Class 9 Science Chapter 5 জীবনের মৌলিক একক Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Science Chapter 5 জীবনের মৌলিক একক and select needs one.
Class 9 Science Chapter 5 জীবনের মৌলিক একক
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 9 Science Chapter 5 জীবনের মৌলিক একক Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 9 Science Chapter 5 জীবনের মৌলিক একক These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Science in Bengali Chapter 5 জীবনের মৌলিক একক for All Subject, You can practice these here…
জীবনের মৌলিক একক
Chapter – 5
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সর্বপ্রথম কোষ কে আবিষ্কার করেন এবং কিভাবে করেন ?
উত্তরঃ রবার্ট হুক 1965 সালে কোষ আবিষ্কার করেন। একটি কর্কের টুকরো থেকে পাতলা ছেদ (Slice) নিয়ে পরীক্ষা করে রবার্ট হুক দেখলেন যে কৰ্ক একটা অনেক প্রকোষ্ঠ বা ঘর থাকা মৌমাছির চাকের মত দেখতে, এই কর্ক গাছের ছাল থেকে তৈরী হয়। রবার্ট হুক নিজে ডিজাইন করা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করে এই প্রকোষ্ঠ বা ঘরগুলোকে কোষ আখ্যা দেন। কোষ (cell) হচ্ছে একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হচ্ছে “একটা ছোট্ট ঘর”।
প্রশ্ন ২। কোষকে জীবের বা জীবনের গঠনগত এবং কার্যগত একক বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ কোষের নির্দিষ্ট কাজের উপর নির্ভর করে আকার বা গঠন বিভিন্ন হয়। যেমন অ্যামিবার মতো কোষ নিজের আকার পরিবর্তন করে। কোন কোন ক্ষেত্রে কোষের আকার কম বেশী স্থায়ী এবং অদ্ভুত হয়, যেমন- স্নায়ুকোষের আকার এক বিশেষ ধরনের হয়। অ্যামিবা একটি মাত্র কোষ দ্বারা সমস্ত জৈবিক কার্য সম্পন্ন করে। বহুকোষী জীবের যেমন মানুষের ক্ষেত্রে শ্রমের বিভাজন দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ দেহের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন কাজ করে। মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চালন করার জন্যে হৃদপিণ্ড, খাদ্যবস্তু হজম করার জন্য পাকস্থলী ইত্যাদি আছে। বস্তুতঃ প্রতিটি কোষে কিছু অতি সূক্ষ্ম গঠন পাওয়া যায় যেগুলিকে কোষের অঙ্গাণু বলা হয়। প্রত্যেক কোষ-অংঙ্গাণু নির্দিষ্ট কাজ করে, যেমন- কোষে নতুন উপাদান প্রস্তুত করা, কোষের ভিতরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া ইত্যাদি। সুতরাং কোষই হল দেহের মৌলিক উপাদান।
প্রশ্ন ৩। কিভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং জল কোষের ভিতর ঢোকে এবং কোষের বাইরে বের হয় ? আলোচনা কর।
উত্তরঃ কোষের ভেতরে যখন বেশী কার্বন-ডাই-অক্সাইড জমে যায় (যেটা কোষের বর্জ্য এবং এটাকে বের করে দেওয়া উচিৎ) তখন এইরকম ব্যাপন প্রক্রিয়া কাজ করে। কোষের বাইরে চারিদিকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব কম থাকে। যখনই কোষের ভিতরে এবং বাহিরে ঘনত্বের তারতম্য ঘটে কার্বন-ডাইঅক্সাইড বেশী ঘনত্বের স্থান হতে কম ঘনত্বের স্থানে অর্থাৎ কোষের ভিতর থেকে বাইরে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় চলে আসে। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় কোষের ভিতরে অক্সিজেনের ঘনত্ব কম হলে বাইরে থেকে অক্সিজেন ভেতরে ঢুকে যায়। এই ভাবে একটা কোষ থেকে অন্য কোষে বা কোষের ভিতরে ও বাইরে গ্যাসীয় পদার্থের চলাচলের জন্য ব্যাপন প্রক্রিয়ার প্রয়োজন।
এইভাবে জলও চলাচল করে। নির্বাচনাত্মক পর্দার ভিতর দিয়ে জলের অণু চলাচলের প্রক্রিয়াকে অভিস্রবন (Osmosis) বলে। কোষ-পর্দার মধ্য দিয়ে জলের চলাচল নির্ভর করে জলের মধ্যে দ্রবীভূত হওয়া পদার্থের পরিমাণের উপর।
প্রশ্ন ৪। প্লাজমা মেম্ব্রেন বা কোষপর্দাকে নির্বাচনাত্মক ভেদ্য পর্দা কেন বলা হয় ?
উত্তরঃ প্লাজমা মেম্ব্রেনের মধ্য দিয়া কিছু কিছু কোষদ্রব্য ভিতরে ও বাইরে যাতায়াত করতে পারে কিন্তু অন্যান্য পদার্থকে প্রবেশে বা বাহির হতে বাধা দেয়। সেইজন্য একে নির্বাচনাত্মক ভেদ পর্দা বলা হয়।
প্রশ্ন ৫। প্রকোষ কেন্দ্রীয় (প্রোক্যারিওটিক) এবং সংকোষ কেন্দ্রীয় (ইউক্যারিওটিক) কোষের পার্থক্য বোঝাতে নীচে যে তালিকা ব্যবহৃত হয়েছে তার শূন্যস্থান পূরণ কর।
প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষ বা প্রোক্যারিওটিক কোষ | সংকোষ কেন্দ্রীয় কোষ বা ইউক্যারিওটিক কোষ |
১। আকার – সাধারণত কাঠ (1 – 10Mm) (1Mm = 10⁻⁶) | ১। আকার – সাধারণত বড় (5 – 100Mm) |
২। নিউক্লিয়ার অঞ্চল – ………….… এবং ……………… বলে পরিচিত। | ২। নিউক্লিয়ার অঞ্চল – সুস্পষ্ট এবং নিউক্লিয়ার পর্দা এবং নিউক্লিয়ার পর্দা দিয়ে ঘেরা অঞ্চল। |
৩। ক্রোমজোম : একটা। | ৩। ক্রোমজোম : একটা থেকে বেশী। |
৪। পর্দা ঘেরা কোষীয় শুক্রাণু থাকে না। | ৪।…………………………………………………………………….. |
উত্তরঃ ২। প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষ :- নিউক্লিয় অঞ্চলে নিউক্লিয়ার মেম্ব্রেন না থাকার জন্য এই অঞ্চল সুস্পষ্ট নয় এবং একে নিউক্লিয়ড বলে।
৪। সংকোষ কেন্দ্রীয় কোষ :- পর্দা ঘেরা কোষীয় শুক্রাণু থাকে।
প্রশ্ন ৬। নিজস্ব জেনেটিক পদার্থ থাকা দুটি কোষ অঙ্গাণুর নাম করতে পারবে কি ?
উত্তরঃ (i) মাইটোকোন্ড্রিয়া । এবং
(ii) প্লাষ্টিড (ক্লোরোপ্লাষ্ট)।
প্রশ্ন ৭। শারীরিক বা রাসায়নিক কারণে কোনও কোষের সংগঠন বিনষ্ট হলে কি হবে ?
উত্তরঃ প্রত্যেক কোষে তার নিজস্ব কোষ-অঙ্গাণু (Cell organelles) থাকে। এরা কিছু বিশেষ কাজ করে। যেমন নতুন পদার্থ তৈরী করা, অপ্রয়োজনীয় পদার্থ কোষ হতে বের করা। শক্তি সৃষ্টি করা ইত্যাদি। কিন্তু যদি কোষ-অঙ্গাণুর বিনষ্ট ঘটে তবে কোষের সমস্ত কাজ বন্ধ হবে। ফলে কোষটির মৃত্যু হবে।
প্রশ্ন ৮। লাইসোজোমকে ‘আত্মহননকারী থলি’ বা Suicidal Bag বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ লাইসোজোম হল কোষের আবর্জনা পরিষ্কার করা অঙ্গাণু। লাইসোজোম পচে যাওয়া কোষ অঙ্গাণু অথবা বাইরে থেকে আসা কোনও বস্তু খেয়ে হজম করে কোষকে পরিষ্কার রাখে। ব্যাক্টেরিয়া বা অন্য কোনও খাদ্যবস্তু বাইরে থেকে কোষের ভিতর ঢুকলে লাইসোজোম ভেঙ্গে ছোট ছোট টুকরাতে পরিণত করে। লাইসোজোমে শক্তিশালী পাচক উৎসেচক থাকার ফলে এরা সবরকম জৈব বস্তু পচন করতে সক্ষম হয়। কোষীয় বিপাক কার্যে কোনও রকম ব্যাঘাত ঘটলে যেমন- কোষ নষ্ট হলে লাইসোজোম ফেটে যায় এবং উৎসেচকসমূহ নিজের কোষকেই পচন করে। তাই লাইসোজোমকে কোষের “আত্মহননকারী থলি” (Suicidal bags) বলে।
প্রশ্ন ৯। কোষের কোন জায়গায় প্রোটিন সংশ্লেষণ হয়।
উত্তরঃ কোষের রাইবোজোমে প্রোটিন সংশ্লেষণ হয়।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণীকোষের পার্থক্য দেখাও এবং এই পার্থক্য বুঝানোর জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করবে ?
উত্তরঃ
উদ্ভিদ কোষ | প্রাণী কোষ |
(ক) কোষ প্রাচীর সাধারণতঃ সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। | (ক) কোষ প্রাচীর সাধারণতঃ প্লাজমা মেম্ব্রেন দ্বারা গঠিত। |
(খ) প্লাষ্টিড (যেমন ক্লোরপ্লাষ্ট) থাকে। | (খ) প্লাষ্টিড থাকে না। |
(গ) বৃহৎ গহ্বর থাকে। | (গ) ক্ষুদ্র গহ্বর থাকে অথবা থাকে না। |
(ঘ) সেন্ট্রিওলিস্ থাকে না। | (ঘ) সেন্ট্রিওলিস্ সেন্ট্রোজোমের ভিতর থাকে। |
(ঙ) গলগি বডি বা এ্যাপারেটাস সহ একক হিসাবে থাকে যাকে ডিক্টো-সোম (Dictyosomes) বলে। | (ঙ) নিউক্লিয়াসের নিকট খুব প্রকট এবং ক্ষমতাশালি গলগি বডি থাকে। |
প্রশ্ন ২। প্রোক্যারিওটিক বা প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষ এবং ইউক্যারিওটিক বা সংকোষ কেন্দ্রীয় কোষের পার্থক্য কি ?
উত্তরঃ
প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষ | সংকোষ কেন্দ্রীয় কোষ |
(ক) কোষের আকার সাধারণতঃ ছোট (1-10um) | (ক) কোষের আকার সাধারণতঃ বড় (5 -10um) |
(খ) কোষে প্রকৃত কোষকেন্দ্র থাকে না, আনুবংশিক (DNA বা RNA) ক্রমোজম হিসাবে সংগঠিত না হয়ে কোষের কেন্দ্রে নগ্নভাবে থাকে। যাকে নিউক্লিয়ড বলে। | (খ) কেন্দ্রাবরণের সঙ্গে সুস্পষ্ট কোষ-কেন্দ্র থাকে। আনুবংশিক সূত্রগুলো (DNA) হিষ্টোন নামক প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ক্রমোজম হিসাবে থাকে। |
(গ) মাইটোকঞ্জিয়া, গলগিবডি, প্লাষ্টিড, অন্তঃপ্ররসীয় জালিকা, লাইসোজোম প্রভৃতি কোষ অঙ্গাণুসমূহ থাকে না। | (গ) প্রায় সব কোষ অঙ্গাণুই থাকে। |
(ঘ) কোষ প্রাচীর সাধারণতঃ মিউকোপেপাইড জাতীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত। | (ঘ) উদ্ভিদ কোষে কোষপ্রাচীর থাকে এবং এটা সেলুলোজ নামক পদার্থ দ্বারা গঠিত। প্রাণীকোষে কোষপ্রাচীর থাকে না। |
(ঙ) নিউক্লিয়াস থাকে না। | (ঙ) নিউক্লিয়াস থাকে। |
প্রশ্ন ৩। কোনও কোষের কোষ পর্দা বা প্লাজমা পর্দা ফেটে গেলে কি হবে ?
উত্তরঃ কোষ পর্দার কাজ হল কোষের আভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোকে বাইরের পরিবেশ থেকে ঢেকে রাখা। ইহা কোষের ভিতর পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
সুতরাং কোষ পর্দা বা প্লাজমা পর্দা ফেটে গেলে কোষের ভিতরের পদার্থের চলাচলের নিয়ন্ত্রণ হারাবে।
প্রশ্ন ৪। কোন কোষে যদি গলগি এ্যাপারেটাস না থাকে তবে ঐ কোষের জীবনে কি হবে ?
উত্তরঃ কোন কোষে যদি গলগি এ্যাপারেটাস না থাকে তবে কোষটি মৃতকোষে পরিণত হবে।
প্রশ্ন ৫। কোষের কোন অঙ্গাণুকে “শক্তিঘর” (Power House) বলা হয় ? এবং কেন ?
উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর (Power House) বলে। জীবের সমস্ত কাজে যে শক্তির প্রয়োজন হয় সেই শক্তির যোগান দেয় ATP এবং এইসব ATP (Adenosine triphosphate) মাইটোকন্ড্রিয়াতে উৎপন্ন। ATP -কে কোষের এনার্জি কারেন্সি (Energy currency) বলে। শরীর নতুন রাসায়নিক উপাদান প্রস্তুত করতে এবং অন্যান্য কাজে ATP-তে থাকা শক্তি খরচ করে। মাইটোকন্ড্রিয়াতে একটার বদলে দুটো পর্দার আবরণ থাকে। বাইরের পর্দা অনেক ছিদ্রযুক্ত এবং ভেতরের পর্দা ভাঁজ করা থাকে। এই ভাঁজগুলো বিস্তৃত হলে বড় একটা জায়গা বানায় যেখানে ATP তৈরী করার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এর রাইবোজম এবং DNA আছে তাই নিজের দরকারী প্রধান নিজেই তৈরী করে। সেজন্য একে শক্তিঘর বলে।
প্রশ্ন ৬। কোষ-পর্দা গঠন করা লিপিড এবং প্রোটিন কোথায় সংশ্লেষিত হয় ?
উত্তরঃ কোষ-পর্দা গঠন করা লিপিড সমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা (SER) -তে সংশ্লেষিত হয় এবং প্রোটিন অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা (RER) -তে সংশ্লেষিত হয়।
প্রশ্ন ৭। এ্যামিবা নিজের খাবার কিভাবে জোগাড় করে ?
উত্তরঃ এ্যামিবাতে স্থিতিস্থাপক সেল-মেম্ব্রেন (cell.membrane) থাকে। খাদ্যগহ্বরে খাদ্য জমা করে রাখে। এন্ডোকাইটেসিস্ (endocytosis) পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ৮। অসমোসিস্ বা অভিস্রবণ কি ?
উত্তরঃ নির্বাচনাত্মক পর্দার ভিতর দিয়ে জলের অণু চলাচলের প্রক্রিয়াকে বলে অভিস্রবণ (Osmosis)। কোষপর্দার মধ্য দিয়ে জলের চলাচল নির্ভর করে জলের মধ্যে দ্রবীভূত হওয়া পদার্থের পরিমাণের উপর। অর্ধভেদ্য পর্দার ভেতর দিয়ে দ্রাবকের (Solvent) বেশী পরিমাণযুক্ত স্থান থেকে দ্রাবকের কম পরিমাণ যুক্ত স্থানে যাওয়াকে অভিস্রবণ (Osmosis) বলে।
প্রশ্ন ৯। নীচের অভিস্রবণের পরীক্ষাটি কর।
চারটে আলুর খোসা ছাড়ানো) টুকরো নাও। এবার এগুলোতে গর্ত করে আলুর কাপ বানাও। এর মধ্যে একটা টুকরো সেদ্ধ করে নাও। একটা বড় পাত্রে জল নিয়ে এই টুকরোগুলো রাখ। এখন-
(a) একটা কাপ A খালি রাখ।
(b) B কাপে এক চামচ চিনি রাখ।
(c) C কাপে এক চামচ লবণ রাখ।
(d) D কাপে (সেদ্ধ টুকরো) এক চামচ চিনি রাখ।
দুঘণ্টা রেখে দাও। এবার চারটে কাপ পরীক্ষা কর এবং নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও-
(i) B এবং C কাপে কেন জল গর্তে চলে এল।
(ii) A আলুর কাপ রাখা দরকারী হল কেন ?
(iii) A এবং ID কাপে জল গর্তে কেন এল না ?
উত্তরঃ (i) B এবং C কাপে জল গর্তে চলে আসার কারণ-
(a) আলুর B এবং C কাপে জীবিত প্লাজমা ভেদ্যপর্দা (living plasma number) নির্বাচনাত্মক ভেদ্য পর্দা (selectively permeable membrane) হিসাবে কাজ করে।
(b) B কাপে চিনির দ্রবণ এবং C কাপে লবণের দ্রবণের মধ্য দিয়ে উচ্চ ঘনত্বের (higher concentration) জল প্রবাহিত হয়।
(c) সুতরাং Osmosis বা অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জল B এবং C কাপে যায়।
(ii) A কাপ খালি রাখা কারণ হল, অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ভেদ্য পর্দা কম এবং উচ্চ ঘনত্বের জলের মধ্যে পার্থক্যের সমতা বজায় রাখে।
(iii) (a) A কাপে কোন দ্রবণ না থাকার জন্য অভিস্রবণ হয় না।
(b) আলুর D কাপে আলু সেদ্ধ করার জন্য এটি Semipermeability ধর্ম হারায়। সুতরাং D কাপে কোন জলের কণার পরিবর্তন হবে না।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। বহুকোষী জীব কাকে বলে ?
উত্তরঃ বহু কোষ বিশিষ্ট জীবকে বহুকোষী জীব বলে।
প্রশ্ন ২। কোষতত্ত্বের আবিষ্কর্তা কে ?
উত্তরঃ স্লাইডেন ও সোয়ান।
প্রশ্ন ৩। সবচেয়ে ছোট কোষ ও বড়ো কোষের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সবচেয়ে ছোট কোষ- মাইকোপ্লাজমা লেডলাই। সবচেয়ে বড়ো কোষ (আয়তনে)- উটপাখির ডিম।
প্রশ্ন ৪। মানবদেহের সবচেয়ে ছোট কোষ কোনটি ?
উত্তরঃ ছোটো লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকা।
প্রশ্ন ৫। মানবদেহের সবচেয়ে বড়ো কোষ কোনটি ?
উত্তরঃ স্নায়ুকোষ।
প্রশ্ন ৬। নিউক্লিয়য়েড কী ?
উত্তরঃ প্রোক্যারিওটিক কোষের নিউক্লিয়াসকে নিউক্লিয়য়েড বলে।
প্রশ্ন ৭। প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষে কি ধরনের রাইবোজোম লক্ষ্য করা যায় ?
উত্তরঃ প্রোক্যারিওটিক কোষের রাইবোজোম- 70S প্রকৃতির। ইউক্যারিওটিক কোষের রাইবোজোম- 80S প্রকৃতির। [S = ভেদবার্গ একক]
প্রশ্ন ৮। কোষপর্দা কী দিয়ে তৈরী ?
উত্তরঃ প্রোটিন ও লিপিড দিয়ে তৈরী।
প্রশ্ন ৯। রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরী বলে কেন ?
উত্তরঃ রাইবোজোম যেহেতু প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে, সেজন্য রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরী বলে।
প্রশ্ন ১০। তিন প্রকার প্লাস্টিডের নাম লেখো ?
উত্তরঃ (i) ক্লোরোপ্লাসটিড।
(ii) ক্রোমোপ্লাসটিড।
(iii) লিউকোপ্লাসটিড।
প্রশ্ন ১১। বৃহত্তম প্রাণীকোষ কোনটি ?
উত্তরঃ উটপাখির ডিম।
প্রশ্ন ১২। দীর্ঘতম প্রাণীকোষটির নাম লেখ।
উত্তরঃ স্নায়ুকোষ।
প্রশ্ন ১৩। ব্যাপন প্রক্রিয়া বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ পদার্থের অণুগুলি যখন বেশি ঘন স্থান থেকে কম ঘন স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে ব্যাপন প্রক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ১৪। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া কাকে বলে ?
উত্তরঃ অর্ধভেদ্য পর্দার ভেতর দিয়ে দ্রাবকের বেশি পরিমাণযুক্ত স্থান থেকে দ্রাবকের কম পরিমাণযুক্ত স্থানে যাওয়াকে অভিস্রবণ বলে।
প্রশ্ন ১৫। যদি কোনও প্রাণীর কোষ বা উদ্ভিদের কোষকে চিনির জল বা লবণ জলে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া হয় তাহলে কি ঘটবে ?
উত্তরঃ নীচে দেওয়া তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্যে যে কোনো একটি ঘটতে পারে।
(ক) যদি কোষের বাইরের জলীয় মাধ্যম বেশি পাতলা হয় তবে অভিস্রবণ প্রক্রিয়াতে কোষের ভিতরে জল ঢুকবে।
(খ) যদি কোষের বাইরের এবং কোষের ভেতরের জলের ঘনত্ব সমান হয় তখন জল চলাচল করবে না।
(গ) যদি কোষের ভেতরের জলীয় মাধ্যম কোষের বাইরের মাধ্যম থেকে পাতলা হয় তবে অভিস্রবণ প্রক্রিয়াতে জল কোষের ভেতর থেকে বাইরের মাধ্যমে জল ঢুকবে।
প্রশ্ন ১৬। কি ঘটবে যখন-
(i) খোলাহীন একটি ডিমকে ঘন লবণ জলে 5 মিনিট রেখে দেওয়া হয়।
(ii) খোলাহীন একটি ডিমকে বিশুদ্ধ জলে 5 মিনিট রেখে দেওয়া হয়। (তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও।)
উত্তরঃ (i) খোলাহীন একটি ডিমকে ঘন লবণ জলে’ 5 মিনিট রেখে দিলে ডিমটি কুঁচকে যাবে। কারণ বাইরের লবণ জল বেশি ঘন হওয়ায় অভিস্রবণ, প্রক্রিয়ায় ডিমে ভেতর থেকে জল বাইরে বেরিয়ে আসবে।
(ii) খোলাহীন একটি ডিমকে বিশুদ্ধ জলে 5 মিনিট রেখে দিলে ডিমটি ফুলে ওঠবে কারণ বাইরের বিশুদ্ধ জলের দ্রবণ বেশি পাতলা হওয়ায় অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় ডিমের ভেতরে জল ঢুকবে।
প্রশ্ন ১৭। কয়েকটি শুষ্ক কিসমিস কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে কি ঘটবে ও কেন ঘটবে ?
উত্তরঃ শুষ্ক কিসমিসগুলোকে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে সব কয়টি কিসমিস ফুলে ওঠবে কারণ কিসমিসের বাইরের জলীয় মাধ্যম বেশি পাতলা হওয়ায় অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কিসমিসের ভেতরে জল ঢুকবে।
প্রশ্ন ১৮। প্লাজমোলাইসিস কাকে বলে ?
উত্তরঃ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যখন জীবন্ত কোষের জল কমে যায় তখন কোষ সংকুচিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে প্লাজমোলাইসিস বা কোষদ্রব্য সংকোচন বলে।
প্রশ্ন ১৯। কোষের অভ্যন্তরে থাকা নিউক্লিয়াস কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তরঃ রবার্ট ব্রাউন (1831 খ্রিষ্টাব্দে)।
প্রশ্ন ২০। কোষের অর্ধতরল পদার্থটিকে ‘প্রোটোপ্লাজম’ নামে কে অভিহিত করেন? এবং কত খ্রিষ্টাব্দে ?
উত্তরঃ 1839 খ্রিষ্টাব্দে পারকিনজি কোষের অর্ধতরল পদার্থটিকে প্রোটোপ্লাজম নামে অভিহিত করেন।
প্রশ্ন ২১। কোষবাদ বা কোষতত্ত্ব কে প্রবর্তন করেছিলেন ?
উত্তরঃ স্নেইডেন (1838 খ্রিষ্টাব্দে) এবং সোয়ান (1839 খ্রিষ্টাব্দে) কোষবাদ বা কোষতত্ত্ব প্রবর্তন করেছিলেন।
প্রশ্ন ২২। “সকল নতুন কোষই পুরাতন কোষ থেকে জন্মায় বা সৃষ্টি হয়” -কোষবাদের এই নতুন তত্ত্বটি কে উদ্ভাবন করেন ?
উত্তরঃ “সকল নতুন কোষই পুরাতন কোষ থেকে জন্মায়” -কোষবাদের এই নতুন তত্ত্বটি 1855 খ্রিষ্টাব্দে ভিরচাউ (Virchow) উদ্ভাবন করেন।
প্রশ্ন ২৩। কয়েকটি এককোষী জীবের নাম লিখ।
উত্তরঃ কয়েকটি এককোষী জীবের নাম, যথা—অ্যামিবা, ক্ল্যামাইডোমনাস, প্যারামেসিয়াম, ইউগ্লিনা, ডায়াটম, ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২৪। সকল প্রকার কোষে দেখতে পাওয়া যায় এমন তিনটি বৈশিষ্ট্যের নাম লিখ।
উত্তরঃ প্লাজমা মেমব্রেন বা কোষপর্দা, নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম।
প্রশ্ন ২৫। প্রাণীকোষের সবচেয়ে বাইরের আবরণ কোনটি ?
উত্তরঃ প্লাজমা মেমব্রেন বা কোষপর্দা।
প্রশ্ন ২৬। উদ্ভিদ কোষের সবচেয়ে বাইরের দিকে থাকা আবরণটির নাম লিখ।
উত্তরঃ কোষপ্রাচীর।
প্রশ্ন ২৭। কোষপ্রাচীর এবং কোষপর্দার কার্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ কোষপ্রাচীর-এর কাজ :-
(ক) কোষের প্রোটোপ্লাজম ও প্লাজমা পর্দাকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।
(খ) কোষকে দৃঢ় থাকতে সাহায্য করে।
(গ) কোষের আকৃতি প্রদান করে।
কোষপর্দার কাজ :-
(ক) কোষপর্দা বা প্লাজমা মেমব্রেন নির্বাচনাত্মক ভেদ্য পর্দা হিসাবে কাজ করে এবং কোষের ভেতরের পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
(খ) কোষের ভেতরকার সজীব অংশকে রক্ষা করে।
(গ) পর্দাঘেরা কোষীয় অঙ্গাণু গঠনে অংশগ্রহণ করে।
প্রশ্ন ২৮। উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর কি দিয়ে গঠিত ?
উত্তরঃ উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ২৯। প্লাজমা মেমব্রেন কি দিয়ে গঠিত ?
উত্তরঃ প্লাজমা মেমব্রেন বা কোষপর্দা প্রোটিন ও লিপিড নামক জৈবিক অণু দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ৩০। কোষ অঙ্গাণু কাকে বলে ?
উত্তরঃ প্রতিটি কোষে অতি সূক্ষ্ম কতকগুলি গঠন বা অঙ্গ থাকে সেগুলিকে কোষ অঙ্গাণু বলে। প্রত্যেক কোষ অঙ্গাণু নির্দিষ্ট কাজ করে যেমন- কোষে নতুন উপাদান প্রস্তুত করা, কোষের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করা, কোষের ভেতরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩১। উদ্ভিদ কোষে থাকা কিন্তু প্রাণী কোষে না থাকা এরকম অঙ্গ ঋণুর নাম লিখ।
উত্তরঃ কোষ প্রাচীর, প্লাষ্টিড ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩২। প্রাণী কোষ ও উদ্ভিদ কোষে থাকা একটা পর্দা বা আবরণের নাম লিখ।
উত্তরঃ প্লাজমা মেমব্রেন বা কোষপর্দা।
প্রশ্ন ৩৩। আবরণহীন এক প্রকার কোষ অঙ্গাণুর নাম লিখ।
উত্তরঃ রাইবোজোম, ভ্যাকুণ্ডল।
প্রশ্ন ৩৪। প্রাণী কোষ ও উদ্ভিদ কোষ উভয়ে থাকা এরকম মুখ্য অঙ্গাণুর নাম লিখ।
উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়া, গল্গি বডি, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, রাইবোজোম ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩৫। এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা কয়প্রকার এবং কি কি ?
উত্তরঃ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা দুই প্রকারের হয়, যথা- অমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা এবং মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা।
প্রশ্ন ৩৬। ভ্যাকুওল বা কোষগহ্বরকে ঘিরে রাখা আবরণটাকে কি বলে ?
উত্তরঃ টোনোপ্লাষ্ট।
প্রশ্ন ৩৭। নিউক্লিয়াস-এর গঠন বর্ণনা কর।
উত্তরঃ
নিউক্লিয়াস সাধারণত ডিম্বাকার হয়। ইহা কোষের মধ্যে সাইটোপ্লাজমে ডুবে থাকে। নিউক্লিয়াস নিউক্লিয়ার পর্দা নামক দ্বিস্তর বিশিষ্ট আবরণ দিয়ে ঘেরা থাকে। নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম আছে যেগুলি কোষের বিভাজনের আগে রড আকৃতির হয়। এই ক্রোমোজোম ডি.এন.এ. এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত। যেসব কোষ বিভাজনের জন্য। তৈরি নয় সেই সব কোষে ডি এন. এ. ক্রোমাটিন সূত্র আকারে থাকে। নিউক্লিয়াসের মধ্যে স্বচ্ছ, গোলাকার একটি অঙ্গাণু থাকে যেটিকে নিউক্লিওলাস বা অতিকেন্দ্র বলা হয়।
প্রশ্ন ৩৮। নিউক্লিয়াসের প্রধান কার্যগুলি বর্ণনা কর।
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের প্রধান কার্যগুলি হল-
(i) নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
(ii) কোষ বিভাজনের সময় নিউক্লিয়াস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(iii) নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকা ক্রোমোজোমগুলি জীবের বংশগতিমূলক চরিত্র বহন করে।
প্রশ্ন ৩৯। ক্রোমোজোম কি দিয়ে গঠিত ?
উত্তরঃ ক্রোমোজোম ডি. এন. এ. এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ৪০। জিন কি ?
উত্তরঃ DNA-এর কার্যগত অংশকে জিন বলে। জিনগুলি বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহকরূপে কাজ করে।
প্রশ্ন ৪১। একটি আদর্শ প্রকোষকেন্দ্রীয় কোষ এঁকে চিহ্নিত কর।
উত্তরঃ
প্রশ্ন ৪২। একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষ এঁকে চিহ্নিত কর।
উত্তরঃ
প্রশ্ন ৪৩। একটি আদর্শ প্রাণীকোষের বিভিন্ন অংগাণুগুলি চিহ্নিত চিত্র অংকন কর।
প্রশ্ন ৪৪। সাইটোপ্লাজম কি ?
উত্তরঃ কোষের নিউক্লিয়াস ছাড়া প্লাজমা পর্দার ভিতরের জলীয় অঞ্চলকে সাইটোপ্লাজম বলে।
প্রশ্ন ৪৫। মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকার কাজ কি ?
উত্তরঃ মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকার কাজ : মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকাগুলি কোষের জন্য প্রয়োজনীয় লিপিড বা চর্বি তৈরি করে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক ড্রাগ ও বিষাক্ত টক্সিন পদার্থ অপসারিত করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৪৬। অমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকার একটি প্রধান কাজ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ অমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকার গায়ে রাইবোজোম দানার মতো লেগে থাকে। এই রাইবোজোমগুলি প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
প্রশ্ন ৪৭। এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা কি এবং এর কাজ কি ?
উত্তরঃ সাইটোপ্লাজমে পর্দা ঘেরা অসংখ্যা ছোট ছোট নলিকা দিয়ে তৈরি এক জালিকা সদৃশ গঠন দেখতে পাওয়া যায়। এগুলিকে এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা বলে। এই কোষ অঙ্গাণুটি দুই প্রকারের হয়, যথা- অমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক
জালিকা এবং মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা। অমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকাগুলোর গায়ে সারিবদ্ধভাবে রাইবোজোম দানার মতো যুক্ত হয়ে থাকে। মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকাগুলোতে রাইবোজোম যুক্ত হয়ে থাকে না।
এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকার কাজ :-
(ক) এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকাগুলি সাইটোপ্লাজমের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে অথবা সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্রোটিন, এনজাইম ইত্যাদি বিভিন্ন বস্তুগুলি পরিবহনে সাহায্য করে।
(খ) কোষের সাইটোপ্লাজমে বিভিন্ন প্রকোষ্ঠ সৃষ্টির মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলিকে পৃথক রাখে।
প্রশ্ন ৪৮। মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন বর্ণনা কর।
উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়া দুটি পর্দার আবরণে আবৃত থাকে। এর বাইরের আবরণটি ছিদ্রযুক্ত এবং ভিতরের আবরণটি ভাঁজ করা থাকে। এই ভাঁজ করা আবরণের বিস্তৃত অঞ্চলে ATP অণু সংশ্লেষিত হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার রাইবোজোম এবং DNA আছে। সেজন্য এরা নিজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারে।
প্রশ্ন ৪৯। লাইসোজোম কি ? এর কার্য লিখ।
উত্তরঃ কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত আর্দ্র বিশ্লেষক উৎসেচক দ্রবণে পরিপূর্ণ থলির মতো কোষীয় অঙ্গাণুকে লাইসোজোম বলে। লাইসোজোম হল কোষের আবর্জনা পরিষ্কারক অঙ্গাণু।
লাইসোজোমের কাজ :- লাইসোজোমগুলি কোষের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া কোনো কোষ অঙ্গাণু অথবা বাইরে থেকে আসা কোনো বস্তু সেগুলি খেয়ে হজম করে কোষকে পরিষ্কার রাখে। তাছাড়া লাইসোজোমে শক্তিশালী পাচক উৎসেচক থাকার ফলে এরা সকল জৈব বস্তু পাচন করতে সক্ষম হয়।
প্রশ্ন ৫০। সঠিক উত্তর নির্বাচন করো।
(ক) নিম্নলিখিত কোন উপাদান দিয়ে ক্রোমোজোম গঠিত ?
(a) ডি. এন. এ. ও প্রোটিন।
(b) প্রোটিন।
(c) ডি. এন. এ ও লিপিড।
(d) আর. এন. এ.।
উত্তরঃ (a) ডি. এন. এ. ও প্রোটিন।
(খ) নিচের কোনটি রাইবোজোমের কাজ ?
(a) প্রোটিনের সংশ্লেষে সাহায্য করা।
(b) উৎসেচক সংশ্লেষে সাহায্য করা।
(c) হরমোন সংশ্লেষে সাহায্য করা।
(d) স্টার্চ সংশ্লেষে সাহায্য।
উত্তরঃ (a) প্রোটিনের সংশ্লেষে করা।
(গ) নীচের কোনটি এক পর্দা বিশিষ্ট ?
(a) মাইটোকনড্রিয়া।
(b) নিউক্লিয়াস।
(c) প্লাসটিড।
(d) কোষগহ্বর।
উত্তরঃ (c) কোষগহ্বর।
(ঘ) জীবন্ত কোষ কে আবিষ্কার করেছিলেন ?
(a) রবার্ট হুক।
(b) পারকিনজি।
(c) লিউয়েন হুক।
(d) রবার্ট ব্রাউন।
উত্তরঃ (c) লিউয়েন হক।
(ঙ) নীচের কোন্টি কোষের রান্নাঘর-
(a) মাইটোকনড্রিয়া।
(b) এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা।
(c) ক্লোরোপ্লাস্ট।
(d) গলগি বস্তু।
উত্তরঃ (c) ক্লোরোপ্লাস্ট।
(চ) নীচের কোনটিতে লিপিড সংশ্লেষিত হয় ?
(a) মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা।
(b) অমসৃণ এণ্ডোপ্লাজমীয় জালিকা।
(c) গলগি বডি।
(d) প্লাসটিড।
উত্তরঃ (a) মসৃণ এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা।
(ছ) লাইসোজোমের উৎপত্তি ঘটে-
(a) এণ্ডোপ্লাজমীয় জালিকা থেকে।
(b) গলগি বডি থেকে।
(c) নিউক্লিয়াস থেকে।
(d) মাইটোকনড্রিয়া থেকে।
উত্তরঃ (c) গলগি বড়ি থেকে।
(জ) নীচের কোন কোষীয় অঙ্গাণু আদি কোষে দেখা যায় ?
(a) মাইটোকনড্রিয়া।
(b) রাইবোজোম।
(c) প্লাসটিড।
(d) লাইসোজোম।
উত্তরঃ (b) রাইবোজোম।
প্রশ্ন ৫১। শূন্যস্থান পূর্ণ কর :
(a) রবার্ট হুক …………………..সনে কর্কের মধ্যে সর্বপ্রথম কোষ লক্ষ্য করেছিলেন।
উত্তরঃ 1965
(b) উৎপত্তি বিষয়ক উপকরণ দুটি হল …………………..এবং…………………..।
উত্তরঃ মাইটোকণ্ডিয়া, প্লাষ্টিড।
(c) আধুনিক কোষ মতবাদ অনুযায়ী কোষ জীবের গঠন এবং …………………..একক।
উত্তরঃ কার্যগত।
(d) …………………..আত্মঘাতী ব্যাগ বা থলি বলা হয়।
উত্তরঃ লাইসোজোমকে।
(e) বিজ্ঞানী ………………..…… কোষকে দুই প্রকারে বিভক্ত করেন।
উত্তরঃ ডগহাটি।
(f) মানুষের ………………..……কণিকাতে মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে।
উত্তরঃ লোহিত রক্ত।
(g) লিপিড এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত হওয়া আবরণকে ………………..……বলে।
উত্তরঃ কোষাবরণ।
(h) প্লাজমিড ………………..…… কোষে দেখা যায়।
উত্তরঃ প্রকোষ কেন্দ্রীয়।
(i) কিছু প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষে পাওয়া বলয়াকার নগ্ন DNA কে ………………..……বলে।
উত্তরঃ প্লাজমিড।
(j) প্রকোষ কেন্দ্রীয় কোষে মেসোজোম নামক অংগাণুতে ………………..……সম্পন্ন হয়।
উত্তরঃ শ্বসন ক্রিয়া।
(k) সংকোষ কেন্দ্রীয় কোষে কোষ প্ররসের চলনকে ………………..……চলন বলে।
উত্তরঃ ব্রাউনীয়।
(l) গলগি বড়িতে চ্যাপ্টা অর্ধচন্দ্রাকার গঠনকে ………………..……বলে।
উত্তরঃ সিষ্টারনি।
(m) হরিৎকণার অন্তঃ প্রকোষ্ঠ দুইটি অংশে বিভক্ত যথা………………..…… এবং ………………..……।
উত্তরঃ ষ্ট্ৰমা, গ্রেনাম।
(n) কোষাবরণ গঠিত হয়………………..……।
উত্তরঃ স্নেহ পদার্থ এবং প্রোটিনে।
(o) কোষস্থ বর্জিত পদার্থ সঞ্চিত করে………………..……।
উত্তরঃ রসধানী।
(p) ………………..……কে কোষের ‘কলঘর’ বলে।
উত্তরঃ রাইবোজোম।
(q) হরিৎকণাতে থাকা স্তূপীকৃত অংশকে……..………….. বলে।
উত্তরঃ গ্রেনাম।
(r) জীবিত প্রাণীর বংশাণুক্রমের একক হল……..…………..।
উত্তরঃ জিন।
(s) ……..…………..স্তরে জিনের বিনিময় হয়।
উত্তরঃ ডিপ্লোটিন।
(t) ……..…………..মাইটোসিস শব্দটি সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন।
উত্তরঃ ওয়াল্টার ফ্লেমিং।
(u) ক্রোমোনিমেটা কোষ বিভাজনের ……..…………..স্তরে সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ আদ্য।
(v) দুইটি ক্রোমেটিডের মধ্যে জিন বিনিময় হওয়া সংযোগ বিন্দুকে ……..…………..বলে।
উত্তরঃ কায়েজম।
(w) উদ্ভিদ কোষ প্ররস বিভাজন ……..…………..গঠনে সম্পন্ন হয়।
উত্তরঃ কোষ পর্দা।