Class 9 Science Chapter 6 কলা

Class 9 Science Chapter 6 কলা Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Science Chapter 6 কলা and select needs one.

Class 9 Science Chapter 6 কলা

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 9 Science Chapter 6 কলা Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 9 Science Chapter 6 কলা These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Science in Bengali Chapter 6 কলা for All Subject, You can practice these here…

কলা

               Chapter – 6

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কলা কি?

উত্তরঃ গঠনগত এবং কার্যগত দিক দিয়ে এক বা অভিন্ন কোষসমষ্টিকে কলা (Tissue) বলা হয়।

প্রশ্ন ২। বহুকোষী প্রাণী বা উদ্ভিদে কলার কি প্রয়োজন?

উত্তরঃ উদ্ভিদ দেহের কলাসমূহ উদ্ভিদকে স্থিতিস্থাপকতা দেয় অর্থাৎ গঠনগত ক্ষমতা প্রদান করে। এই সব কলার বেশীর ভাগই মৃত যেহেতু মৃত কোষ জীবিত  কোষের মতই যান্ত্রিক শক্তি দিতে পারে এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণ করারও খুব একটা প্রয়োজন হয় না।

আবার প্রাণীরা নিজেদের খাদ্য, সঙ্গী এবং আশ্রয় ইত্যাদির খোঁজে ঘোরাফেরা করতে পারে। এরা উদ্ভিদের চেয়ে বেশী শক্তি খরচ করে। এদের বেশীর ভাগ কলাই জীবিত। উদ্ভিদের বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা থাকে কিন্তু প্রাণীর তা থাকে না। উদ্ভিদের কোন কলা সারাজীবন ধরে বিভাজিত হয় কিন্তু প্রাণীর কলা-কোষের বৃদ্ধি সব জায়গায় সমান থাকে।

প্রশ্ন ৩। বিভিন্ন ধরনের সরল কলার নাম লেখ।

উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের সরল কলা হল-

(a) প্যারেনকাইমা (Parenchyma)

(b) কোলেনকাইমা (Collenchyma)

(c) স্কেরেনকাইমা (Sclerenchyma)

প্রশ্ন ৪। অগ্ৰস্থ ভাজক কলা কোথায় পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ অগ্রস্থ ভাজক কলা শিকড় এবং কাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে এবং এটি শিকড় এবং কাণ্ডের বৃদ্ধি ঘটায়।

প্রশ্ন ৫। নারকেলের আবরণ কি ধরনের কলা দিয়ে গঠিত ?

উত্তরঃ নারকেলের আবরণ স্কেরেনকাইমা কলা দ্বারা গঠিত। এই কলার কোষগুলি মৃত।

প্রশ্ন ৬। ফ্লোয়েম কলা কি দিয়ে গঠিত ?

উত্তরঃ ফ্লোয়েম কলা চার রকম কোষ দিয়ে গঠিত। এরা হল সীভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা ও ফ্লোয়েম তন্তু।

প্রশ্ন ৭। আমাদের দেহে সঞ্চালন করতে পারা পেশীর নাম কর।

উত্তরঃ আমাদের দেহে সঞ্চালন করতে পারা পেশীর নাম হল- পেশী কোষ (Muscle Cell)

প্রশ্ন ৮। স্নায়ুকোষ কি রকম দেখতে ?

উত্তরঃ একটি স্নায়ুকোষে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম থাকে এবং লম্বা হয়। এ থেকে চুলের মত অংশ বের হয়। এতে লম্বা অংশ এ্যাক্সন (Axon) এবং শাখাযুক্ত অংশ ডেনড্রাইট (Dendrite) থাকে। এটি 1 মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। নীচে স্নায়ুকোষের চিত্র দেওয়া হল।

প্রশ্ন ৯। হৃৎপেশীর তিনটি গঠনগত বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ (i) হৃৎপেশী হল অনৈচ্ছিক পেশী।

(ii) হৃৎপেশীর তত্ত্বসমূহ দীর্ঘ, ঐচ্ছিক পেশীর তন্তুর মত কিন্তু এটি শাখাযুক্ত হয়ে একটি অন্যটির সাথে লেগে থাকে।

(iii) হৃৎপেশীকলার তন্তুগুলোর কোষে মাত্র একটাই কোষকেন্দ্র থাকে।

প্রশ্ন ১০। এ্যারিওলার কলার কাজ কি কি?

উত্তরঃ এ্যারিওলার কলার কাজ হল- এরা বিভিন্ন অঙ্গাণুর মধ্যবর্তী স্থানে থাকে  এবং ভিতরের অঙ্গাণুগুলিকে দৃঢ়তা দেয় এবং কলার ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ‘কলা’র সংজ্ঞা লিখ।

উত্তরঃ যেসব কোষ আকৃতি, আকার, উৎপত্তির স্থান এবং কাজের দিক থেকে এক গুণবিশিষ্ট সেইসব কোষের সমষ্টিকে একসঙ্গে কলা (Tissue) বলে।

প্রশ্ন ২। কত ধরনের উপাদান মিলে জাইলেম কলা গঠিত হয় ?

উত্তরঃ জাইলেম কলা চাররকম কোষ দিয়ে গঠিত। এরা হল- ট্রাকিড, বাহিকা, জাইলেম প্যারেনকাইমা এবং জাইলেম তন্তু।

প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদের সরল কলা ও জটিল কলার পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ 

সরল কলাজটিল কলা
(i) একই ধরনের গঠন, আকৃতি এবং কাজ করা স্থায়ী কোষের সমষ্টিকে সরল কলা বলে।(i) গঠন এবং আকৃতিতে ভিন্নতা থাকা এবং একই বা ভিন্ন ভিন্ন কাজ করা কোষের সমষ্টিকে জটিল কলা বলে ৷
(ii) সরল কলা তিন প্রকার প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা এবং স্কেরেনকাইমা।(ii) জটিল কলা দুই প্রকার- জাইলেম বা বাষ্ট এবং ফ্লোয়েম বাষ্ট।
(iii) এটি উদ্ভিদকে শক্তি প্রদান করে।(iii) এটি উদ্ভিদকে বিস্তারণ শক্তি প্রদান করে। উদ্ভিদগুলি বাতাস, ঝড় ইত্যাদিতে নষ্ট হয় না।

প্রশ্ন ৪। কোষপ্রাচীরের উপর ভিত্তি করে প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা এবং স্ক্লেরেনকাইমার পার্থক্য লিখা।

উত্তরঃ প্যারেনকাইমা কলার কোষগুলি সমান ব্যাসযুক্ত, গোলাকৃতি অথবা বহুভুজাকৃতি। কোষগুলি সজীব এবং কোষপ্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। কোষে পেকটিন থাকে না। কোষে বায়ুগহ্বর থাকে এবং কোষের মধ্যভাগে একটি বা দুইটি রসধানী দেখা যায়।

কোলেনকাইমা কোষের আকৃতি গোলাকার নহে এবং সামান্য দীর্ঘ আকৃতির। কোষগুলি সজীব এবং কিছু পরিমাণে হরিৎকণা দেখা যায়। কোষে পেক্‌টিন থাকার জন্য কোষাবরণ শক্ত হয়। কোষে বায়ুগহ্বর থাকে না। কোষের মধ্যভাগে রসধানী দেখা যায় না।

স্ক্লেরেনকাইমা’ কলার কোষ দীর্ঘচ্ছেদে লম্বা এবং দুইপ্রান্ত সূচের মত সরু, প্রস্থচ্ছেদে ষড়ভূজাকৃতি হয়। কোষে লিগনিন থাকার জন্য কোষপ্রাচীর শক্ত ও মোটা হয়। এই কোষগুলো সরু, লম্বা, আঁশের মত হওয়ার জন্যে স্ক্লেরেনকাইমা কোষকে তন্ত্র এবং কলাকে তন্তুকলা বলে।

প্রশ্ন ৫। পত্ররন্ধ্রের কাজ কি কি ?

উত্তরঃ পত্ররন্ধ্রগুলো দুটো করে কিডনীর মত দেখতে রক্ষীকোষ (Guard cell) দিয়ে বেষ্টন করে থাকে। পরিবেশের সাথে গ্যাসের দেওয়া নেওয়াতে এরা উদ্ভিদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পত্ররন্ধ্র দিয়ে উদ্ভিদের প্রস্বেদন বা transpiration হয়।

প্রশ্ন ৬। তিন ধরনের পেশীতন্ত্রের পার্থক্য চিত্র সহকারে দেখাও।

উত্তরঃ পেশীতন্ত্র লম্বা লম্বা কোষ দিয়ে গঠিত। পেশীগুলিতে বিশেষ ধরনের প্রোটিন থাকে যাদের সংকোচনশীল বলে, যে প্রোটিন সংকোচন এবং প্রসারণ দ্বারা সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।

পেশীতন্ত্র তিন ধরনের-

(i) সরেখ পেশী (Striated muscle) 

(ii) মসৃণ পেশী (Smooth muscle

(iii) হৃদ পেশী (Cardiac muscle)

সরেখ পেশী হল একপ্রকার ঐচ্ছিক পেশী। এই কলার প্রতিটি কোষ লম্বা নলাকার, শাখাহীন এবং বহু নিউক্লিয়াসযুক্ত। মসৃণ পেশী হল অনৈচ্ছিক পেশী। এই পেশীর কোষ লম্বা, মাকুর আকারের এবং একটিমাত্র নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়।

হৃদ পেশী ছন্দময় সংকোচন এবং প্রসারণ ঘটায়। এই পেশীর কোষ বেলনাকার বা নলাকার এবং একটি নিউক্লিয়াস যুক্ত।

নীচে তিন ধরনের পেশীতন্ত্রের চিত্র দেওয়া হল-

প্রশ্ন ৭। হৃদপেশীর নির্দিষ্ট কাজ কি ?

উত্তরঃ হৃদপেশীর নির্দিষ্ট কাজ হল হৃদপিন্ডের পেশীর ছন্দময় সংকোচন ও প্রসারণ ঘটানো।

প্রশ্ন ৮। আকৃতি এবং অবস্থান বিচার করে সরেখ, অরেখ এবং হৃদপেশীর পার্থক্য বোঝাও।

উত্তরঃ (i) সরেখ বা ঐচ্ছিক পেশী দীর্ঘ, চোঙাকৃতি, শাখাবিহীন তত্ত্বকোষ দ্বারা গঠিত। কোষ প্ররসে একাধিক কোষকেন্দ্র পাওয়া যায়। পেশীতন্তুগুলির গায়ে অনুপস্থভাবে কিছু স্বচ্ছ এবং অস্বচ্ছ রেখা থাকে। এদের পেশীতে সারকোলেমা নামক একটি আবরণ থাকে।

(ii) অরেখ বা অনৈচ্ছিক পেশী দীর্ঘ এবং টাকু আকৃতির কিন্তু পেশীতত্ত্ব দ্বারা গঠিত। তন্তুগুলির কোষ প্ররসে একটি স্পষ্ট কোষ কেন্দ্র থাকে। এদের গায়ে কোন অনুপ্রস্থীয় রেখা থাকে না। এই পেশীর তন্তুকোষে সারকোলেমা থাকে না।

(iii) হৃদপেশীর পেশী অনৈচ্ছিক এবং তত্তসমূহ দীর্ঘ, কিন্তু এটি শাখাযুক্ত হয়ে একটি অন্যটির সঙ্গে সংযোজিত থাকে। তন্তুগুলির অনুপ্রস্থীয় রেখা থাকে না। এই কলার তন্তুকোষে একটি মাত্র কোষকেন্দ্র থাকে।

প্রশ্ন ৯। স্নায়ুকোষের লেবেল চিত্র আঁক।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ১০। নীচের বাক্যগুলো পড়ে নাম লেখ ।

(a) আমাদের মুখগহ্বরের ভেতরের ত্বক বা আবরণের কলা।

(b) মানুষের দেহে পেশীকে অস্থির সঙ্গে যুক্ত করে যে কলা।

(c) উদ্ভিদের দেহে যে কলা খাদ্য সংবহন করে।

(d) আমাদের দেহে যে কলা চর্বি সংরক্ষণ করে।

(e) ম্যাট্রিক্স তরলসহ যোগকলা।

উত্তরঃ (a) স্কোয়ামাস্ এপিথিলিয়াম (Squamous epithelium)

(b) টেন্ডন (Tendon)

(c) ফ্লোয়েম (Floem)

(d) এডিপোস্ টিসু (Adipose tissue)

(e) রক্ত (Blood)

প্রশ্ন ১১। নীচের অঙ্গে যে সব কলা থাকে তাদের নাম বল।

ত্বক, গাছের ছাল, অস্থি, বৃক্কনলীকার ভেতরের ত্বক, সংবহন কলা।

উত্তরঃ ত্বক – সোজা স্কোয়ামাস্ এপিথিলিয়াম। গাছের ছাল : কর্ক সংরক্ষক কলা। 

অস্থি – সংযোজক কলা। 

বৃক্কনলীকার ভেতরের ত্বক – ঘনকাকার। এপিথিলিয়াম। 

সংবহন কলা – পরিবহণ কলা।

প্রশ্ন ১২। প্যারেনকাইমা কলা যে অঞ্চলে পাওয়া যায় সেই অঞ্চলের নাম কি ?

উত্তরঃ প্যারেনকাইমা সাধারণতঃ কর্টেক্স (Cortex) এবং মূল ও কাণ্ডের মধ্যে থাকে। এতে ক্লোরোফিল থাকলে তখন একে বলা হয় ক্লোরেনকাইমা ইহা সবুজ পাতায় দেখা যায়।

প্রশ্ন ১৩। উদ্ভিদের বহিঃত্বকের কাজ কি ?

উত্তরঃ উদ্ভিদের বহিঃত্বক উদ্ভিদকে দৃঢ়তা প্রদান করে। এটি উদ্ভিদকে সমস্ত অংশে দৃঢ়তা দেয়। কোষের এপিডারমিস্ সর্বদা নতুন নতুন স্তর গঠন করে উদ্ভিদকে নিরাপত্তা প্রদান করে।

প্রশ্ন ১৪। কর্ক কিভাবে রক্ষণকারী কলা হিসাবে কাজ করে ?

উত্তরঃ গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বাইরের রক্ষণকারী কোষের পরিবর্তন দেখা যায়। কাণ্ডের বহিঃক্তক-এর কোষ নষ্ট হলে সেই জায়গায় গৌণ ভাজক কলা গঠিত হয়। এই স্তরের বাহিরের দিকের কোষগুলো নষ্ট হয়। এইভাবে কয়েকটা স্তরযুক্ত হয়ে পুরু কর্ক জাতীয় গাছের ছাল সৃষ্টি হয়। কর্কের কোষগুলো মৃত হয় এবং কোষ মধ্যবর্তী অঞ্চল ছাড়া কোষগুলো ঘনভাবে সজ্জিত থাকে।

তাদের প্রাচীরে সুবেরিন নামক একরকম রাসায়নিক পদার্থ থাকে যারা এই কোষগুলোকে গ্যাস বা জল চলাচল করতে দেওয়া থেকে আটকায় বা বাধা দেয়।

প্রশ্ন ১৫। নীচের তালিকা সম্পূর্ণ কর।

উত্তরঃ 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। নিবেশিত ভাজক কলা কি ?

উত্তরঃ যে ভাজক কলা উদ্ভিদ অঙ্গের দুটি স্থায়ী কলাস্তরের মধ্যে অবস্থান করে তাকে নিবেশিত ভাজক কলা বলে।

প্রশ্ন ২। প্রোটাডার্ম কি ?

উত্তরঃ অগ্রস্থ ভাজক কলার যে অংশ বহিঃত্বক গঠন করে তাকে প্রোটাডার্ম বলে।

প্রশ্ন ৩। প্রোক্যাম্বিয়াম কি ?

উত্তরঃ অগ্রস্থ ভাজক কলার যে অংশ শিরাত্বক কলা গঠন করে তাকে প্রোক্যাম্বিয়াম বলে।

প্রশ্ন ৪। গ্রাউণ্ড মেরিস্টেম কাকে বলে?

উত্তরঃ অগ্রস্থ ভাজক কলার যে অংশ বহিঃস্তর ও মজ্জা গঠন করে তাকে গ্রাউণ্ড মেরিস্টেম বলে।

প্রশ্ন ৫। প্যারেনকাইমা কি ?

উত্তরঃ সেলুলোজ নির্মিত পাতলা কোষ প্রাচীর যুক্ত সরল কোষ সমষ্টিকে প্যারেনকাইমা বলে।

প্রশ্ন ৬। এরেনকাইমা কি ?

উত্তরঃ বৃহদ্ কোষান্তর রন্ধ্রযুক্ত প্যারেনকাইমা কলাকে এরেনকাইমা বলে।

প্রশ্ন ৭। ইডিওব্লাস্ট কাকে বলে ?

উত্তরঃ বর্জ্য বস্তু সম্বলিত প্যারেনকাইমা কোষকে ইডিওব্লাস্ট বলে।

প্রশ্ন ৮। পাটের তন্তু কি ধরনের তন্তু ?

উত্তরঃ স্ক্লেরেনকাইমা তত্ত্ব বা বাস্ট তন্তু।

প্রশ্ন ৯। স্ক্লেরাইড কি ?

উত্তরঃ কূপ নালিকাযুক্ত খর্ব স্ক্লেরেনকাইমা কোষকে ফ্লোরাইড বলে।

প্রশ্ন ১০। আবরণী কলা কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে কলা সকল অঙ্গের মুক্ত তলকে আচ্ছাদিত করে অবস্থিত থাকে তাকে আবরণী কলা বলে।

প্রশ্ন ১১। যোগকলা কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে কলা দুটি পৃথক কোষ বা কলাকে যুক্ত রাখে তাকে যোগকলা বলে।

প্রশ্ন ১২। পেশী কলা কাকে বলে ?

উত্তরঃ প্রাণীর দেহে অঙ্গ সঞ্চালন যে কলার সাহায্যে ঘটে থাকে, তাকে পেশী-কলা বলে।

প্রশ্ন ১৩। সরেখ ঐচ্ছিক পেশী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে পেশী অনুপ্রস্থে রেখাংকিত থাকে এবং যার নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির ইচ্ছাধীন তাকে সরেখ ঐচ্ছিক পেশী বলে।

প্রশ্ন ১৪। মসৃণ অনৈচ্ছিক পেশী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে পেশী অনুপ্রস্থে রেখাঙ্কিত নহে এবং যার নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তি ইচ্ছাধীন নহে তাকে মসৃণ অনৈচ্ছিক পেশী বলে।

প্রশ্ন ১৫। হৃদপেশী বা সরেখ অনৈচ্ছিক পেশী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে পেশার অনুপ্রস্থ রেখাঙ্কিত অথচ যার নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির ইচ্ছাধীন নয়। তাকে হৃদপেশী রা সরেখ অনৈচ্ছিক পেশী বলে।

প্রশ্ন ১৬। স্নায়ুকলা কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে স্বতন্ত্র কলার মাধ্যমে প্রাণী উত্তেজনা গ্রহণ, পরিচালনা করে এবং আবেগে সাড়া দেয় সেই কলাকে স্নায়ুকলা বলে।

প্রশ্ন ১৭। স্নায়ুসন্ধি বা সাইন্যাপস্ কি ?

উত্তরঃ (i) দুটি স্নায়ুকোষের কার্যকরী যোগাযোগ বিন্দুকে স্নায়ুসন্ধি বলে।

(ii) যে সংযোগকারী বিন্দুর মাধ্যমে একটি স্নায়ুকোষ হতে অপর স্নায়ুকোষে আবেগ প্রেরিত হয় তাকে স্নায়ুসন্ধি বলে।

প্রশ্ন ১৮। উদ্ভিজ্জ কলার বিভাজন ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে তাদের দুটি প্রধান বিভাগের নাম লিখ।

উত্তরঃ ভাজক কলা এবং স্থায়ী কলা।

প্রশ্ন ১৯। অবস্থান অনুসারে ভাজক কলাকে কয়ভাগে ভাগ করতে পারি এবং কি কি ?

উত্তরঃ অবস্থান অনুসারে ভাজক কলাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

(ক) অগ্ৰস্থ ভাজক কলা।

(খ) নিবেশিত ভাজক কলা।এবং 

(গ) পার্শ্বস্থ ভাজক কলা।

প্রশ্ন ২০। কোন ধরনের ভাজক কলা উদ্ভিদের শিকড় ও কাণ্ডের বৃদ্ধি ঘটায় ?

উত্তরঃ অগ্রস্থ ভাজক কলা উদ্ভিদের শিকড় ও কাণ্ডের বৃদ্ধি ঘটায়।

প্রশ্ন ২১। কোন প্রকার ভাজক কলা কাণ্ড এবং শিকড়ের পরিধির আয়তন বাড়ায় ?

উত্তরঃ পার্শ্বস্থ ভাজক কলা নামক একপ্রকার প্রাথমিক ভাজক কলা উদ্ভিদের কাণ্ড এবং শিকড়ের পরিধির আয়তন বাড়ায়।

প্রশ্ন ২২। উদ্ভিদের পাতার নীচে এবং কাণ্ডের পর্বমধ্যে পাওয়া ভাজক কলাগুলোকে কি বলে ?

উত্তরঃ উদ্ভিদের পাতার নীচে এবং কাণ্ডের পর্বমধ্যে পাওয়া ভাজক কলাগুলোকে নিবেশিত ভাজক কলা বলে।

প্রশ্ন ২৩। স্থায়ী কলা কাকে বলে? স্থায়ী কলা কি কি প্রকারের হতে পারে ?

উত্তরঃ উদ্ভিদের ভাজক কলা থেকে উৎপত্তি হওয়া কোষসমূহের বিভাজন ক্ষমতা যখন হারিয়ে যায় তখন এই প্রকার কোষগুলি একটা নির্দিষ্ট আকার বা আকৃতি ধারণ করে স্থায়ী কোষে পরিণত হয়। এই ধরনের স্থায়ী কোষ দ্বারা গঠিত কলাকে স্থায়ী কলা বলে।

স্থায়ী কলার আকৃতি, প্রকৃতি, গঠন এবং কার্য সম্পাদনের ওপর ভিত্তি করে স্থায়ী কলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা- সরল কলা এবং জটিল কলা।

প্রশ্ন ২৪। উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে গঠনগত ও কার্যগত পার্থক্যগুলি লিখ।

উত্তরঃ 

উদ্ভিদপ্রাণী
(ক) উদ্ভিদেরা স্থির, এরা চলতে পারে না। তাই এদের বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় না।(ক) প্রাণীরা তাদের খাদ্যসঙ্গী ও আশ্রয় ইত্যাদির খোঁজে চলাফেরা করে। তাই এরা উদ্ভিদের চেয়ে বেশি শক্তি খরচ করে।
(খ) উদ্ভিদ দেহের কলাসমূহ উদ্ভিদকে স্থিতিস্থাপকতা দেয় অর্থাৎ গঠনগত ক্ষমতা প্রদান করে। এদের বেশির ভাগ কলাগুলি মৃত।(খ) প্রাণীদের বেশির ভাগ কলা বা কোষগুলি জীবিত এবং সজীব প্রোটোপ্লাজম থাকে।
(গ) উদ্ভিদের বৃদ্ধি কোনও কোনও নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে। আবার উদ্ভিদের কোনও কোনও কলা সারা জীবন ধরে বিভাজিত হয়। তাই উদ্ভিদের বৃদ্ধি সারা জীবন ধরে চলে।(গ) প্রাণীদেহে কোষের বৃদ্ধি সমভাবে হয়। তাই প্রাণীর দেহে বিভাজন বা অবিভাজন বলে কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চল থাকে না। প্রাণীদেহের বৃদ্ধি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।

প্রশ্ন ২৫। ভাজক কলার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ভাজক কলার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য – ভাজক কলার কে ষগুলোতে ঘন সাইটোপ্লাজম, পাতলা কোষপ্রাচীর এবং সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে। কোষে সাধারণত গহ্বর বা ভ্যাকুওল থাকে না। কোষগুলি ঘনসন্নিবিষ্ট হওয়ায় কোষগুলির মধ্যে কোনো ফাঁকা স্থান থাকে না। ভাজক কলাগুলি সব সময় বিভাজিত হয়ে নতুন অপত্য কোষ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ২৬। অবস্থান অনুসারে ভাজক কলার একটি চিহ্নিত চিত্র অংকন কর এবং প্রত্যেক প্রকার ভাজক কলার কার্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অবস্থান অনুসারে ভাজক কলাকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা- অগ্রস্থ ভাজক কলা, পার্শ্বস্থ ভাজক কলা এবং নিবেশিত ভাজক কলা।

অগ্রস্থ ভাজক কলা – অগ্রস্থ ভাজক কলা শিকড় ও কাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে এবং শিকড় ও কাণ্ডের বৃদ্ধি ঘটায়।

পার্শ্বস্থ ভাজক কলা – কাণ্ড এবং শিকড়ের পরিধির দিকে থাকা ভাজক কলাকে পার্শ্বস্থ ভাজক কলা বলে। কাণ্ড এবং শিকড়ের প্রস্থে বা পরিধিতে বৃদ্ধি ঘটানো এই প্রকার কলার কাজ।

নিবেশিত ভাজক কলা – উদ্ভিদের পাতার নীচে বা কাণ্ডের পর্বমধ্যে থাকা ভাজক কলাকে নিবেশিত ভাজক কলা বলে। এই ধরনের কলা কক্ষমুকুল ও ডালের সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ২৭। চিত্রসহ বিভিন্ন সরল কলার গঠনের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ একই ধরনের গঠন, আকৃতি এবং একই ধরনের কাজ করা স্থায়ী কোষের সমষ্টিকে সরল কলা বলে। সরল কলা তিন প্রকারের হয়। যথা-

(ক) প্যারেনকাইমা। 

(খ) কোলেনকাইমা। 

(গ) স্কেরেনকাইমা।

(ক) প্যারেনকাইমা কলার গঠন – 

প্যারেনকাইমা কোষগুলি সজীব এবং কোষপ্রাচীর পাতলা। কোষগুলির মধ্যে কোষ মধ্যবর্তী স্থান বা ফাঁকা জায়গা থাকে। এই প্যারেনকাইমা জাতীয় কোষগুলি নানাভাবে রূপান্তরিত হয়। বিশেষ কোনও কোনও জায়গায় এই কলার কোষে ক্লোরোফিল নামক সবুজ কণা থাকে এবং এগুলি সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ক্লোরোফিল থাকা এই জাতীয় প্যারেনকাইমা কোষকে: ক্লোরেনকাইমা বলে। জলজ উদ্ভিদের প্যারেনকাইমা কলার কোষের মধ্যে বায়ুগহ্বর থাকে। এই বায়ুগহ্বরগুলি জলজ উদ্ভিদকে জলে ভেসে থাকতে সাহায্য করে। বায়ুগহ্বর থাকা এই জাতীয় প্যারেনকাইমা কোষকে বায়ুকলা বলে।

(খ) কোলেনকাইমা কলার গঠন – এই প্রকার কলার কোষগুলি সজীব, লম্বা, আবার কোণগুলি স্থূল হতে দেখা যায়। কোষের মধ্যে কোষ মধ্যবর্তী ফাঁক খুব কম পরিমাণে থাকে। সাধারণত পাতার বহিঃস্তরের নীচে এই প্রকার কলা দেখতে পাওয়া যায়।

(গ) স্কেরেনকাইমা কলার গঠন – এই প্রকার কলার কোষগুলি মৃত। এরা লম্বা ও সরু, কোষপ্রাচীর লিগনিনযুক্ত হওয়ায় দৃঢ় ও মোটা হয়। কোষপ্রাচীর এত স্থূল হয় যে কোষ মধ্যবর্তী কোনও ফাঁক থাকে না। এই প্রকার কলা উদ্ভিদের কাণ্ডে, নলিকা বাণ্ডিলে, পাতার শিরায় এবং বীজ ও বাদামের আবরণে থাকে।

প্রশ্ন ২৮। পত্ররন্ধ্র কি ? এর একটি প্রধান কাজ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ উদ্ভিদের পাতার বহিঃস্তকে অনেকগুলি ছোট ছোট ছিদ্র দেখতে পাওয়ায় এই ছিদ্রগুলোকে পত্ররন্ধ্র বলে। প্রতিটি পত্ররন্ধ্রের দুপাশে এক জোড়া বিশেষ কোষ থাকে যাকে রক্ষীকোষ বলা হয়। পত্ররন্ধ্রের ছিদ্র খুলে যাওয়া এবং বন্ধ হওয়া এই রক্ষীকোষ দুটি নিয়ন্ত্রণ করে। উদ্ভিদের প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় পত্ররন্ধ্র এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ২৯। জটিল কলা কাকে বলে? জটিল কলা কত প্রকারের ও কি কি ?

উত্তরঃ গঠন এবং আকৃতিতে ভিন্নতা থাকা এবং একই বা ভিন্ন কাজ করা কোষের সমষ্টিকে জটিল কলা বলে।

জটিল কলা দুই প্রকারের হয়। যথা- জাইলেম ও ফ্লোয়েম।

প্রশ্ন ৩০। সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।

(ক) সংবহণ কলা। 

(খ) জাইলেম। 

(গ) ফ্লোয়েম।

উত্তরঃ (ক) সংবহন কলা – উদ্ভিদের সংবহন গুচ্ছে থাকা জটিল কলাকে সংবহন কলা বলে। জাইলেম এবং ফ্লোয়েম উদ্ভিদ দেহের একপ্রকার সংবহন কলা ৷

(খ) জাইলেম – জাইলেম উদ্ভিদ দেহের একপ্রকার সংবহন কলা। জাইলেম কলা ট্রাকিড, বাহিকা, জাইলেম প্যারেনকাইমা এবং জাইলেম তত্ত্ব এই চারপ্রকার কোষ দিয়ে গঠিত। এই কোষগুলোর প্রাচীর পুরু মোটা এবং জাইলেম প্যারেনকাইমা ছাড়া জাইলেম কলার সকল কোষই মৃত। ট্রাকিড এবং বাহিকাগুলো নলাকার এবং এরা জল ও খনিজ পদার্থ বহন করে। প্যারেনকাইমা কোষ খাদ্যসঞ্চয় করে এবং পাশাপাশিভাবে জল পরিবহন করে। প্যারেনকাইমা তন্তু উদ্ভিদকে দৃঢ়তা প্রদান করে।

(গ) ফ্লোয়েম – ফ্লোয়েম উদ্ভিদ দেহের একপ্রকার সংবহন কলা। এই ধরনের কলা চারপ্রকার কোষ দিয়ে গঠিত। যথা- সীভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা এবং ফ্লোয়েম তন্তু। ফ্লোয়েম তন্তু ছাড়া ফ্লোয়েম কলার সকল কোষই জীবিত। ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে উদ্ভিদের পাতায় প্রস্তুত হওয়া খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গে পরিবাহিত হয়।

প্রশ্ন ৩১। কলার কার্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার প্রাণীকলার নাম লিখ।

উত্তরঃ কলার কার্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারের প্রাণীকলাগুলি হল- অধিচ্ছদীয় কলা, যোগকলা, পেশীকলা এবং স্নায়ুকলা।

প্রশ্ন ৩২। অধিচ্ছদীয় কলার বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ যে কলাগুলি দেহের ভিতরের এবং বাইরের বিভিন্ন অঙ্গের আবরণ গঠন করে তাদের অধিচ্ছদীয় বা আবরণী কলা বলে। অধিচ্ছদীয় কলার বৈশিষ্ট্য – 

(ক) অধিচ্ছদীয় কলার কোষগুলি খুব ঘনভাবে যুক্ত থাকে, কোষ মধ্যবর্তী অঞ্চল প্রায় থাকেই না।

(খ) কোষগুলি একটি বহিকোষীয় পর্দার ওপর সজ্জিত থাকে।

(গ) এই কলায় কোনো রক্তবাহ থাকে না।

প্রশ্ন ৩৩। পার্থক্য লিখ।

(i) প্যারেনকাইমা এবং কোলেনকাইমা। 

(ii) জাইলেম এবং ফ্লোয়েম।

(iii) ভাজক কলা এবং স্থায়ী কলা।

উত্তরঃ প্যারেনকাইমা এবং কোলেনকাইমা।

প্যারেনকাইমাকোলেনকাইমা
(ক) প্যারেনকাইমা কলার কোষগুলি সজীব এবং কোষপ্রাচীর পাতলা। কোষগুলোর মধ্যে কোষ মধ্যবর্তী অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে।(ক) কোলেনকাইমা কলার কোষগুলি  সজীব এবং লম্বা। এদের কোষগুলির কোষপ্রাচীরে সেলুলোজ ও পেকটিন জমা হয়ে বেশ মোটা হয়। কোষের মধ্যে কোষ মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা খুব কম থাকে।
(খ) প্যারেনকাইমা জাতীয় কোষ গুলি নানাভাবে রূপান্তরিত হয়। যেমন- জলজ উদ্ভিদের প্যারেন কাইমা কোষগুলিতে বায়ুগহ্বর থাকে এগুলিকে বায়ুকলা বলে।(খ) কোলেনকাইমা জাতীয় কোষগুলি প্যারেনকাইমা কোষের মতো রূপান্তরিত হয় না এবং এদের কলার কোষে কোনো গহ্বর থাকে না।

উত্তরঃ (ii) জাইলেম এবং ফ্লোয়েম।

জাইলেমফ্লোয়েম
(ক) জাইলেম কলা ট্রাকিড, বাহিকা,জাইলেমপ্যারেনকাইমা এবং জাইলেন তন্তু এই চার প্রকারের কোষ দিয়ে গঠিত।(ক) ফ্লোয়েম কলা সীভনল, সঙ্গী কোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা এবং ফ্লোয়েম তন্তু এই চার ধরনের কোষ দিয়ে গঠিত।
(খ) জাইলেম প্যারেনকাইমা ছাড়া জাইলেম কলার সকল কোষই মৃত।(খ) ফ্লোয়েম তন্তু ছাড়া ফ্লোয়েম কলার সকল কোষই জীবিত।
(গ) জাইলেম কলার মাধ্যমে জল ও দ্রবীভূত খনিজ পদার্থের ঊর্ধমুখী সংবহন ঘটে।(গ) ফ্লোয়েম রুলার মাধ্যমে খাদ্যবস্তুর ঊর্ধমুখী ও নিম্নমুখী পরিবহন সম্পন্ন হয়।

উত্তরঃ (iii) ভাজক কলা এবং স্থায়ী কলা।

ভাজক কলাস্থায়ী কলা
(ক) ভাজক কলার কোষগুলি ভাজনশীল অর্থাৎ কোষগুলি বিভক্ত হয়ে নতুন নতুন কোষ উৎপন্ন করে।(ক) উদ্ভিদের ভাজক কলা থেকে উৎপত্তি হওয়া কোষসমূহের বিভাজন ক্ষমতা ক্রমশ লোপ পায় এবং এই কোষগুলি একটা নির্দিষ্ট আকার বারণ করে স্থায়ী কোষে পরিণত হয়। এই ধরনের স্থায়ী কোষ দ্বারা স্থায়ী কলা গঠিত হয়।
(খ) ভাজক কলার কোষগুলি অপরিণত অবস্থায় থাকে।(খ) স্থায়ী কলার কোষগুলি পরিপক্ক হয়ে কার্যক্ষম কোষে পরিণত হয়।
(গ) কোষগুলোতে ঘন সাইটোপ্লাজম এবং সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে। কোষে সাধারণত গহ্বর বা ভ্যাকুওল থাকে না।(গ) কোষগুলোতে বড় গহ্বর বা ভ্যাকুওল এবং স্বাভাবিক নিউক্লিয়াস থাকে।
(ঘ) ভাজক কলার জন্যই উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি ও তাদের দেহের আয়তন বা কলেবর বৃদ্ধি পায়।(ঘ) স্থায়ীকলা উদ্ভিদের বিভিন্ন যান্ত্রিক এবং জৈবিক কার্য সম্পাদনে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৩৪। বিভিন্ন প্রকার সরল অধিচ্ছদীয় কলার বিষয়ে লিখ।

উত্তরঃ সরল অধিচ্ছদীয় কলাগুলি এক স্তরবিশিষ্ট কোষ দ্বারা গঠিত। কোষের আকৃতি অনুসারে এই কলা বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যথা-

(i) সরল শল্কী অধিচ্ছদ কলা – এই প্রকার কলা চওড়া চ্যাপ্টা কোষ দ্বারা গঠিত। প্রতিটি কোষে একটি সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে। কোষগুলি ঘনভাবে সজ্জিত থাকে। ফুসফুসের বায়ুথলি, রক্তনালিকা ইত্যাদি স্থানে এই কলা থাকে।

(ii) স্তম্ভাকার অধিচ্ছদ কলা – এই প্রকার কলার কোষগুলি স্তম্ভের মতো আকৃতিবিশিষ্ট। পাকস্থলী, অস্ত্র ইত্যাদিতে এই কলা থাকে।

(iii) লোমযুক্ত স্তম্ভাকার উপকলা – কোষগুলি স্তম্ভাকার আকৃতির হয়। কোষের মুক্তপ্রান্তে লোম বা সিলিয়া থাকে। এই সিলিয়া বা লোমগুলি নড়াচড়া করতে পারে। শ্বাসনলীতে এই প্রকার কলা দেখতে পাওয়া যায়।

(iv) ঘনাকৃতি অধিচ্ছদ কলা – একস্তরবিশিষ্ট ঘন আকারের কোষ দ্বারা গঠিত। বৃক্কনলীর ভেতরের পর্দা, লালাগ্রন্থির নলীর পর্দা ইত্যাদি স্থানে এই কলা থাকে।

প্রশ্ন ৩৫। কলার কার্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার প্রাণীকলার নাম লিখ।

উত্তরঃ কলার কার্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারের প্রাণীকলাগুলি হল-অধিচ্ছদীয় কলা, যোগকলা, পেশীকলা এবং স্নায়ুকলা।

প্রশ্ন ৩৬। অধিচ্ছদীয় কলার বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ যে কলাগুলি দেহের ভিতরের এবং বাইরের বিভিন্ন অঙ্গের আবরণ গঠন করে তাদের অধিচ্ছদীয় বা আবরণী কলা বলে।

অধিচ্ছদীয় কলার বৈশিষ্ট্য-

(ক) অধিচ্ছদীয় কলার কোষগুলি খুব ঘনভাবে যুক্ত থাকে, কোষ মধ্যবর্তী অঞ্চল প্রায় থাকেই না।

(খ) কোষগুলি একটি বহিকোষীয় পর্দার ওপর সজ্জিত থাকে।

(গ) এই কলায় কোনো রক্তবাহ থাকে না।

প্রশ্ন ৩৭। স্তরীভূত শল্কী অধিচ্ছদ কলার গঠন সম্পর্কে লিখ।

উত্তরঃ স্তরীভূত শঙ্কী অধিচ্ছদ কলা : এই প্রকার কলার কোষগুলি অনেকগুলি স্তরে সজ্জিত থাকে। সেজন্য এদেরকে স্তরীভূত শঙ্কী অধিচ্ছদ কলা বলে। ত্বক এই কলার একটি উদাহরণ।

প্রশ্ন ৩৮। গ্রন্থিময় উপকলা সম্পর্কে লিখ।

উত্তরঃ গ্রন্থিময় উপকলার কোষগুলি ঘনকাকার বা স্তম্ভাকার হয়। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ক্ষরণের জন্য এই কলার কোষগুলি বিশেষভাবে গঠিত এবং কলাস্তরটি ভিতরের দিকে কতকগুলি ভাঁজ গঠন করে। এই প্রকার কলা লালা গ্রন্থি, স্তনগ্রন্থি, ঘর্মগ্রন্থি ইত্যাদির আবরণী স্তর গঠন করে।

প্রশ্ন ৩৯। যোগকলা কাকে বলে? যোগকলার বৈশিষ্ট্যগুলি লিখ।

উত্তরঃ যে সব কলা দেহের অন্যান্য কলা ও অঙ্গসমূহের সংযোগ সাধন করে তাদের যোগকলা বলে।

যোগকলার বৈশিষ্ট্য –

(ক) যোগকলার কোষগুলি বিচ্ছিন্নভাবে অন্তঃকোষীয় রসের মধ্যে ছড়ানো থাকে। এই অন্তঃকোষীয় রস জেলির মতো তরল বা ঘন হয়।

(খ) যোগকলায় অন্তঃকোষীয় রসের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে।

প্রশ্ন ৪০। কি কি প্রকারের যোগকলা হতে পারে সেগুলির নাম লিখ।

উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকারের যোগকলাগুলি হল এ্যারিওলার কলা, এ্যাডিপোজ কলা, অস্থি, উপাস্থি, টেণ্ডন, অস্থিরজ্জু এবং রক্ত।

প্রশ্ন ৪১। রক্তকে যোগকলা বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ রক্তের কোষীয় উপাদান অপেক্ষা অন্তঃকোষীয় রসের পরিমাণ বেশি। রক্ত প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও অঙ্গতন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ সাধন করে। সেজন্য রক্তকে যোগকলা বলা হয়।

প্রশ্ন ৪২। এ্যারিওলার যোগকলা দেহের কোন কোন স্থানে থাকে? এদের কাজ সংক্ষেপে লিখ।

উত্তরঃ এ্যারিওলার যোগকলা দেহের ত্বক এবং মাংসপেশীর মধ্যে, রক্তনালীর চারপাশে, শিরার চারপাশে এবং অস্থির চারপাশে ইত্যাদি স্থানে দেখতে পাওয়া যায়।

কার্য – এই প্রকার কলা দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে থাকে বলে ভিতরের অঙ্গগুলিকে দৃঢ়তা প্রদান করে এবং কলার ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৪৩। রক্ত কি ? রক্তের প্রধান উপাদানগুলি কি কি? রক্তের কাজগুলি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ (i) রক্ত একপ্রকার তরল যোগকলা। প্লাজমা বা রক্তরস এবং রক্তকণিকা দ্বারা রক্ত গঠিত হয়। রক্তের তরল অংশকে প্লাজমা বলে। প্লাজমাতে প্রোটিন লবণ এবং হরমোন থাকে। প্লাজমা বা রক্তরসের মধ্যে লোহিতকণিকা, শ্বেতকণিকা এবং অনুচক্রিকা ভেসে থাকে।

রক্তের কার্য – (ii) রক্ত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রবাহিত হওয়ার সময় অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস, পাচিত খাদ্য, হরমোন ও বর্জ্য পদার্থ বহন করে।

প্রশ্ন ৪৪। এ্যাডিপোজ কলার গঠন ও কাজ সংক্ষেপে লিখ।

উত্তরঃ এ্যাডিপোজ কলা চর্বি দিয়ে ভর্তি থাকা একপ্রকার কোষ দিয়ে গঠিত। এই কলা চামড়ার নীচে এবং অন্তস্থ অঙ্গাণুর মধ্যবর্তী স্থানে থাকে।

কার্য – এ্যাডিপোজ কলা আঘাত প্রতিরোধে, চর্বি সঞ্চয়ে এবং ইনসুলেটর হিসাবে দেহের তাপ সংরক্ষণে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৪৫। অনৈচ্ছিক পেশীর গঠন বর্ণনা কর। এই প্রকার পেশী দেহের কোন কোন স্থানে থাকতে দেখা যায় ?

উত্তরঃ অনৈচ্ছিক পেশীর গঠন : এই প্রকার পেশীর কোষ লম্বা, মাকু আকারের এবং একটিমাত্র নিউক্লিয়াসযুক্ত হয়। অনৈচ্ছিক পেশীর গায়ে কোনো অনুপ্রস্থীয় রেখা থাকে না। সেজন্য এদেরকে অরেখ পেশীও বলা হয়। অনৈচ্ছিক পেশীর সঞ্চালন আমাদের নিজ ইচ্ছানুসারে হয় না। অনৈচ্ছিক পেশী প্রধানত পাকস্থলী, অস্ত্র, ফুসফুস, চোখের মণি, মূত্রাশয় ইত্যাদি স্থানে থাকে।

প্রশ্ন ৪৬। অস্থিকলার গঠন ও কাজ সম্পর্কে লিখ।

উত্তরঃ অস্থিকলা – অস্থিকলা এক ধরনের যোগকলা। এই কলার কোষগুলি এক শক্ত ম্যাট্রিক্স বা আধার দ্রব্যে ছড়ানো থাকে। অস্থিকলার ম্যাট্রিক্স ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যৌগ দিয়ে গঠিত।

অস্থিকলার কাজ – অস্থি দেহের কাঠামো গঠন করে। এরা মাংসপেশীকেও সুগঠিত করে এবং শরীরের প্রধান প্রধান অঙ্গকে দৃঢ়তা দেয়।

প্রশ্ন ৪৭। টেণ্ডন এবং অস্থিরজ্জু কি ?

উত্তরঃ দেহের মাংসপেশীগুলিকে অস্থির সঙ্গে যুক্ত করে রাখার জন্য এক প্রকার যোগকলা আছে সেগুলিকে টেঙন বলে।

স্থিতিস্থাপক গুণসম্পন্ন একপ্রকার যোগকলা যা দ্বারা কাছাকাছি থাকা দুটি অস্থি যুক্ত হয়ে থাকে তাকে অস্থিরজ্জু বা লিগামেন্ট বলে।

প্রশ্ন ৪৮। ঐচ্ছিক পেশীর গঠন ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।

উত্তরঃ আমাদের দেহের কতকগুলি পেশীকে নিজ ইচ্ছামতো সঞ্চালন করতে পারা যায়। এই ধরনের পেশীকে ঐচ্ছিক পেশী বলে। আমাদের হাত পায়ের পেশী ঐচ্ছিক পেশীর উদাহণ। এই পেশীকলার প্রতিটি কোষ লম্বা, নলাকার, শাখাহীন এবং বহু নিউক্লিয়াসযুক্ত হয়। এই পেশী অস্থি বা হাড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে বলে এই প্রকার কলাকে কঙ্কাল পেশীও বলা হয়। আবার এই প্রকার পেশীতে অসংখ্য আড়াআড়ি বা লম্বালম্বি কালো সাদা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। তাই এই পেশীকে সরেখ পেশীও বলে।

প্রশ্ন ৪৯। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

(ক) …………………সরল আবরণী কলা মুখগহ্বরের প্রাচীন এবং ফুসফুসের বায়ুকোষে পাওয়া যায়।

উত্তরঃ শল্কাবিদ।

(খ) স্তরীভূত আবরণী কলার ভৌমচ্ছদার সঙ্গে লেগে থাকা ভাজনশীল কোষের স্তরকে………………… বলে।

উত্তরঃ মেলপিজীয় স্তর (Malpighian layer)।

(গ) পেশী এবং হাড়ের মধ্যে থাকা সংযোগী কলাকে………………… বলে।

উত্তরঃ টেণ্ডন (Tendon).

(ঘ) দুটি হাড়ের মধ্যে থাকা সংযোজক কলাকে……………..বলে।

উত্তরঃ লিগামেন্ট (Ligament)

(ঙ) …………………এবং………………… কলা দ্বারা মেরুদণ্ডী প্রাণীর অন্তঃকংকাল গঠিত হয়।

উত্তরঃ উপাস্থি, অস্থি।

(চ) অস্থির মুখ্য কোষটিকে………………… বলে।

উত্তরঃ অস্থিকোষ বা অষ্টিওসাইট (Osteocyte)।

(ছ) অস্থিকলার আবরণকে …………………বলে।

উত্তরঃ পরিঅস্থি (Perichondrium)।

(জ) উপাস্থির আবরণকে…………………বলে।

উত্তরঃ পরিউপাস্থি।

(ঝ) …………………এবং …………………দ্বারা হেভারসিয়ান তন্ত্র গঠিত হয়।

উত্তরঃ হেভারসিয়ান, ভল্কমেনের নালিকা।

(ঞ) রক্ত জমাট বাঁধার জন্য সাহায্য করা প্লাজমার মুখ্য প্রোটিন দুইবিধ হল………………… এবং …………………।

উত্তরঃ ফ্রাইব্রিনোজেন, প্রথ্রোম্বিন।

(ট) রক্তের প্রায়………………… শতাংশই প্লাজমা।

উত্তরঃ 55

(ঠ) রক্তে রক্তকণিকার পরিমাণ …………………শতাংশ।

উত্তরঃ 45

(ড) রক্ত জমাট বাঁধা প্রক্রিয়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করা রক্তকণিকার নাম …………………।

উত্তরঃ অনুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট (Platelets or Thrombocytes)

(ঢ) পেশীর আবরণকে …………………বলে।

উত্তরঃ পেশীকলা।

(ণ) …………………আবরণী কলাকে ব্রাস-ওয়ার্ডের আবরণী কলা বলে।

উত্তরঃ মাইক্রোভিলাইযুক্ত।

(ত) শুক্রাশয়ের …………………নালিকার আভ্যন্তরীণ প্রাচীরে অংকুরণ আবরণী কলা পাওয়া যায়।

উত্তরঃ শুক্রজনি (Seminiferous tubule)।

(থ) …………………আবরণী কলার কোষ হতে জনন কোষের উৎপত্তি হয়।

উত্তরঃ অংকুরণ।

(দ) চর্বীযুক্ত এরিওলার কলাকে………………… বলে।

উত্তরঃ মেদকলা।

(ধ) প্লাজমাতে থাকা …………………প্রোটিন দেহকে জীবাণু হতে সুরক্ষা প্রদান করে।

উত্তরঃ গ্লবিওলিন।

(ন) নিউরোণের লম্বা স্নায়ু প্রবর্ধকটিকে………………… বলে।

উত্তরঃ অ্যাক্সন (Axon)

(প) নিউরোণের ছোট অথচ শাখাযুক্ত প্রবন্ধটিকে………………… বলে।

উত্তরঃ ডেনড্রাইট (Dendrite)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top