Class 11 Advanced Bengali Chapter 7 কাস্তে

Class 11 Advanced Bengali Chapter 7 কাস্তে Question Answer | AHSEC Class 11 Advanced Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Class 11 Advanced Bengali Chapter 7 কাস্তে Notes and select needs one.

Class 11 Advanced Bengali Chapter 7 কাস্তে

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 11 Advanced Bengali Chapter 7 কাস্তে Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 11 Advanced Bengali Chapter 7 কাস্তে Solutions for All Subjects, You can practice these here.

কাস্তে

Chapter: 7

ADVANCED BENGALI

পদ্যাংশ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘কান্তে’ কবিতার মূল ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।

অথবা, 

‘কান্তে’ কবিতার মধ্যে কবি যে যুগ ও জীবনের পরিচয় দিয়েছেন, সে সম্পর্কে আলোচনা কর।

অথবা, 

‘কাস্তে’ কবিতাটি কবি কাদের উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন এবং কেন লিখেছেন। আলোচনা করো।

উত্তরঃ দিনেশদাস কাস্তে’ কবিতায় কৃষিজীবী মানুষকে বন্ধু বলেছেন। কবি কৃষক বন্ধুদেরকে তাদের কান্তেটি শাণ দিতে বলেছেন। কারণ কান্তের মধ্যদিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব আসবে। সমাজের একাংশ মানুষ অতি লোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। কিন্তু কবি অনুভব করেছেন দেশের স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষি নির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। তাই তিনি কৃষকদের বলেছেন যাতে কাস্তেটা শাণ দিয়ে রাখে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে, আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে। সমাজের যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কবি ‘কাস্তে’ কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সামন্ত সমাজব্যবস্থা থেকে উৎপন্ন নৈরাজ্য, লোভ, স্বার্থপরতা প্রভৃতি সমাজকে খর্ব করে চলছে। তাই কবির বক্তব্য এইরকম সমাজে দাঁড়িয়ে কাস্তের মতো বাঁকা চাদকে অধীর আগ্রহে লক্ষ্য করে শুধু গতানুগতিক জীবনধারায়, মগ্ন থাকা উচিত নয়। এই সমাজে কৃষক ও কৃষি বিপর্যস্ত। কৃষকরা পারে সমাজের অস্থির পরিস্থিতিকে লাঘব করতে। তাই কবি বলেছেন সবুজ বিপ্লবের হাতিয়ার কান্তেকে এই যুগের চাঁদ হিসেবে প্রতিটি লোকই যাতে হাতে তুলে নেয়। 

সমাজদ্রোহীর বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে তবেই সামাজিক ও অর্থনৈতিক শান্তি ফিরে আসবে। যুদ্ধের রক্তপাতে মাটি ভিজে যায়। কবি এর ফলে বেদনাগ্রস্থ হলেও আশা ছাড়েননি। যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কান্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতিবাদী অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু হয়েছে সবুজ বিপ্লব, গণতন্ত্র, শান্তি ও সম্প্রীতি। যারা ইস্পাতে ও কামানে দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষকও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেই সকল দেশদ্রোহী নিজেরা নিজেদের আপন দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত। তাদের কামানেই তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ।

২। কাস্তে কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

উত্তরঃ দিনেশ দাস ‘কাস্তে’ কবিতায় কৃষিজীবী মানুষদের বন্ধু বলে সম্বোধন করছেন । কবি কৃষক বন্ধুদের তাদের ‘কাস্তে’ শাণ দিতে বলেছেন। কারণ কাস্তের মধ্য দিয়ে দেশে সবুজবিপ্লব আসবে। সমাজে একাংশ মানুষ অতিলোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে 

শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। কিন্তু কবি অনুভব করছেন দেশের স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষিনির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে, আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে।

যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কবি ‘কাস্তে’ কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সামন্ত সমাজব্যবস্থা থেকে উৎপন্ন নৈরাজ্য, লোভ, স্বার্থপরতা প্রভৃতি সমাজকে খর্ব করে চলছে। তাই কবির বক্তব্য এইরকম সমাজে দাঁড়িয়ে কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদকে অধীর আগ্রহে লক্ষ্য করে শুধু গতানুগতিক জীবনধারায় মগ্ন থাকা উচিত নয়। এই সমাজে কৃষক ও কৃষি বিপর্যস্ত। কৃষকরা পারে সমাজের অস্থির পরিস্থিতিকে লাঘব করতে। তাই কবি বলেছেন। সবুজ বিপ্লবের হাতিয়ার কাস্তেকে এই যুগের চাঁদ হিসেবে প্রতিটি লোক‌ই তার কবি বলেছেন সবুজ বিপ্লবের হাতিয়ার কাস্তেকে এই যুগের চাঁদ হিসেবে প্রতিটি লোক‌ই তার হাতে তুলে নেক। সমাজদ্রোহীর বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে । যুদ্ধ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে তবেই সামাজিক ও অর্থনৈতিক শক্তি ফিরে আসবে। যুদ্ধের রক্তপাতে মাটি ভিজে যায়।

কবি এর ফলে বেদনাগ্ৰস্থ হলেও আশা ছাড়ে নি। যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কাস্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র, অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতিদিন অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু হয়েছে সবুজ বিপ্লব, গণতন্ত্র, শান্তিও সম্প্রীতি। যারা ইস্পাতে ও কামানে  দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেইসকল দেশদ্রোহী নিজের নিজেদের আপন দ্বন্দ্বে ক্ষত -বিক্ষত।  তাদের কামানেই তারা চূর্ণ -বিচূর্ণ। এসব দিক দিয়ে বিবেচনা করে বলা যায় কবিতাটির নামকরণ সুন্দর ও সার্থক হয়েছে।

৩। কবি কাদের উদ্দেশ্য করে কবিতাটি লিখেছেন এবং কেন লিখেছেন ?

উত্তরঃ কবি দিনেশ দাস কৃষিজীবি মানুষকে উদ্দেশ্য করে এই কবিতাটি লিখেছেন। ‘কাস্তে’ শ্রমের প্রতীক। কবির এই কবিতাটি লেখার পেছনে উদ্দেশ্য হল – সমাজের একাংশ মানুষ অতিলোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। কিন্তু কবি অনুভব করেছেন দেশের স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষি নির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। তাই তিনি কৃষকদের বলেছেন যাতে কাস্তেকে শাণ দিয়ে রাখে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে, আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে। ‘কাস্তে’ কবিতায় কবি যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। কবি‌ কৃষকভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন।

সম্প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা

১।‌ “চাদের শতক আজ নহে তো,

এ-যুগে চাঁদ হলো কাস্তে!”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি দিনেশ দাসের রচিত ‘কাস্তে’ কবিতা থেকে গৃহীত।

চাঁদ মূলত সুন্দরের প্রতীক। মানুষ চাঁদের সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করে আনন্দ অনুভব করেন। কিন্তু কবিতায় যে সময়ের কথা ফুটে উঠেছে তা বিলাস বশে চাঁদের মনোরম দৃশ্য অনুভব করার সময় নয়। চাঁদের শতক বলতে বোঝানো হয়েছে স্বচ্ছ ও সুন্দর সমাজ। ‘কাস্তে’ কবিতায় কবি দীনেশ দাস বাংলার অস্থির সময় সমাজকে তুলে ধরেছেন। কাস্তে কৃষিকাজ করার জন্য কৃষকদের অন্যতম যন্ত্র। সবুজ বিপ্লবের প্রধান নির্ভরযোগ্য উপাদান। সমগ্র বঙ্গসমাজে নতুন চাদের বাঁকা ফালির রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সামন্ত সমাজ ব্যবস্থা থেকে উৎপন্ন নৈরাজ্য, লোভ, স্বার্থপরতা, প্রভৃতি সমাজকে খর্ব করে চলছে। তাই কবির বক্তব্য এই রকম সমাজে দাঁড়িয়ে কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদকে অধীর আগ্রহে লক্ষ্য করে শুধু গতানুগতিক জীবনধারায় মগ্ন থাকা উচিত নয়। এই সমাজে কৃষক ও কৃষি উভয়‌ই বিপর্যস্ত। কৃষকরা পারে সমাজের অস্থির পরিস্থিতিকে লাঘর করতে। তাই কবি বলেছেন সবুজ বিপ্লবের হাতিয়ার কাস্তেকে এই যুগের চাঁদ হিসেবে প্রতিটি লোক‌ই হাতে তুলে নেয়।

২।‌ “চূর্ণ এ- লৌহের পৃথিবী

তোমাদের রক্ত-সমুদ্রে

গ’লে পরিণত হয় মাটিতে

মাটির-মাটির যুগ উর্দ্ধে!”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি দিনেশ দাসের রচিত ‘কাস্তে’ কবিতা থেকে গৃহীত।

সমাজের যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে কবি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তার ‘কাস্তে’ কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সমাজদ্রোহীর ধারালো বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে

হবে। যুদ্ধের রক্তপাতে মাটি ভিজে যায়, কবি বেদনাগ্রস্থ হলেও আশা ছাড়েননি। যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কাস্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র‌ অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতগবাদী অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু‌ হয়েছে সবুজ বিপ্লব । যারা ইস্পাতে ও কামানে দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেই সকল দেশদ্রোহী নিজের নিজেদের আপনদ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত। তাদের কামানেই তারা চূর্ণ -বিচূর্ণ। 

৩। “দিগন্তে মৃত্তিকা ঘনায়ে

আসে ওই! চেয়ে দ্যাখো বন্ধু!

কান্তেটা রেখেছো কি শাণায়ে

এ – মাটির কাস্তেটা বন্ধু।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি দিনেশ দাসের রচিত ‘কাস্তে’ কবিতা থেকে গৃহীত। এখানে কৃষিজীবি মানুষকে বন্ধু বলা হয়েছে। ‘কাস্তে’ হল শ্রমের প্রতীক। কবি কৃষক বন্ধুদেরকে তাদের কাস্তেটি শাণ দিতে বলেছেন। কারণ কাস্তের মধ্যদিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব আসবে। সমাজের একাংশ মানুষ অতি লোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে । কিন্তু কবি অনুভব করেছেন দেশের স্বাভবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষি নির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। তাই তিনি বলেছেন কৃষকরা যাতে কাস্তেকে শাণ দিয়ে রাখে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে। আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে।

৪। ইস্পাতে কামানতে দুনিয়া

কাল যারা করেছিল পূর্ণ,

কামানে কামানে ঠোকাঠুকিতে

আজ তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি দিনেশ দাসের রচিত ‘কাস্তে’ কবিতা থেকে গৃহীত। এখানে ‘তারা’ বলতে কবি তাদের কথা বলেছেন যারা দেশদ্রোহী, যারা অস্ত্রের মধ্য দিয়ে সমাজকে অস্থির করে তুলেছে।

সমাজের যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কবি তার কাস্তে কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সমাজদ্রোহীর ধারালো বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে তবেই সমাজে সামাজিক ও অর্থনৈতিক শান্তি ফিরে আসবে। কবি বলেছেন যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কাস্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র‌ এবং অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতিবাদী অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু‌ হয়েছে সবুজ বিপ্লব, গণতন্ত্র, শান্তি ও সম্প্রীতি। যারা ইস্পাতে ও কামানে দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেই সকল দেশদ্রোহী নিজেরা নিজেদের আপনদ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত। তাদের কামানেই তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ। ফলে লৌহ এবং ইস্পাতের যুগ শেষ হয়ে মাটির যুগ আসবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। “শেল আর বম হোক ভারালো

কান্তেটা শাণ দিয়ো, বন্ধু! 

-এখানে বন্ধ কাকে বলা হয়েছে ? ‘কান্তে’ কিসের প্রতীক ? কবি কেন কান্তেতে শাণ দিতে বলেছেন ?

উত্তরঃ এখানে কৃষিজীবি মানুষকে বন্ধু বলা হয়েছে। ‘কাস্তে’ হল শ্রমের প্রতীক। কবি কৃষক বন্ধুদেরকে তাদের কাস্তেটি শাণ দিতে বলেছেন। কারণ কাস্তের মধ্যদিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব আসবে। সমাজের একাংশ মানুষ অতি লোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। কিন্তু কবি অনুভব করেছেন দেশের স্বাভবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষি নির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। তাই তিনি বলেছেন কৃষকরা যাতে কাস্তেকে শাণ দিয়ে রাখে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে। আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে।

২। “নতুন চাঁদের বাঁকা ফালিটি

তুমি বুঝি খুব ভালোবাসতে ?

চাঁদের শতক আজ নহে তো

এ-যুগের চাঁদ হ’ল কান্তে! ”

– ‘চাঁদের শতক’ কথাটির অর্থ কী ? ‘এযুগের’ বলতে কোন যুগের কথা বলা হয়েছে ? ‘এ যুগের চাঁদ হল কাম্ভে’ – কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। 

উত্তরঃ চাঁদ মূলত সুন্দরের প্রতীক। মানুষ চাঁদের সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করে আনন্দ অনুভব করেন। কিন্তু কবিতায় যে সময়ের কথা ফুটে উঠেছে তা বিলাস বশে চাঁদের মনোরম দৃশ্য অনুভব করার সময় নয়। চাঁদের শতক বলতে বোঝানো হয়েছে স্বচ্ছ ও সুন্দর সমাজ। ‘কাস্তে’ কবিতায় কবি দীনেশ দাস বাংলার অস্থির সময় সমাজকে তুলে ধরেছেন। কাস্তে কৃষিকাজ করার জন্য কৃষকদের অন্যতম যন্ত্র। সবুজ বিপ্লবের প্রধান নির্ভরযোগ্য উপাদান। সমগ্র বঙ্গসমাজে নতুন চাদের বাঁকা ফালির রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সামন্ত সমাজ ব্যবস্থা থেকে উৎপন্ন নৈরাজ্য, লোভ, স্বার্থপরতা, প্রভৃতি সমাজকে খর্ব করে চলছে। তাই কবির বক্তব্য এই রকম সমাজে দাঁড়িয়ে কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদকে অধীর আগ্রহে লক্ষ্য করে শুধু গতানুগতিক জীবনধারায় মগ্ন থাকা উচিত নয়। এই সমাজে কৃষক ও কৃষি উভয়‌ই বিপর্যস্ত। কৃষকরা পারে সমাজের অস্থির পরিস্থিতিকে লাঘর করতে। তাই কবি বলেছেন সবুজ বিপ্লবের হাতিয়ার কাস্তেকে এই যুগের চাঁদ হিসেবে প্রতিটি লোক‌ই হাতে তুলে নেয়।

৩। “ইস্পাতে কামানেতে দুনিয়া

কাল যারা করেছিল পূর্ণ,

কামানে কামানে ঠোকাঠুকিতে 

আজ তারা চূর্ণ -বিচূর্ণ

– এখানে ‘তারা’ বলতে কবি কাদের কথা বলেছেন ? উদ্ধৃটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ এখানে ‘তারা’ বলতে কবি তাদের কথা বলেছেন যারা দেশদ্রোহী, যারা অস্ত্রের মধ্য দিয়ে সমাজকে অস্থির করে তুলেছে।

সমাজের যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কবি তার কাস্তে কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সমাজদ্রোহীর ধারালো বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে তবেই সমাজে সামাজিক ও অর্থনৈতিক শান্তি ফিরে আসবে। কবি বলেছেন যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কাস্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র‌ এবং অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতিবাদী অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু‌ হয়েছে সবুজ বিপ্লব, গণতন্ত্র, শান্তি ও সম্প্রীতি। যারা ইস্পাতে ও কামানে দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেই সকল দেশদ্রোহী নিজেরা নিজেদের আপনদ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত। তাদের কামানেই তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ। ফলে লৌহ এবং ইস্পাতের যুগ শেষ হয়ে মাটির যুগ আসবে।

৪। “চূর্ণ এ – লৌহের পৃথিবী

তোমাদের রক্ত-সমুদ্রে

গলে পরিণত হয় মাটিতে

মাটির-মাটির যুগ উর্দ্ধে!”

– উদ্ধৃতাংশের মর্মার্থ পরিস্ফুট করো।

উত্তরঃ সমাজের যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে কবি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তার ‘কাস্তে’ কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সমাজদ্রোহীর ধারালো বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধের রক্তপাতে মাটি ভিজে যায়, কবি বেদনাগ্রস্থ হলেও আশা ছাড়েননি। যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কাস্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র‌ অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতগবাদী অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু‌ হয়েছে সবুজ বিপ্লব। যারা ইস্পাতে ও কামানে দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেই সকল দেশদ্রোহী নিজের নিজেদের আপনদ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত। তাদের কামানেই তারা চূর্ণ -বিচূর্ণ। 

৫। “দিগন্তে মৃক্তিকা ঘনায়ে 

আসে ওই ! চেয়ে দ্যাখো বন্ধু ! 

কাস্তেটা রেখেছো কি শানায়ে 

এ- মাটির কাস্তেটা, বন্ধু ” – তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ এখানে কৃষিজীবি মানুষকে বন্ধু বলা হয়েছে। ‘কাস্তে’ হল শ্রমের প্রতীক। কবি কৃষক বন্ধুদেরকে তাদের কাস্তেটি শাণ দিতে বলেছেন। কারণ কাস্তের মধ্যদিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব আসবে। সমাজের একাংশ মানুষ অতি লোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। কিন্তু কবি অনুভব করেছেন দেশের স্বাভবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষি নির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। তাই তিনি বলেছেন কৃষকরা যাতে কাস্তেকে শাণ দিয়ে রাখে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে। আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে।

৬।  “দিগন্তে মৃক্তিকা ঘনায়ে  আসে ওই” – পংক্তিটি কোন্ কবিতার অংশ ? কবি কে ?

উত্তরঃ পংক্তিটি ‘কাস্তে’ কবিতার অংশ। কবি দিনেশ দাস।

৭। ‘নতুন চাঁদের বাঁকা ফালটি

তুমি বুঝি খুব ভালোবাসতে ?”

– কোন্ কবিতার পংক্তি? কবিতাটির মূলভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ ‘কাস্তে’ কবিতার পংক্তি।

‘কান্তে’ কবিতার সারাংশঃ দিনেশদাস ‘কাস্তে’ কবিতায় কৃষিজীবী মানুষকে বন্ধু বলেছেন। কবি কৃষক বন্ধুদেরকে তাদের কাস্তেটি শাণ দিতে বলেছেন। কারণ কাস্তের মধ্যদিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব আসবে। সমাজের একাংশ মানুষ অতি লোভের বশে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে শ্রমজীবিতে পরিণত করতে চাচ্ছে। কৃত্রিম জিনিস নির্মাণে সমস্ত কৃষকদের নিয়ে যাচ্ছে বিপথে। কিন্তু কবি অনুভব করেছেন দেশের স্বাভাবিকতা ফিরে আসতে পারে একমাত্র কৃষি নির্ভর সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে। তাই তিনি কৃষকদের বলেছেন যাতে কাস্তেটা শাণ দিয়ে রাখে। এই শাণ দেওয়া কাস্তে একদিকে ফসল কাটার সুযোগ্য হবে, আবার অন্যদিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবে। সমাজের যাবতীয় হিংসা, দ্বেষ প্রভৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কবি ‘কাস্তে’ কবিতায়। কবি দিনেশ দাস কৃষক ভাইদের এগিয়ে যেতে বলেছেন। সামন্ত সমাজব্যবস্থা থেকে উৎপন্ন নৈরাজ্য, লোভ, স্বার্থপরতা প্রভৃতি সমাজকে খর্ব করে চলছে। 

তাই কবির বক্তব্য এইরকম সমাজে দাঁড়িয়ে কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদকে অধীর আগ্রহে লক্ষ্য করে শুধু গতানুগতিক জীবনধারায় মগ্ন থাকা উচিত নয়। এই সমাজে কৃষক ও কৃষি বিপর্যস্ত। কৃষকরা পারে সমাজের অস্থির পরিস্থিতিকে লাঘব করতে। তাই কবি বলেছেন সবুজ বিপ্লবের হাতিয়ার কাস্তেকে এই যুগের চাঁদ হিসেবে প্রতিটি লোকই যাতে হাতে তুলে নেয়। সমাজদ্রোহীর বেয়নেট, শেল আর বোমকে উপেক্ষা করে কাস্তেটাকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে তবেই সামাজিক ও অর্থনৈতিক শান্তি ফিরে আসবে। যুদ্ধের রক্তপাতে মাটি ভিজে যায়। কবি এর ফলে বেদনাগ্রস্থ হলেও আশা ছাড়েননি। যারা গণবিরোধী, মানুষকে মেরে শোষক বহুল সাম্রাজ্য গড়তে তৎপর তাদের আশার মৃত্যু ঘটেছে কৃষকদের হস্তক্ষেপে। কাস্তেকে একদিকে ধানকাটার যন্ত্র অন্যদিকে অন্যায়ের প্রতিবাদী অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু হয়েছে সবুজ বিপ্লব, গণতন্ত্র, শান্তি ও সম্প্রীতি। যারা ইস্পাতে ও কামানে দুনিয়াকে পূর্ণ করতে চেয়েছে কৃষকও সাধারণ মানুষের ঐক্যবহুল প্রচেষ্টায় সেই সকল দেশদ্রোহী নিজেরা নিজেদের আপন দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত। তাদের কামানেই তারা চূর্ণ-বিচূর্ণ।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘কান্তে’ কবিতাটির রচয়িতা কে ?

উত্তরঃ দীনেশ দাস।

২। ‘কান্তে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত ?

উত্তরঃ ‘কবিতা’ কাব্যগ্রন্থ।

৩। এ-যুগের চাঁদ হলো ……… । (শূন্যস্থান পূরণ করো)

উত্তরঃ কাস্তে।

৪। দিনেশ দাস কোন কাব্যের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ‘রাম গেছে বনবাসে’ (১৯৮৩)

৫। “কাস্তেটা শাণ দিয়ো …………. (শূন্যস্থান পূরণ করো)

উত্তরঃ বন্ধু।

৬। “বেয়নেট হোক যত ধারালো –

কান্তেটা ধার দিয়ো বন্ধু!

-বেয়নেট শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ ‘বেয়নেট’ শব্দের অর্থ হল রাইফেলের নলের সংগে যুক্ত ছুরির মতো ধারালো অস্ত্র।

৭। দিনেশ দাস কোন পত্রিকার সম্পদনা করতেন ?

উত্তরঃ ‘সাম্যবাদী পত্রিকা।’

৮। “চাঁদের শতক আজ ‌নহে তো

এ যুগে ……………. হলো কাস্তে !” (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তরঃ চাঁদ।

৯। “শেল আর বম হোক ভারালো”

– “ভারালো” শব্দের অর্থ কি ?

উত্তরঃ “ভারালো” শব্দের অর্থ ভারী।

১০। “চাঁদের শতক আজ নহে তো”

– ‘চাঁদের শতক’ কথাটির অর্থ কি ?

উত্তরঃ – কবি দিনেশ দাস তাঁর পূর্বসূরী কবিদের সময়কে চাঁদের শতক বলেছেন।

১১। ……….  আর ……….. হোক ভরালো

কাম্ভেটা শান দিও বন্ধু। – শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

উত্তরঃ শেল আর বম।

১২। ‘ডুখ মিছিল’, ‘অহল্যা’, ‘রাম গেছে বনবাসে’

কাব্যগ্রন্থগুলির কবি কে?

উত্তরঃ কবি দিনেশ দাস।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top