Class 9 Science Chapter 14 প্রাকৃতিক সম্পদ Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Science Chapter 14 প্রাকৃতিক সম্পদ and select needs one.
Class 9 Science Chapter 14 প্রাকৃতিক সম্পদ
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 9 Science Chapter 14 প্রাকৃতিক সম্পদ Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 9 Science Chapter 14 প্রাকৃতিক সম্পদ These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Science in Bengali Chapter 14 প্রাকৃতিক সম্পদ for All Subject, You can practice these here…
প্রাকৃতিক সম্পদ
Chapter – 14
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। শুক্রগ্রহ এবং মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে আমাদের বায়ুমণ্ডলের কি পার্থক্য?
উত্তরঃ আমাদের বায়ুমণ্ডল কতকগুলি বিভিন্ন গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত, যেমন— নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন- ডাই-অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প। যাদের দ্বারা আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু শুক্র বা মঙ্গল গ্রহে বায়ুর মুখ্য অংশ হল কার্বন-ডাই অক্সাইড (95%-97%) যা আমাদের বেঁচে থাকার বিপক্ষে কাজ করে।
প্রশ্ন ২। বায়ুমণ্ডল কিভাবে কম্বলের মত কাজ করে?
উত্তরঃ আমাদের বায়ুমণ্ডল কম্বলের মত কাজ করে কারণ—
(i) ইহা সমস্ত দিন ধরে পৃথিবীতে গড় তাপমাত্রা বজায় রাখে।
(ii) দিনের বেলা হঠাৎ উষ্ণতা বৃদ্ধির হাত থেকে বায়ুমণ্ডল আমাদের রক্ষা করে।
(iii) রাত্রিবেলা ধীরে ধীরে বহিঃস্তরে তাপ বর্জন করে।
প্রশ্ন ৩। বাতাস কিসের থেকে সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ স্থলভূমি ও জলভূমির উপর অসমানভাবে উত্তপ্ত হওয়া বায়ু বাতাস সৃষ্টি করে। অর্থাৎ এক অঞ্চল থেকে অন্য আরেক অঞ্চলে বায়ুর প্রবাহের ফলে বাতাসের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ৪। মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের বৃহৎ জলরাশি বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে বায়ুর সঙ্গে মিলে যায়। কিছু জৈবিক কার্যকলাপের ফলেই জলীয় বাষ্প বায়ুর সঙ্গে মিশে যায়। গরম বায়ু উপরে উঠে যায় যাতে জলীয় বাষ্প থাকে। উপরে উঠে তা ঠাণ্ডা হয় এবং ঘনীভবনের ফলে বিন্দু বিন্দু জলকণায় পরিণত হয়ে ভেসে বেড়ায়। এইভাবেই মেঘের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ৫। মানুষের তিনটি কাজের উল্লেখ কর, যে কাজের ফলে বায়ুপ্রদূষণ হয় বলে তুমি মনে কর।
উত্তরঃ মানুষের দ্বারা বায়ু প্ৰদূষিত হওয়া তিনটি কাজ হল—
(i) গাড়ীর পেট্রল এবং ডিজেলের দহণের ফলে প্রদূষণ।
(ii) কারখানা, ষ্টিম ইঞ্জিন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিতে কয়লার দহণের ফলে প্ৰদূষণ।
(iii) ধূমপানের ফলে বায়ু প্ৰদূষণ।
প্রশ্ন ৬। জীবের জলের প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তরঃ আমাদের দেহের সমস্ত কোষীয় কার্যকলাপ জলের মাধ্যমেই হয়। আমাদের শরীরের সকল বিক্রিয়ার জন্য এবং কোষের ভিতরের বিক্রিয়ার যে সকল পদার্থের প্রয়োজন হয় সকল পদার্থই জলে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। শরীরের একস্থান থেকে অন্যস্থানে পদার্থের পরিবহণের জন্য জলের প্রয়োজন হয় কারণ ঐ সকল পদার্থ জলে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। অতএব, সকল জীবের বেঁচে থাকার জন্য শরীরের জলের নির্দিষ্ট পরিমাণ সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়। স্থলের প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য মিষ্টি বা স্বাদু জলের প্রয়োজন কারণ এদের শরীর বেশী লবণযুক্ত জল সহ্য করতে পারে না।
প্রশ্ন ৭। তোমার বাস করা গ্রাম/শহর/নগরে মিষ্টি জলের উৎস কি?
উত্তরঃ মিষ্টি জলের উৎস হল— নদী, কুঁয়া, পুকুর ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৮। জল প্রদূষণ করতে পারা কোনও কার্যকলাপ তুমি জান কি?
উত্তরঃ (i) জলাশয়ে অপ্রয়োজনীয় বস্তুর সংমিশ্রণ। এইসব পদার্থ কৃষিভূমিতে ব্যবহৃত সার বা কীটনাশক হতে পারে বা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থও হতে পারে যেমন— কাগজ শিল্পে ব্যবহৃত পারদ লবণ। কলেরা সংক্রমণ করা ব্যাক্টেরিয়া জাতীয় জীবাণুও জল দূষণ ঘটায়।
(ii) প্রয়োজনীয় বস্তু জলাশয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলেও জল দূষিত হয়। কোনও ভাবে জলে মিশ্রিত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পেলে তার প্রভাব জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদের উপর পড়ে।
(iii) তাপের পরিবর্তন ঘটলে জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকা বা উৎপাদন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিভিন্ন প্রাণীর ডিম বা লার্ভা তাপ পরিবর্তনের পক্ষে সংবেদনশীল।
প্রশ্ন ৯। মাটি কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ পৃথিবী পৃষ্ঠে সবচেয়ে বাইরের স্তরকে ভূত্বক (Crust) বলে। এই স্তরে পাওয়া খনিজ পদার্থ সকল জীবকে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি জোগায়। হাজার হাজার বৎসর ধরে ভূত্বকের উপরের এবং নিকটের শিলাখণ্ড বিভিন্ন ভৌতিক, রাসায়নিক এবং জীব বৈজ্ঞানিক কারণে ছোট ছোট টুকরাতে ভেঙ্গে যায়। এই ভাঙ্গনের ফলে ছোট ছোট কণার আকারে মাটি তৈরী হয়। মাটি তৈরীর বিভিন্ন কারক হল— সূর্য, জল, বাতাস এবং জীব।
প্রশ্ন ১০। মাটির ক্ষয় কি?
উত্তরঃ সূর্যের তাপ, জল এবং বাতাসের ফলে শিলাখণ্ড ঘর্ষণের জন্য চূর্ণ চূর্ণ হয়ে যায় এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। মাটির উপরিভাগের সার বা অন্যান্য পদার্থ। জলের স্রোতে বা বাতাসের ফলে চলে যাওয়াই হল মাটির ক্ষয়।
প্রশ্ন ১১। মাটির ক্ষয় প্রতিরোধ করার বা হ্রাস করার কি কি পদ্ধতি আছে?
উত্তরঃ মাটি ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করতে গাছের শিকড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যেখানে মাটি ক্ষয়ের সম্ভাবনা আছে সেখানে ঘাস, জাতিয় গাছ লাগালে মাটিকে ক্ষয় হতে রক্ষা করে। তাছাড়া আগাছা নিয়ন্ত্রণ, শস্য, রোপণ ইত্যাদি মাটির ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন ১২। জলচক্রের আবর্তনের সময় জলকে কি কি অবস্থায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ জলচক্রে তিনটি অবস্থায় জলকে পাওয়া যায়। এরা হল কঠিন (বরফ), তরল (জল) এবং বাষ্প (জলীয় বাষ্প)।
প্রশ্ন ১৩। নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন থাকা জৈবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি যৌগের নাম বল।
উত্তরঃ প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিড (ডি. এন. এ এবং আর এন. এ)।
প্রশ্ন ১৪। মানুষের কার্যকলাপের ফলে বায়ুমণ্ডলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি করা তিনটি কার্যকারিতার তালিকা বানাও।
উত্তরঃ মানুষের নিম্নলিখিত কাজের জন্য বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পায়।
(i) জীবাশ্ম ইন্ধনের দহণ যেমন পেট্রোলিয়াম, ডিজেল, কয়লা ইত্যাদির দহণের ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুতে বৃদ্ধি পায়।
(ii) কোন কিছু গরম করা বা রান্নার সময় কাঠ বা চারকোল জ্বালালে বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পায়।
(iii) গাছ কাটার ফলে সবুজ উদ্ভিদ কমে যায় ফলে সালোক সংশ্লেষণ কম হয় এবং অক্সিজেন কমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ১৫। সবুজ গৃহ প্রভাব কি?
উত্তরঃ সবুজ গৃহ নামটি একটি বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়াতে ব্যবহৃত হয়। কিছু কিছু গ্যাস পৃথিবী থেকে তাপ বাইরে বেরিয়ে যেতে দেয় না। বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং একেই সবুজ গৃহ প্রভাব বলা হয়। কার্বন-ডাই-অক্সাইড হল সবুজ গৃহের গ্যাসের মধ্যে একটি গ্যাস। বায়ুমণ্ডলে কার্বন- ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পেলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলেই গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global warming) হয়।
প্রশ্ন ১৬। বায়ুমণ্ডল পাওয়া অক্সিজেন-এর দুটি রূপ-এর নাম কি?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে পাওয়া অক্সিজেনের দুইটি রূপ হল—
(i) ডায়াটোমিক-রাসায়নিক সংকেত 02 (diatomic)
(ii) ট্রাইয়াটোমিক-রাসায়নিক সংকেত 0₃, (triatomic) একে ওজন বলে।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। জীবনের জন্য বায়ুমণ্ডলের প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর উপরিভাগের গড় তাপমাত্রাকে স্থির অবস্থায় ধরে রাখে। দিনের বেলা তাপমানের হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াকে বায়ুমণ্ডল নিয়ন্ত্রণ করে বা প্রতিরোধ করে। আবার রাত্রিবেলা তাপ যদি মহাশূন্যে বেরিয়ে গিয়ে পৃথিবীকে শীতল করে দেয় সেটাও হ্রাস করে।
প্রশ্ন ২। জীবনের জন্য জলের প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তরঃ জীবনের জন্য জলের প্রয়োজন কারণ—
(i) জীবকোষে জলের মাধ্যমে সমস্ত জীবন প্রক্রিয়া চলে থাকে।
(ii) শরীরের অভ্যন্তরে বস্তুগুলি জলের মাধ্যমে দ্রবীভূত হয়ে একস্থান হতে অন্যস্থানে পরিবাহিত হয়।
প্রশ্ন ৩। জীবিত বস্তু কিভাবে মাটির উপর নির্ভরশীল হয়? জলজ প্রাণীরা কি সম্পদ হিসাবে মাটি ছাড়াই জীবন যাপন করে?
উত্তরঃ জীবিত বস্তুরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাটির উপর নির্ভরশীল। কারণ জীবিত বস্তুরা শক্তি (খাদ্যে)-র জন্য সবুজ উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। মাংসাশী প্রাণীরা অন্য প্রাণীর উপর নির্ভর করে যারা সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।
উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য মাটির প্রয়োজন কারণ উদ্ভিদ মাটি থেকে পায় খনিজ লবণ যা সালোক সংশ্লেষণ উদ্ভিদের খাদ্য তৈরী করতে প্রয়োজন হয় এবং মাটি গাছকে শক্তভাবে ধরে রাখে।
সুতরাং সমস্ত জীবিত বস্তুই মাটির উপর নির্ভরশীল। জলজ প্রাণীরা যে মাটির উপর নির্ভর করে না তা নয়। কারণ জলজ উদ্ভিদেরও শক্তি অন্যান্য বস্তু প্রয়োজন। উহারা জল হতে খনিজ লবণ গ্রহণ করে। এই খনিজ লবণ মাটি হতেই বৃষ্টির জল, নদীর জলের মাধ্যমে আসে। যদি জলে মাটি থেকে খনিজ লবণ না আসত তবে অতি শীঘ্রই জল লবণমুক্ত হত।
সুতরাং জলজ প্রাণীরা সম্পদ হিসাবে সঠিক ছাড়া জীবন যাপন করতে পারে না।
প্রশ্ন ৪। তুমি দূরদর্শনে এবং খবরের কাগজে আবহাওয়া বার্তা দেখেছ। তুমি কিভাব যে আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলতে পারি?
উত্তরঃ বায়ুর ধরন বা বৃষ্টির ধরন দেখে আমরা বলতে পারি যে আবহাওয়া কেমন হবে। এটা বায়ুর নিম্নচাপ বা ঊর্দ্ধচাপ থাকা ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে। ভারতের বৃহৎ অংশে বৃষ্টি সাধারণতঃ দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ভূমিক্ষয় কিভাবে রোধ করা যায়?
উত্তরঃ (i) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাছপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। কারণ উদ্ভিদই একমাত্র উপায় ভূমিক্ষয় রোধ করার।
(ii) পাহাড়ি অঞ্চলে যে টপসয়েলের অনুর্বরতা বেড়ে যায় তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারিয়ে ফেলতে হবে।
(iii) মাটির মধ্য দিয়ে যে জলসেচ ব্যবস্থা করা হয় তাকে যত ভালো ভাবে সম্ভব প্ল্যান করে করা।
প্রশ্ন ২। গ্রীষ্মকালে আমরা হ্রদের কাছাকাছি দাঁড়ালে আরাম বোধ হয় কেন?
উত্তরঃ গ্রীষ্মকালে আমরা হ্রদের কাছাকাছি দাঁড়ালে আরাম বোধ হয় কারণ জলের বাষ্পায়ন হয় যার ফলে কাছাকাছি অঞ্চল ঠাণ্ডা হয়।
প্রশ্ন ৩। সামুদ্রিক অঞ্চলে দিনের বেলায় সমুদ্র হতে সমতল ভূমির দিকে বাতাস বয় এবং রাত্রিবেলায় সমতল হতে সমুদ্রের দিকে বাতাস বয় কেন?
উত্তরঃ দিনের বেলায় সমতলভূমির উপরিতলের বায়ু প্রথমে গরম হয় এবং তা হাল্কা হয়ে উপরের দিকে ওঠে। কিন্তু দিনের বেলায় সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল তুলনামূলক ঠাণ্ডা থাকে ফলে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা বাতাস সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে সমতল ভূমির দিকে ধাবিত হয়।
আবার রাত্রিবেলায় সমতলভূমির খুব তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয় যার ফলে সমতলভূমির উপরিপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল ঠাণ্ডা থাকে। কিন্তু সমুদ্রের জল অত তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয় না যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল অপেক্ষাকৃত গরম থাকে ফলে তা হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য সমতলভূমি থেকে বাতাস সমুদ্র পৃষ্ঠের দিকে ধাবিত হয়।
প্রশ্ন ৪। মৃত্তিকা গঠনের জন্য বায়োটিক এবং অ্যাবায়োটিক উপাদানগুলি লিখ।
উত্তরঃ বায়োটিক উপাদান – লিচেনস (Lichens), মসেস, (Mosses) উদ্ভিদ।
অ্যাবায়োটিক উপাদান – সূর্য, জল, বাতাস।
প্রশ্ন ৫। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের শতকরা ভাগ প্রায় সমান থাকে কেন?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে অনবরত কার্বন চক্র, অক্সিজেন চক্র এবং নাইট্রোজেন চক্র আবর্তনশীল পদ্ধতিতে হতে থাকে। ফলে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের শতকরা ভাগ প্রায় সমান থাকে।
প্রশ্ন ৬। চন্দ্র ও সূর্যের দূরত্ব এবং পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব সমান হওয়া সত্ত্বেও চন্দ্রের আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন কেন?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল পৃথিবীকে কম্বলের মত আবৃত করে রাখে। যেহেতু বায়ু তাপের কুপরিবাহী তাই দিনের বেলায় তাপমাত্রার হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াকে বায়ুমণ্ডল নিয়ন্ত্রণ করে বা প্রতিরোধ করে। আবার রাত্রিবেলায় তাপ মহাশূন্যে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীকে বেশী শীতল করে দেয় সেটাও বায়ুমণ্ডল হ্রাস করে।
যেহেতু চন্দ্রে বায়ুমণ্ডল নেই তাই দিনের বেলায় তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় (110 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) এবং রাত্রিবেলায় তাপমাত্রা খুবই কমে যায় (190 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)।
প্রশ্ন ৭। মথুরা শোধনাগার কেন তাজমহলের ক্ষতি করে?
উত্তরঃ মথুরা শোধনাগার হতে সালফার ডাই অক্সাইড এবং বিভিন্ন নাইট্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। এই সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) এবং নাইট্রোজেন গ্যাসগুলি হল অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ। এই অ্যাসিড বৃষ্টি মার্বেল দিয়ে গঠিত তাজমহলের ক্ষতি করে।
প্রশ্ন ৮। দিল্লীতে সাধারণত শৈবাল দেখা যায় না কিন্তু মানালী এবং দার্জিলিং-এ এগুলি সহজেই বেড়ে ওঠে কেন?
উত্তরঃ দিল্লীতে সবথেকে বেশি মোটর গাড়ি দেখা যায়। এই যানবাহন থেকে সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) নির্গত হয় যা বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। শৈবাল খুবই সেনসিটিভ SO₂ এর। তাই দূষিত বায়ুমণ্ডলে শৈবাল বেড়ে উঠতে পারে না কিন্তু মানালী বা দার্জিলিং তুলনামূলক অনেক কম দূষিত যার জন্য শৈবাল এই আবহাওয়ায় সহজেই বেড়ে ওঠে।
প্রশ্ন ৯। বায়ুমণ্ডল কি? বায়ুমণ্ডলের প্রধান স্তরগুলি কি কি?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল – সমস্ত পৃথিবীকে কম্বলের মত যে মণ্ডল ঢেকে থাকে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে।
বায়ুমণ্ডল প্রধানত –
(i) ট্রোপোস্ফিয়ার।
(ii) স্ট্রেটোস্ফিয়ার।
(iii) মেসোস্ফিয়ার।
(iv) থার্মোস্ফিয়ার।
(v) আয়নস্ফিয়ার এই পাঁচ ভাগে বিভক্ত।
প্রশ্ন ১০। বৃষ্টিপাত হওয়ার জন্য বায়ুমণ্ডলের ভূমিকা কি?
উত্তরঃ দিনের বেলায় যখন জল গরম হয়, জলের একটি বড় অংশ বাষ্পীভূত হয় এবং বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। বাতাস এই জলীয় বাষ্পকে বিভিন্ন জায়গায় বয়ে নিয়ে যায়। যখন বায়ু গরম হয়ে উপরে উঠে তার সাথে এই জলীয় বাষ্পগুলিও উপরে উঠে। এই জলীয় বাষ্পগুলি যখন ঠাণ্ডা হয় তখন ঘনীভূত হয়ে ছোট ছোট জলকণায় পরিণত হয়। এই ঘনীভূত জলকণাগুলি ধীরে ধীরে বড় হয় এবং ভারী হয় ফলে বৃষ্টির আকারে ঝরে পড়ে।
প্রশ্ন ১১। পরিবেশের ভারসাম্য কিভাবে বজায় থাকে?
উত্তরঃ জীবন্ত বা Biotic উপাদানগুলি হল উদ্ভিদ এবং প্রাণী আবার অ্যাব্যায়োটিক উপাদানগুলি হল, বায়ু, জল, মাটি, সূর্যালোক এবং তাপমাত্রা। এই সমস্ত বায়োটিক এবং অ্যাবায়োটিক উপাদানগুলি একে অন্যের উপর নির্ভরশীল এবং একে অন্যের কাজকে প্রভাবিত করে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
প্রশ্ন ১২। বায়ু দূষণের কুফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ (a) বায়ু দূষণের ফলে আমাদের শ্বসন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে এবং এর ফলে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা যায়, যেমন শ্বাসকষ্ট, লাঙ ক্যানসার, ব্রঙ্কাইটিস, নিমোনিয়া ইত্যাদি।
(b) বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ বিশেষ করে পেট্রোল, ডিজেল দহনের ফলে যে সমস্ত নাইট্রোজেন ও সালফারের অক্সাইড নির্গত হয় সেই গ্যাসগুলি খুবই ক্ষতিকারক।
(c) নাইট্রোজেন ও সালফারের অক্সাইড অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ।
(d) দূষিত বায়ু অনবরত গ্রহণের ফলে বিভিন্ন প্রকার এলার্জি, ক্যানসার এবং হার্টের রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ১৩। এরোসল্ কী?
উত্তরঃ এরোসল হল কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা বাতাসে নির্গত হয় বাষ্পীয় রূপে। এরোসলের প্রধান উৎস হল জেট এরোপ্লেনের বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে নির্গত হওয়া রাসায়নিক পদার্থ। এরোসলে ফ্লুরোকার্বন থাকে যা বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
প্রশ্ন ১৪। মাটির উর্বরতা বহুদিন যাবৎ বজায় রাখতে কীটনাশক এবং ফার্টিলাইজার ব্যবহারের ফল কি?
উত্তরঃ ফার্টিলাইজার এবং কীটনাশকের ব্যবহার মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে, কারণ এরা মাটিতে উপস্থিত ছোট জীবকুলকে ধ্বংস করে যা আবর্তিত হয়ে মাটির মধ্যে খন্দিজ লবণ রূপে জমা হয়।
প্রশ্ন ১৫। প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ আমাদের বসবাস করা পৃথিবীতে জীবসমূহ কতকগুলি প্রাকৃতিক অবদানের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই প্রাকৃতিক অবদানগুলিকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে মাটি, জল, বায়ু, খনিজ পদার্থসমূহ, শস্য, বনাঞ্চল, বন্যপ্রাণী ইত্যাদি সবকিছুকেই বোঝায়।
প্রশ্ন ১৬। জীবমণ্ডলকে কি কি উপবিভাগে বিভক্ত করা যায়?
উত্তরঃ জীবমণ্ডলকে প্রধানত তিনটি উপবিভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা- স্থলমণ্ডল, জলমণ্ডল এবং বায়ুমণ্ডল।
প্রশ্ন ১৭। আমাদের বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের শতকরা হার অনেক কম থাকে কেন?
উত্তরঃ আমাদের বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের শতকরা হার অনেক কম কারণ সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বায়ুতে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে গ্লুকোজ বা শর্করাতে পরিণত করে। তাছাড়া অনেক সামুদ্রিক প্রাণী তাদের নিজেদের দেহের খোলস গঠন করতে জলে দ্রবীভূত কার্বনেট ব্যবহার করে থাকে।
প্রশ্ন ১৮। দিনেরবেলা বাতাসের গতি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থলভাগের দিকে হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ দিনেরবেলা স্থলভাগের উপরের বায়ু তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয় ও উপরের দিকে উঠে। যখনই বায়ু উপরের দিকে উঠে যায় তখনই স্থলভাগের উপর বায়ুর চাপ কমে এবং সমুদ্রের উপর থেকে বায়ু এই কম চাপ থাকা অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। সেজন্য দিনেরবেলা বাতাসের গতি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থলভাগের দিকে হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ১৯। বৃষ্টি কিভাবে হয় তা বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ সূর্যের তাপে পৃথিবীর উপরিভাগের জল বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় বাষ্প হয়ে উপরের দিকে উঠে যায় এবং বায়ুতে জলীয় বাষ্পের সৃষ্টি করে। বায়ুতে থাকা এই জলীয় বাষ্প ক্রমশ শীতল ও ঘনীভূত হওয়ার ফলে আকাশে মেঘের সৃষ্টি হয়। আকাশে ভাসমান এই মেঘ আরও শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বড় বড় জলের ফোঁটায় পরিণত হয় এবং তা পৃথিবীতে নেমে আসে। এভাবে জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের জন্যই মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ২০। বায়ু প্ৰদূষণ বলতে কি বুঝ? বায়ু প্ৰদূষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া দুইটি পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ প্রাকৃতিকভাবে বা মানুষের কার্যকলাপের ফলে বায়ুতে জীবকুলের জন্য ক্ষতিকারক কতকগুলি দূষিত পদার্থ যেমন ধোঁয়া, ধূলা, বিষাক্ত গ্যাস ইত্যাদি প্রবেশ করলে যে দূষণের সৃষ্টি হয় তাকে বায়ু প্ৰদূষণ বলে।
বায়ু প্রদূষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া দুইটি পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যা হল— অম্লবৃষ্টি এবং ধোঁয়াশা।
অম্লবৃষ্টি – কয়লা বা পেট্রোলজাত জীবাশ্ম ইন্ধনসমূহের দহনের ফলে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা সালফার এবং নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলি জলীয় বাষ্প বা বৃষ্টির জলে মিশে অম্লবৃষ্টি সৃষ্টি করে। অম্লবৃষ্টি খেতের জমি, জলাশয়ের জলের অম্লতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে জলাশয়গুলিতে মাছ ইত্যাদি জলজ প্রাণীসমূহের ডিম, পোনা ইত্যাদি নষ্ট হয়।
ধোঁয়াশা – জীবাশ্ম ইন্ধনের অসম্পূর্ণ দহনের ফলে উৎপন্ন অদাহ্য কার্বন কণা অথবা হাইড্রোকার্বন নামক পদার্থ বায়ুতে ভেসে থাকে। বায়ুতে মিশে থাকা এসব পদার্থগুলির পরিমাণ বেশি হলে বায়ুর দৃশ্যমানতা কমে যায় এবং ধোঁয়াটে কুয়াশার মতো একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়। একে ধোঁয়াশা বা স্মগ (Smog) বলে। এই ধোঁয়াশা অতিশয় বিষাক্ত। শ্বাস গ্রহণের সময় এই প্রদূষিত বায়ু গ্রহণ করলে এ্যালার্জি, ক্যান্সার এবং হৃদপিণ্ডের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ২১। জল প্রদূষণ জলজ প্রাণী বা উদ্ভিজ্জসমূহের উপর কী রকম প্রভাব বিস্তার করে?
উত্তরঃ জলাশয়ে অবাঞ্ছিত বস্তুর সংমিশ্রণের ফলে জল প্রদূষিত হয়। এইসব অবাঞ্ছিত পদার্থ কৃষিভূমিতে ব্যবহৃত সার বা কীটনাশক দ্রব্য অথবা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থও হতে পারে। প্রয়োজনীয় বস্তু জলাশয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলেও জলের প্রদূষণ হয়। জলে বাস করা প্রাণী এবং উদ্ভিদ জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে। কিন্তু কোনো কারণে জলে দ্রবীভূত এই অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে এর প্রভাব জলজ প্রাণী বা উদ্ভিদের উপর পড়ে। তাছাড়া জলাশয় থেকে অন্যান্য পুষ্টিকর পদার্থও ক্ষয় বা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। তাপের পরিবর্তনের ফলেও জলের প্রদূষণ ঘটে। জলাশয়ে বসবাস করা জলজ প্রাণীরা এক নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় অভ্যস্ত থাকে। কিন্তু সেই তাপমাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন ঘটলে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা বা বংশ বৃদ্ধি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ২২। হিউমাস কি? হিউমাস কিভাবে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করে?
উত্তরঃ মাটিতে নষ্ট হওয়া বা পচে ওয়া জীবদের অবশিষ্টাংশ মিশ্রিত থাকে। একে হিউমাস বলে। হিউমাস মাটিকে বেশি ছিদ্রযুক্ত করে তোলে এবং এর ফলে বেশি পরিমাণে জল এবং বায়ু ভূগর্ভের অনেক নীচ পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। এভাবে হিউমাস মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন ২৩। টপ সয়েল (top soil) বা উপরিভাগের মাটি বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ মাটির একেবারে উপরের স্তরে মাটির কণার সহিত হিউমাস এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ মিশ্রিত থাকে। এই স্তরকে টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি বলে।
প্রশ্ন ২৪। মাটি প্রদূষণ বলতে বুঝ?
উত্তরঃ বহু বৎসর ধরে কৃষিকার্যে বহুল পরিমাণে সার এবং কীটনাশক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে মাটির গুণাগুণ বিনষ্ট হয় কারণ এই পদার্থগুলির জন্য মাটির অনুজীবগুলি মরে যাওয়ায় মাটিতে পুষ্টির পুনরাবর্তন হয় না। সার এবং কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে মাটিতে থাকা কেঁচোরও মৃত্যু ঘটে যার ফলে বেশি পরিমাণে হিউমাস সৃষ্টি হয় না। মাটি থেকে উপকারী উপাদান বেরিয়ে যাওয়া এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করার মতো বিপজ্জনক পদার্থের সংযোজনের ফলে মাটিতে বসবাস করা জীবের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাওয়াকে মাটি প্রদূষণ বলে।
প্রশ্ন ২৫। কোনো মাটিতে কি ধরনের গাছের বৃদ্ধি বেশি হবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ কোনো মাটিতে কি ধরনের গাছের বৃদ্ধি বেশি হবে তা ওই মাটির খনিজের পরিমাণ, হিউমাসের পরিমাণ এবং মাটির গভীরতার ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন ২৬। মাটির ক্ষয়ের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি উল্লেখ কর।
উত্তরঃ মাটির ক্ষয়ের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি হল-
(i) মাটির ক্ষয় মৃত্তিকার উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে।
(ii) মাটির ক্ষয়ের ফলে মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
(iii) মাটির ক্ষয়ের ফলে উদ্ভিদের শিকড়ের বিস্তার ব্যাহত হয় এবং শিকড়ের গভীরতা হ্রাস পায়।
(iv) মাটির ক্ষয়ের ফলে মাটি সারহীন হয় এবং কৃষিকার্যের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ২৭। জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবমণ্ডলের জৈবিক উপাদানগুলি অর্থাৎ বিভিন্ন জীব বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সম্পদ অজৈবিক উপাদান থেকে আহরণ করে। জৈবিক এবং অজৈবিক এই দুইটি উপাদানের মধ্যে অবিরতভাবে পদার্থ এবং শক্তির স্থানান্তর ঘটে। এই প্রক্রিয়াকে জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র বলে। জৈব-ভূরাসায়নিক চক্রগুলি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে।
প্রশ্ন ২৮। চিত্রের সাহায্যে জলচক্রের ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল বাষ্পীভূত হওয়ার পর, বায়ুমণ্ডলের শীতল স্তরে ঘনীভূত হয়ে মেঘ উৎপন্ন করে এবং পরে বৃষ্টি রূপে স্থলভূমিতে পতিত হয়। এই বৃষ্টির জল পরবর্তীকালে নদী-নালার মাধ্যমে সাগরে ফিরে যায়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে জলচক্র বলে। পৃথিবীর মাটিতে

পতিত হওয়া সব জল সাগরে গিয়ে পড়ে না। কিছু পরিমাণ জল মাটিতে প্রবেশ করে এবং ভূগর্ভস্থ স্বাদু বা মিষ্টি জলের সঙ্গে মেশে। এই জলের কিছু পরিমাণ প্রস্রবণের আকারে ভূপৃষ্ঠের উপরে বেরিয়ে পড়ে। স্থলজ উদ্ভিদ এবং মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জলের অংশ অবিরামভাবে এই চক্রটি পূরণ করে থাকে।
প্রশ্ন ২৯। প্রকৃতিতে নাইট্রোজেন চক্র কিভাবে চলতে থাকে তা বর্ণনা কর।
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের শতকরা 78 ভাগ হচ্ছে নাইট্রোজেন। বেশিরভাগ জীবই বায়ুমণ্ডল থেকে এই নাইট্রোজেনকে প্রত্যক্ষভাবে গ্রহণ করতে পারে না। মাটিতে থাকা কেবল কয়েক প্রকার নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাক্টেরিয়া বায়ুমণ্ডলের মুক্ত নাইট্রোজেনকে নাইট্রোজেনঘটিত যৌগে পরিণত করে মাটিতে সঞ্চিত করে। ব্যাক্টেরিয়া ছাড়া নাইট্রোজেন অণু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নাইট্রেট্স বা নাইট্রাইট্সরূপে পরিবর্তিত হয়। বিদ্যুৎ স্ফুরণের মাধ্যমে বায়ুর উচ্চতাপ

এবং চাপের ফলে নাইট্রোজেন নাইট্রিক অক্সাইড গঠন করে। এই অক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রিক এবং নাইট্রাস এসিডে পরিণত হয় এবং বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে এসে পড়ে। এগুলি বিভিন্ন জীবের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। সাধারণত উদ্ভিদ নাইট্রেট্স এবং নাইট্রাইট্স গ্রহণ করে এদেরকে অ্যামিনো এসিডে পরিবর্তিত করে। এই অ্যামিনো এসিডগুলি জীব প্রোটিন তৈরি করতে ব্যবহার করে। নাইট্রোজেন যুক্ত অন্যান্য জটিল যৌগ সৃষ্টি হতে আরও বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
পরবর্তীকালে বিভিন্ন প্রাণী এই প্রোটিন যৌগ এবং অন্যান্য জটিল যৌগও গ্রহণ করে থাকে। এসব প্রাণী এবং উদ্ভিদের মৃত্যুর পর মাটির অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়া নাইট্রোজেনের বিভিন্ন যৌগকে নাইট্রেট্স এবং নাইট্রাট্সরূপে পরিবর্তিত করে। আবার কিছু কিছু ব্যাক্টেরিয়া নাইট্রাস এবং নাইট্রেট্সকে মৌলিক নাইট্রোজেনে রূপান্তরিত করে। এভাবে প্রকৃতিতে নাইটে চক্র চলতে থাকে। এই চক্রে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন মৌলিক রূপ থেকে মাটিতে এবং জলে সরল অণুতে রূপান্তরিত হয়। এরপর আবার জীবদেহে আরও জটিল যৌগে পরিবর্তিত হয়। অবশেষে নাইট্রোজেনের এই জটিল যৌগ বায়ুমণ্ডলে সরল নাইট্রোজেন অণূরূপে ফিরে আসে।
প্রশ্ন ৩০। কার্বন চক্রের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পৃথিবীতে কার্বন বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডরূপে এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থে কার্বনেট ও হাইড্রোজেন কার্বনেট লবণ হিসাবে কার্বন পাওয়া যায়। আবার সকল প্রকার জীব কার্বন থাকা অণু যেমন প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট, ফ্যাট, নিউক্লিক এসিড এবং ভিটামিনের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। বিভিন্ন প্রাণীর বহিঃকঙ্কাল ও অন্তঃকঙ্কাল কার্বনেট লবণ দিয়ে গঠিত। ক্লোরোফিল থাকা জীবে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কার্বন উৎপন্ন হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের কার্বনডাই-অক্সাইড বা জলে দ্রবীভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শর্করা অণুতে রূপান্তরিত হয়। এই শর্করা অণু উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আহার ও শক্তির জোগান দেয়। জীবের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শর্করা অণু ব্যবহৃত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় এবং এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে

ফিরে যায়। এভাবে বিভিন্ন ভৌতিক এবং জৈবিক ক্রিয়ার ফলে কার্বন চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
প্রশ্ন ৩১। ওজোন ছিদ্র কি? পৃথিবীর কোথায় প্রথম ওজোন ছিদ্র দেখতে পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওপরে পুরু ওজোন স্তর স্থানে স্থানে পাতলা হয়ে ফাটলের সৃষ্টি করে। এই ফাটলগুলিকে ওজোন ছিদ্র বলা হয়।
1985 সালে ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ সর্বপ্রথম আন্টার্কটিকায় ওজোন ছিদ্র পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
প্রশ্ন ৩২। অক্সিজেন চক্রটি চিত্র সহযোগে সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তরঃ পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন পাওয়া যায়। বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ শতকরা প্রায় ২১ ভাগ। বায়ুমণ্ডলে এই অক্সিজেনের সমতা বজায়

রাখার জন্য যে চক্রাকার প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক অক্সিজেন পরিবেশ ও জীবের মধ্যে আবর্তিত হয় তাকে অক্সিজেন চক্র বলে। দহন বা শ্বসনের সময় এবং নাইট্রোজেনের অক্সাইড গঠনে বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন শোষিত হয়। সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার সময় যে অক্সিজেন বের হয় তা বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে এবং অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করে। এভাবে প্রকৃতিতে অক্সিজেন চক্র চলতে থাকে।
প্রশ্ন ৩৩। সবুজ গৃহ গ্যাসগুলি কি কি?
উত্তরঃ সবুজ গৃহ গ্যাসগুলি হল— কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, জলীয় বাষ্প, ওজোন।
প্রশ্ন ৩৪। ওজোন স্তর বলতে কি বোঝ? ওজোন স্তর অবক্ষয়ের প্রধান কারণসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে থাকা ওজোন নামে একটি গ্যাস পৃথিবীপৃষ্ঠকে একটা ছাতার ন্যায় আবৃত করে রাখে। একে ওজোন স্তর বলে।
ওজোন স্তর অবক্ষয়ের প্রধান কারণ হিসাবে বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে নাইট্রিক অক্সাইড, ক্লোরিন, ব্রোমিন, সি. এফ. সি. গ্যাস ইত্যাদির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য কয়েকটি প্রাকৃতিক পরিঘটনার জন্য ওজোন স্তরের অবক্ষয় ঘটে। যেমন— প্রচণ্ড সৌর উদ্গীরণের জন্য নির্গত হওয়া তীব্র গতিসম্পন্ন ফোটন কণা। আকাশে বিদ্যুৎ ঝলকানিতে নির্গত হওয়া নাইট্রিক অক্সাইড ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩৫। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা গোলকীয় উত্তাপন বলতে কি বুঝ? এর ফলাফলগুলি উল্লেখ কর।
উত্তরঃ বায়ু প্রদূষণের ফলে সবুজ গৃহ গ্যাসগুলির পরিমাণ বিশেষ করে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জমা হয়ে একটি ঘন আবরণের সৃষ্টি করে। এর ফলে পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসা তাপ মহাকাশে ফিরে যেতে বাধার সৃষ্টি হয় এবং আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে। এভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা গোলকীয় উত্তাপন বলে।
গোলকীয় উত্তাপনের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি হতে পারে এবং এর ফলে মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা ইত্যাদির বিস্তর ক্ষতিসাধন হয়। তাছাড়া মেরু অঞ্চলের পর্বতগাত্রে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহ প্লাবিত করতে পারে।
প্রশ্ন ৩৬। সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত কর।
(ক) যদি বায়ুমণ্ডলের সমস্ত অক্সিজেন ওজোন (O₃) রূপে থাকত তাহলে কি হত?
(a) আমাদের সুরক্ষা বেশি হত।
(b) এটি বিষাক্ত হত এবং সমস্ত জীবন্ত প্রাণীকে মেরে ফেলত।
(c) ওজোন স্থায়ী নয় তাই এটি বিষাক্ত।
(d) এটি সূর্যরশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাবকে পৃথিবীতে আসতে সাহায্য করত।
উত্তরঃ (b) এটি বিষাক্ত হত এবং সমস্ত জীবন্ত প্রাণীকে মেরে ফেলত।
(খ) নীচের মধ্যে কোনটি মাটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় না?
(a) সূর্যালোক এবং তাপমাত্রা।
(b) জল এবং অক্সিজেন।
(c) বাতাস।
(d) পলিথিন ব্যাগ।
উত্তরঃ (d) পলিথিন ব্যাগ।
(গ) বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত অক্সিজেনের দুটি রূপ কি?
(a) জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড।
(b) জল এবং অক্সিজেন।
(c) ওজোন এবং অক্সিজেন।
(d) জল এবং ওজোন।
উত্তরঃ (c) ওজোন এবং অক্সিজেন।
(ঘ) Rainfall Patterns কার উপর নির্ভরশীল?
(a) মাটির নীচের জলের পরিমাণের উপর।
(b) একটি এলাকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণের উপর।
(c) একটি এলাকার জনবসতির ঘনত্বের উপর।
(d) একটি এলাকার ঋতু বৈচিত্র্যের উপর।
উত্তরঃ (b) একটি এলাকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণের উপর।
(ঙ) বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত নাইট্রোজেন অণু নাইট্রেট এবং নাইট্রাইটে পরিবর্তিত হয় কার দ্বারা?
(a) মাটিতে উপস্থিত নাইট্রোজেন নির্ধারণ জৈব নির্ধারণ ব্যাকটিরিয়া।
(b) মাটিতে উপস্থিত কার্বন নির্ধারণ জৈব নির্ধারণ ব্যাকটিরিয়া।
(c) মাটিতে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্ধারণ জৈব নির্ধারণ ব্যাকটিরিয়া।
(d) উপরের সবগুলি।
উত্তরঃ (a) মাটিতে উপস্থিত নাইট্রোজেন নির্ধারণ জৈব নির্ধারণ ব্যাকটিরিয়া।
(চ) নীচের কোনটি জল প্রক্রিয়ার (Water Cycle) অংশ নয়?
(a) বাষ্পীভবন।
(b) স্বেদন।
(c) অধঃক্ষেপ।
(d) সালোকসংশ্লেষ।
উত্তরঃ (d) সালোকসংশ্লেষ।
(ছ) এদের মধ্যে কোনটি গ্রীণ হাউস গ্যাস নয়?
(a) মিথেন।
(b) কার্বন মনোক্সাইড।
(c) কার্বন ডাই অক্সাইড।
(d) অ্যামোনিয়া।
উত্তরঃ (d) অ্যামোনিয়া।
(জ) কার্বন চক্রে কোন প্রক্রিয়াটি নেই?
(a) সালোকসংশ্লেষ।
(b) শ্বসন।
(c) স্বেদন।
(d) জীবাশ্মের জ্বালানি।
উত্তরঃ (c) স্বেদন।
(ঝ) কোন মৌল ওজোন স্তরের ক্ষতি করে?
(a) ক্লোরিণ এবং সালফার ডাই অক্সাইড।
(b) কার্বন মনোক্সাইড এবং ফ্লুওরিন।
(c) ফ্লুওরিণ এবং ক্লোরিণ।
(d) কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রাস অক্সাইড।
উত্তরঃ (c) ফ্লুওরিণ এবং ক্লোরিণ।
(ঞ) আমরা যখন বায়ুমণ্ডল থেকে শ্বাস গ্রহণ করি অক্সিজেনের সাথে নাইট্রোজেনও দেহের ভিতরে যায়। এই নাইট্রোজেনে কি হয়?
(a) এটি কেবলমাত্র অনুনাসিক কোষ দ্বারা শোষিত হয়।
(b) এটি অক্সিজেনের সাথে বিভিন্ন কোষে প্রবাহিত হয়।
(c) কোষে নাইট্রোজেনের ঘনত্ব বেশী থাকার জন্য এটি আর শোষিত হয় না।
(d) বাষ্পীভবনের সময় এটি কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
উত্তরঃ (d) বাষ্পীভবনের সময় এটি কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
(ট) মাটির উপরের স্তরে কি থাকে?
(a) হিউমাস এবং জীবিত আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
(b) হিউমাস এবং মাটির কণা।
(c) হিউমাস, জীবিত আণুবীক্ষণিক প্রাণী এবং উদ্ভিদ।
(d) হিউমাস, জীবিত আণুবীক্ষণিক প্রাণী এবং মাটির কণা।
উত্তরঃ (d) হিউমাস, জীবিত আণুবীক্ষণিক প্রাণী এবং মাটির কণা।
(ঠ) অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে ; এর প্রধান উৎস হল—
(a) জীবন্ত জীবাশ্মের দহন।
(b) সালোকসংশ্লেষ।
(c) শ্বসন।
(d) ছত্রাক।
উত্তরঃ (b) সালোকসংশ্লেষ।
(ড) ভূমিক্ষয় কি দ্বারা রোধ করা যায়?
(a) জঙ্গল বৃদ্ধি করে।
(b) ফার্টিলাইজারের অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে।
(c) অরণ্য বিনাশ।
(d) উপরের সবগুলি।
উত্তরঃ (a) জঙ্গল বৃদ্ধি করে।
(ঢ) এরোসল নির্গত হয়—
(a) শিল্প।
(b) ফার্টিলাইজার।
(c) এরোপ্লেন।
(d) গাড়ি।
উত্তরঃ (c) এরোপ্লেন।
(ণ) জীবন্ত প্রাণী, জল, বাতাস এবং পৃথিবী এদের একত্রে বলা হয়—
(a) হাইড্রোস্ফিয়ার।
(b) বায়ুমণ্ডল।
(c) লিথোস্ফিয়ার।
(d) বায়োস্ফিয়ার।
উত্তরঃ (d) বায়োস্ফিয়ার।
(ত) গ্রীণ হাউস এফেক্ট এর জন্য দায়ী—
(a) ক্লোরোফ্লুরো কার্বন।
(b) ওজোন।
(c) যে গ্যাস ইনফ্রারেড রশ্মিকে বিচ্ছুরিত করে।
(d) উপরের সবকটি।
উত্তরঃ (d) উপরের সবকটি।
(থ) মাটির উর্বরতা কমে যায় কার দ্বারা-
(a) ব্রুক রোটেশন।
(b) নাইট্রোজেন ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া।
(c) ইনটেনসিভ এগ্রিকালচার।
(d) উপরের সবকটি।
উত্তরঃ (c) ইনটেনসিভ এগ্রিকালচার।
(দ) জল সংরক্ষণের প্রধান সমস্যাকে দূর করতে কোনটি উল্লেখযোগ্য?
(a) বাষ্পীভবন রোধ করা।
(b) ঘনীভূত হওয়া রোধ করা।
(c) মাটির নিচের জল না তোলা।
(d) বন্যার জলকে সঞ্চয় করা।
উত্তরঃ (d) বন্যার জলকে সঞ্চয় করা।
(ধ) নিচের গ্যাসগুলির মধ্যে কোন গ্যাসটি গ্রীণ হাউস এফেক্ট এর জন্য বেশি দায়ী।
(a) CFC
(b) কার্বন ডাই অক্সাইড।
(c) ফ্লেওন।
(d) মিথেন।
উত্তরঃ (b) কার্বন ডাই অক্সাইড।
প্রশ্ন ৩৭। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।
(a) সব জীবেরই বায়ু, জল এবং…………….প্রয়োজন।
উত্তরঃ আহারের।
(b) পৃথিবীর আস্তরণের উপরিভাগের কঠিন অংশটিকে ……..…………. বলা হয়।
উত্তরঃ স্থলমণ্ডল।
(c) বায়ু একপ্রকার …………… পদার্থ।
উত্তরঃ মিশ্র।
(d) বনাঞ্চল …………… এবং……………. দহনের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ জ্বালানি, ইন্ধন।
(e) পৃথিবীকে বায়ুমণ্ডল ……….…. মত আবৃত করে আছে।
উত্তরঃ কম্বলের।
(f) বায়ুমণ্ডলে থাকা বায়ু বিদ্যুতের……….……।
উত্তরঃ কু-পরিবাহী।
(g) মৃত জীবের পচন দ্রব্যকে………….. বলা হয়।
উত্তরঃ হিউমাস।
(h) একেবারে উপরের স্তরের মাটিতে হিউমাস এবং জীবসমূহ পাওয়া যায় এবং একে মাটির ……………বলা হয়।
উত্তরঃ বহিঃস্তর।
(i) উদ্ভিদের মূল মাটির ………………. হতে রক্ষা করে।
উত্তরঃ ক্ষয়।
(j) পাহাড়ীয়া অঞ্চলে ক্ষয়ীভবন ……………..হয়।
উত্তরঃ বেশি।
(k) বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন গ্যাসের শতকরা পরিমাণ……..……….. ভাগ।
উত্তরঃ 78
(l) মুক্ত অবস্থায় কার্বনকে…………….. এবং …………… হিসাবে পাওয়া যায়।
উত্তরঃ হীরা, গ্র্যাফাইট।
(m) বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ……………… ভাগ।
উত্তরঃ 21
(n) ……………. অতি বেগুনী রশ্মি শোষণ করে।
উত্তরঃ ওজোন স্তরে।
(o) শিলার …………….. দ্বারা মাটি গঠন করে।
উত্তরঃ সরু কণিকার।
(p) মাটি হচ্ছে………….. এবং……………. মিশ্রণ।
উত্তরঃ খনিজ পদার্থ, জৈবিক পদার্থের।

Hi! my Name is Parimal Roy. I have completed my Bachelor’s degree in Philosophy (B.A.) from Silapathar General College. Currently, I am working as an HR Manager at Dev Library. It is a website that provides study materials for students from Class 3 to 12, including SCERT and NCERT notes. It also offers resources for BA, B.Com, B.Sc, and Computer Science, along with postgraduate notes. Besides study materials, the website has novels, eBooks, health and finance articles, biographies, quotes, and more.