী জীবের দৈহিক গঠন হয় না। এদের কারও কারও কোষের কোষপ্রাচীর থাকে আবার কারও থাকে না।
কারও কারও নিজের খাদ্য তৈরী করার ক্ষমতা থাকে (স্বভোজী) আবার কেউ কেউ খাদ্যের জন্য পরিবেশের উপর নির্ভর করে (পরভোজী)। এই শ্রেণিতে ব্যাক্টেরিয়া, নীল-সবুজ শৈবাল বা সারানো ব্যাক্টেরিয়া এবং মাইকোপ্লাজমা পড়ে।
প্রটিষ্টা (Protista) – এই বিভাগে অনেক ধরনের এককোষী ইউকেরিওটিক জীব আছে। এদের মধ্যে অনেকে উপাঙ্গ ব্যবহার করে, যেমন-
চলাফেরার জন্য চুলের মত দেখতে লোম (Cilia) অথবা চাবুকের আকৃতির ফ্ল্যাজেলা ব্যবহার করে। এদের পুষ্টির পদ্ধতি স্বপোষণ বা পরপোষণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ শৈবাল, ডায়াটম এবং প্রোটোজোয়া।
প্রশ্ন ৯। এককোষী, ইউক্যারিওটিক এবং সালোকসংশ্লেষণ করতে পারা জীবকে তুমি কোন শ্রেণিতে রাখবে ?
উত্তরঃ প্রটিষ্টা (Protista)
প্রশ্ন ১০। শ্রেণিবিভাগের বর্গক্রমে বা হায়ার আর্কিতে কোন দলের সবচাইতে বেশী সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকা সবচেয়ে কম সংখ্যার জীব বা সবচাইতে বেশী সংখ্যার জীব থাকে ?
উত্তরঃ প্রজাতি (Species) তে সবচেয়ে বেশী সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকা সবচেয়ে কম সংখ্যার জীব এবং রাজ্যে (kingdom) সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জীব থাকে।
প্রশ্ন ১১। উদ্ভিদের কোন বিভাগে সবচাইতে সরল জীবগুলো অবস্থিত ?
উত্তরঃ থেলাফাইটা (Thallophyta)
প্রশ্ন ১২। টেরিডোফাইট এবং সপুষ্পক উদ্ভিদের মধ্যে পার্থক্য কি ?
উত্তরঃ টেরিডোফাইট গোষ্ঠী বা দলের উদ্ভিদের দেহ মূল, কাণ্ড এবং পাতায় গঠিত এবং এদের একস্থান থেকে অন্যস্থানে জল বা অন্যান্য বস্তু সংবহন করার জন্য বিশেষ কলা যেমন সংবহন কলা থাকে। উদাহরণস্বরূপ- মার্শেলিয়া, ফার্ন এবং হর্সটেইল।
অপরদিকে যে সব উদ্ভিদের সুগঠিত প্রজনন অংশ থাকে এবং বীজ ধারণ করে সেই সব উদ্ভিদকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বা ফ্যানেরোগাম (Phanerogam) বলে। প্রজনন পদ্ধতির ফলে বীজ উৎপন্ন হয়। বীজের ভিতর খাদ্যসহ ভ্রুণ থাকে এবং অংকুরনের সময় এই খাদ্যই ভ্রুণের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ১৩। ব্যক্তবীজী বা নগ্নবীজী উদ্ভিদ এবং গুপ্তবীজী উদ্ভিদের মধ্যে কি কি পার্থক্য থাকে ?
উত্তরঃ
নগ্নবীজী | গুপ্তবীজী |
(ক) এদের বীজ ফল দ্বারা আবৃত নয়। | (ক) এদের বীজ ফল দ্বারা আবৃত। |
(খ) এরা বৃক্ষজাতীয়, কাণ্ড কাষ্ঠল এবং শক্ত, বহুবর্ষজীবী, ফুলগুলি একলিঙ্গ। | (খ) এরা শাক-বনজাতীয় হতে আগাছা, বৃক্ষ এবং লতা জাতীয় হয়। |
(গ) সাইকাম্, পাইন, নেটাস, টেক্লাম্ ইত্যাদি এই শ্রেণির উদ্ভিদ। | (গ) আখ, কাঁঠাল, ধান, নারিকেল ইত্যাদি এই শ্রেণির উদ্ভিদ। |
প্রশ্ন ১৪। পরিফেরা পর্ব এবং সিলেণ্টটেরেটা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে কি পার্থক্য ?
উত্তরঃ
পরিফেরা | সিলেণ্টটেরেটা |
(ক) এদের দেহে অসংখ্য রন্ধ্র আছে। | (ক) এদের দেহে একটি মাত্র রন্ধ্র আছে। |
(খ) নলীতন্ত্রের দ্বারা এদের দেহে অনবরত জল চলাচল হয় এবং এর দ্বারা কোষমূহকে অক্সিজেন ও আহার যোগান দেয়। | (খ) এদের দেহে জল চলাচল জন্য কোন নলীতন্ত্র নাই। |
(গ) বহিঃকংকাল আছে। | (গ) বহিঃকংকাল নাই। |
(ঘ) এদের বহুরূপিতা নাই। | (ঘ) এদের বহুরূপিতা আছে। |
(ঙ) ইউপ্লেক্টেলা, সাইকন, স্পঞ্জিলা ইত্যাদি এর উদাহরণ। | (ঙ) হাইড্রা, জোনিপদ, সামুদ্রিক এ্যানিয়ন ইত্যাদি এর উদাহরণ। |
প্রশ্ন ১৫। এ্যানিলিডা এবং অর্থোপোডা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে কি পার্থক্য ?
উত্তরঃ
এ্যানিলিডা | আর্থোপোডা |
(ক) এদের দেহ বলয় দ্বারা গঠিত। | (ক) এদের দেহ খণ্ডযুক্ত এবং উপাংগসমূহ সন্ধিযুক্ত। |
(খ) দেহ লম্বা, দ্বিপার্শ্বভাবে সমন্বিত এবং ত্রিস্তরীয়। | (খ) এদের দেহ তিনটি খণ্ডে বিভক্ত- মাথা, বুক এবং পেট। |
(গ) এদের বেশীর ভাগই স্থলে কিছু সাগরীয় এবং কিছু সাধারণ জলে থাকে। | (গ) এদের বেশীর ভাগই জলে, থাকে। কিছু জলেও থাকে, যেমন- চিংড়িমাছ। |
(ঘ) এর উদাহরণ হল- কেঁচো, জোঁক, নেরিস ইত্যাদি। | (ঘ) এর উদাহরণ হল- জোঁক, প্রজাপতি, মাকড়সা, মাছি, পিঁপড়া ইত্যাদি। |
প্রশ্ন ১৬। এ্যম্ফিবিয়া বা উভচর এবং রেপ্টিলিয়া বা সরীসৃপ পর্বের প্রাণীর কি পার্থক্য।
উত্তরঃ
এ্যম্ফিবিয়া | রেপ্টিলিয়া বা সরীসৃপ |
(ক) উভচর প্রাণীর জীবনের প্রথম কাল জলে এবং পরের কাল স্থলে বাস করে। | (ক) এরা প্রকৃত স্থলচর। |
(খ) দেহের ত্বক গ্রন্থিযুক্ত এবং বাকলহীন। | (খ) দেহের ত্বক শুকনো, খসখসে এবং গ্রন্থিহীন। |
(গ) এদের হৃৎপিণ্ড তিনকোটা যুক্ত। | (গ) এদের হৃৎপিণ্ড তিন কোটা-যুক্ত কিন্তু কুমীরের হৃৎপিণ্ড চার কোটাযুক্ত। |
(ঘ) এরা শীতলরক্তী প্রাণী। | (ঘ) এরা শীতলরক্তী প্রাণী। |
(ঙ) জলের ব্যাঙ, পাতাব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, স্যালামাঙার ইত্যাদি উভচর প্রাণীর উদাহরণ। | (ঙ) টিকটিকি, কচ্ছপ, সাপ, কুমীর ইত্যাদি সরীসৃপ। |
প্রশ্ন ১৭। এ্যাভিস বা পক্ষী এবং ম্যামেলিয়া বা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে কি পার্থক্য ?
উত্তরঃ
এ্যাভিস বা পক্ষী | ম্যামেলিয়া বা স্তন্যপায়ী |
(ক) এরা দ্বিপদ বা চতুষ্পদ হয়। বাদুড় ছাড়া অন্য স্তন্যপায়ীর ডানা নেই। | (ক) এগুলো দ্বিপদী প্রাণী, আগের পা রূপান্তরিত হয়ে ডানার সৃষ্টি করে। |
(খ) এদের ডিম হতে বাচ্চার জন্ম হয়। | (খ) এদের মহিলারা বাচ্চার জন্ম দেয় এবং জন্মের পর বাচ্চারা মায়ের স্তনদুগ্ধ পান করে বড় হয়। অবশ্য কিছু নিচু স্তরের স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন- প্ল্যাটিনাম, একিডনা ইত্যাদি বাচ্চার জন্ম দেয় না, ডিম পাড়ে। |
(গ) পিছনের পা দৌড়ানো, সাঁতরানো, হাঁটা, খাদ্যবস্তু ধরা বা গাছের ডালে খামচে ধরা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করে। পিছনের পায়ের নীচের দিক বাকলযুক্ত। | (গ) স্তন্যপায়ী প্রাণীর পুরো শরীর অথবা শরীরের কিছু অংশ লোম দিয়ে ঢাকা। |
(ঘ) এরা উষ্ণরক্তী প্রাণী। | (ঘ) এরাও উষ্ণরক্তী প্রাণী। |
(ঙ) এদের হৃৎপিণ্ড চারটে কোটা যুক্ত। | (ঙ) হৃৎপিণ্ড চার কোটাযুক্ত, শ্বসন অংশ ফুসফুস। |
(চ) চোয়ালে দাঁত থাকে না এবং তার বদলে ঠোঁট থাকে। | (চ) চোয়ালে দাঁত থাকে। |
(ছ) উটপক্ষী বা অস্ট্রিচ, পায়রা, কোকিল, চড়াই, টিয়া ইত্যাদি হল পক্ষীর উদাহরণ। | (ছ) ক্যাঙ্গারু, বাদুড়, বাঘ, সিংহ, হাতী, বাঁদর, মানুষ ইত্যাদি হল স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদাহরণ। |
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। জীবজগৎকে শ্রেণিবিন্যাস করলে কি সুবিধা হয় ?
উত্তরঃ জীবজগৎকে শ্রেণিবিন্যাস করলে যে সমস্ত সুবিধা হয় তা হল-
(i) শ্রেণিবিন্যাসের দ্বারা জীবজগতের জীববৈচিত্র্যের বিষয়ে জানা সম্ভব হয়।
(ii) শ্রেণিবিন্যাসের দ্বারা আমরা জানতে পারি একটি জীব এককোষী না বহুকোষী, স্বভোজী না পরভোজী, প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষ দ্বারা না সংকোষ কেন্দ্রীয় কোষ দ্বারা গঠিত।
(iii) জীবজগতের পাঁচটি রাজ্য যেমন- মোনেরা, প্রটিষ্টা, ছত্রাক, উদ্ভিদ এবং প্রাণীরাজ্য সম্বন্ধে জানতে পারি।
(iv) উদ্ভিদ এবং প্রাণী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীবসমূহকে তাদের সংগঠনের জটিলতার উপর নির্ভর করে পুনরায় শ্রেণিবিভাজন করার সুবিধা হয়।
(v) শীতলরক্তী প্রাণী এবং উষ্ণরক্তী প্রাণীর সম্বন্ধে জানতে পারা যায়।
(vi) অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং মেরুদণ্ডী প্রাণীর বিভিন্ন ভাগগুলির বিষয়ে জানতে পারা যায়।
প্রশ্ন ২। শ্রেণিবিন্যাসের, (হায়ার আর্কির) বা বর্গক্রমের উন্নতির জন্যে দুটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কোনটা পছন্দ করবে ?
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের হায়ার আর্কির বা বর্গক্রমের উপর ভিত্তি করে সকল জীবকে ছোট ছোট বিভাগে বিভক্ত করে আমরা শ্রেণিবিন্যাসের মৌলিক একক প্রজাতিতে (Species) পৌঁছে যাই। সুতরাং এই বৈশিষ্ট্যই আমাদের পছন্দ।
প্রশ্ন ৩। জীবজগৎকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করার মৌলিকতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ জীবজগৎকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করার মৌলিকতা হল-
(i) জীবটি প্রোক্যারিওটিক বা প্রকোষকেন্দ্রীয় না ইউক্যারিওটিক বা সংকোষকেন্দ্রীয় কোষ দিয়ে গঠিত।
(ii) প্রাণীটা এককোষী না বহুকোষী এবং তাই জটিল প্রাণী।
(iii) কোষগুলোতে কোষপ্রাচীর আছে এবং এরা স্বপোষী কি না।
(iv) জীবরা নিজের খাদ্য নিজেরা তৈরী করে নাকি খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৪। উদ্ভিদ জগতের প্রধান শ্রেণি কয়টা কি কি ? ঐ শ্রেণিবিন্যাসের মূল কি ?
উত্তরঃ উদ্ভিদ জগতের প্রধান শ্রেণি কয়টি হল–
(i) সংযোগদেহী উদ্ভিদ (Thallophyta)
(ii) ব্রায়োফাইটা (Bryophyta)
(iii) ঢেঁকীয়াজাতীয় উদ্ভিদ (Pteridophyta)
(iv) নগ্নবীজী উদ্ভিদ (Gymnosperms)
(v) গুপ্তবীজী উদ্ভিদ (Angiosperms )
এই শ্রেণিবিন্যাসের মূল হল–
(i) আধুনিক বর্গীকরণের সূত্র মতে প্রথম স্তরে দৈহিক গঠনের সরলতা এবং জটিলতার উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে। যেসব উদ্ভিদের দেহের গঠন অতি সরল অর্থাৎ উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশ, যেমন— কাণ্ড, পাতা, মূল আদির সৃষ্টি হয় না সেইরকম উদ্ভিদকে সমাংগশ্রেণিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
(ii) দ্বিতীয় স্তরে উদ্ভিদ দেহের গঠনে জটিলতা থাকা উদ্ভিদগুলো জল, খনিজ লবণ ইত্যাদি সংবহন করার জন্য বিশেষ কলা থাকা বা না থাকার উপর ভিত্তি করে পুনঃ দ্বিবিভাজন করা হয়।
(iii) তৃতীয় স্তরে সংবহন কলা সৃষ্টি হওয়া উদ্ভিদের বীজধারণ করা বা না করার উপর ভিত্তি করে পুনরায় বিভক্ত করা হয়েছে।
(iv) চতুর্থ স্তরে বীজগুলো ফলে ঢাকা বা না ঢাকা চরিত্রের উপর ভিত্তি করে নগ্নবীজী এবং গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বীজপত্রের সংখ্যার উপরে ভিত্তি করে একবীজপত্রী এবং দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ শ্রেণী দুইটিতে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্ৰশ্ন ৫। উদ্ভিদ জগতকে শ্ৰেণীবিভাগ করা এবং প্ৰাণী জগতকে শ্ৰেণীবিভাগ করার প্দ্ধতির মধ্যে কি পাৰ্থক্য ?
উত্তরঃ উদ্ভিদের শ্ৰেণী বিভাগ করতে দেহের আকৃতির বিশেষত্ব একটি উদ্ভিদকে একটি প্ৰাণী থেকে পৃথক করে দেয়। কারণ মৌলিক আকার পৃথক, উদ্ভিদের ক্ষেত্রে নিজেদের খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় আকৃতি প্রাণীর ক্ষেত্রে নিজের খাদ্য প্রস্তুত না করার জন্য প্রয়োজনীয় আকৃতির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। সুতরাং এইসব আকৃতিগত (উদাহরণস্বরূপ প্রাণীর শরীরে কঙ্গাল থাকা) পার্থক্য বড় বড় শ্রেণিতে বিভক্ত না করে ছোট ছোট শ্রেণিতে বিভক্ত করতে সাহায্য করে।
সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতির দ্বারা খাদ্য প্রস্তুত করা জীবের (উদ্ভিদ) দেহের সংগঠন প্রাণীজগৎ থেকে আলাদা।
জীবের দেহের সব কোষ একরকম না হওয়ার জন্য জীবের দেহের আকৃতি বিভিন্ন রকম হয়, ফলে একটি এ্যামিবা বা অন্য কৃমির মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য আছে।
আবার উদ্ভিদের পরিবহণ কলা আছে। তারা বীজ গঠন করতে পারে এবং ফল দ্বারা বীজ ঢাকা থাকে। কিন্তু প্রাণীর ক্ষেত্রে এইরূপ হয় না।
প্রশ্ন ৬। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের পরবর্তী কি কি ভাগে ভাগ করা হয় ?
উত্তরঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীর পৃষ্ঠদণ্ড অস্থি বা উপাস্থির দ্বারা গঠিত এবং বহু খণ্ডযুক্ত। এই খণ্ডগুলোকে কশেরুকা বলে। কশেরুকা দ্বারা গঠিত অস্থিতিস্থাপক পৃষ্ঠদণ্ডকে মেরুদণ্ড বলে। মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ দ্বিপার্শ্বসমন্বিত এবং ত্রিস্তরীয়। প্রকৃত দেহ গুহা পাওয়া যায়। এদের দেহের পৃষ্ঠীয় দিকে একটা স্নায়ুরজ্জু থাকে। মেরুদণ্ডী প্রাণীকে পাঁচটা শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
(i) মৎস।
(ii) উভচর।
(iii) সরীসৃপ।
(iv) পক্ষী। এবং
(v) স্তন্যপায়ী।
মৎস্য ফুলকার দ্বারা শ্বাসক্রিয়া সম্পন্ন করে। উভচর প্রাণীর হৃৎপিণ্ড তিন কোঠাযুক্ত। শ্বাসক্রিয়া ফুলকা, ফুসফুস এবং দেহত্বকের দ্বারা সম্পাদিত হয়।
সরীসৃপের হৃৎপিণ্ড তিন কোঠাযুক্ত কিন্তু কুমীরের হৃৎপিণ্ড চার কোঠাযুক্ত। পক্ষীর হৃৎপিণ্ড চারটি কোঠাযুক্ত। শ্বাস-প্রশ্বাস ফুসফুসের দ্বারা সম্পন্ন করে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর হৃৎপিণ্ড চার কোঠাযুক্ত এবং এদের শ্বসন অংশ ফুসফুস। এই পার্থক্যের উপর নির্ভর করেই মেরুদণ্ডী প্রাণীর বিভাগ করা হয়।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। শ্রেণিবিন্যাসের মৌলিক এককটি কি ?
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের মৌলিক এককটি হল প্রজাতি।
প্রশ্ন ২। প্রজাতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ একই উপায়ে জন্মায় এবং বৃদ্ধি পায় এরকম জীবের সমষ্টিকে প্রজাতি বলে। একই প্রজাতির জীবের মধ্যে প্রজনন হতে পারে।
প্রশ্ন ৩। জীবের বিবর্তনের ধারণা সর্বপ্রথম কে দেন ?
উত্তরঃ চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে জীবের বিবর্তন সম্পর্কে সর্বপ্রথম ধারণা দেন।
প্রশ্ন ৪। জীবের বিবর্তন সম্পর্কিত ধারণা দেওয়া চার্লস ডারউইনের প্রকাশিত বইটির নাম লিখ।
উত্তরঃ ‘অরিজিন অব্ স্পেসিস’ (Origin of Species)।
প্রশ্ন ৫। জীব বৈচিত্র্য বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ জীবমণ্ডলের কোনও একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের সবরকম জীবের বৈচিত্র্যকে এক সঙ্গে জীববৈচিত্র্য বলা হয়।
প্রশ্ন ৬। জীবজগতের পঞ্চরাজ্য পদ্ধতি কে প্রবর্তন করেছিলেন ? এই পদ্ধতি অনুসারে জীবজগতের বিভিন্ন রাজ্যসমূহের নাম লিখ।
উত্তরঃ জীবজগতের পঞ্চরাজ্য পদ্ধতি আমেরিকার জীববিজ্ঞানী রবার্ট, এইচ. হোয়াইটেকার প্রবর্তন করেছিলেন।
এই পদ্ধতি অনুসারে জীবজগতের পাঁচটি বিভিন্ন রাজ্যসমূহ হল-
(i) মোনেরা।
(ii) প্রোটিষ্টা।
(iii) ফানজাই বা ছত্রাক।
(iv) প্ল্যানটি বা উদ্ভিদ। এবং
(v) এ্যানিম্যালিয়া বা প্রাণী।
প্রশ্ন ৭। হায়ারআর্কি বলতে কি বুঝ ? শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিতে হায়ার-আর্কির বিভিন্ন ধাপগুলির নাম লিখ।
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের বিভিন্ন এককগুলিকে সর্বনিম্ন স্তর থেকে ক্রমপর্যায়ে সর্বোচ্চ স্তরে বিন্যস্ত করাকে হায়ারআর্কি বলে। হায়ারআর্কির বিভিন্ন ধাপগুলি হল- রাজ্য, পর্ব, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র, গণ বা জাতি এবং প্রজাতি।
প্রশ্ন ৮। মোনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলি লিখ। উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মোনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলি –
(ক) এই শ্রেণির জীবের কোষে স্পষ্ট নিউক্লিয়াস বা অন্যান্য কোষ-অঙ্গাণু থাকে না। অর্থাৎ প্রক্যারিওটিক প্রকারের কোষ হয়।
(খ) এদের কারও বহুকোষী জীবের গঠন হয় না।
(গ) এদের কারো কারো কোষের কোষপ্রাচীর থাকে আবার কোনো কোনোটির থাকে না।
(ঘ) এই শ্রেণির জীবের পুষ্টির ধরনও আলাদা আলাদা। এদের কারো কারো নিজের খাবার তৈরি করার ক্ষমতা আছে, আবার কেউ কেউ খাদ্যের জন্য পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল।
উদাহরণ – ব্যাক্টেরিয়া, নীল সবুজ শৈবাল বাসায়ানো ব্যাক্টেরিয়া এবং মাইকোপ্লাজমা।
প্রশ্ন ৯। প্রোটিষ্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা কর। উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ প্রোটিষ্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলি –
(ক) এরা এককোষী ইউক্যারিওটিক জীব।
(খ) এদের অনেকে চলাচলের জন্যে চুলের মতো দেখতে সিলিয়া অথবা চাবুকের আকৃতির ফ্লাজেলা ব্যবহার করে।
(গ) এদের পুষ্টিপদ্ধতি স্বপোষণ বা পরপোষণ হতে পারে।।
উদাহরণ – এককোষী শৈবাল (যেমন ক্ল্যামাইডোমোনাস, ক্লরেলা), ডায়াটম, প্রোটোজোয়া (যেমন অ্যামিবা, প্যারামিসিয়াম ইত্যাদি)।
প্রশ্ন ১০। সিলিয়া এবং ফ্লাজেলা থাকা প্রোটিষ্টার প্রত্যেকটির একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সিলিয়া থাকা প্রোটিষ্টার একটি উদাহরণ- প্যারামিসিয়াম।
ফ্লাজেলা থাকা প্রোটিষ্টার একটি উদাহরণ- ইউগ্লেনা।
প্রশ্ন ১১। ছত্রাক রাজ্যের অন্তর্গত জীবসমূহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা উদাহরণসহ দাও।
উত্তরঃ ছত্রাক রাজ্যের অন্তর্গত জীবদের বৈশিষ্ট্য-
(ক) এরা পরপোষী ইউক্যারিওটিক জীব। এরা পচে যাওয়া জৈব পদার্থ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।
(খ) এদের কোষে কাইটিন নামক শর্করা দিয়ে তৈরি কোষপ্রাচীর থাকে।
(গ) এদের মধ্যে অনেকে জীবনের কোনো একটি পর্যায়ে পৌঁছে এককোষী থেকে বহুকোষী জীবে পরিণত হয়।
উদাহরণ- ইষ্ট, ব্যাঙের ছাতা, মিউকর, এসপারজিলাস ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১২। একটি এককোষী ছত্রাকের নাম কর।
উত্তরঃ ইষ্ট।
প্রশ্ন ১৩। প্ল্যানটি বা উদ্ভিদ রাজ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ প্ল্যানটি বা উদ্ভিজ্জ রাজ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য-
(ক) এরা কোষপ্রাচীরযুক্ত বহুকোষী ইউক্যারিওট।
(খ) এরা স্বপোষী কারণ ক্লোরোফিলের সাহায্যে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় এরা নিজেদের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে।
প্রশ্ন ১৪। এ্যানিম্যালিয়া বা প্রাণী রাজ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ এ্যানিম্যালিয়া বা প্রাণী রাজ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য –
(ক) এরা কোষপ্রাচীরহীন বহুকোষী ইউক্যারিওট।
(খ) এরা পরপোষী।
প্রশ্ন ১৫। থ্যালোফাইটা বা সমাঙ্গদেহী উদ্ভিজ্জ কি ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সব উদ্ভিদের সুগঠিত দেহ থাকে না সেই সব উদ্ভিদ থ্যালোফাইটা বা সমাঈদেহী উদ্ভিদ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই শ্রেণির উদ্ভিদকে সাধারণত শৈবাল বলা হয়। এদের বেশিরভাগ প্রজাতি জলজ।
উদাহরণ – স্পাইরোগাইরা, ক্ল্যাডোফোরা, ক্ল্যামাইডোমনাস, ভলভক্স ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৬। টেরিডোফাইটা গোষ্ঠীর উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি উদাহরণসহ লিখ।
উত্তরঃ টেরিডোফাইটা গোষ্ঠীর উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি :- এই প্রকার উদ্ভিদের দেহ মূল, কাণ্ড এবং পাতায় গঠিত এবং এদের দেহে জল বা অন্যান্য বস্তু সংবহন করার জন্য সংবহন কলা থাকে।
উদাহরণ – ফার্ন, মার্শেলিয়া, সিলাজিনেলা, হসটেইল ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৭। সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে ? বৈশিষ্ট্যসহ সপুষ্পক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ কর। প্রত্যেকের দুটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সব উদ্ভিদের সুগঠিত প্রজনন অঙ্গ থাকে এবং বীজ ধারণ করে সেই সব উদ্ভিদকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। সপুষ্পক উদ্ভিদ দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যথা- ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজী।
ব্যক্তবীজী বা নগ্নবীজী উদ্ভিদ – যেসব উদ্ভিদের বীজ অনাবৃত অবস্থায় থাকে তাদেরকে ব্যক্তবীজী বা নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলে। এই শ্রেণির উদ্ভিদেরা চিরহরিৎ, বহুবর্ষজীবী এবং কাষ্ঠল হয়। উদাহরণ- সাইকাস, পাইন, দেবদারু ইত্যাদি।
গুপ্তবীজী উদ্ভিদ – যেসব উদ্ভিদের বীজ ফলের ভিতরে থাকে তাদেরকে গুপ্তবীজী উদ্ভিদ বলে। যেমন- আম, কাঁঠাল, সুপারী, নারিকেল, ধান ইত্যাদি।
গুপ্তবীজী উদ্ভিদ আবার দুই প্রকারের। যথা-
(ক) একবীজপত্রী। এবং
(খ) দ্বিবীজপত্রী।
একবীজপত্রী – যেসব গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বীজের বীজপত্র একটি তাদেরকে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন- ধান, সুপারী, নারিকেল ইত্যাদি।
দ্বিবীজপত্রী – যেসব গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে তাদেরকে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন- মটর, ছোলা, সীম, আম, সরিষা, ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৮। অমেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণিগুলির বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ লিখ।
উত্তরঃ অমেরুদণ্ডী প্রাণীসমূহকে নিম্নলিখিত পর্বে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
(ক) পোরিফেরা।
(খ) সিলেন্টেরেটা।
(গ) প্লাটিহেলমিনথিস।
(ঘ) নিমাটোডা।
(ঙ) এ্যানিলিডা।
(চ) আর্থ্রোপোডা।
(ছ) মোলাস্কা।
(জ) ইকাইনোডারমাটা।
(ক) পোরিফেরা –
(i) এদের দেহে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে।
(ii) এই প্রকার প্রাণীর দেহ একটা শক্ত আবরণ বা কঙ্কাল দিয়ে আবৃত থাকে।
(iii) এদের দেহের গঠনে কোনও বিশেষ কলা, বা তন্ত্র দেখা যায় না।
উদাহরণ – সাইকন, স্পঞ্জিলা ইত্যাদি।
(খ) সিলেন্টেরেটা –
(i) দেহ দুটি কোষস্তর দিয়ে গঠিত অর্থাৎ ডিপ্লোব্লাষ্টিক।
(ii) দেহের ভেতরে একটি গহ্বর থাকে।
(iii) এদের দেহের গঠন অনেক আকৃতিযুক্ত।
উদাহরণ – হাইড্রা, জেলিফিশ, সি-এ্যানিমোন ইত্যাদি।
(গ) প্লাটিহেলমিনথিস –
(i) দেহ দ্বি-পার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম।
(ii) এদের দেহ ত্রিস্তর কোষবিশিষ্ট অর্থাৎ ট্রিপ্লোব্লাষ্টিক।
(iii) এদের দেহ চ্যাপ্টা।
(iv) এরা স্বাধীনভাবে থাকে বা পরজীবী হয়ে থাকে।
উদাহরণ – প্ল্যানেরিয়া, যকৃত কৃমি, ফিতা কৃমি ইত্যাদি।
(ঘ) নিমাটোডা –
(i) এদের দেহ ত্রিস্তর কোষযুক্ত এবং দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম।
(ii) দেহে কলা আছে কিন্তু কোনও প্রকৃত অঙ্গ নেই।
(iii) এদের প্রকৃত সিলোম না থাকলেও ছদ্ম বা সিউডোসিলোম থাকে।
(iv) এরা পরজীবী কৃমি হিসাবে পরিচিত এবং রোগ সৃষ্টি করে।
উদাহরণ – গোল কৃমি, ফাইলেরিয়া কৃমি ইত্যাদি।
(ঙ) এ্যানিলিডা বা বলয়ী প্রাণী –
(i) এদের দেহ দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম এবং ত্রিস্তর কোষযুক্ত।
(ii) প্রকৃত দেহগহ্বর আছে এবং এই গহ্বরে দেহের অঙ্গ গুলি উপস্থিত থাকে।
(iii) এদের দেহ অনেকগুলি ছোট ছোট খণ্ড দিয়ে গঠিত।
(iv) এদের দেহের আলাদা আলাদা অঙ্গ আছে। এই পৃথক পৃথক অঙ্গগুলি দেহের বিভিন্ন খণ্ডে অবস্থিত থাকে।
উদাহরণ – কেঁচো, জোঁক ইত্যাদি।
(চ) আর্থ্রোপোডা বা সন্ধিপদী –
(i) এই পর্বের প্রাণীরা দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম এবং দেহ খণ্ডযুক্ত।
(ii) এদের সংবহনতন্ত্র মুক্ত, সেজন্য এদের দেহে রক্ত কোনও সুনির্দিষ্ট রক্তবাহিকা নালী দিয়ে প্রবাহিত হয় না।
(iii) এদের সিলোমে রক্ত থাকে এবং তাকে ‘হিমোসিল’ বলে।
(iv) এদের পদ বা পাগুলি সন্ধি দ্বারা যুক্ত, সেজন্য এদেরকে সন্ধিপদী বলা হয়।
উদাহরণ – চিংড়ি মাছ, মশা, মাছি, মাকড়শা, বিছা, কাঁকড়া, প্রজাপতি ইত্যাদি।
(ছ) মোলাস্কা –
(i) এদের দেহ দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম।
(ii) দেহ খুব নরম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেহ খোলক দ্বারা আবৃত থাকে।
(iii) দেহগহ্বর ছোট, দেহে অল্পবিস্তর খণ্ড থাকে।
(iv) এদের মুক্ত সংবহনতন্ত্র এবং বৃক্কের মতো রেচন অঙ্গ আছে।
উদাহরণ – শামুক, ঝিনুক, অক্টোপাস ইত্যাদি।
(জ) ইকাইনোডারমাটা বা কণ্টকচর্মী –
(i) এদের দেহের ত্বকে চূণ নির্মিত কাঁটা বা শক্ত আবরণের মতো গঠন থাকে যেগুলি কঙ্কাল হিসাবে কাজ করে।
(ii) এরা সামুদ্রিক জলজ প্রাণী।
(iii) এদের দেহ ত্রিস্তর কোষযুক্ত এবং দেহগহ্বর আছে,
(iv) দেহে বিভিন্ন প্রকার নলির সাহায্যে জল পরিবহন তন্ত্র আছে যার সাহায্যে এরা চলাফেরা করতে পারে।
উদাহরণ – তারা মাছ, সমুদ্র সজারু, সমুদ্র শশা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৯। প্রোটোকর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যগুলি উদাহরণসহ বর্ণনা কর।
উত্তরঃ প্রোটোকর্ডাটা পর্বের বৈশিষ্ট্য –
(i) এই পর্বের প্রাণীরা সামুদ্রিক হয়।
(ii) এদের দেহ দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম, ত্রিস্তর কোষযুক্ত এবং দেহগহ্বরযুক্ত হয়।
(iii) এদের দেহে জীবনের কোন এক দশায় নোটোকর্ড দেখা যায়, এই নোটোকর্ড দেহকে দৃঢ়তা প্রদান করে এবং প্রাণীর পৃষ্ঠদেশে স্নায়ুকোষকে গহ্বর থেকে পৃথক করে, রাখে।
উদাহরণ – ব্যালানোগ্লসাস, হার্ডম্যানোয়া, এ্যামফিওক্সাস ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২০। মেরুদণ্ডী প্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লিখ।
উত্তরঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
(i) এদের প্রত্যেকের নোটোকর্ড আছে।
(ii) পৃষ্ঠদেশে স্নায়ুরজ্জু থাকে।
(iii) যুগ্ম ফুলকা থাকে।
(iv) এদের দেহ ত্রিস্তর কোষযুক্ত।
(v) দেহগহ্বর আছে।
প্রশ্ন ২১। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে ? এদের প্রত্যেকের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ লিখ।
উত্তরঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীদের প্রধানত পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যথা-
(ক) মৎস্য বা মাছ –
(i) এরা জলচর এবং শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী।
(ii) এদের বহিঃস্তকে।
(iii) এরা ফুলকার সাহায্যে জলের অক্সিজেন গ্রহণ করে।
(iv) দেহ লম্বাটে ধরনের হয় এবং পেশীযুক্ত লেজ থাকে।
(v) কিছু কিছু মাছের দেহ কঙ্কাল উপাস্থি দিয়ে গঠিত, আবার কিছু কিছু মাছের দেহের কঙ্কালে অস্থি এবং উপাস্থি উভয়ই পাওয়া যায়।
উদাহরণ – সার্ক, রুই, টুনা, শিঙি, মাগুর, বোয়াল, কৈ মাছ ইত্যাদি।
(খ) উভচর –
(i) এদের জলে এবং স্থলে উভয় জায়গায় পাওয়া যায়।
(ii) ত্বক মিউকাস গ্রন্থিযুক্ত এবং আঁশহীন।
(iii) এদের তিনটি প্রকোষ্ঠ থাকা হৃদপিণ্ড আছে।
(iv) এদের শ্বাসকার্য ফুলকা বা ফুসফুসের দ্বারা সম্পন্ন হয়।
(v) এরা ডিম পাড়ে।
উদাহরণ – ব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ, স্যালামাণ্ডার ইত্যাদি।
(গ) রেপ্টিলিয়া বা সরীসৃপ –
(i) এই শ্রেণির প্রাণীরা শীতল রক্তবিশিষ্ট।
(ii) এদের ত্বকে আঁশ থাকে।
(iii) এরা ফুসফুসের দ্বারা শ্বাসকার্য সম্পন্ন করে।
(iv) এরা শক্ত খোলাযুক্ত ডিম পাড়ে।
উদাহরণ – কচ্ছপ, কুমীর, সাপ, টিকটিকি ইত্যাদি।
(ঘ) এ্যাভিস বা পক্ষী –
(i) এরা উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণী।
(ii) এদের সারা দেহ পালক দিয়ে ঢাকা থাকে।
(iii) এদের সামনের পা দুটি রূপান্তরিত হয়ে ডানায় পরিণত হয়।
(iv) এরা ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য করে।
(v) এদের হৃদপিণ্ড চারটি প্রকোষ্ঠযুক্ত।
উদাহরণ – পায়রা, বক, শালিক, টিয়া, অষ্ট্ৰিচ ইত্যাদি।
(ঙ) ম্যামেলিয়া বা স্তন্যপায়ী প্রাণী –
(i) এই শ্রেণির প্রাণীরা উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট এবং এদের হৃদপিণ্ড চারটি প্রকোষ্ঠযুক্ত।
(ii) এদের ত্বকে লোম থাকে, তাছাড়া ত্বকের মধ্যে ঘর্মগ্রন্থি এবং তৈলগ্রন্থিও থাকে।
(iii) এরা শাবক প্রসব করে। কিন্তু এদের মধ্যে কিছু প্রাণী যেমন প্লেটিপাস, একিড্না সন্তানের জন্ম দেয় না, এরা ডিম পাড়ে।
উদাহরণ – বাদুড়, মানুষ, বিড়াল, ইঁদুর, তিমি, বাঘ, সিংহ, হাতী ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২২। ব্র্যায়োফাইটার বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ লিখ।
উত্তরঃ ব্র্যায়োফাইটার বৈশিষ্ট্য –
এই শ্রেণির উদ্ভিদকে ‘উভচর উদ্ভিদ’ বলা হয়। এদের দেহ কাণ্ড এবং পাতার মতো দেখতে কতকগুলি অঙ্গ দিয়ে গঠিত। জল বা অন্য কোনও বস্তু সংবহন করার জন্য এই প্রকার উদ্ভিদে কোনও বিশেষ কলা থাকে না।
উদাহরণ – মস, রিকসিয়া, মারকানসিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২৩। জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণের নিয়মগুলি লিখ।
উত্তরঃ জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণের নিয়মগুলি, যথা-
(i) জীবের বৈজ্ঞানিক নামে দুটি পদ থাকে। যার প্রথম পদ হল গণ নাম এবং দ্বিতীয় পদ হল প্রজাতিক নাম।
(ii) জীবের বৈজ্ঞানিক নামের ভাষা হবে ল্যাটিন।
(iii) গণ নামের প্রথম অক্ষর বড়ো হাতের বর্ণ দিয়ে শুরু করতে হবে।
(iv) প্রজাতিক পদের সব অক্ষরই ছোট হাতের বর্ণ দিয়ে লিখতে হয়।
(v) বৈজ্ঞানিক নাম ছাপার অক্ষরে ইটালিক (ডান দিকে একটু বাঁকা) করে ছাপতে হয়।
(vi) বৈজ্ঞানিক নাম যখন হাতে লেখা হয় তখন গণের নাম এবং প্রজাতির নাম আলাদা আলাদা করে নীচে দাগ টেনে লিখতে হয়।
প্রশ্ন ২৪। ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ লেখ।
(i) সাপ এবং টিকটিকি জাতীয় প্রাণী উষ্ণরক্তী প্রাণী।
উত্তরঃ (i) না।
(ii) কোমল পক্ষী এবং স্তনপ্রায়ী প্রাণীই উষ্ণরক্তী প্রাণী।
উত্তরঃ (ii) হ্যাঁ।
(iii) ফিতাকৃমির পাচন নলী অসম্পূর্ণ।
উত্তরঃ (iii) হ্যাঁ।
(iv) কই মাছ অষ্টিকথিস মাছের উদাহরণ।
উত্তরঃ (iv) হ্যাঁ।
(v) উভচর প্রাণীর হৃৎপিণ্ড তিন কোঠাযুক্ত।
উত্তরঃ (v) হ্যাঁ।
(vi) পাখীর কিছু প্রজাতি ডিমের বদলে বাচ্চার জন্ম দেয়।
উত্তরঃ (vi) না।
প্রশ্ন ২৫। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(i) এ্যান্টামিবা মানুষের শরীরে …………………. রোগ করে।
উত্তরঃ (i) আমাশয়।
(ii) …………………. নামের প্রোটোজোয়া মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে।
উত্তরঃ (ii) প্লাজমোডিয়াম।
(iii) রন্ধ্রীপ্রাণীর দেহে জল চলাচল করা তন্ত্রটার নাম………………….।
উত্তরঃ (iii) নলতন্ত্র।
(iv) উপাস্থি দিয়ে গঠিত অন্তঃকঙ্কাল মাছকে ………………….বলা হয়।
উত্তরঃ কন্ড্রিকথিস।
(v) প্রটোকর্ডাটা প্রাণীর দেহের ভার বহনকারী হালকা দণ্ডকে…………………. বলে।
উত্তরঃ (v) পৃষ্ঠদণ্ড।
(vi) পাখীর শ্বাসাংগের নাম………………….।
উত্তরঃ (vi) ফুসফুস।
প্রশ্ন ২৬। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের কর।
(i) অমেরুদণ্ডী প্রাণীর কোন ভাগে ফিতাকৃমি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ?
(ক) একনলদেহী প্রাণী।
(খ) বলয়ী প্রাণী।
(গ) চ্যাপ্টাকৃমি।
(ঘ) এগুলোর একটাও নয়।
উত্তরঃ (i) চ্যাপ্টাকৃমি।
(ii) অমেরুদণ্ডী প্রাণীর কোন ভাগে প্রথম দেহগুহার আবির্ভাব হয়েছে।
(ক) একনলদেহী প্রাণী।
(খ) ঘোরানো কৃমি বা গোলাকৃতি কৃমি।
(গ) রন্ধী প্রাণী।
(ঘ) খোলাধারী প্রাণী।
উত্তরঃ (ii) ঘোরানো কৃমি বা গোলাকৃতি কৃমি।
(iii) কোন প্রকার মাছের অন্তঃকঙ্কাল উপাস্থি দিয়ে গঠিত ?
(ক) ভরালী মাছ।
(খ) সার্ক মাছ।
(গ) রুই মাছ।
(ঘ) কৈ মাছ।
উত্তরঃ (iii) সার্ক মাছ।
(iv) কুমীরের হৃৎপিণ্ডের কোঠার সংখ্যা-
(ক) 2
(খ) 3
(গ) 4
(ঘ) 5
উত্তরঃ (iv) 4