Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন

Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন and select needs one.

Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Science Chapter 9 বংশগতি এবং বিবর্তন for All Subject, You can practice these here..

বংশগতি এবং বিবর্তন

               Chapter – 9

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। কোনও অযৌন প্রজননে অনুশীলন করা জীবের প্রজাতির জনসংখ্যার 10% এর মধ্যে কোনও চরিত্র A থাকে এবং 10% এর মধ্যে চরিত্র B থাকে, কোন চরিত্রটি আগে দৃশ্য হবে ?

উত্তরঃ যেহেতু চরিত্র B বেশি সংখ্যক থাকে সেইজন্য এই চরিত্রটি আগে দৃশ্য হবে এবং ইহা জনসংখ্যার 60% বিস্তারিত হবে। যেখানে চরিত্র A মাত্র 10% বিস্তারিত হয়।

২। কোনও প্রজাতির প্রকারণের দ্বারা বেঁচে থাকার হার বেড়ে যাবে ?

উত্তরঃ DNA কপিং পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকলে নতুন জীবে খুব সামান্য পার্থক্য দেখা যাবে। যা হােক যদি যৌন প্রজনন হয়, তবে বেশি প্রভেদ দেখা যায় এবং এ বিষয়ে উত্তরাধিকার সূত্র প্রযােজ্য।

একটি প্রজাতির জীব যে পরিবেশে থাকে সেই পরিবেশে সবরকম প্ৰকারণ নিশ্চয়ই টিকে থাকে না। প্রকারণের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জীব বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নেয়। আমরা জানি ব্যাক্টেরিয়ার তাপ সহ্য করার ক্ষমতা আছে তাই এরা তাপপ্রবাহে ভালভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। মেণ্ডেলের পরীক্ষা দ্বারা কিভাবে বােঝা যায় চারিত্রিক লক্ষণ প্রভাবি বা অপ্ৰভাবী হতে পারে ?

উত্তরঃ মেণ্ডেলের পরীক্ষা মতে যখন মটরগাছের একটি লক্ষণ না নিয়ে দুইটি লক্ষণযুক্ত গাছকে মিলিত করা হয় তখন দীর্ঘ এবং গােলাকার বীজে থাকা গাছ এবং খর্বকায় কুঞ্চিত বীজ থাকা গাঙ্কে প্রত্যেকটিই গােলাকার এবং দীর্ঘ বীজ থাকা হবে। সুতরাং দীর্ঘতা এবং গােলাকার বীজ প্রভাবী লক্ষণ কিন্তু এই বংশ যখন স্ব-পরাগযােগ দ্বারা F₂ প্রজন্ম সৃষ্টি করবে তখন F₂ প্রজন্মে কিছু মিত্র গাছও হবে। ইহা অপ্রভাবী লক্ষণ।

২। চারিত্রিক লক্ষণগুলি স্বতন্ত্রভাবে বংশ পরম্পরায় যায় বলে মেণ্ডেলের পরীক্ষা দ্বারা কিভাবে বুঝবে ?

উত্তরঃ মানুষের দেহে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নিয়ম বা নীতি এই যে পিতা ও মাতা উভয়ের শরীরের থেকেই শিশুর দেহে সমপরিমাণ জিনগত দ্রব্য আসে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই পিতা ও মাতার শরীরের DNA দ্বারা প্রভাবিত। অর্থাৎ প্রত্যেক শিশুর প্রত্যেকটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য দুইটি বিবরণ থাকবে। মেণ্ডেল এই ধরনের বংশগতি বা উত্তরাধিকারের উপরে কাজ করেছেন।

মেণ্ডেল মটরগাছের অনেকগুলি বিপরীতধর্মী লক্ষণ নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। গােলাকার ও কুঞ্চিত বীজ, দীর্ঘ/খর্বকায় গাছ, সাদা/বেগুনী ফুলের রঙ ইত্যাদি। মেণ্ডেল বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকা মটরগাছ- একটি দীর্ঘ গাছ এবং একটি খর্বকায় গাছ নিয়ে তাদের মিলন ঘটিয়ে প্রথম অপত্য জনু সৃষ্টি করে দীর্ঘ ও খর্বকায় গাছের হার বের করেন।

প্রত্যেক যৌন প্রজনন করা জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দুইটি লক্ষণ বংশগত হিসাবে আসে। এই দুইটি চরিত্র একও হতে পারে, পৃথকও হতে পারে এবং শতকরা হারের উপর নির্ভর করে।

৩। ব্লাড গ্রুপ “A” থাকা একটি লােক ব্লাড গ্রুপ “O” থাকা কোনও মহিলাকে বিয়ে করলে তাদের মেয়ের ব্লাড গ্রুপ “O” এই তথ্য থেকে ব্লাড গ্রুপ “A” অথবা “O” কোন চারিত্রিক লক্ষণটি প্রভাবী বলে বুঝতে পারছ? কেন এবং কেন নয় ?

উত্তরঃ (i) যদি “A”, “O” র উপর প্রভাবী হয় তবেনীচের সমবায়টি সম্ভব।

পুরুষ- AO এবং মহিলা- OO

AO
OAOOO
OAOOO

মেয়ে OO হতে পারে সেইজন্য ব্লাড গ্রুপ- ‘O’

(ii) যদি “O”, “A” -র উপর প্রভাবী হয় তবে নীচের সমবায়টি সম্ভব-

পুরুষ- AA এবং মহিলা OO বা OA

AA
OOAOA
OOAOA
OOAOA
AAAAA

মেয়ে OA হতে পারে সেইজন্য ব্লাড গ্রুপ- “O”

সুতরাং উপরের আলােচনা থেকে আমরা স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারি না যে ব্লাড গ্রুপ স্থির করা সবসময় প্রভাবী হয় না।

৪। মানুষের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ কিভাবে হয় ?

উত্তরঃ মানুষের শরীরে সকল ক্রোমজমই জোড়ায় থাকে না। মানুষের শরীরের সব ক্রোমজম একটি মাতার এবং অন্যটি পিতার শরীরের কপি এবং এইরকম ২২ জোড়া ক্রোমজম আছে। কিন্তু সেক্স ক্রোমজম নামক একটি ক্রোমজমের জোড়া সবসময় একই রকম হয় না। স্ত্রীলােকের “X” নামক দুইটি ক্রোমজমের জোড়া থাকে। কিন্তু পুরুষের শরীরে একটি সাধারণ আকারের “X” এবং অন্যটি ক্ষুদ্র আকারের “Y” ক্রোমজম থাকে। অর্থাৎ। পুরুষের “XY” এবং মহিলার XX”।

মায়ের শরীর থেকে প্রত্যেক সন্তানই ‘X ক্রোমজম লাভ করে কিন্তু তারা ছেলেও হতে পারে আবার মেয়েও হতে পারে। অতএব সন্তানের লিঙ্গ পিতার শরীর থেকে আসা ক্রোমজমের উপর নির্ভর করে। যে সন্তান পিতার শরীর থেকে X ক্রোমজম লাভ করে সেই সন্তান মেয়ে সন্তান হয় এবং যে পিতার শরীর থেকে Y ক্রোমজম লাভ করে সে ছেলে সন্তান হয়।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ 

১। কোনও জীবের গােষ্ঠীতে নির্দিষ্ট কোনও চারিত্রিক বৈসাদৃশ্য থাকা জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি কি কি ভাবে হয় ?

উত্তরঃ প্রজননের সময় আধারিতভাবে যৌন প্রজননের জন্য এবং DNA কপিং পদ্ধতিতে ভূল থাকার জন্য জীবের পরের জন্মের প্রজাতিতে বৈসাদৃশ্য বা প্রকারণ হওয়ার প্রবণতা থাকে। প্রথম যেটি বিরল প্রজন্ম থাকে সেটিই পরে গােষ্ঠীর সকলের সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলে যায়। যেহেতু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জিন নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা বলতে পারি কোনও জনসংখ্যায় বা গােষ্ঠীতে নির্দিষ্ট জিনের পরিবর্তন হয়। এটিই হল বিবর্তনের প্রধান বিষয়।

২। কোনও জীবের জীবদ্দশায় হওয়া অভিজ্ঞতা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসাবে বংশগতি সূত্রে পাওয়া যায় না কেন ?

উত্তরঃ কোনও পরিবর্তন:অনেক প্রজন্ম ধরে বংশগতি সূত্রে হতে পারে না। আবার প্রজন্ম করতে না পারা কলার পরিবর্তন জনন কোষের DNA -তে যায় না অতএব, কোনও জীবের জীবদ্দশায় প্রাপ্ত হওয়া কোনও অভিজ্ঞতা তার পরবর্তী প্রজন্মে যেতে পারে না এবং বিবর্তনে কোনও সাহায্য করে না।

৩। অল্প সংখ্যক বেঁচে থাকা বাঘের সংখ্যা জিনগতভাবে বিপন্ন বা উদ্বেগের কারণ কেন ?

উত্তরঃ জিনগত বৈশিষ্ট্যে বাঘের প্রকারণ খুবই কম। যদি প্রাকৃতিক সর্তের পরিবর্তন ঘটে তবে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাবে। উদাহরণস্বরূপ যদি বাঘের মধ্যে কোনও মৃত্যুব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে তবে বাঘের প্রকারণ কম হওয়ার জন্য বাঘের অস্তিত্ব লােপ পাবে। এটাই অল্পসংখ্যক বেঁচে থাকা বাঘের সংখ্যা জিনগতভাবে বিপন্ন বা উদ্বেগের কারণ।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হওয়ার জন্য কি কি কারণ দরকার ?

উত্তরঃ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জিনেটিক ড্রিফট বা জিনের দূরে সরে যাওয়া প্রত্যেক গােষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন আনে। তাছাড়া বিভিন্ন ভৌগােলিক অঞ্চলে প্রাকৃতিক নির্বাচন পৃথক পৃথক ভাবে হয়। যদি একটি সবুজ স্ত্রীপােকা অন্য দলের লাল পুরুষপােকার সঙ্গে মিলিত হয় তার ব্যবহার বােঝা যাবে যে তাদের মধ্যে প্রজনন হবে না। এইভাবে পােকার নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হবে।

২। স্বপরাগযােগ করতে পারা উদ্ভিদের প্রজাতির ভিতরে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করতে ভৌগােলিক বিচ্ছিন্নতা কারণ হতে পারে কি ? কেন অথবা কেন নয় ?

উত্তরঃ না, স্বপরাগযােগ করতে পারা উদ্ভিদের প্রজাতির ভিতরে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করতে ভৌগােলিক বিচ্ছিন্নতা কারণ হতে পারে না- স্বাগযােগ ভৌগােলিকভাবে ছড়িয়ে থাকে।

৩। অযৌন প্রজনন করতে পারা জীবের প্রজাতির ভিতর নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করতে ভৌগােলিক বিচ্ছিন্নতা কারণ হতে পারে কি ? কেন অথবা কেন নয় ?

উত্তরঃ না, অযৌন প্রজনন করতে পারা জীবের প্রজাতির ভিতর নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করতে ভৌগােলিক বিচ্ছিন্নতা কারণ হতে পারে না, কারণ- অযৌন প্রজননে খুব সামান্য প্রকারণ পরিলক্ষিত হয়।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। বিবর্তনের সূত্র ধরে দুইটি প্রজাতি কত কাছের বােঝার জন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত হওয়া দুইটির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ আমরা যখন বিবর্তনীয় আত্মীয়তার সূত্র দেখি, তখন কিভাবে সাধারণ বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা হয় তা আলােচনা করব।

বিভিন্ন জীবের এইসব বৈশিষ্ট্য একই হয় কারণ এরা একই পূর্বপুরুষ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। যেমন- স্তন্যপায়ী প্রাণীর এবং পাখী, সরীসৃপ ও উভচর প্রাণীর চারটি পদ থাকে। এই পদ চারিটির মৌলিক গঠন উপরােক্ত সকল প্রাণীর ক্ষেত্রে এক, যদিও এই অঙ্গগুলি বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য রূপান্তরিত হয়েছে। এই সমসংস্থ অঙ্গ থাকা বৈশিষ্ট্য, দৈহিক আকৃতি থাকা প্রাণীর ভিতর বিবর্তনীয় আত্মিয়তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

২। প্রজাপতির পাখা এবং বাদুড়ের পাখা কি সমসংস্থ অঙ্গ ? কেন অথবা কেন নয় ?

উত্তরঃ প্রজাপতির পাখা এবং বাদুড়ের পাখা একই কাজ করে। অর্থাৎ ওড়ার জন উহাদের পাখা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু গঠনগতভাবে এদের পাখার পার্থক্য আছে। সেইজন্য এরা সমসংস্থ অঙ্গ নহে।

৩। জীবাশ্ম কি ? বিবর্তন পদ্ধতি সম্বন্ধে জীবাশ্ম কিভাবে বুঝতে সাহায্য করে ?

উত্তরঃ ভূগর্ভের শিলাস্তরে সুদীর্ঘকাল যাবৎ প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষিত কিন্তু আজকের পৃথিবীতে লুপ্ত জীবদেহের সামগ্রিক বা আংশিক প্রস্তরীভূত অবস্থা অথবা তার ছাপকে জীবাশ্ম বলে।

বিবর্তন পদ্ধতিতে জীবাশ্মর গুরুত্ব-

(i) আইসােটোপিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোনও জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করে জীবাশ্মীভূত সেই জীবের এই পৃথিবীতে আবির্ভাবের সময়কাল জানা যায়।

(ii) বিলুপ্ত জীবদের ভৌগােলিক বিস্তার সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।

(iii) জীবাশ্ম থেকে বিলুপ্ত জীবদের আকৃতি, গঠন, প্রকৃতির ধারণা পাওয়া যায়।

(iv) জীবাশ্মের রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বছর আগের পৃথিবীর জলবায়ু বা পরিবেশ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।

(v) জীবাশ্মীভূত জীবদের স্বভাব ও খাদ্যাভাস সম্বন্ধে কিছুটা আন্দাজ করা যায়, ইত্যাদি।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। মানবজাতির বিভিন্ন রং, আকৃতি, গঠন ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও এদের একই প্রজাতির বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে জানতে একই পদ্ধতি, খোঁড়াখুঁড়ি সময়ের ইতিহাস, জীবাশ্ম অধ্যয়ন এবং DNA অধ্যয়ন ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের চারিদিকে মানুষের আকৃতির প্রচুর বৈসাদৃশ্য আছে। সেই জন্য মানুষ সম্বন্ধে বলতে গেলে মনুষ্যজাতি বলা হয়। এই মনুষ্যজাতি পার্থক্য করতে সর্বাপেক্ষা সহজ চিন্তা হল মানুষের চামড়ার রং-এর পার্থক্য। কেউ হলুদ, কেউ কালাে কেউ সাদা বা বাদামী। বর্তমানে এইসব ভিন্ন ভিন্ন চামড়ার রং-এর মানুষের বিবর্তন ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার ঘটনার পরিষ্কার সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তা হল মনুষ্যজাতির ধারণার কোনও মৌলিক জীববিজ্ঞান প্রয়ােজন হয় না। সকল মানবই একটি প্রজাতি।

২। বিবর্তনের দিক দিয়ে চিন্তা করে ব্যাক্টেরিয়া, মাকড়সা, মাছ এবং শিম্পাঞ্জির ভিতরে কোন প্রাণী দৈহিক গঠন আকার সর্বাপেক্ষা উত্তম? কেন এবং কেন নয় ?

উত্তরঃ ব্যাক্টেরিয়ার দেহগঠন সরল কিন্তু মাকড়সা, মাছ এবং শিম্পাঞ্জির দেহগঠন জটিল তাছাড়া ব্যাক্টেরিয়া খুবই প্রাচীন হওয়ার জন্য মাকড়সা, মাছ এবং শিম্পাঞ্জির দৈহিক গঠন আকার সর্বাপেক্ষা উত্তম।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। বেগুনী রং-এর ফুল থাকা দীর্ঘ মটর গাছের সঙ্গে সাদা ফুল থাকা খর্বকায় মটর গাছের মেণ্ডেলীয় পরীক্ষা করা হল। প্রথম অপত্য বংশে সব গাছে বেগুনা ফুল হল কিন্তু অর্ধেক গাছ খর্বকায় হল। পিতৃ-বংশের জিন কিরূপ ছিল?

(a) TTWW

(b) TTww

(c) Tt WW

(d) Tt Ww

উত্তরঃ (c) Tt wW.

২। সমসংস্থ অংঙ্গের উদাহরণ-

(a) আমাদের হাত ও কুকুরের অগ্ৰপদ।

(b) আমাদের দাঁত ও হাতির দাঁত।

(c) আলু এবং ঘাসের রানার।

(d) উপরের সবগুলি।

উত্তরঃ (d) উপরের সবগুলি।

৩। বিবর্তনের দিক দিয়ে আমাদের সাথে বেশী মিল আছে-

(a) একটি চিনা স্কুলের ছেলের।

(b) একটি শিম্পাঞ্জী।

(c) একটি মাকড়সা।

(d) একটি ব্যাক্টেরিয়া।

উত্তরঃ (a) একটি চিনা স্কুলের ছেলের।।

৪। একটি পরীক্ষা দ্বারা কটা চোখ থাকা শিশুর মাতা-পিতারও কটা চোখ থাকে বলে পাওয়া গেল। এর উপর ভিত্তি করে আমরা বলতে পারব কিন্তু এই চোখ কটা হওয়া চারিত্রিক লক্ষণটি প্রভাবী বা অপ্ৰভাবী। কেন এবং কেন নয় ?

উত্তরঃ যেহেতু চারিত্রিক লক্ষণটি সকল শিশু এবং পিতা-মাতার ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য যাদের চোখ কটা সেইজন্য ইহা নির্ণয় করা সম্ভব নয় যে লক্ষণটি প্রভাবী বা অপ্রভাবী।

৫। বিবর্তন এবং শ্রেণিবিভাগ এই দুইটি অধ্যয়নের বিষয় কিভাবে সংকুচিত ?

উত্তরঃ উদ্ভিদ বিবর্তনের প্রথম পর্যায়ে সরল এককোষী উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়েছিল। এর পর বহুকোষী সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে এরা ছত্রাক ও শৈবাল দুইটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর পরে ধাপে ধাপে মস্ বর্গ-ফার্ণ বর্গ, ব্যক্তবীজি ও গুপ্তবীজি উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটে।

প্রাণী বিবর্তনের প্রথম ধাপে এককোষী পােটজোয়া প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে। এর থেকে ধাপে ধাপে ছিদ্রাল প্রাণী, একনালীদেহী প্রাণী, কৃমি জাতীয় প্রাণী, অঙ্গুরীমাল, সন্ধীপদী, কম্বােজ ও কর্কট ত্বকী প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে। এরপর সৃষ্টি হয় কর্ডাটা পর্বভুক্ত প্রাণীদের। নিম্নশ্রেণির কর্ডাটা থেকে ধারাবাহিকভাবে মৎস, উভচর, সরীসৃপ, পক্ষী ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে। এইভাবে বিবর্তন ও শ্রেণিবিভাগ এই দুটি অধ্যয়নের বিষয় সম্পর্কিত।

৬। উদাহরণ সহ সমসংস্থ এবং সমবৃত্তি অংগ কাকে বলে বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ জীবদেহের যে সকল অঙ্গের উৎপত্তি এবং গঠন আলাদা কিন্তু কাজ এক, তাদের সমবৃত্তি অংগ বলে। যেমন-বাদুড় এবং প্রজাপতির ডানার উৎপত্তি এবং গঠন সম্পূর্ণ আলাদা কিন্তু তাদের কাজ এক অর্থাৎ ওড়া।

আবার বাহ্যিক গঠন আলাদা হলেও অভ্যন্তরীণ গঠনগত কাঠামাে একই রকম কিন্তু তাদের কাজ আলাদা তাদের সমসংস্থ অংগ বলে। যেমন- পাখি ও বাদুড়ের ডানা, ঘােড়ার সামনের পা, তিমির প্যাডেল, মানুষের হাত এদের উৎপত্তির গঠন এক কিন্তু কাজ আলাদা।

৭। কুকুরের লােমের রঙে প্রভাবী চারিত্রিক লক্ষণ বােঝাতে পরীক্ষা দেখাও।

উত্তরঃ একটি কালাে পুরুষ কুকুরের সঙ্গে যখন একটি সাদা স্ত্রী কুকুরের মিলন ঘটে তখন তাদের থেকে যে কুকুরঘনার জন্ম হবে তার রং যদি কালাে হয় তবে প্রভাবী চারিত্রিক লক্ষণ হবে কালাে।

৮। বিবর্তনীয় আত্মীয়তার সিদ্ধান্তে জীবাশ্মের গুরুত্ব বােঝাও।

উত্তরঃ জীবাশ্মের গুরুত্ব-

(i) আইসােটোপিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোনও জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করে জীবাশ্মীভূত সেই জীবের এই পৃথিবীতে আবির্ভাবের সময়কাল জানা যায়।

(ii) বিলুপ্ত জীবদের ভৌগােলিক বিস্তার সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।

(iii) জীবাশ্ম থেকে বিলুপ্ত জীবদের আকৃতি, গঠন প্রভৃতির ধারণা পাওয়া যায়।

(iv) জীবাশ্মের রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বছর আগের পৃথিবীর জলবায়ু বা পরিবেশ সম্বন্ধে ধারণা মেলে।

(v) জীবাশ্মীভূত জীবদের স্বভাব ও খাদ্যাভ্যাস সম্বন্ধে আন্দাজ করা যায়।

(vi) এখনকার পৃথিবীর জীবিত জীবেদের পূর্বপুরুষের সন্ধান মেলে।

(vii) জীবাশ্ম থেকে হারানাে সূত্র বা ‘মিসিং লিংক’ সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।

(viii) জীবাশ্ম থেকে নির্দিষ্ট কিছু জীবগােষ্ঠীর উৎপত্তি ও ক্রমবিবর্তন সম্বন্ধে জানা যায়।

৯। জড় পদার্থ থেকে জীবের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে তার প্রমাণ দাও ?

উত্তরঃ ষ্টেনলি মিলার এক বিশেষ পরীক্ষার দ্বারা রাসায়নিক বিবর্তনের সত্যতা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন।

পৃথিবীর উৎপত্তির সময়ে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন গ্যাস ছিল না, তার পরিবর্তে মিথেন, অ্যামােনিয়া, হাইড্রোজেন এবং জলীয় বাষ্প ছিল। সূর্য হতে বহু পরিমাণে হ্রস্ব তরংগের রশ্মি পৃথিবীতে এসে পড়ল এবং এর ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে মেঘ এবং তড়িৎ বিদ্যুতের সৃষ্টি হয়েছিল। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অবধারিত ভাবে ঘটা এবং পরিঘটনার ফলে। বায়ুমণ্ডলে থাকা গ্যাসসমূহের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটে প্রথমে অতি সরল এবং পরে এগুলি পরস্পরের মধ্যে হওয়া বিক্রিয়ার ফলে জটিল জৈব অণুর সৃষ্টি হল। এর পরের পর্যায়ে এ থেকে জীবদেহ গঠনকারী যৌগ, যেমন- বহুশর্করা, প্রােটিন, স্নেহ পদার্থ এবং নিউক্লিক অ্যাসিডের সৃষ্টি হল। এই সমস্ত মিলিত হয়ে আদি ভাইরাসের মতাে নিউক্লিয় প্রােটিন কণিকার সৃষ্টি হল। আদি ভাইরাস হতে সৃষ্টি হয়েছিল ভাইরাসের মতাে জৈবিক কণিকা।

১০। অযৌন প্রজনন অপেক্ষা যৌন প্রজনন বেশি জীবনক্ষম প্রকারণ প্রদান করে কিভাবে বােঝাও। যৌন প্রজননক্ষম জীবের বিবর্তনে এর প্রভাব কিভাবে পড়ে।

উত্তরঃ যৌন প্রজননের একক হল গ্যামেট। দুইটি ভিন্নধর্মী গ্যামেটের মিলন বা নিষেকের ফলে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। যৌন জননে অপত্য জীব জনিতৃ জীবের মতাে অথবা নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়। যৌন জনন কোষ অর্থাৎ গ্যামেট উৎপাদনের আগে সাধারণত মিয়ােসিস্ বিভাজন ঘটে। যৌন জননে সময় বেশি লাগে এবং অপত্য জীবের সংখ্যা অনেক কম হয়। যৌন জননের মাধ্যমে জীবের অভিব্যক্তি ঘটা সম্ভব। নিম্নশ্রেণির কিছু প্রাণী (যেমন- এমিবা) ও উদ্ভিদে (যেমন- মিউকর) অযৌন জনন দেখা যায়। সেইজন্য অযৌন প্রজনন অপেক্ষা যৌন প্রজনন বেশি জীবনক্ষম প্রকারণ প্রদান করে। যৌন প্রজননক্ষম জীবের, বিবর্তনে এর প্রভাব পড়ে কারণ, কোনও জীবনচক্রে যৌনজনু বা লিঙ্গধর জনু পর্যায়ক্রমে ঘটে জীবনচক্রটি সম্পূর্ণ হয় তখন একে জনুক্রম বলে।

১১। পিতা এবং মাতার সমান সমান জিনগত অবদান পরের প্রজন্মে কি ঘটায় ?

উত্তরঃ এককোষী জীবের ক্ষেত্রে, দেহকোষটি আকার ও আয়তনে বৃদ্ধি পেলে তবেই তা বিভাজিত হয়ে নতুন অপত্য কোষ সৃষ্টি করে অর্থাৎ জনন সম্পন্ন করে। বহুকোষী জীব বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হয়, আর তখনই জীবটি জননে সক্ষম হয় এবং বংশবিস্তার করে।

জনন অংগগুলি বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হলে তবেই জনন সম্ভব হয়। যৌন জননে মিয়ােসিস্ কোষ বিভাজনের মাধ্যমে গ্যামেট তৈরি হয়। এই কোষ বিভাজন বৃদ্ধিরই একটি দশা। জননের ফলে যে ভূণ তৈরি হয়, তা বৃদ্ধি পেয়েই এক সময় পূর্ণাঙ্গ জীব গঠিত হয়।

উপরের তথ্যগুলি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, বৃদ্ধির সঙ্গে জননের এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং জননের জন্য বৃদ্ধি একান্তই জরুরী। সুতরাং পিতা-মাতার সমান সমান জিনগত অবদান পরের প্রজন্মে নতুন বৈশিষ্ট্য বা প্রকারণের সৃষ্টি করে।

১২। কোনও গােষ্ঠীতে কোনও জীবের প্রজাতির বেঁচে থাকার সুবিধা দেয় কেবলমাত্র প্রকারণ। তুমি কি এ ব্যাপারে একই মত পােষণ কর? কেন বা কেন নয় ?

উত্তরঃ প্রকারণ হল- একই প্রজাতির জীবের বংশবৃদ্ধির ফলে পরবর্তী বংশে দেখা জীবের ভিন্নতা। ইহা কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার সুবিধা দেয় আবার কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার সুবিধা দেয় না। ইহা জীবের সামাজিক স্বভাবের উপর নির্ভর করে। যেমন পিপড়ার কারণ বেঁচে থাকার সুবিধা দেয় না অপরদিকে চিতাবাঘ-এর প্রকারণ বেঁচে থাকে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। উদ্ভিদের অযৌন জননের একক কী ?

উত্তরঃ স্পাের বা রেণু।

২। যৌন জননের একক কি ?

উত্তরঃ জনন কোষ বা গ্যামেট (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু)।

৩। এমিবার জনন প্রক্রিয়া যৌন না অযৌন ?

উত্তরঃ অযৌন।

৪। প্ৰকারণ কি ?

উত্তরঃ একই প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে একই পিতৃমাতৃর ভিন্ন ভিন্ন সন্তানের মধ্যে দেখা দেওয়া বিভিন্নতাকে প্রকারণ বলা হয়। অর্থাৎ প্রকারণ হল- একই প্রজাতির জীবের বংশবৃদ্ধির ফলে পরবর্তী বংশে দেখা জীবের ভিন্নতা।

৫। বংশগতি বিদ্যার জনকের সম্পূর্ণ নাম লিখ।

উত্তরঃ গ্রেগর জোহান মেণ্ডেল।

৬। মেণ্ডেল কোন দেশে বংশগতি সম্পৰ্কীয় পরীক্ষা করেছিলেন ?

উত্তরঃ মেণ্ডেল অষ্ট্রিয়া (বর্তমান চেকোশ্লোভাকিয়া) দেশের ব্রুণ শহরে বংশগতি সম্পৰ্কীয় পরীক্ষা করেছিলেন।

৭। মেণ্ডেল বংশগতি সম্পৰ্কীয় সূত্রসমূহ কোন সালে প্রকাশ করেছিলেন।

উত্তরঃ 1884 সালে।

৮। কোন সালে মেণ্ডেলীয় বংশগতি সম্পৰ্কীয় তত্ত্ব পূর্ণস্বীকৃতি লাভ করে ?

উত্তরঃ 1900 সালে।

৯। বিপরীতধর্মী চরিত্র কাকে বলে ?

উত্তরঃ বিপরীতধর্মী চরিত্র- জীবের একটি চরিত্র “হয় এটি নয় ওটি হিসাবে প্রকাশ করা বৈষম্যমূলক লক্ষণগুলিকে বিপরীতধর্মী চরিত্র বা লক্ষণ বলে। উদাহরণ- মটর গাছের কাণ্ড দীর্ঘাকার বা খর্বাকার পরস্পর বিপরীত বা পার্থক্যের লক্ষণ দুইটি হল দীর্ঘ এবং খর্ব।

১০। বংশগত তত্ত্বের প্রভাবীসূত্রটি কি ?

উত্তরঃ জীবের কোনাে লক্ষণের জন্য থাকা বিপরীতধর্মী লক্ষণযুক্ত সমযুক্ত দুইটি জীবের মধ্যে সংকরণ ঘটালে প্রথম অপত্যবংশ (F₁)-এ পিতৃ-মাতৃ দুইটি লক্ষণের মাত্র একটিই প্রকাশ পায়। প্রকাশ পাওয়া, লক্ষণটিকে প্রভাবী এবং অপ্রকাশিত হয়ে থাকা লক্ষণটিকে অপ্রভাবী লক্ষণ বলা হয়। ইহাই মেণ্ডেলীয় বংশগতি তত্ত্বের প্রভাবীসূত্র।

১১। বংশগতি তরে স্বতন্ত্র বিন্যাস সূত্রটি লিখ।

উত্তরঃ জোড়া বিপরীতধর্মী লক্ষণের কারকগুলি F₁ জনুতে একত্রিত হয়ে থাকে। যদিও জনন কোষ গঠনের সময়ে তারা পরস্পর পৃথক হয়ে প্রত্যেকটি কারক স্বতন্ত্রভাবে যে কোন বিপরীতধর্মী লক্ষণের কারকের সাথে জনন কোষ গঠন করে। ইহাই বংশগতির স্বতন্ত্র বিন্যাস সূত্র।

১২। বংশগতি কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা পিতৃ-মাতৃর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি অপরিবর্তিত ভাবে পরবর্তী জনু পর্যন্ত সঞ্চারিত হয় তাকে বংশগতি (Heredity) বলা হয়।

১৩। বংশগতি বিজ্ঞান কাকে বলে ?

উত্তরঃ জীবই বংশানুক্রমে পিতৃ-মাতৃ হতে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ কিভাবে লাভ করে এর বিজ্ঞানসম্মত আলােচনা বা অধ্যয়নকে বংশগতি বিজ্ঞান (Genetics) বলা হয়।

১৪। “জেনেটিক্স” বা “Genetics” শব্দটি প্রথমে কে ব্যবহার করেছিলেন ?

উত্তরঃ “জেনেটিক্স” বা “Genetics” শব্দটি প্রথমে উইলিয়াম বেটিসন (William Bateson) ব্যবহার করেছিলেন।

১৫। কোন সালে মেণ্ডেলের মৃত্যু হয় ?

উত্তরঃ 1884 খ্রিস্টাব্দে মেণ্ডেলের মৃত্যু হয়।

১৬। মেণ্ডেলের সূত্রসমূহ পরে কোন কোন বৈজ্ঞানিক পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পুনরায় গবেষণা করেন  ?

উত্তরঃ মেণ্ডেলের সূত্রসমূহ পরে হল্যাণ্ডের দ্য ভিস (de Vries), জার্মানীর কোরেন্স (Correns) এবং অষ্ট্রিয়ার সেরম্যাক নামক (Tschermak) নামক জিন বিজ্ঞানী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনরায় গবেষণা করেছিলেন।

১৭। বিপরীতধর্মী চরিত্র কাকে বলে ?

উত্তরঃ জীবের একটি চরিত্র প্রকাশ করা বৈষম্যমূলক লক্ষণগুলিকে বিপরীতধর্মী চরিত্র বলা হয়। যেমন- মটর গাছের কাণ্ড দীর্ঘ বা ছােট পরস্পর বিপরীত লক্ষণ দুইটি দীর্ঘ এবং ছােট।

১৮। বংশগতির বাহক কি ?

উত্তরঃ বংশগতির বাহক জিন (Gene)।

১৯। লােকাস কাকে বলে ?

উত্তরঃ ক্রোমােজামের যে স্থানে জিন অবস্থিত তাকে লােকাস (Locus) বলা হয়।

২০। সংগম পরীক্ষা কি ?

উত্তরঃ একই প্রজাতির দুইটি পৃথক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের মধ্যে করা কৃত্রিম প্রজননকে সংগম পরীক্ষা বলা হয়।

২১। কোন সালে মেণ্ডেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ 1822 খ্রিস্টাব্দে মেণ্ডেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

২২। দুই জোড়া সমরূপী ক্রোমোেজামের স্বতন্ত্র বিন্যাসের ফলে কত প্রকারের জনন কোষের সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ দুই জোড়া সমরূপী ক্রোমােজোমের স্বতন্ত্র বিন্যাসের ফলে 4 (চার) প্রকারের জনন কোষের সৃষ্টি হয়।

২৩। এলিন বা যুগ্মকারক কাকে বলে ?

উত্তরঃ সমরূপী ক্রোমােজোমের নির্দিষ্ট বিন্দুতে অবস্থিত বিপরীত লক্ষণ নিয়ন্ত্রক উপাদানের এক একটি কারককে এলিন বলা হয়।

২৪। মেণ্ডেলীয় কারক কি  ?

উত্তরঃ P₁ জনুর মটর গাছের দীর্ঘ এবং খর্ব লক্ষণের প্রত্যেকটির দুটি করে কারক (Factors) থাকে ইহাদিগকে মেণ্ডেলীয় কারক বলা হয়।

২৫। মেণ্ডেলীয় দ্বিসংকর অনুপাত কাকে বলে  ?

উত্তরঃ দ্বি-সংকরণ পরীক্ষার F₂ জনুর চারপ্রকার গাছে ব্যক্তরূপ (Phenotype -এর অনুপাত 9 : 3 : 3 : 1 একে মেণ্ডেলীয় দ্বি-সংকর, অনুপাত (DihybridDihybrid ratio) বলা হয়।

২৬। মেণ্ডেলীয় বংশগতি তত্ত্ব বলতে কি বুঝায়  ?

উত্তরঃ একসংকরণ এবং দ্বি-সংকরণ পরীক্ষার শেষে মেণ্ডেল জীবের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী কারক বা (জিনের) বংশানুক্রমিক বংশগতি প্রক্রিয়ার সম্পর্কে তিনটি সূত্র তুলে ধরেন। এই সূত্রগুলিকে মেণ্ডেলীয় বংশগতি তত্ত্ব বলা হয়।

২৭। যুগ্ম কারক কাকে বলে  ?

উত্তরঃ সংকরণ পরীক্ষায় জীবের কোনাে একটি লক্ষণের জন্য দুইটি জিন বা কারক থাকে। এদের একটি পিতৃদিক হতে এবং একটি মাতৃদিক থেকে আসে। এই দুটি জিনকে যুগ্ম কারক বলা হয়।

২৮। তিন জোড়া সমরূপী ক্রোমােজোমের স্বতন্ত্র বিন্যাসের ফলে কয় প্রকারের জনন কোষের সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ তিন জোড়া সমরূপী ক্রোমােজোমের স্বতন্ত্র বিন্যাসের ফলে ৪ (আট) প্রকারের জনন কোষের সৃষ্টি হয়।

২৯। জিনের পরিবর্তনের জন্য হঠাৎ হওয়া ব্যক্তরূপের পরিবর্তনকে কি বলা হয় ?

উত্তরঃ জিনের পরিবর্তনের জন্য হঠাৎ হওয়া ব্যক্তরূপের পরিবর্তনকে উৎপরিবর্তন বলা হয়।

৩০। জিন বিনিময় কি  ?

উত্তরঃ বীজকোষের হ্রাসাত্মক কোষ বিভাজনের আদ্যস্তর- 1 দশায় প্রত্যেকগুলি সমরূপী ক্রোমােজোমের পিতৃদিক এবং মাতৃদিকে ক্রোমােজোমে থাকা জিনসমূহের মধ্যে বিনিময় হয়ে জনন কোষে নতুন জিনীয় বিন্যাসের সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে জিন বিনিময় বলা হয়।

৩১। জৈব বিবর্তন বলতে কি বুঝ  ?

উত্তরঃ পৃথিবীর উৎপত্তির পরে এতে থাকা মৌলসমূহ হতে বিভিন্ন যৌগের সৃষ্টি হয়েছিল। পােটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদির সহযােগে ভাইরাসের মতাে নিউক্লিয় প্রােটিন কণিকার সৃষ্টি হল তখন থেকে বিবর্তনের রূপ পরিবর্তন হতে লাগল। আদি ভাইরাস হতে সৃষ্টি হয়েছিল ভাইরাসের মতাে জৈবিক কণিকা। পরবর্তীকালে ভাইরাস থেকেই ব্যাক্টেরিয়া, প্রােটোজয়া প্রভৃতি সরল জীব এবং হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের ফলে সরল জীব হতে বর্তমানে দেখতে পাওয়া অসংখ্য জীবের সৃষ্টি হল। আদি ভাইরাস হতে সৃষ্টি হওয়া বিবর্তনকে জৈব বিবর্তন বলা হয়। এই পৃথিবীতে দেখা সকল ধরনের জীব প্রকৃতপক্ষে আদি জীবের বিবর্তন ঘটে সৃষ্টি হওয়া কেবলমাত্র উন্নত জীব।

পৃথিবীর সৃষ্টির আরম্ভ হতে পৃথিবীতে জীব সৃষ্টি হওয়া এই দীর্ঘ সময়ে পৃথিবীর উপরিভাগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন-ভৌগােলিক পরিবর্তন, উপরিভাগে থাকা বিভিন্ন মৌলের মধ্যে রাসায়নিক সংযােজন ঘটে জৈব যৌগের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিঘটনাকে জৈব রাসায়নিক বিবর্তন (Bio-chemical revolution) বলা হয়।

৩২। মানুষের শরীরে পাওয়া কয়েকটি লুপ্তপ্রায় অঙ্গের নাম লিখ।

উত্তরঃ মানুষের শরীরে পাওয়া কয়েকটি লুপ্তপ্রায় অঙ্গ হল- কানের পেশী, লেজ গঠনকারী পুচ্ছ অস্থি, কুকুর দাঁত বা কৃন্তক দাঁত, চোখের কোণায় থাকা তৃতীয় আবরণ ইত্যাদি।

৩৩। সমসংস্থ এবং সমবৃত্তি অঙ্গের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধর।

উত্তরঃ যে সকল অঙ্গের কাজ করার ধরন এবং গঠন এক সেই অঙ্গগুলিকে। সমসংস্থ অঙ্গ বলে। যেমন- পাখির ডানা, ঘােড়ার অর্থ পা, ব্যাঙের পূর্বের পা, মানুষের হাত ইত্যাদি সমসংস্থ অঙ্গ।

যে সমস্ত অঙ্গের গঠন এবং উৎপত্তির দিক হতে ভিন্ন কিন্তু কার্য প্রায়। এই সেই অঙ্গকে সমবৃত্তি অঙ্গ বলে। যেমন- পাখির পাখনা, বাদুড়ের ডানা ইত্যাদি।

৩৪। লেমার্কের মতবাদটি কি কি মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।

উত্তরঃ লেমার্কের মতবাদটি চারটি মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত-

(i) পরিবেশের প্রভাব।।

(ii) প্রয়ােজন সাপেক্ষে নতুন অঙ্গের গঠন।।

(iii) অঙ্গের প্রয়ােগ এবং অপপ্রয়ােগের ফলে দৈহিক পরিবর্তন।।এবং 

(iv) উল্লিখিত কারকের প্রভাবে অর্জিত চরিত্রের উত্তরাধিকারী তত্ত্ব।

৩৫। ডারউইনের মতবাদটি কি কি মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত  ?

উত্তরঃ ডারউইনের মতবাদটি প্রধানত ছয়টি মূলভাবের উপর প্রতিষ্ঠিত। সেইগুলি হল-

(i) অত্যধিক প্রজনন (overProductionoverProduction)..

(ii) জীবন সংগ্রাম (Struggle of existence).

.(iii) প্রকরণ (Variation).

.(iv) যােগ্যতমের উবর্তন (Survival of the fittest)..

(v) প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural Selection)..

(iv) নতুন প্রজাতির সৃষ্টি (Speciation)..

৩৬। ডারউইনের দুঃসাহসিক অভিযানের বিষয়ে সংক্ষেপে লিখ।

উত্তরঃ ডারউইনের প্রাকৃতিক মতবাদের মূল কারকগুলি হল-

(a) অত্যধিক জন্মের হার।

(b) জীবসমূরে সংগ্রাম।

(c) যােগ্যতমের উদ্বর্তন।

(d) প্রাকৃতিক নির্বাচন।

(a) অত্যধিক জন্মের হার- সকল জীবের বংশরক্ষার প্রতি স্বাভাবিক আসক্তি আছে এবং সেই মতাে অত্যধিক উৎপাদন করে। যেমন- এক ঝােপ সরিষা গাছ বছরে প্রায় 50 হার বীজ উৎপাদন করে। সকল জীবই যদি নিজের বীজ উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে বংশবৃদ্ধি করে তবে এই পৃথিবীতে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ডারউইনের মতে এই ধরনের বংশবিস্তারে প্রকৃতি বাধা দেয় না। এই বাধা সংঘটিত হয় জীবনসমূহের সংগ্রামের মাধ্যমে।

(b) জীবসমূহের সংগ্রাম- ক্রমাগত বংশবৃদ্ধির আসক্তি জীবসমূহকে বেঁচে থাকার উদ্দেশে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে বাধ্য করে। ইহা তিনপ্রকারের হতে পারে-

(i) অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম। 

(ii) আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম। 

(iii) পরিবেশের। সাথে যুদ্ধ।

(c) যােগ্যতমের উদ্বর্তন- পৃথিবীতে যােগ্য জীবই বেঁচে থাকার সুবিধা লাভ করে। একে যােগ্যতমের উদ্বর্তন বলা হয়।

(d) প্রাকৃতিক নির্বাচন- কৃষক যেমন কৃষির জন্য উন্নত জাতসমূহ বেছে নেয় ঠিক সেইভাবে প্রকৃতিও ভাল প্রকরণ সম্পন্ন জীবগুলিকে বেছে নেয়। এই জীবগুলি পরিবর্তিত পরিবেশকে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।

৩৭। পৃথিবী এবং জীব সৃষ্টি অনুক্রমিক ঘটনা প্রবাহের বিষয়ে চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তরঃ পৃথিবীর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মবাদ আছে। বিজ্ঞানী জিনস্ এবং জেফ্রিসের মতবাদ অনুসারে মহাশূন্যে আমাদের এই সূর্য হতে অনেক কোটি গুণ বড় প্রকাণ্ড নক্ষত্র একটি হঠাৎ সূর্যের অতি নিকটে প্রচণ্ড বেগে পার হয়ে যাওয়াতে তার আকর্ষণে সূর্যপৃষ্ঠে এক বিশাল জোয়ারের সৃষ্টি হল, এর ফলে সূর্য হতে কিছু অংশ গ্যাসীয় অবস্থায় বাইরে এল। এই সরে আসা অংশটি সূর্যের চারদিকে ঘুরতে লাগল এবং কালক্রমে সংকুচিত এবং শীতল হয়ে গ্রহ উপগ্রহ হল। সেরূপ একটি বিশাল অংশ হতে আমাদের এই পৃথিবীর সৃষ্টি হল। সেইজন্য সূর্যে থাকা বিভিন্ন মৌলসমূহের প্রায় মৌলই পৃথিবীপৃষ্ঠতে বিদ্যমান।

পৃথিবী এবং জীব সৃষ্টির অনুক্রমিক ঘটনা প্রবাহ-

আদিম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অবস্থা

রাসায়নিক বিবর্তন জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন এবং বৃষ্টির সৃষ্টি

জলাশয়ের সৃষ্টি এবং জৈব রাসায়নিক বিবর্তন

ভাইরাস এবং আদিম পরপুষ্ট এককোষীয় জীবের সৃষ্টি

স্ব-পুষ্ট এককোষীয় এবং বহুকোষীয় জীবের সৃষ্টি

৩৮। বংশগতি মানে কি ?

উত্তরঃ প্রজনন বা বংশবিস্তার জীবের একটি বৈশিষ্ট্য। ইহার দ্বারা জীব বংশানুক্রমে নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখে। এই প্রক্রিয়ার দ্বারা জীব তার একই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য জীবের সৃষ্টি করে। অর্থাৎ পিতা-মাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরবর্তী জনুর জীবে হস্তান্তর হয়। ইহা প্রকৃতির এক চিরন্তন সত্য। যে প্রক্রিয়ার দ্বারা পিতা-মাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তিতভাবে পরবর্তী জনু পর্যন্ত সঞ্চারিত হয় তাহাকে বংশগতি বলে।

৩৯। মেণ্ডেলীয় তত্ত্ব কি ?

উত্তরঃ একসংকরণ ও দ্বি-সংকরণ পরীক্ষার শেষে মেণ্ডেল জীবের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী কারণ বা জিনের বংশানুক্রমিক বংশগতি প্রক্রিয়ার সম্পর্কে তিনটি সূত্র দেন। এই সূত্রগুলিকে একসঙ্গে মেণ্ডেলীয় তত্ত্ব বলা হয়। এইগুলি হইল-

(i) প্রভাবতী সূত্র (Law of Dominance).

(ii) পৃথকীকরণ সূত্র (Law of Segregation). এবং

(iii) স্বতন্ত্র বিন্যাস সূত্র (Law of independent Assortment).

৪০। মেণ্ডেলীয় তত্ত্বের সত্যতা প্রমাণ করা বৈজ্ঞানিকদের নাম লিখ।

উত্তরঃ হল্যান্ত্রে দ্য ভিশ (de Vries), জার্মানীর কোরেন্স (Corrence), এবং অষ্ট্রিয়ার সেরমাক (Tschermak).

৪১। বিপরীত সংগম কাহাকে বলে ?

উত্তরঃ একই প্রজাতির দুইটি পৃথক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত জীবের মধ্যে হওয়া সংগমকে বিপরীত সংগম বলা হয়।

৪২। জন্মগতির প্রভাবীসূত্র কাহাকে বলে ?

উত্তরঃ জীবের কোন লক্ষণের জন্য থাকা বিপরীতধর্মী লক্ষণযুক্ত সমযুতক দুইটি জীবের মধ্যে সংকরণ ঘটাইলে প্রথম অপত্য জনুতে (F₁) পিতৃমাতৃ দুইটি লক্ষণের মাত্র একটি প্রকাশ পায়। প্রকাশ পাওয়া লক্ষণটিকে প্রভাবী এবং অপ্রকাশিত লক্ষণটিকে অপ্রভাবী লক্ষণ বলা হয়। ইহাই মেণ্ডেলের জন্মগতির প্রভাবীসূত্র।

৪৩। জন্মগতির স্বতন্ত্র বিন্যাস সূত্র কাকে বলে ?

উত্তরঃ দুই জোড়া বিপরীতধর্মী লক্ষণের কারণগুলি (F₁) জনুতে একত্রিত হইয়া থাকে। যদিও জননকোষ গঠনের সময়ে ইহারা পরস্পর পৃথক হইয়া প্রতিটি কারক স্বতন্ত্র ভাবে যে কোন বিপরীতধর্মী লক্ষণের কারকের সঙ্গে জননকোষ গঠন করে। ইহাই মেণ্ডেলের জন্মগতির স্বতন্ত্র বিন্যাস সূত্র।

৪৪। জিন কি ?

উত্তরঃ জিন হইল বংশগতির বাহক। ইহারা ক্রোমােজোমে অবস্থিত। রাসায়নিক ভাবে জিন D.N.A-এর একটি অংশ মাত্র। সুতরাং D.N.A. যে ধরনের উপাদান দিয়ে গঠিত জিন সেই একই ধরনের উপাদান দিয়ে গঠিত।

জিনের গঠনের তারতম্যের জন্যই ভিন্ন ভিন্ন জীবের গঠন ভিন্ন ভিন্ন হয়।

৪৫। নীচে দেওয়াগুলি শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

(ক) রাসায়নিক বিবর্তন সম্বন্ধে _________পরীক্ষা করিয়া প্রমাণিত করিয়াছিলেন।

উত্তরঃ হেরল্ড ইউরি এবং ষ্টেনলি মিলার।

(খ) পূর্ববর্তী জীব হইতে পরবর্তী জীবের উৎপত্তি হওয়া ধারণাকে _________বলে।

উত্তরঃ জীবাৎ জীবেৎপত্তি।

(গ) অজৈব রাসায়নিক পদার্থ হইতেই _________ বিবর্তন ঘটিয়া পৃথিবীর জীব সৃষ্টি হইয়াছিল।

উত্তরঃ রাসায়নিক (জৈব)।

(ঘ) _________ অংগ সমূহে জীবগুলির একই পূর্বপুরুষ হইতে উৎপত্তি হওয়া বুঝায়।

উত্তরঃ সমসংস্থ।

(ঙ) ডারউইনের মতবাদটিকে __________বলা হয়।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ।

(চ) উত্তরাধিকারী সূত্রে লাভ করা অর্জিত চরিত্রতত্ত্ব’ নামের মতবাদটিকে_________বলে।

উত্তরঃ লেমার্কের মতবাদ।

৪৬। নীচে দেওগুলির বন্ধনীর ভিতরে থাকা হইতে শুদ্ধ উত্তর নির্ণয় কর।

(ক) সরীসৃপ এবং স্তন্যপায়ী দুইটির চরিত্র বহন করা সংযােগী প্রাণীটি হইল (প্লেটিপাস/ পেরিপেটাস/ পেরামিসিয়াম/ প্লেটিথেসিয়াম)

উত্তরঃ প্লেটিপাস।

(খ) সপুষ্পক উদ্ভিদের নগ্নবীজী এবং গুপ্তবীজীর সংযােগী উদ্ভিদটি হইল (কলসি উদ্ভিদ/নেটাম/মট্টাপা/পাইন)

উত্তরঃ নেটাম।

(গ) মানব শরীরের কোনটি লুপ্তপ্রায় অংগ (পুচ্ছ অস্থি/পায়ের আঙুল/ কিডনী/মস্তিষ্ক)

উত্তরঃ পুচ্ছ অস্থি।

(ঘ) “ফিলসফি জুলজিক নামের গ্রন্থটি কে রচনা করিয়াছিলেন (মিলার/ডারউইন/লেমার্ক/ক্সেল)

উত্তরঃ লেমার্ক।

৪৭। নীচে দেওয়াগুলির শুদ্ধ অশুদ্ধ নির্ণয় কর।

(ক) নেট্রাম নামের উদ্ভিদটি নগ্নবীজী এবং গুপ্তবীজী উদ্ভিদের মধ্যে সংযােগী উদ্ভিদ।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(খ) মানুষের শরীরের অন্ত্রপুচ্ছটি লুপ্তপ্রায় অংগ।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) সপুষ্পক উদ্ভিদের নগ্নবীজী এবং গুপ্তবীজী সংযােগী উদ্ভিদটি হইল নেটাট।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) পাখির পাখনা এবং বাদুরের পাখনা সমসংস্থ অংগের উদাহরণ।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) জীবের শরীরের যে সমস্ত অংগের কোন ক্রিয়া নাই সেইগুলিকে লুপ্তপ্রায় অংগ বলে।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

৪৮। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও-

(ক) প্রত্নতাত্ত্বিক কালের জীবাস্ট হিসাবে পাওয়া আদিম পক্ষীটির নাম কি ?

উত্তরঃ আর্কিঅপটেরিক্স ।

(খ) লেমার্ক নিজের কোন গ্রন্থে ক্রমবিকাশের উপর মতবাদ তুলিয়া ধরিয়াছিলেন ?

উত্তরঃ ফিলসফি জুলজিক।

(গ) ডারউইন নিজের কোন গ্রন্থে জীবের ক্রমবিকাশের উপর মতবাদ তুলিয়া ধরিয়াছিলেন ?

উত্তরঃ অরিজিন অব্ স্পেসিচ’।

(ঘ) জীবের ক্রমবিকাশের তত্ত্বের উপর লেমার্ক তুলে ধরা মতবাদটির বিষয়ে আলােচনা কর।

উত্তরঃ লেমার্কের মতে অংগ-প্রত্যংগের ব্যবহার অপব্যবহারের ফলে জীবদেহে পরিবর্তন ঘটে। যে সমস্ত অংগ-প্রত্যংগ অধিক ব্যবহার করা হয় সেই অংগ-প্রত্যংগ সমূহ অধিক কর্মঠ, শক্তিশালী এবং কার্যক্রম হইয়া থাকে এবং যে সমস্ত অংগ-প্রত্যংগের ব্যবহার করা হয় না সেগুলি ক্রমান্বয়ে কর্মহীন এবং লুপ্তপ্রায় হইয়া পড়ে।

এই মতবাদ অনুসারে জিরাফের গলা বড় হওয়ার কারণ হইল জিরাফ প্রথমে জাবর কাটা প্রাণী ছিল। কিন্তু মরুভূমি সদৃশ অঞ্চলে বসবাস করাতে ঘাসের অভাব হয় এবং পরে উঁচু গাছে পাতা খাওয়ার চেষ্টা করার ফলেই তাদের গলা লম্বা হইয়াছে।

পর্যবেক্ষণ কর-

(ক) তােমার ডাম এবং বাম বাহুর গঠন। 

(খ) শরীর চর্চা করা ব্যক্তির দৈহিক গঠন এবং শরীর চর্চা না করা 

ব্যক্তির দৈহিক গঠন।

(ঙ) জীবের ক্রমবিকাশ তরে উপর ডারউইনের তুলিয়া ধরা মতবাদটির বিষয়ে আলােচনা কর।

উত্তরঃ ডারউইনের প্রাকৃতিক মতবাদের মূল কারণগুলি হইতেছে-

(a) অত্যধিক জন্মের হার।

(b) জীবসমূহের সংগ্রাম।

(c) যাগ্যতার উর্ধ্বতন।

(d) প্রাকৃতিক নির্বাচন।

(চ) লেমার্ক এবং ডারউইনের মতবাদ দুইটির সমালােচনামূলক টীকা লিখ।

উত্তরঃ লেমার্কের তত্ত্বের সপক্ষে কোন শক্তিশালী সাক্ষ্য-প্রমাণ নাই কিন্তু ডারউইনের তত্ত্বের সাক্ষ্য প্রমাণ আছে এবং ইহা গ্রহণযােগ্য। লেমার্কের মতবাদটির চারটি যুক্তি হল-

(i) পরিবেশের প্রভাব। 

(ii) প্রয়ােজনের নতুন অংগের গঠন।

(iii) অংগের প্রয়োেগ এবং অপ্রয়ােগের ফলে দৈহিক পরিবর্তন।এবং 

(iv) উল্লিখিত কারকের প্রভাবে অর্জিত চরিত্রের উত্তরাধিকারী তত্ত্ব।

ডারউইনের মতবাদটির মূলভাব হইল-

(i) অত্যধিক প্রজনন।

(ii) জীবন সংগ্রাম।

(iii) প্রকরণ।

(iv) যােগ্যতমের উদ্বর্তন। 

(v) প্রাকৃতিক নির্বাচন।এবং

(vi) নতুন প্রজাতির সৃষ্টি।

(ছ) জীবের ক্রমবিকাশের ধারা সম্পর্কে প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ে লিখ।

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের পাললিক শিলাস্তর (Sedimentary Rock)-এ প্রবেশ করা জীবদেহ বা এই জীবগুলির অংশ বিশেষ বা জীবগুলির ফেলে যাওয়া দাগকে জীবাশ্ম বলা হয়। ইহা বিভিন্ন প্রকারের সৃষ্টি হইতে পারে। জীবাশ্মগুলি হইতে জীব বিবর্তনের প্রমাণ করা যায়। পৃথিবীতে জীব সৃষ্টি হইতে আরম্ভ করিয়া ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জীবের আগমন ঘটিয়াছিল এবং এই জীবগুলি আনেকেই কালক্রমে লুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। পৃথিবী হইতে লুপ্ত হইয়া যাওয়া এই জীবগুলির মধ্যে অনেকের বিভিন্ন অংগ প্রত্যংগ পাললিক শিলা স্তরে পাওয়া যায়। এই স্তরগুলি বিভিন্ন সময়ে সৃষ্টি হইয়াছে। সকলের নীচে থাকা স্তরগুলি অধিক পুরান। আবার ক্রমে উপরের স্তরগুলি নতুন। সুতরাং বিভিন্ন স্তরে পাওয়া জীবাশ্মগুলির সৃষ্টির সময়ও ভিন্ন ভিন্ন। বিভিন্ন স্তরে পাওয়া বিভিন্ন সময়ের জীবাশ্মসমূহ অধ্যয়ন করে পাওয়া গিয়াছে যে, একেবারে নীচের স্তরে পাওয়া জীবাশ্মগুলির বুঝানাে জীবগুলির দৈহিক গঠন একেবারে উপরের স্তরে থাকা জীবাশ্মগুলির বুঝানাে জীবের দৈহিক গঠন হইতে সরল।

৪৮। পৃথিবীর উৎপত্তি কাহার মতবাদ হইতে নেওয়া হইয়াছে ?

উত্তরঃ বিজ্ঞানী জিনস্ এবং ডেফ্রিসের মতবাদ হইতে।

৪৯। আজ হইতে কত বছর পূর্বে পৃথিবীর উৎপত্তি হইয়াছে ?

উত্তরঃ প্রায় 5 হাজার কোটি।

৫০। জীবদেহের গঠনকারী যৌগ পদার্থগুলি কি কি ?

উত্তরঃ বহুশর্করা, প্রােটিন, স্নেহ পদার্থ এবং নিউক্লিক অ্যাসিড।

৫১। গিনিপিগের দাঁত আছে কিন্তু একই স্তন্যপায়ী প্রাণী তিমি মাছের দাঁত নাই কেন ?

উত্তরঃ ইহার কারণ হইতেছে জৈব বিবর্তন। ভুণ অবস্থায় তিমি মাছে দাঁত বিদ্যমান। পরে ইহার দাঁত পড়ে যায়।

৫২। এক প্রকার সমসংস্থ এবং এক প্রকার সমবৃত্তি অংগের নাম লিখ।

উত্তরঃ এক প্রকার সমসংস্থ অংগ পাখীর ডানা এবং ব্যাঙের অগ্র পা। এক প্রকার সমবৃত্তি অংগ- প্রজাতির পাখনা এবং পাখীর ডানা।

৫৩। প্রভাবী এবং রাহত লক্ষণ কাকে বলে ?

উত্তরঃ একই জাতের বিপরীতধর্মী লক্ষণযুক্ত দুটি জীবের মধ্যে সংকরণ ঘটালে প্রথম অপত্য জনুতে পিতৃ বা মাতৃর যেকোন একজনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রকাশ পাওয়া লক্ষণটিকে প্রভাবী এবং প্রকাশ না পাওয়া লক্ষণটিকে পরাহত লক্ষণ বলে।

৫৪। উদাহরণ সহ এলিল মানে কি বুঝায় লিখ।

উত্তরঃ দুটি সমরূপী ক্রোমােজোমের নির্দিষ্ট বিন্দুতে থাকা কোনাে নির্দিষ্ট চরিত্র নিয়ন্ত্রণকারী কারক দুটির প্রত্যেকটিকে একটি অপরটির এলিল বলে। যেমন দীর্ঘ এবং খর্ব কারক দুটির মধ্যে দীর্ঘটি খর্ব কারকটির এলিল এবং খর্বটি দীর্ঘ কারকের এলিল।

৫৫। রাসায়নিক বিবর্তন মানে কি বােঝ লিখ।

উত্তরঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা বিভিন্ন মৌলের মধ্যে রাসায়নিক সংযােজন ঘটে প্রথমে অজৈব যৌগ এবং পরে এই সমস্ত যৌগের মধ্যে পুনরায় রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে জীবদেহ গঠনকারী জৈব যৌগ সৃষ্টি হওয়া বিবর্তনকে রাসায়নিক বিবর্তন বলা হয়।

৫৬। আদিম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কি কি উপাদান ছিল ?

উত্তরঃ আদিম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মিথেন, অ্যামােনিয়া, হাইড্রোজেন এবং জলীয় বাষ্প ছিল।

৫৭। লুপ্তপ্রায় অঙ্গ কাকে বলে ?

উত্তরঃ জীবের শরীরে যে সব অঙ্গের কোনাে ক্রিয়া নেই সেই অঙ্গগুলােকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বলে।

৫৮। মানুষের দুটি লুপ্তপ্রায় অঙ্গের নাম লিখ।

উত্তরঃ মানুষের দুটি লুপ্তপ্রায় অঙ্গ হচ্ছে এপেক্সি, কানের পেশী ইত্যাদি।

৫৯। অস্মীভবন বা অস্মীভূত জীবাশ্ম কাকে বলে ?

উত্তরঃ জীবদেহের কোষে মাটির অজৈব খনিজ পদার্থ ঢুকে কঠিন হয়ে জীবগুলাের অনুরূপ আকৃতির অঙ্গ গঠন হয়ে জীবাশ্ম সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অস্মীভবন বা অস্মীভূত জীবাশ্ম বলে।

৬০। প্রগতিগামী এবং প্রতিগামী ক্রমবিকাশের অর্থ কি ?

উত্তরঃ প্রগতিগামী ক্রমবিকাশ বলতে লব্ধ গুণসমূহ সরল পর্যায় থেকে জটিল পর্যায়ে উন্নীত হওয়াকে বুঝায়। অপরদিকে প্রতিগামী ক্রমবিকাশ বলতে লব্ধ গুণসমূহের জটিলতা থেকে সরলতা প্রাপ্তি বােঝায়।

৬১। শূন্যস্থান পূরণ করাে-

১। প্রজাপতির পাখনা, পাখীর ডানা __________ অংগ।

উত্তরঃ সমবৃত্তি।

২। সৃষ্টি হওয়া জীবাশ্ম কার্বনীকরণ প্রক্রিয়ায় গঠিত হলে একে _________ জীবাশ্ম বলে।

উত্তরঃ অপ্রকৃত।

৩। “উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করা অর্জিত চরিত্র তত্ত্ব” নামের মতবাদ __________ প্রবর্তন করেন।

উত্তরঃ ল্যামার্ক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top