Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া

Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া and select needs one.

Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া for All Subject, You can practice these here..

জীবন প্রক্রিয়া

               Chapter – 6

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। মানুষের মতাে বহুকোষী প্রাণীর শরীরে সরল ব্যাপন প্রক্রিয়ার দ্বারা অক্সিজেনের প্রবেশ অপর্যাপ্ত হয় কেন ? প্রক্রিয়ার দ্বারা আহরণ করা পর্যাপ্ত নয় কেন ?

উত্তরঃ আমাদের মতাে বহুকোষী প্রাণীদের সমস্ত দেহকোষ পরিবেশের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। সুতরাং দেহের প্রতিটি কোষ প্রয়ােজনমত অক্সিজেন পায় না পরিবেশের পরিব্যপ্তির মাধ্যমে। সুতরাং জটিল বহুকোষী প্রাণীদের বিশেষ পেশী, অঙ্গ এবং অঙ্গতন্ত্র দ্বারা অক্সিজেন গ্রহণ করা প্রয়ােজন।

২। কোনাে বস্তু জীবিত কি না বােঝার জন্য কি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে ?

উত্তরঃ কোনাে কিছু সজীব কি না তা জানার জন্য দৃশ্যমান চলন বা গমনের উপর অথবা অদৃশ্য চলন বা গমনের উপর নির্ভর করতে হয়।

৩। কোনও জীবদেহে প্রয়ােজনীয় কি কি উপাদান বাইরের পরিবেশ থেকে প্রয়ােজন হয় ?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Join Now

উত্তরঃ কোনাে প্রাণী বা জীবের বাহির হতে সংগ্রহ করা প্রধান দ্রব্যগুলি হল-

(i) খাদ্য ও যা শক্তির সৃষ্টি করে খনিজ, ভিটামিন ইত্যাদির দ্বারা ফলে পেশী এবং কোষগুলি কার্যক্ষম থাকে।

(ii) জল ও শরীরের ভিতরের বিক্রিয়াগুলিকে সচল রাখে।

(iii) অক্সিজেন ও শ্বাসগ্রহণের জন্য প্রয়ােজন।

৪। জীবন ধারণ করার জন্য কোন কোন প্রক্রিয়ার প্রয়ােজন আছে বলে মনে কর ?

উত্তরঃ জীবন প্রক্রিয়া চলার জন্য প্রয়ােজন হল-

(i) পুষ্টি।

(ii) শ্বসন।

(iii) পরিবহন।

(iv) রেচন।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। স্বপােষিত এবং পরপােষিত পুষ্টির মধ্যে কি পার্থক্য আছে ?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় জীবেরা নিজেদের দেহে খাদ্য সংশ্লেষণ করে পুষ্টি সম্পন্ন করে, তাকে স্বভােজী পুষ্টি বলে, যেমন- সবুজ উদ্ভিদ, ইউপ্পিনা, ক্রাইমামিবা ইত্যাদির পুষ্টি।

অপরপক্ষে, যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বভােজী জীবদের তৈরি খাদ্য গ্রহণ করে অথবা অন্য কোনও মৃত জৈব বস্তু থেকে খাদ্যরস শােষণ করে বা অপর কোনও আশ্রয়দাতার দেহ থেকে সরল খাদ্যরস শােষণ করে পুষ্ট হয়, তাকে পরভােজী পুষ্টি বলে। যেমন- ছত্রাক, স্বর্ণলতা ইত্যাদির পুষ্টি।

২। সালােক সংশ্লেষণের জন্য প্রয়ােজনীয় কাঁচা সামগ্রী উদ্ভিদ কোথায় পায় ?

উত্তরঃ সালােক সংশ্লেষণের জন্য উদ্ভিদের প্রয়ােজন-

(i) কার্বন ডাই-অক্সাইড- ইহা উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে পাতার ষ্টোমা দ্বারা গ্রহণ করে।

(ii) জল-ইহা উদ্ভিদের মূল দ্বারা গৃহীত হয় এবং পাতায় পরিবাহিত হয়।

(iii) সূর্যালোেক-ইহা গাছ সূর্য হতে পায়।

(iv) পত্রহরিৎ-সবুজ পাতার ক্লোরপ্লাষ্টে থাকে।

৩। আমাদের পাকস্থলীতে এসিডের কি কাজ ?

উত্তরঃ পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক গ্রেন্ড দ্বারা নিঃশেষিত হওয়া হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ভূমিকা হল-

(i) আম্লিক মাধ্যম সৃষ্টির জন্য পেপসিন্ এনজাইমের সক্রিয়তা প্রয়ােজন।

(ii) খাদ্যে যে জীবাণু থাকে তাদের ধ্বংস করা।

৪। পাচক উৎসচকের কাজ কি ?

উত্তরঃ খাবার পাকস্থলীতে এসে পৌছিলে ওর সঙ্গে পাচক রস বা গ্যাসট্রিক রস মিশে যায়। পাচক রসে থাকা লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) খাদ্যবস্তুকে অম্লধর্মী করে তােলে।পাচক রসে প্রােটিন ভঙ্গক উৎসেচক পেপসিন এবং ফ্যাট ভঙ্গক উৎসেচক লাইপেজ থাকে। পেপসিন প্রােটিনকে পেপটোনে পরিণত করে এবং লাইপেজ ফ্যাটকে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে।

৫। ক্ষুদ্রান্ত্র পাচিত খাদ্য শােষণ করার জন্য কিভাবে তৈরি ?

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রে পরিপাক ও ক্ষুদ্রান্ত্রে খাবার এসে পৌছিলে খাবারের সঙ্গে পিত্তরস, অম্লাশয় রস এবং আন্ত্রিকরস মিশ্রিত হয়। পিত্তরসে খাবার পরিপাককারী কোনও উৎসেচক থাকে না তাই খাবার পরিপাকে পিত্তের বিশেষ কোনাে ভূমিকা নাই! তবে পিত্ত লবণ ফ্যাট জাতীয় খাবারকে অবদ্রবে পরিণত করে পরিপাকে সাহায্য করে।

অগ্নাশয় রসে এমাইলেজ, মলটেজ, ট্রিপসিন এবং লাইপেজ থাকে। আবার আন্ত্রিক রসে এমাইলেজ, মলটেজ, সুক্রেজ, লেটেজ, ইরেপসিন এবং লাইপেজ উৎসেচক থাকে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। শ্বসনের জন্য অক্সিজেন পাওয়ার ব্যাপারে জলজ প্রাণীর থেকে স্থলচর প্রাণীর সুবিধা অনেক বেশি কেন ?

উত্তরঃ জলে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকা অক্সিজেন হতে জলজ প্রাণীরা অক্সিজেন গ্রহণ করে। যেহেতু দ্রবীভূত অবস্থায় থাকা অক্সিজেনের মাত্রা কম সেইজন্য জলজ প্রাণী বা উদ্ভিদের শ্বসনের মাত্রা বেশি হয়।

২। বিভিন্ন জীবের দেহে শক্তি পাওয়ার জন্য কি কি উপায়ে গ্লুকোজ বিজারিত হয় ?

উত্তরঃ গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়াটি সাইটোপ্লাজমে ঘটে। এই পর্যায়ে গ্লুকোজ কয়েক রকমের উৎসেচকের প্রভাবে আংশিক জারিত হয়ে পাইরুভিক এসিড উৎপন্ন করে। এই ক্ষেত্রে পাইরুভিক এসিডের সবাত জারণ ঘটে। ফলে পাইভিক এসিড সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে শক্তির মুক্তি ঘটায় এবং CO₂ এবং জল উৎপন্ন করে।

C₆H₁₂O₆ + 6O₂ – 6CO₂ + 6H₂O + 6>4 কেলরীগণ।

আবার জীবকোষে মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সবাত শ্বসন হয়। এখানে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে সরলতম অংশে অর্থাৎ জল (H₂O) এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড বিশ্লিষ্ট হয়ে শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয়।

আবার অবায়ুজীবী জীবকোষে মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন বস্তু আংশিক রূপে জারিত হয়ে শ্বসনবস্তু মধ্যস্থ শক্তির আংশিক মুক্তি ঘটে যা অবাত শ্বসন।

৩। মানবদেহে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড কি কি ভাবে পরিবাহিত হয় ?

উত্তরঃ পরিবহণতন্ত্রের দ্বারা প্রাণীদেহের কোষসমূহে খাদ্য এবং অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ করা হয় এবং কোষীয় শ্বসনে উৎপন্ন হওয়া CO₂ র সঙ্গে বিপাকীয় কার্যে উৎপন্ন হওয়া অন্যান্য অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যসমূহ সংগ্রহ করে উৎপন্ন হওয়া স্থান থেকে কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে বহন করে নেওয়া হয়।

অর্থাৎ পরিবহণতন্ত্রের প্রধান কার্য হল একদিকে দেহকোষগুলিকে খাদ্য এবং অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ করা এবং অন্যদিকে তার বিনিময়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস এবং বিপাকীয় কার্যে উদ্ভব হওয়া অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যসমূহের উৎপত্তি স্থল থেকে নিষ্কাষণ অঙ্গসমূহে প্রেরণ করা।

৪। মানবদেহের গ্যাসের বিনিময়ের প্রয়ােজনীয় স্থান বাড়ানাের জন্য ফুসফুস কিভাবে গঠিত ?

উত্তরঃ মানুষের শ্বাসকার্য প্রক্রিয়াটি প্রশ্বাস বা শ্বাসগ্রহণ এবং নিঃশ্বাস বা শ্বাস ত্যাগের পর্যায়ে সম্পন্ন হয়।

প্রশ্বাস- 

(i) এই পর্যায়ে প্রথমে শ্বাসপেশীগুলির সংকোচন হয়।

(ii) মধ্যচ্ছদা সংকুচিত হলে নীচের দিকে নেমে যায়, ফলে বক্ষ-গহুর দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়।

(ii) পিঞ্জর মধ্যস্থ পেশীগুলি সংকুচিত হলে বক্ষপিঞ্জরগুলাে বাইরের দিকে এবং ওপরের দিকে উত্তোলিত হয়, ফলে বক্ষগহুর প্রস্থে বৃদ্ধি পায়।

(vi) বক্ষ গহুর দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অন্তঃপুরা অঞ্চলের চাপ কমে যায়। কিন্তু এই সময় ফুসফুস মধ্যস্থ চাপ বেশি থাকায় ফুসফুস দুটি প্রসারিত হয়। ফলে ফুসফুসের বায়ুর চাপ কমে যায় এবং বায়ুমণ্ডলের O₂ ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের বায়ুথলিগুলাে বায়ু দ্বারা পূর্ণ হয়।

নিঃশ্বাস- 

শ্বাসগ্রহণেরপর সমস্ত শ্বাস-পেশীগুলাে শিথিল হয়; ফলে মধ্যচ্ছদা পুনরায় উপরের দিকে উঠে এবং বক্ষপিঞ্জরগুলি আগের অবস্থায় ফিরে আসে। তাছাড়া সমস্ত বক্ষ গহ্বরের প্রাচীর প্রসারিত ফুসফুসের উপর চাপ দেয় ফলে ফুসফুসের CO₂ উল্টোপথে নামা ধর্মের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। মানবদেহে পরিবহণতন্ত্রের প্রয়ােজনীয় অঙ্গ কী কী ? এইসব অঙ্গের কাজ কি ?

উত্তরঃ মানুষের রক্ত সংবহনতন্ত্রের প্রধান উপাদানগুলি হল- হৃৎপিণ্ড, ধমনী, শিরা এবং রক্তজালক।

(i) হৃৎপিণ্ড- এইটি সংবহন তন্ত্রের অন্তর্গত একটি পাম্প বিশেষ। হৃৎপিণ্ড অনবরত ছদবদ্ধ গতিতে স্পন্দিত হয়ে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন করে।

(ii) ধমনী- যে রক্তবাহের মধ্যে দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে তাদের ধমনী বলে। ধমনীর প্রাচীর বেশ পুরু হয় এবং ধমনীর মধ্যে স্পন্দন অনুভূত হয়।

(iii) শিরা- যে রক্তবাহের মধ্যে দিয়ে রক্ত সারা দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তাদের শিরা বলে। শিরার প্রাচীর পাতলা। শিরায় স্পন থাকে না। শিরার মধ্যে কপাটিকা থাকে।

(iv) রক্ত জালক- ধমনী ও শিরার সংযােগবাহকে জালক বা ক্যাপিলারি বলে। জালকের প্রাচীর খুব পাতলা হওয়ায় সহজেই ব্যাপন প্রক্রিয়ায় জালক মধ্যস্থ রক্ত এবং জালকের বাহিরের কলারস বা লসিকার মধ্যে প্রয়ােজনীয় বস্তুর আদান-প্রদান ঘটে।

২। স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পক্ষী জাতীয় প্রাণীতে বিশুদ্ধ এবং অশুদ্ধ রক্তে বিচ্ছিন্ন থাকার প্রয়ােজন আছে কেন ?

উত্তরঃ নিখুত রক্ত সঞ্চালনের জন্য অক্সিজেন যুক্ত এবং অক্সিজেন ছাড়া রক্তের সঞ্চালনের পৃথকীকরণ করা হয়। যে সমস্ত প্রাণীর অধিক শক্তির প্রয়ােজন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া খুবই কার্যকর। স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পক্ষী উভয়েরই অধিক শক্তির প্রয়ােজন দেহের তাপমাত্রা ধ্রুবক রাখার জন্য।

৩। উচ্চস্তরের উদ্ভিদের পরিবহণে কি কি অঙ্গ থাকে ?

উত্তরঃ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে জাইলেম এবং ফ্লোয়েম হল পরিবহণের পথ।

(i) জাইলেম- উদ্ভিদের মূলরােম দ্বারা শােষিত জল এবং জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ, এককথায় রস বা স্যাপ (Sap) জাইলেম বাহিকার মাধ্যমে অভিকর্যের বিপরীতেউর্ধমুখে বাহিত হয়ে পাতায় পৌছায়। জাইলেম বাহিকাগুলি মূল থেকে পাতা পর্যন্ত একটি অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ গঠন করে। এদের মাধ্যমে রস মূলজ চাপ, শােষণ চাপ, বায়বীয় চাপ ইত্যাদি ভৌত প্রক্রিয়ায় এবং জল ও জলীয়, দ্রবণের অণুগুলির সমসংযােগ ও অসমসংযােগের ফলে এবং প্রস্বেদন টানের ফলে উপর দিকে বাহিত হতে থাকে।

(ii) ফ্লোয়েম- উদ্ভিদের পাতায় উৎপন্ন তরল খাদ্যবস্তু ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে নিম্নাভিমুখী সংবাহিত হয়। ফ্লোয়েম কলার অন্তর্গত সিভনলগুলি পরস্পর খাড়াভাবে অবস্থান করে একটি অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ গঠন করে। সিভালের দুই কোষের অন্তর্বর্তী অনুপ্রস্থ প্রাচীর চালুনীর মতাে ছিদ্রবহুল হওয়ায় ওই ছিদ্রের মধ্য দিয়ে তরল খাদ্যবস্তু সহজেই বাহিত হতে পারে। সিভনল থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খাদ্যরস উদ্ভিদদেহের বিভিন্ন অঙ্গে পরিবাহিত হয়।

৪। উদ্ভিদে জল ও খনিজ পদার্থ কিভাবে পরিবাহিত হয় ?

উত্তরঃ জল এবং খনিজ হল উদ্ভিদদেহে রসের উৎস্রোত। রসের উৎস্রোত সম্পর্কে প্রচলিত মতবাদের মধ্যে বিজ্ঞানী ডিক্সন ও জলির (1894 খ্রীষ্টাব্দ) প্রস্বেদন বা বাষ্পমােচন টান ও জলের সমসংযােগ মতবাদটি সর্বজনস্বীকৃত। এই মতবাদটি তিনটি বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরশীল। যেমন- মূলজ চাপ, সমসংযােগ বল এবং প্রস্বেদন টান।

(i) মূলজ চাপ- এই চাপ মূলরােম দিয়ে শােষিত জলকে জাইলেম বাহিকার মধ্যে দিয়ে উপর দিকে কিছুদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।

(ii) সমসংযােগ বল- মুল থেকে পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত জাইলেম বাহিকাগুলি কাণ্ডের মধ্যে এক অবিচ্ছিন্ন নলের সৃষ্টি করে। সরু ব্যাসযুক্ত ওই জাইলেম বাহিকার মধ্যে মূল থেকে পাতা পর্যন্ত জল-অণুর এক স্তম্ভ তৈরি হয়। এই স্তম্ভে জলের অণুগুলি নিজেদের মধ্যে তীব্র সমসংযােগ টানে পরস্পর যুক্ত থাকে।;জল-অণুগুলি জাইলেম বাহিকার প্রাচীরের সেলুলােজ অণুর সঙ্গে অণুসঙ্গ টানে যুক্ত থাকে। এই দুই টান জল-অণু স্তম্ভকে ভাঙতে দেয় না।

মূলজ চাপ নিচের দিক থেকে এই জল-অণু স্তম্ভে জল-অণু সংযােজিত করে থাকে।

(iii) প্রস্বেদন টান- বাষ্পমােচনের ফলে পত্ররন্ধ্র দিয়ে এক অণু জল বাষ্পাকারে বেরিয়ে গেলে জাইলেম বাহিকার জল-অণুস্তম্ভে এক ধরনের টানের সৃষ্টি হয় যা মূল পর্যন্ত প্রসারিত হয়ে থাকে, একে প্রস্বেদন টান বলে। এই টান জল-অণু স্তম্ভকে উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে। এইভাবে পাতা থেকে অণুজল বাম্পাকারে বেরিয়ে গেলে মুলের জল-অণুস্তম্ভে একটি জল-অণুর সংযােজন ঘটে, ফলে জলস্তম্ভটি ধীরে ধীরে উপর দিকে উঠতে থাকে।

৫। উদ্ভিদে খাদ্য কিভাবে স্থানান্তরিত হয় ?

উত্তরঃ উদ্ভিদের খাদ্য পরিবহণের উপায়সমূহ হল- ব্যাপন, অভিস্রবণ, শােষণ বাষ্পমােচন ইত্যাদি ভৌত ও শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলি উদ্ভিদের সংবহনে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। স্থলজ উদ্ভিদরা অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মূলরােম দিয়ে জল শােষণ করে এবং ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ শােষণ করে। জল এবং জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ কোষান্তর ব্যাপন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের জাইলেম বাহিকায় পৌছায় এবং জাইলেম দিয়ে পাতার মেসােফিল কলায় পৌছায়। পাতার পত্ররন্ধ্র দিয়ে বাম্পমােচন হওয়ার ফলে যে প্রস্বেদন টান সৃষ্টি হয় তার ফলে জল ও জলে দ্রবীভূত লবণ উর্ধমুখে বাহিত হয়। পাতায় উৎপন্ন খাদ্যরস ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে নিম্নাভিমুখে বাহিত হয়। ফ্লোয়েম কলা থেকে খাদ্যরস ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদদেহের কলা-কোষে ছড়িয়ে পড়ে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। নেফ্রনের গঠন এবং কার্যকারিতার বিষয়ে বর্ণনা কর।

উত্তরঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীদের রেচন অঙ্গ হল বৃক্ক বা কিডনি। প্রতিটি বৃক্ক অসংখ্য গঠনগত ও কার্যগত একক নেফ্রন নিয়ে গঠিত। নেফ্রনের মধ্যে মূত্র তৈরি হয়। বৃক্কের মধ্যে রেচন পদার্থযুক্ত রক্ত প্রবেশ করলে নেফ্রনের গ্লোমেরিউলাসে তা পরিশ্রুত হয়। নেফ্রনের বৃক্কীয় নলীকায় পরিশ্রুত তরলের প্রয়ােজনীয় অংশের পুনঃশশাষণ হওয়ার পর বাকি তরল মুত্ররূপে বৃক্ক থেকে গবিনী পথে নির্গত হয়ে আসে এবং মূত্রাশয়ে সাময়িকভাবে জমা হতে থাকে। মূত্রাশয় থেকে মূত্র মূত্রনালীর মাধ্যমে দেহের বাহিরে নির্গত হয়।

নেফ্রনের গঠন- নেফ্রন হল বৃক্কের গঠনগত ও কার্যগত একক। প্রতিটি নেফ্রন প্রধানত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত যথা-

(i) ম্যালপিজিয়ান করপাসল।

(ii) বৃক্কীয় নালিকা। এবং 

(ii) সংগ্রাহী নালিকা।

(i) ম্যালপিজিয়ান করােসল- নেফ্রনের এই অংশটি দেখতে কতকটা ফানেলের মতাে। এটি বৃক্কের কর্টেক্স অঞ্চলে থাকে। এর দুটি অংশ আছে। যেমন-

(a) বাওমানস ক্যাপসুল- এটি নেফ্রনের বদ্ধ ও স্ফীত অংশবিশেষ যা অনেকটা কাপের মতাে দেখতে। এর মধ্যে গ্লোমেরিউলাসের রক্তজালক থাকে।

(b) গ্লোমেরিউলাস- এইটি বাওম্যানের ক্যাপসুলের মধ্যে অবস্থানকারী রেনাল ধমনীর জালক।

(ii) বৃক্কীয় নালিকা- প্রতিটি বৃক্কীয় নালিকা তিনটি অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে, যেমন-

(a) নিকটবর্তী সংবর্ত নালিকা- এটি বৃক্কীয় নালিকার প্রথম কুণ্ডলীকৃত অংশ ।

(b) হেলীর লুপ- এটি বৃক্কীয় নালিকার মধ্যবর্তী ‘U’ আকৃতির নালিকা।

(c) দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা- এটি বৃক্কীয় নালিকার অপেক্ষাকৃত মােটা এবং অল্প কুণ্ডলীকৃত শেষ অংশ, যা সংগ্রাহী নালিকায় উন্মুক্ত হয়।

(iii) সংগ্রাহী নালিকা- প্রতিটি নেফ্রনের বৃক্কীয় নালিকার শেষ অংশগুলি অপেক্ষাকৃত মােটা যে নালির সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে সংগ্রাহী নালিকা বলে।পুনঃশােষণের পর পরিত তরল এই নালির মাধ্যমে গর্বিনীতে প্রবেশ করে।

২। উদ্ভিদ কি কি উপায়ে বর্জ পদার্থ অপসারণ করে ?

উত্তরঃ বেশির ভাগ উদ্ভিদ তাদের রেচন পদার্থগুলােকে কেলাস বা কোলয়েডরূপে দেহের বিভিন্ন স্থানের কলাকোষে জমা করে রাখে। পরে নিম্নলিখিত উপায়ে তাদের রেচন পদার্থগুলিকে দেহ থেকে বর্জন করে।

(i) পত্রমােচন- আমড়া, শিমূল, শিরীষ, অশ্বখ প্রভৃতি গাছ পত্রমােচন করে রেচন পদার্থ ত্যাগ করেন

(ii) বাকল মােচন- অর্জুন, পেয়ারা ইত্যাদি গাছ বাকল মােচন করে তাদের রেচন পদার্থ বর্জন করে।

(iii) ফল মােচন- লেবু, আপেল, তেঁতুল প্রভৃতি গাছ ফল মােচন করে ফলের ত্বকে জমিয়ে রাখা রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।

(iv) গঁদ নিঃসরণ- বাবলা, শিরিষ, সজিনা প্রভৃতি গাছগদ বা আঠা নিঃসরণ করে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।

(v) রজন নিঃসরণ- পাইন গাছের কাণ্ড, শাখা ও পাতার রজননালীতে রজন নামে হালকা হলুদ রং-এর রেচন পদার্থ সঞ্চিত থাকে। যখন প্রাকৃতিকভাবে বা আঘাতজনিত কারণে পাইন গাছের কোনও অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়, তখন ওই স্থান থেকে রেচন পদার্থ হিসেবে রজন নিঃসৃত হয়।

(vi) তরুক্ষীর নিঃসরণ- বট, ফণিমনসা, আকন্দ ইত্যাদি গাছের কাণ্ডে বা পাতায় তরুক্ষীর কোষ ও নালীতে তরুক্ষীর জমা থাকে। আঘাত পেলে আঘাত প্রাপ্ত স্থান থেকে ওই তরুক্ষীর নিঃসৃত হয়। সেই সঙ্গে জমে থাকা রেচন পদার্থও অপসারিত হয়।

৩। উৎপন্ন হওয়া মূত্রের পরিমাণ কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ?

উত্তরঃ মূত্র জমা হওয়া নির্ভর করে জলগ্রহণের পরিমাণের উপর এবং রেচনে কতটুকু জল বাহির হয় তার উপর। জল প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করলে রেচনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যদি দেহ হতে অধিক পরিমাণে নাইট্রোজেন জাতীয় দ্রব্য রেচন হয় তবে কম মূত্র জমা হবে। আবার যদি চর্মের মাধ্যমে রেচন কম । হয় তবে মূত্র বেশি জমা হবে এবং প্রস্রাব বেশি হবে। এইভাবে রেচনতন্ত্র দেহের নাইট্রোজেন জাতীয় পদার্থের এবং জলের সমতা বজায় রাখে।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

1 thought on “Class 10 Science Chapter 6 জীবন প্রক্রিয়া”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This will close in 0 seconds

This will close in 0 seconds

error: Content is protected !!
Scroll to Top