Class 9 Bengali Chapter 6 প্রত্যুপকার Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Bengali Chapter 6 প্রত্যুপকার and select needs one.
Class 9 Bengali Chapter 6 প্রত্যুপকার
Also, you can read SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Bengali Chapter 6 প্রত্যুপকার for All Subject, You can practice these here…
প্রত্যুপকার
Chapter – 6
ক-বিভাগ পদ্যাংশ
ক্রিয়াকলাপ-
১। (ক) সঠিক উত্তর নির্বাচন করাে।
(ক) প্রত্যুপকার গল্পটি কোন পুরুষে লেখা ?
১। প্রথম পুরুষ।
২। মধ্যম পুরুষ।
৩। উত্তম পুরুষ।
৪। তৃতীয় পুরুষ।
উত্তরঃ ৩।প্রত্যুপকার গল্পটি উত্তম পুরুষে লেখা।
(খ) হস্তপদবদ্ধ ব্যক্তির নিবাস কোথায় ?
১। বাগদাদ।
২। ডেমাস্কস।
৩। গ্রিস।
৪। প্যারিস।
উত্তরঃ ২। হস্তপদবদ্ধ ব্যক্তির নিবাস ডেমাস্কস।
(গ) আলি ইবন আব্বস কোন দেশের লােক ?
১। বাগদাদ।
২। লাহাের।
৩। আফগানিস্থান।
৪। ডেমাস্কস।
উত্তরঃ ১। আলি ইবন আব্বাস বাগদাদ দেশের লােক।
(ঘ) খলিফার নাম কী ?
১। জসীম উদ্দিন।
২। আলি ইবন আব্বস।
৩। শহীদুল্লাহ।
৪। মামুন।
উত্তরঃ ৪। খলিফার নাম মামুন।
(খ) সত্য ও অসত্য বেছে নাও ?
১। আব্বস খলিফার বিরাগভাজন ছিলেন।
উত্তরঃ আববস খলিফার বিরাগভাজন ছিলেন- অসত্য।
২। খলিফা মহামতি ও অতি উন্নতচিত্ত পুরুষ ছিলেন।
উত্তরঃ খলিফা মহামতি ও অতি উন্নতচিত্ত পুরুষ ছিলেন- সত্য।
৩। পরদিন অপরাহ্নে আস খলিফার নিকট উপস্থিত হইলেন।
উত্তরঃ পরদিন অপরাহ্নে আবস খলিফার নিকট উপস্থিত হইলেন-অসত্য।
৪। এই পৃথিবীতে যত স্থান আছে ডেমাস্কস আমার সর্বাপেক্ষা প্রিয়।
উত্তরঃ এই পৃথিবীতে যতস্থান আছে ডেমাস্কস আমার সর্বাপেক্ষা প্রিয়- সত্য।
(গ) পাঠ অবলম্বনে শূন্যস্থান পূর্ণ করাে-
১। তিনি বলিলেন …………………………. আমার জন্মস্থান।
উত্তরঃ তিনি বলিলেন ডেমাস্কস আমার জন্মস্থান।
২। আপনি কৃপা করিয়া আমার ……………………..করুন।
উত্তরঃ আপনি কৃপা করিয়া আমার প্রাণরক্ষা করুন।
৩। সদাশয় আশ্রয়দাতা আমার হস্তে একটি ……………………. থলি দিলেন।
উত্তরঃ সদাশয় আশ্রয়দাতা আমার হস্তে একটি স্বর্ণমুদ্রার থলি দিলেন।
(৪) তিনি ………………………. ডাকাইয়া প্রস্তুত হইতে আদেশ দিলেন।
উত্তরঃ তিনি ঘাতককে ডাকাইয়া প্রস্তুত হইতে আদেশ দিলেন।
৫। এক্ষণে আপনার যেরূপ…………………………… হয় করুন।
উত্তরঃ এক্ষণে আপনার যেরূপ অভিরুচি হয় করুন।
২। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও-
(ক) বাংলা গদ্যের জনক কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ বাংলা গদ্যের জনক বলা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে।
(খ) আব্বস প্রাণরক্ষা করার জন্য আশ্রয়দাতার বাড়িতে কতদিন ছিলেন ?
উত্তরঃ আব্বস প্রাণরক্ষা করার জন্য আশ্রয়দাতার বাড়িতে একমাসকাল ছিলেন।
(গ) তােমা হইতেই তাহার প্রাণরক্ষা হইল’বক্তা কে ?
উত্তরঃ তােমা হইতেই তাহার প্রাণরক্ষা হইল- বক্তা হলেন খলিফা মামুন।
(ঘ) আপনকার নিবাস কোথায় ? – আপনকার’ বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ আপনকার’ বলতে হস্তপদবদ্ধ খলিফার বন্দীকে বােঝানাে হয়েছে।
(ঙ) প্রত্যুপকার’ পাঠের লেখক কে ?
উত্তরঃ প্রত্যুপকার’ পাঠের লেখক হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
(চ) ‘প্রত্যুপকার’ গল্পে কে, কার প্রত্যুপকার করেছেন ?
উত্তরঃ প্রত্যুপকার’ গল্পে আলি ইবন্ আব্বস তার দুর্দিনের আশ্রয়দাতার প্রত্যুপকার করেছেন।
৩। ৩/৪ বাক্যে উত্তর দাও-
(ক) পৃথিবীতে যত স্থান আছে ঐ স্থান আমার সর্বাপেক্ষা প্রিয়’- উক্তিটির যথার্থ বুঝিয়ে বল।
উত্তরঃ আলি ইবন আব্বাস একবার বাগদাদের খলিফা মামুনের সাথে ডেমাস্কসে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে সেখানকার পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে প্রাণ বাঁচাতে একমাসকাল এক সম্ভ্রান্ত লােকের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় লাভ করেছিলেন। তারপর বাগদাদে সেই সম্ভ্রান্ত লােকেরই নির্দেশে তারই ঘােড়ায় চড়ে বাগদাদগামী একদল লােকের সাথে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একটি স্বর্ণমুদ্রাভরা থলি আশ্রয়দাতা ভদ্রলােকের থেকে লাভ করেছিলেন। এই বিরল আতিথেয়তার জন্য আব্বসের কাছে ডেমাস্কস পৃথিবীতে যতস্থান আছে তার মধ্যে প্রিয়তম হয়ে উঠেছিলাে।
(খ) আপনার মনস্কাম পূর্ণ হইয়াছে’-কে, কাকে কোন প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিলেন ?
উত্তরঃ উপরােক্ত উক্তি আলি ইবন আব্বস ডেমাস্কসবাসী এক বন্দীকে বলেছিলেন। সেই বন্দী আলির তত্ত্বাবধানে থাকাকালীন আলি তাকে তার ডেমাস্কসের ভয়ংকর কাহিনি শােনাতে শােনাতে তার প্রতি ডেমাস্কসের এক ভদ্রলােকের অসাধারণ করুণাময় আতিথেয়তার কথা বলেছিলেন। সেইসঙ্গে আলি সেই আশ্রয়দাতার প্রত্যুপকার করতে না-পারার জন্য আক্ষেপ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে ডেমাস্কসবাসী সেই বন্দীই যে আলির আশ্রয়দাতা তা জানালেন এবং আলিকে আক্ষেপ করতে নিষেধ করেছিলেন।
(গ) লৌহশৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবার পর বন্দী কীরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিলেন ?
উত্তরঃ লৌহশৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবার পর বন্দী আববসকে দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, তিনি কতিপয় নীচ প্রকৃতির লােকের চক্রান্তে খলিফার বিষনজরে পড়ে বন্দী হয়েছেন। তিনি নিতান্তই হতাশ হয়ে প্রাণদণ্ডপ্রাপ্তির আশঙ্কা করে স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদিগের ভবিতব্যের চিন্তা করছিলেন। এই দুরবস্থার প্রেক্ষিতে বন্দী আব্বাসকে প্রিয়জনকে সেই দুঃসংবাদ জানিয়ে দেবার জন্য অনুরােধ করেছিলেন।
(ঘ) বন্দীকে মুক্ত করার পর আব্বস তাকে কী বলেছিলেন ?
উত্তরঃ বন্দীকে মুক্ত করার পর আববস তাকে প্রাণনাশের আশঙ্কা করতে বারণ করলেন। পরন্তু তাকে স্বাধীন করে দিলেন। সেই সঙ্গে পাথেয়স্বরূপ সহস্র স্বর্ণমুদ্রার একটি থলি তার হাতে দিয়ে অবিলম্বে প্রস্থান করতে বলেন। আববস বন্দীকে তার পরিবারবর্গের সঙ্গে মিলিত হয়ে সংসারযাত্রা সম্পূর্ণ করতে উপদেশ দেন। আব্বস বন্দীকে জানালেন যে বন্দী মুক্তির জন্য তার উপরে খলিফার মর্মান্তিক ক্রোধ ও দ্বেষ জন্মাবে নিঃসন্দেহে তবুও বন্দীর প্রাণ বাঁচাতে পেরে আবস নিজের দুঃখকর পরিণতির জন্য দুঃখিত হবেন না।
(ঙ) আব্বসের প্রস্তাবে তিনি সম্মত হননি কেন ?
উত্তরঃ আব্বসের প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি কেননা একদিন যার প্রাণরক্ষা করেছিলেন আজ তার প্রাণবিনাশের কারণ হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। উপরন্তু নীচ প্রকৃতি লােকের ঈর্ষাবশত শত্রুতার ফলেই তার প্রতি খলিফার মনােভাব ও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে। যদি আব্বসের চেষ্টা সফল নাও হয় তবুও তার কোনাে ক্ষোভ থাকবে না।
(চ) খলিফা যে উন্নত চিত্তের পুরুষ কীভাবে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
উত্তরঃ ডেমাস্কসবাসী বন্দী হয়ে পরদিন আবস ক্রুদ্ধ খলিফাকে কাতর অনুনয় করে বন্দী সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন। আববস বন্দীকে দয়াশীলকারী, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্বিবেচক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে বন্দী যে কখনই দুরাচার নন একথা জানান। খলিফা তাঁর বন্দর প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে যৎপরােনাস্তি সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে উপহার সামগ্রী প্রদান করে সম্মানে বিদায় দেন। খলিফার এই ব্যবহারের মধ্য দিয়েই প্রমাণ পাওয়া যায় যে তিনি ছিলেন উন্নত চিত্তের পুরুষ।
৪। নীচের প্রশ্নগুলির রচনামূলক উত্তর লেখাে।
(ক) প্রত্যুপকার পাঠে কে, কীভাবে প্রত্যুপকার করেছে আলােচনা করাে।
উত্তরঃ প্রত্যুপকার পাঠে আলি ইবন্ আব্বস ডেমাস্কসবাসী বন্দী তার একদা আশ্রয়দাতার প্রত্যুপকার করেছিলেন।
আলি ইবন্ আববস নামে এক ব্যক্তি একদিন অপরাহ্নে খলিফার সঙ্গে আলাপে মগ্ন ছিলেন। সেই সময় বন্দী অবস্থায় এক ব্যক্তিকে তাঁর কাছে আনা হলে তিনি আসকে নির্দেশ দেন বন্দীকে তার বাড়িতে রুদ্ধ করে রাখতে এবং পরদিন খলিফার নিকট উপস্থিত করতে। খলিফার নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করে আব্বাস তিনি বন্দীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন বন্দীর বাসস্থান ডেমাস্কসে। আব্বসের মনে পড়ে যায় ডেমাস্কসের পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে তিনি প্রাণরক্ষার আবেদন জানিয়ে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হলে গৃহস্বামী তাকে শুধুমাত্র আশ্রয় প্রদান করেননি বিপদের মেঘ না-কাটা পর্যন্ত নির্ভয়ে ও নিরাপদে প্রায় মাসখানেক তাকে রেখেছিলেন। একদিন সুযােগ বুঝে বাগদাদে যাবার যাত্রীদের সঙ্গে তাকেও পাঠানাের ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে ছিল সুসজ্জিত অশ্ব, খাদ্যসামগ্রী, ভৃত্য। সেজন্য আববসের সবচেয়ে প্রিয়স্থান ডেমাস্কস।
ডেমাস্কসবাসী জেনে বন্দীকে সেই আশ্রয়দাতার কাহিনি বর্ণনা করে প্রত্যুপকার করতে না পারার জন্য আক্ষেপ করেন। এরপর বন্দী-ই যে সেই আশ্রয়দাতা জেনে পুলকিত হয়ে আব্বস তাকে শৃংখল মুক্ত করেন এবং সহস্র স্বর্ণমুদ্রার থলি প্রদান করে অবিলম্বে প্রস্থান করার অনুরােধ জানান।
প্রত্যুত্তরে বন্দী জানান একদিন যার প্রাণরক্ষা করেছিলেন আজ তার প্রাণ বিনাশের কারণ হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। উপরন্তু নীচ প্রকৃতি লােকের ঈর্ষাবশত শত্রুতার ফলেই যে তার বন্দীদশা, এই সত্য ঘটনা খলিফাকে জানালে তার প্রতি খলিফার মনােভাব ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। পরদিন আৰবস ক্রুদ্ধ খলিফাকে কাতর অনুনয় করে ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন। এবং একথাও বলেন- যে ব্যক্তি এমন দয়াশীল, পরােপকারী, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্বিবেচক তিনি কখনই দুরাচার নহেন। বিবেচক ও অতি উন্নতচিত্তের খলিফা তার বন্দীর প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে যৎপরােনন্তি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে উপহার সামগ্রী প্রদান করে সসম্মানে বিদায় করেন। এর থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে খলিফা ছিলেন উন্নত চিত্তের মানুষ।
(খ) প্রত্যুপকার নামকরণের সার্থকতা আলােচনা করাে।
উত্তরঃ আলি ইবন আব্বস নামে এক ব্যক্তি একদিন অপরাহ্নে মামুন। নামক খলিফার সঙ্গে আলাপে মগ্ন ছিলেন। সেই সময় বন্দী অবস্থায় এক ব্যক্তিকে তার কাছে আনা হলে তিনি আব্বসকে নির্দেশ দিলেন বন্দীকে তার বাড়িতে রুদ্ধ করে রাখতে এবং পরদিন এবং খলিফার নিকট উপস্থিত করতে। আব্বস যথাযথভাবে খলিফার নির্দেশ পালন করেন। বন্দীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানতে পান ডেমাস্কসে বন্দীর বাসস্থান। আব্বসের মনে পড়ে যায় ডেমাস্কসের পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে তিনি প্রাণরক্ষার আবেদন জানিয়ে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হলে গৃহস্বামী তাকে শুধুমাত্র আশ্রয় প্রদান করেননি বিপদের মেঘ না কাটা পর্যন্ত নির্ভয়ে ও নিরাপদে প্রায় মাসখানেক তাকে রেখেছিলেন। একদিন সুযােগ বুঝে বাগদাদে যাবার যাত্রীদের সঙ্গে তাকেও পাঠানাের ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে সুসজ্জিত অশ্ব, খাদ্যসামগ্রী ও ভৃত্য ছিল। সেজন্য আব্বসের সবচেয়ে প্রিয়স্থান ডেমাস্কস।
ডেমাস্কসবাসী জানতে পেরে তিনি বন্দীকে সেই আশ্রয়দাতার কাহিনি বর্ণনা করে প্রত্যুপকার করতে না-পারার জন্য আক্ষেপ করেন। এরপর বন্দীই যে সেই আশ্রয়দাতা জেনে আব্বস পুলকিত হয়ে তাকে শৃঙ্খল মুক্ত করেন এবং সহস্র স্বর্ণমুদ্রার থলি প্রদান করে অবিলম্বে প্রস্থান করার অনুরােধ জানান।
প্রত্যুত্তরে বন্দী জানান একদিন যাঁর প্রাণরক্ষা করেছিলেন আজ তার প্রাণ বিনাশের কারণ হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। উপরন্তু নীচপ্রকৃতি লােকের ঈর্ষাবশত শত্রুতার ফলেই যে তার বন্দীদশা, এই সত্য ঘটনা খলিফাকে জানালে তার প্রতি খলিফার মনােভাব ও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে। পরদিন আব্বস ক্রুদ্ধ খলিফাকে কাতর অনুনয় করে ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করেন। এবং একথাও বলেন- “যেব্যক্তি এমন দয়াশীল, পরােপকারী, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্বিবেচক তিনি কখনই দুরাচার | নহেন।” বিবেচক ও অতি উন্নতচিত্তের খলিফা তার বন্দীর প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে যৎপরােনাস্তি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে মহামূল্য উপহার সামগ্রী প্রদান করে সসম্মানে বিদায় করেন।
(গ) প্রত্যুপকার’ পাঠে আমার আলি ই আব্বস-এর চরিত্রটি ভালাে লাগে। অবশ্য দুটি চরিত্রই (বন্দী এবং আব্বস) যথেষ্ট নিপুণতার সঙ্গে চিত্রিত হয়েছে, তথাপি আলির চরিত্রটি তুলনামূলকভাবে আমাকে বেশি টানে।
উত্তরঃ বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, উপকার অনেকেই করেন কিন্তু উপকারের পরিবর্তে উপকার করার সংখ্যা নিতান্তই কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের ব্যবহারে অকৃতজ্ঞতাই ধরা পড়ে ; এমনকি কৃতঘ্নতাও। অথচ আলােচ্য গল্পে আলি আব্বসকে মানুষ দেখেছে একজন প্রত্যুপকারী হিসেবে।
আলি আববস ছিলেন বাগদাদের মানুষ। বাগদাদের খলিফার সঙ্গে ডেমাস্কস গিয়ে সেখানকার পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে অসহায় অবস্থায় এক ভদ্রলােকের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেই মহান ভদ্রলােক আলি আব্বসকে নিজের বাড়িতে একমাস নির্ভয়ে ও নিরাপদে আশ্রয় দেন। একমাস পরে নিজের পরিচিত যাত্রীদের সঙ্গে নিজের ঘােড়ার পিঠে বসিয়ে নিঃস্ব আব্বসকে একথলি স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে আববাসের স্বগৃহ বাগদাদে ফিরে যেতে সাহায্য করেন।
সেই মহান ভদ্রলােক কার্যকারণ সূত্রে শত্রুপক্ষের প্ররােচনায় খলিফার রােবে বন্দী হয়ে আববসের হাতেই সমর্পিত হন। ডেমাস্কসের অধিবাসী বলে জানতে পারায় আববস তাকে সেই ডেমাস্কসের লােকের আতিথেয়তার গল্প শােনান এবং তার প্রত্যুপকার করতে না পারার জন্য বারবার আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন।
এবার ডেমাস্কসের ভদ্রলােক নিজের পরিচয় দেবার সঙ্গে সঙ্গেই আহলাদে আটখানা আব্দুস খলিফার আক্রোশকে ভয় না পেয়ে একথলি স্বর্ণমুদ্রাসহ মুক্তি দিতে চান। ডেমাস্কসে বন্দী প্রাণদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত ছিলেন সেজন্য আব্বসকে নিজের পরিবারের লােকজনকে এই দুঃসংবাদ পৌঁছে দিতে শুধু অনুরােধ করেন। আলির প্রাণের বিনিময়ে নিজের প্রাণরক্ষা করা তাে স্বার্থপরতা। কিন্তু নিঃস্বার্থপর সেই ডেমাস্কসের ভদ্রলােক পরের দিন খলিফাকে শুধু বুঝিয়ে বলতে বলেন আব্বসকে। আব্বস নিজের প্রাণসংশয় জেনেও করজোড়ে বহু মিনতি করে সেই মহান আশ্রয়দাতার মহত্বকে খলিফার সামনে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। খলিফাও প্রকৃত ন্যায়নিষ্ঠ বিচারক ছিলেন বলেই ডেমাস্কসের সেই বন্দীকে সসম্মানে বিদায় দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যুপকারী আলি ইবন আব্দুস চরিত্রটি আমার ভালাে লাগে।
(ঘ) আলি ইবন আব্বসের আশ্রয়দাতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার যথার্থ কারণ বিশ্লেষণ করাে।
উত্তরঃ আলি ইবন আববস নামে এক ব্যক্তি একদিন বিকেলে খলিফার সঙ্গে আলাপে মগ্ন ছিলেন। সেই সময় বন্দী অবস্থায় এক ব্যক্তিকে তার কাছে আনা হলে তিনি আববসকে নির্দেশ দিলেন বন্দীকে তার বাড়িতে রুদ্ধ করে রাখতে এবং পরদিন খলিফার নিকট উপস্থিত করতে। আব্বস খলিফার নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেন। বন্দীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানতে পারেন ডেমাস্কসে বন্দীর বাসস্থান। আব্বসের মনে পড়ে যায় ডেমাস্কসের পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে তিনি প্রাণরক্ষার আবেদন জানিয়ে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হলে গৃহস্বামী তাকে শুধুমাত্র আশ্রয় প্রদান করেননি বিপদের মেঘ না-কাটা পর্যন্ত নির্ভয়ে ও নিরাপদে প্রায় মাসখানেক তাঁকে রেখেছিলেন। একদিন সুযােগ বুঝে বাগদাদে যাবার যাত্রীদের সঙ্গে তাকেও পাঠানাের ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে সুসজ্জিত অশ্ব, খাদ্যসামগ্রী ও ভৃত্য ছিল। সেজন্য আকসের সবচেয়ে প্রিয়স্থান ছিল ডেমাস্কস। আরও প্রিয় ছিল ডেমাস্কসের সেই মহান আশ্রয়দাতা। আলি আব্বসের ডেমাস্কসের মহান আশ্রয়দাতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার এইটিই যথার্থ কারণ।
(ঙ) ডেমাস্কসবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য আব্বস খলিফাকে যে সব যুক্তি দেখিয়েছিলেন তা উল্লেখ করাে।
উত্তরঃ আলি ইবন আববস নামে এক ব্যক্তি একদিন বিকেলে খলিফার সঙ্গে আলাপে মগ্ন ছিলেন। সেই সময় বন্দী অবস্থায় এক ব্যক্তিকে তার কাছে আনা হলে তিনি আববসকে নির্দেশ দিলেন বন্দীকে তার বাড়িতে রুদ্ধ করে রাখতে এবং পরদিন খলিফার নিকট উপস্থিত করতে। আব্বস খলিফার নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেন। বন্দীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানতে পারেন ডেমাস্কসে বন্দীর বাসস্থান। আব্বসের মনে পড়ে যায় ডেমাস্কসের পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে তিনি প্রাণরক্ষার আবেদন জানিয়ে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হলে গৃহস্বামী তাকে শুধুমাত্র আশ্রয় প্রদান করেননি বিপদের মেঘ না-কাটা পর্যন্ত নির্ভয়ে ও নিরাপদে প্রায় মাসখানেক তাঁকে রেখেছিলেন। একদিন সুযােগ বুঝে বাগদাদে যাবার যাত্রীদের সঙ্গে তাকেও পাঠানাের ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে সুসজ্জিত অশ্ব, খাদ্যসামগ্রী ও ভৃত্য ছিল। সেজন্য আকসের সবচেয়ে প্রিয়স্থান ছিল ডেমাস্কস। আরও প্রিয় ছিল ডেমাস্কসের সেই মহান আশ্রয়দাতা। আলি আব্বসের ডেমাস্কসের মহান আশ্রয়দাতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার এইটিই যথার্থ কারণ।
৫। প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করাে।
(ক) গৃহস্বামী আমাকে অভয় প্রদান করিলেন।
উত্তরঃ আলােচ্য অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিরচিত ‘প্রত্যুপকার’ গল্পের থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাগদাদবাসী আলি ইবন আববস বাগদাদের খলিফার সাথে বাগদাদে গেলে সেখানকার পদচ্যুত শাসনকর্তার আক্রমণে তার প্রাণসংশয় দেখা দেয়। এখন প্রাণরক্ষার্থে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে আলি আশ্রয় ভিক্ষা করে এবং তার প্রাণরক্ষা করার অনুরােধ করেন। সেই সম্ভ্রান্ত আলিকে শুধুমাত্র আশ্রয় দেন তা নয়, তাকে অভয় প্রদান করেন। এই তথ্যই উপরােক্ত অংশে ব্যাখ্যাত হয়েছে।
(খ) যদি তাহার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের অবসর পাই, তাহা হইলে, মৃত্যুকালে আমার কোনও ক্ষোভ থাকে না।
উত্তরঃ আলােচ্য অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘প্রত্যুপকার’ গল্পের থেকে নেওয়া।
বাগদাদবাসী আলির হাতেই সমর্পিত হন ডেমাস্কসের অতিথিপ্রিয় সজ্জন। প্রাণদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত সেই সজ্জনের কাছে আলি ডেমাস্কসের অতিথিপ্রিয় সেই সম্ভাত ভদ্রলােকের আন্তরিক আতিথেয়তার কথা বলেন। আলি তার প্রাণরক্ষাকর্তা সেই সম্ভ্রান্ত ভদ্রলােকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অবসরের খোঁজে ছিলেন। জীবনকালে সেই দয়ালু ভদ্রলােকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে পারলে আলি যেন ধন্য হয়ে যান। এমনকি কৃতজ্ঞতা জানাতে পারলে মৃত্যুকালেও আলির কোনাে খেদ বা ক্ষোভ থাকত না বলে আলি মনে করতেন। এই কৃতজ্ঞতার ভাষাই উপরােক্ত অংশে ব্যাখ্যাত হয়েছে।
(গ) আমি এত নীচাশয় ও স্বার্থপর নহি যে, যে প্রাণের রক্ষা করিয়াছি আপন প্রাণরক্ষার্থে, সেই প্রাণের বিনাশের কারণ হইব।
উত্তরঃ আলােচ্য অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লেখা ‘প্রত্যুপকার’ শীর্ষক গল্পের থেকে নেওয়া হয়েছে।
ডেমাস্কসবাসী আশ্রয়দাতা জেনে আলি ইবন আব্বস খলিফা প্রদত্ত প্রাণদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত বন্দীকে নিজের প্রাণকে পণ রেখে মুক্ত করেন এবং রাহা খরচ বাবদ একথলি স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করেন। কিন্তু প্রাণদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আশ্রয়দাতা আলি সেই মুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। কেননা নিজের স্বার্থে স্বার্থপরের মতাে তিনি যে আলির প্রাণরক্ষা করেছিলেন সেই আলিরই প্রাণহরণ করতে পারবে না। এই প্রসঙ্গে এবং এই অর্থেই উপরােক্ত উক্তিটি ব্যাখ্যাত হয়েছে।
(ঘ) “যে ব্যক্তি এমন দয়াশীল, পরােপকারী, ন্যায়পরায়ণ ও সদ্বিবেচক, তিনি কখনই দুরাচার হন না।
উত্তরঃ আলােচ্য অংশটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘প্রত্যুপকার’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
আলি ইবন আব্বসকে ডেমাস্কসে মহান আশ্রয়দাতা ও প্রাণরক্ষাকর্তা কার্যকারণসূত্রে বাগদাদের খলিফার আদেশে বন্দী হন, প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং ঘটনাচক্রে আলি আব্বসের হেপাজতেই চলে আসেন। আলি তার আশ্রয়দাতার প্রাণ বাঁচাতে খলিফার সামনে কতকগুলি অকাট্য যুক্তি পেশ করেন এবং খলিফার সদ্বিবেচনায় ও মহত্বে তার আশ্রয়দাতার প্রাণরক্ষা পায় ও সম্মানের সঙ্গে মুক্তি পান।আলােচ্যাংশে এই প্রসঙ্গে উপরােক্ত মন্তব্যটি ব্যাখ্যাত হয়েছে।
৬। টীকা- ঈশরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
উত্তরঃ ১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বীরসিংহ। গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মাতা। ভগবতী দেবী। দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে তার বাল্য ও কৈশাের জীবন। দারিদ্র্য তার মানসিকতাকে করে তুলেছে দুর্দমনীয়, তেজস্বী এবং অনমনীয় জেদি। গ্রামের পাঠশালার পাঠ শেষ করে মাত্র নয় বছর বয়সে কলকাতার সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন। অসাধারণ অধ্যয়ন স্পৃহা ও অসামান্য প্রতিভাবলে কাব্য, অলংকার, বেদান্ত, স্মৃতি এবং ন্যায়শাস্ত্রে কৃতিত্ব প্রদর্শন করে বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রধান অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের পদে বৃত হলেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় তা ত্যাগ করেন। প্রবেশ করেন বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে। মেট্রোপলিটান কলেজ তারই প্রথম ফলশ্রুতি। পরবর্তীকালে এর নামকরণ হয় ‘বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়।
সমাজ সংস্কারক বিদ্যাসাগরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিধবা বিবাহ আইন বিধিবদ্ধ হয়। তাকে বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক বলা হয়। রবীন্দ্রনাথ তাকে “বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী” আখ্যায় ভূষিত করেন। তার প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। শকুন্তলা’, সীতার বনবাস’, ‘কথামালা’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, তার অনুদিত গ্রন্থ। বােধােদয়’ ‘আখ্যানমঞ্জরী’, ‘বর্ণপরিচয়’ ইত্যাদি অনেক ছাত্রপাঠ্য গ্রন্থ রচনা করে তিনি বাঙালি জাতির অশেষ উপকার সাধন করেছিলেন। অজেয় পৌরুষ এবং অক্ষয় মনুষ্যত্বের অধিকারী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালের ২৯শে জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
৭। পাঠ্যভিত্তিক ব্যাকরণ-
১। (ক) সন্ধি বিচ্ছেদ করাে ও প্রত্যুপকার ; জগদীশ্বর ; উদ্ধত ; নির্ভয; মৌনাবলম্বন ; মনস্কাম ; উল্লেখ ; তজ্জন্য ; দোষারােপ ; সংবাদ ; স্বাধীন ; দুর্বিনীত।
উত্তরঃ প্রত্যুপকার – প্রতি + উপকার।
জগদীশ্বর- জগৎ + ঈশ্বর।
উদ্ধত- উৎ + হত।
নির্ভয়- নিঃ + ভয়।
মৌনাবলম্বন- মৌন + অবলম্বন।
মনস্কাম- মন + কাম।
উল্লেখ- উৎ + লেখ।
তজ্জন্য- তৎ + জন্য।
দোষারােপ- দোষ + আরােপ।
সংবাদ- সম্ + বাদ।
স্বাধীন – স্ব + অধীন।
দুর্বিনীত- দুরঃ + বিনীত।
(খ) প্রত্যয় নির্ণয় করাে : শ্রবণ; ঘাতক; তদীয় ; গমন; বক্তব্য আত্মীয় ; ভৃত্য ; ব্যক্তি ; ব্যক্ত ; দর্শন।
উত্তরঃ শ্রবণ- শ্ৰু +অন।
ঘাতক – হি + অক।
তদীয়- তদ + ঈয়।
গমন- গম্ + অন ।
বক্তব্য- বত + তব্য।
আত্মীয়- আত্মা + ঈয়।
ভৃত্য- ভৃ + ষ।
ব্যক্তি- বি + অনজ + তি।
ব্যক্ত- ব + অনজ + ত।
দর্শন- দৃশ + অন।
(গ) বাক্য সংকোচন করাে।
উত্তরঃ উপকারীর উপকার করে যে- কৃতজ্ঞ।
ভরণের যােগ্য- ভরণীয।
যার দয়া আছে- দয়ালু।
যাহা মর্মকে বেদনা দেয়- মর্মভেদী।
মহতের ভাব- মহত্ব ।
পরের উপকার করে- পরােপকারী।
(ঘ) উক্তি পরিবর্তন করাে।
১। আব্বস গৃহস্বামীর নিকট কাতর প্রার্থনা করিলেন, “আপনি কৃপা করিয়া আমার প্রাণরক্ষা করুন।”
উত্তরঃ আববাস গৃহস্বামীর নিকট কাতর প্রার্থনা করিলেন, যে তিনি কলা। করিয়া তাহার প্রাণরক্ষা করুন।
২। খলিফা আমার প্রতি আল্লা করিলেন, “তুমি এ ব্যক্তিকে আপন আলয়ে লইয়া যাও।”
উত্তরঃ খলিফা আমার প্রতি আজ্ঞ করিলেন যে আমি যেন ঐ ব্যক্তিকে আপন আলয়ে লইয়া যাই।
৩। আমি তাহাকে বলিলাম, “আপনার নিবাস কোথায় ?”
উত্তরঃ আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম যে তাহার নিবাস কোথায়।
(ঙ) প্রত্যুপকার’ পাঠটি থেকে দশটি তৎসম শব্দ খুঁজে বার করাে।
উত্তরঃ প্রত্যপকার’ পাঠটি থেকে দশটি তৎসম শব্দ হলাে-
১। প্রত্যুপকার।
২। অপরাহ্নে।
৩। প্রিয়পাত্র।
৪। হস্তপদবদ্ধ।
৫। তদীয়।
৬। রুদ্ধ।
৭। সম্মুখে।
৮। প্রতীতি।
৯। দর্শনে।
১০। আলয়ে।
(চ) প্রত্যুপকার’ পাঠটি থেকে পাঁচটি না-বােধক বাক্য খুঁজে বার করাে।
উত্তরঃ ‘প্রত্যুপকার’ পাঠটি থেকে পাঁচটি ‘না’-বােধক বাক্য হলাে-
১। আপনি স্বদেশে যাইবার অধিক সুবিধা আর পাইবেন না।
২। আমি সেকথা ব্যক্ত করিতে পারিলাম না।
৩। আমার সঙ্গে কিছুমাত্র অর্থ ছিল না।
৪। আমার যে আশা নাই।
৫। আমার আর কোনও ক্ষোভ থাকিবে না।
(ছ) বিদ্যাসাগর রচিত তিনখানি গ্রন্থের নাম বলাে।
উত্তরঃ বিদ্যাসাগর রচিত তিনখানি গ্রন্থ হলাে- বেতাল পঞ্চবিংশতি, আখ্যানমঞ্জরী, আত্মচরিত।
(জ) বিদ্যাসাগর অনুবাদিত তিনখানি গ্রন্থের নাম বলাে।
উত্তরঃ বিদ্যাসাগর অনুবাদিত তিনখানি গ্রন্থের নাম হলাে-
১। কাদম্বরী।
২। শকুন্তলা।
৩। সীতার বনবাস।
২। বাক্য রচনা করাে।
কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন, আলিঙ্গন, প্রতীতি, মৌনাবলম্বন, অমূলক, নিরীক্ষণ, স্বার্থপর, সমভিব্যবহারে, অভিরুচি, ন্যায়পরায়ণ।
উত্তরঃ কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন :- যে উপকার করবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা উচিত।
আলিঙ্গন :- আশ্রয়দাতাকে চিনতে পেরে আলি ইবন তাকে আলিঙ্গন করলেন আনন্দে।
প্রতীতি :- ভদ্রলােকের কথা শুনে আমার তার উপর প্রতীতি জন্মাল।
মৌনাবলম্বন :- সাধুরা অনেক সময়েই মৌনাবলম্বন করেন।
অমূলক :- ঈর্ষাবশত কারও ওপর অমূলক দোষারােপ করা অনুচিত।
নিরীক্ষণ :- কিছু সময় ধরে নিরীক্ষণ করে আমি তাকে চিনতে পারলাম।
স্বার্থপর :- স্বার্থপর মানুষ দীনকে দয়া করে না।
সমভিব্যবহারে :- বাগদাদের খলিফার সমভিব্যবহাবে আলি ইবন আব্বস ডেমাস্কসে গেলেন।
অভিরুচি :- এখন আপনার যা অভিরুচি তাই করুন।
ন্যায়পরায়ণ :- বাগদাদের খলিফা মামুন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ ছিলেন।
৩। তােমরা জান এমন একটি পরােপকার সম্পর্কিত গল্প বন্ধুদের মধ্যে বলাে।
উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।
৪। প্রকল্প রচনা করাে। পরােপকার কাকে বলে ? পরােপকারের দুটি গল্প চিত্র সহযােগে উপস্থাপন করাে।
উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।
৫। বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সদস্য হবার আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানি আবেদনপত্র লেখাে।
উত্তরঃ
মাননীয় প্রধান শিক্ষক মহাশয় সমীপেষু,
গুয়াহাটি উচ্চ বিদ্যালয় গুয়াহাটি, অসম
শ্রদ্ধেয় মহাশয়,
আপনার নেতৃত্বে সুপরিচালিত উপরােক্ত বিদ্যালয়ের (নবম শ্রেণি শাখা- ক – ক্রমিক সংখ্যা ৩০) ছাত্র। আমাদের বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সদস্য হিসেবে। আমার নাম নথীভুক্ত করতে চাই।
আশাকরি, আপনি অনুগ্রহ করে আমার আবেদন মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
গুয়াহাটি, আসাম
২০ ডিসেম্বর, ২০১৩
সবিনয় নিবেদন
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
প্রীতম বিশ্বাস
৬। তােমাদের বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করাে (৬০০ শত শব্দের মধ্যে)।
উত্তরঃ আমাদের বিদ্যালয়ের নাম ‘অসম পাবলিক স্কুল’ । আমাদের বিদ্যালয় ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতিকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। সেজন্য স্কুলের যে-কোনাে অনুষ্ঠানেই রাজ্যের শিক্ষা-সংস্কৃতির ছাপ পড়ে যায়।
গত ১১ নভেম্বর ‘১৩ এবং ১২ নভেম্বর ‘১৩ এই দুদিনব্যাপী আমাদের স্কুলের বর্ষান্তিক ক্রীড়ানুষ্ঠান মহা আড়ম্বর সহকারে পালিত হয়। বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের দিন ঘােষণার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্ররা চঞ্চল হয়ে উঠে। ক্লাশ ভাগ করে কীভাবে, কোথায় গিয়ে, কবে থেকে, কার কাছে নাম লেখাতে হবে আলােচ্য ক্রীড়ানুষ্ঠানে যােগ দেবার, সে ব্যাপারেও বিস্তৃতভাবে লিখে জানিয়ে ‘এমঙ্গজব্দ চন্দ্ৰজ’-এ ঝুলিয়ে দিলেন আমাদের স্কুলের ‘গেম টীচার’ সুকান্তবাবু। সারা স্কুলে ছাত্রদের মধ্যে, শােরগােল পড়ে যায়। Sports Item-গুলি ক্লাস অনুযায়ী আমাদের স্কুলের ছােটো মাঠে কাঠের Stand- গুলিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ক্লাশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে নাম লেখানাে শুরু হয়। Tiffin- এর পর থেকে চারটি ক্লাস করার পর টিফিন করে সবাই নাম লেখাতে থাকে। আমি নবম শ্রেণির ছাত্র। আমিও আমার ক্লাসের জন্য নির্দিষ্ট দিনে নাম লেখালাম।
আমরা যেহেতু Secondary Section -এ অর্থাৎ (ক্লাস V থেকে ক্লাস X পর্যন্ত) পড়ি সেহেতু Secondary Section -এর পৃথক দিনে Sport হয়ে থাকে আমি এই প্রতিবেদনে আমাদের Secondary Section-এর বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের বর্ণনা করছি এবং করব।
যাইহােক নাম লেখানাের পর নােটিশ পড়ে ‘Sport No’ নিয়ে যাওয়ার জন্য। চোকো কাগজে লাল ছাপা নং হাতে নিয়ে আমরা কী খুশী। ক’দিন আমাদের ছােটো মাঠে দৌড়াদৌড়ি চলল ছােটোদের, স্কুল ছুটির পর। আর আমরা বড়রা বড় মাঠে অনুশীলন করতে থাকলাম।
আমাদের স্কুলে ‘জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী আছে। এরা N.C.C বলেই পরিচিত। তারা আমাদের এন. সি. সি. অফিসারের নেতৃত্বে কুচকাওয়াজ করতে আরম্ভ করল মহড়া হিসেবে। স্কুলের পতাকা, দড়ি ইত্যাদি আনানাে হলাে। ‘ফ্ল্যাগস্ট্যাণ্ড’ বার করে সাদা রং করে ফেলা হলাে।
দুদিন ধরে আমাদের বর্ষান্তিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান চলে-প্রথম দিন ‘হিট’ এবং দ্বিতীয়দিনে ‘ফাইনাল’। প্রথমদিন স্কুলের বড় মাঠে চলে গেলাম। ওখানেই ক্রীড়ানুষ্ঠান হয়ে থাকে। গিয়ে দেখি এন. সি, সি অফিসার ফ্ল্যাগ মাটিতে পুঁতে তৈরি শুরছে এন. সি. সি. ক্যাডেটদের। আর ক্রীড়া পরিচালক মাস্টারমশাই স্কুলের পতাকা মাটিতে পুঁতে দৌড়ানাের ট্রাকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দিয়ে, চুনের দাগ দেওয়াচ্ছেন।
মাঠের চারিদিকে এন. সি. সি-র বেশ কিছু ক্যাডেট বুকে স্বেচ্ছা সেবকের ব্যাজ পরে মাঠের মাঝে যাতে কোনাে ছেলে অকারণে ঢুকে প্রতিযােগিতায় যাতে কোনাে অসুবিধা তৈরি না হয় তা তদারকি করছে। নানারকম রং-এর কাগজে সাজানাে হয়েছে সারা মাঠ জুড়ে।
ঠিক বেলা দশটায় প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের নেতৃত্বে অপরাপর শিক্ষকরা এসে পৌছলেন। এলেন স্কুলের সম্পাদক, সভাপতি মহাশয়েরাও।
এন, সি, সি-র ‘গাৰ্ড অফ অনার’ দিয়ে অনুষ্ঠান আরম্ভ হলাে। মার্চ পাস্ট ও দেখার তাে হলাে, এলেন বিশেষ অতিথি। তাকে আমাদের একজন মাল্যদান করে সম্মানিত করলাে।
প্রতিযােগিতা আরম্ভ হলাে। ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযােগিতা হলাে। ৪০০ মিটার রিলেরেস’ হলাে। ৮০০ মিটার দৌড় হলাে। তারপর একে একে মাঠের একদিকে লংজাম্প, হাইজাম্প চলল। অন্যদিকে ‘ডিসকাস থ্রো’ অংকরেস, হফস্টেপ জাম্প ইত্যাদি চলল। দেখতে দেখতে টিফিনের বিরতি ঘােষিত হলাে। স্কুল থেকে সকলকেই টিফিন দেওয়া হলাে। তারপর আবার আরও নানা ধরনের প্রতিযােগিতার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনটি সমাপ্ত হলাে।
দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ফাইন্যালের দিন একই প্রতিযােগিতা আরম্ভ হলাে আগের দিনের মতাে নানা অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে। এদিন প্রধান শিক্ষক মহাশয়, স্কুলের সম্পাদক ও সভাপতি মহাশয় বক্তব্য পেশ করলেন। এই বিশেষ অতিথি হয়ে এলেন অসমের একজন বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ। তাকে দিয়ে মশাল জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হলাে।
এদিন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের দৌড় হলাে। শিক্ষক অভিভাবকের Musical Chair প্রতিযােগিতা হলাে যুগ্মভাবে।
ঠিক বিকেল ৪টায় ক্রীড়ানুষ্ঠান সমাপ্ত হলাে। পুনরায় প্রথমদিনের মতাে টিফিন দেওয়া হয়েছিল সবাই। সেই সঙ্গে পুরস্কার প্রাপকদের পুরস্কার দিলেন বিভিন্ন শিক্ষকেরা একে একে।
এর বিউগিল বাজিয়ে ক্রীড়ানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘােষিত হলাে ও সকলের সহযােগিতার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করলেন প্রধান শিক্ষক মহাশয়।
৭। নীচে দেওয়া শব্দছকে উপরে-নীচে লম্বালম্বিভাবে বর্ণমালা বসিয়ে শব্দ তৈরি কর।
উত্তরঃ