Class 11 Environmental Studies Chapter 4 প্রাকৃতিক সম্পদ Question Answer | AHSEC Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Class 11 Environmental Studies Chapter 4 প্রাকৃতিক সম্পদ Notes and select needs one.
Class 11 Environmental Studies Chapter 4 প্রাকৃতিক সম্পদ
Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 11 Environmental Studies Chapter 4 প্রাকৃতিক সম্পদ Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 11 Environmental Studies Chapter 4 প্রাকৃতিক সম্পদ Solutions for All Subjects, You can practice these here.
প্রাকৃতিক সম্পদ
Chapter: 4
প্রশ্ন ১। প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কি বুঝ? (What do you mean by natural resources)
উত্তরঃ প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত যে সমস্ত সম্পদ মানব সভ্যতার বিকাশ এবং কল্যাণের জন্য আবশ্যক হয় সেই সমস্ত সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।এই সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে নানাবিধ মূল্যবান সামগ্রী আহরণ করা যায়। ভূমি, জল, বাতাস, খনিজ, কয়লা, অরণ্য, জীব জন্তু ইত্যাদি হল প্রাকৃতিক সম্পদ।
প্রশ্ন ২। প্রাকৃতিক সম্পদ কী কী ধরনের হতে পারে? (What are different types of natural resources)
উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদ দুই ধরনের হতে পারে।
১। নবীকরণযোগ্য সম্পদ (Renewable resources)।
২। নবীকরণ অযোগ্য সম্পদ (Non renewable resources)।
প্রশ্ন ৩। নবীকরণযোগ্য এবং নবীকরণ অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কী? (What are renewable and non renewable natural resources)
উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদ সমুহ দুই ধরনের হয়-
১। নবীকরণযোগ্য সম্পদ: যে সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ অফুরন্ত এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেগুলিকে পুনরায় সৃষ্টি করা যায় সেই সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদকে নবীকরণযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন – সৌরশক্তি, অরণ্য, বনজ সম্পদ ইত্যাদি।
২। নবীকরণ অযোগ্য সম্পদ: যে সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতিতে সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায় এবং মানুষের দ্বারা দ্রুত ব্যবহৃত হওয়ার পর যাদের আর পুনরায় সৃষ্টি করা যায় না সেই সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদকে নবীকরণ অযোগ্য সম্পদ বলে। যেমন – কয়লা, পেট্রোলিয়াম, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪। সবুজ গাছের পরিবেশগত প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর। (Mention the environmental need of green plants)
উত্তরঃ সবুজ গাছপালা আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী যোগান দেওয়া ছাড়াও পরিবেশগত ভাবেও আমাদের সাহায্য করে। সবুজ গাছপালা আমাদের কাঠ, জ্বালানি, খাদ্য বস্তু, জীব জন্তুর খাদ্য, ঔষধ ইত্যাদি বহু বাণিজ্যিক সামগ্রী যোগান দেয়। বনাঞ্চল সমুহ আমাদের পরিবেশগতভাবে নানান ধরনের সাহায্য এবং উপকার করে থাকে। এরমধ্যে কয়েকটি হল –
১। পৃথিবীতে থাকা জীব সমূহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্যাস সালোক সংশ্লেষনের মাধ্যেমে সবুজ গাছপালা সৃষ্টি করে থাকে।
২। সালোক সংশ্লেষন সময় সবুজ গাছ বায়ু মণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষন করে নেয় এবং গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির সমস্যা হ্রাস করে।
৩। বনাঞ্চল কীট পতঙ্গ থেকে শুরু করে প্রকাণ্ড বন্য প্রাণী পর্যন্ত হাজার হাজার ধরনের জীবকে আশ্রয় দেয়।
৪। বনাঞ্চল ভূমিক্ষয় হ্রাস করে।
৫। বনাঞ্চল স্থানীয় জল বায়ুর অবস্থা এবং জল চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। এবং
৬। কিছু উদ্ভিদ বহু বিষাক্ত গ্যাস শোষন করে এবং প্রদুষণের সূচক হিসাবে কাজ করে।
প্রশ্ন ৫। আসামের জাতীয় উদ্যান সমূহের নাম লিখ। (Write down the name of national parks of Assam)
উত্তরঃ বর্তমানে আসামে মোট পাঁচটি জাতীয় উদ্যান আছে। সেগুলি হল –
১। কাজীরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান।
২। মানস জাতীয় উদ্যান।
৩। ওরাং জাতীয় উদ্যান।
৪। নামেরি জাতীয় উদ্যান। এবং
৫। ডিব্রু সৌখোয়া জাতীয় উদ্যান।
প্রশ্ন ৬। আসামের পাঁচটি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের নাম লিখ। (Write the name of five wildlife sanctuaries of Assam)
উত্তরঃ আসামের পাঁচটি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের নাম হল –
১। গরম পানী বন্যপ্রাণী অভযারণ্য।
২। পানিডিহিং বন্যপ্রাণী অভযারণ্য।
৩। পরিতোরা বন্যপ্রাণী অভযারণ্য।
৪। নামেরী বন্যপ্রাণী অভযারণ্য।
৫। বরনদী বন্যপ্রাণী অভযারণ্য।
প্রশ্ন ৭। মনিপুরের বৃহৎ আর্দ্রভূমিটির নাম লিখ। (Write the name of great wetland of Manipur)
উত্তরঃ মণিপুরের বৃহৎ আর্দ্রভূমিটির নাম লোকতাহ্রদ।
প্রশ্ন ৮। ভূমি সম্পদ রক্ষার দুটি পরম্পরাগত পদ্ধতির নাম লিখ। (Mention about tow traditional measures for conservation of land resources)
উত্তরঃ ভূমি সম্পদ রক্ষার দুটি পরম্পরাগত পদ্ধতির নাম হল –
১। পাহাড়ি বা ঢালু স্থানে বৃক্ষ রোপন করে ভূমির অবক্ষয় হ্রাস করা যায়।
২। পরম্পরাগত শস্যের চাষের সাহায্যে কোন স্থানের ভূমিক্ষয় রোধ করা যায়।
প্রশ্ন ৯। উত্তর – পূর্ব ভারতের খনিজ সম্পদ সমূহের বিষয়ে লিখ। (Write about the mineral resources of North Easter India)
উত্তরঃ ভারতের উত্তর – পূর্ব অঞ্চলটি হল বিভিন্ন খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার। মেঘালয় ইউরেনিয়াম, কয়লা এবং চুনাপাথরের জন্য বিখ্যাত। খনিজ সম্পদের জন্য অসম বহুলভাবে পরিচিত রাজ্য। প্রধানত পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং চুনাপাথর আহরণ করা হয়। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আয়োগ রাজ্যের সবচেয়ে লাভ জনক সরকারি প্রতিষ্ঠান । সেলিমেনাইট, বেসমেটাল, কেরিল, নির্মাণ সামগ্রী, অ্যাস বেস্টেস, ফায়ার ক্লে, কেয়োলিন, ফুলার্স আর্থ, মাইকা, কোয়ার্টাজ, ডলমাইট ইত্যাদি বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য আসামে পাওয়া যায়। আসামের সুবনশিরি নদী থেকে উনিশ শতকের আগে থেকেই সোনা আহরণ করা হচ্ছে।
প্রশ্ন ১০। জল সংরক্ষনের কয়েকটি ব্যবস্থার বিষয়ে উল্লেখ কর। (Mention few methods of water conservation)
উত্তরঃ জল সংরক্ষনের কয়েকটি প্রচলিত পদ্ধতি হল –
১। বৃষ্টির জল সংরক্ষন।
২। জল বলে যাওয়া প্রতিরোধ করা।
৩। জল শুকিয়ে যেতে বাধাদান।
৪। জলের পূর্ন ব্যবহার।
৫। জলের অপচয়ে বাধাদান।
৬। জল প্রদুষণ নিয়ন্ত্রণ।
৭। কঠোর আইন বলবৎ করা। এবং
৮। সচেনতা কর্মসূচী গ্রহণ।
প্রশ্ন ১১। জল সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা ও উপায়গুলোর বিষয়ে লেখো।
উত্তরঃ জল ছাড়া পৃথিবীতে জীবন অসম্ভব। তাই জলকে বলা হয়। আমাদের পৃথিবীর সমস্ত জলের মধ্যে শুধু মাত্র ৩ শতাংশ মানুষের দ্বারা ব্যবহার যোগ্য এবং এই জলের বেশীর ভাগ অংশ বরফ হিসাবে মেরু অঞ্চলে জমা হয়ে আছে। ফলে ব্যবহার যোগ্য জলের অতি সামান্য অংশ আমরা ব্যাবহারের জন্য পাই। সেজন্য আমাদের বেচে থাকার জন্য জল সংরক্ষন একান্ত আবশ্যক।
জল সংরক্ষনের উপায়গুলো হল –
১। বৃষ্টির জল সংরক্ষন।
২। জল বলে যাওয়া প্রতিরোধ করা।
৩। জল শুকিয়ে যেতে বাধাদান।
৪। জলের পূর্ন ব্যবহার।
৫। জলের অপচয়ে বাধাদান।
৬। জল প্রদুষণ নিয়ন্ত্রণ।
৭। কঠোর আইন বলবৎ করা। এবং
৮। সচেনতা কর্মসূচী গ্রহণ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
(ক) উত্তর দাও –
প্রশ্ন ১। প্রাকৃতিক সম্পদ কয় ধরনের হয়?
উত্তরঃ দুই ধরনের।
প্রশ্ন ২। একটি নবীকরনযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বায়ু।
প্রশ্ন ৩। একটি অনবীকরনযোগ্য বা অনবীকরনযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ কয়লা।
প্রশ্ন ৪। পৃথিবীর মোট ভূ – ভাগের কত অংশ বনভূমি?
উত্তরঃ এক – তৃতীয়াংশ।
প্রশ্ন ৫। ভারতের মোট বনভূমির কত শতাংশ উত্তর পূর্বাঞ্চলে আছে?
উত্তরঃ ৬৪ শতাংশ।
প্রশ্ন ৬। উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোন রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ সর্বাধিক?
উত্তরঃ মিজোরাম।
প্রশ্ন ৭। আসামে মোট বনভূমির পরিমাণ কত?
উত্তরঃ ২৭,৮২৬ বর্গমিটার।
প্রশ্ন ৮। পৃথিবীর মোট জলের কত শতাংশ লোনা জল?
উত্তরঃ ৯৭ শতাংশ।
প্রশ্ন ৯। ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হওয়া স্থানটির নাম কি?
উত্তরঃ মেঘালয়ের মৌসিনরাম।
প্রশ্ন ১০। ভারতের সর্ব বৃহৎ পরিষ্কার জলের উৎসবটির নাম কি?
উত্তরঃ লোকতাক হ্রদ।
প্রশ্ন ১১। উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোন রাজ্যে ইউরেনিয়ামের জন্য বিখ্যাত?
উত্তরঃ মেঘালয়।
প্রশ্ন ১২। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার কতটি অর্দ্রভূমি আছে?
উত্তরঃ ৩৫০০ টি।
প্রশ্ন ১৩। সিকিমে কতটি প্রাকৃতিক হ্রদ আছে?
উত্তরঃ ১০ টি।
প্রশ্ন ১৪। আসামের প্রধান খনিজ সম্পদটি কি?
উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম (অপরিশোধিত তেল)।
প্রশ্ন ১৫। আসামের কোন নদী থেকে সোনা আহরণ করা হয়?
উত্তরঃ সুবনশিরি।
প্রশ্ন ১৬। ONGC এর সম্পূর্ণ নাম কি?
উত্তরঃ Oil and Natural gas corporation.
প্রশ্ন ১৭। হিমেটাইট কোন ধরনের খনিজ পদার্থ?
উত্তরঃ ধাতব খনিজ পদার্থ।
(খ) সত্য অথবা মিথ্যা লিখ।
প্রশ্ন ১। পেট্রোলিয়াম এক ধরনের নবীকরনযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ২। কয়লা হল জীবাশ্ম ইন্ধনের উদাহরণ।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৩। বায়ু শক্তি এক ধরনের নবীকরনঅযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ৪। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে আসামে সবচেয়ে বেশি বনভূমি আছে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ৫। ২.৫ সেন্টিমিটার মাটি তৈরি হতে প্রায় ২০০ – ১০০০ বৎসর সময় প্রয়োজন হয়।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৬। কোয়ার্টাজ এক প্রকার ধাতব খনিজ পদার্থ।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ৭। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে মেঘালয় ইউরেনিয়ামের জন্য বিখ্যাত।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৮। মাটির নীচে অত্যধিক জল জমা হওয়া ভূমিক্ষয়ের একটি কারণ হতে পারে।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৯। বনাঞ্চল ভূমির ক্ষয় হ্রাস করে।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ১০। ইউরেনিয়াম এক প্রকার শক্তি উৎপাদনকারী খনিজ দ্রব্য।
উত্তরঃ সত্য।
(গ) শূন্যস্থান পূর্ণ কর –
প্রশ্ন ১। সৌরশক্তি এক প্রকারের __________ সম্পদ।
উত্তরঃ নবীকরণযোগ্য।
প্রশ্ন ২। সালোক সংশ্লেষণের সময় সবুজ গাছ বায়ু মণ্ডল থেকে ___________ গ্যাস শোষন করে।
উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।
প্রশ্ন ৩। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মোট ভৌগোলিক এলাকার __________ শতাংশ বনভূমিতে আচ্ছাদিত।
উত্তরঃ ৬৫.১৭ শতাংশ।
প্রশ্ন ৪। ভারতের বৃহত্তম পরিষ্কার জলের উৎস হল ___________।
উত্তরঃ লোকতাক হ্রদ।
প্রশ্ন ৫। গেলেনা হল এক প্রকার ___________ পদার্থ।
উত্তরঃ ধাতব খনিজ পদার্থ।
প্রশ্ন ৬। কয়লা, পেট্রোলিয়াম হল ______ ইন্ধন।
উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধন।
প্রশ্ন ৭। পৃথিবীর সব শক্তির মূল উৎস হল ____________।
উত্তরঃ সূর্য।
প্রশ্ন ৮। উত্তর – পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে ___________ এ ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ সর্বাধিক।
উত্তরঃ আসাম।
প্রশ্ন ৯। পৃথিবীতে মোট জলের ___________ শতাংশ পরিষ্কার জল।
উত্তরঃ ৩ (তিন)।
প্রশ্ন ১০। গ্রাফাইট এক প্রকার ___________ খনিজ পদার্থ।
উত্তরঃ আধাতব।
প্রশ্ন ১১। ইউরেনিয়াম একটি __________ শক্তির উৎস।
উত্তরঃ আনবিক ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। যে কোন তিন রকমের নবীকরণ যোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ তিন রকমের নবীকরণ যোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ হল –
১। জল।
২। বায়ু। এবং
৩। সৌশক্তি।
প্রশ্ন ২। যে কোন তিন ধরনের নবীকরণ অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ তিন ধরনের নবীকরণ অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ হল –
১। কয়লা।
২। পেট্রোলিয়াম। এবং
৩। প্রাকৃতিক।
প্রশ্ন ৩। বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক সম্পদ হল –
১। বনজ সম্পদ।
২। জল সম্পদ।
৩। ভূমি সম্পদ।
৪। খনিজ সম্পদ।
৫। খাদ্য সম্পদ। এবং
৬। শক্তি সম্পদ।
প্রশ্ন ৪। প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষন প্রয়োজন কেন?
উত্তরঃ এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা প্রাণীকূল সম্পূর্ন ভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির
ফলে এবং মানুষের অত্যাধিক লোভের ফলে পৃথিবীতে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার দিনে দিনে কমতে শুরু করেছে। মানব সভ্যতার বিকাশ এবং কল্যাণ এই সম্পদসমূহের সংরক্ষন উপর বহুলাংক নির্ভরশীল। মানব সভ্যতার বিকাশ এবং উন্নয়নের জন্য তাই এই সম্পদ সমুহের সংরক্ষন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রাকৃতিক সম্পদসমূহের উপযুক্ত সংরক্ষন না হলে অদুর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব দেখা দিতে পারে যা মানব সভ্যতার ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
প্রশ্ন ৫। বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল উত্তর পূর্বাঞ্চলের দুইটি উদ্যোগের নাম লিখ।
উত্তরঃ প্লাইউড এবং কাগজকল।
প্রশ্ন ৬। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বনাঞ্চল ধ্বংসের দুইটি কারণ লিখ।
উত্তরঃ উত্তর পূর্বাঞ্চলের বনাঞ্চল ধ্বংসের দুইটি কারণ হল –
১। কাঠের ব্যবসা।
২। বনাঞ্চল এলাকাকে কৃষির জমিতে পরিণত করা।
প্রশ্ন ৭। জল সংরক্ষনের দুটি উপায় লিখ।
উত্তরঃ জল নিন্মলিখিত উপায় দুটি দ্বারা সংরক্ষন করা যায়।
১। বৃষ্টির জল সংরক্ষন। এবং
২। জলের পূর্নব্যবহার।
প্রশ্ন ৮। খনিজ দ্রব্য সমুহ কত প্রকারের ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ খনিজ দ্রব্য সমুহ তিন প্রকারের হতে পারে।
১। ধাতব খনিজ পদার্থ। যেমন – বক্সাইট, কপার পাইরাইটিস, হিমেটাইত ইত্যাদি।
২। অধাতব খনিজ পদার্থ। যেমন – গ্রাফাইট, হীরা, কোয়ার্টাজ ইত্যাদি।
৩। শক্তি উৎপাদনকারী খনিজ পদার্থ। যেমন – কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৯। ভারতের প্রধান কয়েকটি খনিজ দ্রব্যের নাম লিখ।
উত্তরঃ ভারতের প্রধান কয়েকটি খনিজ দ্রব্য হল – আকরিক লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, ক্রমাইট, টাইটেনিয়াম,ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১০। ভূমিক্ষয়ের দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ভূমিক্ষয়ের দুটি প্রধান কারণ হল –
১। বনধ্বংস। এবং
২। অত্যাধিক বৃষ্টিপাত।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লিখ এবং সেইগুলি সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ হল –
১। বনজ সম্পদ।
২। জল সম্পদ।
৩। ভূমি সম্পদ।
৪। খনিজ সম্পদ।
৫। খাদ্য সম্পদ। এবং
৬। শক্তি সম্পদ।
১। বনজ সম্পদ: সবুজ বনাঞ্চল আমাদের সকল ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যোগান দেওয়া ছাড়াও পরিবেশগত দিক থেকে আমাদের সাহায্য করে। গাছ থেকে আমরা কাঠ, জ্বালানি, খাদ্যবস্তু খাদ্য,ঔষধ ইত্যাদি সামগ্রী পাই।
২। জল সম্পদ: আমাদের পৃথিবীর ৭৫ শতাংশই জল তার মধ্যে ৯৭ শতাংশ লোনা এবং ৩ শতাংশ পরিষ্কার জল। পরিষ্কার জলের সর্বাধিক অংশ রয়েছে মেরু অঞ্চলের মধ্যে এবং মাত্র ০.০০৩ শতাংশ জল ভূ গর্ভ এবং ভূ – পৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা জল হিসাবে আমরা পাই।
৩। ভূমি সম্পদ: জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন খাদ্য, বস্ত্র এবং জ্বালানির জন্য ভূমির উপর নির্ভর করতে হয় যা এক প্রকারের সীমিত এবং মূল্যবান সম্পদ।
৪। খনিজ সম্পদ: খনিজ দ্রব্য সমুহ হচ্ছে নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপাদান এবং লক্ষনীয় ভৌতিক গুণাগুণ তথা প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া অজৈব স্ফটিক গোটা পদার্থ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব সময় ব্যবহার করা খনিজ পদার্থসমুহ হল লোহা, কয়লা,জিংক ইত্যাদি।
৫। খাদ্য সম্পদ: প্ৰকৃতিতে উৎপন্ন খাদ্যের উপর প্রাণীকূল সম্পূর্ন রূপে নির্ভরশীল। কৃষিক্ষেত্র এবং প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে খাদ্য সম্পদ পাওয়া যায়।
৬। শক্তি সম্পদ: প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে যে সমস্ত সম্পদ থেকে শক্তি আহরিত হয় তাদেরকে শক্তি সম্পদ বলে। যেমন – সৌরশক্তি, কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২। উত্তর – পূর্বাঞ্চলের বনজ সম্পদ সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভারতের উত্তর – পূর্বাঞ্চল বনজ সম্পদ সমৃদ্ধ। দেশের মোট বনভূমির ৬৪ শতাংশ আছে এই অঞ্চলে। উত্তর – পূর্বাঞ্চলে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশী মিজোরামে (৭৫.৫৯ শতাংশ) এবং আসামে সবচেয়ে কম (৩৯.১৫শতাংশ)। উত্তর – পূর্বাঞ্চলের মূল্যবান গাচসমুহ হল শাল, সেগুন, শিমুল, গামারি, সরল, বাঁশ, বেত এবং মূল্যবান ঔষধি উদ্ভিদ। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বনজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে প্লাইউড কারখানা,কাগজ কল, কাঠেরমিল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বনজ সম্পদ ভিতিক উদ্যোগ গড়ে উঠেছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে আসাম মূল্যবান বনজ সম্পদ এবং দু প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জন্য বিখ্যাত।
প্রশ্ন ৩। উত্তর – পূর্বের বনাঞ্চল ধ্বংসের প্রধান কারণ সমুহ কী কী?
উত্তরঃ উত্তর – পূর্বাঞ্চলের বনাঞ্চল ধ্বংসের প্রধান কারণ সমুহ হল –
১। কাঠের উদ্যোগ।
২। বনাঞ্চল এলাকাকে কৃষিভূমিতে রূপান্তর।
৩। সড়ক, সেতু, উদ্যোগ ইত্যাদির পরিকাঠামো নির্মাণের কার্যকলাপ।
৪। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর দ্বারা বেদখল।
৫। বনজ সম্পদের অবৈধ আহরণ। এবং
৬। বন্যাঞ্চলে বন্য জীব জন্তুর চোরাশিকার।
প্রশ্ন ৪। উত্তর – পূর্বাঞ্চলের জল সম্পদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ উত্তর – পূর্বাঞ্চলের গড় হিসাবে বার্ষিক পৃষ্ঠভূমি তথা পরিষ্কার জলের সম্ভাবনা ৫৮৫.৮ ঘন কিলোমিটার বলে নির্ধারিত করা হয়েছে, যা ভারতের সমস্ত নদী তন্ত্রের মধ্যে সর্বাধিক এবং বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম। তার মধ্যে ২৪.০ ঘন কিমি ব্যবহার যোগ্য এবং ৪.১ শতাংশ বার্ষিক সম্ভাবনা থাকা মুক্ত জল।
শুধু সমতল ভূমিতেই ভূ – গর্ভের জলের পরিমাণ বেশি। কম গভীর এবং গভীরতায় থাকা জল জলসেচ এবং শিপ্লো উদ্যোগের জন্য উপযোগী।
উত্তর – পূর্বাঞ্চলের রাজ্যেসমূহের মধ্যে আসামে ভূ – গর্ভের জলের পরিমাণ বেশি। যদিও এর মাত্রা ১২.৮৩ শতাংশ বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। মণিপুরের ভূ – গর্ভের জলের মোট পরিমাণ ৩,১৫৩.৫৭ নিযুত ঘনমিটার এবং এর মধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ২৬৮০.৬১ নিযুত ঘনমিটার।
ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তর – পূর্ব ভারতের বহমান নদীগুলোর উৎস হচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহ। এই নদীসমূহ এবং তাদের কয়েকশ উপনদী হচ্ছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিষ্কার জলের উৎস। উত্তর – পূর্ব ভারতে বৃহৎ পরিমাণের আর্দ্র ভূমি রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ৫২,৯৫৯ হেক্টর এলাকা গ্রাস করে রেখেছে। এই অঞ্চলে ভারতের একটি বৃহত্তম পরিষ্কার জলের উৎস লোকতাক হ্রদ (৬,৪৭৫ হেক্টর) রয়েছে।
প্রশ্ন ৫। ভূমিক্ষয় হওয়ার কারণ সমুহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ভূমিক্ষয়ের কারণসমুহ নিন্মরূপ হতে পারে।
১। ভূ – পৃষ্ঠের ক্ষয়: মাটির উপরের পৃষ্ঠ, অতিশয় বৃষ্টিপাত , জল প্রবাহ , প্রবল জোরে প্রবাহিত বাতাস ইত্যাদির ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
২। জল জমা হওয়া: মাটির নীচে অত্যাধিক জল জমা হওয়ার ফলে মাটির ক্ষয় হয়।
৩। মাটি লবণাক্ত হওয়া: মাটিতে অত্যাধিক পরিমাণে সেডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম জাতীয় লবণ জমা হয়ে মাটির ক্ষয় সাধন করে।
৪। বনাঞ্চল ধ্বংস: অত্যাধিক পরিমাণে তৃণ এবং বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে উর্বর মাটি নিরাবরণ হয়ে পড়ে এবং ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।
৫। রাসায়নিকের প্রভাব: কঠিন মৌল (ধাতু), কীটনাশক দ্রব্য, রাসায়নিক সার ইত্যাদি এবং ঔদ্যোগিক বর্জিত পদার্থের মাটিতে মিশে যাওয়ার ফলে মাটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
প্রশ্ন ৬। ভূমি সম্পদ সংরক্ষনের উপায়গুলি উল্লেখ কর।
উত্তরঃ নিন্মলিখিত উপায়গুলি দ্বারা ভূমিক্ষয় হ্রাস করা যায়।
১। পাহাড়ি বা ঢালু স্থানে বৃক্ষ রোপণ করে ভূমির অবক্ষয় হ্রাস করা যায়।
২। কীটনাশক দ্রব্য এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
৩। ঔদ্যোগিক বর্জিত পদর্থসমুহ যথার্থ ভাবে ফেলার ব্যবস্থা করা।
৪। একেকটি অঞ্চলে পরম্পরাগত শস্যের চাষে উৎসাহ প্রদান। এবং
৫। সমতল বা ঢালু স্থানে তৃণ রোপণ করে ভূমিক্ষয় হ্রাস করা যায়।