Class 10 Bengali Chapter 3 গ্রাম্যছবি Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Bengali Chapter 3 গ্রাম্যছবি and select needs one.
Class 10 Bengali Chapter 3 গ্রাম্যছবি
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Bengali Chapter 3 গ্রাম্যছবি Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Bengali Chapter 3 গ্রাম্যছবি These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Bengali Chapter 3 গ্রাম্যছবি for All Subject, You can practice these here…
গ্রাম্যছবি
Chapter – 3
অনুশীলনীর প্ৰশ্নোত্তরঃ
১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
( ক ) খড়ের চালে করলা – লতা কীভাবে উঠেছে ?
উত্তরঃ খড়ের চালে করলা – লতা মাচা বেয়ে লতিয়ে উপরে উঠেছে ।
( খ ) খোকা কোথায় শুয়ে আছে ?
উত্তরঃ খোকা দড়ির দোলনাতে শুয়ে আছে ।
( গ ) গাছ থেকে পাকা কুল কে পেড়েছিল ?
উত্তরঃ গাছ থেকে পাকা কুল ছোটো দুটি বোন পেড়েছিল ।
( ঘ ) রোদটুকুর রং কেমন ?
উত্তরঃ রোদটুকুর রং সোনার রঙের ।
( ঙ ) রাখাল কোথায় শুয়ে বিশ্রাম করে ?
উত্তরঃ রাখাল গাছের নিচে শুয়ে বিশ্রাম করে ।
( চ ) কবির মতে সুধাময়ী কে ?
উত্তরঃ কবির মতে সুধাময়ী হল জন্মভূমি ।
২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
( ক ) গ্রামের ঘর বাড়ির সৌন্দর্য কেমন ?
উত্তরঃ গ্রাম বলতে চোখের সামনে ভেসে ওঠে অপূর্ব নিসর্গ শোভায় মণ্ডিত প্রকৃতিদেবীর আপন হাতে রচিত দৃশপট । ঘরগুলি মাটিতে নিকানো , দাওয়াগুলি মনোহর , সামনের দিকে মাটির উঠোন , ওপরের চালটি খড় দিয়ে ছাওয়া । করলার গাছ মাচা বেয়ে উপরে লতিয়ে উঠেছে । খাঁচার মধ্যে বউ কথা কও পাখি আছে । তুলসী মঞ্চে তুলসী চারা আছে । ঘরের মেঝেতে আলপনা দেওয়া । ছোট্ট খোকা দড়ির দোলনাতে দুলছে ।
( খ ) গ্রামের দুপুরবেলার ছবি বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় গ্রামগুলিই ভারতের শাশ্বত আত্মার প্রতীক । গ্রাম হলো ভারতীয় সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র গ্রাম। গ্রামের দুপুরবেলা অত্যন্ত শান্ত । গ্রামের মাঠে চরে বেড়ায় গোরু । গাছের স্নিগ্ধ ছায়ায় রাখাল শুয়ে বিশ্রাম করে । সরু মেঠো পথ বেয়ে পথিক আপন মনে গান করতে করতে চলে যায় ।
( গ ) কবির কোন বাল্যস্মৃতি মনে পড়ে ?
উত্তরঃ গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না । উপরন্তু প্রকৃতির অঙ্গ হয়েই মানুষ দ্বিতীয় বিশ্ব রচনা করল । দুপুরবেলায় কবির বাল্যকালের স্মৃতি মনে জেগে ওঠে। ছোটবেলায় যে ঘুঘুর গান তিনি শুনতেন সেই ঘুঘুর গানের কথা মনে পড়ে যায় ।
( ঘ ) ‘ দাওয়া ‘ শব্দের প্রতিশব্দ লেখো ও দাওয়ার বর্ণনা দাও ।
উত্তরঃ দাওয়া শব্দের প্রতিশব্দ হলো — বারান্দা , উঠোন । গ্রামের প্রকৃতি সবটুকুই ঈশ্বরের দান । পল্লীবাংলার ছোট ছোট কুড়েঘরগুলির উঠোন বা দাওয়াগুলি খুবই মনোহর হয় । মাটি দিয়ে নিকানো ঘরের সামনে থাকে মাটির উঠোন । সেখানে সোনার বর্ণের রোদ এসে পড়ে । খোকা দাওয়ায় শুয়ে থাকে দড়ির দোলনাতে ।
৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো –
( ক ) _____ তুলসীর চারা গৃহ শিল্পে কড়ি ঝাড়া ।
উত্তরঃ মঞ্চে ।
( খ ) খড়ো ____ ছাঁটা , লতিয়া করলা – লতা ।
উত্তরঃ চালখানি ।
( গ ) একাকিনী আপনার ____ বসিয়া প্রাঙ্গণে ।
উত্তরঃ মনে ধান নাড়ে ।
( ঘ ) ____ জন্মভূমি , তেমতি আছ কি তুমি।
উত্তরঃ সুধাময়ী ।
( ঙ ) শান্ত স্তব্ধ ____ গ্রাম্য মাঠে গোরু চরে।
উত্তরঃ দ্বিপ্রহবে ।
৪। একশো শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো ।
( ক ) “ গ্রাম্যছবি ” কবিতা অবলম্বনে ছবিগুলোর বর্ণনা দাও ।
উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রকৃতি দিয়েই বাংলামায়ের পরিচিতি । প্রকৃতিই হলো বাংলামায়ের চালচিত্র । বঙ্কিমচন্দ্র ‘ সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা ’ বলে বাংলা মায়ের ছবি এঁকেছেন । কেবল বঙ্কিমচন্দ্র কেন , একইরকমভাবে আমাদের সব কবি – সাহিত্যিকরাই বাংলাদেশের ছবি এঁকেছেন । মাইকেল মধুসূদন বলেছেন , ‘ সুশ্যামাঙ্গ বঙ্গদেশ ‘ , এবং সুদূর ইউরোপে থাকবার সময় তাঁর মনে পড়েছে যশোরের ‘ কপোতাক্ষ ’ নদের কথা । এই কপোতাক্ষকে নিয়ে ইনি কবিতাও লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় বাংলার প্রকৃতি ধরা দিয়েছে আরও বিভিন্ন বৈচিত্র্য নিয়ে । জননী – জন্মভূমির বন্দনা করেছেন তিনি বাংলার প্রকৃতি বন্দনা করে । নদীতীরের স্নিগ্ধ সমীরণ তাঁর প্রাণ জুড়িয়েছে । কবিকে আকৃষ্ট করেছে বাংলাদেশের আম্রকুঞ্জ , ‘ ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ‘ ছোটো ছোটো গ্রামগুলি । আধুনিককালের কবি সাহিত্যিকরাও বঙ্গজননীর এই প্রাকৃতিক শোভায় মুগ্ধ । বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাসে এবং কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এর যে পরিচয় মেলে , তা অনবদ্য ও অনপম ।
ধানসিঁড়ি নদী , সোনালি ডানার চিল , ভিজে মেঘের দুপুর , শালিখের কিচির মিচির , পাখির ডানায় রৌদ্রের গন্ধ এবং হলুদ নদীর স্তিমিত জলধারায় নতুন এক বাংলাদেশ ও জীবনানন্দ বঙ্গপ্রকৃতিকে খুঁজে পেয়েছেন । ঠিক এইভাবে , নিশ্চিন্দিপুরের প্রকৃতির মধ্যেও লুকিয়ে আছে চিরায়ত বঙ্গদেশ । বিভূতিভূষণ তাকে নানাভাবে আবিষ্কার করেছেন । ঋতুতে ঋতুতে যাঁর পোশাক বদল হয় , সেই বাংলাদেশের প্রকৃতি যে অতিশয় রাজকীয় , তাতে আর সন্দেহ কী ! বাংলাদেশের প্রকৃতি যে সর্বৈব ভগবানের দান , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই । যে ক্রান্তিরেখা আমাদের দেশের ওপর দিয়ে গেছে , তাতে আমাদের কপালে ‘ মরু ’ – প্রকৃতি ছাড়া অপর কোনো প্রকৃতি জুটত না । কিন্তু মাথার ওপর হিমালয় এবং পায়ের নীচে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত হওয়ায় সেই দুর্ঘটনা থেকে আমরা বেঁচেছি । অজস্র খাল – বিল – নদীনালা আমাদের বঙ্গ – প্রকৃতিকে সবুজ , করেছে । তবে আমাদের প্রকৃতি কিন্তু সর্বত্র এক নয় । দার্জিলিং কার্শিয়াং কালিম্পংয়ের প্রকৃতি পাহাড়ি এলাকার প্রকৃতি । এর গাছপালা পৃথক । শীত – গ্রীষ্ম পৃথক । চা এবং কমলার স্বাদে এ এলাকায় ইউরোপীয় প্রকৃতির স্বাদ মেলে । শিলিগুড়িতে এলে দেখা যায় আর এক প্রকৃতি । বিস্তৃত তরাই অঞ্চলে বঙ্গপ্রকৃতি অন্য এক রূপে বর্তমান । বেগবতী তিস্তা এখানে কখনও রুদ্রাণী , আবার কখনো প্রসন্নময়ী ।
বাংলাদেশকে যদি অখণ্ড হিসাবে দেখি , তা হলে পদ্মা – ব্রহ্মপুত্র – মেঘনা করতোয়া লালিত জনপদের চেহারার সঙ্গে পুরুলিয়া – বাঁকুড়ার রুক্ষ প্রকৃতির মিল হয় না । ওদিকে চট্টগ্রাম – ময়মনসিংহের আবার পৃথক চেহারা , আলাদা স্বাতন্ত্র্য । এদিকে নদিয়া – হুগলি -২৪ পরগনাসহ কলকাতার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মেদিনীপুর – মুর্শিদাবাদের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীও একেবারে ভিন্ন । নতুনতর আর এক প্রকৃতি কোমলে – কঠোরে ছড়িয়ে আছে বর্ধমান জেলার মধ্যে। রাঢ় অঞ্চলের রুক্ষতার সঙ্গে নিম্নবঙ্গের শ্যামলিমা — দুইই ধরে রেখেছে বর্ধমান ।
প্রকৃতির ঐশ্বর্য হল তার নদী , গাছপালা , পাখি এবং তৎসহ কিছু বন্যপ্রাণী । অন্নপূর্ণা রূপ তার আর এক রূপ । অন্নরিক্তা হলে , তিনি ভীষণা । ভূগোলের পরিভাষায় যাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয় , তা নিতান্ত ব্যবসায়িক এবং বৈষয়িক । কয়লা – পেট্রোলিয়ম অথবা লৌহ – আকর কিংবা দস্তা – তামা ইত্যাদির বৈভব বঙ্গপ্রকৃতির মধ্যে যে একেবারে অনুপস্থিত , তা বলা যায় না । কিন্তু যে প্রকৃতি বঙ্গজননীকে সুন্দরী করে , তার মধ্যে এগুলিকে কবি – সাহিত্যিকরা গণনা করেন না । ‘ সোনা’র থেকে “ সোনালী ডানার চিল ” কবিকে বেশি আকর্ষণ করে। সেজন্য ছোট্ট নদী হয়েও ‘ ইছামতী ’ সাহিত্যের সামগ্রী হয় ; ‘ হাঁসুলিবাঁকের উপকথা ’ শোনার জন্য বাঙালি পাঠকেরা বেশি আগ্রহী ।
বঙ্গপ্রকৃতির আর একটি বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এই যে , ঋতুচক্রের আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর চেহারা পরিবর্তন হয় । বঙ্গপ্রকৃতিতে কখনও বকুল গন্ধে বন্যা আসে , কখনও জাগে কদম্বের রোমাঞ্চ , আবার কখনও কখনও কুমুদে – কহলারে বঙ্গমাতার হয় অভিষেক । এই প্রকৃতিকে কখনও বসন্ত , কখনও শরৎ বন্দনা করে । শীত – গ্রীষ্মের বঙ্গপ্রকৃতি কম লোভনীয় নয় । বাংলাদেশের এই স্নিগ্ধ সুন্দর প্রকৃতি সুন্দর হলেও , তার একটি দোষও রয়েছে । এই রমণীয় প্রকৃতি আমাদের ঠিক প্রতিযোগী করে তোলেনি । আমরা হয়েছি পরিশ্রমবিমুখ , অলস , আরামপ্রিয় । কঠিন বাস্তবের সঙ্গে লড়াই করবার ক্ষমতা ফেলেছি হারিয়ে । তাই কবি সখেদে বলেছেন—
সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী !
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি !
বলার অপেক্ষা রাখে না , বাঙালির না – মানুষ হওয়ার কারণ হল , — বাংলাদেশের প্রকৃতি । এ প্রকৃতি তার আশীর্বাদ , আবার অভিশাপও ।
( খ ) কবিতাটিতে দুপুর বেলায় যে সৌন্দর্যের বর্ণনা আছে নিজের ভাষায় বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ সূর্যের প্রথম আলো লাজুক ছেলের হাসির মতো লেগে রয়েছে গাছের পাতায় । কয়েকটা দোয়েল , পাপিয়া আর খঞ্জনার কলকাকলি মধ্যাহ্নের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে দিয়েছে । বাতাস পুকুরের সবুজ জলের ওপর আলপনা দিয়ে গেছে। ঘাসের সোঁদা গন্ধের সঙ্গে শিউলির মৃদু সুবাস গত রাত্রির বিষণ্ণতাকে দূরে ঠেলে ভাইকে আবার মাঠে যাওয়ার উৎসাহ দিচ্ছে । হ্যাঁ , এটাই আমাদের গ্রাম । পশ্চিমবঙ্গের শত শত গ্রামের ন্যায়, এই আমাদের প্রিয় আবাসস্থল ।
গ্রামের মানুষ গাছপালা পশুপাখি এক মহাপ্রকৃতির অঙ্গ হয়ে মিলেমিশে বেঁচে রয়েছে । গ্রামে চাষের জমি আর সবুজ বনের আধিক্য দেখা যায় । আর আছে এক বড়ো জলাশয় , আমরা যাকে বলি বিল । ছোটো ছেলেমেয়েদের প্রিয় জায়গা হলো ওই বিলের ধারের মাঠখানি । ওখানেই প্রতিদিন বিকেলবেলা চলে খেলাধূলা । বিলের ওপারে যখন মস্ত এক গোল থালার মতো সূর্য লালবর্ণ হয়ে ওঠে , তখন খেলা থামিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়ায় । একটু পরেই অন্ধকার নেমে আসবে— সূর্যদেব অস্তাচলে যাবেন ।
গ্রামে বহু মানুষের বাস । কৃষক , শ্রমিক , শিক্ষক , সরকারি চাকুরে প্রভৃতি বিভিন্ন পেশার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত । এঁরা প্রত্যেকেই একে অপরের ওপর শ্রদ্ধাশীল । গ্রামের শিশু ও কিশোর – কিশোরীর দল পড়াশোনা করে এবং নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায় । গ্রামের মহিলারা কেউ চাষের কাজে , কেউ কুটিরশিল্পে স্বামীদের সহযোগিতা করেন । অনেক মহিলা স্বনির্ভর । গ্রামের সব মানুষের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক বিদ্যমান । ছোটোরা বড়োদের শ্রদ্ধা করে এবং বড়োরা ছোটোদের প্রতি স্নেহপরায়ণ। আমাদের গ্রামে এখনও ইলেকট্রিকের আলো ঢোকেনি । সেজন্য শহরের জীবনযাত্রার আভিজাত্য এখনও গ্রামে অবর্তমান । তবে প্রত্যেক মানুষের সুন্দর ব্যবহার ও আন্তরিকতায় আমরা সকলে মিলে এক সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলেছি ।
গ্রামে হিন্দু – মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে । সকলের মধ্যেই রয়েছে কাজ করার শক্তি ও মানসিকতা । আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই কৃষিজীবী । বিভিন্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষ একে অপরের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ পায় । রথের মেলা , দুর্গাপুজো , মহরম , ইদুজ্জোহা প্রভৃতি উৎসবে গ্রামের ছোটো – বড়ো সকলেই মেতে ওঠে বাঁধনছেঁড়া আনন্দে ।
গ্রামের অনেক কিছুই মানুষের সুস্থ জীবনযাত্রার উপযোগী নয় । গ্রামের মাটির রাস্তা বর্ষায় হাঁটাচলার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে । চাষবাসের সুযোগ সুবিধা তেমন না থাকায় মানুষের দারিদ্র্য আমাদের গ্রামের এক অভিশাপ ।
( গ ) কবি জন্মভূমিকে সুধাময়ী বলেছেন কেন ?
উত্তরঃ কবিগুরু লিখেছিলেন—
‘ অঞ্জনা নদীতীরে খঞ্জনী গাঁয়
পোড়ো মন্দিরখানি ঠিক তার বাঁয় ।
‘ নদীতীরের ছোটো গ্রাম, তার বট – অশ্বত্থ আগাছা ঘেরা পুরানো পোড়ো মন্দির , মাঠ , কাশবন , শরতের শিউলি , সবই যেন পুরানোকালের জলরঙের ছবির মতো বিবর্ণ । যেন কিছুদিনের ভেতরই যাবে হারিয়ে । সেই যেসব গ্রাম , যাদের নাম ছিল নিশ্চিন্দিপুর বা ধারাগোল , তাদের সেই নাম আজও বজায় আছে ; কিন্তু সেই শান্ত ‘ তাল – তমাল – বনরাজীনীলা ’ জনপদ , আজ মুছে যেতে বসেছে । আগ্রাসী শহরের থাবায় । চাঁদের আলো হারিয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রিক আলোর কৃত্রিম রোশনাইয়ে । আগ্রাসী কুঠারের ঘায়ে হারিয়ে গেছে নিবিড় আম্রকানন , ঝোপঝাড় , হিজলের বন , মুথা ঘাস , ঢোলকমলীর ফুল । তবু গ্রাম আজও টিকে আছে তার কিছুটা স্বকীয়তা নিয়ে , তার অপরূপ মুখ নিয়ে । সে মুখের অধরা মাধুরী দেখে কবি জীবনানন্দ বলেছিলেন—
‘ বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি , তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর ‘ ;
গ্রামের বুক চিরে চলে গেছে রেলপথ ধু ধু দিগন্তে । একপ্রান্তে তার জেলাশহর বারাসাত , অন্যদিকে ইছামতী তীরে গড়ে ওঠা হাসনাবাদ । এই রেলপথের দু’পাশে গাছপালা , ধানের খেত আর কাকের চোখের মতো কালো জলে পুকুরের ধারে ছড়ানো মানুষের জনপদ । এই জনপদের ভেতর কোনোটি ইট কাঠের কোঠাবাড়ি , কোনোটি টালির ছাউনি , এই জনপদের ভেতর কোনোটি আবার পুরানো খড়ের দোচালা ঘর । এর মধ্যেই এঁকেবেঁকে সাপের মতো চলেছে পথগুলি ।
দুপাশে তার খানা , ডোবা , পাশে সবুজ মখমলী ঘাসের আস্তরণ । আর মাথার উপর নীল আকাশ । সেই আকাশে দিনে সূর্য ওঠে , রাতে ঝিকমিক করে তারা , কখনও মেঘেরা পাল তুলে যায় , কখনও বা বিদ্যুতের তলোয়ার চিরে দেয় শিশির ভেজা অন্ধকার । গ্রামের উত্তরে কালো চওড়া টাকী রোড । সেখানে দিনরাত হু হু করে ছুটছে গাড়ি । এরই ধার ঘেঁষে বিশাল খেলার মাঠের ধারে পাঁচিল ঘেরা গ্রামের হাইস্কুল। একটু দূরে পোস্ট অফিস , ডাক্তারখানা । উল্টোদিকের মাঠে ছোটো ছোটো খড়ের চালার নীচে হাট । সোম – বৃহস্পতির বিকেলে সে হাট গগম্ করে মানুষের বিকিকিনিতে । চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডাক্তারখানা , মুদির দোকান , বেঞ্চিপাতা চায়ের দোকান , সেলুন , মিষ্টান্ন ভাণ্ডার । এসব ছাড়িয়ে একটু ভেতরে গেলেই বটগাছের নীচে বড়ো পুকুরের ধারে বাবা পঞ্চাননের মন্দির । পুরানো বুড়ো শিবের মন্দিরতলায় প্রতি চৈত্র সংক্রান্তিতে বসে গাজনের মেলা । আরও একটু দূরে মাঠের কোল ঘেঁষে ছোট্ট সাদা মসজিদটি , দরগা , পীর সাহেবের মাজার । প্রতি শীতে সেখানে জমজমাট মেলা , নাগরদোলার চরকি পাক, বাঁশির শব্দ আর মাজারে বাতি জ্বালানোর জন্য গ্রামের হিন্দু – মুসলমানদের ভিড় ।
গ্রীষ্মের খরতাপে শূন্য মাঠগুলিতে ভরে ওঠে ফাটলের অতি সুন্দর নকশা। তারপর আমের বোলের গন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে বাগান , গাছগাছালি । লাবণ্যময়ী বর্ষা আসে গ্রীষ্মের কালবৈশাখীর হাত ধরে । সেই মেদুর বর্ষার রাত , ঘন মেঘে ঢাকা পড়ে আকাশ , পুকুর , নালা – উপচানো জলের মধ্যে ব্যাঙের ডাকে মুখর হয়ে ওঠে । নীল আকাশের উড়ুনি গায়ে দিয়ে যখন শরৎ আসে তখন মাঠের ধারে ধারে , রেললাইনের পাশ বরাবর মাথা দোলায় কাশের ফুল । নালার জলে পাপড়ি মেলে লাজুক শালুক । গ্রামের ক্লাবের মাঠে পুজোর মাইক বেজে ওঠে । দুশো বছরের পুরানো জমিদার বাড়ির ডাকের সাজে সজ্জিত প্রতিমার সামনে ঢোল বাজায় বৃদ্ধ কেষ্ট ঢুলি । হেমন্তের পূর্ণিমার রাতে একমাঠ ঘন কুয়াশায় মাখামাখি হয় চাঁদের আলো । জোনাকিরা অমাবস্যায় আম গাছে আলোর আলপনা দেয় । শীতে ধান কেটে নেওয়া মাঠে ঝুপ ঝুপ করে নামে কত নাম না – জানা শীতের পাখি । গাছের ক্ষত থেকে মধুর রস মাটির ছোট পাত্র ঝোলানো খেজুর গাছগুলোয় নিঃশব্দে জমা হয় ।
পিচের রাস্তা — যা শহুরে সভ্যতার প্রতীক , তা গ্রাস করে নিচ্ছে প্রকৃতির অনাহত নিষ্পাপ সবুজ । গ্রামের মূল রাস্তার পাশে একটি রঙের কারখানা গড়ে উঠেছে । তার কালো চিমনি থেকে বেরুনো দিনরাত ঘন ধোঁয়া আর অবিরাম ঘর্ঘর ধ্বনিতে লজ্জা পেয়ে সরে গেছে গ্রাম । দু – চারটি মানুষের অন্নের সংস্থান হয়েছে বটে কিন্তু তার জন্য গ্রামটিকে দিতে হয়েছে দূষণের মূল্য । আর পাশের কীটনাশকের কারখানার নালি দিয়ে বেরিয়ে আসছে মানুষের যন্ত্র সভ্যতার কলঙ্কের মতো ঘন কালো রঙের বিষাক্ত পিঙ্গল জল । তার বিষস্পর্শে পুড়ে গেছে সবুজ ঘাস , মাটি হয়েছে নীল আর পাশের সবুজ চালতা গাছ সবুজ পাতা ঝরিয়ে নগ্ন শাখাপ্রশাখা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রেতের মতো । দুমুঠো ভাতের তাগিদে যেসব লোক উদয়াস্ত পরিশ্রম করছে এখানে , তাদের ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে যক্ষ্মার জীবাণু । ম্যাটাডোর আর ইটখোলার লরির ধোঁয়ায় মলিন হয়ে রয়েছে ভাঁট ফুলের পাতা । ইটখোলার চুল্লিতে পুড়ছে উর্বরা জমির মাটি । এরই মধ্যে একদল প্রোমোটার নামধারী ব্যবসায়ী বড়ো বড়ো আম বাগান কেটে জমিবেচার ব্যবসা শুরু করেছে । সেখানে গা – ঘেঁষাঘেঁষি ইটের খুপরি বাড়িতে গড়ে উঠেছে মানুষের বসত । এইরূপে শহরের থাবা এগিয়ে এসে তার নখ বিধিয়ে দিয়েছে ।
গ্রামের মানুষকে বাদ দিয়ে গ্রামের চিত্র আঁকা সম্ভব নয় । গ্রামের মানুষের পারিবারিক পেশা লুপ্ত । জীবিকার সন্ধানে মানুষ দিকভ্রান্ত । চাষিরা কেউ হয়েছে কারখানার শ্রমিক , কেউ সাইকেলচলা তরকারির ফড়ে । সাহসী কেউ কেউ বেআইনী মদের ভাটি বসিয়েছে । যুবকেরা চাকরির চেষ্টায় নাজেহাল । অন্ধ রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে মানুষ আত্মীয়তা, বন্ধুত্ব , মানবতার প্রীতির বন্ধন ভুলে যাচ্ছে । তবুও এই গ্রামে বেশিরভাগ মানুষের গ্রামীণ ঐতিহ্যের সৌজন্য , ভদ্রতা অক্ষুণ্ণ আছে । এই বৈচিত্র্য বৈপরীত্য নিয়ে কদমগাছি আজ একবিংশ শতাব্দীর দিকে এগিয়ে চলেছে ।
শব্দের বন্ধনে একটি গ্রামের চিত্র ধরা পড়ে না । যেটুকু ধরা যায় , তাও একটি মুহূর্তের । সময়ের সঙ্গে চলেছে নিত্য পরিবর্তন , পরিবর্ধন । এভাবেই মানুষের সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলার আর পাঁচটি গ্রামের মতোই এগিয়ে চলেছে কালের অদৃশ্য থাবা । তার ক্ষয়িষ্ণু পরিবর্তনশীলতার মাঝে কোনো এক শরতের সকালে বিলীয়মান রেলরাস্তার ধারে কাশের মাথা দোলানো দেখে হয়তো আজও কোনো সংবেদনশীল মানুষের মনে গুনগুন করে ওঠে গানের কলি ―
‘ আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি সেই অপরূপ রূপে উদয় হলে জননী ।’
( ঘ ) গ্রামের প্রাকৃতিক শোভা বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ বাংলার গ্রাম শীত বসন্ত বর্ষার স্মৃতি বিজড়িত । কখনো মেঘমেদুর বিষণ্ন আকাশ , কখনো শুভ্রকান্তি মেঘের আনাগোনা , কখনো দিগন্ত বিস্তার শ্যাম শস্যের হিল্লোল । কখনো জলহীন প্রাণহীন পাণ্ডুর বিবর্ণতা । কখনো “ কামরাঙা লাল মেঘ ” , শান্ত অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যা , “ ফণীমনসার ঝোপ ” , শটিবন প্রভৃতি অসংখ্য চিত্রমালা । কত সারি জারি কবি গানের আসর , কত যাত্রা কথকতা , কত দুঃখ দারিদ্র্যের বারমাস্যা চিত্র ।
গ্রামের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে নদী বয়ে চলেছে । উঁচু নীচু গাঁয়ের পথ , আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ায় ধবল বকেরা । সন্ধ্যার শুরুতে মাঠপথে ধুলো উড়িয়ে রাখাল বালকেরা গোরু নিয়ে ঘরে ফেরে । খালি গায়ে গাঁয়ের কৃষক দিনের শেষে মাঠ থেকে ফেরে । আদুল গায়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দাঁড়িয়ে থাকে । চোখে ওদের নিষ্পাপ সারল্য , অপার কৌতূহল । ঝিল্লীর একটানা গান শোনা যায় । শোনা যায় পাতা খসার শব্দ। গোরুর গাড়ির কর্কশ আওয়াজ দূরে মিলিয়ে যায় । নাকে গাছগাছালির গন্ধ আসে ।
গ্রাম – বাংলায় আছে সারি সারি মাটির ঘর । ঘরের দেওয়ালগুলি গ্রাম্যবধূদের হাতের ছোঁয়ায় মসৃণ হয়ে উঠেছে । দেওয়ালগুলিতে বিভিন্ন বর্ণের চিত্রও আঁকা থাকে । মন – প্রাণ জুড়িয়ে দেয় ভোরের স্নিগ্ধ হিমেল বাতাস । গ্রামের মধ্যেই ভাঙামন্দির অবস্থিত । মন্দিরের ভাঙা দেওয়ালে বটগাছের ডালপালা ছড়ানো । মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার নক্সা । সামনে ঘাট বাঁধানো পুকুর । পুকুরে গাঁয়ের বউঝিরা জল নিতে আসে। হাট বসে গ্রামের খোলা মাঠে । মানুষ দূর দূর থেকে হাটে আসে । কেনাবেচা শেষ করে যে যার ঘরে ফিরে যায় ।
গ্রীষ্মের দুপুরে পল্লীর প্রান্তর প্রায় জনমানব শূন্য । পথেঘাটে লোক চলাচল একান্ত বিরল । নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হতে চায় না । প্রয়োজন – তাড়িত পথচারী কখনো বা শ্রান্তদেহে ক্লান্ত মনে গাছের শীতল ছায়ায় ক্ষণিক আশ্রয়ে তপ্ত তপন – তাপ থেকে পরিত্রাণের উপায় খোঁজে । কৃষক – শ্রমিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে সাময়িক কার্যবিরতী পালন করে । টোকা মাথায় নিরুপায় চাষি ক্ষেতে কাজ করতে বাধ্য হয়। গ্রীষ্মের দুপুরে কখনো বা পল্লীজীবনে এনে দেয় পরিতৃপ্তিকর বিশ্রামের সুযোগ । কেউ বা মধ্যাহ্নভোজের আমেজ উপভোগ্য দিবানিদ্রায় অভিভূত হয় । পত্র পল্লবিত গাছের ছায়ায় বিস্তৃত মাদুরে কেউ বা মুক্ত বাতাসে মধ্যাহ্নের অলসতা উপভোগ করে ।
গ্রামীণ জীবনে বর্ষার আগমন আশীর্বাদের মতো । একদিকে পল্লী – প্রকৃতি তখন সৌন্দর্যময়ী হয়ে ওঠে , অপরদিকে পল্লীর মানুষ খুশি হয়ে ওঠে হলকর্ষণের সুবিধায় । বিশেষ করে বাংলার পল্লীপ্রকৃতি সে সময় একটি স্নিগ্ধশ্যামল ও বিচিত্র সুন্দর মহিমায় আত্মপ্রকাশ করে ।
গ্রামের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল মানুষের অখণ্ড জীবনবোধ , ঐক্য ও সহযোগিতা । দেশ স্বাধীন হবার পর এখন গ্রামের সার্বিক উন্নতির জন্য সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে । অঞ্চলভিত্তিক গ্রামের উন্নতির বিশেষ চেষ্টা চলেছে ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বহু পূর্বে বলেছিলেন যে ভারতবর্ষ পল্লীপ্রধান । পল্লীর মধ্যেই নিহিত ভারতের প্রাণধারা । কিন্তু ইংরেজ শাসনে দেশের সেই পল্লীর অবস্থা চরম সংকটের সম্মুখীন হয় । রোগে – শোকে অশিক্ষা – কুশিক্ষা ও দারিদ্র্যে দেশের পল্লীগুলি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয় । রবীন্দ্রনাথ তখন দেশের শিক্ষিত মানুষদের গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান— “ ফিরে চল মাটির টানে ; গ্রাম পুনর্গঠনের জন্য কবি শিক্ষাবিস্তার , স্বাবলম্বন বৃত্তি ও সমবায় প্রথাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন ।
৫। দুচার কথায় উত্তর দাও ।
( ক ) রাখাল বালকের দিনযাপন কেমন বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ গ্রামের শ্লথ জীবনযাত্রার মধ্যেই স্পন্দিত হয়েছে যুগযুগাব্যাপী ভারত আত্মার প্রাণের হিল্লোল । গ্রামের দুপুরবেলা শান্ত স্তব্ধ । গোরু মাঠে আপন মনে চরে বেড়ায় । রাখাল বালকদের উপরে থাকে গোরুগুলিকে দেখাশোনার দায়িত্ব । দুপুরবেলায় গাছের নীচে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নেয় ।
( খ ) গ্রাম্য বধূর দিনযাপন কেমন ? পঠিত কবিতা অনুসারে ব্যাখ্যা করো ।
উত্তরঃ গ্রাম্য বধূদের জীবনযাপন খুবই সরল । তাঁদের জীবন জটিলতার আবর্তে পাক খায় না । মাথায় চুলের গোছা লুটিয়ে পড়ছে । হাতে দুটি বালা পরা , সাজসজ্জায় কৃত্রিমতা নেই । উঠোনে একা একাই আপন মনে বসে বসে ধান নাড়ে । ধানের দেখাশোনা করে ।
( গ ) গ্রামের সৌন্দর্য কোথায় কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে ?
উত্তরঃ কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী অসাধারণ দক্ষতায় গ্রামের ছবি এঁকেছেন । তাঁর কবিতায় গ্রামীণ জীবনের খুটিনাটি , গ্রাম্যবধূদের জীবনের মাধুর্য সুন্দর সুন্দর রেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন । গ্রামের মেঠো পথে পথিক আপন মনে গান গেয়ে চলে যায় । কবির মনে বাল্যস্মৃতি জেগে ওঠে — মনে পড়ে ঘুঘুর গান ।
ব্যাকরণ
(ক) প্রতিটি শব্দের তিনটি করে প্রতিশব্দ লেখো :
গ্রাম , ছবি , কান , পাকা , রাস্তা , চুল , শ্যাম , সুধা , মাঠ , মাটি , শাখা । গ্রাম — পল্লী , গাঁ ।
উত্তরঃ পল্লী ― পল্লী, গাঁ।
শ্যাম ― কৃষ্ণ ।
ছবি — চিত্র ।
সুধা — অমৃত ।
কান — কৰ্ণ , শ্রবণেন্দ্ৰিয় ।
মাঠ — ক্ষেত , ক্ষেত্র ।
পাকা — পরিপক্ক ।
মাটি — ভূমি , মৃত্তিকা ।
রাস্তা — পথ ।
শাখা — ডাল ।
চুল — কেশ , অলক , কুত্তল ।
( খ ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
গ্রাম , সুধা – বিষ , বধূ , দিন , পাকা , ছোট , কাঁটা — কুসুম , শূন্য , স্তব্ধ , সরু , শান্তি , আপনার , বাল্য ।
উত্তরঃ গ্রাম — শহর ।
শূন্য — ভরাট ।
সুধা — বিষ ।
স্তব্ধ — কোলাহল ।
বধূ — বর ।
সরু — মোটা ।
দিন — রাত্রি ।
শান্তি — অশান্তি ।
পাকা — কাঁচা ।
আপনার — পরের ।
ছোট ― বড় ।
বাল্য — কৈশোর ।
কাঁটা — কুসুম ।
( গ ) পদান্তর করো :
রাখাল — রাখালিয়া , স্নিগ্ধ , বাল্য , ভূমি — ভৌম্য , দ্বিপ্রহর – দ্বিপ্রাহরিক , দল , গাছ — গেছো , কণ্টক — কণ্টকাকীর্ণ , মন , গরু — গব্য , শ্যাম , প্রাণ— প্রাণান্ত , নেশা , বন , বায়ু , একা , সোনা , খড় , শিল্প ।
উত্তরঃ রাখাল — রাখালিয়া ।
প্রাণ — প্রাণান্ত ।
স্নিগ্ধ — স্নিগ্ধতা ।
নেশা — নেশাড়ু ।
বাল্য — বাল্যাবধি ।
বন — বনানী ।
ভূমি — ভৌম ।
বায়ু — বায়বীয় ।
দল — দলীয় ।
একা — একাকী ।
গাছ — গেছো ।
কণ্টক — কণ্টকাকীর্ণ ।
মন — মানসিক ।
সোনা — সোনালী ।
গরু — গব্য ।
খড় ― খড়ে ।
শ্যাম — শ্যামল ।
শিল্প — শৈল্পিক ।
( ঘ ) সন্ধিবিচ্ছেদ করো :
দেবর্ষি , মহর্ষি , জনৈক , নয়ন , পবন , শয়ন ।
উত্তরঃ দেবর্ষি — দেব + ঋষি ।
মহর্ষি — মহা + ঋষি ।
জনৈক — জন + এক ।
নয়ন — নে + অন্ ।
পবন — পো + অন ।
শয়ন — শে + অন ।

Hi! my Name is Parimal Roy. I have completed my Bachelor’s degree in Philosophy (B.A.) from Silapathar General College. Currently, I am working as an HR Manager at Dev Library. It is a website that provides study materials for students from Class 3 to 12, including SCERT and NCERT notes. It also offers resources for BA, B.Com, B.Sc, and Computer Science, along with postgraduate notes. Besides study materials, the website has novels, eBooks, health and finance articles, biographies, quotes, and more.