Class 10 Social Science Chapter 3 অসমে ব্রিটিশ বিরোধী জাগরণ এবং কৃষক বিদ্রোহ Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Social Science Chapter 3 অসমে ব্রিটিশ বিরোধী জাগরণ এবং কৃষক বিদ্রোহ and select needs one.
Class 10 Social Science Chapter 3 অসমে ব্রিটিশ বিরোধী জাগরণ এবং কৃষক বিদ্রোহ
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Social Science Chapter 3 অসমে ব্রিটিশ বিরোধী জাগরণ এবং কৃষক বিদ্রোহ Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Social Science Chapter 3 অসমে ব্রিটিশ বিরোধী জাগরণ এবং কৃষক বিদ্রোহ These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Social Science Chapter 3 অসমে ব্রিটিশ বিরোধী জাগরণ এবং কৃষক বিদ্রোহ for All Subject, You can practice these here..
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
● অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। অসমে দাসপ্রথা কখন থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৮৪৩ সালে অসমে দাসপ্রথার অবসান হয়।
প্রশ্ন ২। মণিরাম দেওয়ানের ফাঁসি কত সালে হয় ?
উত্তরঃ ১৮৫৮ সালে ।
প্রশ্ন ৩। মণিরাম দেওয়ানকে কোন স্থানে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ মণিরাম দেওয়ানকে যোরহাটে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ।
প্রশ্ন ৪। মণিরাম দেওয়ানের আসল নাম কী ?
উত্তরঃ মণিরাম বরভাণ্ডার বরুয়া ।
প্রশ্ন ৫। অসমে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মূল নায়ক কে ?
উত্তরঃ মণিরাম দেওয়ান ।
প্রশ্ন ৬। কোন রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন টিকেন্দ্রজিৎ ?
উত্তরঃ টিকেন্দ্রজিৎ মণিপুর রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন ।
প্রশ্ন ৭। কোন সালে পথরুঘাটের কৃষক বিদ্রোহ হয় ?
উত্তরঃ ১৮৯৪ সালে ।
প্রশ্ন ৮। কোন সালে ফুলগুরি ধাওয়া বিদ্রোহ হয় ?
উত্তরঃ ১৮৬১ সালে ।
প্রশ্ন ৯। সিঙ্গার সাহেবকে কে মেরে ফেলেছিল ?
উত্তরঃ বাবু কৈবর্ত ।
প্রশ্ন ১০। স্বত্ববিলোপ নীতির প্রবর্তক কে ?
উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসী ।
প্রশ্ন ১১। বশ্যতামূলক নীতির প্রবর্তক কে ?
উত্তরঃ লর্ড ওয়েলেসলি ।
প্রশ্ন ১২। কখন ইংরেজ সমগ্র নাগাভূমিতে প্রভুত্ব বিস্তার করেছিল ?
উত্তরঃ ১৮৭৮ সালে ।
প্রশ্ন ১৩। পিয়লি ফুকন কখন বিদ্রোহ করেছিল ?
উত্তরঃ ১৮৫৭ সালে ।
প্রশ্ন ১৪। ইংরেজরা কিসের মাধ্যমে মাটির খাজনা সংগ্রহ করেছিল ?
উত্তরঃ মুদ্রা বা টাকার মাধ্যমে ।
প্রশ্ন ১৫। অসমে কৃষক বিদ্রোহ কখন হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৮৬১ সালে ।
প্রশ্ন ১৬। লচিমার কৃষক বিদ্রোহ কখন হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৮৯৪ সালে ।
প্রশ্ন ১৭। অসম কখন ইংরেজ শাসনের অধীনে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৮২৬ সালে ।
প্রশ্ন ১৮। দলি পুরাণ কে লিখেছিলেন ?
উত্তরঃ নরোত্তম দাস ।
প্রশ্ন ১৯। কৃষক বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে প্রদান করেছিল ?
উত্তরঃ রাইজমেলসমূহ ।
প্রশ্ন ২০। মণিপুরের ব্রিটিশ বিরোধী মূল নেতা কে ?
উত্তরঃ টিকেন্দ্রজিৎ ।
প্রশ্ন ২১। মোফ্ফ্ট মিলস কে ?
উত্তরঃ কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়ের মুখ্য ন্যায়াধীশ ।
প্রশ্ন ২২। ইংরেজগণ কি উদ্দেশ্যে অসমে এসেছিল ?
উত্তরঃ ইংরেজগণ মূলত চা চাষের উদ্দেশ্যে অসমে এসেছিল।
প্রশ্ন ২৩। আফু খেতি ( আফিম চাষ ) করা সম্পূর্ণরূপে কে কখন বন্ধ করেছিল ?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার ১৮৬১ সালে আফু খেতি ( আফিম চাষ) সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করেছিল ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। উজান অসমে কেন ইংরেজগণ কোম্পানী রাজত্ব সামিল না করে একজন আহোম রাজকো অরকে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ ইংরাজগণ প্রধানত দুটি কারণে উজান অসমে সরাসরি ব্রিটিশ শাসনাধীন করেনি ।
( ১ ) উজান অসমের বার্ষিক রাজস্ব প্রশাসনিক ব্যয়ের চাইতে অনেক কম ছিল ।
( ২ ) অসমের অভিজাত সম্প্রদায় ইংরেজ শাসন ব্যবস্থায় অসন্তুষ্ট ছিল ।
প্রশ্ন ২। মটকগণ কারা ছিল ?
উত্তরঃ ব্রহ্ম পুত্র ও বুড়িডিহিং নদীর সংলগ্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করা মোয়ামরীয়া সম্প্রদায়ের জনসমষ্টি মটক বলে পরিচিত । তারা ছিল বর সেনাপতি মতিবরের শাসনাধীন।
প্রশ্ন ৩। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সর্বসাধারণ মানুষের মনে তীব্র অসন্তুষ্টির কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সর্বসাধারণ মানুষের তীব্র অসন্তুষ্টির কারণ দুটি—
( ১ ) নতুন ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির নীতি ।
( ২ ) মুদ্রা অর্থনীতি ।
প্রশ্ন ৪। সিপাহী বিদ্রোহের চারটি কারণ লেখো ।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের চারটি কারণ হল—
( ১ ) রাজনৈতিক কারণ ।
( ২ ) অর্থনৈতিক কারণ ।
( ৩ ) সামাজিক কারণ । ও
( ৪ ) ধর্মীয় কারণ ।
প্রশ্ন ৫। “ রাইজমেল ” বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ “ রাইজমেল ” হল বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের সভা বা সংস্থা । এর উদ্দেশ্য ছিল অসমে ইংরেজ শাসনের কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা । সিপাহী বিদ্রোহের পরবর্তীকালে “ রাইজমেল ” এক নতুন ভূমিকা পালন করে । এই সময় রাইজমেল পরিণত হয় একটি গণসংস্থায় ।
প্রশ্ন ৬। ফুলগুড়ি ধাওয়া কেন হয়েছিল ?
উত্তরঃ নগাঁও – এর অদূরবর্তী একটি গ্রাম আফিং চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল । ব্রিটিশ সরকার ব্যক্তিগত মালিকানায় আফিং চাষ নিষিদ্ধ করায় ফুলগুড়ির মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে । তাছাড়া আফিং – এর মূল্যবৃদ্ধি করায় তাদের ক্ষোভ আবার বাড়ে । ফলে ফুলগুড়ির মানুষ ১৮৬১ সনের ১৭ ই অক্টোবর ‘ রাইজমেলের ’ মাধ্যমে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে সমবেত হয় ।
প্রশ্ন ৭। পথরুঘাটের যুদ্ধকে কেন দলিরণ বলে জানা যায় ?
উত্তরঃ পথরুঘাটের বিদ্রোহের কাহিনি— নরোত্তম দাস তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ দলিপুরাণে ’ বিস্তারিত ভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন । এজন্য একে বলা হয় দলিরেণ । কৃষকগণ দলে – বলে এই বিদ্রোহ করেছিল । দল থেকে দলি – পুরাণ নাম হয়েছিল ।
প্রশ্ন ৮। অসমের সমাজে কত শ্রেণির লোক ছিল এবং কী কী ?
উত্তরঃ অসমের সমাজে তিন শ্রেণির লোক ছিল—
( ১ ) অভিজাত ।
( ২ ) কৃষক । ও
( ৩ ) দাস ।
প্রশ্ন ৯। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ কী ?
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণগুলো হ—
( ১ ) সিপাহী বিদ্রোহ জাতীয় বিপ্লবে পরিণত হতে পারেনি এবং এর ফলে বিদ্রোহীগণ জনসাধারণের সমর্থন পায়নি ।
( ২ ) সিপাহীগণের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট কর্মপন্থা ছিল না ।
( ৩ ) বিদ্রোহীগণের মধ্যে যোগ্য নেতার অভাব ছিল , যিনি এই বিদ্রোহকে সুচারুরূপে পরিচালিত করতে পারেন ।
( ৪ ) এই বিদ্রোহ দমনের জন্য বহু দেশীয় রাজা ও পাঞ্জাবের শিখগণ ইংরেজ সরকারকে সাহায্য করেছিল ।
প্রশ্ন ১০। ১৮৬১ সালের ফুলগুরি বিদ্রোহের দুটি কারণ লেখো ।
উত্তরঃ ১৮৬১ সালের ফুলগুরি বিদ্রোহের দুটি কারণ হল—
( ১ ) ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক আফিম চাষ নিষিদ্ধ ।
( ২ ) ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পান ও সুপারির উপর কর আরোপ ।
প্রশ্ন ১১। ব্রিটিশের জয়ন্তিয়া রাজ্য অন্তর্ভুক্ত করার দুটি কারণ লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) জয়ন্তিয়া রাজা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব পোষণ করতেন ।
( ২ ) ব্রিটিশরা জয়ন্তিয়াদের উপর বিভিন্ন রকমের কর প্রবর্তন করে আয়ের পথ সুগম করেছিল ।
প্রশ্ন ১২। ব্রিটিশেরা অসমে অফিং চাষ বন্ধ করার দুটি কারণ উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ ( ১ ) ব্রিটিশদের মজুদকৃত আফিং বিক্রি করতে । ও
( ২ ) ব্রিটিশগণ নিজেরা আফিং চাষ করতে অসমের আফিং চাষীদের আফিং চাষ বন্ধ করে ।
প্রশ্ন ১৩। ১৮৬১ সালে অসমে প্রবর্তিত দুটি করের নাম লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) লাইসেন্স কর ।
( ২ ) আয়কর ।
প্রশ্ন ১৪। সিপাহী বিদ্রোহে কে কে নেতৃত্ব প্রদান করেছিল ?
উত্তরঃ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ , কানপুরের নানা সাহেব , মারাঠা নেতা তাতিয়া টোপে , ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই প্রভৃতি নেতারা প্রত্যেকেই বিদ্রোহে নেতৃত্ব প্রদান করেছিল ।
প্রশ্ন ১৫। জে . ডব্লিউ . কুইন্টনকে কোন সালে হত্যা করা হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৮৯১ সালে ।
প্রশ্ন ১৬। অসমে দুটি ইংরাজ সৈন্যের নাম লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) ডিব্রুগড়ের প্রথম অসম লাইট ইনফ্রেন্টি ।
( ২ ) গুয়াহাটির দ্বিতীয় অসম লাইট ইনফ্রেন্টি ।
প্রশ্ন ১৭। ব্রিটিশের সাম্রাজ্যবাদী নীতি দুটি কী কী ?
উত্তরঃ ব্রিটিশের সাম্রাজ্যবাদী নীতি দুটি হল—
( ১ ) লর্ড ওয়েলেসলির বশ্যতামূলক নীতি ।
( ২ ) লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ নীতি ।
প্রশ্ন ১৮। ১৮৬১ সালে জয়ন্তিয়া বিদ্রোহে নেতৃত্ব কে দিয়েছিল ?
উত্তরঃ ওকিয়াং নংবাহ ।
প্রশ্ন ১৯। অসমে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ বা সিপাহী বিদ্রোহের দুটি কারণ লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) ১৮২৬ সালে অসমে ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইংরেজ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র গড়ে উঠতে থাকে ।
( ২ ) অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে ।
প্রশ্ন ২০। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে অসমের দুজন শহীদের নাম লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) মণিরাম দেওয়ান । ও
( ২ ) পিয়লি ফুকন ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। অসমের রাইজমেল সম্পর্কে একটি টীকা লেখো। অথবা , রাইজমেল কী ছিল ? ঊনবিংশ শতকে অসমের কৃষক বিদ্রোহগুলোতে এর ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ “ রাইজমেল ” বা গ্রামের সাধারণ মানুষের সভা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসমে গণচেতনা জাগরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । “ রাইজমেল ” হল বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের সমবেত সভা যার উদ্দেশ্য ছিল অসমে বিদেশী শাসনের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা । “ মেল ” নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠান ইস্ট – ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সময়েও অসমে বিদ্যমান ছিল । কোম্পানী শাসনকালের এই সকল মেল সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও সরকারের প্রশাসন সম্পর্কিত নানা পদক্ষেপ সমর্থন করত ।
সিপাহী বিদ্রোহের পরবর্তীকালে “ রাইজমেল ” এক নতুন ভূমিকা পালন করতে শুরু করে । এ সময়ে “ রাইজমেল ” একটি গণসংস্থায় পরিণত হয় । এর উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের দমনমূলক করনীতির বিরুদ্ধে জনগণের অভাব অভিযোগ সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করা ও জনগণকে সচেতন করা । রাইজমেল গাঁও পঞ্চায়েত অপেক্ষাও বৃহৎ ছিল। কারণ রাইজমেলে জেলার বিভিন্ন গ্রামের লোক অংশগ্রহণ করত । এই সকল রাইজমেল ব্রিটিশ শাসনে কৃষক জনগণকে তাদের অসহায় অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করত।
রাইজমেল হল সাম্রাজ্যবাদী সরকারের অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে গণবিপ্লবের একটি সংস্থা । কিন্তু বিদেশী সরকারের কাছে এই সকল মেল ছিল বেআইনী প্রতিষ্ঠান । ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্দ্ধে ফুলগুরি , রঙ্গিয়া , লচিমা , পথরুঘাট প্রভৃতি স্থানের কৃষক জনগণ রাইজমেলের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের করনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচী নির্ধারণ করত। সুতরাং রাইজমেলের মাধ্যমে গ্রামের জনগণ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে তাদের সংঘবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়েছিল । ঊনবিংশ শতাব্দীর বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহে রাইজমেল যে ভূমিকা পালন করে এতে মনে হয় যে এই সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে নির্দেশিত হলে সাম্রাজ্যবাদী শাসনের ভিত্তি দুর্বল করতে পারে । কামরূপ জেলার জেলাশাসক ম্যাক ক্যাব সরকারের কাছে তার প্রতিবেদনে “ রাইজমেল ” নামক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু এটি মনে রাখা প্রয়োজন যে রাইজমেলগুলি কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের প্রতিষ্ঠান নয় । উচ্চশ্রেণির শিক্ষিত লোকও রাইজমেলের কার্যকারিতা সমর্থন করতেন । জেলার প্রভাবশালী লোক ও প্রধান জমিদারবর্গ রাইজমেলকে তাদের কার্যে উৎসাহিত করতেন এবং আদেশ , উপদেশ ও নির্দেশ দিতেন । সুতরাং রাইজমেল হল জেলার সকল শ্রেণির মানুষের একটি সাধারণ সামাজিক প্রতিষ্ঠান ।
প্রশ্ন ২। অসমের কৃষক আন্দোলনের ফলাফল বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তরঃ অসমে অধিকাংশ কৃষক আন্দোলন ইংরেজদের রাজস্বের হার বৃদ্ধি , নতুন কর আরোপের জন্য সংঘটিত হয়েছিল । যদিও কৃষক আন্দোলনগুলি ইংরেজরা দমন করতে সক্ষম হয়েছিল , তবুও তারা বুঝতে পেরেছিল যে কর কাঠামোর সংশোধন করা না হলে আইন – শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না । সুতরাং ইংরেজরা বাধ্য হয়ে অসমে করের হার কিছুটা কমিয়েছিল এবং এটিই ছিল অসমে কৃষক আন্দোলনের প্রথম ফল । কৃষক আন্দোলনের ফলে ইংরেজরা আইন – শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়েছিল । অধিক সংখ্যক সৈন্য অসমের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল । তৃতীয়ত , অসমে কৃষক আন্দোলনের জন্মদাতা বলে পরিচিত রাইজমেলের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ভীষণ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল ।
ইংরেজদের অভূতপূর্ব দমননীতির ফলে “ রাইজমেল ” ক্রমান্বয়ে স্তিমিত হয়ে পড়েছিল । চতুর্থত , রাইজমেলের দ্বারা আয়োজিত কৃষক আন্দোলনে হিন্দু – মুসলমান নির্বিশেষে অসমের জনগণ সক্রিয়ভাবে যোগদান করেছিলেন । ফলে এ আন্দোলন দমন হলেও অসমের জনগণের মনে ইংরেজদের প্রতি তীব্র ঘৃণা এবং আক্রোশের ভাব থেকে যায় । পঞ্চমত , কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের ত্যাগ ও সাহসিকতার উপর অনেক লোকগীতি রচিত হয়েছিল । এইসব লোকগীতি অসমের মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল এবং তাদেরকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে প্রেরণা দিয়েছিল । ষষ্ঠত , কৃষক আন্দোলন অসমের জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছিল । অসমের মানুষের এই সচেতনতা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্থা গড়ে উঠার ভিত্তি তৈরি করেছিল ।
প্রশ্ন ৩। ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্দ্ধে অসমে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া কৃষক বিদ্রোহসমূহের উপর আলোকপাত করো ।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের পর ১৮৫৮ সালে ভারতে কোম্পানী শাসনের অবসানক্রমে সরাসরি ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৮৬০ সাল থেকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নতুন অধ্যায়ের শুরু হয় । জনস্বার্থ বিরোধী ব্রিটিশ বিদ্রোহ শুরু হয়। এই বিদ্রোহ ক্রমান্বয়ে গণবিদ্রোহের রূপ ধারণ করে । এই সকল বিদ্রোহে “ রাইজমেল ” নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ।
( ক ) ফুলগুরি বিদ্রোহ ( ১৮৬১ ) :- ১৮৬১ সালে নগাঁও জেলার ফুলগুরি অঞ্চলের কৃষক জনগণ পপি চাষ নিষিদ্ধকরণ ও পান – সুপারির উপর কর আরোপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে । পপি চাষ নিষিদ্ধকরণের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণের মানসিকতার উপর নজর দেয়নি । এর ওপর কৃষক জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নতিকল্পে কোনরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফুলগুড়ি অঞ্চলের কৃষক জনগণ “ রাইজমেলের ” মাধ্যমে ১৮৬১ সালের অক্টোবর মাসে বিদ্রোহন্মুখ হয়ে পড়ে । তারা ইংরেজ অফিসার লেফটেনান্ট সিঙ্গারকে নিহত করে । এই ঘটনাকে বলা হয় “ ফুলগুরি ধাওয়া ” ।
( খ ) রঙ্গিয়া বিদ্রোহ ( ১৮৯৩-৯৪ ) :- ১৮৯২ সালে অসমের চীফ্ কমিশনার স্যার উইলিয়াম ওয়ার্ড রাজস্ব কর ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ান । ফলে রঙ্গিয়া , লচিমা ও পথরুঘাটের রায়তগণ করবিরোধী অভিযান শুরু করে । ১৮৯৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত্রে প্রায় তিন হাজার বিদ্রোহীর দল রঙ্গিয়ার পুলিশ থানা ঘেরাও করে এবং থানা ধবংস করার হুমকি দেয় । কিন্তু সময়মত সেনা মোতায়েনের ফলে অবস্থা সামাল দেওয়া হয় । ১৮৯৪ সালের ৬ ই জানুয়ারি কামরূপের জেলাশাসক জোকারা , পুলিশবাহিনী সহ রঙ্গিয়া উপস্থিত হন এবং অনেক বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার করেন । ১০ ডিসেম্বরও তদনুরূপ ঘটনা ঘটে । সমগ্র রঙ্গিয়ার সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে । ফলে অবস্থা স্বাভাবিক হয় ।
( গ ) লচিমা বিদ্রোহ ( ১৮৯৩ ) :- ১৮৯৩ সালের ২১ শে জানুয়ারি বরপেটা জেলার সরুক্ষেত্রি মৌজার লচিমায় একদল মারমুখী রায়ত করসংগ্রহকারী একজন মৌজাদার ও একজন মণ্ডলকে প্রহার করে । বরপেটার মহকুমা শাসক মাধবচন্দ্র বরদলৈ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন । তিনি অন্তত ৭৫ জন বিদ্রোহী বন্দীদের মুক্তির দাবিতে ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং ক্যাম্প ও রেস্ট হাউস পুড়িয়ে দেবার হুমকি দেয় । বরপেটার মহকুমা শাসক মধ্যরাত্রে ক্যাম্প পরিত্যাগ করেন এবং জেলা শাসকের সাহায্য প্রার্থনা করেন । পরদিন সন্ধ্যায় জেলাশাসক ম্যাক ক্যাব সিপাহী ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৫৯ জন বিদ্রোহী নেতাকে গ্রেপ্তার করেন । প্রায় ৬ হাজার মানুষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে জেলাশাসকের ক্যাম্পে জমায়েত হন । জেলাশাসক গুলির আদেশ দিলে জমা হওয়া জনতা ছত্রভঙ্গ হয় ।
( ঘ ) পথরুঘাটের বিদ্রোহ ( ১৮৯৪ ) :- ১৮৯৪ সালের ২৮ শে জানুয়ারি দরং জেলার মঙ্গলদৈ মহকুমার পথরুঘাট নামক স্থানে এইরকম একটি বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল । জেলাশাসক এই অঞ্চল সফরে আসবেন জেনে বিরাট সংখ্যক জনতা পথরুঘাটে জমায়েত হয়।তারা জেলাশাসককে তাদের অভাব অভিযোগ জানায় কিন্তু জেলাশাসক তাদের ছত্রভঙ্গ করবার আদেশ দেন । জনতা মারমুখী হয়ে ওঠে । জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
ফলাফল :- কৃষক বিদ্রোহের প্রধান ফলাফলসমূহ নিম্নরূপ : প্রথমত , কৃষক বিদ্রোহের ফলে ব্রিটিশ সরকার কৃষিকর কমাতে বাধ্য হয় । দ্বিতীয়ত , এই সকল বিদ্রোহের ফলে ব্রিটিশ সরকার বিশৃঙ্খলা দূর করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে । ফলে অসমের আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটে । তৃতীয়ত , ব্রিটিশ সরকার ভবিষ্যতে যাতে এই রকম বিদ্রোহ না ঘটে এই উদ্দেশ্যে ‘ মেল ’ গুলিকে নানা প্রকারে নিষ্ক্রিয় করতে শুরু করে ।
প্রশ্ন ৪। সংক্ষেপে টীকা লেখো ।
( ১ ) দলি – পুরাণ ।
( ২ ) ওকিয়াং নংবাহ ।
( ৩ ) জে . ডব্লিউ . কুইনটন । ও
( ৪ ) নাগা জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহ ।
উত্তরঃ ( ১ ) দলি – পুরাণ :- দলি – পুরাণ বিখ্যাত অসমীয়া সাহিত্যিক নরোত্তম দাস ( ছদ্মনাম ) রচনা করেন । এই গ্রন্থে ১৮৯৪ সালের পথরুঘাটে সংঘটিত হওয়া কৃষক বিদ্রোহের বিস্তারিত বর্ণনার উল্লেখ রয়েছে । উক্ত বিদ্রোহে মোট ১৫ জন কৃষকের মৃত্যু হয় এবং ৩৭ জন আহত হয় । কিন্তু বেসরকারী তথ্য অনুসারে ওই বিদ্রোহে মোট ১৪০ জন কৃষকের মৃত্যু হয় এবংং প্রায় ১৫০ জন কৃষ্ণক আহত হয় ।
( ২ ) ওকিয়াং নংবাহ :- ওকিয়াং নংবাহ ছিলেন বিখ্যাত জয়ন্তিয়া নেতা । তাঁর নেতৃত্বে ১৮৬১ সালে সমগ্র জয়ন্তিয়া জনজাতির লোক ব্রিটিশ বিরোধী বিদ্রোহে সামিল হয় । ১৮৬২ সালের ১৭ ই জানুয়ারি বিদ্রোহীরা জোয়াই – এ অবস্থিত ব্রিটিশ সেনাছাউনিতে অতর্কিতে আক্রমণ করে । অবশেষে ওকিয়াং নংবাহ ব্রিটিশের হাতে ধরা পড়েন । ব্রিটিশ সরকার জোয়াই – এ বহু সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে তাঁকে প্রকাশ্য স্থানে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে ।
( ৩ ) জে . ডব্লিউ . কুইনটন :- জে . ডব্লিউ . কুইনটন একজন উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ আধিকারিক ছিলেন । মণিপুর বহু বছর হতেই ব্রিটিশ আশ্রিত এবং স্বীকৃত দেশীয় রাজ্যরূপে পরিগণিত ছিল । এই রাজ্য অসম প্রশাসনের বাইরে ছিল । কিন্তু ১৮৯১ সালে মণিপুরে সিংহাসন প্রাপ্তির জন্য রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয় । এই সুযোগে অসমের চীফ কমিশনার এতে হস্তক্ষেপ করেন । রাজপুত্র বীর টিকেন্দ্রজিৎ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । জে . ডব্লিউ . কুইন্টন এবং অন্যান্য চারজন ব্রিটিশ আধিকারিক টিকেন্দ্রজিতের নেতৃত্বে থাকা জাতীয়তা বাদীদের বন্দী করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেন ।
( ৪ ) নাগা জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহ :- ব্রিটিশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নাগা উপজাতিরা পছন্দ করত না । ফলে ব্রিটিশ অধিকৃতসমূহ নাগারাজ্যে গোড়া থেকেই অসন্তোষের হাওয়া বইছিল । নাগাগণ ১৮৭৮ সালে একজন ব্রিটিশ কর্মচারী ও তার নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করে স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকুলতার পরিচয় দিয়েছিল । কোহিমাও বিদ্রোহীরা বেশ কিছুদিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল । অঙ্গামি নাগাদের এই বিদ্রোহ কর্নেল জনস্টোন কঠোর হাতে দমন করেছিলেন ।
প্রশ্ন ৫। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো ।
১। অসমে সুদখোর মহাজন শ্রেণির সৃষ্টি করেছি—
( ক ) ভূমিনীতিয়ে।
( খ ) মুদ্রা অর্থনীতিয়ে।
( গ ) খাজনা বৃদ্ধিয়ে।
( ঘ ) কৃষক শ্রেণিয়ে।
উত্তরঃ ( খ ) মুদ্রা অর্থনীতিয়ে ।
২। অসমে ইংরেজ দাসপ্রথার বিলুপ্তি করেছিল—
( ক ) ১৮৪৩ সনে।
( খ ) ১৮৫০ সনে।
( গ ) ১৮৫২ সনে।
( ঘ ) ১৮৬০ সনে।
উত্তরঃ ( ক ) ১৮৪৩ সনে ।
৩। বশ্যতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেছিল—
( ক ) লর্ড কার্জন।
( খ ) লর্ড রিপন।
( গ ) লর্ড ওয়েলেসলি।
( ঘ ) লর্ড ডালহৌসি।
উত্তরঃ ( গ ) লর্ড ওয়েলেসলি ।
৪। স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেছিল—
( ক ) লর্ড রিপন।
( খ ) লর্ড কার্জন।
( গ ) লর্ড ওয়েলেসলি।
( ঘ ) লর্ড ডালহৌসি।
উত্তরঃ ( ঘ ) লর্ড ডালহৌসি ।
৫। ভারতীয় সৈন্য প্রথম বিদ্রোহ করেছিল—
( ক ) কলকাতা।
( খ ) মহারাষ্ট্র।
( গ ) দিল্লি।
( ঘ ) মিরাট।
উত্তরঃ ( ঘ ) মিরাট ।
৬। অসমের সিপাহী বিদ্রোহের নায়ক ছিলেন—
( ক ) মণিরাম দেওয়ান।
( খ ) গোমধর কোয়র।
( গ ) কুশল কোয়র।
( ঘ ) তিরুৎ সিংহ।
উত্তরঃ ( ক ) মণিরাম দেওয়ান ।
৭। কত সালে মণিরাম দেওয়ানের ফাঁসি হয় ?
( ক ) ১৮৫৭ সালে।
( খ ) ১৮৫৮ সালে।
( গ ) ১৮৫৯ সালে।
( ঘ ) ১৮৬০ সালে।
উত্তরঃ ( খ ) ১৮৫৮ সালে ।
৮। ফুলগুরি বিদ্রোহ হয়েছিল কত সালে ?
( ক ) ১৮৬১ সালে।
( খ ) ১৮৬৫ সালে।
( গ ) ১৮৭০ সালে।
( ঘ ) ১৮৭৫ সালে।
উত্তরঃ ( ক ) ১৮৬১ সালে ।
৯। রঙ্গিয়ার বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল কত সালে ?
( ক ) ১৮৯০ সালে।
( খ ) ১৮৯৩ সালে।
( গ ) ১৮৯৫ সালে।
( ঘ ) ১৮৯৮ সালে।
উত্তরঃ ( খ ) ১৮৯৩ সালে ।
১০। পথরুঘাটের বিদ্রোহ কত সালে সংগঠিত হয়েছিল ?
( ক ) ১৮৯১ সালে।
( খ ) ১৮৯২ সালে।
( গ ) ১৮৯৪ সালে।
( ঘ ) ১৮৯৬ সালে।
উত্তরঃ ( গ ) ১৮৯৪ সালে ।
১১। মণিপুরে বিদ্রোহ কত সালে হয় ?
( ক ) ১৮৯১ সালে।
( খ ) ১৮৯২ সালে।
( গ ) ১৮৯৪ সালে।
( ঘ ) ১৮৯৫ সালে।
উত্তরঃ ( ক ) ১৮৯১ সালে ।
১২। কোন রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন টিকেন্দ্রজিৎ ?
( ক ) কাছাড়।
( খ ) অসম।
( গ ) খাসিয়া পাহাড়।
( ঘ ) মণিপুর।
উত্তরঃ ( ঘ ) মণিপুর ।
১৩। উত্তর কাছাড়ের বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল—
( ক ) মাইবং।
( খ ) শিলচর।
( গ ) যোরহাট।
( ঘ ) শিবসাগর।
উত্তরঃ ( ক ) মাইবং।
১৪। উত্তর কাছাড়ের বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল—
( ক ) ওকিয়াং নংবাহ।
( খ ) টিকেন্দ্রজিৎ।
( গ ) সম্বোধন কছারী।
( ঘ ) তিরুৎ সিংহ।
উত্তরঃ ( গ ) সম্বোধন কছারী ।
১৫। ইংরেজ কত সালে অসমে টিকিট শুল্ক প্রবর্তন করেছিল ।
( ক ) ১৯৪৫ সাল।।
( খ ) ১৯৫০ সালে।
( গ ) ১৯৫৫ সালে।
( ঘ ) ১৯৫৮ সালে।
উত্তরঃ ( ঘ ) ১৯৫৮ সালে ।
১৬। দলিপুরাণ কে লিখেছিলেন ?
( ক ) পিয়লি ফুকন।
( খ ) গোমধর কোঁওর।
( গ ) নরোত্তম দাস।
( ঘ ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তৰঃ ( গ ) নরোত্তম দাস ।
প্রশ্ন ১৭। গোমধর কোঁওর কোন রাজ্যের বিদ্রোহী নেতা ছিলেন ?
( ক ) অসম।
( খ ) মণিপুর।
( গ ) খাসিয়া।
( ঘ ) নাগা।
উত্তৰঃ ( ক ) অসম ।