Class 12 Bengali Chapter 16 ভাত – মহাশ্বেতা দেবী

Class 12 Bengali Chapter 16 ভাত – মহাশ্বেতা দেবী | Class 12 Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Assam Board HS 2nd Year Bengali Chapter 16 ভাত Notes and select needs one.

Class 12 Bengali Chapter 16 ভাত

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Assam Board Class 12 Bengali Chapter 16 ভাত Solutions for All Subject, You can practice these here.

ভাত – মহাশ্বেতা দেবী

Chapter: 16

বাংলা (MIL)

গোট – ২ নির্বাচিত গদ্যাংশ

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) উচ্ছবের আসল নাম কী ? 

উত্তরঃ উচ্ছবের আসল নাম উৎসব নাইয়া ।  

( খ ) উচ্ছব কার জমিতে কাজ করত ? 

উত্তরঃ উচ্ছব তাদের গ্রামের সতীশ মিস্ত্রীর জমিতে কাজ করত । 

( গ ) কার মঙ্গল কামনায় যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল ? 

উত্তরঃ কোলকাতার এক বড়ো বাড়ির গৃহকর্তার মঙ্গল কামনায় যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। 

( ঘ ) বাসিনী লুকিয়ে উচ্ছবকে কী খেতে দিয়েছিল ? 

উত্তরঃ বাসিনী লুকিয়ে উচ্ছবকে ঠোঙায় করে ছাতু খেতে দিয়েছিল । 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) উচ্ছবের চেহারা ও বেশভূষার বর্ণনা দাও । 

উত্তরঃ উচ্ছব একজন গ্রাম্য মানুষ । লোকটির চাহনি উগ্র ধরণের । লোকটির বেশভূষাতে একটি বন্য ভাব ছিল , তার পরনে ছিল ময়লা লুঙ্গি যা তার দেহের তুলনায় অত্যন্তই ছোট ছিল । 

( খ ) উচ্ছবের গ্রামে ভাতের অভাবের কারণ কী ছিল ? 

উত্তরঃ উচ্ছব ও তার গ্রামের অনেকেই ছিল হত দরিদ্র , ভূমিহীন । উচ্ছব ও তার গ্রামের লোকের জীবিকা ছিল মূলতঃ বড়োলোকের জমিতে মজুরি কাজ করা । সেই বছর গ্রামের জমির ফসল ভালো হয়নি। ফসল পরিপক্কতা হওয়ার আগেই পোকায় সব নষ্ট করে দেয় । ফলে গ্রামে দুর্ভিক্ষের অবস্থা দেখা দেয় । দরিদ্র গ্রামবাসীরা অনাহারে , অর্দ্ধাহারে দিন কাটাতে শুরু করে । তারা কখনো শাক – পাতা , গুগলি ইত্যাদি সেদ্ধ করে খায় । এর উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে তাদের চরম অবস্থা আরো দুর্বিসহ করে তোলে । ঝড় বৃষ্টি বন্যায় সব ভক্ষ হয়ে যায়। ফলে গ্রামে দেখা দেয় ভাতের অভাব । এই কারণেই গ্রামে ভাতের অভাব হয়েছিল । 

( গ ) “ রন্ন হল মা নক্বী ” – কার উক্তি ? ‘ রন্ন ’ ও ‘ নক্কী ’ বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ উক্তিটি ‘ ভাত ’ গল্পে বর্নিত উচ্ছবের ঠাকুমার। ‘ রন্ন ’ কথাটির অর্থ হল অন্ন । ‘ নক্কী ‘ কথাটির হল ‘ লক্ষ্মী ‘ । আঞ্চলিক উচ্চারনে ‘ ল ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ ন ’ হয়েছে এবং ‘ ক্ষ্মী ’ হয়েছে ‘ কী ‘। 

( ঘ ) যজ্ঞের অনুষ্ঠানে কী কী মাছ রান্নার আয়োজন করা হয়েছিল ? 

উত্তরঃ যজ্ঞের অনুষ্ঠানে মাছ রান্নার আয়োজন করা হয়েছিল যেসব মাছ দিয়ে সেগুলো হলো – বড়ো ইলিশ , পাকা পোনার পেটি , চিতলের কোন, ডিমপোরা ট্যাংরা , বড়ো ভেটকি মাছ ইত্যাদি । 

( ঙ ) বড়ো কর্তাদের বাড়িতে প্রতিদিন কী কী চালের ভাত রান্না হত ? 

উত্তরঃ বড়ো কর্তাদের বাড়িতে প্রতিদিন পাঁচ রকম চালের ভাত রান্না হত । ঝিঙেশাল চালের ভাত রান্না হত নিরামিষ ভাল – তরকারির সঙ্গে খাওয়ার জন্য , রামলাল চালের ভাত রান্না হত মাছের সঙ্গে খাওয়ার জন্য । বড়ো বাবু কনকপানি চালছাড়া খান না , মেজ আৰ ছোটো ছেলের জন্য বারো মাস পদ্মজালি চাল রান্না করা হত । আর মোটা সাপটা চাল রান্না করা হত বামুন ঝি চাকরদের জন্য । 

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) যজ্ঞের ফর্দতে কী কী জিনিষের নাম ছিল ? 

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ’ গল্পটি এক অপূর্ব গল্প । গল্পটির কলকাতার এক বড়লোকের বাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র রচিত হয়েছে । বাড়িটির গৃহকর্তা বহুদিন যাবৎ লিভার ক্যান্সারে ভুগছেন । ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছেন , তাই আসন্ন মৃত্যুকে আরো কিছুদিন ঠেকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চালানো হয়েছে । এরকমই এক শেষ চেষ্টা করা হয়েছিল কর্তার ছোট ছেলের শ্বশুর মশাইয়ের উপদেশে । 

তিনি কোথা থেকে এক তান্ত্রিক ধরে আনেন । তান্ত্রিকের মতে হোম – যজ্ঞ করলে বড় কর্তার মৃত্যু প্রতিরোধ করা যাবে । তান্ত্রিক যজ্ঞের ফর্দ দিয়েছিলেন সেই ফর্দ অনুযায়ী আনা হল বেল , ক্যাওড়া , অশখ , বট , তেঁতুল গাছের কাঠ এসেছে আধ মন করে । সব কাঠ আবার দেড়হাত লম্বা মাপে কাটতে হবে । ঐ কাঠ কাটার জন্য উচ্ছবকে কাজে লাগানো হয়েছে । তাছাড়া যজ্ঞের জন্য কালো বেড়ালের লোম আনতে পাঠানো হয়েছে ভজন চাকরকে । আবার শ্মশানের বালিও লাগবে যজ্ঞতে । যজ্ঞের জন্য তান্ত্রিক এতসব জিনিসের ফর্দ দিয়েছিল । 

( খ ) “ কিন্তু সাগরে শিশির পড়ে ” ––―― ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ ভাত ’ নামক ছোট গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । ক্ষুধার্ত উৎসবের সামান্য পরিমাণ ছাতু খেয়ে ক্ষুধা নিবারনের প্রচেষ্টার কথা প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে । 

উচ্ছবের গ্রামে একবার বন্যা হয় । মাতলা নদীর বন্যায় উচ্ছবের স্ত্রী – পুত্র – কন্যা সকলে ভেসে যায় । উচ্ছবের কুটিরটি ও ধ্বংস হয়ে যায় । উচ্ছব শোকে আত্মহারা হয়ে তাদের খুঁজে বেড়ায় । ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার খিচুড়ি খাবার ব্যবস্থা করলেও সেখানে উচ্ছবের খাওয়া হয়ে উঠে না । তাই উচ্ছব প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত হয়ে উঠে । আর এই ক্ষুধা নিবারনের জন্য সে কলকাতায় চলে আসে । কলকাতায় এসে সে আশা করে বড়লোকের বাড়িতে কাজ করে ভাত পাবে । কিন্তু উচ্ছবের আশা সাগরে শিশির পড়ার মত হয় । 

সে কাজ পায় বড় লোকের বাড়িতে , কিন্তু প্রদত্ত কাজ না করলে তাকে খাবার দেবে না জানিয়ে দেয় । তাই অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হয়ে কাকুতি মিনতি করার পরও উচ্ছব খাবার পায় না । এমন সময় অপরিসীম ক্ষুধার্ত উচ্ছবে সেই বাড়ির পরিচারিকা বাসিনী যে উচ্ছবের গ্রামেরই মেয়ে সে একটি ঠোঙায় করে সামান্য ছাতু এনে দেয় । ঐ ছাতু আর জল খেয়ে উচ্ছবের বহুদিনের ক্ষুধা নিবারন হয় না তার কাছে এই খাবার সাগরের শিশির বিন্দুর মত নিরর্থক । বরং ক্ষুধা আরও বেড়ে যায়। 

( গ ) “ কলকাতা গিয়ে খেচে মেখে আসি ” ― কে বলেছে ? কলকাতায় গিয়ে তার কী অভিজ্ঞতা হয়েছে লেখ । 

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ ভাত ’ নামক ছোটগল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । উক্তিটির বক্তা উচ্ছব যার আসল নাম উৎসব নাইয়া । উচ্ছবের জীবন বিপর্যস্ত । উচ্ছবের মাতলা নদীর তীরে বাড়ি বাদা অঞ্চলে । একদিন মাতলা নদীতে বন্যা আসে , কড়াল দুর্যোগের সেই রাতে বৃষ্টি তুফানের সঙ্গে বন্যায় উচ্ছবের স্ত্রী – পুত্র কন্যা সবাই ভেসে যায় । উচ্ছব ও ভেসে যাচ্ছিল কিন্তু একটা গাছে আটকে গিয়ে উচ্ছবের প্ৰাণ বেঁচে যায় । উচ্ছব প্রাণে বেঁচেও শান্তি পায় না , কারণ স্ত্রী – পুত্রদের হারিয়ে শোকের যন্ত্রনায় বিদ্বস্ত হয় আর তারপর কাতর হয় ক্ষুধার যন্ত্রনায় । অনেকদিন সে কোনো খাবার পায় না । ক্ষুধা তাকে এমনভাবে তাড়া করে যে সে ভাতের খোঁজে কলকাতায় চলে আসে । 

কিন্তু কলকাতায় এসে উচ্ছবের অন্য অভিজ্ঞতা হয় । উচ্ছব দেখে বড়োলোকদের চালের ভাণ্ডার । বাদাতে যেই ধান ফলে তারই চালে পরিপূর্ণ তাদের ভাণ্ডার । তাই বড়োলোকদের বাড়িতে বিভিন্নজনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চালের ভাত রান্না হয় । বড়লোকেরা হোম যজ্ঞের জন্য এলাহি আয়োজন করে । অথচ দরিদ্র ক্ষুধার্তদের জন্য তাদের কোনো মায়া নেই , তাদের মনে কোনো অনুকম্পা নেই । উচ্ছব তাদের বাড়ির কাজেই নিযুক্তি হয়েছিল , একটু ভাতের আশায় কিন্তু তাও তার জুটছিল না । তাই শেষ পর্যন্ত ক্ষুধার তাড়নায় উচ্ছব অশৌচ বাড়ির ফেলে দেওয়া ভাত ডেচকি সহ নিয়ে চলে যায় স্টেশনে , সেখানে বহুদিনের অভুক্ত উচ্ছব ভাত খেচে ঘুমিয়ে পড়ে । পরদিন ভোর বেলায় পেতলের ডেকটি চুরির অপরাধে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় মারধোর করে । 

( ঘ ) উচ্ছবের খিদের বর্ণনাই ভাত গল্পের মূল বিষয় যুক্তিসহ আলোচনা করো । 

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবী ‘ ভাত ’ গল্পটি একটি অসাধারণ গল্প । গল্পটিতে এক কঠিন বাস্তবকে দেখানো হয়েছে । ক্ষুধার্ত পীড়িত দরিদ্র মানুষের অন্তর যন্ত্রণার ছবি গল্পটিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে । বাস্তবতার এই প্রতিমূর্তি উচ্ছব । উচ্ছবের দুর্বিসহ জীবন – যন্ত্রনা ব্যক্ত হয়েছে গল্পটিতে। 

উচ্ছব গ্রামে থাকে তার নিজস্ব কোনো জমি নেই । তাই সে সতীশ মিস্ত্রীর জমিতে মজুর খাটে । কিন্তু মজুরি করেও উচ্ছব ও তার পরিবারের যথার্থ ক্ষুধা নিবৃত্তি হয় না , তাই ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়েই দিন কাটায় । উচ্ছবের ক্ষুধার মর্মান্তিক বর্ণনাই গল্পটিতে রয়েছে । সে ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রথমে বাদা থেকে তুলে এনে প্রচুর পরিমাণে হিংচে ও গুগলি সেদ্ধ করে নুন ও লঙ্কা পোড়া দিয়ে খেয়েছিল । এই হৃদয় বিদারক যন্ত্রণার দৃশ্য নিপুণ তুলিতে একেছেন লেখিকা । 

উচ্চবের অন্তরে একদিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা অন্যদিকে আপনজনদের হারানোর শোক । পরিবারের লোকদের খুঁজতে খুঁজতে উচ্ছবের দেরি করে ফেলায় সরকারী ব্যবস্থার খিচুড়ী ও সে খেতে পায়নি । মনের যন্ত্রণা আর ক্ষুধার যন্ত্রণা এই দুই যন্ত্রণায় কাতর উচ্ছব শেষ পর্যন্ত ক্ষুধার যন্ত্রণার তাৎক্ষণিক বিহ্বল হয়ে পড়ে । সে ড্রাইডোলের প্রাপ্য চাল রান্না না করে চিবিয়ে জল খেয়ে  উদরকে ঠাণ্ডা করে । কিন্তু এতেও সম্পূর্ণ ক্ষুধা নিবৃত্তি তার হয় না । 

তাই ভাতের আশায় মৃত পরিজনদের শ্রাদ্ধাদি না করেই কলকাতা চলে আসে । ক্ষিদের তাড়নায় দুটো ভাতের আশায় ক্লান্ত শরীরে সে কোলকাতায় এক বড়লোকের বাড়িতে একশো কেজি কাঠ কাটার দুঃসাহস দেখিয়েছে । কিন্তু সে বাড়িতেও সে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে ভাত পাবে না জেনে শুকনো চালই চেয়েছিল চিবিয়ে খায়ার জন্য । তখন সে বাড়ির পরিচারিকা একই গ্রামের প্রতিবেশি উচ্ছবকে সামান্য ছাতু দিয়েছিল খাবার জন্য । কিন্তু সে ছাতু তার ক্ষুধার আকাঙ্কাকে বরং বাড়িয়েছে । 

অবশেষে উচ্ছব সেই অশৌচ বাড়ির ফেলে দেওয়া ভাত ডেচকি সহ স্টেশনে নিয়ে পরম তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে । তবে তার এই ভাত খাওয়ার পরিণতি পেটকে শান্তি দিলেও মনকে আঘাত করেছে । কারণ পিতলের ডেচকি চুরির অপরাধে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । সুতরাং দেখা গেল গল্পটিতে হত দরিদ্র ক্ষুধার্ত উচ্ছবের ভাতের সন্ধানকৃত লড়াই মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ভাত গল্পটি কার লেখা ? 

উত্তরঃ ভাত গল্পটির লেখক মহাশ্বেতা দেবী । 

২। উচ্ছবের চাহনি কেমন ছিল ? 

উত্তরঃ উচ্ছবের চাহনি বন্য প্রকৃতির ছিল । 

৩। উচ্ছব কী পোষাক পরেছিল ? 

উত্তরঃ উচ্ছব ময়লা লুঙ্গি পরেছিল । 

৪। বড়ো পিসিমা চিরকাল এ সংসারের কোন দিকটি তদারক করেছেন ? 

উত্তরঃ বড়ো পিসিমা চিরকাল এ সংসারের হেঁসেল দেখেছেন ।

৫। ‘ ভাত খাবে কাজ করবে ’ – কথাটি কে বলেছিল ? 

উত্তরঃ ভাত খাবে কাজ করবে কথাটি বলেছিল বামুন ঠাকুর । 

৬। কে দূরদর্শী লোক ছিলেন ? 

উত্তরঃ বড়ো পিসিমার বাবা দূরদর্শী লোক ছিলেন।

৭। উচ্ছব কার সঙ্গে কোলকাতায় এসেছিল ? 

উত্তরঃ উচ্ছব বাসিনীর বোন ও ভাইদের সঙ্গে কোলকাতায় এসেছিল । 

৮। “ ময়ুর ছাড়া কার্তিক আসবে নাকি ’ – কে , কাকে বলেছে ? 

উত্তরঃ বড়ো পিসিমা বাড়ির বড়ো বউকে বলেছে । 

৯। বড়ো বাড়ির গৃহকর্তার কি রোগ হয়েছে ? 

উত্তরঃ বড়ো বাড়ির গৃহকর্তার লিভারে ক্যান্সার হয়েছে । 

১০। বড়ো বাড়ির গৃহকর্তার মৃত্যু প্রতিরোধের জন্য কী করা হয়েছিল ? 

উত্তরঃ বড়ো বাড়ির গৃহকর্তার মৃত্যু প্রতিরোধের জন্য হোম যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল । 

১১। মেজ বউ কী রান্না করেছে ? 

উত্তরঃ মেজ বউ শাশুড়ির জন্য নানা রকমের মাছ রান্না করেছে । 

১২। গৃহকর্তার কোন ছেলে বিলাতে থাকে ? 

উত্তরঃ গৃহকর্তার সেজ ছেলে বিলাতে থাকে । 

১৩। কে তান্ত্রিক এনেছেন ? 

উত্তরঃ ছোট বউ এর বাবা তান্ত্রিক এনেছেন । 

১৪। কালো বিড়ালের লোম কে আনতে গেছে ? 

উত্তরঃ কালো বিড়ালের লোম আনতে গেছে ভজন চাকর । 

১৫। কোথা থেকে বালি আনতে হবে ? 

উত্তরঃ শ্মশান থেকে বালি আনতে হবে । 

১৬। মেজ ও ছোটবাবুর জন্য কোন চাল রান্না হয় ? 

উত্তরঃ মেজ ও ছোটবাবুর জন্য পদ্মজালি চাল রান্না হয় । 

১৭। বড়ো পিসিমা কার সাহায্যে চাল বিক্রি করেন ? 

উত্তরঃ বড়ো পিসিমা বাসিনীর সাহায্যে চাল বিক্রি করেন । 

১৮। কোন নদীর জলে উচ্ছবের ঘর ভেসে যায় ? 

উত্তরঃ মাতলা নদীর জলে উচ্ছবের ঘর ভেসে যায়। 

১৯। উচ্ছব স্ত্রীকে কী বলে ডাকত ? 

উত্তরঃ উচ্ছব স্ত্রীকে ‘ চন্নুনীর ’ মা বলে ডাকত ।

২০। উচ্ছবের পিতার নাম কী ? 

উত্তরঃ উচ্ছবের পিতার নাম হরিচরণ নাইয়া । 

২১। গৃহকর্তা কত বছর বয়সে মারা যান ? 

উত্তরঃ গৃহকর্তা বিরাশি বৎসর বয়সে মারা যান । 

২২। উচ্ছব কোন চালের ভাতের ডেচকি মাথায় নিয়ে গিয়েছিল ? 

উত্তরঃ উচ্ছব মোটা চালের ভাতের ডেচকি মাথায় নিয়ে গিয়েছিল । 

২৩। উচ্ছব কিভাবে ভাত খায় ? 

উত্তরঃ উচ্ছব ভাতের ভেতরে মুখ ডুবিয়ে ভাত খায় । 

শব্দার্থ : 

বাদা :- জলাভূমি।

উচ্ছব :- উৎসব। 

গেঁড়ি :- ছোটো শামুক। 

আধ-মন :- প্রায় কুড়ি কিলোগ্রাম।

ঝ্যামন :- যেমন।

ব্যাগ্যতা :- অনুরোধ। 

চাট্টি :- চারটি। 

রা কাড়না ক্যান :- সাড়া দাওনা কেন।

নিভুই :- ভূমিহীন।

ছরাদ্দ :- শ্রাদ্ধ।

ব্যাদিটা :- ব্যাধিটা।

পক্কী :- লক্ষ্মী। 

ঝামচি :- জানতে পারছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top