Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ 

Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ and select needs one.

Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Science Chapter 4 কার্বন এবং ইহার যৌগ for All Subject, You can practice these here..

কার্বন এবং ইহার যৌগ 

               Chapter – 4

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সংকেত CO,। এই ইস্ট্রেন বিন্দু গঠন কি হবে ?

উত্তরঃ 

২। সালফারের একটি অণুর ইলেক্ট্রন বিন্দু গঠন কি হবে? সালফারের একটি অণু সালফারের ৪ টি পরমাণু দিয়ে গঠিত।

ইঙ্গিত- সালফারের পরমাণুগুলাে বৃত্তাকারে একটি অন্যটির সঙ্গে যুক্ত।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। পেন্টেনের কতগুলাে গঠন সমযােগী (Structural isomer) আঁকতে পার।

উত্তরঃ

২। কার্বনের কোন দুইটি ধর্মের জন্য আমরা অসংখ্য কার্বন যৌগ দেখতে পাই ?

উত্তরঃ (i) চতুষজোজ্যতা (Tetravalency)

(ii) শৃঙ্খল গঠন (Catenation)।

৩। সাইক্লোপেন্টেনের সংকেত এবং ইলেক্ট্রন বিন্দু গঠন কি হবে ?

উত্তরঃ 

৪। নিম্নোক্ত যৌগগুলাের গঠন আঁক—

(i) ইথানয়িক এসিড

(ii) ব্রোমােপেন্টেন

(iii) বিউটানােন

(iv) হেক্সানল।

ব্রোমপেন্টেনের গঠন সমযােগী আছে কি ?

ব্রোমােপেটেনের গঠনের বহুরূপতা- গঠন অনুযায়ী ব্রোমােপেন্টেনের। বহুরূপ তিনটি। ইহা Br এর অবস্থানের উপর নির্ভর করে।

(i) ব্রোমােপেটেন- 

(ii) ব্রোমােপেটেন- 

(iii) ব্রোমােপেটেন- 

৫। নিম্নোক্ত যৌগগুলাের নাম লেখ।

(i) CH₃-CH₂-Br

উত্তরঃ (i) ব্রোমইথেন। 

(ii) মিথানল। 

(iii) হেক্সেন।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ 

১। ইথানলকে ইথানয়িক এসিডে পরিবর্তনকে জারণ প্রক্রিয়া বলা। হয় কেন ?

উত্তরঃ ইথানল থেকে ইথানয়িক এসিডে রূপান্তর একটি জারণ বিক্রিয়া কারণ-

(i) জারক দ্রব্য এলকেলাইন পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট অথবা অম্লজ পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট দ্বারা অক্সিজেন ইথানলের সঙ্গে যুক্ত হয়।

(ii) বিক্রিয়ায় CO₂ এবং জল উৎপন্ন হয় না এবং তাপ ও আলােকের সৃষ্টি হয় না।

২। ওয়েল্ডিং কার্যে বা ধাতু জোড়া দেওয়ার কাজে অক্সিজেন এবং ইথাইনের মিশ্রণ দহ্ন করা হয় কিন্তু ইথাইন এবং বায়ুর মিশ্রণ কেন ব্যবহার করা হয় না ?

উত্তরঃ অক্সিজেনের সাথে ইথাইনের বিক্রিয়ার ফলে যথেষ্ট তাপ উৎপন্ন হয় যা ওয়েলডিং-এ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বায়ুতে নাইট্রোজেন এবং কিছু পরিমাণের নিষ্ক্রিয় গ্যাস থাকার জন্য অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে বায়ুর সঙ্গেবা ইথাইনের বিক্রিয়ায় কম তাপের সৃষ্টি হয় বলে একে ওয়েলডিং-এর কাজে ব্যবহার করা হয় না।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। পরীক্ষা দ্বারা কিভাবে এলকোহল এবং কার্বোক্সিলিক এসিডের মধ্যে পার্থক্য দেখাবে ?

উত্তরঃ 

পরীক্ষাএলকোহলকার্বোক্সিলিক এসিড
১। লিটমাস পরীক্ষা১। রং এর কোনাে পরিবর্তন হয় না।১। নীল লিটমাস দ্রবণ লালে পরিণত হয়।
২। সােডিয়াম কার্বোনেট এর পরীক্ষা২। কোনাে বিক্রিয়া হয় না।২। ফেনার সৃষ্টি হবে।
৩। সােডিয়াম ধাতুর পরীক্ষা৩। বুদবুদাকারে H₂ গ্যাস বের হবে।৩। H₃ সৃষ্টি হবে কিন্তু কোনাে বুদবুদের সৃষ্টি হবে না।

২। জারক দ্রব্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ জারক দ্রব্য হল সেইগুলি যারা অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অক্সিজেনের যােগান দেয়। যেমন- ক্ষারীয় পটাসিয়াম পারম্যাংগানেট বা আম্লিক পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট এলকোহলকে অক্সিজেনের যােগান দেয় ফলে কার্বোক্সিলিক এসিড সৃষ্টি হয়।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে তুমি কি পরীক্ষা করতে পারবে যে জল খর কি না ?

উত্তরঃ না, কারণ ডিটারজেন্ট সমানভাবে খর জল এবং মৃদু জলের সঙ্গে ক্রিয়া করে।

২। জামাকাপড় ধােয়ার জন্য লােকে নানাপ্রকার পদ্ধতি ব্যবহার করে। সাবান লাগানাের পর তারা ওগুলােকে পাথরের উপর আছড়ে দেয়, রশি দিয়ে ঘষে বা ওয়াশিং মেশিনে (কাপড় ধােয়া যন্ত্রে) মিশ্রণটিকে সজোরে নাড়ায়। জামাকাপড় পরিষ্কার করতে এমন কার্যের কি প্রয়ােজন ?

উত্তরঃ সাবান হালকাভাবে কাপড় থেকে ময়লা দূর করে। সেইজন্য কাপড়কে সাবান মাখার পর যদি কাঠের তক্তাতে আঘাত করা হয় বা ঘষাঘষি করা হয় তবে সম্পূর্ণ ময়লা কাপড় হতে বের হবে এবং কাপড় পরিষ্কার হবে।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। আণবিক সংকেত C₂H₆ থাকা ইথেনের অণুতে থাকে

(a) 6 টা সমযােজী বন্ধন।

(b) 7 টা সমযােজী বন্ধন।

(c) ৪ টা সমযােজী বন্ধন।

(d) 9 টা সমযােজী বন্ধন।

উত্তরঃ (b) 7 টা সমযােজী বন্ধন।

২। 4 টি কার্বন থাকা যৌগ বিউটানােনের কার্যকরী মূলক হচ্ছে-

(a) কার্বোক্সিলিক এসিড।

(b) এলডিহাইড।

(c) কিটোন।

(d) এলকোহল।

উত্তরঃ (c) কিটোন।

৩। রান্নার সময় পাত্রের বহিঃভাগের তলটি কালাে হয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে- 

(a) খাদ্যটি পুরােপুরি রান্না হয়নি।

(b) ইন্ধন ভাল করে জ্বলছে না।

(c) ইন্ধনটি ভেজা।

(d) ইন্ধনটি সম্পূর্ণ জ্বলেছে।

উত্তরঃ (b) ইন্ধন সম্পূর্ণরূপে দহন হবে না।

৪। CH₃CI -এ যে বন্ধন সৃষ্টি হয় সেটাকে উদাহরণ হিসাবে নিয়ে সমযােজী বন্ধনের প্রকৃতি আলােচনা কর।

উত্তরঃ ইলেক্ট্রনের আদান-প্রদানের ফলে সহযােজী বন্ধন সৃষ্টি হবে যাতে যুক্ত পরমাণু বহিঃতম খােল পূর্ণ করে। CH₃CI নিম্নরূপ হবে-

CH₃CI-এর তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু তাদের খােলটি (K = 1 + 1 = 2) ভাগাভাগির দ্বারা পূর্ণ করে। Ci পূর্ণ করে (L = 7 + 1 = 8) একটি ইলেক্ট্রন ভাগাভাগি করে। সুতরাং কার্বন তিনটি হাইড্রোজেন একটি ক্লোরিনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে বহিঃখােল (L = 4 + 3 + 1= 8) পূর্ণ করে।

৫। নিম্নেক্তগুলাের ইলেক্ট্রন বিন্দু গঠন এঁকে দেখাও।

(a) ইথানয়িক এসিড।

(b) হাইড্রোজেন সালফাইড।

(c) প্রপানোন।

(d) ফ্লুরিন।

৬। সমগােণীয় শ্রেণি কি ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ জৈব পদার্থগুলিকে তাদের গঠন ও ধর্মানুযায়ী নানা শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন- হাইড্রোকার্বন শ্রেণি, এলকোহল শ্রেণি, এলডিহাইড ও কিটোন শ্রেণি ও এসিড শ্রেণি ইত্যাদি। একই শ্রেণির যৌগগুলিকে তাদের ক্রমবর্ধমান আণবিক ওজন অনুসারে সাজালে দেখা যায় যে, কোনাে একটি যৌগ এবং তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী যৌগের মধ্যে সর্বদাই একটি- CH₂ মূলকের ব্যবধান থাকে। এইরূপ- CH₂ মূলক পার্থক্য বিশিষ্ট সমধর্মী যৌগগুলির এক একটি শ্রেণিকে সমগােত্রীয় শ্রেণি বলে।

যৌগগুলিকে পরস্পরের সমগােত্রীয় বলা হয়। যথা-

একই ফাংশনাল গ্রুপ থাকার জন্য সমগােত্রীয় শ্রেণির যৌগগুলির মূলত রাসায়নিক ধর্ম একই, ভৌত ধর্মে কিছুটা পার্থক্য থাকে।

৭। ভৌতিক এবং রাসায়নিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে ইথানল এবং ইথানয়িক এসিডের মধ্যে কিভাবে পার্থক্য দেখানাে যায় লেখ।

উত্তরঃ 

পরীক্ষাইথানলইথানয়িক এসিড
১। লিটমাস পরীক্ষা১। লিটমাস দ্রবণের কোনাে পরিবর্তন হবেনা।১। নীল লিটমাস লাল হবে।
২। সােডিয়াম বাই কার্বনেট২। কোনাে বুদবুদ সৃষ্টি হবে না।২। বুদাকারে CO₂ গ্যাস বের হবে।
৩। সােডিয়াম ধাতুর পরীক্ষা৩। বুদবুদাকারে H₂ গ্যাস বের হবে।৩। H₂ গ্যাস সৃষ্টি হবে কিন্তু বুদবুদ হবেনা।

৮। সাবান জলের সঙ্গে যােগ করলে কেন মাইসেল গঠিত হয়। অন্য দ্রাবক যেমন ইথানলেও কি মাইসেল গঠিত হবে ?

উত্তরঃ সাবানের অণুতে সােডিয়াম অথবা পটাসিয়াম লবণ-এর লম্বা শৃঙ্খল কার্বক্সিলিক এসিড থাকে। এটি জলে দ্রবীভূত হয় আবার কার্বন শৃংখল তেলে দ্রবীভূত হয় যখন সাবান-এর সঙ্গে জল মেশানাে হয়। হাইড্রোফিলিকের এসিড অংশ জলের তলের সঙ্গে থাকে এবং শৃংখল অংশ জলের বাইরে থাকে। এদের মাইসেল (micelle) বলে।ইহা ইথানলের সঙ্গে সম্ভব নহে কারণ সােডিয়াম লবণ এবং ফ্যাটী এসিড দ্রবীভূত হয় না।

৯। কেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইন্ধন হিসাবে কার্বন এবং কার্বনের যৌগসমূহকে ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ কার্বন এবং এর যৌগ প্রতি বর্গ এককে অধিক পরিমাণ তাপের সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য একে ইন্ধন হিসাবে বহু জায়গায় ব্যবহার করা হয়।

১০। খর জলের সঙ্গে যখন সাবান ব্যবহার করা হয় তখন গাদ (Scum) কিভাবে গঠিত হয় ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ খর জলে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম লবণ থাকে। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে সাবানের (কার্বোক্সিলিক এসিড) বিক্রিয়ায় অদ্রবীভূত পদার্থ উৎপন্ন হয়। এদের স্কাম (Scum) বলে।

১১। লিটমাস কাগজ (লাল এবং নীল) দিয়ে সাবান পরীক্ষা করলে তুমি কি পরিবর্তন লক্ষ করবে ?

উত্তরঃ লাল লিটমাস নীল হবে কারণ সাবান হল ক্ষারধর্মী।

১২। হাইড্রোজেনেশন (হাইড্রোজেন সংযােজন) বলতে কি বুঝ ? এটার বাণিজ্যিক প্রয়ােগ সম্বন্ধে লিখ।

উত্তরঃ নিকেলের উপস্থিতিতে 1758-190° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এবং প্রায় দুইগুণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে তেলের মধ্য দিয়া হাইড্রোজেন গ্যাস পরিচালিত করলে গ্লিসারাইডের অসংপৃক্ত এসিড অংশে হাইড্রোজেন যুক্ত হয়ে তরল গ্লিসারাইড অর্ধকঠিন বা কঠিন গ্লিসারাইডে পরিণত হয়। এই পদ্ধতিকে হাইড্রোজেনেশন বলে।

এই প্রণালীতে উদ্ভিদ ঘি, বনস্পতি প্রভৃতি তৈরি করা হয়।

১৩। নিম্নোক্ত হাইড্রকার্বনগুলাের মধ্যে কোনগুলাে যােগাত্মক বিক্রিয়া দেখাবে, C₂H₆, C₃H₈, C₃H₁₆, C₂H₂, এবং CH₄

উত্তরঃ C₂H₆ এবং C₂H₂।

১৪। এমন একটি পরীক্ষার কথা লেখ যার দ্বারা মাখন এবং রান্নার তেলের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পার্থক্য দেখানাে যায়।

উত্তরঃ রান্নার তেল অসংপৃক্ত হাইড্রোকার্বন কিন্তু মাখন সংপৃক্ত হাইড্রোকার্বন।

রান্নার তেলে কয়েক ফোঁটা ব্রোমিন দিলে এর রং-এর পরিবর্তন হবে কিন্তু বাটারে বা মাখনে কয়েক ফোঁটা ব্রোমিন দিলে মাখনের রং-এর কোনাে পরিবর্তন হবে না। এটা বাদামীই থাকবে।

১৫। সাবানের ময়লা দূরীকরণের পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ সাবান জলের সঙ্গে ফেনার সৃষ্টি করে। ইহা কাপড়ের তৈলাক্ত নােংরা অংশে সহজে মিশতে পারে না। ফলে কাপড়টি ভালভাবে ঘষে দিলে সাবানের সরাসরি সংস্পর্শে এসে কাপড়ের নােংরা অংশ পরিষ্কার হয়ে যায়।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। সংপৃক্ত এবং অসংপৃক্ত যৌগ কি ?

উত্তরঃ যে সকল জৈব যৌগিক পদার্থের অণুতে কার্বন পরমাণুগুলি পরস্পরের সঙ্গে এক সমযােজকের সাহায্যে যুক্ত থাকে তাদের সংপৃক্ত যৌগ বলে। যেমন- ইথেন, ইথাইল এলকোহল, প্রপেন ইত্যাদি সংপৃক্ত যৌগ।

সংপৃক্ত যৌগের বৈশিষ্ট্য এই যে এরা খুব নিষ্ক্রিয় এবং প্রতিস্থাপন ক্রিয়ার ফলে প্রতিস্থাপিত যৌগ উৎপাদন করে।

যে সকল যৌগিক পদার্থের অণুতে একটি দ্বি-বন্ধ বা ত্রিবন্ধ থাকে তাকে অসংপৃক্ত যৌগ বলে। যেমন-ইথিলিন, এসিটিলিন ইত্যাদি।

অসংপৃক্ত যৌগের বৈশিষ্ট্য হল এরা খুব সক্রিয় এবং যুত- ক্রিয়ার ফলে যুত যৌগ গঠন করে।

২। ফরমিক এসিড বা এসিটিক এসিডের উদাহরণ দ্বারা বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ (i) ফরমিক এসিড এবং এসিটিক এসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাস লাল করে।

(ii) এরা সােডিয়াম কার্বোনেট বা বাইকার্বোনেট হতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করে।

(iii) ক্ষারের সঙ্গে লবণ ও জল উৎপন্ন করে।

HCOOH + NaOH = HCOONa + H₂O

CH₃COOH + NaOH = CH₂COONa + H₂O

(iv) এলকোহলের সঙ্গে এটার উৎপন্ন করে।

HCOOH + C₂H₅OH = HCOOC₂H₅ + H₂O

CH₃COOH + C₂H₅OH = CH₃-COOC₂H₅ + H₂O

৩। অ্যালকিনের সাধারণ সংকেত কি ?

উত্তরঃ CₙH₂ₙ

৪। অ্যালকেনের অন্য একটি নাম কি ?

উত্তরঃ পারাফিন (Paraffin)।

৫। অ্যালকিনের অন্য একটি নাম কি ?

উত্তরঃ অ্যালিফিন (Olefin)।

৬। অ্যালকিন এবং অ্যালকাইনের একটি সাধারণ প্রাথমিক ধর্ম কি ?

উত্তরঃ এরা যােগাত্মক বিক্রিয়া (addition reaction) দেখায়।

৭। ইথেনের গঠন সংকেত লিখ।

উত্তরঃ ইথেন (C₂H₆) -এর গঠন সংকেত হল-

৮। জৈব যৌগসমূহকে সাধারণত একটি আলাদা শাখায় অধ্যয়ন করা হয় কেন ?

উত্তরঃ কার্বনের কিছু বিশেষ ধর্মের জন্য কার্বনের যৌগ বা জৈব যৌগসমূহ অজৈব যৌগের তুলনায় অনেক বেশি। তদুপরি এদের ধর্ম অজৈব যৌগসমূহের তুলনায় ভিন্ন ধরনের। তাই জৈব যৌগসমূহকে একটি বিশেষ শাখায় অধ্যয়ন করা হয়।

৯। সংপৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলতে কি বুঝ ?

উত্তরঃ যে সকল হাইড্রোকার্বন অণুতে কার্বন পরমাণুগুলি শুধুমাত্র একবন্ধনী দ্বারা যােজিত হয়ে থাকে সেগুলােকে সংপৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলা হয়।

১০। অ্যালকেল থেকে অ্যালকিন বা অ্যালাকাইনগুলি বেশি সক্রিয় কেন ?

উত্তরঃ অ্যালকেন সংপৃক্ত অন্যদিকে অ্যালকিন এবং অ্যালকাইনগুলি অসংপৃক্ত হাইড্রোকার্বন। অ্যালকিন এবং অ্যালকাইনগুলি, দুর্বল বন্ধনের দ্বারা বন্ধনী খেয়ে থাকে তাই এরা অ্যালকেনের থেকে বেশি সক্রিয়।

১১। অ্যারােমেটিক হাইড্রোকার্বন কি? একটি অ্যারােমেটিক হাইড্রোকার্বনের নাম লিখে গঠন সংকেত, লিখ।

উত্তরঃ অ্যারােমেটিক হাইড্রোকার্বন একধরনের আবর্ত যৌগ। এই যৌগসমূহে কার্বনের পরমাণুগুলির মধ্যে একান্তরভাবে একবন্ধনী এবং দ্বিবন্ধনী থাকে। শৃংখল হাইড্রোকার্বনের তুলনায় এই হাইড্রোকার্বনে শতকরা সংযুতি বেশি।

একটি অ্যারােমেটিক হাইড্রোকার্বন হল বেনজিন (C₆H₆) নুথার গঠন সংকেত হল-

১২। অ্যালকেনের দুটি ভৌতিক ধর্ম এবং একটি রাসায়নিক ধর্ম লিখ।

উত্তরঃ অ্যালকেনের ভৌতিক ধর্ম-

(i) অ্যালকেনগুলি জলে অদ্রবণীয় কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয়।

(ii) অ্যালকেনগুলি খুব বেশি উদ্বায়ী। তাই এদের উতলাংক কম। রাসায়নিক ধর্ম- অ্যালকেনে থাকা C-H বন্ধনী অপেক্ষাকৃতভাবে দুর্বল। তাই হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি হেলােজেন বা একযােজী মূলকের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করতে পারা যায়।

১৩। দুটি দ্বিবন্ধনী এবং দুটি ত্রিবন্ধনী যুক্ত যৌগের নাম লিখ এবং তাদের গঠন সংকেত অংকন কর।

উত্তরঃ দ্বিবন্ধনযুক্ত যৌগ-

ত্রিবন্ধনযুক্ত যৌগ-

ইথাইন- C₂H₂, H-C = C-H

১৪। নীচে দেওয়া যৌগগুলির থেকে অ্যালকেন, অ্যালকিন এবং অ্যালকাইনগুলি বেছে বের কর-

CH₄, C₂H₄,C₃H₆, C₂H₂, C₃H₈, C₄H₈, C₃H₄, C₂H₆, C₄H₆

উত্তরঃ অ্যালকেন – CH₄, C₃H₈, C₂H₆

অ্যালকিন – C₂H₄, C₃H₆, C₄H₈

অ্যালকাইন – C₂H₂, C₃H₄, C₄H₆

১৫। দুটি কার্বন পরমাণু থাকা 

(i) অ্যালকেন।

(ii) অ্যালকিন।এবং 

(iii) অ্যালকাইনের আণবিক সংকেত লিখ।

উত্তরঃ (i) অ্যালকেনটি হল- C₂H₆ (ইথেন)।

(ii) অ্যালকিন হল- C₂H₄ (ইথিন)।

(iii) অ্যালকাইনটি হল- C₂H₂ (ইথাইন)।

১৬। অ্যালকেনকে কেন পেরাফিন বলা হয় ?

উত্তরঃ অ্যালকেনগুলির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার আসক্তি কম। পেরাফিন (Paraffin) একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ ( Parrum) (Affinis) আসক্তি অর্থাৎ কম আসক্তি।

তাই অ্যালকেনগুলিকে পেরাফিন বলা হয়।

১৭। অ্যালকিনকে কেন অলিফিন বলা হয় ?

উত্তরঃ অ্যালকিনগুলি ক্লোরিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তেলের মতাে পদার্থ প্রস্তুত করে। অ্যালকিনের এই গুণের জন্য অ্যালকিনগুলিকে অলিফিন বলা হয়। অলিফিন শব্দটি অলিফিয়েন্ট (Olifants) অর্থাৎ তেল প্রস্তুতকারক গ্যাস থেকে এসেছে।

১৮। অ্যালকিন মূলকের সক্রিয়তার কারণ কি ?

উত্তরঃ অ্যালকিন মুলককে অ্যালকেনের থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণ কম করে থাকে। তার ফলে অ্যালকিন মুলকে একটি একাকী ইলেকট্রন থাকে। এই একাকী ইলেকট্রনটির জন্য অ্যালকিন মুলক অতি সক্রিয় হয়।

১৯। মিথেন থেকে ক্লোরােফর্ম কিভাবে প্রস্তুত করা হয় ?

উত্তরঃ 

২০। মিথেনের হ্যালােজেন ব্যুৎপন্নের নাম ও সংকেত লিখ।

উত্তরঃ মিথেনের হ্যালােজেন ব্যুৎপন্নের নাম ক্লোরােফর্ম। এর রাসায়নিক সংকেত হল CHCL₃। সংজ্ঞাহীন করতে এর ব্যবহার হয়।

২১। জৈব যৌগের সংখ্যা এত বেশি হওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ (ক) কার্বন পর্যাবৃত্ত তালিকার প্রায় সমস্ত মৌলের সাথে একজোট হতে পারে।

(খ) সহযােগীবন্ধনীর দ্বারা কার্বন পরমাণু কল যুক্ত শৃংখল গঠন করতে সক্ষম।

(গ) কার্বনের যৌগসমূহে সহযােগিতা দেখা যায়। এই সকল গুণের জন্য কার্বন অসংখ্য যৌগের সৃষ্টি করতে পারে।

২২। তিনটি কার্বন পরমাণু বিশিষ্ট সংপৃক্ত হাইড্রোকার্বনের নাম ও সংকেত লিখ।

উত্তরঃ তিনটি কার্বন পরমাণু বিশিষ্ট সংপৃক্ত হাইড্রোকার্বনের নাম প্রপেন (C₃H₂)।

২৩। মিথেন থেকে পাওয়া যায় এরূপ একটি এলডিহাইড-এর নাম ও সংকেত লিখ।

উত্তরঃ মিথেন থেকে মিথানল (HCHO) পাওয়া যায়। এর সাধারণ নাম ফরমেলডিহাইড।

২৪। স্নেহজ অ্যাসিড কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ কার্বক্সিল মূলক অ্যাসিডগুলিকে স্নেহজ অ্যাসিড (Fatty acid) বলাহয়। যেমন- মিথায়নিক অ্যাসিড (HCOOH) বা ফরমিক অ্যাসিড।

২৫। যােগাত্মক বিক্রিয়া কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় দুইটি বিকারক পদার্থের পারস্পরিক সংযােগে একটি মাত্র পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে যােগাত্মক বিক্রিয়া বলে। এলকিনের যাবতীয় বিক্রিয়া যােগাত্মক বিক্রিয়ায় গঠিত। নিম্নে ইথেন এবং ক্লোরিনের যােগাত্মক বিক্রিয়া দেওয়া হল-

২৬। প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কাকে বলে ? উদাহরণ সহ বুঝাও।

উত্তরঃ অ্যালকেনের সাথে উপযুক্ত অবস্থায় ক্লোরিনের বিক্রিয়ায় অ্যালকেন অণুর হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি ক্লোরিন পরমাণুর দ্বারা একটি করে প্রতিস্থাপিত হয় এবং বিভিন্ন ক্লোরাে- যৌগের মিশ্রণ পাওয়া যায়। এই ধরনের বিক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন- সূর্যালােকের ছায়ায় মিথেনের সঙ্গে ক্লোরিনের প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় বিভিন্ন ক্লোরাইড প্রতিস্থাপিত যৌগ উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়া নিচে দেওয়া হল।

CH₃Cl + CI₂ – CH₂Cl₂ + HCI

                       মিথাইলিন ক্লোরাইড

CH₂CI₂ + CI₂ – CHCI₂ + HCI

                       ক্লোরােফর্ম

CHCl₂ + Cl₂ – CCl₄ + HCl

                      কার্বন টেট্রাক্লোরাইড।

২৭। জৈব যৌগের চারিটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ (i) এইগুলি সাধারণত জলে অদ্রাব্য, কিন্তু জৈব দ্রবকে দ্রাবা।

(ii) গলনাংক তুলনামূলকভাবে কম। 

(iii) সাধারণত দ্রাহ্য। 

(iv) এদের গঠন জটিল।

২৮। শূন্যস্থান পূরণ করাে ?

১। রসায়ন বিজ্ঞানে মূল দুইটি ভাগ আছে। এই ভাগ দুইটি হল ……………এবং………………।

উত্তরঃ জৈব রসায়ন, অজৈব রসায়ন।

২। কার্বনের যৌগসমূহকে ………………. বলে।

উত্তরঃ কার্বনের যৌগ বা জৈব যৌগ।

৩। রসায়নের যে শাখায় জৈব যৌগসমূহের প্রস্তুতি, ধর্ম, গঠন সম্বন্ধে অধ্যয়ন করা হয় তাকে ………….. বলে।

উত্তরঃ জৈব রসায়ন।

৪। জৈব যৌগসমূহ সাধারণত জলে ………..…..।

উত্তরঃ অদ্রবণীয়।

৫। কার্বনের …………… ধর্মের জন্য কার্বন যৌগ সংখ্যায় অধিক।

উত্তরঃ শৃঙ্খল গঠন।

৬। রবার এক প্রকার ………………যৌগ।

উত্তরঃ বহুযযাগী।

৭। বেনজিনের সাথে …………… র বিক্রিয়া ঘটলে প্যারাফিন উৎপন্ন হয়।

উত্তরঃ ক্লোরিন।

৮। কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের কার্যকরী মূলক হল……………….।

উত্তরঃ COOH।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top