Class 11 Environmental Studies Chapter 2 বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা Question Answer | AHSEC Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Class 11 Environmental Studies Chapter 2 বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা Notes and select needs one.
Class 11 Environmental Studies Chapter 2 বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা
Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 11 Environmental Studies Chapter 2 বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 11 Environmental Studies Chapter 2 বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা Solutions for All Subjects, You can practice these here.
বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা
Chapter: 2
প্রশ্ন ১। ইকোলজি বা বাস্তব্যবিদ্যার সংজ্ঞা নির্ণয় কর। (Define the term ‘Ecology’)
উত্তরঃ বাস্তব্যবিদ্যার ইংরাজী প্রতিশব্দ ইকোলজি (‘Ecology’) র উৎপত্তি গ্রীক শব্দ ওইকোস (Oikos) অর্থ গৃহ) ‘ লগোস ‘ (Logos অর্থ অধ্যয়ন) এর থেকে হয়েছে। বাস্তব্যবিদ্যা বাইকোলজিতে জীবকুলের স্বাভাবিক গৃহ বাসস্থান এবং তাদের চারপাশের পরিবেশকে বা পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে আন্ত ক্রিয়ার অধ্যয়ন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। অন্যদিকে ইকোলজি বা বাস্তব্যবিদ্যার হল উদ্ভিদ, জীবজন্তু এবং তাদের পরিবেশের আন্ত সম্পর্ক এবং পারস্পরিক নির্ভরশিলতার বিষয়ে অধ্যয়ন। বাস্তব্যবিদ্যার সারমর্ম উদ্ভিদ, জীবজন্তু , অণুজীব এবং তাদের পরিবেশ, সবকিছুর ঐক্যবদ্ধ অধ্যয়নের মধ্যে নিহিত আছে।
প্রশ্ন ২। পরিস্থিতিতন্ত্র বলতে তুমি কী বুঝ? (What do you mean by ecosystem)
উত্তরঃ পৃথিবীর বসবাসকারী বিভিন্ন প্রকারের জীব নিজের এবং পৃথিবীর ভৌতিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। জিবসমূহের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রভাব পরিবেশের উপরে পড়ে এবং এগুলি পরিবেশের জন্য প্রভাবান্বিত হয়। এরকম সম্পর্ক অর্থাৎ ক্রিয়া – প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে জীবন নির্বাহ করা বিভিন্ন প্রকার জীব এবং তাদের পরিবেশকে একত্রে পরিস্থিতি তন্ত্র বলে। পরিস্থিতি তন্ত্রে ভৌতিক উপাদান বা অজৈবিক উপাদান এবং জৈবিক উপাদান অন্তর্ভূক্ত থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে কাজিরাঙার উদ্যান একটি পরিস্থিতি তন্ত্র যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর সঙ্গে জড় উপাদান, যেমন – মাটি, পাথর, জল ইত্যাদি তাছাড়া উদ্ভিদ্দামুহের দ্বারা শুষে নেওয়া সৌরশক্তি এবং আন্ত ক্রিয়া ও অন্তর্ভুক্ত। পরিস্থিতি তন্ত্র বাস্তব্যবিদ্যার বিস্তৃত তথা সক্রিয় গোষ্ঠী।
প্রশ্ন ৩। পরিস্থিতি তন্ত্রের শ্রেণীবিভাগ কর। (Classify ecosystem)
উত্তরঃ পরিস্থিতিতন্ত্র মুলত দুই ধরনের-
(ক) প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্র। এবং
(খ) কৃত্রিম অথবা মানব সৃষ্ট পরিস্থিতিতন্ত্র।
(ক) প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্র: এই পরিস্থিতিতন্ত্র আবার দুই ভাগে বিভক্ত।
১। স্থলভাগের পরিস্থিতিতন্ত্র (Terrestrial ecosystem): যেমন – বনাঞ্চল পরিস্থিতিতন্ত্র, তৃণভূমি পরিস্থিতিতন্ত্র, মরুভূমি পরিস্থিতিতন্ত্র ইত্যাদি।
২। জলজ পরিস্থিতিতন্ত্র (Auqutic ecosystem): এই ধরনের পরিস্থিতিতন্ত্র দুইভাগে বিভক্ত –
(ক) নির্মলজল পরিস্থিতিতন্ত্র। এবং
(খ) লোনাজল পরিস্থিতিতন্ত্র আবার নির্মলজল পরিস্থিতিতন্ত্র দুইভাগে বিভক্ত যেমন –
(অ) প্রবাহমান পরিস্থিতিতন্ত্র যেমন – নদী, ঝরনা, ইত্যাদি এবং
(আ) আবদ্ধ জলের পরিস্থিতিতন্ত্র যেমন – পুকুর, হ্রদ, লোনা হ্রদ ইত্যাদি। অন্যদিকে লোনাজল পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ হল – সাগর, লোনা হ্রদ ইত্যাদি।
(খ) কৃত্রিম বা মানব সৃষ্ট পরিস্থিতিতন্ত্র: এই সমস্ত
পরিস্থিতিতন্ত্র কৃত্রিমভাবে মানুষের দ্বারা সৃষ্ট। যেমন – শস্যভূমি পরিস্থিতিতন্ত্র, ফিসারির মৎস পালন ব্যবস্থা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪। প্রবাহমান এবং স্থির জলরাশির পরিস্থিতিতন্ত্র কী? উদাহরণ দাও। (What are lotic and lentic ecosystem? Give examples)
উত্তরঃ জলজ পরিস্থিতিতন্ত্রের মধ্যে নির্মলজল পরিস্থিতিতন্ত্রের দুইটি ধরন হল –
১। প্রবাহমান পরিস্থিতিতন্ত্র। এবং
২। স্থিরজল পরিস্থিতিতন্ত্র।
১। প্রবাহমান পরিস্থিতিতন্ত্র (Lotic ecosystem): যে জলজ পরিস্থিতিতন্ত্র জলের প্রবাহ ক্রমাগত চলতে থাকে সেই পরিস্থিতি তন্ত্রকে প্রবাহমান পরিস্থিতিতন্ত্র বলে। যেমন – নদী, ঝরনা, ইত্যাদি।
২। স্থিরজল পরিস্থিতিতন্ত্র (Lentic ecosystem): যে সকল জলজ পরিস্থিতিতন্ত্রের জল স্থির অর্থাৎ আবদ্ধ অবস্থায় থাকে সে সমস্ত জলজ পরিস্থিতিতন্ত্রকে স্থিরজল পরিস্থিতিতন্ত্র বা আবদ্ধজল পরিস্থিতিতন্ত্র বলে। যেমন – পুকুর, হ্রদ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫। উৎপাদক, উপাভুক্তা এবং পচনকারক কাকে বলে? (What are producers consumers and decomposers)
উত্তরঃ উৎপাদক (producers): যে সকল সবুজ উদ্ভিদ সৌরশক্তির সাহায্যে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতিতে কার্ব হাইড্রেট জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে তাদের স্বভোজী উদ্ভিদ বলে। উৎপাদকের দ্বারা উৎপন্ন কার্ব হাইড্রেট জাতীয় খাদ্য উহাদের দেহে সঞ্চিত অবস্থায় থাকে এবং পৃথিবীর সকল প্রাণী জগতের জন্য খাদ্যের যোগান দেয়।
উপভুক্তা (Consumers): যে সকল জীব নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না এবং উদ্ভিদের দ্বারা উৎপন্ন খাদ্য গ্রহন করে বেচে থাকে তাদের উপভূক্তা বলে। সকল প্রকারের প্রাণী এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
পচনকারক (Decomposers): যে সকল অণুজীব জীব দেহের মৃত অঙ্গে পচন ঘটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় তাদেরকে পচনকারী বা বিয়োজক বলে। বিয়োজক মৃতদেহের জটিল যৌগ ভেঙ্গে সরল অণুতে পরিণত করে। বিয়োজকসমুহ পরিবেশের বিশুদ্ধকারী হিসাবে কাজ করে। যেমন – ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৬। পরিস্থিতিতন্ত্রকে কাঠামো এবং ক্রিয়া সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ। (Write briefly on structure and functions of an ecosystem)
উত্তরঃ জৈবিক এবং অজৈবিক উপাদান সমূহের রচনা এবং সংগঠনই পরিস্থিতিতন্ত্রের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে।
জৈবিক পরিকাঠামো (Biotic structure): পরিস্থিতিতন্ত্রের উদ্ভিদ, জীব জন্তু এবং অণুজীব সমুহ নিয়েই জৈবিক উপাদান গঠিত হয়েছে। জৈবিক উপাদানগুলিকে আবার-
(ক) স্বভোজী। এবং
(খ) পরভোজী।
এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
অজৈবিক কাঠামো(Abiotic structure): পরিস্থিতিতন্ত্রের ভৌতিক এবং রাসায়নিক উপাদান সমূহকে নিয়েই অজৈবিক কাঠামো গঠিত হয়েছে। এতে সূর্যের আলো, দ্রাঘিমাংশ, আ্খাংশ, গড় তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ধরন, বাতাসের গতিবেগ, ইত্যাদি সমস্ত প্রকারের ভৌতিক কারকের যুক্ত করার পাশাপাশি মাটির অবস্থা সম্পর্কীয় কারকসমূহেকেও সংযুক্ত করা হয়েছে।
পরিস্থিতিতন্ত্রের ক্রিয়া বা কাজকর্ম: প্রাকৃতিক অবস্থাসমূহের মধ্যে এক প্রণালীবদ্ধ উপায়ে পরিস্থিতিতন্ত্রর তার সমস্ত ক্রিয়া সম্পাদন করে। এই ব্যবস্থা সূর্য থেকে শক্তি আহরণ করে বিভিন্ন উপাদান সমূহে প্রেরণ করে। পরিস্থিতিতন্ত্রের প্রতিটি অংশের মধ্যে ক্রিয়াগত প্রভাব রয়েছে। কোন পরিস্থিতিতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমুহ খাদ্য শৃঙ্খল, খাদ্যজাল, পৌষ্টিক স্তর, শক্তির প্রবাহ, পৌষ্টিক চক্র ইত্যাদির মাধ্যমে বর্ণনা করা যায়।
প্রশ্ন ৭। খাদ্য শৃঙ্খল এবং খাদ্যজাল কি? (What are food chain food web?)
উত্তরঃ খাদ্য শৃঙ্খল (food chain): যে কোন পরিস্থিতিতন্ত্রে কোন জীবের আহার গ্রহন করা এবং অন্য জীবের দ্বারা ভাক্ষম প্রাপ্ত হওয়ার অনুক্রমিক শৃঙ্খলকে খাদ্য শৃঙ্খল বলে। খাদ্যের মধ্যে নিহিত শক্তি একটি জীবের থেকে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে অন্য জিবে স্থানান্তরিত হয়।
খাদ্য শৃঙ্খলের সাধারণ উদাহরণসমুহ এই ধরনের:
ঘাস – তৃণভোজী পশু → বাঘ
(এই শৃঙ্খল তিনটি সংযোজক নিয়ে গঠিত)
ঘাস → ফড়িং → পাখি → বাজপাখি
(এই শৃঙ্খল চারটি সংযোজক নিয়ে গঠিত)
উদ্ভিদ প্লাবক (Phytoplankton) → জলের কীট বা পোকা (Water falls) → ক্ষুদ্র মাছ → টুনা মাছ (Tuna)
খাদ্যজাল (Food web): কিছু সংখ্যক খাদ্য শৃঙ্খল একে ওপরের সঙ্গে সংযোগের ফলে মাকড়শার জালের মতো আকৃতি সৃষ্টি হয়। কয়েকটি সংযুক্ত খাদ্য শৃঙ্খল নিয়ে গঠিত এই অন্তবন্ধন যুক্ত রূপকে খাদ্যজাল (Food web) বলে। তাই খাদ্যজাল হল খাদ্য শৃঙ্খলের এমন এক কর্মজাল (Network) যেখানে বিভিন্ন ধরনের জীব বিভিন্ন ধরনের পৌষ্টিক স্তরে সংযুক্ত।
প্রশ্ন ৮। পৌষ্টিক স্তর কি? (What is trophic level)
উত্তরঃ যে কোন পরিস্থিতিতন্ত্রের প্রতিটি জীবকে একেকটি আহার পর্যায় বা স্তর হিসাবে গণ্য করা যায়। একে পৌষ্টিক স্তর বলে গণ্য করা হয়। একই উৎস থেকে শক্তি আহরণ করা জীবন্ত জীব সমুহ একটি পৌষ্টিক স্তরের বলে গণ্য হবে। এইভাবে সবুজ উদ্ভিদ প্রথম পৌষ্টিক স্তরে অন্তর্ভুক্ত হবে। তৃণভোজী প্রাণীরা দ্বিতীয় পৌষ্টিক স্তরভুক্ত (প্রাথমিক উপভুক্তা) হবে। মাংসভোজী প্রাণীরা অন্তর্ভুক্ত হবে তৃতীয় পৌষ্টিক স্তরে (দ্বিতীয় পর্যায়ের উপাভক্তা) এইভাবে অনিগুলো অন্যান্য শ্রেণীভুক্ত হবে।
প্রশ্ন ৯। পরিবেশীয় পিরামিড বলতে তুমি কি বোঝ? বিভিন্ন প্রকারের পরিবেশীয় পিরামিডের নাম উল্লেখ কর। (What do you men by ecological pyramid? Name different types of ecological pyramid)
উত্তরঃ যে কোন পরিস্থিতিতন্ত্রে একেবারে নিম্ন স্তরের উৎপাদক থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত উপেভক্তাদের ক্রমিক পৌষ্টিক স্তরের কাঠামো এবং ক্রিয়া কর্মের লৈখিক রূপকে পরিবেশীয় পিরামিড বলা হয়।
পরিবেশীয় পিরামিড তিন প্রকারের –
১। সংখ্যার পিরামিড: এতে প্রতিটি জীবের সংখ্যা উল্লেখিত থাকে।
২। জৈবিক ওজনের পিরামিড: এই পিরামিড সম্পূর্ন শুকনো ওজন অথবা জীবন্ত বস্তুর সামগ্রিক পরিমাপের ভিত্তিতে নির্মিত।
৩। শক্তি পিরামিড: এই পিরামিডে শক্তির আত্মীকরণ ঘটে তথা ক্রমিক পৌষ্টিক স্তর সমূহে উৎপাদনশীলতাকে দেখানো হয়।
প্রশ্ন ১০। খাদ্য শৃঙ্খল এবং খাদ্য জালের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমুহ উল্লেখ কর। ( Mention the main characteristics of food chain and food web)
উত্তরঃ কোন পরিস্থিতিতন্ত্রে কোন জীবের আহার গ্রহন করা এবং অনুজীবের দ্বারা ভক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ার আনুক্রমিক শৃঙ্খলকেই শৃঙ্খল বলে। খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে দিয়া শক্তি একটি জীব থেকে অন্য একটি জীবে প্রবাহিত হয়। খাদ্য শৃঙ্খলের প্রারম্ভিক জীব হল সবুজ উদ্ভিদ যাকে উৎপাদক বলে। খাদ্য শৃঙ্খল হল একটি জীবের সঙ্গে আরেকটি জীবের খাদ্য বিষয়ে থাকা সম্পর্ক। খাদ্য শৃঙ্খলে শক্তি উৎপাদক থেকে উপেভোক্তার দিকে গতি করে।
অন্যদিকে কিছু সংখ্যক খাদ্য শৃঙ্খল একে ওপরের সঙ্গে সংযোগের ফলে মাকড়শার জালের মত যে জাল সৃষ্টি করে তাকে খাদ্য জাল বলে। খাদ্য জাল হল কয়েকটি সংযুক্ত খাদ্য শৃঙ্খল নিয়ে গঠিত অন্তর্বন্ধন যুক্ত রূপ। এই খাদ্য জাল হল খাদ্য শৃঙ্খলেরে এমন এক কর্মজাল যেখানে বিভিন্ন ধরনের জীব বিভিন্ন ধরনের পৌষ্টিক স্তরে সংযুক্ত। এখানে প্রতিটি পৌষ্টিক স্তরে আহার ভক্ষণ করা এবং ভখিত হওয়ার কয়েকটি উপায় রয়েছে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
(ক) উত্তর দাও –
প্রশ্ন ১। ইকোলজি শব্দটি কোন ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে?
উত্তরঃ গ্রীক ভাষা থেকে।
প্রশ্ন ২। ইকোলজি শব্দটি কোন কোন শব্দ থেকে হয়েছে?
উত্তরঃ ইকোলজি শব্দটি উৎপত্তি গ্রীক শব্দ ‘ওইকোস ‘ (Oikos অর্থ গৃহ) এবং ‘ (Logos অর্থ অধ্যয়ন) এর থেকে হয়েছে।
প্রশ্ন ৩। কে সর্ব প্রথম ‘ইকোলজি ‘ (Ecology) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তরঃ আর্নেস্ট হেকেল।
প্রশ্ন ৪। পরিস্থিতিতন্ত্র (Ecosystem) শব্দটি কে সর্ব প্রথম ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তরঃ এ, জি, ট্যান্সলি।
প্রশ্ন ৫। মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ হোমে স্যাপীয়েন।
প্রশ্ন ৬। কাজীরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে পাওয়া একটি প্রাণীর নাম লিখ।
উত্তরঃ এক খড়গ বিশিষ্ট গণ্ডার।
প্রশ্ন ৭। এক খড়গ বিশিষ্ট গণ্ডারের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ ‘ রাইনোসেরাস ইউনিকরানিস ‘।
প্রশ্ন ৮। একটি আবদ্ধ জল পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পুকুর।
প্রশ্ন ৯। একটি লোনাজল পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সাগর।
প্রশ্ন ১০। একটি প্রবাহমান পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ নদী।
প্রশ্ন ১১। একটি নির্মল জল আবদ্ধ পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পুকুর।
প্রশ্ন ১২। একটি মানব সৃষ্ট পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ শস্যক্ষেত্র।
প্রশ্ন ১৩। একটি প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বনাঞ্চল।
প্রশ্ন ১৪। সলোক সংশ্লেষনের জন্য পাতায় কোন কণিকা থাকা প্রয়োজন?
উত্তরঃ ক্লোরোফিল।
প্রশ্ন ১৫। একটি সর্বভুক প্রাণীর উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মানুষ।
প্রশ্ন ১৬। সালোক সংশ্লেষনে বায়ুর কোন গ্যাস প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ কার্বন – ড়াই – অক্সাইড।
প্রশ্ন ১৭। একটি খাদ্য শৃঙ্খলের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ঘাস – ফড়িং – ছোটপাখী – বাজপাখী।
প্রশ্ন ১৮। পরিস্থিতি তন্ত্রে কয় প্রকারের খাদ্য শৃঙ্খল দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ দুই প্রকারের।
প্রশ্ন ১৯। চারণ খাদ্য শৃঙ্খল কোথা থেকে শুরু হয়?
উত্তরঃ সবুজ উদ্ভিদ থেকে।
প্রশ্ন ২০। ক্ষয়জনিত কারণে সৃষ্টি হওয়া খাদ্য শৃঙ্খল কোথা থেকে সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ (ক) সবুজ বৃক্ষ তথা আবর্জনা পছে গলে যাওয়ার ফেলব সৃষ্টি হওয়া মাটি থেকে।
(খ) সত্য না মিথ্যা লিখ।
প্রশ্ন ১। ‘ ইকোলজি ‘ শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ থেকে হয়েছে?
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ২। ‘ জীবমণ্ডল ‘ বা ‘ Boisphere ‘ শব্দটি সর্ব প্রথম ব্যবহার করেন এডওয়ার্ড মিউসেস।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৩। ইদুর তৃণভোজী প্রাণী।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ৪। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এক খড়গী গণ্ডার পাওয়া যায়।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৫। মরুভূমি একটি মানব সৃষ্ট পরিস্থিতি তন্ত্র।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ৬। ব্যাক্টেরিয়া হল বিয়োজক এর উদাহরণ।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৭। পুকুর একটি প্রবাহমান পরিস্থিতি তন্ত্র।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ৮। পিঁপড়ে একটি মৃতভক্ষী প্রাণী।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ৯। ঘাস – ছাগল – বাঘ একটি খাদ্য শৃঙ্খলের উদাহরণ।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ১০। কিছু সংখ্যক খাদ্য জাল একত্রিত হয়ে একটি খাদ্য শৃঙ্খল সৃষ্টি করে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
প্রশ্ন ১১। চারণ খাদ্য শৃঙ্খল কাক বলে?
উত্তরঃ যে ধরনের খাদ্য শৃঙ্খল সবুজ উদ্ভিদ থেকে শুরু হয় এবং সবুজ উদ্ভিদ দিয়ে শৃঙ্খলের প্রথম পৌষ্টিক স্তর গঠিত হয় তাদের চারণ খাদ্য শৃঙ্খল বলে।
(গ) শূন্যস্থান পূর্ণ কর:
প্রশ্ন ১। ‘ ইকোসিস্টেম ‘ শব্দটি সর্ব প্রথম ব্যবহার করেন __________।
উত্তরঃ এ, জি, ট্যান্সলি।
প্রশ্ন ২। সবুজ গাছপালা পরিস্থিতিতন্ত্রের ___________ কারক।
উত্তরঃ জৈবিক।
প্রশ্ন ৩। খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্য দিয়া একটি প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে ___________ স্থানান্তরিত হয়।
উত্তরঃ শক্তি।
প্রশ্ন ৪। কয়েকটি খাদ্য শৃঙ্খল মিলিত হয়ে একটি __________ সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ খাদ্য জাল।
প্রশ্ন ৫। পরিস্থিতিতন্ত্রের বিকাশ এবং বিবর্তনকে__________ বলে।
উত্তরঃ অনুক্রমন বলে।
প্রশ্ন ৬। খাদ্যজালে বিভিন্ন ধরনের জীব বিভিন্ন __________ স্তরে সংযুক্ত।
উত্তরঃ পৌষ্টিক।
প্রশ্ন ৭। খাদ্য শৃঙ্খল সব সময় _____________।
উত্তরঃ একদিক মুখী।
প্রশ্ন ৮। লোটিক (Lotic) পরিস্থিতি তন্ত্র ____________ নির্দেশ করে।
উত্তরঃ প্রবাহমান জল।
প্রশ্ন ৯। মাংসভোজী প্রাণী হল ____________ শ্রেণীর উপভোক্তা।
উত্তরঃ দ্বিতীয়।
প্রশ্ন ১০। তৃণভোজী প্রাণী হল ____________ শ্রেণীর উপভোক্তা।
উত্তরঃ প্রথম।
প্রশ্ন ১১। বাঘ হল পরিস্থিতিতন্ত্রের ____________ স্তরের উপভোক্তা।
উত্তরঃ দ্বিতীয়।
প্রশ্ন ১২। ব্যাঙ হল পরিস্থিতিতন্ত্রের ____________ স্তরের উদাহরণ।
উত্তরঃ দ্বিতীয়।
প্রশ্ন ১৩। একটি প্রবাহমান নির্মল জল পরিস্থিতিতন্ত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ নদী, ঝরনা।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। বাস্তব্য বিদ্যা বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ যে বিদ্যাতে জীব কুলের স্বাভাবিক বাসস্থান এবং তাদের চারি পাশের পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে আন্ত ক্রিয়ার অধ্যয়ন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে বাস্তব্য বিদ্যা বা ‘ ইকোলজি ‘ বলে। ইকোলজি শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ ‘ ওইকোস ‘ (Oikos – অর্থ গৃহ) এবং ‘ লোগোস ‘ (Logos অর্থ অধ্যয়ন) এর থেকে হয়েছে।
প্রশ্ন ২। প্রজাতি বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পারস্পরিক রূপ, আচরণ, রসায়ন, এবং জিনগত সাদৃশ্য থাকা যুবসমাজকে নিয়ে যে জীব গোষ্ঠী সৃষ্টি হয় তাকে প্রজাতি বলে। একই প্রজাতির জীব একে অপরের সঙ্গে মিলনের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করতে। পারে এবং প্রাকৃতিক পরিেশে উর্বর বংশধর উৎপন্ন করে।
উদাহরণ হিসাবে ‘ মানব ‘ জাতি একটি প্রজাতির উদাহরণ। একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজন মানুষের শারীরিক এবং জিনগত গঠনের সম্পূর্ন মিল রয়েছে এবং দুইজন মানুষের মিলনের ফলে আরেকজন মানুষের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ৩। জনসংখ্যা বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করা একই প্রজাতির প্রতিটি প্রাণীকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীকে জনসংখ্যা বলা হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে আসামের কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যানে থাকা ‘ রাইনোসেরাস ইউনিকরানিস ‘ (এক খড়গ থাকা গণ্ডার) দের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি জনসংখ্যা।
প্রশ্ন ৪। সম্প্রদায়সমুহ কী?
উত্তরঃ এক একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির জনসংখ্যা এবং তাদের পারস্পরিক আন্তক্রিয়া একটি সম্প্রদায় গঠন করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের গণ্ডার, হাতি, গরু, মোষ, ছাগল ইত্যাদি। পশুর জনসংখ্যা তৃণ এবং অন্যান্য জীব সমুহ একত্রে একটি জীবের সম্প্রদায় গঠন করে।
প্রশ্ন ৫। পরিস্থিতিতন্ত্র বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ পরিস্থিতিতন্ত্র হল পরস্পরের এবং জড় উপাদান সমূহের মধ্যে জৈবিক এবং ভৌতিক আন্ত ক্রিয়ার গতিশীল কর্ম জালের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন জীবের সম্প্রদায়। এই ধরনের আন্ত ক্রিয়া ব্যবস্থাটিকে স্থিতিশীল রাখে এবং পরিবর্তনশীল অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন জানায়।
প্রশ্ন ৬। প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্র বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সকল পরিস্থিতিতন্ত্র সম্পুর্নভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট সেই সকল পরিস্থিতিতন্ত্রকে প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্র বলে। যেমন – বনাঞ্চল পরিস্থিতিতন্ত্র, মরুভূমি পরিস্থিতিতন্ত্র ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৭। মানব সৃষ্ট পরিস্থিতিতন্ত্র বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সকল পরিস্থিতিতন্ত্র মানুষের ক্রিয়া কলাপের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে সেই সকল পরিস্থিতিতন্ত্রকে মানব সৃষ্ট পরিস্থিতিতন্ত্র বলে।
যেমন – পুকুর, শস্যভূমি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৮। পরিস্থিতি তন্ত্রে কয় প্রকার উপাদান আছে? উহাদের নাম লিখ।
উত্তরঃ পরিস্থিতি তন্ত্রে দুই প্রকারের উপাদান আছে।
১। জৈবিক উপাদান। এবং
২। অজৈবিক উপাদান।
প্রশ্ন ৯। জৈবিক উপাদান বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পরিস্থিতি তন্ত্রে যে সকল উপাদান জীবিত তাদের জৈবিক উপাদান বলে। যেমন – বিভিন্ন ধরনের প্রাণী, উদ্ভিদ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১০। অজৈবিক উপাদান বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পরিস্থিতি তন্ত্রে প্রাণহীন উপাদান সমুহকে অজৈবিক উপাদান বলে। যেমন – জল, পাথর, সূর্যালোক প্রভৃতি।
প্রশ্ন ১১। প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্র সম্বন্ধে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ এই ধরনের পরিস্থতিতন্ত্র প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয় এবং প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের কোন ধরনের আন্ত ক্রিয়া নেই। এটা হল এমন এক অবস্থা যেখানে সমস্ত বস্তুই ভারসাম্যের মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থা থেকে যদি একটা উপাদান সরিয়ে নেয়া হয় তবে সমগ্র ব্যবস্থাটিই ভেঙ্গে পড়বে। প্রাকৃতিক পরিস্থতিতন্ত্র তাদের আবাসভূমি দ্বারা নির্ধারিত হয়।
প্রশ্ন ১২। কৃত্রিম পরিস্থতিতন্ত্র সম্বন্ধে আলোচনা কর।
উত্তরঃ যে সকল পরিস্থতিতন্ত্র মানুষ সৃষ্টি করে তাদের কৃত্রিম পরিস্থতিতন্ত্র বলে। যেমন একটি পুকুরের কথা উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে। মানুষ পুকুর কেটে তার চারিপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করেছে এবং পুকুরের জলে বিভিন্ন ধরনের মাছ ছেড়েছে। পুকুরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, বিভিন্ন প্রজাতির পোকা, শৈবাল, ফাইটো প্ল্tঙ্কটন ইত্যাদি। এবং জল, সূর্য্যালোক ইত্যাদি একটি পরিস্থিতি তন্ত্রের সৃষ্টি করেছে। যেহেতু মানুষ এই পরিস্থিতিতন্ত্র সৃষ্টি করেছে সেইজন্য এটা একটা কৃত্রিম পরিস্থিতিতন্ত্র।
প্রশ্ন ১৩। স্বভোজী বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সকল জীব নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে তাদের স্বভোজী বলে। যেমন – সবুজ গাছপালা, এরা সূর্য্যালোকের উপস্থিতিতে পাতায় থাকা ক্লোরোফিলের সাহায্য বায়ুর কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল থেকে খাদ্য প্রস্তুত করে।
প্রশ্ন ১৪। মৃতভোজী বা মৃতদেহভক্ষী কী? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সকল জীব অন্য জীবের মৃতদেহ থেকে খাদ্য গ্রহন করে বেচে থাকে তাদের মৃতভোজী বা মৃতদেহ ভক্ষী বলে। যেমন – গোবরে পোকা, পিপড়ে ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৫। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো – উৎপাদক এবং উপভোক্তা।
উত্তরঃ উৎপাদক: যে সকল সবুজ উদ্ভিদ সৌর শক্তির সাহায্যে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতিতে কার্বন হাইড্রেট জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে তাদের স্বভোজী উদ্ভিদ বলে। এই সবুজ উদ্ভিদ অর্থাৎ প্রথম পৌষ্টিক স্তরই উৎপাদক।
উপভোক্তা: যে শ্রেণীর জীব নিজের আহার নিজে তৈরী করতে পারে না এবং তারা তাদের আহার উৎপাদকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে সেই শ্রেণীর জীবকে উপভোক্তা বলা হয়। যেমন – গরু, বাঘ, সাপ ইত্যাদি।
পার্থক্য – উৎপাদক স্বভোজী এবং উপভোক্তা পরজীবি।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে আন্তসম্পর্ক উদাহরণসহ বুঝিয়ে লিখ।
উত্তরঃ প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান সমূহের মধ্যে জটিল সম্পর্ক রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, সবুজ উদ্ভিদ সমুহ, জল এবং মাটি থেকে আহার সংগ্রহ করে। এই উদ্ভিদের পাতা, ফল এবং অন্যান্য অংশ পাখি বা হরিণ আহারব হিসাবে গ্রহন করে। যখন তাদের মৃত্যু ঘটে তখন মৃত দেহাবশেষের অংশ ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ityadirb আহার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাকী থাকা অংশ নাইট্রোজেন, কার্বন, ছালফার ইত্যাদির মত অতি ক্ষুদ্র উপাদানে পরিণত হয এবং পুনরায় মাটিতে মিশে যায়। এইভাবে দেখা যায় যে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে এক জটিল সম্পর্ক বিরাজ করে।
প্রশ্ন ২। পরভোজী বলতে কি বুঝ? বিভিন্ন প্রকারের পরভোজীর উদাহরণসহ লিখ।
উত্তরঃ যে সকল জীব নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না এবং খাদ্যের জন্য অন্য জীবের উপর র্নিভর করে সেই সমস্ত জীবকে পরভোজী জীব বলে। পরভোজী জীব আবার বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন –
১। তৃণভোজী (Herbivores): যে সমস্ত জীব উৎপাদক অর্থাৎ সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে জীবন ধারণ করে তাদের তৃণভোজী জীব বলে । যেমন – গরু, ছাগল, হরিণ ইত্যাদি।
২। মাংসভোজী (Carnivores): যে সমস্ত প্রাণী তৃণভোজী প্রাণীকে খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে জীবন ধারণ করে তাদের মাংসভোজী প্রাণী বলে। যেমন – বাঘ, সিংহ, ইত্যাদি।
৩। সর্বভুক (Omnivores): যে সমস্ত প্রাণী জীব জন্তু, উদ্ভিদ প্রভৃতি সকল কিছুই খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে তাদের সর্বভুক প্রাণী বলে। যেমন – ইদুর, মানুষ ইত্যাদি।
৪। মৃতভোজী (Detritivores): যে সমস্ত প্রাণী মৃত জীব জন্তুর দেহ খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে বেচে থাকে মৃতভোজী প্রাণী বলে। যেমন – পিপঁড়া, গোবরে পোকা ইত্যাদি।
৫। বিয়োজক (Decomposer): যে সমস্ত জীব মৃত জীবের দেহ বিয়োজন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় তাদের বিয়োজক বলে। যেমন – ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩। খাদ্য শৃঙ্খল কয় এবং কি কি? সংক্ষেপে আলোচনা করা।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতন্ত্রে দুই প্রকার খাদ্য শৃঙ্খল দেখতে পাওয়া যায়।
১। চারণ খাদ্য শৃঙ্খল: এই প্রকারের খাদ্য শৃঙ্খল শুরু হয় সবুজ উদ্ভিদ থেকে। এগুলির দ্বারা গঠিত হয়। প্রথম পৌষ্টিক স্তর। তৃণভোজীদের নিয়ে গঠিত হয় দ্বিতীয় পৌষ্টিক স্তর এবং মাংসাশী প্রাণী দিয়ে গঠিত হয় তৃতীয় পৌষ্টিক স্তর।
২। ক্ষয়জনিত খাদ্য শৃঙ্খল: এই প্রকার খাদ্য শৃঙ্খল শুরু হয় সবুজ বৃক্ষ তথা আবর্জনা পচে গলে যাওয়ার ফল। সৃষ্টি হওয়া বালী, মাটি ইত্যাদি থেকে।
প্রশ্ন ৪। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো: উপভোক্তা এবং বিয়োজক।
উত্তরঃ উপভোক্তা: যে শ্রেণীর জীব নিজের আহার নিজে তৈরী করতে পারে না এবং তারা তাদের আহার উৎপাদকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে সেই শ্রেণীর জীবকে উপভোক্তা বলা হয়। যেমন – মানুষ, সাপ, মাছ ইত্যাদি।
বিয়োজক: কিছু জীব আছে যারা পচে যাওয়া বা গলে যাওয়ার মৃত উদ্ভিদ এবং পরিবেশে থাকা জৈবিক বস্তু থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে তাদের বিয়োজক বলে। যেমন – ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি।
পার্থক্য: উপভোক্তাকে পরজীবী বলা হয়। বিয়োজককে পচনকারক বলা হয়।