Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ 

Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ and select needs one.

Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Science Chapter 2 এসিড, ক্ষার ও লবণ for All Subject, You can practice these here…

এসিড, ক্ষার ও লবণ 

               Chapter – 2

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। তােমাকে তিনটি পরীক্ষানলী দেওয়া হল। একটিতে আছে পাতিত জল (distilled water), বাকি দুটোর একটিতে এসিডিক দ্রবণ ও আরেকটিতে ক্ষারকীর দ্রবণ। তােমাকে যদি শুধু লাল লিটমাস কাগজ দেওয়া হয় তাহলে তুমি কিভাবে এই দ্রবণগুলাে সনাক্ত করবে ?

উত্তরঃ প্রথমে লিটমাস কাগজটি তিন টুকরা করে প্রতিটি টেষ্টটিউবে একটি করে ডুবাও। যেখানে লাল লিটমাস কাগজটি লি হবে সেটি ক্ষারের দ্রবণ। এইবার এই নীল লিটমাস কাগজটি অপর দুইটিতে ডুবাও। দেখবে যে একটিতে উহা পুনরায় লাল হয়েছে। সুতরাং ইহা অম্ল বা এসিড। যেহেতু তৃতীয় টেষ্টটিউবে লিটমাসের কোনাে পরিবর্তন হবে না, সুতরাং ইহা বিশুদ্ধ জল।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। দই এবং অন্যান্য টক দ্রব্য পিতল (brass) এবং তামার (কপার) পাত্রে রাখা হয় না কেন ?

উত্তরঃ দই বা টক জিনিসে এসিড থাকে। সুতরাং এগুলি পিতল বা তামার পাত্রে রাখলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। সেইজন্য এইগুলিকে পিতল বা তামার পাত্রে রাখা হয় না।

২। যখন এসিড় ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে তখন কি গ্যাস উৎপন্ন হয় ? উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর। এই গ্যাসটি কিভাবে সনাক্ত করা হয় ?

উত্তরঃ ধাতুর সঙ্গে এসিডের বিক্রিয়ার ফলে H₂ গ্যাস উৎপন্ন হয়। একটি টেষ্টটিউবে কয়েকটি দস্তার (Zn) টুকরা নিয়ে সেখানে 5 মি.লি. লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিড আস্তে আস্তে ঢাল। সঙ্গে সঙ্গে HCl দস্তার সঙ্গে বিক্রিয়া করে H₂ গ্যাস উৎপন্ন হবে।

Zn + 2 HCl → ZnCl₂ + H₂

হাইড্রোজেন গ্যাস জলে দ্রবীভূত হয় না। হাইড্রোজেন গ্যাসের মধ্যে সাবানের জল প্রবাহিত করলে বুদবুদের সৃষ্টি হবে এবং আগুনের সংস্পর্শে জ্বলে উঠবে।

৩। ধাতব যৌগ A লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করার ফলে হিহিস্ শব্দ করে বুবু উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন হওয়া গ্যাসটি জুলন্ত মােমবাতি নিভিয়ে দেয়। এই বিক্রিয়ায় একটি বিক্রিয়াজাত যৌগ হচ্ছে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড। বিক্রিয়াটির সন্তুলিত সমীকরণ লিখ।

উত্তরঃ যেহেতু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হবে এবং জ্বলন্ত মােমবাতিকে নিভিয়ে দেবে সুতরাং গ্যাসটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂) এবং ধাতুর যৌগ A হবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট।

সুতরাং ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের সঙ্গে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া হবে-

CaCO₃ + 2HCl – CaCl₂ + CO₂ + H₂O

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। HCl, HNO₃ ইত্যাদির জলীয় দ্রবণ কেন আম্লিক (এসিডিক) ধর্ম দেখায় কিন্তু এলকোহল, গ্লুকোজ ইত্যাদি যৌগের দ্রবণগুলাে এসিডিক ধর্ম দেখায় না ?

উত্তরঃ জলীয় দ্রবণের H⁺ আয়নই হল আম্লিক চরিত্রের জন্য দায়ী। HCI, HNO₃ ইত্যাদি জলে হাইড্রোজেন আয়নের (H⁺) সৃষ্টি করে যেখানে C₂H₅OH এবং গ্লুকোজ এইরূপ করে না। সেইজন্য,এরা আম্লিক চরিত্র দেখায় না।

২। এসিডের জলীয় দ্রবণ কেন তড়িৎ পরিবাহী ?

উত্তরঃ জলীয় দ্রবণে এসিড আয়ন মুক্ত করে এবং দ্রবণে আয়নের সাহায্যে বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ হয়। অর্থাৎ এসিডের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহিত করে।

৩। শুষ্ক HCI গ্যাস কেন শুষ্ক লিটমাস কাগজের রং বদলাতে পারে। না ?

উত্তরঃ শুষ্ক HCI গ্যাস H⁺ আয়ন মুক্ত করতে পারে না। লিটমাস কাগজের রঙের কোনাে পরিবর্তন হয় না।

৪। এসিড লঘুকরণের সময় কেন এসিড জলে যােগ করতে হয় কিন্তু জল এসিড়ে যােগ করা হয় না ?

উত্তরঃ যখন এসিডকে জলের সঙ্গে মিশানাে হয় তখন অধিক পরিমাণে তাপের সৃষ্টি হয়। সেইজন্য এসিড খুব ধীরে ধীরে জলের সঙ্গে মিশাতে হয়। অপরপক্ষে যদি জল এসিডের সঙ্গে মিশানাে হত তবে হঠাৎ অধিক তাপ উৎপন্ন হয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে ফলে সমস্ত শরীরে এর ছিটা পড়তে পারে।

৫। কোন এসিডের লঘুকরণ করা হলে হাইড্রনিয়াম আয়নের (H₃O⁺) গাঢ়তা কিভাবে প্রভাবিত হয় ?

উত্তরঃ যখন কোনাে নির্দিষ্ট পরিমাণ এসিড জলের সঙ্গে মিশানাে হয় তখন প্রতি একক আয়তনে নির্দিষ্ট সংখ্যক হাইড্রনিয়াম আয়ন সৃষ্টি হয়। তরলীকৃত করলে প্রতি একক আয়তনে হাইড্রনিয়াম আয়নের সংখ্যা হ্রাস পায় ফলে হাইড্রনিয়াম আয়নের ঘনত্ব কমে।

৬। বেশি পরিমাণে ক্ষার সােডিয়াম হাইড্রক্সাইডের দ্রবণে দ্রবীভূত করা হলে হাইড্রক্সাইড আয়নের (OH) গাঢ়তা কিভাবে প্রভাবিত হয় ?

উত্তরঃ সােডিয়াম হাইড্রক্সাইডের দ্রবণে অতিরিক্ত ক্ষারক দ্রবীভূত করলে হাইড্রক্সাইড আয়নের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। কারণ প্রতি একক আয়তনে হাইড্রক্সাইড (OH⁺) আয়নের পরিমাণ বাড়ে। যখন ক্ষার জলে দ্রবীভূত হয় তখনই এরকম ঘটে। যদি ক্ষার জলে দ্রবীভূত না হয় তবে (OH⁺) আয়ন একই থাকে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১।  তােমার কাছে দুটো দ্রবণ A এবং B আছে। A দ্রবণটির PH হচ্ছে 6 এবং B দ্রবণের Pᴴ হচ্ছে ৪। কোন দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের গাঢ়তা বেশি ? এই দুইটির কোনটি এসিডিক এবং কোনটি ক্ষারকীয় ?

উত্তরঃ A দ্রবণে অধিক হাইড্রোজেন আয়ন ঘনীভূত হয়। দ্রবণ A সামান্য অম্লধর্মী এবং দ্রবণ B সামান্য ক্ষারধর্মী।

২। কোন দ্রবণের প্রকৃতির উপর হাইড্রোজেন আয়নের গাঢ়তার প্রভাব কি ?

উত্তরঃ দ্রবণে H⁺ আয়ন যত বেশি ঘনীভূত হয় দ্রবণে এসিডের মাত্রা তত বাড়ে।

৩। ক্ষারকীয় দ্রবণেও কি (H⁺) (aq) আয়ন থাকে ? যদি থাকে তবে এই দ্রবণগুলাে কেন ক্ষারকীয় ?

উত্তরঃ মূল দ্রবণে H⁺(aq) আয়ন আছে। কিন্তু ইহা OH⁻ আয়ন অপেক্ষা অনেক কম। অতিরিক্ত OH⁻ আয়নই মূল দ্রবণকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৪। মাটির অবস্থা কি হলে একজন কৃষক তার জমির মাটিতে পােড়াচুন (ক্যালসিয়াম অক্সাইড), শিথিলিত চুন বা স্লেকেড লাইম (ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড) অথবা চক (ক্যালসিয়াম কার্বোনেট) মেশাবে বলে তুমি মনে কর ?

উত্তরঃ Pᴴ এর মাত্রা 6-8 হলেই গাছ ঠিকমত কাজ করে। সুতরাং যখন মাটি অম্লযুক্ত হয় তখন কৃষকরা মাটিতে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) বা ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca (OH)₂) বা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃) দেয়।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। CaOCI₂ এর সাধারণ নাম কি ?

উত্তরঃ ব্লিচিং পাউডার।

২। ক্লোরিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে যে পদার্থ ব্লিচিং পাউডার উৎপন্ন করে সেই পদার্থটির নাম কি ?

উত্তরঃ চুনের জল।

৩। যে সােডিয়াম যৌগটি খর জলকে মৃদু জলে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয় সেটার নাম লিখ ?

উত্তরঃ সােডিয়াম কার্বোনেট।

৪। সােডিয়াম হাইড্রকার্বোনেটের দ্রবণকে উত্তপ্ত করলে কি উৎপন্ন হয় ? বিক্রিয়াটির সমীকরণ লিখ।

উত্তরঃ সােডিয়াম হাইড্রকার্বোনেটের দ্রবণকে উত্তপ্ত করলে সােডিয়াম কার্বোনেট এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়।

৫। প্লাষ্টার অফ পেরিস ও জলের বিক্রিয়ার সমীকরণটি লিখ।

উত্তরঃ 2 CaSO₄ 1/2 H₂O + H₂O – 2 CaSO₄ 2 H₂O

(প্লাষ্টার অফ পেরিস) (জিপসাম)

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। একটি দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে। এটার Pᴴ হওয়ার কথা- 

(a) 1, (b) 4, (c) 5, (d) 10

উত্তরঃ (d) pᴴ = 10

২। একটি দ্রবণ চূর্ণ ডিমের খােলার সঙ্গে বিক্রিয়া করে একটি গ্যাস উৎপন্ন করে। গ্যাসটি চূনের জল ঘােলা করে। দ্রবণটিতে আছে- 

(a) NaCl (b) HCl (c) LiCI (d) KCl.

উত্তরঃ (b) HCl.

৩। 10 মি. লি. সােডিয়াম হাইড্রক্সাইডের দ্রবণ ৪ মি. লি. দ্রবণের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে প্রশমিত হয়। আমরা যদি একই সােডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণের 20 মি. লি. নিই তবে এটাকে প্রশমিত করতে একই হাইড্রক্লোরিক এসিডের দ্রবণের পরিমাণ হবে-

(a) 4 মি. লি. (b) ৪ মি. লি. (c) 12 মি. লি. (d) 16 মি. লি.

উত্তরঃ (d) 16 মি. লি.।

৪। অজীর্ণতা সারানাের জন্য নিম্নোক্ত ওষুধগুলাের মধ্যে কোনটি ব্যবহৃত হয় ?

(a) এন্টিবায়ােটিক (জীবাণুনাশক) 

(b) এনালজেসিক (বেদনানাশক) 

(c) এন্টাসিড (অম্লনাশক) 

(d) এন্টিসেপটিক (রক্ত বিদূষণ নাশক)

উত্তরঃ (c) এন্টাসিড।

৫। নিম্নোক্ত বিক্রিয়াগুলাের জন্য শব্দ সমীকরণ ও তারপর সন্তুলিত সমীকরণ লেখ, যখন-

(a) লঘু সালফিউরিক এসিড জিংক-এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সঙ্গে বিক্রিয়া করে।

(b) লঘু হাইড্রক্লোরিক এসিড ম্যাগনেসিয়াম ফিতার সঙ্গে বিক্রিয়া করে।

(C) লঘু সালফিউরিক এসিড এলুমিনিয়াম গুড়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করে।

(d) লঘু হাইড্রক্লোরিক এসিড লৌহচুর্ণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে।

উত্তরঃ (a) দস্তা + লঘু সালফিউরিক এসিড 23/11 জিংক সালফেট + হাইড্রোজেন।

Zn + H₂SO₄ 23/11 ZnSO₄ + H₂

(b) ম্যাগনেসিয়াম ফিতা + লঘু হাইড্রক্লোরিক এসিড – ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড +হাইড্রোজেন।

Mg + 2HCl – MgCl₂ + H₂

(c) এলুমিনিয়াম পাউডার + লঘু সালফিউরিক এসিড – এলুমিনিয়াম সালফেট + হাইড্রোজেন।

2 Al + 3 H₂ SO₄ – Al₂ (SO₄)₃ + 3 H₂

(d) লােহার গুড়া + লঘু হাইড্রক্লোরিক এসিড⇒লােহার ক্লোরাইড + হাইড্রোজেন।

2 Fe + 6HCl – 2 FeCl₃ + 3H₂

৬। এলকোহল গ্লুকোজ ইত্যাদি যৌগতেও হাইড্রোজেন আছে কিন্তু এদেরকে এসিডের শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। একটি পরীক্ষা দ্বারা প্রমান কর।

উত্তরঃ একটি বিকারে এলকোহল এবং গ্লুকোজের দ্রবণ লও। একটি কর্কে দুটো পেরেক এমন ভাবে ঢােকাও যেন এরা শেষ প্রান্ত পর্যন্ত থাকে। একটি অন্তরিত তারের সাহায্যে একটি 6 ভােল্ট ব্যাটারী, একটি সুইচ এবং একটি বাল্ব লাগিয়ে পেরেকের দুই প্রান্ত লাগাও। সুইচ অন করলেও দেখবে যে বাল্বটি জ্বলছে না। এ থেকে বুঝা যায় যে দ্রবণে কোনাে H⁺ আয়ন নাই। সুতরাং এলকোহল এবং গ্লুকোজ এসিড নহে।

৭। পাতিত জল তড়িৎ পরিবহণ করতে পারে না, কিন্তু বৃষ্টির জল পারে- কেন ?

উত্তরঃ বিশুদ্ধ জলে এসিডের আয়ন থাকে না বলে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না কিন্তু বৃষ্টির জলে এসিডের আয়ন থাকে তাই এতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।

৮। জলের অনুপস্থিতিতে এসিডগুলাে কেন এসিডিক ধর্ম দেখাতে পারে না ?

উত্তরঃ জলের উপস্থিতিতে এসিডে হাইড্রোনিয়াম আয়ন সৃষ্টি হয় বলে ইহা এসিডের মতাে আচরণ করে। কিন্তু জলের অনুপস্থিতিতে এসিড হাইড্রোনিয়াম আয়ন সৃষ্টি করতে পারে না, সেইজন্য ইহা এসিডের মতাে আচরণ করে না।

৯। A, B, C, D এবং E এই পাঁচটি দ্রবণকে যখন সার্বজনীন সূচক দ্বারা পরীক্ষা করা হয় তখন তাদের Pᴴ দেখা গেল যথাক্রমে 4, 1, 11, 7 এবং 9 কোন দ্রবণটি ?

(a) প্রশম।

(b) তীব্র ক্ষারকীয়।

(c) তীব্র এসিডিক।

(d) মৃদু ক্ষারকীয়।

উত্তরঃ (a) D, (b) C, (c) B, (d) A, (e) E হাইড্রোজেন আয়নে.PH এর মানের ঊর্ধ্বক্রম হল 1>4>7>9>11

১০। A এবং B পরীক্ষানলীতে দুটো সমান দৈর্ঘ্যের ম্যাগনেসিয়ামের ফিতা নেওয়া হল। হাইড্রক্লোরিক এসিড (HCl) যােগ করা হল A পরীক্ষানলীতে। B পরীক্ষা-নলীতে যােগ করা হল এসিটিক এসিড (CH₃COOH)। দুইটি অম্নেরই পরিমাণ এবং গাঢ়তা একই। কোন পরীক্ষানলীতে হিসহিস্ শব্দ বেশি হয় এবং কেন ?

উত্তরঃ হাইড্রক্লোরিক এসিড থাকা A টেষ্টটিউবে খুব বেশি হিসহিস শব্দ হবে। কারণ এসিটিক এসিড থেকে হাইড্রক্লোরিক এসিড অধিক শক্তিশালী ফলে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ফিতার সঙ্গে HCl-এর বিক্রিয়া Mg-এর সঙ্গে CH₃COOH এর বিক্রিয়া থেকে বেশি সক্রিয়।

১১। টাটকা দুধের Pᴴ 6। এটা দই-এ পরিণত হলে এটার Pᴴ -এর মান কিভাবে বদলাবে ? ব্যাখ্যাসহ উত্তর দাও।

উত্তরঃ দুধ যখন দৈয়ে পরিণত হয় তখন ল্যাটি এসিড উৎপন্ন হয় ফলে দুধের pᴴ মাত্রা 6-এর নীচে নেমে যায়।

১২। গােয়ালা পাতলা দুধে খুবই অল্প পরিমাণ বেকিং সােডা যােগ করল-

(a) কেন সে টাটকা দুধের pᴴ টা বদলে ঈষৎ ক্ষারকীয় করে দিল ?

(b) এই দুধটি দই-এ জমতে বেশি সময় নেয় কেন ?

উত্তরঃ (a) গােয়ালা দুধের মধ্যে সামান্য বেকিং সােড়া দেয় যাতে দুধ অনেক সময় ভাল থাকে এবং অল্প ক্ষারধর্মী হয় ফলে একে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়।

(b) প্রথমে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয় যা বেকিং পাউডারকে প্রশমিত করে অধিক ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে ফলে দুধ দৈয়ে পরিণত হয়।

১৩। প্লাষ্টার অফ পেরিস কেন জলীয় বাষ্পরােধী পাত্রে রাখা উচিৎ ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ প্লাষ্টার অফ পেরিস হল ক্যালসিয়াম সালফেট হেমি হাইড্রেট (CaSO₄ 1/2 H₂O)। ইহা জলীয় বাষ্প শােষণ করে জিপসামে পরিণত হয় (CaSO₄ 1/2 H₂O) যা প্লাস্টার অফ পেরিসের জমাট বাধা ধর্মের বিপরীত।

১৪। প্রশমন বিক্রিয়া কি ? দুটো উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ এসিডের সঙ্গে ক্ষারের বিক্রিয়ার ফলে জল এবং লবণ উৎপন্ন হয়। একেই প্রশমন প্রক্রিয়া বলে।এসিড + ক্ষার – লবণ + জল।

উদাহরণঃ (i) HCL + NaOH – NaCl + H₂O

(ii) CH₃COOH + NaOH – CH₃COONa + H₂O

১৫। কাপড় কাচা সােড়া (Washing Soda) এবং বেকিং সােডার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ কর।

উত্তরঃ বেকিং সােডার ব্যবহার-

(i) বেকারীতে রুটি বানাতে ব্যবহার হয়।

(ii) ইহা সােডা-এসিড অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।কাপড় কাচা সােডার ব্যবহার-

(i) ইহা কাচ, সাবান, কাগজ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

(ii) ইহা জলের খরতা সম্পূর্ণ দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। তাপ বিয়ােজন কাকে বলে ?

উত্তরঃ তাপ প্রয়ােগের ফলে কতগুলি পদার্থ ভেঙ্গে একাধিক সরলর পদার্থে পরিণত হয় এবং উৎপন্ন সরলতর পদার্থগুলি মূল পদার্থের সঙ্গে সাম্যাবস্থায় থাকে। শীতল করলে উৎপন্ন সরল পদার্থগুলি মিলিত হয়ে পূর্বের মূল পদার্থে পরিণত হয়।

উৎপন্ন পদার্থগুলি তড়িৎ উদাসীন এবং উহাদিগকে সহজ উপায়ে পৃথক করা যায়।

যেমন – NH₄Cl = NH₃ + HCl

           CaCO₃ = CaO + CO₂

২। তাপ বিয়ােজন এবং তড়িৎ বিয়ােজনের পার্থক্য কি ?

উত্তরঃ 

তাপ বিয়ােজনতড়িৎ বিয়ােজন
(i) তাপ বিয়ােজনে উৎপন্ন পদার্থগুলি তড়িৎ উদাসী অণু কিংবা পরমাণু।NH₄Cl = NH₃ + HCl(i) তড়িৎ বিয়ােজনে উৎপন্ন পদার্থগুলি তড়িৎযুক্ত পরমাণু বা মূলক। এদের আয়ন বলে।NaCl Na⁺ + Cl⁻
(ii) উৎপন্ন পদার্থগুলি সহজ যান্ত্রিক উপায়ে পৃথক করা যায়।(ii) উৎপন্ন পদার্থগুলি সহজ যান্ত্রিক উপায়ে পৃথক করা যায় না।
(iii) এতে কোনাে মাধ্যমের প্রয়ােজনীয়তা নাই।(iii) এতে পদার্থকে গলিত অথবা কোনাে আয়নীকরণ দ্রাবকে দ্রবীভূত অবস্থায় রাখতেহয়।
(iv) প্রক্রিয়া উভমুখী।(iv) প্রক্রিয়া উভমুখী।

৩। সংজ্ঞা লিখ –

(a) এসিড।

(b) ক্ষারক।

(c) ক্ষার।

উত্তরঃ (a) এসিড – যে সকল হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন H⁺ উৎপন্ন করে এবং H⁺ ব্যতীত অন্য কোনাে পরা-তড়িযুক্ত আয়ন উৎপন্ন করে না এদের এসিড বলে।

যেমন- H₂SO₄, HCl ইত্যাদি। এরা নীল লিটমাস লাল করে।

(b) ক্ষারক – যে সকল পদার্থ (সাধারণত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইড) এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে কেবল লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের ক্ষারক বলে।

যেমন- NaOH, Ca(OH)₂, CuO ইত্যাদি। এদের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে।

(c) ক্ষার – যে সকল পদার্থ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে হাইড্রসিল আয়ন OH⁻ উৎপন্ন করে এবং OH⁻ আয়ন ব্যতীত অপর কোনাে অপরা-তড়িযুক্ত আয়ন উৎপন্ন করে না, তাদেরকে ক্ষার বলে। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাস নীল করে। এসিডের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে।

NaOH = Na⁺ + OH⁻

Ca(OH₂) = Ca⁺⁺ + 2OH⁻

NaOH + HCL = NaCl (লবণ) +H₂O (জল)।

৪। উদাহরণসহ সংজ্ঞা লিখ-

(a) লবণ। 

(b) এসিড লবণ। 

(c) ক্ষারকীয় লবণ। 

(d) শমিত লবণ।

উত্তরঃ (a) লবণ – দ্রবণে এসিডের যে হাইড্রোজেন আয়নিত হয় সেই হাইড্রোজেন ধাতু বা পরা-তড়িৎযুক্ত মূলক, দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে।

যেমন- NaCl, NH₄Cl

(b) এসিড লবণ – এসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু দ্বারা বা কোনাে পরা-তড়িৎযুক্ত মূলক দ্বারা আংশিকরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে এসিড লবণ বলে। এসিড লবণের লঘু জলীয় দ্রবণে পরা- তড়িযুক্ত অপর আয়নের সাথে H” আয়নও থাকে।

যেমন- NaHSO₄

(c) ক্ষারকীয় লবণ – কোনাে বহু আম্লিক ক্ষার বা ক্ষারকের সমস্ত হাইড্রক্সিল মূলক এসিড দ্বারা সম্পূর্ণ প্রশমিত না হয়ে আংশিক প্রশমিত হওয়ার ফলে যে লবণের উৎপত্তি হয় তাকে ক্ষারকীয় লবণ বলে।

Pb(OH)₂ – Pb (OH) (NO₃)

(ক্ষারক)   (ক্ষারকীয় লবণ)

(d) শমিত লবণ – কোনাে এসিডের অণুতে প্রতিস্থাপনযােগ্য সমস্ত হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা পরা-তড়িৎযুক্ত মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে শমিত লবণ বলে।

HCI হতে উৎপন্ন NaCl এবং H₂SO₄ হতে উৎপন্ন Na₂SO₄ শমিত লবণের উদাহরণ।

NaCl = Na⁺ + Cl⁻; Na₂SO₄ – 2 Na⁺ + SO⁻

৫। (a) প্রশমন এবং (b) আ বিশ্লেষণ-এর ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ (a) প্রশমন – এসিড ও ক্ষারের লবণ তুল্যাংকের অনুপাতে মিশ্রিত করলে লবণ ও জল উৎপন্ন হয় এবং এই উৎপন্ন দ্রবণের আম্লিক বা ক্ষারীয় ধর্ম থাকে না। এই শ্রেণির বিক্রিয়াকে প্রশমন বলে।

HCl + NaOH – NaCl + H₂O

(b) আর্দ্র বিশ্লেষণ – লঘু এসিড বা লঘু ক্ষারক বা উভয় হতে উৎপন্ন লবণ/জলের সাথে বিক্রিয়া করে মুক্ত এসিড ও মুক্ত ক্ষারক উৎপাদন করে এবং উৎপন্ন এসিড বা ক্ষারকের তীব্রতার তারতম্য অনুসারে লবণের জলীয় দ্রবণ এসিডধর্মী বা ক্ষারধর্মী হয়। এই ধরনের বিক্রিয়াকে আদ্র বিশ্লেষণ বলে।

NaCH + HOH = NaOH + HCN

                          (তীব্র ক্ষার) (লঘু এসিড)

Na₂CO₃ + 2HOH = 2NaOH + H₂CO₃

                          (তীব্র ক্ষার) (লঘু এসিড)

FeCl₃ + 3HOH = Fe(OH)₃ + 3HCI

                           (লঘু ক্ষারক) (তীব্র এসিড)

CuSO₄ + 2HOH = Cu(OH)₂ + H₂SO₄

                            (লঘু ক্ষারক) (তীব্র এসিড)

সেইজন্য NaCN, Na₂CO₃ লবণের জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী এবং FeCl₃, CuSO₄ ইত্যাদি লবণের জলীয় দ্রবণ এসিডধর্মী হয়।

৬। সংক্ষেপে উত্তর দাও-

১। ক্ষারক নয় এমন একটি ধাতব অক্সাইডের নাম ও সংকেত লেখাে।

উত্তরঃ ম্যাঙ্গানিজ হেপ্টাক্সাইড (Mn₂O₇) ক্ষারক নয়।

২। একটি উভধর্মী অক্সাইডের নাম লেখাে।

উত্তরঃ উভধর্মী অক্সাইড – জিংক অক্সাইড (ZnO)।

৩। ZnO ক্ষার, না ক্ষারক ?

উত্তরঃ ZnO হল ক্ষারক।

৪। অ্যাসিড সম্পর্কিত আরহেনিয়াসের তত্ত্বটি কী ?

উত্তরঃ আরহেনিয়াসের তত্ত্বানুসারে যে সমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে ক্যাটায়নরূপে কেবলমাত্র H⁺ আয়ন উৎপন্ন করে তাদের অ্যাসিড বলে।

৫। প্রতিটি অ্যাসিডের অণুতে কোন মৌল থাকবেই ?

উত্তরঃ প্রতিটি অ্যাসিডের অণুতে হাইড্রোজেন থাকবেই।

৬। সালফিউরিক অ্যাসিডে কয়টি প্রতিস্থাপনযােগ্য হাইড্রোজেন আছে ?

উত্তরঃ সালফিউরিক অ্যাসিডে (H₂SO₄) প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণুর সংখ্যা 2টি।

৭। একটি করে একক্ষারীয়, দ্বিক্ষারীয় এবং ত্ৰিক্ষারীয় অ্যাসিডের নাম ও সংকেত লেখাে।

উত্তরঃ 

একক্ষারীয় অ্যাসিডদ্বিক্ষারীয় অ্যাসিডত্ৰিক্ষারীয় অ্যাসিড
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডসংকেত-HCIসালফিউরিক অ্যাসিড; সংকেত-H₂SO₄ফসফরিক অ্যাসিড ;সংকেত- H₃PO₄

৮। কোন্ আয়নের উপস্থিতিতে HCI -এর জলীয় দ্রবণে অম্লধর্ম প্রকাশ পায় ?

উত্তরঃ H⁺ (বা H₃O⁺) আয়নের উপস্থিতিতে HCl -এর জলীয় দ্রবণে অম্লধর্ম প্রকাশ পায়।

৯। দুটি জৈব অ্যাসিডের নাম সংকেতসহ লেখাে।

উত্তরঃ দুটি জৈব অ্যাসিড হল-

(a) অ্যাসেটিক অ্যাসিড (CH₃COOH)

(b) ফর্মিক অ্যাসিড (HCOOH)

১০। মানুষের পাকস্থলীতে কোন্ অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ?

উত্তরঃ মানুষের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়।

১১। তেঁতুল, আপেল ও দই-এর মধ্যে কী অ্যাসিড থাকে ?

উত্তরঃ তেঁতুলে টারটারিক অ্যাসিড, আপেলে ম্যালিক অ্যাসিড এবং দই-এই ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে।

১২। ফর্মিক অ্যাসিড এবং অ্যাসেটিক অ্যাসিডের ক্ষারগ্রাহিতা কত ?

উত্তরঃ ফর্মিক অ্যাসিডের ক্ষারগ্রাহিতা =1

অ্যাসিটিক অ্যাসিডের ক্ষারগ্রাহিতা =1

১৩। H₂SO₄, HNO₃, CH₃COOH- তিনটির মধ্যে সবচেয়ে মৃদু অ্যাসিড কোটি ?

উত্তরঃ সবচেয়ে মৃদু অ্যাসিড CH₃COOH

১৪। একটি পাত্রে বর্ণহীন অ্যাসিড আছে এবং অপর পাত্রে জল আছে। কোন্ পাত্রে কী আছে তা সহজে বুঝবে কীভাবে ?

উত্তরঃ প্রত্যেক পাত্রে পৃথকভাবে নীল লিটমাস পেপার ডােবালে যে পাত্রে লিটমাসের বর্ণ লাল হয়ে যায়, সেটিতে অ্যাসিড আছে। অন্যদিকে, যে পাত্রে লিটমাসের বর্ণের কোনাে পরিবর্তন হয় না সে পাত্রে জল আছে।

১৫। আরহেনিয়াসের তত্ত্ব অনুসারে ক্ষারের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ আরহেনিয়াসের তত্ত্বানুসারে- যে সমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়ােজিত হয়ে অ্যানায়নরূপে কেবলমাত্র OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে, তাদের ক্ষার বলে।

১৬। ক্ষারের জলীয় দ্রবণে উৎপন্ন অনায়নের নাম ও সংকেত লেখাে।

উত্তরঃ ক্ষারের জলীয় দ্রবণে উৎপন্ন অ্যানায়নের নাম হাইড্রক্সিল আয়ন। এর সংকেত হল OH⁻।

১৭। NaOH এবং CaO -এর অগ্রাহিতা কত ?

উত্তরঃ NaOH -এর অগ্রাহিতা = 1

CaO -এর অম্লগ্রাহিতা = 2

১৮। ক্ষারক ধর্ম আছে এরূপ একটি অজৈব গ্যাসীয় যৌগের নাম লেখাে।

উত্তরঃ ক্ষারক ধর্ম আছে এরূপ একটি অজৈব গ্যাসীয় যৌগ হল অ্যামােনিয়া (NH₃)

১৯। ক্ষারক ধর্ম আছে এরূপ একটি জৈব যৌগের নাম লেখাে।

উত্তরঃ ক্ষারক ধর্ম আছে এরূপ একটি জৈব যৌগ হল মিথাইল-অ্যামিন (CH₃NH₂)।

২০। CaSO₄ এবং CaHSO₄ -এর মধ্যে কোন্‌টি আম্লিক লবণ ?

উত্তরঃ CaSO₄ এবং CaHSO₄ -এর মধ্যে CaHSO₄ আম্লিক লবণ।

২১। NaHSO₄ -এর পূর্ণ নাম কী? এটি কী জাতীয় লবণ ?

উত্তরঃ NaHSO₄ -এর পূর্ণ নাম সােডিয়াম বাইসালফেট। এটি আত্নিক লবণ।

২২। সংকেতসহ একটি দ্বিলবণের নাম লেখাে।

উত্তরঃ একটি দ্বি-লবণ হল- ফটকিরি [K₂SO₄Al₂ (SO₄)₃ 24H₂O]।

২৩। সােডিয়াম কার্বনেট এবং সােডিয়াম বাইকার্বনেট লবণ দুটির মধ্যে কী পার্থক্য ?

উত্তরঃ সােডিয়াম কার্বনেট হল নর্মাল লবণ কিন্তু সােডিয়াম বাইকার্বনেট হল অ্যাসিড লবণ।

২৪। একটি ক্ষারকীয় এবং একটি অ্যাসিড লবণের নাম ও সংকেত লেখাে।

উত্তরঃ ক্ষারকীয় লবণ- ক্ষারকীয় লেড নাইট্রেট [Pb (OH) NO₃] ; এবং অ্যাসিড লবণ- সােডিয়াম বাইসালফেট [NaHSO₄]।

২৫। তুল্যাঙ্ক পরিমাণ অ্যাসিডের সঙ্গে তুল্যাঙ্ক পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়াকে কী বলে ?

উত্তরঃ তুল্যাঙ্ক পরিমাণ অ্যাসিডের সঙ্গে তুল্যাঙ্ক পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়াকে প্রশমন ক্রিয়া বলে।

২৬। তীব্র অ্যাসিড এবং মৃদু ক্ষারের প্রশমন ক্রিয়ায় কোন্ নির্দেশক ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ তীব্র অ্যাসিড এবং মৃদু ক্ষারের প্রশমন ক্রিয়ায় মিথাইল অরেঞ্জ নির্দেশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

২৭। মৃদু অ্যাসিড এবং তীব্র ক্ষারের প্রশমন ক্রিয়ায় কোন নির্দেশক ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ মৃদু অ্যাসিড এবং তীব্র ক্ষারের প্রশমন ক্রিয়ায় ফেনলথ্যালিন নির্দেশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

২৮। সােডিয়াম কার্বনেট দ্রবণে একফোটা ফেনলথ্যালিন দিলে কী রং হবে ?

উত্তরঃ সােডিয়াম কার্বনেটের জলীয় দ্রবণে একফোটা ফেনলথ্যালিন দিলে দ্রবণের রং গােলাপি হয়।

২৯। সােডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণে একফোঁটা ফেনলপথ্যালিন দিলে কীরূপ রং হয় ?

উত্তরঃ সােডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণে একফোটা ফেনলপথ্যালিন দিলে দ্রবণের রং গােলাপি হয়।

৩০। সসাডিয়াম কার্বনেট লবণের জলীয় দ্রবণে একফোঁটা মিথাইল অরেঞ্জ ফেললে দ্রবণের বর্ণের কী পরিবর্তন দেখা যাবে ?

উত্তরঃ সােডিয়াম কার্বনেট লবণের জলীয় দ্রবণে একফেঁটা মিথাইল অরেঞ্জ ফেললে দ্রবণের বর্ণ হলুদ হয়।

৩১। সসাডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের প্রশমন ক্রিয়ায় কোন নির্দেশক ব্যবহৃত হয় ?

উত্তরঃ সােডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের প্রশমন ক্রিয়ায় মিথাইল অরেঞ্জ নিদের্শক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৩২। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে কী ঘটবে ?

(i) লঘু H₂SO₄ দ্রবণে একফোটা মিথাইল অরেঞ্জ এবং ফেনলথ্যালিন যােগ করা হয়।

(ii) NaOH -এর জলীয় দ্রবণে ফেনলথ্যালিন এবং মিথাইল অরেঞ্জ যােগ করা হল।

উত্তরঃ (i) লঘু H₂SO₄ দ্রবণে একফোটা মিথাইল অরেঞ্জ দিলে দ্রবণের রং লাল হবে এবং ফেনলথ্যালিন দিলে দ্রবণের বর্ণের কোনাে পরিবর্তন হবে না।

(ii) NaOH -এর জলীয় দ্রবণে ফেনলথ্যালিন দিলে দ্রবণের রং গােলাপি হবে এবং মিথাইল অরেঞ্জ দিলে দ্রবণের রং হলুদ হবে।

৩৩। অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণে একফোটা ফেনলপথ্যালিন দিলে কী বর্ণ দেখা যাবে ?

উত্তরঃ অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণে একফোটা ফেনলথ্যালিন দিলে দ্রবণটির বর্ণ গােলাপি হয়ে যায়।

৩৪। একটি নির্দেশকের নাম লেখাে যা বর্ণহীন।

উত্তরঃ ফেনলথ্যালিন নির্দেশক বর্ণহীন।

৩৫। একটি প্রশম লবণ এবং একটি নির্দেশকের নাম লেখাে।

উত্তরঃ একটি প্রশম লবণের নাম সােডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এবং একটি নির্দেশকের নাম মিথাইল অরেঞ্জ।

৩৬। বিলীয়মান রং কী ? এটিকে এমন নাম দেওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ ফেনলপৃথ্যালিন-মিশ্রিত অ্যামােনিয়াম হাইড্রক্সাইডের গােলাপি বর্ণের জলীয় দ্রবণকে বিলীয়মান রং বলে।

সাদা কাপড়ে এই রং ছিটিয়ে দিলে তৎক্ষণাৎ কাপড় গােলাপি হয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ কাপড় বাতাসে থাকলে ওই গােলাপি রং অদৃশ্য হয়ে যায়। এইভাবে বিলীন হয় বলেই একে বিলীয়মান রং বলে।

৩৭। বিলীয়মান রং তৈরিতে NH₄OH অথবা NaOH -কোটি ব্যবহার করবে ?

উত্তরঃ বিলীয়মান রং তৈরিতে NH₄OH ব্যবহার করা হয়।

৩৮। একটি অ্যাসিডের উদাহরণ দাও যা দুপ্রকারের লবণ তৈরি করতে পারে।

উত্তরঃ সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) এরূপ একটি অ্যাসিডের উদাহরণ।

৩৯। একখণ্ড নীল লিটমাস কাগজের সাহায্যে অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণ ও হাইড্রোজেন সালফাইডের জলীয় দ্রবণের মধ্যে পার্থক্য করবে কীভাবে ?

উত্তরঃ অ্যামােনিয়ার জলীয় দ্রবণে নীল লিটমাস কাগজের বর্ণ অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু হাইড্রোজেন সালফাইডের জলীয় দ্রবণে নীল লিটমাস কাগজের বর্ণ লাল হয়।

৪০। সূচক কাকে বলে ? চারটি অম্ল ক্ষারক সূচকের নাম উল্লেখ করে তাদের বর্ণের পরিবর্তন কেমন হয় লিখ।

উত্তরঃ সূচক ও যে সব রঞ্জক পদার্থ আম্লিক, ক্ষারকীয় এবং প্রশম মাধ্যমে আলাদা রং ধারণ করে সেই পদার্থগুলিকে সূচক বলে। চারটি অল্পক্ষারক সূচক হল-

(i) মিথাইল অরেঞ্জ (Methyl orange)- প্রশম মাধ্যমে কমলা, আল্লিক মাধ্যমে লাল এবং ক্ষারকীয় মাধ্যমে এটির রং হলুদ।

(ii) ফেনলথেলিন- ও আম্লিক মাধ্যমে এটি বর্ণহীন কিন্তু ক্ষারকীয় মাধ্যমে এটির রং গােলাপী।

(iii) লিটমাস- আম্লিক মাধ্যমে লাল এবং ক্ষারকীয় মাধ্যমে নীল রং হয়।

(iv) ব্রোমােথাইমল- ক্ষারকীয় মাধ্যমে নীল এবং আম্লিক মাধ্যমে হলুদ বর্ণ হয়।

৪১। অম্লনাশক (Antacid) কি ?

উত্তরঃ অম্লনাশক হল অতিরিক্ত অম্লকে নষ্ট করা। যেমন—ম্যাগনেসিয়া দুগ্ধ (Milk of magnesia) একটি অম্লনাশক।

৪২। নিম্নে কিছু দ্রব্য দেওয়া আছে।

হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl), সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃), অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH₃COOH), সােডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড [Ca(OH₂)], পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড [Mg(OH₂), এবং অ্যামােনিয়াম হাইড্রক্সাইড (NH₄OH)। প্রদত্ত দ্রব্যগুলির মাধ্যমে লাল লিটমাস, নীল লিটমাস, ফেনলথেলিন এবং মিথাইল অরেঞ্জের রং কি রকম হবে ?

উত্তরঃ

৪৩। যেকোনাে বস্তুতে অম্লের উপস্থিতি কি রূপে পরীক্ষা করবে ?

উত্তরঃ (i) লিটমাস কাগজের দ্বারা – প্রথমত, বস্তুর জলীয় দ্রব লিটমাস কাগজের উপরে কয়েক ফোঁটা ফেলে দেওয়া হল। যদি লিটমাস কাগজের রং লাল হয় তা হলে বস্তুটি হবে আম্লিক।

(ii) ধাতুর দ্বারা – ধাতুর সাথে অ্যাসিডের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে লবণ এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। সুতরাং যদি প্রদত্ত বস্তু গ্যাস উৎপন্ন করে এবং বিস্ফোরণ সহকারে জ্বলতে থাকে তা হলে বস্তুটি অ্যাসিড হবে।

৪৪। আম্লিক দ্রব বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে কি ?

উত্তরঃ হ্যা। সকল প্রকার অ্যাসিড বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে।

৪৫। কলের জল এবং বিশুদ্ধ জলের মধ্যে কোন জল বিদ্যুৎ চলাচলের জন্য বেশি ভালাে ?

উত্তরঃ কলের জল বিদ্যুৎ চলাচলের জন্য বেশি ভাল।

৪৬। জানালা পরিষ্কারক বহু ঘরােয়া বস্তুতে অ্যামােনিয়া থাকে, এটি লাল লিটমাসকে নীল করে।এটা কি প্রকৃতির ?

উত্তরঃ ক্ষারক লাল লিটমাসকে নীল করে। অতএব এটি ক্ষারকীয়।

৪৭। কারণ ব্যাখ্যা কর।

(ক) অ্যাসিডিটিতে ভুগলে তুমি অম্লনাশক ট্যাবলেট নাও।

(খ) পিপীলিকা দংশন করলে গাত্রে ক্যালামাইন দ্রব্য ঘষা হয়।

(গ) কারখানার আবর্জনা জলাশয়ে নিক্ষেপ করার পূর্বে প্রশমিত করা হয়।

উত্তরঃ (ক) আমাদের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) থাকে। পাকস্থলীতে অম্লের পরিমাণ বেশি হলে অ্যাসিডিটি হয়। এই অ্যাসিডিটি হতে নিস্তার পাবার জন্য অম্লনাশক গ্রহণ করা হয় যাতে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড ক্ষারক থাকে।

অম্ল ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে। অতএব ক্ষারকের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত অন্ত্রের প্রভাব নষ্ট করে। সেইজন্য অ্যাসিডিটি হতে নিস্তার পাবার জন্য অম্লনাশক ট্যাবলেট খাই।

অ্যাসিড + ক্ষারক → লবণ + জল।

অল্প এবং ক্ষারকের মধ্যে ঘটা রাসায়নিক বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

(খ) পিপীলিকার শুড়ে ফর্মিক অ্যাসিড থাকে। পিপীলিকা যখন কামড়ায় তখন চামড়ার মধ্যে এই অ্যাসিড প্রবেশ করে। কামড়ানাের ফলে ব্যথা হয়। কামড়ানাের প্রভাব ক্যালামাইন দ্রব (Calamine solution) যাতে জিংক কার্বনেট থাকে এবং দংশনের স্থানে লাগালে বিষ নষ্ট হয়।

(গ) অনেক কল-কারখানার আবর্জনাতে অম্ল থাকে। যদি এই আবর্জনাসমূহ জলাশয়ে ফেলা হয় তাহলে এই অল্প জলে থাকা মাছ এবং অন্য জাব ধবংস করে। সেইজন্য কারখানার আবর্জনাসমূহ জলাশয়ে ফেলার পূর্বে প্রশমিত করা হয়।

৪৮। পিপীলিকার শুঙে কি অ্যাসিড থাকে ?

উত্তরঃ পিপীলিকার শুঙে ফর্মিক অ্যাসিড থাকে।

৪৮। রাসায়নিক সারের অত্যধিক ব্যবহার মাটি আম্লিক বা ক্ষারকীয় করে তােলে ……………এই আল্লিকতা বা ক্ষারকীয়তা কিভাবে দূর করবে ?

উত্তরঃ রাসায়নিক সারের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে মাটিতে অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। মাটিতে যদি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি বৃদ্ধি হয়, তাহলে পােড়াচুন (quick lime) বা ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা শিথিলিত চুন (slaked lime) ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড প্রয়ােগ করা হয়। যদি মাটিতে ক্ষারকের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, তা হলে জৈব পদার্থ প্রয়ােগ করা হয় এবং ফলে মাটির ক্ষারকীয় গুণ প্রশমিত করে।

৫০। আমাদের শরীরের চর্বিসমূহে কি অ্যাসিড থাকে ?

উত্তরঃ আমাদের শরীরের চর্বিসমূহে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

৫১। ক্ষারের ঘরােয়া ব্যবহার সম্পর্কে লিখ ?

উত্তরঃ আমাদের কাপড় চোপড়, বাসন ধুতে সাবান ব্যবহার করি। অতীতে এবং বর্তমানে অনেক লােক এইগুলি ধুতে নিজে প্রস্তুত করা কলাখার ব্যবহার করে। খারের ব্যঞ্জন রাধার জন্য কলাখার ব্যবহার করা হয়।

৫২। ফলের রস এবং দই, কপার এবং কাঁসা পিতলের পাত্রে রাখা হয় না কেন ?

উত্তরঃ ফলের রস এবং দই-এ অ্যাসিড থাকে। অ্যাসিডে ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে। এই কারণে ফলের রস এবং দই কাসা পিতলের পাত্রে রাখা হয় না।

৫৩। শূন্যস্থান পূরণ করাে-

১। অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণে ………….. আয়ন থাকবেই।

উত্তরঃ হাইড্রোনিয়াম (H₃O⁺)।

২। অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ …………..লিটমাসকে …..………করে।

উত্তরঃ নীল, লাল।

৩। অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড একটি …………… অক্সাইড।

উত্তরঃ উভধর্মী।

৪। অ্যাসিড মাত্রই হাইড্রোজেন আছে কিন্তু সব হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগ …………..মাত্রই নয়।

উত্তরঃ অ্যাসিড।

৫। ক্ষাররে জলীয় দ্রবণ ……………. লিটমাসকে ……………… করে।

উত্তরঃ লাল, নীল।

৬। সঙ্গে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় …………..ও জল উৎপন্ন হয়।

উত্তরঃ ক্ষারকের, লবণ।

৭। সব ……………..ক্ষারক কিন্তু সব……………. ক্ষার নয়।

উত্তরঃ ক্ষারই, ক্ষার।

৮। সসাডিয়াম ক্লোরাইড একটি ……………… লবণ।

উত্তরঃ শমিত।

৯। ……………….একটি অ্যাসিড লবণ।

উত্তরঃ সােডিয়াম বাইসালফেট (NaHSO₄)।

১০। যে ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয়, তাকে ……………….বলে।

উত্তরঃ ক্ষার।

১১। তুল্যাঙ্ক পরিমাণ অ্যাসিডের সঙ্গে তুল্যাঙ্ক পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়াকে …………….বলে।

উত্তরঃ প্রশমন ক্রিয়া।

১২। ক্ষারকের জলীয় দ্রবণে …………… আয়ন থাকে।

উত্তরঃ হাইড্রক্সিল (OH⁻)

১৩। সােডিয়াম কার্বনেট একটি ……………লবণ কিন্তু সােডিয়াম বাইকার্বনেট হল ……..…….. লবণ।

উত্তরঃ নর্মাল, অ্যাসিড।

১৪। সকল অম্লের অণুতে ……………পরমাণু থাকে।

উত্তরঃ হাইড্রোজেন।

১৫। যেসব বস্তুর স্বাদ টক সেইসব বস্তুতে ……………আছে।

উত্তরঃ অম্ল।

১৬। অ্যাসিড এবং ক্ষারে করা বিক্রিয়াকে ……………. বলে।

উত্তরঃ প্রশমন।

১৭। মিথাইল অরেঞ্জ আম্লিক মাধ্যমে ……………..এবং ক্ষারকীয় মাধ্যমে ………………. হয়।

উত্তরঃ গােলাপী, হলুদ।

৫৪। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে-

১। জিংক অক্সাইড একটি-

(A) প্রশম অক্সাইড

(B) উভধর্মী অক্সাইড

(C) ক্ষারীয় অক্সাইড

উত্তরঃ (B) উভধর্মী অক্সাইড।

২। কস্টিক সােডা একটি-

(A) লবণ

(B) মৃদু ক্ষার 

(C) তীব্র ক্ষার

উত্তরঃ (C) তীব্র ক্ষার।

৩। মিথাইল অরেঞ্জ একটি

(A) নির্দেশক

(B) অ্যাসিড

(C) লবণ

উত্তরঃ (A) নির্দেশক।

৪। যে উক্তিটি সঠিক নয় তা হল-

(A) সব অ্যাসিডের অণুতে হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে

(B) অ্যাসিটিক অ্যাসিড একটি তীব্র অ্যাসিড

(C) নাইটিক অ্যাসিড একটি তীব্র অ্যাসিড

উত্তরঃ (B) অ্যাসিটিক অ্যাসিড একটি তীব্র অ্যাসিড।

৫। সালফিউরিক অ্যাসিড-

(A) অজৈব অ্যাসিড

(B) জৈব অ্যাসিড

(C) মৃদু অ্যাসিড

উত্তরঃ (A) অজৈব অ্যাসিড।

৬। ডাইসােডিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট একটি

(A) শমিত লবণ

(B) ক্ষারকীয় লবণ

(C) অ্যাসিড লবণ

উত্তরঃ (C) অ্যাসিড লবণ।

৭। বিলীয়মান রং তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়—

(A) NH₄OH

(B) NaOH

(C) KOH

উত্তরঃ (A) NH₄OH

৮। Na₂SO₄ একটি-

(A) অ্যাসিড় লবণ

(B) শমিত লবণ

(C) ক্ষারকীয় লবণ

উত্তরঃ (B) শমিত লবণ।

৯। Na₂SO₄ -এর জলীয় দ্রবণে ফেনলথ্যালিন যােগ করলে দ্রবণের বর্ণ হয়-

(A) গােলাপি

(B) লালচে বেগুনি

(C) নীল

উত্তরঃ (A) গােলাপি।

১০। কস্টিক সােভার সাথে সালফিউরিক অ্যাসিডের টাইট্রেশনে নির্দেশক হতে পারে-

(A) মিথাইল অরেঞ্জ

(B) ফেনলথ্যালিন

(C) যে-কোনাে নির্দেশক

উত্তরঃ (C) যে-কোনাে নির্দেশক।

১১। লঘু H₂SO₄ দ্রবণে ফেনলথ্যালিন দিলে দ্রবণের-

(A) বর্ণ লাল হয়

(B) বর্ণ হলুদ হয়

(C) বর্ণের কোনাে পরিবর্তন হয় না

উত্তরঃ (C) বর্ণের কোনাে পরিবর্তন হয় না।

১২। অ্যাসিড দ্রবণে মিথাইল অরেঞ্জের বর্ণ হয়-

(A) লাল

(B) হলুদ

(C) কমলা

উত্তরঃ (A) কমলা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top