Class 12 Advance Bengali Chapter 6 হায় চিল Question Answer | AHSEC Class 12 Advanced Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Assam Board Class 12 Advance Bengali Chapter 6 হায় চিল Notes and select needs one.
Class 12 Advance Bengali Chapter 6 হায় চিল
Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 12 Advance Bengali Chapter 6 হায় চিল Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 12 Advance Bengali Chapter 6 হায় চিল Solutions for All Subjects, You can practice these here.
হায় চিল
Chapter: 6
ADVANCE BENGALI
পদ্যাংশ
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ‘হায়চিল’ কবিতাটির কবির নাম কী?
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন ২। ‘হায়চিল’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অর্ন্তগত?
উত্তরঃ ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্ন ৩। ‘হায় চিল’ কবিতায় ‘চিল’ কীসের প্রতীক?
উত্তরঃ বিরহের প্রতীক।
প্রশ্ন ৪। হায়, চিল _____ ডানার চিল। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ সোনালী।
প্রশ্ন ৫। তুমি আর উড়ে উড়ে কেঁদো নাকো _____ নদীটির পাশে। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ ধান সিঁড়ি।
প্রশ্ন ৬। ‘সোনালি ডানার চিল’ কোন্ চিলকে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ শঙ্খচিলকে।
প্রশ্ন ৭। ধানসিঁড়ি কী?
উত্তরঃ বরিশালে স্তরে স্তরে সজ্জিত ধানের ক্ষেত।
প্রশ্ন ৮। ‘ভিজে মেঘের দুপুরে’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বৃষ্টি ঝরা মেঘলা দুপুরকে বোঝায়।
প্রশ্ন ৯। “তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে !’- কবি কাকে কাঁদতে বারণ করেছেন?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলকে কবি কাঁদতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ১০। কে কবির হৃদয়ে বেদনা জাগিয়ে তুলেছে?
উত্তরঃ বিষণ্ন চিলের ডাক কবির মনে বিরহ বেদনা জাগিয়ে তুলেছে।
প্রশ্ন ১১। কবি চিলকে কোন নদীর পাশে উড়ে উড়ে কাঁদতে বারণ করেছেন?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে।
প্রশ্ন ১২। “_____কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!”
কবি কার উদ্দেশ্য কথাটি বলেছেন?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের উদ্দেশ্যে।
প্রশ্ন ১৩। ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলটির ডানার রং কী ছিল?
উত্তরঃ সোনালী।
প্রশ্ন ১৪। ধানসিঁড়ি কী?
উত্তরঃ বাংলাদেশের একটি নদীর নাম যা কবি কল্পিত।
প্রশ্ন ১৫। চিলের কান্না কবিকে কী মনে করিয়ে দেয়?
উত্তরঃ চিলের কান্না কবিকে তাঁর হারানো প্রিয়ার ম্লান চোখের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রশ্ন ১৬। রাঙা রাজকন্যা কারা?
উত্তরঃ রূপকথার রূপসী রাজকন্যাদের কথা এখানে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৭। “তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতন তার ম্লান চোখ মনে আসে।”
– কার ম্লান চোখ মনে আসে?
উত্তরঃ অতীত দিনের এক রূপসী নারীর ম্লান চোখের কথা, যিনি কবির প্রেয়সী ছিলেন।
প্রশ্ন ১৮। কবিতার হারানো প্রিয়ার চোখকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ বেতফলের সঙ্গে।
প্রশ্ন ১৯। কবি জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
উত্তরঃ রূপসী বাংলা।
প্রশ্ন ২০। কবি জীবনানন্দ দাশকে কখন একাদেমী পুরস্কার দেওয়া হয়?
উত্তরঃ কবির মৃত্যুর পর।
প্রশ্ন ২১। জীবনানন্দ দাশ কত সালে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৫৫ সালে জীবনানন্দ দাশকে (মৃত্যুর পর) সাহিত্য একাদেমী পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। “____কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!”
– কাব্যাংশটি কোন্ কবিতার অন্তর্গত? কবিতাটি কার রচনা?
উত্তরঃ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের রচিত ‘হায় চিল’ কবিতার অন্তর্গত।
প্রশ্ন ২। “তোমার কান্নার সুরে বেতের-ফলের মতন তার ম্লান চোখ মনে আসে; – “উদ্ধৃতিটি কোন্ কবিতার অংশ? কবি কে? কার কান্নার কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি ‘হায় চিল’ কবিতার অংশ। কবি হলেন জীবনানন্দ দাশ। এখানে চিলের কান্নার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩। জীবনানন্দ দাশের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ (১) রূপসী বাংলা।
(২) মহাপৃথিবী।
প্রশ্ন ৪। “তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে-উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!” – কবি কাকে, কোথায় কাঁদতে বারণ করেছেন?
উত্তরঃ কবি ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলকে কাঁদতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ৫। “আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?”- এই উক্তি কার উদ্দেশ্যে? ‘তাহারে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ এই উক্তি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাক শুনে কবি জীবনানন্দ চিলের উদ্দেশ্যে করেছেন। ‘তাহারে’ বলতে কবির অতীত দিনের এক রূপসী নারী, যিনি কবির প্রেয়সী ছিলেন তার কথা বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ৬। “কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।”
– কোন কবিতার অংশ? এখানে কার হৃদয়ের বেদনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃতি ‘হায় চিল’ কবিতার।
প্রশ্ন ৭। চিলের কান্নায় কবির মধ্যে কোন্ অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ চিলের কান্নার সুর শুনে কবির মনে প্রিয়া বিচ্ছিন্নতার বিরহ জেগে উঠেছে। চিলের বিষণ্ন ডাক তাঁর মনকে ব্যথিত করে তুলেছে।
প্রশ্ন ৮। “তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে।”
– পংক্তিটি কোন কবিতার? কবির নাম কী?
উত্তরঃ পংক্তিটি ‘হায় চিল’ কবিতার। কবির নাম জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন ৯। টীকা লেখো:
১। ধানসিঁড়ি।
উত্তরঃ কবি কল্পনায় পূর্ববঙ্গের একটি নদীর নাম। আবার কাকে কারো মতে ধানক্ষেতের মাঠ নীচ থেকে উপরের দিকে স্তরে স্তরে সব্জী ও ধানের ক্ষেত। কবির বহু কবিতায় আমরা এই ধানসিঁড়ির উল্লেখ পাই।
প্রশ্ন ১০। “এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে।”
– ‘ধানসিঁড়ি নদী’ কোথায় অবস্থিত? এখানে ‘তুমি’ কে?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালে অবস্থিত।
এখানে তুমি বলতে চিলকে বোঝানো হয়েছে।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ‘তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!’
– কার কান্নার কথা এখানে বলা হয়েছে? উদ্ধৃতাংশের বক্তব্য পরিস্ফুট করো।
অথবা,
“করিতাংশটি কোন্ কবিতার অন্তর্গ? কবি কাকে কাঁদতে নিষেধ করেছেন?
অথবা,
উদ্ধৃতাংশটি কোন কবিতার অন্তর্গত? কবি কাকে কেন কান্না থামাতে বলেছেন?
উত্তরঃ কবিতাংশটি জীবনানন্দ দাশের ‘হায়চিল’ কবিতার অন্তর্গত।
এখানে চিলের কান্নার কথা বলা হয়েছে। কবি জীবনানন্দ দাশ একদিন ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের ডাক শুনেছেন। এই চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়েছে। চিলের ক্রদন কবির অতীতে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে কান্না থামাতে বলেছেন।
প্রশ্ন ২। ‘তোমার কান্নার সুরে বেতের-ফলের মতন তার স্নান চোখ মনে আসে।
পৃথিবীর রাঙা রাজ কন্যাদের মতো সে যে চ’লে গেছে রূপ নিয়ে দূরে; – সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশের ‘হায় চিল’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই উক্তিটি ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত একটি চিলের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
কবি জীবনানন্দ তাঁর প্রিয়তমাকে হারানোর বেদনাকে ভুলে থাকতে চান। কিন্তু বিষণ্ণ এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে তিনি একটি উড়ন্ত চিলের ডাক শুনতে পান। এই চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ ডাকে কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর ম্লান চোখ দুটি তাঁর সামনে ভেসে ওঠে, যা বেতের ফলের মতো নীলাভ। যে প্রেয়সী রূপকথার রাজকন্যার মতো সুন্দরী সে যেন কবির মনে এক আবেশ সৃষ্টি করে চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রশ্ন ৩। “আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?”
– এই উক্তি কার উদ্দেশ্যে? সে যাকে ডেকে আনে তার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাক শুনে এই চিলের উদ্দেশ্যে উক্তিটি করেছেন।
কবি বিরহ ব্যথায় কাতর। তাঁর প্রিয়া দূরে চলে গেছে। কিন্তু এক বৃষ্টিভেজা মেঘের দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাকে কবি যেন অতীত দিনের হারানো প্রিয়াকে খুঁজে পান। যে প্রিয়া পৃথিবীর অন্য রাজকন্যাদের মতো রূপসী। তাঁর চোখ দুটি বেতফলের মতো নীলাভ। চিলের কান্নার সুর (ডাক) কবির মনের বেদনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই তিনি চিলকে প্রশ্ন করেন যে, সে আবার কেন কবির অন্তরের সুপ্ত বেদনাকে জাগিয়ে তুলে।
প্রশ্ন ৪। “_____ কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!” – বক্তব্য পরিস্ফুট করো।
অথবা,
– কে, কার উদ্দেশ্যে, কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন?
অথবা,
বক্তব্যটি পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত এক চিলের উদ্দেশ্যে উক্তিটি করেছেন।
কবি বিরহ ব্যথায় কাতর। তাঁর প্রিয়া দূরে চলে গেছে। কিন্তু এক বৃষ্টিভেজা মেঘের দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাকে কবি যেন বিরহী হৃদয়ের কান্নার সুর খুঁজে পান। সেই কান্নার সুর তাঁর মনের বেদনাকে আরও বাড়িয়ে তুলে। তাঁর প্রিয়ার ম্লান চোখ মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। এই বিচ্ছেদ বেদনাকে কবির মনে নূতনভাবে জাগিয়ে তুলে চিলের এই করুণ কান্না। তাই চিলের উদ্দেশ্যে কবি একথা বলেছেন।
প্রশ্ন ৫। “পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চ’লে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!”
– কে রূপ নিয়ে দূরে চলে গেছে? কবির বক্তব্য বুঝিয়ে দাও।
অথবা,
অন্তর্নিহিত ভাব ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশের প্রেয়সী রূপ নিয়ে দূরে চলে গেছে।
ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ সুরের ডাক কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সে পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো নী। কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না কবিকে আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে প্রশ্ন করছেন, সে আবার কেন পুরাতন বেদনা জাগিয়ে তোলে।
প্রশ্ন ৬। “তোমার কান্নার সুরে বেতের-ফলের মতন তার ম্লান চোখ মনে আসে;”
– উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশের ‘হায় চিল’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই উক্তিটি ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত একটি চিলের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
কবি জীবনানন্দ তাঁর প্রিয়তমাকে হারানোর বেদনাকে ভুলে থাকতে চান। কিন্তু বিষণ্ণ এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে তিনি একটি উড়ন্ত চিলের ডাক শুনতে পান। এই চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ ডাকে কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর ম্লান চোখ দুটি তাঁর সামনে ভেসে ওঠে, যা বেতের ফলের মতো নীলাভ। যে প্রেয়সী রূপকথার রাজকন্যার মতো সুন্দরী সে যেন কবির মনে এক আবেশ সৃষ্টি করে চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রশ্ন ৭। ‘হায় চিল’ কবিতায় চিলের উদ্দেশ্যে কবির আবেদন গদ্যে ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
‘হায় চিল’ কবিতায় কবি চিলকে কান্না থামাতে কেন বলেছেন আলোচনা করো।
উত্তরঃ ‘হায় চিল’ কবিতায় দেখা যায় কোন একদিন বৃষ্টি ঝরা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত একটি চিলের ডাক শুনতে পান কবি। এই ডাক কবির নিকট কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই ডাক কবির অতীত দিনের হারিয়ে যাওয়া তাঁর প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবির প্রেয়সীর ম্লান চক্ষু তাঁর সামনে ভেসে ওঠে। পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো সে রূপসী কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না কবিকে আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে প্রশ্ন করছেন, সে আবার কেন পুরাতন বেদনা জাগিয়ে তোলে ? তাই কবি চিলকে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ে-উড়ে ডাকতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ৮। ‘পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে।
– পংক্তিটি কোন্ কবিতা থেকে উদ্ধৃত হয়েছে? এখানে ‘সে’ বলতে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে? পংক্তিটির নিহিতার্থ কী তা লেখো।
উত্তরঃ পংক্তিটি ‘হায় চিল’ কবিতা থেকে গৃহিত হয়েছে।
এখানে সে বলতে কবির হারানো প্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। রাঙা রাজকন্যারা হলো রূপকথার জগতের পরীর মতো সুন্দর রাজকন্যারা। তারা শিশু হৃদয়ে এক প্রকার আবেশ তৈরি করে অধরাই থেকে যায়। তেমনি কবির প্রিয়তমাও তাঁর কাছ থেকে দূরে চলে গিয়ে রূপকথার রাজকন্যাদের মতোই অধরা থেকে গেল। কিন্তু দিয়ে গেল এক ‘দারুণ হৃদয় বেদনা।
প্রশ্ন ৯। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো।
‘‘আবার তাহারে কেন ডেকে আনো ? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।”
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতাংশটি বাংলার রূপ সুধাপানে মগ্ন কবি জীবনানন্দ দাসের ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘হায়চিল’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ – কবি তাঁর বিরহি হৃদয়ের পুরোনো ব্যথাকে যে ভুলে থাকতে চান সে কথাটিই এখানে ব্যক্ত করেছেন।
বিষণ্ণ এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ সুরের ডাক কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবির প্রেয়সীর ম্লান চক্ষু তাঁর সামনে ভেসে ওঠে। পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো সে রূপসী কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে ওইভাবে কাঁদতে নিষেধ করেছেন। তিনিও তাঁর অতীতকে জাগিয়ে তুলে বেশি ব্যথা পেতে চান না।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। “জীবনানন্দের ‘হায় চিল’ কবিতাটিতে বিষণ্ণতার এক ম্লান আলো ছাড়াইয়া আছে।” – এই উক্তিটির আলোকে কবিতাটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ রোমান্টিক কবি জীবনানন্দ দাশ এক বৃষ্টিভেজা মেঘলা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে একটি চিলকে ডাকতে শুনেছেন। চিলের এই করুণ সুরে ডাকের সঙ্গে কবি হৃদয়ের বেদনা মিশ্রিত হয়ে এক বেদনার আবহ নির্মিত হয়। তা আলোচ্য কবিতার প্রতিটি পংক্তিতে প্রতিভাত হয়।
কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে মেঘলা দুপুরে একটি চিলের ডাক শুনতে পান। এই করুণ সুরের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই কান্না তাঁর অতীত দিনের হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবির প্রেয়সীর ম্লান চক্ষু তাঁর সামনে ভেসে ওঠে, যা বেতের ফলের মতো নীলাভ। পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো সে রূপসী, কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না কবিকে আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে প্রশ্ন করছেন, সে আবার কেন পুরাতন বেদনা জাগিয়ে তোলে ? তাই কবি চিলকে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে ডাকতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ২। ‘হায় চিল’ কবিতাটির নামকরণের তাৎপর্য বিচার করো।
উত্তরঃ সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি যে কোন শাখাই হোক না কেন সাহিত্যিক নামকরণের মাধ্যমেই তাঁর রচনাটিকে ইঙ্গিতময় করে তুলতে চান। ‘হায় চিল’ কবিতাটিতে কবি নামকরণের মধ্যেই কবিতার মূল বক্তব্য বিষয়কে উপস্থাপিত করতে পেরেছেন।
‘হায়’ দুঃখবাচক একটি শব্দ। হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে তখন হায় শব্দটিতে তা প্রকাশ পায়। ‘চিল’ এখানে প্রতীক রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। কবির দৃষ্টিতে চিল প্রিয়া বিচ্ছিন্ন বিরহীদের প্রতীক। বৃষ্টিভেজা মেঘের দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে যে চিল ডেকে ডেকে বেড়াচ্ছে তার ডাককে কবির কান্না বলে মনে হয়েছে। তার এই কান্নার সুর শুনে কবির মন ব্যথিত হয়ে উঠেছে। কবির নিজস্ব বিরহ বেদনা কবিকে চিলের সঙ্গে একাত্ম করে দিয়েছে।
সমগ্র কবিতাটিতে চিলের বিষণ্ণ কান্নার শব্দ ও কবির মনোজগতে তার প্রতিধ্বনির বিষণ্ণ সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ‘হায় চিল’ এই শব্দ দুটির দ্বারা কবিতায় তাঁর বিরহী মনের বেদনাকে রূপদান করেছেন।
চিলের কান্নার সুরেই কবির মনে তাঁর হারানো প্রিয়ার কথা জাগরিত হয়েছে। যে প্রিয়া পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো রূপ নিয়ে দূরে চলে গেছে সেই হারানোর ব্যথা তার হৃদয় খুঁড়ে উঠে এসেছে কবিতায়। সুতরাং ‘হায় চিল’ নামটি চয়ন করা এক্ষেত্রে সার্থক হয়ে উঠেছে।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ‘হায় চিল’ কবিতাটির সারমর্ম লেখো।
উত্তরঃ ‘হায়চিল’ কবিতায় কবি জীবনানন্দের এক রোমান্টিক মনের পরিচয় পাওয়া যায়। কবি এক বৃষ্টি ঝরা দুপুরে বাংলার মেঘলা আকাশে ধানসিঁড়ির তীরে উড়ন্ত চিলের ডাককে কান্নার মতো মনে করছেন। সেই কান্নার সুর যেন কবি হৃদয়ের সুপ্ত হৃদয়ের বেদনাকে জাগ্রত করে তুলছে। কবি তাঁর হারানো প্রেয়সীর বিচ্ছেদ বেদনা ভুলে থাকতে চান। কিন্তু এই চিলের ডাকে কবির অন্তরে প্রেয়সীর পুরানো স্মৃতি জাগ্রত হয়। অতীত দিনের কবি প্রিয়ার ম্লান চক্ষু ভেসে উঠে যে চক্ষু বেতের ফলের মতো নীলাভ। সে ছিল পৃথিবীর রাজকন্যার মতো রূপসী। কিন্তু আজ আর সে পৃথিবীতে নেই। চিলের কান্নার সুরে কবি হৃদয়ের নিদ্রিত প্রিয়া বিরহ যন্ত্রণাকে আবার নতুন করে জাগিয়ে তুলে।
এতে কবি অসহায় বোধ করেন। সেকারণে কবি চিলকে প্রশ্ন করেন – কেন সে পুরানো স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলে। চিলটি যেন কবির হৃদয়ে আর ব্যথা সঞ্চার না করে।
প্রশ্ন ২। ‘হায় চিল’ কবিতার মধ্যে কবির প্রকৃতি চেতনার যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশের লেখনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি চেতনা। তাঁর সাহিত্যে প্রকৃতি ও মানুষের মেলবন্ধনের অপরূপ ছবি দৃষ্টিগোচর হয়। কবি প্রকৃতির নানা রূপ, রঙ, রহস্য ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগ করে একের পর এক আপনভঙ্গীতে করে গেছেন অনবদ্য সৃষ্টি। জীবনানন্দের ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘হায় চিল’ কবিতার মধ্যে কবির প্রকৃতি চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। ধানসিঁড়ি নদীর পাশে আকাশের চিলকে কেঁদে কেঁদে উড়তে দেখেন কবি। চিলের এই করুণ কান্নার ফলে কবির আপন প্রেমিকার ম্লান চোখ মনে পড়ে যায়। কবির প্রিয়া আজ কবির কাছে নেই। কবির অন্তরে রয়েছে বিচ্ছেদ বেদনা। কবিতার ছন্দের মধ্যে প্রকৃতির স্পর্শে প্রস্ফুটিত হয়েছে কবির অন্তহীন অন্তর বেদনা।
প্রশ্ন ১। ‘হায়চিল’ কবিতাটির কবির নাম কী?
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন ২। ‘হায়চিল’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অর্ন্তগত?
উত্তরঃ ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্ন ৩। ‘হায় চিল’ কবিতায় ‘চিল’ কীসের প্রতীক?
উত্তরঃ বিরহের প্রতীক।
প্রশ্ন ৪। হায়, চিল _____ ডানার চিল। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ সোনালী।
প্রশ্ন ৫। তুমি আর উড়ে উড়ে কেঁদো নাকো _____ নদীটির পাশে। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ ধান সিঁড়ি।
প্রশ্ন ৬। ‘সোনালি ডানার চিল’ কোন্ চিলকে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ শঙ্খচিলকে।
প্রশ্ন ৭। ধানসিঁড়ি কী?
উত্তরঃ বরিশালে স্তরে স্তরে সজ্জিত ধানের ক্ষেত।
প্রশ্ন ৮। ‘ভিজে মেঘের দুপুরে’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বৃষ্টি ঝরা মেঘলা দুপুরকে বোঝায়।
প্রশ্ন ৯। “তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে !’- কবি কাকে কাঁদতে বারণ করেছেন?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলকে কবি কাঁদতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ১০। কে কবির হৃদয়ে বেদনা জাগিয়ে তুলেছে?
উত্তরঃ বিষণ্ন চিলের ডাক কবির মনে বিরহ বেদনা জাগিয়ে তুলেছে।
প্রশ্ন ১১। কবি চিলকে কোন নদীর পাশে উড়ে উড়ে কাঁদতে বারণ করেছেন?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে।
প্রশ্ন ১২। “_____কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!”
কবি কার উদ্দেশ্য কথাটি বলেছেন?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের উদ্দেশ্যে।
প্রশ্ন ১৩। ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলটির ডানার রং কী ছিল?
উত্তরঃ সোনালী।
প্রশ্ন ১৪। ধানসিঁড়ি কী?
উত্তরঃ বাংলাদেশের একটি নদীর নাম যা কবি কল্পিত।
প্রশ্ন ১৫। চিলের কান্না কবিকে কী মনে করিয়ে দেয়?
উত্তরঃ চিলের কান্না কবিকে তাঁর হারানো প্রিয়ার ম্লান চোখের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রশ্ন ১৬। রাঙা রাজকন্যা কারা?
উত্তরঃ রূপকথার রূপসী রাজকন্যাদের কথা এখানে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৭। “তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতন তার ম্লান চোখ মনে আসে।”
– কার ম্লান চোখ মনে আসে?
উত্তরঃ অতীত দিনের এক রূপসী নারীর ম্লান চোখের কথা, যিনি কবির প্রেয়সী ছিলেন।
প্রশ্ন ১৮। কবিতার হারানো প্রিয়ার চোখকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ বেতফলের সঙ্গে।
প্রশ্ন ১৯। কবি জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
উত্তরঃ রূপসী বাংলা।
প্রশ্ন ২০। কবি জীবনানন্দ দাশকে কখন একাদেমী পুরস্কার দেওয়া হয়?
উত্তরঃ কবির মৃত্যুর পর।
প্রশ্ন ২১। জীবনানন্দ দাশ কত সালে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৫৫ সালে জীবনানন্দ দাশকে (মৃত্যুর পর) সাহিত্য একাদেমী পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। “____কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!”
– কাব্যাংশটি কোন্ কবিতার অন্তর্গত? কবিতাটি কার রচনা?
উত্তরঃ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের রচিত ‘হায় চিল’ কবিতার অন্তর্গত।
প্রশ্ন ২। “তোমার কান্নার সুরে বেতের-ফলের মতন তার ম্লান চোখ মনে আসে; – “উদ্ধৃতিটি কোন্ কবিতার অংশ? কবি কে? কার কান্নার কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি ‘হায় চিল’ কবিতার অংশ। কবি হলেন জীবনানন্দ দাশ। এখানে চিলের কান্নার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩। জীবনানন্দ দাশের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ (১) রূপসী বাংলা।
(২) মহাপৃথিবী।
প্রশ্ন ৪। “তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে-উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!” – কবি কাকে, কোথায় কাঁদতে বারণ করেছেন?
উত্তরঃ কবি ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলকে কাঁদতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ৫। “আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?”- এই উক্তি কার উদ্দেশ্যে? ‘তাহারে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ এই উক্তি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাক শুনে কবি জীবনানন্দ চিলের উদ্দেশ্যে করেছেন। ‘তাহারে’ বলতে কবির অতীত দিনের এক রূপসী নারী, যিনি কবির প্রেয়সী ছিলেন তার কথা বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ৬। “কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।”
– কোন কবিতার অংশ? এখানে কার হৃদয়ের বেদনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃতি ‘হায় চিল’ কবিতার।
প্রশ্ন ৭। চিলের কান্নায় কবির মধ্যে কোন্ অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ চিলের কান্নার সুর শুনে কবির মনে প্রিয়া বিচ্ছিন্নতার বিরহ জেগে উঠেছে। চিলের বিষণ্ন ডাক তাঁর মনকে ব্যথিত করে তুলেছে।
প্রশ্ন ৮। “তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে।”
– পংক্তিটি কোন কবিতার? কবির নাম কী?
উত্তরঃ পংক্তিটি ‘হায় চিল’ কবিতার। কবির নাম জীবনানন্দ দাশ।
প্রশ্ন ৯। টীকা লেখো:
১। ধানসিঁড়ি।
উত্তরঃ কবি কল্পনায় পূর্ববঙ্গের একটি নদীর নাম। আবার কাকে কারো মতে ধানক্ষেতের মাঠ নীচ থেকে উপরের দিকে স্তরে স্তরে সব্জী ও ধানের ক্ষেত। কবির বহু কবিতায় আমরা এই ধানসিঁড়ির উল্লেখ পাই।
প্রশ্ন ১০। “এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে।”
– ‘ধানসিঁড়ি নদী’ কোথায় অবস্থিত? এখানে ‘তুমি’ কে?
উত্তরঃ ধানসিঁড়ি বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালে অবস্থিত।
এখানে তুমি বলতে চিলকে বোঝানো হয়েছে।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ‘তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!’
– কার কান্নার কথা এখানে বলা হয়েছে? উদ্ধৃতাংশের বক্তব্য পরিস্ফুট করো।
অথবা,
“করিতাংশটি কোন্ কবিতার অন্তর্গ? কবি কাকে কাঁদতে নিষেধ করেছেন?
অথবা,
উদ্ধৃতাংশটি কোন কবিতার অন্তর্গত? কবি কাকে কেন কান্না থামাতে বলেছেন?
উত্তরঃ কবিতাংশটি জীবনানন্দ দাশের ‘হায়চিল’ কবিতার অন্তর্গত।
এখানে চিলের কান্নার কথা বলা হয়েছে। কবি জীবনানন্দ দাশ একদিন ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের ডাক শুনেছেন। এই চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়েছে। চিলের ক্রদন কবির অতীতে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে কান্না থামাতে বলেছেন।
প্রশ্ন ২। ‘তোমার কান্নার সুরে বেতের-ফলের মতন তার স্নান চোখ মনে আসে।
পৃথিবীর রাঙা রাজ কন্যাদের মতো সে যে চ’লে গেছে রূপ নিয়ে দূরে; – সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশের ‘হায় চিল’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই উক্তিটি ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত একটি চিলের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
কবি জীবনানন্দ তাঁর প্রিয়তমাকে হারানোর বেদনাকে ভুলে থাকতে চান। কিন্তু বিষণ্ণ এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে তিনি একটি উড়ন্ত চিলের ডাক শুনতে পান। এই চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ ডাকে কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর ম্লান চোখ দুটি তাঁর সামনে ভেসে ওঠে, যা বেতের ফলের মতো নীলাভ। যে প্রেয়সী রূপকথার রাজকন্যার মতো সুন্দরী সে যেন কবির মনে এক আবেশ সৃষ্টি করে চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রশ্ন ৩। “আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?”
– এই উক্তি কার উদ্দেশ্যে? সে যাকে ডেকে আনে তার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাক শুনে এই চিলের উদ্দেশ্যে উক্তিটি করেছেন।
কবি বিরহ ব্যথায় কাতর। তাঁর প্রিয়া দূরে চলে গেছে। কিন্তু এক বৃষ্টিভেজা মেঘের দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাকে কবি যেন অতীত দিনের হারানো প্রিয়াকে খুঁজে পান। যে প্রিয়া পৃথিবীর অন্য রাজকন্যাদের মতো রূপসী। তাঁর চোখ দুটি বেতফলের মতো নীলাভ। চিলের কান্নার সুর (ডাক) কবির মনের বেদনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই তিনি চিলকে প্রশ্ন করেন যে, সে আবার কেন কবির অন্তরের সুপ্ত বেদনাকে জাগিয়ে তুলে।
প্রশ্ন ৪। “_____ কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!” – বক্তব্য পরিস্ফুট করো।
অথবা,
– কে, কার উদ্দেশ্যে, কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন?
অথবা,
বক্তব্যটি পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত এক চিলের উদ্দেশ্যে উক্তিটি করেছেন।
কবি বিরহ ব্যথায় কাতর। তাঁর প্রিয়া দূরে চলে গেছে। কিন্তু এক বৃষ্টিভেজা মেঘের দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত চিলের ডাকে কবি যেন বিরহী হৃদয়ের কান্নার সুর খুঁজে পান। সেই কান্নার সুর তাঁর মনের বেদনাকে আরও বাড়িয়ে তুলে। তাঁর প্রিয়ার ম্লান চোখ মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। এই বিচ্ছেদ বেদনাকে কবির মনে নূতনভাবে জাগিয়ে তুলে চিলের এই করুণ কান্না। তাই চিলের উদ্দেশ্যে কবি একথা বলেছেন।
প্রশ্ন ৫। “পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চ’লে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা
জাগাতে ভালোবাসে!”
– কে রূপ নিয়ে দূরে চলে গেছে? কবির বক্তব্য বুঝিয়ে দাও।
অথবা,
অন্তর্নিহিত ভাব ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশের প্রেয়সী রূপ নিয়ে দূরে চলে গেছে।
ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ সুরের ডাক কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সে পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো নী। কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না কবিকে আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে প্রশ্ন করছেন, সে আবার কেন পুরাতন বেদনা জাগিয়ে তোলে।
প্রশ্ন ৬। “তোমার কান্নার সুরে বেতের-ফলের মতন তার ম্লান চোখ মনে আসে;”
– উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশের ‘হায় চিল’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই উক্তিটি ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত একটি চিলের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
কবি জীবনানন্দ তাঁর প্রিয়তমাকে হারানোর বেদনাকে ভুলে থাকতে চান। কিন্তু বিষণ্ণ এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে তিনি একটি উড়ন্ত চিলের ডাক শুনতে পান। এই চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ ডাকে কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর ম্লান চোখ দুটি তাঁর সামনে ভেসে ওঠে, যা বেতের ফলের মতো নীলাভ। যে প্রেয়সী রূপকথার রাজকন্যার মতো সুন্দরী সে যেন কবির মনে এক আবেশ সৃষ্টি করে চিরতরে হারিয়ে গেছে।
প্রশ্ন ৭। ‘হায় চিল’ কবিতায় চিলের উদ্দেশ্যে কবির আবেদন গদ্যে ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
‘হায় চিল’ কবিতায় কবি চিলকে কান্না থামাতে কেন বলেছেন আলোচনা করো।
উত্তরঃ ‘হায় চিল’ কবিতায় দেখা যায় কোন একদিন বৃষ্টি ঝরা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে উড়ন্ত একটি চিলের ডাক শুনতে পান কবি। এই ডাক কবির নিকট কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই ডাক কবির অতীত দিনের হারিয়ে যাওয়া তাঁর প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবির প্রেয়সীর ম্লান চক্ষু তাঁর সামনে ভেসে ওঠে। পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো সে রূপসী কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না কবিকে আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে প্রশ্ন করছেন, সে আবার কেন পুরাতন বেদনা জাগিয়ে তোলে ? তাই কবি চিলকে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ে-উড়ে ডাকতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ৮। ‘পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে।
– পংক্তিটি কোন্ কবিতা থেকে উদ্ধৃত হয়েছে? এখানে ‘সে’ বলতে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে? পংক্তিটির নিহিতার্থ কী তা লেখো।
উত্তরঃ পংক্তিটি ‘হায় চিল’ কবিতা থেকে গৃহিত হয়েছে।
এখানে সে বলতে কবির হারানো প্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। রাঙা রাজকন্যারা হলো রূপকথার জগতের পরীর মতো সুন্দর রাজকন্যারা। তারা শিশু হৃদয়ে এক প্রকার আবেশ তৈরি করে অধরাই থেকে যায়। তেমনি কবির প্রিয়তমাও তাঁর কাছ থেকে দূরে চলে গিয়ে রূপকথার রাজকন্যাদের মতোই অধরা থেকে গেল। কিন্তু দিয়ে গেল এক ‘দারুণ হৃদয় বেদনা।
প্রশ্ন ৯। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো।
‘‘আবার তাহারে কেন ডেকে আনো ? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।”
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতাংশটি বাংলার রূপ সুধাপানে মগ্ন কবি জীবনানন্দ দাসের ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘হায়চিল’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ – কবি তাঁর বিরহি হৃদয়ের পুরোনো ব্যথাকে যে ভুলে থাকতে চান সে কথাটিই এখানে ব্যক্ত করেছেন।
বিষণ্ণ এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে উড়ন্ত চিলের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই করুণ সুরের ডাক কবির অতীত দিনে হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবির প্রেয়সীর ম্লান চক্ষু তাঁর সামনে ভেসে ওঠে। পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো সে রূপসী কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে ওইভাবে কাঁদতে নিষেধ করেছেন। তিনিও তাঁর অতীতকে জাগিয়ে তুলে বেশি ব্যথা পেতে চান না।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। “জীবনানন্দের ‘হায় চিল’ কবিতাটিতে বিষণ্ণতার এক ম্লান আলো ছাড়াইয়া আছে।” – এই উক্তিটির আলোকে কবিতাটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ রোমান্টিক কবি জীবনানন্দ দাশ এক বৃষ্টিভেজা মেঘলা দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর পাশে একটি চিলকে ডাকতে শুনেছেন। চিলের এই করুণ সুরে ডাকের সঙ্গে কবি হৃদয়ের বেদনা মিশ্রিত হয়ে এক বেদনার আবহ নির্মিত হয়। তা আলোচ্য কবিতার প্রতিটি পংক্তিতে প্রতিভাত হয়।
কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ি নদীর পাশে মেঘলা দুপুরে একটি চিলের ডাক শুনতে পান। এই করুণ সুরের ডাক কবির কাছে কান্নার মতো মনে হয়। চিলের এই কান্না তাঁর অতীত দিনের হারিয়ে যাওয়া প্রেয়সীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবির প্রেয়সীর ম্লান চক্ষু তাঁর সামনে ভেসে ওঠে, যা বেতের ফলের মতো নীলাভ। পৃথিবীর অন্যান্য রাজকন্যাদের মতো সে রূপসী, কিন্তু আজ সে জীবিত নয়। চিলের কান্না কবিকে আবার তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই কবি চিলকে প্রশ্ন করছেন, সে আবার কেন পুরাতন বেদনা জাগিয়ে তোলে ? তাই কবি চিলকে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে ডাকতে বারণ করেছেন।
প্রশ্ন ২। ‘হায় চিল’ কবিতাটির নামকরণের তাৎপর্য বিচার করো।
উত্তরঃ সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি যে কোন শাখাই হোক না কেন সাহিত্যিক নামকরণের মাধ্যমেই তাঁর রচনাটিকে ইঙ্গিতময় করে তুলতে চান। ‘হায় চিল’ কবিতাটিতে কবি নামকরণের মধ্যেই কবিতার মূল বক্তব্য বিষয়কে উপস্থাপিত করতে পেরেছেন।
‘হায়’ দুঃখবাচক একটি শব্দ। হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে তখন হায় শব্দটিতে তা প্রকাশ পায়। ‘চিল’ এখানে প্রতীক রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। কবির দৃষ্টিতে চিল প্রিয়া বিচ্ছিন্ন বিরহীদের প্রতীক। বৃষ্টিভেজা মেঘের দুপুরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে যে চিল ডেকে ডেকে বেড়াচ্ছে তার ডাককে কবির কান্না বলে মনে হয়েছে। তার এই কান্নার সুর শুনে কবির মন ব্যথিত হয়ে উঠেছে। কবির নিজস্ব বিরহ বেদনা কবিকে চিলের সঙ্গে একাত্ম করে দিয়েছে।
সমগ্র কবিতাটিতে চিলের বিষণ্ণ কান্নার শব্দ ও কবির মনোজগতে তার প্রতিধ্বনির বিষণ্ণ সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ‘হায় চিল’ এই শব্দ দুটির দ্বারা কবিতায় তাঁর বিরহী মনের বেদনাকে রূপদান করেছেন।
চিলের কান্নার সুরেই কবির মনে তাঁর হারানো প্রিয়ার কথা জাগরিত হয়েছে। যে প্রিয়া পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো রূপ নিয়ে দূরে চলে গেছে সেই হারানোর ব্যথা তার হৃদয় খুঁড়ে উঠে এসেছে কবিতায়। সুতরাং ‘হায় চিল’ নামটি চয়ন করা এক্ষেত্রে সার্থক হয়ে উঠেছে।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ‘হায় চিল’ কবিতাটির সারমর্ম লেখো।
উত্তরঃ ‘হায়চিল’ কবিতায় কবি জীবনানন্দের এক রোমান্টিক মনের পরিচয় পাওয়া যায়। কবি এক বৃষ্টি ঝরা দুপুরে বাংলার মেঘলা আকাশে ধানসিঁড়ির তীরে উড়ন্ত চিলের ডাককে কান্নার মতো মনে করছেন। সেই কান্নার সুর যেন কবি হৃদয়ের সুপ্ত হৃদয়ের বেদনাকে জাগ্রত করে তুলছে। কবি তাঁর হারানো প্রেয়সীর বিচ্ছেদ বেদনা ভুলে থাকতে চান। কিন্তু এই চিলের ডাকে কবির অন্তরে প্রেয়সীর পুরানো স্মৃতি জাগ্রত হয়। অতীত দিনের কবি প্রিয়ার ম্লান চক্ষু ভেসে উঠে যে চক্ষু বেতের ফলের মতো নীলাভ। সে ছিল পৃথিবীর রাজকন্যার মতো রূপসী। কিন্তু আজ আর সে পৃথিবীতে নেই। চিলের কান্নার সুরে কবি হৃদয়ের নিদ্রিত প্রিয়া বিরহ যন্ত্রণাকে আবার নতুন করে জাগিয়ে তুলে।
এতে কবি অসহায় বোধ করেন। সেকারণে কবি চিলকে প্রশ্ন করেন – কেন সে পুরানো স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলে। চিলটি যেন কবির হৃদয়ে আর ব্যথা সঞ্চার না করে।
প্রশ্ন ২। ‘হায় চিল’ কবিতার মধ্যে কবির প্রকৃতি চেতনার যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশের লেখনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি চেতনা। তাঁর সাহিত্যে প্রকৃতি ও মানুষের মেলবন্ধনের অপরূপ ছবি দৃষ্টিগোচর হয়। কবি প্রকৃতির নানা রূপ, রঙ, রহস্য ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগ করে একের পর এক আপনভঙ্গীতে করে গেছেন অনবদ্য সৃষ্টি। জীবনানন্দের ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘হায় চিল’ কবিতার মধ্যে কবির প্রকৃতি চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। ধানসিঁড়ি নদীর পাশে আকাশের চিলকে কেঁদে কেঁদে উড়তে দেখেন কবি। চিলের এই করুণ কান্নার ফলে কবির আপন প্রেমিকার ম্লান চোখ মনে পড়ে যায়। কবির প্রিয়া আজ কবির কাছে নেই। কবির অন্তরে রয়েছে বিচ্ছেদ বেদনা। কবিতার ছন্দের মধ্যে প্রকৃতির স্পর্শে প্রস্ফুটিত হয়েছে কবির অন্তহীন অন্তর বেদনা।