Class 12 Bengali Chapter 14 দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত

Class 12 Bengali Chapter 14 দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত | Class 12 Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Assam Board HS 2nd Year Bengali Chapter 14 দিবসের শেষে Notes and select needs one.

Class 12 Bengali Chapter 14 দিবসের শেষে

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Assam Board Class 12 Bengali Chapter 14 দিবসের শেষে Solutions for All Subject, You can practice these here.

দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত

Chapter: 14

বাংলা (MIL)

গোট – ২ নির্বাচিত গদ্যাংশ

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ

( ক ) ‘ দিবসের শেষে ‘ ছোট গল্পটির লেখক কে ? 

উত্তরঃ দিবসের শেষে ছোট গল্পটির লেখক জগদীশ গুপ্ত । 

( খ ) ‘ দিবসের শেষে ’ ছোট গল্পটি লেখকের কোন গল্প সংগ্রহ থেকে গৃহিত হয়েছে ? 

উত্তরঃ দিবসের শেষে ছোট গল্পটি লেখকের ‘ বিনোদিনী ’ নামক গল্প সংগ্রহ থেকে গৃহিত হয়েছে ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Join Now

( গ ) রতি নাপিতের বাড়ির পূর্বদিকে কোন নদী প্রবাহিত ? 

উত্তরঃ রতি নাপিতের বাড়ির পূর্বদিকে কামদা নদী প্রবাহিত । 

( ঘ ) রতির ছেলের নাম কী ? 

উত্তরঃ রতির ছেলের নাম পাঁচু । 

( ঙ ) নারানী কে ? 

উত্তরঃ নারানী হলেন রতি নাপিতের স্ত্রী অর্থাৎ পাঁচুর মা । 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) পাঁচুর অসংলগ্ন কথার দুটি উদাহরণ দাও ? 

উত্তরঃ পাঁচুর অসংলগ্ন কথার দুটি উদাহরণ হল – একদিন পাঁচু সন্ধ্যাবেলায় একটি পেঁচাকে তাদের ঘরের চালে বসে অট্টহাস্য করতে দেখেছে । আর একদিন একটা বড় কচ্ছপকে তার বাচ্চাসহ তাদের উঠানে দাঁড়িতে নৃত্য করতে দেখেছিল ।

( খ ) “ বহু আরাধনার ধন এই পাঁচু একদিন সকালবেলা ঘুম ভাঙিয়া উঠিয়াই যে কথাটি বলিয়া বসিল তাহা যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি অবিশ্বাস্য ” । 

১। ‘ ভয়ঙ্কর ’ ও ‘ অবিশ্বাস ’ কথাটি কী ? 

উত্তরঃ পাঁচু যে ভয়ঙ্কর ও অবিশ্বাস্য কথাটি তার মাকে বলেছিল তা হল – “ মা আজ আমায় কুমিরে নেবে । ‘ । 

২। পাঁচুকে কেন ‘ বহু আরাধনার ধন ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ? 

উত্তরঃ পাঁচুকে অনেক আরাধনা করে পাঁচুর মা পেয়েছেন । অর্থাৎ পাঁচুর জন্মের আগে তার মায়ের আরো তিনটি পুত্র সন্তান জন্মেছিল , কিন্তু তারা কেউই বাঁচেনি । তাই নারানী এরপর বহু জায়গায় মানসিক করে, অনেক তাবিজ কবজ ধারণ করে পাঁচুকে পুত্ররূপে পেয়েছেন । সেইজন্যই পাঁচুকে বহু আরাধনার ধন বলা হয়েছে । 

( গ ) “ রতি স্ত্রীর মুখে পাঁচুর উক্তি শুনিয়া পাঁচুকেই চোখ রাঙাইয়া ধমকাইয়া দিল । এই সংশ্রবে তাহার মনে পড়িয়া গেল তাহাদেরই গ্রামের মৃত অধর বশির কথাটা – মৃত অধর বশির কথাটি কী ?

উত্তরঃ অধর বকুশি রতির গ্রামেই থাকত । অধর বক্‌শি একবার নৌকা যাত্রা করার ঠিক আগের দিন সন্ধ্যেবেলায় আবছায়া জ্যোৎস্নায় নিজের ছায়া দেখে আঁৎকে উঠেছিল – উঠানে লাফিয়ে লাফিয়ে সে নিজেরই ছায়ার দিকে আঙুল দেখিয়ে ভীতস্বরে কেবলই চিৎকার করেছিল — ওকে ? ও কে ? বহু চেষ্টায় সেদিনের আতঙ্ক কাটিয়ে পরদিন সে নৌকা যাত্রা করেছিল বটে , কিন্তু সে নৌকা আর ফিরে আসেনি । এইভাবে অধর বকশির মৃত্যু হয় । স্ত্রী মুখে পাঁচুর উক্তি শুনে রতি নাপিতের এই কথাটাই মনে পড়েছিল । 

( ঘ ) “ সেইদিন বিকালে ঘুম ভাঙিয়া নারানী বারান্দায় আসিতেই তাহাকে দেখিয়া পাঁচুরই সমবয়সী অনেকগুলি ছেলে মেয়ে বিদ্যুদ্বগে অদৃশ্য হইয়া গেল ” – বিদ্যুৎবেগে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? ছেলে মেয়েদের বিদ্যুদ্বেগে অদৃশ্য হবার কারণ কী ? 

উত্তরঃ বিদ্যুদ্বেগ বলতে বিদ্যুদের গতিকে অর্থাৎ দ্রুত গতিতে অদৃশ্য হওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে । একদিন বিকেলবেলা পাঁচু তার সমবয়সী কয়েকজন ছেলেদের নিয়ে একটি কাঁঠাল চুরি করে তা ভেঙে খেয়েছিল । কাঁঠাল কেমন করে ভেঙে খেতে হয় পাঁচুর জানা ছিল না তাই চুরি করে কাঁঠাল ভেঙে খেতে গিয়ে কাঁঠালের রস পাঁচুর সারা শরীরে মাখামাখি হয়ে গিয়েছিল । এরপর ছেলেমেয়ারা পাঁচুর মাকে দেখতে পেয়েই বকা খাওয়ার ভয়ে ছুটে পালিয়ে গিয়েছিল । 

( ঙ ) কারণ কী ? “ ছেলের আমার এতক্ষণে হাসি ফুটেছে ” – বক্তা কে ? ছেলের মুখে হাসি ফোটার কারণ কী ? 

উত্তরঃ বক্তা পাঁচুর মা নারানী । পাঁচু একদিন ঘুম থেকে উঠেই তার মাকে বলেছিল যে তাকে কুমিরে নেবে । কথাটি শুনে মায়ের মন চমকে উঠলেও বাবা রতি তেমন চমকাননি । তাই রতি পাঁচুর ভয় ভাঙানোর জন্য ছেলেকে ধমক মেরে হলেও নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যান । কিন্তু পাঁচুর মনে কুমিরে নেওয়ার ভয় তখনও ছিল , তাই সে যেতে চায়নি । কিন্তু রতির শাসনের ভয়ে সে বাবার সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গেল । রতি ছেলেকে স্নান করিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে নিজে স্নান করে এসে যখন ছেলের খবর নেন তখন রতি ভাত খায় । তাই শুনে রতি ঠাট্টা করে পাঁচুকে বলে – ‘ কেমন কুমিরে নেয়নি তো । ‘ এই কথা শুনে পাঁচুর মুখে হাসি ফোটে । 

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) “ নিয়তি অমোঘ তার কাছে মানুষ অসহায় ” – “ দিবসের শেষে ’ গল্প অবলম্বনে বাক্যটির সত্যতা নিরূপণ করো। 

উত্তরঃ ‘ দিবসের শেষে ’ জগদীশ গুপ্তের অদৃষ্ট নির্ভর অনাকাঙ্খিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সুলিখিত একটি ছোট গল্প । গল্পটির মধ্য দিয়ে নিয়তির এক কঠোর রূপ প্রকাশিত হতে দেখা যায় । রতি নাপিতের ছেলে পাঁচু পাচ বছরের ছোট্ট শিশু । একদিন পাঁচু সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার মাকে বলে যে – ‘ মা আমায় আজ কুমিরে নেবে । ‘ কথাটি শুনে পাঁচুর মা নারানী ও পিতা রতি নাপিত দুজনেই আশঙ্কিত হন । কিন্তু তারা নিজেদের মনকে বিভিন্ন ভাবে বোঝানের চেষ্টা করলেও অন্তরে তাদের দুশ্চিন্তাটা থেকে যায় । পাঁচু ভয়ে তাই নদীতে স্নান করতে যেতে চায় না । কিন্তু রতি তার ছেলের মন থেকে এই ভয় দূর করানোর জন্য পাঁচুকে একপ্রকার জোর করে প্রথম বার নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যান । এবং নিশ্চিন্তে ছেলেকে স্নান করিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন । রতি এবং পাঁচু দুজনেই একরকম ভাবলেন বিপদ বুজি কেটে গেল । কিন্তু অমোঘ নিয়তি রতিদের বিপদমুক্ত ধারণাকে ভুল প্রমানিত করল । নিয়তির কাছে মানুষ পুতুল মাত্র । 

তাই ঘটনাচক্রে সেদিন বিকালে পাঁচু তার সমবয়সী ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাঁঠাল চুরি করে ভেঙে খেতে গিয়েছিল । কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি পাঁচুর জানা ছিল না , তাই কাঁঠালের রসে পাঁচু সর্বাঙ্গ ভরিয়ে ফেলেছিল। ফলে পাঁচুকে ধুয়ে পরিস্কার করার জন্য পুনরায় নদীতে নিয়ে যাওয়া হল। রতি এবারেও পাঁচুকে নির্বিঘ্নে স্নান করিয়েছিলেন । কিন্তু নিয়তির পাকচক্র , পাঁচুর হাতের খেলার ঘটিটা নীতে ভুল করে ফেলে এসেছিল । সেইটি নেওয়ার জন্য যখন পুনরায় পাঁচু নদীতে নামে এবং ঘটিটা নিয়ে ফিরে আশার সময় অমচকা তাকে কুমির এসে নিয়ে যায় । নিয়তির পাকচক্র ঘটিটা উপলক্ষ্য মাত্র আসলে পাঁচুর মৃত্যু হওয়ারই ছিল । তাই গল্পটির মধ্য দিয়ে দেখা যায় , নিয়তি অমোঘ তার কাছে মানুষ অসহায়। তাই আশঙ্কা জেনেও পাঁচুকে দুবারই সাবধানে স্নান করানোর পরেও , ছোট্ট একটি ঘটির উপলক্ষ্যে পাঁচুর শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেই । 

( খ ) ‘ ছেলের সর্বনেশে কথা শুনিয়া নারানী প্রথমটা ভয়ানক চমকাইয়া উঠিলেও একটু ভাবিতেই দুর্ভাবনা কাটিয়া তাহার বুক হালকা হইয়া গেল ” — 

১ । নারানী কে ? তার ছেলের নাম কী ? 

উত্তরঃ নারানী রতি নাপিতের স্ত্রী । তার ছেলের নাম পাঁচু গোপাল । 

২। ছেলের কোন কথাকে ‘ সর্বনেশে ’ কথা বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ পাঁচু একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে , মায়ের সঙ্গে হাত ধরে ক্ষেতের দিকে যেতে যেতে বলেছিল — ‘ মা আজ আমায় কুমীরে নেবে ।’ ছেলের মুখের এই কথাকেই সর্বনেশে কথা হয়েছে । 

৩। কোন ভাবনা নারানীর বুক হালকা করল ? 

উত্তরঃ পাঁচু যখন তার মাকে বলেছিল যে তাকে কুমীরে নেবে , এই কথা শুনে নারানীর বুক ভয়ে কেঁপে উঠেছিল । এরপর নারানীর পাঁচুর কিছু অসংলগ্ন কথা মনে পড়েছিল যেমন একবার পাঁচু তার ঘরের চালে এক পেঁচাকে হাসতে দেখেছিল । আবার একবার একটি কচ্ছপকে তার বাচ্চাসহ উঠানে নৃত্য করতে দেখেছিল । পাঁচুর এই কথাগুলো ভেবে নারানীর বুকটা হালকা হয়েছিল এই ভেবে যে পাঁচু এরকম অসংলগ্ন কথা মাঝে মধ্যেই বলে থাকে । 

৪। ‘ ছেলের সর্বনেশে কথা ’ কীভাবে বাস্তব রূপ নিয়েছিল তা বিবৃত করো । 

উত্তরঃ পাঁচু যখন বলেছিল যে তাকে কুমিরে নেবে , তখন কথাটি কে অগ্রাহ্য করে ভুল প্রমাণিত করার জন্য ও ছেলের মনের ভয় ভাঙ্গানোর জন্য রতি তার ছেলেকে নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যান এবং সুস্থ মত ফিরিয়ে আনেন । কিন্তু দুপুরে পাঁচু যখন কাঁঠাল ভেঙে খায় ও সর্বাঙ্গে কাঁঠালের রস মাখে তখন তাকে ধুয়ে পরিস্কার করার জন্য আবার নদীতে নিয়ে যান । তখনত সাবধান মতোই নদীতে স্নান করিয়ে পাঁচুকে ফিরিয়ে আনবেনই এমন সময় পাঁচু তার খেলার ঘটিটা ভুলে নদীর জলে ফেলে চলে আসে । পুনরায় সেই ঘটিটি নিয়ে ফিরার সময় পাঁচুকে কুমিরে ধরে নিয়ে যায় । এইভাবেই পাঁচুর সর্বনেশে কথা বাস্তব রূপ নেয়। 

( গ ) “ কেবল পাঁচুর মা সে দৃশ্য দেখিল না ’ ” 

১। পাঁচুর মায়ের নাম কী ? 

উত্তরঃ পাঁচুর মায়ের নাম নারানী । 

২। পাঁচুর মা কেন সে দৃশ্য দেখতে পায়নি ? 

উত্তরঃ পাঁচুর মা সেই সময় জ্ঞান হারিয়েছিলেন , তাই সে দৃশ্য দেখতে পায়নি । 

৩। ‘ সে দৃশ্যটি ’ কী , তা বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ সেদিন দুপুর বেলা যখন নারানী ঘুমাচ্ছিল তখন পাঁচু তার সমবয়সী ছেলে মেয়েদের নিয়ে কাঁঠাল চুরি করে ভেঙে খাচ্ছিল । কাঁঠাল খেতে গিয়ে পাঁচুর সারা শরীরে কাঁঠালের রসে মাখামাখি হলে , পাঁচুকে পুনরায় স্নান করানোর জন্য রতি নদীতে নিয়ে যান । স্নান পর্ব নির্বিঘ্নেই সমাপ্ত হয় । বাড়ি ফেরার পথে পাঁচুর মনে হল তার খেলার ঘটিটি সে ফেলে এসেছে । বাবার অনুমতি নিয়ে পাঁচু সেই ঘটিটা নিয়ে পিছন ফিরতেই নদীর জলে থাকা সেই কুমির পাঁচুকে জলের নীচে টেনে নিয়ে যায় । পাঁচুর বাবা চিৎকারে নদীর পারে ভিড় জমে যায় , কিন্তু পাঁচুর দেহ একবার ভেসে উঠে আবার অদৃশ্য হয়ে যায় । পাঁচুর মা এই দৃশ্যটি দেখতে পারেননি । 

( ঘ ) “ রতি আরও শক্ত হইয়া বলিল , না , ওর ভুলতা ভাঙা দরকার । ” — 

১। রতি কে ? 

উত্তরঃ রতি পাঁচুর বাবা , জাতিতে নাপিত । 

২। ‘ ওর ভুলটা ’ — কার ভুলটা ? ‘ ও ’ সত্যিই কি কোনো ভুল করেছিল ? যুক্তি দেখিয়ে উত্তর দাও । 

উত্তরঃ এখানে পাঁচুর ভুলের কথা বলা হয়েছে । ‘ ও ’ বলতে পাঁচুকেই বোঝানো হয়েছে । অর্থাৎ পাঁচু যে কথাটা বলেছিল সেটা বাস্তবে কেউ মেনে নিতে পারেনি , তাই পাঁচুর বলা কথাটিকে ‘ ভুল ’ বলা হয়েছে । 

কারণ— পাঁচু একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মার হাত ধরে ক্ষেতে যেতে যেতে বলেছিল যে তাকে সেদিন কুমিরে নেবে । পাঁচুর বলা কথাটি অযৌক্তিক এবং অবাস্তব হলেও বাস্তবে গিয়ে তাই সত্য হয় । কিন্তু পাঁচু যখন এই অসংলগ্ন অযৌক্তিক কথাটি বলেছিল তখন রতি অর্থাৎ পাঁচুর বাবা কথাটিকে অযৌক্তিক প্রমাণ করার জন্য ও পাঁচুর ভুল ভাঙানোর জন্য তাকে জোর করে নদীতে নিয়ে যান স্নান করানোর জন্য । পাঁচুকে নির্বিঘ্নে স্নান করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনার পর রতি নাপিতের কাছে পাঁচুর কথাটি ভুল বলে প্রমানিত হয় । কিন্তু ঘটনা পরম্পরাই গল্পের পরবর্তী অংশ দেখতে পাওয়া যায় । পাঁচুকে কুমিরে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যায়। 

৩। ‘ ওর ভুলটা’— ভাঙাবার জন্য রতি কি করল ? 

উত্তরঃ ‘ ওর ভুলটা ’ পাঁচুর ভুলাটা ভাঙাবার জন্য রতি পাঁচুর অনিচ্ছা সত্বেও , তাকে এক প্রকার প্রহার করেই নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যান । স্নান করিয়ে ভালোমতোই বাড়িতে পাঠিয়ে দেন । এদিক থেকে রতি পাঁচুর ভুল ভাঙাতে সক্ষম হয়েছিল । 

( ঙ ) প্রসঙ্গ নির্দেশ পূর্বক ব্যাখ্যা করোঃ 

১। এই ক্ষুদ্র ঘটনায় এবং একটু হাসিতে পাইয়া রতির ভয়ে অভিভূত ভাবটা কাটিয়া গেল । ”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি জগদীশ গুপ্তের ‘ দিবসের শেষে ’ ছোট গল্প থেকে গৃহিত হয়েছে । 

এখানে পাঁচুর কথা বলা হয়েছে । পাঁচু একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে জানায় যে , তাকে কুমিরে নেবে । পাঁচু এধরনের অসংলগ্ন কথা এর আগেও অনেকবার বলেছে তাই কথাটিকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হল না । উল্টো পাঁচুর বাবা ছেলের এই অযৌক্তিক ভয় ভাঙানোর জন্য ছেলেকে ধমক দিয়ে নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যায় । নদীতে গিয়েও পাঁচুর ভয় করতে থাকে , তার উপর একটা শুশুককে হুম করে জলের উপরে উঠে আবার তলিয়ে যেতে দেখে পাঁচুর ভয় বেরে যায় । পাঁচু এই জলচর সম্বন্ধে জানতে চাইলে রতি জানায় যে এটা শুশুক । শুশুক বড় বড় রুই , কাতলাও খেতে পারে জলের নীচে গিয়ে । বাবার কথা পাঁচুর মনে প্রশ্ন জাগে জলের নীচে অন্ধকারে ওরা মাছ খুঁজে পায় কেমন করে ? পাঁচু তা ভেবে পায় না , তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে রতির ছেলের মুখের এই সুলভ কথা শুনে হাসি পায় । সকাল থেকে রতির মনে যে ভয়ের ভাবটা ছিল তা পাঁচুর কথায় কেটে যায় ও রতি অনেকটা হালকা হয় । 

২ । সূর্যকে ভক্ষ্য নিবেদন করিয়া লইয়া কুম্ভীর পুনরায় অদৃশ্য হইয়া গেল । ” 

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি জগদীশ গুপ্তের ‘ দিবসের শেষে ’ ছোট গল্প থেকে গৃহিত হয়েছে । 

আলোচ্য অংশে একটি পাঁচ বছরের শিশুর করুণ মৃত্যুর দৃশ্য দেখানো হয়েছে । পাঁচ বছরের পাঁচু প্রায়ই অসংলগ্ন সব কথা বলে , এরকমই এক অযৌক্তিক কথা সেদিন সে ঘুম থেকে উঠে বলেছিল , যে তাকে কুমিরে নেবে । কথাটিকে ভুল প্রমান করে পাঁচুর বাবা রতি তাকে সকালে নদীর থেকে সুস্থ মত স্নান করিয়ে ঘরে নিয়ে আসে । এরপর দুপুর বেলায় পাঁচুর অকর্মন্যতার জন্য পাঁচুকে আবার নদীতে নিয়ে যেতে হয় চুরি করে কঁঠাল ভেঙে খেতে গিয়ে পাঁচুর শরীরের কাঠালের রস মাখামাখি হলে তখনও রতি তাকে নির্বিঘ্নেই স্নান করিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে । কিন্তু পথে এসে পাঁচুর মনে পড়ে তার খেলার ঘটিটি সে নদীতে ফেলে এসেছে তাই সে পুনরায় ঘটি নিয়ে যখন ফিরে আসতে চায় তখনই কুমিরে তাকে টেনে নিয়ে যায় জলের নীচে । পাঁচু অদৃশ্য হয়ে যায় । এরপর তাকে আবার একবার দেখা গেল অপর পারে , সূর্য তখন অস্তাচলে যাবে । সেখানে কুমিরের মুখে পাঁচুর নিথর দেহটি দেখা গেল । লেখকের ভাষায় এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে , কুমির যেন তার ভক্ষ্য বস্তুকে সূর্যকে নিবেদন করেছে । এরপর কুমিরটি ও জলের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। রতি জাতিতে কী ছিল ? 

উত্তরঃ রতি জাতিতে নাপিত ছিল । 

২। রতি নাপিতের বাড়ির উত্তর দিকে কি আছে ? 

উত্তরঃ রতি নাপিতের বাড়ির উত্তর দিকে বেনুবন ও বাঁশ বন আছে । 

৩। রতি নাপিতের বাড়ির দক্ষিণ দিকে কি আছে ? 

উত্তরঃ রতি নাপিতের বাড়ির দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে শস্য ক্ষেত্র আছে । 

৪। রতি স্বভাবে কেমন ? 

উত্তরঃ রতি স্বভাবে রাগী । 

৫। রতির ছেলের নাম কী ? 

উত্তরঃ রতির ছেলের নাম পাঁচু । 

৬। রতির স্ত্রীর নাম কী ?

উত্তরঃ রতির স্ত্রীর নাম নারানী । 

৭। পাঁচুর আগে নারানীর কয়টি পুত্র জন্মেছিল ? 

উত্তরঃ পাঁচুর আগে নারানীর তিনটি পুত্র জন্মেছিল । 

৮। ‘ আয় , নেয়ে আমি ’ – কে , কাকে নিয়ে নেয়ে আসার কথা বলেছিল ? নেয়ে মানে কী ? 

উত্তরঃ রতি নাপিত তার ছেলে পাঁচুকে নিয়ে নেয়ে আসার কথা বলেছে।‘ নেয়ে ’ শব্দের মানে স্নান করা । 

৯। কামদা নদীর দুই তীরের পরিবেশ কেমন ? 

উত্তরঃ কামদা নদীর দুই তীরের পরিবেশ নির্জন , নিস্তব্ধ । 

১০। ‘ রতি তুই বাবুর আশ্রয়ে থেকেও এমন অজ্ঞ ? ’ – কে , কাকে একথা বলেছিল ? 

উত্তরঃ জলধর রাজবংশী একথা রতি নাপিতকে বলেছিল । 

১১। ‘ রতি নাপিতের বাড়িটার অবস্থান ক্ষেত্র বড়ো চমৎকার ’ – অবস্থান ক্ষেত্রটি কেমন উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ রতির বাড়ির পূর্বে নদী কামদা , আর পশ্চিমে রয়েছে বাগান , উত্তরে আছে বেনুবন , দক্ষিণে বিস্তৃত শস্যক্ষেত্র । পাখির ডাকেই রতির ঘুম ভাঙে । 

১২। রতির বাড়ির পশ্চিম দিকের বাগানের মালিক কে ? তার কিসের বাগান ? 

উত্তরঃ রতির বাড়ির পশ্চিম দিকের বাগানের মালিক যাদব দাস । তাঁর আম – কাঠালের বাগান। 

১৩। রতির চরিত্র নিষ্কলঙ্ক নয় কেন ? 

উত্তরঃ রতির একগুয়ে কোপন স্বভাবের । গ্রীষ্মের দিনে রামচন্দ্র পুরের হাটে লোকে রতিকে আম কাঁঠাল বিক্রি করতে দেখেছে । কিন্তু ঐ আম কাঁঠাল কোথা থেকে রতি সংগ্রহ করেছে জিজ্ঞাসা করলে কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না । লোকের ধারণা রতি তার বাড়ির পিছনের যাদবের বাগানের আম – কাঁঠাল চুরি করে হাটে বিক্রি করে । তাই রতিকে নিষ্কালঙ্ক বলা যায় না । 

১৪। ‘ সেইটি হাতে করিয়া অপরাধী পাঁচু চোখের জল ফেলিতে ফেলিতে বাপের আগে আগে নদীর দিকে চলিল ।’— সেইটি বলতে কোন জিনিসটির কথা বলা হয়েছে ? পাঁচুকে অপরাধী বলার কারণ কী ? 

উত্তরঃ সেইটি বলতে পাঁচুর একটি খেলার ঘটের কথা বলা হয়েছে । দুপুর বেলা যখন পাঁচুর মা ঘুমাচ্ছিল তখন পাঁচু তার সমবয়সী কয়েকজন ছেলে মেয়েকে নিয়ে কাঁঠাল চুরি করে খেয়ে , সারা গায়ে কাঁঠালের রস মেখে মাটিতে গড়াগড়ি করে একাকার করেছিল । পাঁচুর এই কাণ্ড কারখানাকে অপরাধ বলা হয়েছে । 

শব্দার্থঃ

আভা :- দীপ্তি।

নিদ্ৰাভিভূত :- ঘুমে বিভোর।

অসংলগ্ন :- অবান্তর।

প্রাঙ্গনে :- উঠানে।

নিষ্পলক :- চোখের পলক না ফেলে।

নিবৃত্তি :- ক্ষান্তি।

দুর্নিরীক্ষ্য :- যা দৃষ্টিগোচর করা কঠিন।

পান্থর :- ফ্যাকাশে।

একগুঁয়ে :- গোঁয়ার।

কোপন স্বভাব :- রাগী স্বভাব।

ইতর ভদ্র :- ছোট লোক।

প্রসব গৃহ :- আঁতুর ঘর।

আধিবৈদিক :- দৈবজাত।

প্রহরণ :- অস্ত্র।

সশঙ্ক :- চিন্তার সঙ্গে।

নরস্বাতিনী :- মানুষ হত্যা করে যে।

দুর্লঙ্ক :- অতিক্রম করা যায় না এমন।

দংষ্ট্রা :- দাঁত।

তৃণস্তূপ :- ঘাসের স্তূপ।

আড়ষ্টজিত্বা :- জিহ্বা স্থির।

স্তম্ভিত :- বিস্ময়।

বিমূঢ় :- অবাক।

নিশ্চল :- স্তব্ধ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top