Class 12 Economics Chapter 9 দারিদ্র্য

Class 12 Economics Chapter 9 দারিদ্র্য | Class 12 Economics Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter AHSEC Board HS 2nd Year Economics Chapter 9 দারিদ্র্য Notes and select needs one.

Class 12 Economics Chapter 9 দারিদ্র্য

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given AHSEC Board Bengali Medium Class 12 Economics Chapter 9 দারিদ্র্য Solutions for All Subject, You can practice these here.

দারিদ্র্য

Chapter: 9

খ – অংশ (ভারতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। IRDP এর পুরো নামটি কী ?

উত্তরঃ IRDP এর পুরো নাম হল Integrated Rural Development Programme.

প্রশ্ন ২। NREP এর পুরো নামটি কী ? 

উত্তরঃ NREP এর পুরো নাম হল National Rural Employment Programme.

প্রশ্ন ৩। কোন্ সালে ‘গরিবি হঠাও’ শ্লোগান চালু করা হয় ?

উত্তরঃ 1971 সালে।  

প্রশ্ন ৪। দারিদ্রের হার নির্ধারণে সাধারণত কী অনুপা ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ মাথা গুণতি অনুপাত।

প্রশ্ন ৫। ক্যালোরির মাধ্যমে দারিদ্রসীমা পরিমাপকে কী দৃষ্টিভঙ্গী বলা হয় ?

উত্তরঃ জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গী।

প্রশ্ন ৬। দারিদ্রের ফাঁক কোথায় বেশি – শহরাঞ্চলে না গ্রামাঞ্চলে ?

উত্তরঃ গ্রামাঞ্চলে।

প্রশ্ন ৭। MGNREGS কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ পরিবারের একজন সবল ব্যক্তিকে কত দিনের কর্মসংস্থান দেওয়া হয় ?

উত্তরঃ 100 দিনের।

প্রশ্ন ৮। দারিদ্র্যসীমার সংজ্ঞায় দৈনিক কত পরিমাণ ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য ন্যুনতম সীমারূপে ধরা হয়েছে ?

উত্তরঃ 2250 ক্যালোরি।

প্রশ্ন ৯। Integrated Rural Development Programme (IRDP) এর মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তরঃ IRDP এর মূল উদ্দেশ্য গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে উৎপাদনের উপকরণ যোগান দিয়ে তাদের স্বনিযুক্তিতে সাহায্য করা।

প্রশ্ন ১০। দারিদ্র্য পরিমাপের মাথাগোণা পদ্ধতি কাকে বলে ?

উত্তরঃ দারিদ্র্য পরিমাপের মাথাগোণা পদ্ধতিতে দারিদ্ররেখার নীচে কতজন মানুষ আছে তাই গণনা করা হয় এবং মোট জনসংখ্যার শতকরা কতভাগ দারিদ্র্য রেখার নীচে তাই দেখা হয়।

প্রশ্ন ১১। TRIPS বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ TRIPS হল Trade Related Intellectual Property Rights.

প্রশ্ন ১২। মাথা গুণতি অনুপাত দ্বারা কী পরিমাপ করা হয় ?

উত্তরঃ দারিদ্র্য।

প্রশ্ন ১৩। সাধারণ অর্থে, দারিদ্র্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ দরিদ্রতা এমন এক অবস্থাকে বুঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি তার জীবনের মৌলিক প্রয়োজনসমূহ যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুবিধাসমূহ আহরণে ব্যর্থ হয়।

প্রশ্ন ১৪। ট্রাইসেম (TRYSEM) প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তরঃ গ্রামীণ যুবকদের স্বনিযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া।

প্রশ্ন ১৫। মধ্যাহ্ন আহার প্রকল্প কবে শুরু হয়েছে ?

উত্তরঃ 1995 সালে।

প্রশ্ন ১৬। ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানটি কোন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ?

উত্তরঃ চতুর্থ পরিকল্পনায়।

প্রশ্ন ১৭। National Food for Work Programme কত সালে চালু হয়েছিল ?

উত্তরঃ 2004 সালের 14 নভেম্বর।

প্রশ্ন ১৮। ভারতের কোন্ রাজ্যে দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থানকারী লোকের সংখ্যা সবচেয়ে কম ?

উত্তরঃ গোয়া। (5.09%)

প্রশ্ন ১৯। ভারতের কোন্ রাজ্যে দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থানকারী লোকের সংখ্যা সর্বাধিক ?

উত্তরঃ ছত্রিশগড়। (39.93%)

প্রশ্ন ২০। আসামে দারিদ্র্যের অনুপাত কত ?

উত্তরঃ 31.65%.

প্রশ্ন ২১। ‘অন্তোদয় অন্ন যোজনা’ কত সালে তর্ত হয়েছিল ?

উত্তরঃ 2000 সালে।

প্রশ্ন ২২। স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা কত সালে প্রবর্তিত হয় ?

উত্তরঃ 1999 সালের এপ্রিল মাসে।

প্রশ্ন ২৩। বিশ দফা কর্মসূচি (Twenty Point Programme) কত সালে শুরু হয় ?

উত্তরঃ 1975 সালে।

প্রশ্ন ২৪। IRDP ও NREP কোন্ পরিকল্পনায় শুরু হয়েছিল ?

উত্তরঃ ষষ্ঠ পরিকল্পনায়।

প্রশ্ন ২৫। সুসংহত শিশু উন্নয়ন কর্মসূচি (ICDS) কোন পরিকল্পনায় গৃহীত হয় ?

উত্তরঃ দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়।

প্রশ্ন ২৬। National Social Assistance Program বা ‘জাতীয় সামাজিক বার্ধক্য পেনশন’ কর্মসূচি কোন পরিকল্পনায় চালু হয় ?

উত্তরঃ দ্বাদশ পরিকল্পনায়।

শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করো।

প্রশ্ন ১। ভারতে দারিদ্রসীমার নির্ধারিত হয় –

(ক) জনগণের জীবনযাত্রার মান দ্বারা।

(খ) অধিকাংশের আয়ন্তর দ্বারা।

(গ) জনগণের ক্যালোরি গ্রহণের সূচক দ্বারা।

(ঘ) উপরের কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ (গ) জনগণের ক্যালোরি গ্রহণের সূচক দ্বারা।

প্রশ্ন ২। ভারত সরকার কর্তৃক পরিবার পরিকল্পনা নীতি কোন্ সালে গৃহীত হয় ?

(ক) 1950 

(খ) 1952

(গ) 1956

(ঘ) 1962

উত্তরঃ (খ) 1952

প্রশ্ন ৩। দারিদ্র্যের সূচক নির্ণয় করা হয় কীসের ভিত্তিতে?

(ক) সম্পদের বন্টন।

(খ) আয়ের বন্টন।

(গ) কোনোমতে জীবনধারণের জন্য ভোগব্যয়ের পরিমাণ।

(ঘ) কর্মস্থানজনিত পরিস্থিতি।

উত্তরঃ (গ) কোনোমতে জীবনধারণের জন্য ভোগব্যয়ের পরিমাণ।

প্রশ্ন ৪। দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের কোন প্রকল্পটি গ্রামীণ গরিবদের প্রভূত সহায়তা করেছে ?

(ক) জওহর রোজগার যোজনা।

(খ) ইন্দিরা গান্ধী গ্রামীণ গৃহনির্মাণ প্রকল্প।

(গ) জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (NREGA)

(ঘ) কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্প।

উত্তরঃ (গ) জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প।

প্রশ্ন ৫। BPL মানে –

(ক) Below Poverty Line (দারিদ্র্যসীমার নিচে)।

(খ) Behind Public Litigation (সরকারি মামলার পিছনে)।

(গ) Beyond Private Limits (ব্যক্তিগত সীমার বাইরে)।

(ঘ) Barren Public Land (অনুর্বর সরকারি জমি)।

উত্তরঃ (ক) Below Poverty Line.

প্রশ্ন ৬। ভারতে দারিদ্র্যরেখার নিচে নিম্নলিখিত শতাংশ জনসংখ্যা বাস করে –

(ক) 30% এর নীচে।

(খ) 50% এর ঊর্ধ্বে।

(গ) 70% এর ঊর্ধ্বে।

(ঘ) 20% এর নীচে।

উত্তরঃ (ক) 30% এর নীচে।

প্রশ্ন ৭। আজীবিকা বা ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন (NRLM ) পূর্বতন কোন কর্মসূচির রূপান্তরিত কর্মসূচি ?

(ক) স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা।

(খ) স্বর্ণজয়ন্তী শহরী রোজগার যোজনা।

(গ) প্রধানমন্ত্রী গ্রামোদয়া যোজনা।

(ঘ) উপরের কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ (ক) স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা।

প্রশ্ন ৮। দারিদ্র্যের প্রকোপ পরিমাপের প্রণালী নির্ধারণের জন্য কত সালে সুরেশ তেণ্ডুলকর কমিটি তার রিপোর্ট পেশ করেন ?

(ক) 2007 সালে।

(খ) 2008 সালে।

(গ) 2009 সালে।

(ঘ) 2010 সালে।

উত্তরঃ (গ) 2009 সালে।

প্রশ্ন ৯। সুরেশ তেণ্ডুলকরের প্রণালী অনুযায়ী, ভারতে 2004-05 সালের 37.2% দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থানকারী লোক কমে 2011-12 তে দাঁড়ায় শতাংশ।

(ক) 21.92

(খ) 31.92

(গ) 28.92

(ঘ) 27.92

উত্তরঃ (ক) 21.92

প্রশ্ন ১০। ভারতের কোন্ পরিকল্পনাকালে সরাসরি দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি গৃহীত হয় ?

(ক) চতুর্থ পরিকল্পনা।

(খ) পঞ্চম পরিকল্পনা।

(গ) ষষ্ঠ পরিকল্পনা।

(ঘ) সপ্তম পরিকল্পনা।

উত্তরঃ (খ) পঞ্চম পরিকল্পনা।

প্রশ্ন ১১। নীচের কোন অর্থনীতিবিদের নাম দারিদ্র্যের পরিমাপের সঙ্গে যুক্ত নয় ?

(ক) মিনহাস।

(খ) মহালনবিশ। 

(গ) প্রণব বর্ধন।

(ঘ) ডাণ্ডেকার ও রথ।

উত্তরঃ (খ) মহালনবিশ।

প্রশ্ন ১২। ভারতে আয় বৈষম্যের প্রধান কারণ হল-

(ক) জনসংখ্যা বৃদ্ধি। 

(খ) মুদ্রাস্ফীতি। 

(গ) কালো টাকা। 

(ঘ) বেকারত্ব।

উত্তরঃ (ঘ) বেকারত্ব।

প্রশ্ন ১৩। নীচের কোনটি আয় বৈষম্যের কারণ হয় –

(ক) কর ফাঁকি।

(খ) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। 

(গ) ভূমিসংস্কার। 

(ঘ) বেকারসমস্যা।

উত্তরঃ (গ) ভূমি সংস্কার।

প্রশ্ন ১৪। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ নিয়োগ সুনিশ্চিতকরণ আইন/প্রকল্প গ্রহণ করা হয় –

(ক) 2001 সালে।

(খ) 2004 সালে। 

(গ) 2005 সালে।

(ঘ) 2006 সালে।

উত্তরঃ (গ) 2005 সালে।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন ১। ভারতের আয় বৈষম্যের দুটি কারণ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতের আয় বৈষম্যের দুটি কারণ নিম্নরূপঃ

(১) আয় বৈষম্যের একটি কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রেই বেতন বৃদ্ধি পায় কিন্তু জনসংখ্যার যে ব্যাপক অংশ সংগঠিত ক্ষেত্রের বাইরে রয়েছে তাদের মজুরি বাড়ে না। তাঁর ফলে আয় বৈষম্য বৃদ্ধি পায়।

(২) ভারতে আয় বৈষম্যের আর একটি কারণ বেকার সমস্যা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বাড়েনি। তার ফলে সৃষ্ট আয় অনেক লোকের মধ্যে বণ্টিত হয় নি। সেজন্য আয় বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রশ্ন ২। ভারতে দারিদ্র্য দূর করার জন্য গৃহীত দুটি ব্যবস্থার উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ (১) গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের পরিমাণ অধিক বলে গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র দূর করার জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল MGNREGA। এই স্কীমের উদ্দেশ্য হল প্রতি গ্রামীণ পরিবারের অন্তত একজনকে বছরে 100 দিনের কাজ দেওয়া।

(২) দারিদ্র্যের আর একটি কারণ মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিরোধ করে দামস্তরে স্থায়িত্ব আনার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যশস্য দরিদ্র মানুষদের মধ্যে কমদামে বিলি করা তাদের মধ্যে অন্যতম।

প্রশ্ন ৩। দারিদ্র্য রেখার সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বেঁচে থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কিছু পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করতে হবে। যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোনো একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালরি পেতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রীকে নিম্নতম মান হিসাবে ধরা হয়। বাজার থেকে এই সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী কিনতে যা খরচ লাগে টাকার অংকে সেটাই দারিদ্র্য রেখার সংজ্ঞা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে না তাদের বলা হয় দারিদ্র্য রেখার নিচে। অন্যদিকে যারা এই পরিমাণ ভোগ ব্যয় করতে পারে তারা দারিদ্র্য রেখার উপরে রয়েছে বলা হয়।

প্রশ্ন ৪। ভারতে দারিদ্র্যের দুটি কারণ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতে দারিদ্র্যের দুটি কারণ হল –

(১) বেকারত্ব।

(২) মূল্যবৃদ্ধি।

প্রশ্ন ৫। দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র (Vicious Cycle of Poverty) বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রের বক্তব্য হল: কোনো দেশ দরিদ্র কারণ এটি দরিদ্র। এটি এইভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। অনুন্নত দেশে আয় কম, সেজন্য সঞ্চয় কম। সঞ্চয় কম বলে মূলধন গঠন কম এবং বিনিয়োগ কম। বিনিয়োগ কম হওয়ায় মূলধন কম।

প্রশ্ন ৬। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুইটি রাজ্যের নাম লেখো যাদের দারিদ্র্যের অনুপাত কম ?

উত্তরঃ সিকিম (8.19%), ত্রিপুরা (14.05%)।

প্রশ্ন ৭। ভারতে আয় বৈষম্য হ্রাস করার জন্য গৃহীত দুটি ব্যবস্থার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) জমির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ এবং উদ্বৃত্ত জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্টনের ব্যবস্থা।

(২) অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির জন্য গৃহীত ব্যবস্থা।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। ভারতবর্ষে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দাও।

উত্তরঃ ভারতবর্ষে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

(১) অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য শ্রম-নিবিড় উৎপাদন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে গরিবদের শুধু এককালীন অর্থসাহায্য করলেই চলবে না। পরিবর্তে তাদের হাতে উৎপাদনশীল সম্পদ তুলে দিতে হবে। ওই সম্পদ থেকে নিয়মিত আয় প্রবাহ ঘটবে এবং এর ফলে দারিদ্র্যের প্রকোপ হ্রাস পাবে।

(২) দারিদ্র্যের সমস্যার মূলে রয়েছে উৎপাদনের উপকরণগুলির অসম মালিকানা। উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা রূপান্তর না ঘটাতে পারলে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। যতদিন পর্যন্ত না উৎপাদনের উপকরণগুলির সুষম বন্টন সম্ভব হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব নয়।

(৩) জমির ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে সেই আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত এবং উদ্বৃত্ত জমি গ্রামীণ জনসাধারণের মধ্যে বন্টন করা দরকার। এতে গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণের আয় বৃদ্ধি ঘটবে।

(৪) রাজ্যের ব্যবস্থার হাতে সবকিছু ছেড়ে দিলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি পরিষেবা দরিদ্রের নাগালের বাইরে চলে যাবে। সরকারকে এগুলি দরিদ্রদের কাছে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দিতে হবে।

(৫) দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আর একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হল মূল্যস্তরের স্থায়িত্ব। যদি জিনিষপত্রের দাম বাড়া বন্ধ না করা যায় তাহলে আর্থিক আয় যেটুকু বাড়বে দামস্তর বাড়ার ফলে তার প্রভাব বাতিল হয়ে যাবে এবং দারিদ্র্যের সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সেজন্য দামস্তরে স্থায়িত্ব আনা বা মুদ্রাস্ফীতি দূর করা দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য অপরিহার্য।

(৬) ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ভারতে দারিদ্র্যের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। সুতরাং, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সফল রূপায়ণ একান্ত আবশ্যক।

প্রশ্ন ২। সংস্কার পরবর্তী সময়কালে ভারত সরকারের প্রবর্তিত দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচির নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ নিয়োগ নিশ্চয়তা বিধি (MGREGA)।

(২) ইন্দিরা আবাস যোজনা (IAY) 

(৩) জাতীয় সমাজ সহায়ক কর্মসূচি (NSAP)

(৪) জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM)

(৫) মিড-ডে মিল স্কিম (MDMS)

(৬) সুসংহত শিশু উন্নয়ন কর্মসূচি (ICDS)

(৭) প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)

(৮) সমগ্র শিক্ষা অভিযান (SSA)

(৯) রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ যোজনা (RGGVY)

(১০) জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন (NRLM)

(১১) স্বচ্ছ ভারত অভিযান।

(১২) প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা।

প্রশ্ন ৩। দরিদ্রতা কাকে বলে ? ভারতে কত শতাংশ লোক দরিদ্র ?

উত্তরঃ গ্রামাঞ্চলে যে ব্যক্তি দৈনিক 2400 কেলোরি এবং নগরাঞ্চলে 2100 কেলোরি পরিমাণের আহার আহরণ করতে অক্ষম তাকে দরিদ্র বলে। অধ্যাপক তেণ্ডুলকরের প্রতিবেদন অনুসারে 2009-10 সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার 29.8% লোক দরিদ্র সীমারেখার নিম্নে বসবাস করে। রঙ্গরাজন সমিতির প্রতিবেদন অনুসারে ভারতে 2011-12 সালে মোট জনসংখ্যার 29.5% লোক দরিদ্র সীমারেখার নিম্নে বসবাস করে।

প্রশ্ন ৪। সরকারের দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা তেমন সফল না হওয়ার কারণগুলি লেখো।

উত্তরঃ চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে অগণিত দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা সত্ত্বেও স্বাধীনতার 70 বছর পরে আজও ভারতে দারিদ্র্য দূর হয় নি। 

দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা তেমন সফল না হওয়ার পেছনে কারণগুলো হল –

(১) বিভিন্ন প্রকল্পগুলোতে যে খরচ করা হয়েছে তার সুযোগ গরিব মানুষের কাছে কতটা গেছে তা সন্দেহজনক। অনেকক্ষেত্রেই প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি এর সুবিধা নিয়েছে।

(২) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার অভাব লক্ষ করা যায়। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে সরকারি সাহায্য বণ্টিত হয়। ফলে যার পাবার সে পায় না।

(৩) প্রকল্পগুলো তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্যের ওপর জোর দিলেও দীর্ঘকালীন স্থায়ী সুযোগ সৃষ্টির ওপর ততটা জোর দেয় না। ফলে স্বল্পকালীন কিছু অনুগ্রহের বিতরণ হলেও স্বনিযুক্তির মত স্থায়ী সমাধান কমই হয়েছে।

(৪) অমর্ত্য সেন বলেন, ‘দারিদ্র্য বৈষম্যের ক্রিয়া’। সুতরাং একটা বৈষম্যমূলক ব্যক্তিগত সম্পত্তিভিত্তিক আর্থ-সামাজিক কাঠামোয় দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি দারিদ্র্য দূরীকরণে তেমন সাহায্য করতে পারে না।

সরকারের এই ব্যর্থতা অধ্যাপক প্রণব বর্ধনের একটা উক্তিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়। তিনি মন্তব্য করেন, ‘ইংরেজ আমলে অনেকদিনের অর্থনৈতিক অবনতি এবং অবক্ষয়ের পর স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতবর্ষ ছিল বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম দেশ। তারপর গত কয়েক দশকে দেশের দরিদ্রমোচন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অনেক গোলাপী আশা এবং মঞ্চ কাঁপানো রাজনৈতিক বক্তৃতার পরও দারিদ্র্যের এই দুর্বিসহ বোঝার বিশেষ লাঘব হয়নি। পঞ্চতন্ত্রের এক উপকথায় আছে, প্রজা এসে রাজার কাছে নিবেদন করেছে, মহারাজ, আপনি হুকুম দিয়ে দারিদ্র্যকে দেশ থেকে নির্বাসন দিয়েছেন, এখন সেই বেয়াদব এসে লুকিয়েছে আমার ঘরে, যাবার নাম করে না।’

প্রশ্ন ৫। দারিদ্র্য সীমারেখা কী ? দারিদ্র্য সীমারেখা কীভাবে দরিদ্রতা ব্যাখ্যা করে ?

উত্তরঃ পরিকল্পনা আয়োগের মতে, গ্রামীণ জনগণ যদি প্রতিদিন 2400 ক্যালোরি এবং শহরে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি যদি 2100 ক্যালোরি ভোগ করতে না পারে তাহলে সে দারিদ্র্য সীমার নীচে আসে। তেণ্ডুলকর কমিটির মতে, শহরাঞ্চলের এক ব্যক্তির একদিনে 33 টাকা এবং গ্রামাঞ্চলের মাথাপিছু একদিনে 27 টাকা উপার্জনকে দারিদ্র্যসীমা হিসাবে সাব্যস্ত করে। অর্থাৎ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি শহুরে পরিবারের মাসিক 5000 টাকা উপার্জনকে দারিদ্র্যসীমা হিসাবে সাব্যস্ত করে। অর্থাৎ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি শহুরে পরিবারের মাসিক 4050 টাকা উপার্জনকে দারিদ্রসীমা ধরা হয়। এই কমিটির দ্বারা নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার ধারণা অনুযায়ী 2011-12 সালে ভারতের জনসংখ্যার 21.92% দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করত যা সংখ্যায় ছিল 27 কোটি।

প্রশ্ন ৬। দারিদ্র্যসীমার নির্ণয়ের জন্য ভারত সরকারের গঠিত ৪ টি কমিটির নাম লেখো।

উত্তরঃ  (১) যোগিন্দর আলাঘ কমিটি – এই কমিটি 1979 সালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

(২) লাখদাওয়ালা কমিটি – এই কমিটি 1993 সালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

(৩) সুরেশ তেণ্ডুলকার কমিটি – এই কমিটি 2009 সালে চূড়ান্ত দলিল দাখিল করে।

(৪) সি. রঙ্গরাজন কমিটি – এই কমিটি 2014 সালে চূড়ান্ত দলিল দাখিল করে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। ভারতে দারিদ্র্যের জন্য দায়বদ্ধ কারণসমূহ সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সত্ত্বেও দারিদ্র্য দূরীভূত হয় নি। 

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি নিম্নরূপ –

(১) বেকারত্ব: দারিদ্র্যের প্রধান কারণ হল বেকারত্ব। ভারতের পরিকল্পনাকালে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপর তেমন কোনো জোর দেওয়া হয়নি। পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আগে দারিদ্র্য বা বেকারত্ব দূর করার জন্য কোনো প্রত্যক্ষ কর্মসূচি গৃহীত হয়নি। ফলে প্রতিটি পরিকল্পনার শেষে বেকারত্বের পরিমাণ বেড়েছে।

(২) মুদ্রাস্ফীতি: ভারতের ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যের আর একটি কারণ মুদ্রাস্ফীতি। দামস্তর বাড়তে থাকায় জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে জনসংখ্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৩) জনসংখ্যা বৃদ্ধি: ভারতে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ব্যাপক দারিদ্র্যের একটি প্রধান কারণ। পরিকল্পনাকালে জাতীয় আয় বেড়েছে বটে কিন্তু তার সাথে সাথে জনসংখ্যা ও দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মাথাপিছু আয় সামান্য বেড়েছে। এজন্য দারিদ্র্য রয়ে গেছে।

(৪) সম্পদ বন্টনে বৈষম্য: সম্পদ বন্টনে বৈষম্য ও দারিদ্র্যের আরো একটি বড়ো কারণ। শহরাঞ্চলে পুঁজিপতিরা এবং গ্রামাঞ্চলে জমির মালিকেরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল ভোগ করেছে। উন্নয়নের সুফল দরিদ্রদের কাছে গিয়ে পৌঁছায়নি। ফলে উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য ও বৈষম্য বেড়েছে।

(৫) সম্পদের নির্গমন: বিদেশি পুঁজি, বহুজাতিক সংস্থা প্রভৃতি প্রবেশের ফলে ভারত থেকে বিদেশে সম্পদ স্থানান্তরিত হয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই সম্পদের এই নিষ্কাশন ঘটে চলেছে। ভারতে দারিদ্র্যের এটিও একটি কারণ।

(৬) লিঙ্গ বৈষম্য: সমাজে লিঙ্গ বৈষম্যের দরুণ মহিলাদের নিয়োগের সুযোগ কম, তাদের মজুরি কম, তারা নানা বঞ্চনার শিকার। এই লিঙ্গ বৈষম্য ও দারিদ্র্যের অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রশ্ন ২। ভারত সরকার গ্রহণ করা দরিদ্রতা দূর করার পরিকল্পনাসমূহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ চতুর্থ পরিকল্পনা পর্যন্ত দারিদ্র্য দূরীকরণের কোনো কর্মসূচি ছিল না। এই পরিকল্পনাগুলিতে মনে করা হয়েছিল যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে দরিদ্র জনসংখ্যার পরিমাণ কমে আসবে। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেল যে, প্রতিটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দরিদ্র জনসংখ্যার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। 1971 সালে সংসদীয় নির্বাচনের আগে গরিবি হঠাও শ্লোগান দেওয়া হয়।

এরপর, পঞ্চম পরিকল্পনাতে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই পরিকল্পনায় দরিদ্র জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন প্রকল্প (Minimum Needs Programme) গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসার সুযোগ, পুষ্টি বৃদ্ধি, বস্তি উন্নয়ন, গ্রামের রাস্তা উন্নয়ন প্রভৃতি।

গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের পরিমাণ অধিক। তাই গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করার জন্য বিশেষ কয়েকটি কার্যসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই কার্যসূচিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সুসংহত গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প (Integrated Rural Development Programme বা IRDP), জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প (National Rural Employment Programme বা NREP) এবং গ্রামীণ ভূমিহীনদের কর্মসংস্থান প্রকল্প (Rural Landless Employment Gurantee Programme বা RLEGP)। পরে এগুলিকে জওহর রোজগার যোজনার আওতায় আনা হয়। গ্রামীণ কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ও কর্মসূচি গৃহিত হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম স্বনিযুক্তির উদ্দেশ্যে গ্রামীণ যুবকদের শিক্ষা (Training for Rural Youth for Self-employment বা TRYSEM) নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হল – 

(১) স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা (SGSY) 

(২) ইন্দিরা আবাস যোজনা। 

(৩) অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা। 

স্বনিযুক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে দরিদ্রতা ও বেকারত্বের সমস্যা সমাধান করাই SGSY এর মূল উদ্দেশ্য। 2005 সালে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন বলবৎ হয়েছে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামোর ভিত উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়নের নিরিখে মজুরিভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের লোকদের জীবনধারনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ। এই আইনের সফল রূপায়নের জন্য প্রতি গ্রামীণ পরিবারের অন্তত একজনকে বছরে 100 দিনের কাজের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সাম্বপ্রতিককালে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি প্রকল্প গৃহীত হয়। 

এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য – 

(১) দীনদয়াল উপাধ্যায়া গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা। 

(২) দীনদয়াল উপাধ্যায়া অন্ত্যোদয় যোজনা। 

(৩) প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা। 

(8) JAM Number Trinity Solution.

গ্রামাঞ্চলের গরিবদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করাই দীনদয়াল উপাধ্যায়া গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনার উদ্দেশ্য। শহরাঞ্চলের বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে ব্যাংকের ঋণ ও ভর্তুকি প্রদান করে SHG তৈরি করে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সমস্যা সমাধানই হল দীনদয়াল উপ্যাধ্যায়া অন্ত্যোদয় যোজনার মূল উদ্দেশ্য।

JAM Number Trinity Soultion যেখানে JAM হল Jan Dhan Yojana, Adadhar & Mobile – এই শব্দগুচ্ছের সমন্বয়ে গঠিত একটি সাংকেতিক শব্দ। Trinity বলতে বুঝায় ‘Three in one’ অর্থাৎ তিনের সমন্বয়ে এক। মূলত, এই তিনটি বিশেষ প্রণালীর মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকি ও অন্যান্য আর্থিক সাহায্য সুবিধাভোগীরা পেয়ে যাবেন। ভারতীয় অর্থনীতিতে দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যমে প্রতিটি চক্ষু থেকে অশ্রুধারা মোচন করার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতের বর্তমান মোদী সরকার এই অভিনব কর্মসূচির অবতারণা করেছে।

প্রশ্ন ৩। ভারতে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দারিদ্র্যের আঞ্চলিক বন্টন নিয়ে আলোচনা করো।

উত্তরঃ সুরেশ তেণ্ডুলকার কমিটির দ্বারা নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার ধারণা অনুযায়ী তে দেশের মোট জনসংখ্যার দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যা। এই কমিটির হিসেবমত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দারিদ্র্যের আঞ্চলিক বন্টনে বিভিন্ন রয়েছে। রাজ্যস্তরের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, কতকগুলি রাজ্যের অবস্থা জাতীয় গড়ের ওপরে। এই রাজ্যগুলি হল ছত্রিশগড় (39.9%), ঝাড়খণ্ড (36.9%), মণিপুর (36.9%), অরুণাচল প্রদেশ (34.7%), বিহার (32.6%), ওড়িশা (32.5%), আসাম (31.9%) এবং মধ্যপ্রদেশ (31.6%)। এই সমস্ত রাজ্যে দরিদ্র জনসংখ্যার অনুপাত জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। আবার জাতীয় গড়ের নীচে রয়েছে গোয়া (5.09%), কেরালা (7.05%), হিমাচল প্রদেশ (8.06%), সিকিম (8.19%), পাঞ্জাব (8.26%), অন্ধ্রপ্রদেশ (9.20%), জম্মু ও কাশ্মীর ( 10.3%), হরিয়ানা ( 11.16%)। আর একটি বিষয় লক্ষ করার আছে। সেটি হল যে অধিকাংশ রাজ্যেই শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের আধিক্য রয়েছে। তবে কয়েকটি রাজ্য যেমন – অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ হল এর ব্যতিক্রম। কৃষির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটায় এই রাজ্যগুলিতে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম।

প্রশ্ন ৪। সরকার দ্বারা গৃহীত ত্রিমুখী দারিদ্র্যমোকাবিলা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সরকার গৃহীত দারিদ্র্য মোকাবিলা ত্রিমুখী।

প্রথমত, বৃদ্ধিমুখী পদক্ষেপ: এটি এই অভিধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে দরিদ্র্য জনসংখ্যার পরিমাণ কমে যাব। তৃতীয় পরিকল্পনা পর্যন্ত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আলাদা কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।

দ্বিতীয়ত, শ্রমভিত্তিক প্রকল্প: চতুর্থ পরিকল্পনা থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য মজুরি-ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। 1971-72 সালে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য জরুরি কর্মসূচি, 1977-78 সালে কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্প, IRDP, NREP ইত্যাদি আরম্ভ হয়েছিল। 2005 সালের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ নিয়োগ নিশ্চয়তা আইন একটি মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচি।

তৃতীয়ত, সুবিধার পদক্ষেপ: 1997 সালে গণবন্টন ব্যবস্থা চালু হয়। এই বন্টন ব্যবস্থায় দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারিদের জন্য বিশেষ ধরনের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। যার মাধ্যমে গরিব লোকেদের সরকারি আর্থিক সাহায্য দানের মাধ্যমে খুবই কমদামে রেশনের দোকানে চাল ও গমের মতো অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু সরবরাহ করার ব্যবস্থাপনা গৃহীত হয়। 2000 সালে ‘অন্তোদয় অন্ন যোজনা’ প্রবর্তিত হয়। এই যোজনার অধীনে প্রতি গরিব পরিবারকে প্রতি মাসে 3 টাকা দামে 35 কেজি চাল এবং 2 টাকা দামে 35 কেজি গম বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশ্ন ৫। দারিদ্র্য কয় প্রকার ও কী কী ? ব্যাখ্যা করো। উন্নত দেশগুলিতে কোন ধরনের দরিদ্রতা দেখা যায়।

উত্তরঃ দরিদ্রতা মূলত দুই প্রকার দরিদ্রতার চরম ধারণা বা চূড়ান্ত দারিদ্র্য এবং দরিদ্রতার আপেক্ষিক ধারণা বা আপেক্ষিক দারিদ্র্য।

চরম দারিদ্র্য বলতে এমন একটি আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিকে বুঝায় যেখানে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ তাদের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে অসমর্থ। এখানে জীবনধরণের ম্যূনতম মান ব্যক্তির আয় বা ভোগ্যব্যয়ের হিসাবে ধরা হয়। এই অর্থে যারা ন্যূনতম ভোগব্যয়ের মাধ্যমে জীবনধারণের সর্বনিম্ন মানটিকে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে না তাদেরকে চূড়ান্ত দারিদ্র্য বলে অভিহিত করা হয়। সাম্প্রতিক সরকারি হিসেবে জনসংখ্যার 21 শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য রেখার নীচে বসবাস করে যারা চূড়ান্ত দারিদ্র্যদশায় নিমজ্জিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা বাসস্থান দূরের কথা টিকে থাকার জন্য যে ন্যূনতম পুষ্টি দরকার তাও এদের জোটে না।

আপেক্ষিক দারিদ্র্য বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর তুলনায় খারাপ জীবনযাপন করার অবস্থা। যদি আমরা আপেক্ষিক অর্থে দরিদ্র জনসাধারণের কথা ধরি তবে দেখি যে, ভারত হল দারিদ্র্যের মাঝে এক প্রাচুর্য্যের দ্বীপ যেখানে সবচেয়ে গরিব 20 শতাংশ মানুষ জাতীয় আয়ের মাত্র ৪ শতাংশ ভোগ করে। অর্থাৎ ভারতে চূড়ান্ত অর্থে যেমন দারিদ্র্য বর্তমান তেমনি অর্থেও দারিদ্র্য বিরাজ করে। দারিদ্র্য একসঙ্গে স্বল্প মাথাপিছু আয়ের ক্রিয়া আবার বন্টন বৈষম্যের ফল বলে মনে করা যায়। উন্নত দেশগুলিতে দরিদ্রতার চরম মাত্রার সমস্যাটি বিরল। এই সমস্ত দেশগুলিতে আয় ও ভোগ ব্যয়ের বৈষম্যের ভিত্তিতে দরিদ্রতা সমস্যাটিকে অনুধাবন করা হয়ে থাকে। সুতরাং উন্নত দেশগুলিতে দরিদ্রতার আপেক্ষিক ধারণাটি গ্রহণযোগ্য।

প্রশ্ন ৬। দারিদ্র্য সীমারেখার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এস. তেণ্ডুলকার কমিটি ও সি. রঙ্গরাজন কমিটি তুলনামূলক বিচার করো।

প্রশ্ন ৭। ভারতীয় অর্থনীতির সম্মুখে বর্তমান প্রত্যাহ্বানগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ বর্তমান ভারতের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সমস্যা হল –

(১) দারিদ্র্য।

(২) গ্রামীণ বিকাশ।

(৩) পরিকাঠামো উন্নয়ন।

(৪) নিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি।

(৫) বহনীয় উন্নয়ন/সুস্থায়ী উন্নয়ন।

(৬) মানব মূলধন গঠন।

প্রশ্ন ৮। ভারতে আয় বৈষম্য দূরীকরণের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত পাঁচটি পদ্ধতি আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতে আয় বৈষম্য দূরীকরণের জন্য সরকার কিছু কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য পাঁচটি হল নিম্নরূপ –

(১) গ্রামাঞ্চলে আয় বৈষম্য কমাবার জন্য জমির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উদ্বৃত্ত জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(২) কোম্পানীর লভ্যাংশে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত অধিকার স্বীকার করে বোনাস আইন প্রণীত হয়েছে।

(৩) অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি আইন প্রণীত হয়েছে।

(৪) বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য স্বনিযুক্তি প্রকল্পে ঋণ দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া NREGS এর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে দিনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(৫) গ্রামের বৃদ্ধ, দিনমজুর ও অসহায় বিধবাদের পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা এবং কর্মহীনদের জন্য বেকার ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৯। বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক কী ? বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের নির্দেশকগুলি কী কী ?

উত্তরঃ 2010 সালে ‘অক্সফোর্ড পভাটি এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ’ এবং ‘ইউ এন ডি পি’ যৌথভাবে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সুচক (Multi-dimensional Poverty Index বা MPI) ধারণাটির উদ্ভাবন করেন। সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) মানব উন্নয়ন সূচক পরিমাপের উদ্দেশ্যে পূর্বতন মানব দারিদ্র্য সূচকের পরিবর্তে MPI ব্যবহার করে।

এই বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের (MPI) মূল তিনটি মাত্রা হল – শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনধারণের মান। তবে, এই তিনটি মাত্রার মোট দশটি সূচক আছে। 

এই সূচকগুলি নীচে উল্লেখ করা হল –

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মাত্রাটির মূল সূচকগুলি হল – 

(১) শিশুমৃত্যু। 

(২) পুষ্টি।

শিক্ষা সংক্রান্ত মাত্রাটির মূল সূচকগুলি হল – 

(৩) যত বছর স্কুলে গিয়েছে 

(৪) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুর তালিকাভুক্তিকরণ।

জীবনধারনের মানের সূচকগুলি হল – 

(৫) রান্নার গ্যাস। 

(৬) অনাময় ব্যবস্থা। 

(৭) পানীয় জল। 

(৮) বিদ্যুৎ। 

(৯) গৃহতল। 

(১০) সম্পদ।

বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের মান 0 থেকে 1 এর মধ্যে অবস্থিত। 2011 সালের ঘোষিত প্রতিবেদনে ভারতের ক্ষেত্রে এই মান দাঁড়ায় 0.283।

প্রশ্ন ১০। টীকা লেখো –

(ক) রাষ্ট্রীয় মহিলা কোষ। 

(খ) ইন্দিরা গান্ধী মাতৃত্ব সহায়ক যোজনা। 

(গ) রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান।

উত্তরঃ (ক) রাষ্ট্রীয় মহিলা কোষ: 1993 সালে মহিলা ও শিশু কল্যাণের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার এই কর্মসূচি চালু করে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মসূচি চালু হয়। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল গ্রাম ও শহর নির্বিশেষে সারা ভারতের মহিলাদের যোগ্য সংস্থার মাধ্যমে স্বরোজগারী গোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্র ঋণের বন্দোবস্তকরণ।

(খ) ইন্দিরা গান্ধী মাতৃত্ব সহায়ক যোজনা: এই যোজনা 2010 সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল – গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধবতী মায়েদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা। এই কর্মসূচি Direct Benefit Transfer বা DBT এর মাধ্যমে রূপায়িত হচ্ছে।

(গ) রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান (RMSA): এই কর্মসূচিটি 2009 সালের মার্চ মাসে চালু হয়। এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হল সঙ্গত দূরত্বের মধ্যে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে ও স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যান্য ক্ষেত্রে অনুকূল বাতাবরণ সৃষ্টি করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণিতে হাজিরা 75 শতাংশে পৌঁছানো। সেই সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা। শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ করা ও শিক্ষাব্যবস্থায় আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধকতা দূর করা হল এই অভিযানের অভীষ্ট লক্ষ্য। এই অভিযানের মাধ্যমে দ্বাদশ পরিকল্পনার শেষে অর্থাৎ 2017 সালের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার সংকল্প গৃহীত হয় এবং 2020 সালের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন অধিকারের মর্যাদা প্রদানের সংকল্প গৃহীত হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top