Class 10 Science Chapter 3 ধাতু এবং অধাতু Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Science Chapter 3 ধাতু এবং অধাতু and select needs one.
Class 10 Science Chapter 3 ধাতু এবং অধাতু
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Science Chapter 3 ধাতু এবং অধাতু Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Science Chapter 3 ধাতু এবং অধাতু These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Science Chapter 3 ধাতু এবং অধাতু for All Subject, You can practice these here…
ধাতু এবং অধাতু
Chapter – 3
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। একটি ধাতুর উদাহরণ দাও যা-
(i) সাধারণ উষ্ণতায় তরল।
(ii) সহজেই ছুরি দিয়ে কাটা যায়।
(ii) তাপের সবচেয়ে সুপরিবাহী।
(iv) তাপের কুপরিবাহী।
উত্তরঃ (i) পারদ।
(ii) সােডিয়াম।
(ii) সিলভার (রূপা)
(iv) তামা ।
২। ঘাত সহনীয়তা এবং নমনীয়তা বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ নমনীয় (malleable)- নমনীয় ধাতুর এমন একটি ধর্ম যার ফলে ধাতুকে টেনে খুব সরু তারে এবং পিটিয়ে খুব পাতলা পাতে পরিণত করা যায়। পুনরায় এটি আগের অবস্থায় ফিরে আসে না।
প্রসারণশীল (ductile)- প্রসারণশীল হল ধাতুর এমন একটি ধর্ম যাতে একে টেনে সরু রে পরিণত করা যায়।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। সসাডিয়ামকে কেন কেরােসিন তেলে ডুবিয়ে রাখা হয় ?
উত্তরঃ সােডিয়াম খুব সক্রিয়। যদি ইহা বায়ুর সংস্পর্শে আসে তবে জ্বলে উঠে। সেইজন্য সােডিয়ামকে কেরােসিন তেলে ডুবিয়ে রাখা হয়।
২। নিম্নোক্ত বিক্রিয়াগুলির জন্য সমীকরণ লিখ।
(i) স্টীমের বা ভাপের সঙ্গে আয়রন।
(ii) জলের সঙ্গে ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম।
উত্তরঃ (i) 3 Fe + 4 H₂O (g) – Fe₃ O₄ + 4H₂
[লােহা] [জল] [লােহার অক্সাইড] [হাইড্রোজেন]
(ii) Ca + 2 H₂O – Ca (OH)₂ + H₂
(কেলসিয়াম) (কেলসিয়াম হাইড্রক্সাইড)
2 K + 2 H₂O – 2 KOH + H₂
(পটাসিয়াম) (পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড)
৩। A, B, C, D এই চারটি ধাতুর নমুনা নিয়ে এগুলােকে নিম্নোক্ত দ্রবণে একে একে যােগ করা হয়। তার ফলে যা লক্ষ করা গেল তা লিপিকাবদ্ধ করা হল।
ধাতু | আয়রন (ii) সালফেট | কপার (ii) সালফেট | জিংক সালফেট | সিলভার সালফেট |
A | বিক্রিয়া নাই | প্রতিস্থাপন | ………….. | ………….. |
B | প্রতিস্থাপন | ………….. | বিক্রিয়া নাই | ………….. |
C | বিক্রিয়া নাই | বিক্রিয়া নাই | বিক্রিয়া নাই | প্রতিস্থাপন |
D | বিক্রিয়া নাই | বিক্রিয়া নাই | বিক্রিয়া নাই | বিক্রিয়া নাই |
A, B, C, D এই ধাতুগুলাে সম্বন্ধে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলাের উত্তর দিতে উপরােক্ত তালিকাটি ব্যবহার কর।
(i) কোনটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ধাতু।
(ii) B-কেকপার (ii) সালফেটের দ্রবণে যােগ করা হলে কি করবে?
(iii) A, B, C, D এই চারটি ধাতুকে তাদের সক্রিয়তার অধঃক্রম অনুযায়ী সাজাও।
উত্তরঃ (i) সবচেয়ে সক্রিয় ধাতু B, টেবিল থেকে আমরা দেখতে পাই যে B, লােহাকে অপসারিত করতে পারে কিন্তু জিংককে পারে না। সুতরাং Zn, B অপেক্ষা শক্তিশালী। আবার B, Fe হতে অধিক শক্তিশালী। সুতরাং B A, C এবং D হতে অধিক শক্তিশালী কারণ এরা Fe হতে কম সক্রিয়।।
(ii) B, Fe হতে অধিক সক্রিয় সেইজন্য B কপার হতেও সক্রিয়। সুতরাং B দ্রবণ হতে কপারকে পৃথক করে। B কপার সালফেট দ্রবণে যুক্ত করলে কপার সালফেটের রং হালকা হয়।
B + CuSO₄ – Cu + BSO₄
(iii) D সবচেয়ে কম সক্রিয়, C আবার A থেকে কম সক্রিয়।
এতেকে A, B, C, D -র সক্রিয়তার অধঃক্রম হল-
B>A> C> D
৪। কোন সক্রিয় ধাতুর সঙ্গে লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিড যােগ করলে কি গ্যাস উৎপন্ন হয় ?
আয়রন লঘু সালফিউরিক এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে রাসায়নিক বিক্রিয়াটি লিখ।
উত্তরঃ লঘু HCl যখন সক্রিয় ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে তখন হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
লােহার সঙ্গে H₂SO₄ -এর বিক্রিয়া, Fe + H₂SO₄ – FeSO₄ + H₂
৫। জিংক আয়রন (ii) সালফেটের দ্রবণে যােগ করলে কি লক্ষ করবে ? যে রাসায়নিক বিক্রিয়াটি ঘটে তা লিখ।
উত্তরঃ Zn, লােহা’ হতে অধিক সক্রিয়। সুতরাং Zn-কে যখন আয়রন সালফেটের সঙ্গে যুক্ত করা যায় তখন আয়রন দ্রবণ হতে মুক্ত হয় এবং আয়রন সালফেটের সবুজ রং হালকা হয়।
Zn (s) + FeSO₄ (aq) – Fe (s) + ZnSO₄ (aq)
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। (i) সােডিয়াম অক্সিজেন এবং ম্যাগনেসিয়ামের ইলেক্ট্রন ডট গঠন আঁক ?
(ii) ইলেক্ট্রন স্থানান্তরের দ্বারা Na,0 এবং Mgo কিভাবে গঠিত হয় দেখাও।
(iii) এই যৌগগুলিতে কি কি আয়ন আছে ?
উত্তরঃ
(iii) Na₂O -তে আয়ন থাকে Na⁺ এবং O⁻⁻
MgO -তে আয়ন থাকে Mg⁺⁺ এবং O⁻⁻
২। আয়নীয় যৌগের গলনাংক কেন উচ্চ ?
উত্তরঃ আয়নিক যৌগতে কোনাে অণু থাকে না কিন্তু বড় বড় ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক আয়নের সমষ্টি থাকার জন্য এতে একটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক আকর্ষণ থাকে। সেইজন্য আয়নিক যৌগগুলির অধিক গলনাংক থাকে।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। নিম্নোক্ত শব্দগুলাের সংজ্ঞা লিখ।
(i) খনিজ।
(ii) আকরিক।
(iii) খনিজ মল।
উত্তরঃ (i) খনিজ- পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা প্রাকৃতিক মৌল এবং যৌগগুলিকে খনিজ বলে।
(ii) আকরিক – অধিকাংশ ধাতুই যৌগরূপে মাটির নীচে বা উপরে কঠিন প্রস্তরের আকারে থাকে। এরা হল খনিজ পদার্থ। যে সকল খনিজ পদার্থ হতে ধাতু নিষ্কাষিত করা হয় তাদেরকে উক্ত ধাতুর আকরিক বলে। যেমন- জিংক এর আকরিক জিংক ব্লেন্ড (ZnS)
লেডের আকরিক গ্যালেনা (PbS)
এলুমিনিয়ামের আকরিক বক্সাইট (AlO, 2H,O)
(ii) খনিজ মল – খনিজ হতে আহরণ করার পর ধাতুর আকরিকে থাকা নানাপ্রকার অশুদ্ধিগুলিকে খনিজ মল বলে।
যেমন- SiO, PO CaO, MgCO, FeO ইত্যাদি।
২। প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এমন দুটো ধাতুর নাম লিখ।
উত্তরঃ গােল্ড এবং প্লাটিনাম।
৩। কোন ধাতুকে তার অক্সাইড থেকে নিষ্কাশন করতে হলে কোন, রাসায়নিক পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ বিজারণ প্রক্রিয়ায় ধাতুর অক্সাইড থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়।
যেমন- ZnO -কে কার্বনের সঙ্গে উত্তপ্ত করলে Zn বিজারিত হয়।
ZnO (s) + C (s) – Zn (s) + CO (g)
কার্বন ছাড়া উচ্চ সক্রিয় ধাতু যেমন, ক্যালসিয়াম, এলুমিনিয়াম ইত্যাদি বিজারক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এরা ধাতুর অক্সাইড থেকে ধাতুকে বিজারিত করে।
Fe,O (s) + 2 Al (s) – 2 Fe + Al,O + তাপ।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপারের অক্সাইডগুলােকে নিম্নোক্ত ধাতুর সাথে উত্তপ্ত করা হয়।
ধাতব অক্সাইড | জিংক | ম্যাগনেসিয়াম | কপার |
জিংক অক্সাইড | …………… | …………… | …………… |
ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড | …………… | …………… | …………… |
কপার অক্সাইড | …………… | …………… | …………… |
উত্তরঃ
ধাতব অক্সাইড | জিংক | ম্যাগনেসিয়াম | কপার |
জিংক অক্সাইড | হবে না | হবে | হবে না |
ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড | হবে না | হবে না | হবে না |
কপার অক্সাইড | হবে | হবে | হবে না |
২। কোন ধাতুগুলাের সহজে মরচে ধরে না ?
উত্তরঃ গােল্ড এবং প্লাটিনাম।।
৩। সংকর ধাতু কাকে বলে ?
উত্তরঃ ধাতু সংকর ও দুই বা ততােধিক ধাতুর সাধারণ মিশ্রণ বা কঠিন দ্রবণ বা কঠিন যৌগ। অথবা এদের যেকোন সংযােগকে ধাতু-সংকর বলে। ধাতু-সংকর সমসত্ব বা অসমসত্ব উভয়ই হতে পারে।
যেমন- পিতল (Cu + Zn)
ব্ৰোঞ্জ(Cu + Sn)
জার্মান সিলভার (Cu + Zn + Ni)
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
১। নিম্নোক্ত জোড়াগুলাের কোনটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া দেখাবে ?
(a) NaCl দ্রবণ এবং কপার ধাতু।
(b) MgCl₂ দ্রবণ এবং এলুমিনিয়াম ধাতু।
(c) FeSO₄ দ্রবণ এবং সিলভার ধাতু।
(d) AgNO₃ দ্রবণ এবং কপার ধাতু।
উত্তরঃ (d) AgNO₃ দ্রবণ এবং কপার ধাতু।
2AgNO₃ (aq) + Cu (s) → Cu (NO₃)₂ (aq) + 2Ag (s)
২। লােহার ফ্রাইপেনের (লােহার তাওয়া) মরচে ধরার প্রতিরােধক হিসাবে নিম্নোক্ত কোন প্রক্রিয়াটি উপযুক্ত হবে ?
(a) চর্বী লাগানাে।
(b) রঙের প্রলেপ লাগানাে।
(c) জিংক-এর আস্তরণ লাগানাে।
(d) উপরের সবগুলােই।
উত্তরঃ (d) উপরের সবগুলােই।
৩। একটি মৌল অক্সিজেনের সহিত যুক্ত হয়ে একটি যৌগ উৎপন্ন করে। যৌগটি উচ্চ গলনাংকের। যৌগটি জলে দ্রবণীয়। মৌলটি সম্ভবত-
(a) ক্যালসিয়াম।
(b) কার্বন।
(c) সিলিকন।
(d) আয়রন।
উত্তরঃ (a) ক্যালসিয়াম।
৪। খাদ্যদ্রব্য রাখা পাত্রে টিনের আস্তরণ থাকে কিন্তু জিংকের নয় কারণ-
(a) জিংক টিন থেকে দামী বস্তু।
(b) জিংকের গলনাংক টিনের গলনাংক থেকে বেশি।
(c) জিংক টিন থেকে বেশি সক্রিয়।
(d) জিংক টিন হতে কম সক্রিয়।
উত্তরঃ (c) জিংক টিন হতে বেশি সক্রিয়।
৫। তােমাকে একটি হাতুড়ী, একটি ব্যাটারী, একটি বাল্ব, বিদ্যুৎ পরিবাহী তার এবং একটি সুইচ দেওয়া হল।
(a) ধাতু এবং অধাতুর নমুনার পার্থক্য দেখানাের জন্য এগুলােকে কিভাবে ব্যবহার করবে ?
(b) ধাতু এবং অধাতুর পার্থক্য দেখানাের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলাে কতটুকু ব্যবহার্য তার সমীক্ষা কর।
উত্তরঃ (a) ধাতুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে ইহা পাতলা পাতে পরিণত হয় কারণ ধাতুর নমনীয়তা থাকে। কিন্তু অধাতুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে উহা গুড়া হয়ে যায় কারণ অধাতু ভংগুর।
ধাতুর পাতের সঙ্গে ব্যাটারী, বান্ধ, সুই তারের দ্বারা যুক্ত করলে যে বর্তনী তৈরি হবে তার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে এবং বাল্বটি জ্বলবে।
(b) আঘাত করা একটি বিশ্বস্ত প্রণালী কারণ অধাতুকে আঘাত করলে উহা পাতলা পাতে পরিণত হয় না। কিন্তু অধাতু কার্বন গ্রাফাইট রূপে বিদ্যুতের পরিবাহক।
৬। উভধর্মী অক্সাইড কাকে বলে ? উভধর্মী অক্সাইডের দুইটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সমস্ত অক্সাইড এসিড এবং ক্ষারক উভয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে তাদের এমফোটেরিক অক্সাইড বলে। যেমন- এলুমিনিয়াম অক্সাইড এবং জিংক অক্সাইড।
ZnO + 2HCl – ZnCl, + H,O
ZnO + 2NaOH – Na,ZnO, + H,O
৭। লঘু এসিড় থেকে হাইড্রোজেন অপসারিত করতে পারে এমন দুইটি ধাতুর এবং অপসারণ করতে পারে না এমন দুটো ধাতুর নাম লিখ।
উত্তরঃ (i) সােডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ধাতু লঘু এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এসিড হতে হাইড্রোজেন বিয়ােজিত করে।
(ii) হাইড্রোজেনের চেয়ে কম সক্রিয় ধাতু যেমন, কপার, সিলভার ইত্যাদি এসিড থেকে হাইড্রোজেন অপসারিত করতে পারে না।
৮। M ধাতু তড়িৎ বিশ্লেষণ পরিশােধনে এনােড হিসাবে, ক্যাথােড হিসাবে এবং তড়িৎ বিশ্লেষ্য (electrolyte) হিসাবে কি কি ব্যবহার করবে ?
উত্তরঃ
ক্যাথােড় | বিশুদ্ধ ধাতু। |
এনােড | অশুদ্ধ ধাতু। |
তড়িৎ বিশ্লেষ্য | ধাতু লবণের দ্রবণ। |
৯। প্রত্যুষ স্পেন্টুলার (চেপ্টা চামচ) উপর সালফারের গুড়াে নিল এবং উত্তপ্ত করল। তার উপর একটি পরীক্ষানলী উপুড় করে রেখে নির্গত হওয়া গ্যাস সংগ্রহ করল। (চিত্রে দেখানাের মতাে)
উত্তরঃ
(a) নিম্নোক্তগুলাের ওপর গ্যাসটির কি বিক্রিয়া হবে ?
(i) শুদ্ধ লিটমাস কাগজ।
(ii) ভেজা লিটমাস কাগজ।
(b) যে বিক্রিয়াটি ঘটলাে তার একটি সন্তুলিত সমীকরণ লিখ।
উত্তরঃ (a) (i) শুষ্ক লিটমাস কাগজ — কোনাে বিক্রিয়া হবে না।
(ii) সিক্ত লিটমাস কাগজ — লাল হবে।
(b) S + O₂ → SO₂ + H₂O → H₂SO₄
(গন্ধক) (সালফার-ডাই-অক্সাইড) (সালফিউরিক এসিড)
১০। লােহায় মরচে ধরার প্রতিরােধের দুটো উপায় লিখ।
উত্তরঃ লােহায় মরিচা ধরা রােধ করার দুইটি উপায় হল-
(a) লােহার উপর রং লাগানাে এবং
(b) লােহার উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দেওয়া বা গেলভেইজিং-এর দ্বারা।
১১। অধাতুগুলাে অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করলে কি ধরনের অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ আম্লিক অক্সাইড।
১২। কারণ দেখাও-
(a) অলংকারাদি তৈরি করতে প্লাটিনাম, সােনা, রূপা ব্যবহার করা হয়।
(b) সােডিয়াম, পটাসিয়াম এবং লিথিয়াম তেলের নীচে রাখা হয়।
(c) এলুমিনিয়াম খুবই সক্রিয় ধাতু তবুও এটাকে রান্না করার বাসন বানাতে ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ (a) প্লাটিনাম, গােচ্ছ এবং সিলভার হল অসক্রিয় এবং এরা চকচকে হয়।
(b) সােডিয়াম, পটাসিয়াম এবং লিথিয়াম অতি সক্রিয় এবং বায়ুর সংস্পর্শে আগুন জ্বলে।
(c) এলুমিনিয়াম এর গায়ে একটি এলুমিনিয়াম অক্সাইডের অসক্রিয় স্তর সৃষ্টি করে।
(d) ইহা সহজে অক্সাইড হতে ধাতুকে পৃথক করে।
১৩। তােমরা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছ যে রং নষ্ট হওয়া কপারের পাত্রকে পরিষ্কার করতে লেবু বা তেতুলের রস ব্যবহার করা হয়। এই টক বস্তুগুলাে পাত্র পরিষ্কারের জন্য উপযােগী কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কপারের পাত্রে সবুজ রং-এর কপার কার্বোনেটের আস্তরণ পড়ে।
যেহেতু কপার কার্বোনেট লঘু লেমনের এসিড বা টামারিনড় জুইসে দ্রবীভূত হয় সেইজন্য কপার পাত্র পরিষ্কার হয়ে যায়।
১৪। রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
উত্তরঃ
ধাতু | অধাতু |
(i) ধাতুগুলি ইলেক্ট্রন দান করে সুতরাং এরা বিজারক দ্রব্য।Na – e⁻ – Na⁺Al – 3e⁻ – Al³⁺ | (i) অধাতুগুলি ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে সুত্রং এরা জারক দ্রব্য।Cl₂ + 2e⁻ – 2Cl⁻S + 2e⁻ – S²⁻ |
(ii) ধাতুগুলি এসিডের হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত করে লবণ উৎপন্ন করে। | (ii) অধাতুগুলি এসিড হতে হাইড্রোজেন নির্গত করে লবণ তৈরি করতে পারে না। |
(iii) ধাতুগুলি সাধারণত ক্ষারকীয় অক্সাইড উৎপন্ন করে।যেমন- CaO, CuI, Fe₂O₃ ইত্যাদি। | (iii) অধাতুগুলি কখনও ক্ষারকীয় অক্সাইড উৎপন্ন করে না। |
(iv) ধাতুগুলি সাধারণত হাইড্রোজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে স্থায়ী হাইড্রাইট যৌগ উৎপন্ন করে না। | (iv) অধাতুগুলি সমযােজ্যতার সাহায্যে প্রকৃতির হাইড্রাইডগঠন করে। এরা অত্যন্ত উদ্বায়ী (গ্যাসীয় পদার্থ) অনার্দ্র অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য নহে।যেমন- CH₄, NH₃, HCl, PH₃, ইত্যাদি। |
১৫। একজন ভণ্ড লােক স্বর্ণকারের বেশে বাড়ি বাড়ি গেল। লােকটি পুরানাে ও দ্যুতিহীন সােনার অলংকারের দ্যুতি ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে দাবী করল। একজন মহিলা কোনরকম সন্দেহ না করেই হাতের সােনার চুড়ি লােকটিকে দিলেন। লােকটি চুড়িগুলি একটি বিশেষ তরলে ডুবালাে। চুড়িগুলি নতুন চুড়ির মতাে চকচকে হয়ে গেল কিন্তু এগুলাের ওজন অনেক কমে গেল। মহিলাটি বিরক্ত হলেন। কিছু অর্থহীন বাক বিতণ্ডার পর লােকটি পালাল। লােকটি কি তরল পদার্থ ব্যবহার করেছিল কৌশলে কি তা বের করতে পারবে ?
উত্তরঃ একোয়ারিজিয়া- ইহা ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং ঘন এসিডের মিশ্রণ এবং তাদের অনুপাত হল 3:1, ইহা সােনাকে দ্রবীভূত করে।
১৬। গরম জলের চৌবাচ্চা (ট্যাংক) তৈরি করতে ষ্টীল ব্যবহার না করে কেন কপার ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ লােহা (ষ্টিল) গরম জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কিন্তু কপার গরম জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না।
3 Fe (s) + 4 H₂O – Fe₃O₄ (s) + 4 H₂ (g)
(গরম)
Cu (s) + H₄O – কোনাে বিক্রিয়া হবে না।
(গরম)
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে ভৌত ধর্মের পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ
ধাতু | অধাতু |
(i) ধাতুগুলি সাধারণত কঠিন। পারদ ধাতু হলেও সাধারণ তাপমাত্রায় তরল পদার্থ। | (i) অধাতুগুলি কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়। সালফার, কার্বন, আয়ােডিন কঠিন পদার্থ ; ব্রোমিন তরল পদার্থ, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি গ্যাসীয় পদার্থ। |
(ii) ধাতুগুলির নিজস্ব দ্যুতি আছে এবং এরা আলােক প্রতিফলিত করতে পারে। | (ii) অধাতুর এইরূপ কোনাে দ্যুতি থাকে না, এরা আলােক প্রতিফলিত করতে পারে না।আয়ােডিন, গ্রাফাইট অধাতু হলেও এরা উজ্জ্বল। |
(iii) ধাতুগুলি সাধারণত খুব ভারী হয়। কিন্তু সােডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,এলুমিনিয়াম ধাতুগুলি অপেক্ষাকৃত হালকা। | (iii) অধাতুগুলি সাধারণত হালকা। |
(iv) ধাতুগুলি প্রসারণশীল এবং নমনীয়। | (iv) অধাতুর প্রসারণতা বা নমনীয়তা নাই।এরা ভঙ্গুর। |
(v) ধাতুগুলি তাপ এবং বিদ্যুতের উত্তম পরিবাহী। | (v) অধাতুগুলি সাধারণত তাপ এবং বিদ্যুতের অপরিবাহী তবে গ্রাফাইট তাপ এবং বিদ্যুতের উত্তম পরিবাহী। |
৩। ধাতুকল্প কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সকল ধর্মের পার্থক্য অনুসারে মৌলিক পদার্থগুলিকে ধাতু এবং অধাতু এই দুইটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে তা সর্বদা খুব সুস্পষ্ট নয়। কতগুলি মৌলিক পদার্থের মধ্যে ধাতু এবং অধাতুর উভয়েরই কতকগুলি ধর্ম দেখা যায়। এদের ধাতুকল্প বলে। যেমন- আর্সেনিক, এন্টিমনি।
৩। গ্রাফাইটের ধাতুর মতাে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও ইহা অধাতু কেন ?
উত্তরঃ গ্রাফাইট (বা কার্বন) দুইটি অক্সাইড উৎপন্ন করে। CO এবং CO₂। CO নিরপেক্ষ অক্সাইড কিন্তু CO₂ এসিডধর্মী অক্সাইড। কার্বনের কোনাে ক্ষারকীয় অক্সাইড নাই। অধাতুর কোনাে ক্ষারকীয় অক্সাইড থাকে না, সেইজন্য গ্রাফাইট একটি অধাতু।
৪। কয়েকটি ধাতু-সংকরের সংযুতি ও ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ (i) পিতল (brass)- Cu (60-80) ; Zn (40-20)
পাত, নল, টোটার গােড়া, বাসন ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার হয়।
(ii) ব্রোঞ্জ (bronze)- Cu (75-90) ; Sn (25-10)
মুদ্রা, যন্ত্রপাতি ও মুর্তি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
(iii) জার্মান সিলভার (german Silver)- Cu (25-50) ; Zn (35-25); Ni (35-10) ; পাত, ফুলদানী, ছাইদান, প্লেট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(iv) ডুরালুমিন (duralumin)- Al = 95 ; Cu = 4; Mg = 0.5; Mn = 0-5
এরােপ্লেনের বিভিন্ন অংশ, ভারী মােটরগাড়ী, রেলগাড়ীর অংশাদির প্রস্তুতের জন্য।
(v) রাং ঝাল (soft sol du)- Pb = 50, Sn = 50
বাসনপত্র ঝালাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(vi) টাইপ-মেটাল (type metal)- Pb =80 ; Sb = 15 ; Sn = 5.
মুদ্রান্ত্রে ব্যবহৃত অক্ষর তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(vii) সংকর ইস্পাত- সাধারণ ইস্পাতের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ সিলিকন, নিকেল, ক্রোমিয়াম, ভ্যানাডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, টাংস্টেন প্রভৃতি পৃথকভাবে মিশিয়ে বিভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট ইস্পাত প্রস্তুত করা হয়। এদেরকে সংকর ইস্পাত বলে। অস্ত্রোপচারের ছুরি, কাঁচি, কাটা, বাসনপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৫। আকরিকের গাঢ়ীকরণ বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ আকরিকের সঙ্গে মিশ্রিত বিজাতীয় পদার্থগুলি অপসারিত করে আকরিকের অনুপাত বৃদ্ধি করার প্রণালীকে আকরিকের গাঢ়ীকরণ বলা হয়। ইহা বিভিন্ন উপায়ে করা হয়। যেমন-
(i) চূর্ণ আকরিকের উপর দিয়ে জলস্রোত প্রবাহিত করলে হালকা বিজাতীয় পদার্থগুলি জলের সঙ্গে ভেসে যায় এবং এইরূপে অপসারিত হয়।
(ii) কোন কোন ক্ষেত্রে শক্তিশালী চুম্বকের সাহায্যে আকরিক হতে চৌম্বক অপদ্রব্যগুলি পৃথক করা হয়। টিনের আকরিক টিনষ্টোন হতে উলফ্রামাইট এইভাবে পৃথক করা হয়।
(iii) তৈল ভাসন পদ্ধতির সাহায্যে সাধারণত সালফাইড আকরিকগুলি, যথা- কপার পাইরাইটিস, গেলেনা, জিংক ব্লেণ্ড এই পদ্ধতিতে গাঢ় করা হয়।
৬। ভস্মীকরণ বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ কোনাে কোনাে আকরিককে উহার গলনাংকের নিম্ন তাপমাত্রায় বায়ুতে উত্তপ্ত করলে জলীয় বাষ্প, CO₂ অর্সেনিয়াস অক্সাইড ইত্যাদি উদ্বায়ী পদার্থ নির্গত হয়। একে ভস্মীকরণ বলে। এর ফলে আকরিক ফঁপা ও সছিদ্র হয়। হিমাটাইটকে (Fe₂O₃) এই জন্য ভস্মীভূত করা হয়। কার্বোনেট আকরিক যথা, ম্যাগনেসাইট (MgCO₃) ও ক্যালামাইন (ZnCO₃)-কে এই পদ্ধতি দ্বারা অক্সাইডে পরিণত করা হয়।
MgCO₃ – MgO + CO₂
ZnCO₃ – ZnO + CO₂
৭। তাপজারণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ কোনাে কোনাে আকরিককে গলনাংক তাপমাত্রার নীচে পর্যাপ্ত পরিমাণ বায়ুর সংস্পর্শে উত্তপ্ত করে জারিত করা হয়। একে তাপজারণ বলে। সালফাইড আকরিক যথা- জিংক ব্লেন্ড ও গেলেনাকে তাপজারণ দ্বারা ধাতুর অক্সাইডে পরিণত করা হয়।
2ZnS + 3O₂ – 2ZnO + 2SO₂
PbS + 3O₂ – 2PbO + 2SO₂
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অনেক সময় ধাতব সালফেট উৎপন্ন করা হয়।
ZnS + ZO₂ – ZnSO₄
৮। প্যারিস প্লাষ্টার-এর ধর্ম ও ব্যবহার লিখ ?
উত্তরঃ ধর্ম – প্যারিস-প্লাষ্টার সাদা পাউডার। জলের সঙ্গে ইহা জমাট বেঁধে খুব শক্ত হয়ে যায়। জল পেয়ে জিপসামে পরিণত হওয়ার জন্য এইরূপ হয়।
2Ca SO₄, HO₂ + 3H₂O – 2 (CaSO₄, 2 H₂O)
ব্যবহার – উঁচ প্রস্তুতে, ঢালাই-এর কাজে, মূর্তি প্রস্তুতিতে, ভাঙ্গা হাড় ব্যান্ডেজ করতে ইহা ব্যবহৃত হয়।
৮। পার্থক্য লিখ ।
(i) খনিজ পদার্থ এবং আকরিক-
উত্তরঃ
খনিজ পদার্থ | আকরিক |
(ক) প্রকৃতিতে পাওয়া মুক্ত এবং যযাজিত পদার্থগুলিকে খনিজ পদার্থ বলে। | (ক) যে সকল খনিজ থেকে ধাতু সহজে সুলভ মূল্যে অধিক পরিমাণে নিষ্কাষণ করা যায় তাকে আকরিক বলে। |
(খ) ধাতুর সব আকরিকই খনিজ পদার্থ। | (খ) সব খনিজ পদার্থই আকরিক নয়। |
(গ) খনিজ পদার্থে ধাতুর পরিমাণ কম থাকে কিন্তু অশুদ্ধির পরিমাণ বেশি থাকে। | (গ) আকরিকে ধাতুর পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তু অশুদ্ধির পরিমাণ খনিজ পদার্থ থেকে কম থাকে। |
(ii) দগ্ধীকরণ এবং তাপজারণ-
উত্তরঃ
দগ্ধীকরণ | তাপজারণ |
(ক) দগ্ধীকরণ প্রক্রিয়ায় সাধারণত অক্সাইড এবং কার্বনেট আকরিককে ধাতুতে জারণ করা হয়। | (ক) তাপজারণ প্রক্রিয়ায় সাধারণত সালফাইড আকরিককে ধাতুতে জারণ করা হয়। |
(খ) এই প্রক্রিয়ায় বায়ুর অনু পস্থিতিতে অথবা সীমিত বায়ুর উপস্থিতিতে আকরিককে উত্তপ্ত করা হয়। | (খ) এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে বায়ুর উপস্থিতিতে আকরিককে উত্তপ্ত করা হয়। |
(গ) এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত উষ্ণতা তাপজারণ অপেক্ষা কম। | (গ) ব্যবহৃত উষ্ণতা দন্ধীকরণ প্রক্রিয়ায় বেশি। |
৯। নীচের মৌলগুলিকে ধাতু, অধাতু এবং ধাতুকল্পে শ্রেণিবিভাগ কর – Ni, S, Mg, Si, P, As.
উত্তরঃ ধাতু → Ni, Mg
অধাতু → S, P, As
ধাতুকল্প → Si
১০। অশুদ্ধ কপারে অশুদ্ধি হিসাবে থাকা চারটি ধাতুর নাম লিখ। এই প্রকার অশুদ্ধ কপার কিভাবে শশাধিত করা হয় ?
উত্তরঃ অশুদ্ধ কপারে অশুদ্ধি হিসাবে থাকা চারটি ধাতু হচ্ছে সিলভার, গােল্ড, নিকেল, জিংক ইত্যাদি।
অশুদ্ধ কপার বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি দ্বারা শােধন করা হয়।
একটি বিদ্যুৎ কোষে কপার সালফেটের দ্রব বিদ্যুৎ বিশ্লেষ্য হিসাবে নেওয়া হয়। অশুদ্ধ কপারের পাত এনােড় হিসাবে এবং বিশুদ্ধ কপারের পাত কেথােড হিসাবে ব্যবহার করে। বিদ্যুৎ প্রবাহ চালিত করা হয় ফলে দ্রবে থাকা কিউপ্রিক আয়ন কেথােডে ইলেকট্রন গ্রহণ করে ধাতব কপার হিসাবে অবক্ষেপিত হয়।
এনােড দণ্ড থেকে কপার কিউপ্রিক আয়ন হিসাবে দ্রবীভূত হয়। কপার থেকে বিদ্যুৎ ধনাত্মক মৌলগুলি আয়ন হিসাবে দ্রবীভূত হয় এবং কপার থেকে কম বিদ্যুৎ ধনাত্মক মৌলগুলি পাত্রের নীচে এনােড হিসাবে জমা হয়। এই প্রক্রিয়া। চলার সময় কেথােড ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং এনােড হিসাবে জমা হয়। এই প্রক্রিয়া চলার সময় কেথােড ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং এনােড ক্রমান্বয়ে ছােট হয়। এই পদ্ধতিতে শােধন করা কপার 99.99% বিশুদ্ধ হয়।
কেথােড – Cu²⁺ 2e⁻ – Cu
এনােড – Cu – Cu²⁺ + 2e⁻
১১। খনিজ মল কাকে বলে ? খনিজ মল কিভাবে দূর করা যায়? উদাহরণসহ লিখ।
উত্তরঃ ধাতুর আকরিকে থাকা নানা প্রকার অশুদ্ধিগুলােকে খনিজ মল বলে। আকরিকে থাকা খনিজ মল দূর করার জন্য ব্যবহৃত পদার্থকে বিগালক বলে। উত্তপ্ত অবস্থায় বিগালক খনিজ মলের সাথে বিক্রিয়া করে গলিত দ্রব্য উৎপন্ন করে যাকে ধাতুমল বলে। ধাতুমলের গলনাংক সাধারণত কম ফলে ধাতুর সঙ্গে মিশ্রণ প্রস্তুত করে না। ধাতুটি বিগলিত অবস্থায় থাকলে ধাতুমল বিগলিত ধাতুর উপর ভেসে থাকে যা ধাতুটিকে বায়ুর দ্বারা জারিত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
3Cao + P₂O₅ → Ca₂ (PO₄)₂
খনিজ মল বিগলিত ধাতুমল
১২। প্রকৃতিতে সােনা কেন মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উত্তরঃ সক্রিয়তা শ্রেণিতে সােনার স্থান একেবারে নীচের দিকে ফলে এটি সহজে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। তাই প্রকৃতিতে সােনা মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
১৩। ধাতুমল কাকে বলে ?
উত্তরঃ খনিজ মল এবং বিগালকের বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া পদার্থকে ধাতুমল বলে।
১৪। নিষ্কলংক ইস্পাতের সংযুতি কি ? এই ইস্পাতের দুটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ নিষ্কলংক ইস্পাতের সংযুতি নিম্নরূপ-
Fe→70%, Cr→19%, Ni→9%, 1% Cu, 0.8% Mn এবং 0.2%C
ব্যবহার- (i) বাসন কোষণ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(ii) শল্য চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।
১৫। ধাতুর সােধন কি কি প্রকারে হয়ে থাকে ?
উত্তরঃ ধাতুর শােধন সাধারণত পাতন এবং বৈদ্যুতিক পরিশােধনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
১৬। ধশুদ্ধ উত্তর বের করাে।
১। এলকালি ধাতুগুলি ধাতবীয় গুণ লিথিয়াম থেকে ফ্রেন্সিয়াম পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বেড়ে যায়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
২। সালফাইড আকরিক ভেনাভাসান পদ্ধতিতে গাঢ় করা হয়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
৩। কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে সােডিয়াম নিষ্কাশন করা হয়।
উত্তরঃ ভুল। বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ সাহায্যে সােডিয়াম নিষ্কাষণ করা হয়।
১৭। ধশূন্যস্থান পূরণ করাে।
১। জিংকের প্রধান আকরিকের নাম ………………..।
উত্তরঃ জিংক ব্লেণ্ড।
২। আকরিককে বায়ুহীন বা কম বায়ুর পরিবেশে উত্তপ্ত করাকে …………….. বলা হয়।
উত্তরঃ দগ্ধীকরণ।
৩। মেগনেলিয়াম ……………..এবং …………….এর সংকর ধাতু।
উত্তরঃ এলুমিনিয়াম, মেগনেসিয়াম।
৪। 14 নং বর্গে থাকা ধাতু দুটি হচ্ছে ……………… এবং………………।
উত্তরঃ টিন, লেড।
৫। সপ্তম পর্যায়ে থাকা সংক্রমণশীল ধাতুর সংখ্যা …………………।
উত্তরঃ 9
৬। সক্রিয়তা শ্রেণিতে নীচে থাকা ধাতুগুলি মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উত্তরঃ হাইড্রোজেনের।
৭। খনিজ মল এবং বিগালকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থকে ……………..বলে।
উত্তরঃ ধাতুমল।
৮। বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে সােডিয়াম নিষ্কাশন করার পদ্ধতিকে ……….…….পদ্ধতি বলে।
উত্তরঃ ডাউন।