Class 10 Social Science Chapter 11 আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Social Science Chapter 11 আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য and select needs one.
Class 10 Social Science Chapter 11 আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Social Science Chapter 11 আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Social Science Chapter 11 আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Social Science Chapter 11 আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য for All Subject, You can practice these here..
আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য
Chapter – 11
তৃতীয় খণ্ড – রাজনীতি বিজ্ঞান
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
প্রশ্ন ১। রাষ্ট্রসংঘ কেন গঠিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবর্ণনীয় ক্ষতি ও ধ্বংসলীলা ভবিষ্যতে আর যাতে অনুষ্ঠিত হতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে ও একই সঙ্গে পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আবার নতুন করে একটি সংস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলতে থাকে । এই চেষ্টার ফলেই রাষ্ট্রসংঘের গঠন হয় ।
প্রশ্ন ২। রাষ্ট্রসংঘের দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘের দুটি উদ্দেশ্য হল—
( ১ ) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা ।
( ২ ) পৃথিবীর জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন সাধন করা ।
প্রশ্ন ৩। রাষ্ট্রসংঘের অঙ্গ কয়টির নাম লেখো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘের ছয়টি অঙ্গ আছে । যথা—
( ১ ) সাধারণ সভা ।
( ২ ) নিরাপত্তা পরিষদ ।
( ৩ ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ।
( ৪ ) ন্যায়রক্ষী পরিষদ ।
( ৫ ) আন্তর্জাতিক বিচারালয় । ও
( ৬ ) সচিবালয় ।
প্রশ্ন ৪। রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে জড়িত দুটি এজেন্সির নাম লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় শ্রমিক সংঘ ( ILO ) ও
( ২ ) বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO ) ।
প্রশ্ন ৫। নিরস্ত্রীকরণের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত দুটি চুক্তির নাম লেখো ।
উত্তরঃ নিরস্ত্রীকরণের সম্পর্কে সম্পাদিত হওয়া দুটি চুক্তি হল—
( ১ ) রাষ্ট্রসংঘের তৎপরতায় ১৯৬৩ সনের ‘ আংশিকভাবে আণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ চুক্তি ’ ( Partial Nuclear Test Ban Treaty ) ।
( ২ ) ১৯৬৭ সনে ‘ বহিঃমহাকাশ চুক্তি ‘ ( Outer Space Treaty ) । ও
( ৩ ) ১৯৬৮ সনে ‘ পারমাণবিক অস্ত্র সংকোচন চুক্তি ‘ ( Nuclear Non Proliferation Treaty )।
প্রশ্ন ৬। মানব অধিকার মানে কী ?
উত্তরঃ মানুষ সভ্য জগতে বেঁচে থাকার জন্য এবং সুস্থভাবে জীবন – যাপন করবার জন্য যে অধিকার ভোগ করে তাই মানব অধিকার । বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ আনার উদ্দেশ্যে এবং রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত হওয়া রাষ্ট্রসংঘই অতি গুরুত্বপূর্ণভাবে মানব অধিকার রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে । বিশ্বের প্রত্যেকজন ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন হওয়া কিছু সংখ্যক অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়ার অর্থে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ১৯৪৮ সনের ১০ ডিসেম্বর তারিখে ৪৮ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে মানব অধিকার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে ।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। রাষ্ট্রসংঘ গঠনের উদ্দেশ্য এবং এর নীতিগুলি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘ গঠনের উদ্দেশ্যগুলি হল—
( ১ ) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা ।
( ২ ) সমান অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে দেশসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা ।
( ৩ ) অর্থনৈতিক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক এবং মানবীয় সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা সৃষ্টি করা এবং জাতি – ধর্ম – ভাষা – বর্ণ নির্বিশেষে সকল লোকে যাতে মানব অধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
( ৪ ) উপরে উল্লেখ করা উদ্দেশ্যসমূহ কার্যকরী করার জন্য রাষ্ট্রসমূহের কাজের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘই সমন্বয় রক্ষাকারী কেন্দ্র হিসাবে কর্ম সাধন করে ।
রাষ্টসংঘের প্রধান নীতিসমূহ নীচে উল্লেখ করা হ’ল–
( ১ ) সকল সদস্য রাষ্ট্রে সমান সার্বভৌম নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠা হবে ।
( ২ ) রাষ্ট্রসংঘের সদনে উল্লেখ করা নিয়মাবলী মেনে নিয়ে সকল সদস্যরাষ্ট্রকেই নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে ।
( ৩ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় শান্তি , নিরাপত্তা ও ন্যায়ে কোনো আঘাত না হয়ে সকল সদস্য রাষ্ট্রকেই সব ধরনের বিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করতে হবে।
( ৪ ) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা করার স্বার্থে কোনো সদস্য রাষ্ট্রই শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না ।
( ৫ ) সদনে উল্লেখ করা মতে রাষ্ট্রসংঘ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সদস্য রাষ্ট্রসমূহে রাষ্ট্রসংঘকে সহায়তা করতে হবে এবং রাষ্ট্রসংঘ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাষ্ট্রকে সহায়তা করতে পারবে না ।
( ৬ ) রাষ্ট্রসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
প্রশ্ন ২। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওপর একটি টীকা লেখো ।
উত্তৰঃ রাষ্ট্রসংঘের অতিগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিই হল নিরাপত্তা পরিষদ । ১৫ জন সদস্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত । এর মধ্যে ৫ জন স্থায়ী ও ১০ জন অস্থায়ী সদস্য । ১০ জন অস্থায়ী সদস্য সাধারণত ২ বৎসরের জন্য নির্বাচিত হন । প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট আছে । নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যগণকে সাধারণ সভা নির্বাচিত করে। স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল— আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র , গ্রেট ব্রিটেন , ফ্রান্স , রাশিয়া ও চীন । কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্থায়ী পাঁচজন সদস্য সহ মোট ৯ জন সদস্যের সম্মতি থাকতে হবে । প্রত্যেক সদস্যের ‘ ভেটো ’ নামে একটি ভোটাধিকার আছে । এর সাহায্যে নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারা যায় ।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা । বিশ্ব – শান্তি ভঙ্গ হলে নিরাপত্তা পরিষদ বিবদমান রাষ্ট্রগুলিকে আলাপ – আলোচনা বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিতে পারে । এই পরামর্শ ব্যর্থ হলে পরিষদ সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে । সামরিক বিষয় তদন্ত করবার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের একটি সামরিক বিভাগ আছে ।
প্রশ্ন ৩। বিশ্বশান্তির জন্য রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ আলোচনা করো ।
উত্তৰঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৪৫ সনে প্রতিষ্ঠা হওয়া রাষ্ট্রসংঘের বয়স ৭০ ( সত্তর ) বৎসর হল । এই সুদীর্ঘ সময়ে সমস্যা জর্জরিত বিশ্বে শান্তির বার্তাবরণ এনে সকল ধরনের সমস্যাকে বোঝাপড়া ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নিশ্চয়ই আশাপ্রদ ও ইতিবাচক ।
নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি না করার অর্থে রাষ্ট্রসংঘের পূর্বের দিনগুলিতে নেওয়া পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ । ১৯৫২ সনের জানুয়ারী মাসে রাষ্ট্রসংঘই নিরস্ত্রীকরণ আয়োগ গঠন করে। রাষ্ট্রসংঘের তৎপরতায় বা চেষ্টায় ১৯৬৩ সনে ‘ আংশিকভাবে আণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ চুক্তি ’ , ১৯৬৭ সনে ‘ বহিঃমহাকাশ চুক্তি ’ , ১৯৬৮ সনে ‘ পারমাণবিক অস্ত্র সংকোচন চুক্তি ‘ , ১৯৭১ সনে‘ সমুদ্রতল নিয়ন্ত্রণ চুক্তি , ১৯৭২ সনে ‘ সল্ট -১ চুক্তি ’ , ১৯৭৯ সনে ‘ সল্ট -২ চুক্তি ’ , ১৯৯৩ সনে ‘ পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি , ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সনে ‘ Start – 1 ও Start – 2 ’ , ১৯৯৬ সনে ১৫৮ টি রাষ্ট্রের সমর্থনে সম্পাদিত হওয়া ‘ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি ‘ – কে ধরে বর্তমান সময় পর্যন্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার ঘটনা নিশ্চয়ই বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ আনতে বিশেষ অবদান যুগিয়েছে। ২০০৭ সনের জুন মাসে রাষ্ট্রসংঘের গ্রহণ করা ‘ প্রতিরোধমূলক কূটনীতি’র সহায়তায় বিবাদ মীমাংসা ও শান্তির পরিবেশ আনতে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।
রাষ্ট্রসংঘকে শক্তিশালীরূপে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব সদস্য রাষ্ট্রসমূহের । এই রাষ্ট্রসমূহের সদিচ্ছা , সহযোগিতা ও আনুগত্যই রাষ্ট্রসংঘকে বলিষ্ঠ করতে পারবে এবং বিশ্বশান্তির দিকটি বা বিষয়টি আশাব্যঞ্জক হবে ।
প্রশ্ন ৪। ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় মানব অধিকার আয়োগ সম্পর্কে একটি টীকা লেখো ।
উত্তৰঃ ভারতের মানব অধিকার আয়োগ ১৯৯৩ সনে গঠিত হয় । ১৯৯৪ সনের ৮ ই জানুয়ারী তারিখে এই আইনের বিধেয়কটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে আইনে পরিণত হয় । এই আইন মতে রাজ্যগুলিতেও রাজ্যিক মানব অধিকার আয়োগ গঠন করা হয় ।
রাষ্ট্রীয় মানব অধিকার আয়োগের পাঁচজন সদস্য আছে ।
( ১ ) উচ্চতম ন্যায়ালয়ের অবসরপ্রাপ্ত একজন মুখ্য ন্যায়াধীশ এর অধ্যক্ষ বা সভাপতি হবে ।
( ২ ) উচ্চতম ন্যায়ালয়ের আরও একজন অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য ন্যায়াধীশ সদস্য হবে ।
( ৩ ) যে – কোন একজন উচ্চ ন্যায়ালয়ের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য ন্যায়াধীশ এর সদস্য হবে ।
( ৪ ) উপরোক্ত ব্যক্তিগণ ব্যতীতও দুইজন মানব অধিকারের বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা লোককে এর সদস্যরূপে নির্বাচিত করবে ।
তদুপরি রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘু আয়োগের সভাপতি , অনুসূচিত জাতি এবং জনজাতির রাষ্ট্রীয় আয়োগের সভাপতি ও রাষ্ট্রীয় মহিলা আয়োগের সভাপতিও আয়োগের সদস্যপদে থাকবে । সকল সদস্যকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ৫ বৎসরের জন্য নিযুক্ত করেন ।
ভারতবর্ষে মানব অধিকার উলংঘনের সকল দিক পর্যালোচনা করে তার বিহিত ব্যবস্থার জন্য সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মানব অধিকার আয়োগ এই দিকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা নেয় ।
প্রশ্ন ৫। মানব অধিকার সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা আলোচনা করো ।
উত্তৰঃ পৃথিবীতে বা বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ আনার উদ্দেশ্যে এবং রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত হওয়া রাষ্ট্রসংঘই অতি গুরুত্বপূর্ণভাবে মানব অধিকার রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে। বিশ্বের প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন হওয়া কিছু সংখ্যক অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়ার অর্থে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ১৯৪৮ সনের ১০ ডিসেম্বর তারিখে ৪৮ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে মানব অধিকার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে । সেইজন্য আজও ১০ ডিসেম্বর দিনটি ‘ মানব অধিকার দিবস ‘ হিসেবে পালন করা হয় । একটি প্রস্তাবনা ও ৩০ টি অনুচ্ছেদ সম্বলিত এই ঘোষণাপত্র মূলত দুটি উদ্দেশ্য সাধন করেছে ।
( ১ ) বিশ্বের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকারসমূহ এই ঘোষণাপত্রে সন্নিবিষ্ট হয়েছে ।
( ২ ) এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত অধিকার সমূহকে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ স্বীকৃতি দিয়েছে ।
উল্লেখযোগ্য যে এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকা অধিকারসমূহে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর উপরে কিছু সীমাবদ্ধতা এসেছে।কারণ নীতিগতভাবে কোনো রাষ্ট্রই এই অধিকার সমূহকে অগ্রাহ্য করতে পারবে না । দেশের নাগরিকগণকে এই অধিকার হতে বঞ্চিত করে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করাটি যে সম্ভব নয় তাকে রাষ্ট্রসংঘ এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছে । বিশ্বের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানদণ্ড উন্নত করা এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের পথ খুলে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপ নিশ্চয় করে আশাব্যঞ্জক ।
যদিও মানব অধিকার ঘোষণাপত্র কোনো চুক্তি নয় যে এর দ্বারা সদস্য রাষ্ট্রকে বাধ্য করা হয়েছে , তথাপি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সদিচ্ছার উপরে ভিত্তি করে এই ঘোষণাপত্র বিশ্বের মানব সমাজকে সর্বদিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুবিধা দিয়েছে ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। রাষ্ট্রসংঘ কোন সনে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ?
উত্তৰঃ ১৯৪৫ সনের ২৪ শে অক্টোবর ।
প্রশ্ন ২। কোন দিনটি বর্তমানে ‘ রাষ্ট্রসংঘ দিবস ‘ হিসাবে পালিত হয় ?
উত্তৰঃ প্রতি বৎসর ২৪ শে অক্টোবর দিনটি ‘ রাষ্ট্রসংঘ দিবস ’ হিসাবে পালিত হয় ।
প্রশ্ন ৩। রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় তার সদস্য সংখ্যা কত ছিল ?
উত্তৰঃ ৫১ টি রাষ্ট্র ।
প্রশ্ন ৪। বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তৰঃ বর্তমানে ১৯৩ টি দেশ রাষ্ট্রসংঘের সদস্য ।
প্রশ্ন ৫। রাষ্ট্রসংঘের প্রথম সচিব প্রধান কে ছিলেন ?
উত্তৰঃ ট্রিগাভিলাই ৷
প্রশ্ন ৬। বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের সচিব প্রধান কে ?
উত্তৰঃ দক্ষিণ কোরিয়ার বেন – কি – মুন ।
প্রশ্ন ৭। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তৰঃ রাষ্ট্রসংঘের প্রধান কার্যালয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত ।
প্রশ্ন ৮। রাষ্ট্রসংঘের একটি মূল লক্ষ্য উল্লেখ করো।
উত্তৰঃ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা ।
প্রশ্ন ৯। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অঙ্গ কয়টি ?
উত্তৰঃ রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অঙ্গ ছয়টি ।
প্রশ্ন ১০। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তৰঃ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচটি রাষ্ট্র ।
প্রশ্ন ১১। সাধারণ পরিষদের সভায় কে সভাপতিত্ব করে ?
উত্তৰঃ সচিব প্রধান ।
প্রশ্ন ১২। সচিব প্রধানকে কে নিয়োগ করে ?
উত্তৰঃ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ক্রমে সাধারণ সভা সচিব প্রধানকে পাঁচ বৎসরের জন্য নিয়োগ করে ।
প্রশ্ন ১৩। নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কাজ কী ?
উত্তৰঃ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা ।
প্রশ্ন ১৪। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অঙ্গ কোনটি ?
উত্তৰঃ সাধারণ সভা ।
প্রশ্ন ১৫। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তৰঃ ১৫ জন । ৫ জন স্থায়ী ও ১০ জন অস্থায়ী ।
প্রশ্ন ১৬। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা কাদের দ্বারা নির্বাচিত এবং কত বৎসরের জন্য ?
উত্তৰঃ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যগণ সাধারণ সভার দ্বারা দুই বৎসরের জন্য নির্বাচিত হন ।
প্রশ্ন ১৭। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তৰঃ ৫৪ জন ।
প্রশ্ন ১৮। আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয়ের ন্যায়াধীশের সংখ্যা কত ?
উত্তৰঃ ১৫ জন ।
প্রশ্ন ১৯। আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয়ের ন্যায়াধীশদের কার্যকাল কত বৎসর ?
উত্তৰঃ ৯ বৎসর ।
প্রশ্ন ২০। চীন কখন রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হয়েছিল ?
উত্তৰঃ ১৯৭১ সনে ।
প্রশ্ন ২১। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা কোন সনে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তৰঃ ১৯১৯ সনে ।
প্রশ্ন ২২। কোন সনে ইউনেস্কো ( UNESCO ) স্থাপন করা হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৪৫ সনে ।
প্রশ্ন ২৩। ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তৰঃ প্যারিস শহরে অবস্থিত ।
প্রশ্ন ২৪। কোন সনে রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক শিশুপুঁজি সংস্থা স্থাপিত হয়েছিল ?
উত্তৰঃ ১৯৪৬ সনে ।
প্রশ্ন ২৫। আন্তর্জাতিক শিশুপুঁজি সংস্থার প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ।
উত্তৰঃ নিউইয়র্কে ।
প্রশ্ন ২৬। কোন সনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( World Health Organisation or the WHO ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তৰঃ ১৯৪৮ সনে ।
প্রশ্ন ২৭। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তৰঃ নিউইয়র্কে ।
প্রশ্ন ২৮। আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষিসংস্থা ( Food and Agriculture Organisation or the FHO ) কোন সনে গঠন করা হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৪৫ সনে ।
প্রশ্ন ২৯। কোন দিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে পালন করা হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৪৮ সনের ৭ ই এপ্রিল তারিখটি প্রতি বৎসর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে পালন করা হয় ।
প্রশ্ন ৩০। আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তৰঃ রোম নগরে ।
প্রশ্ন ৩১৷ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তৰঃ জেনেভা শহরে ।
প্রশ্ন ৩২। সংক্ষিপ্ত UNESCO শব্দটিকে সম্পূর্ণ করে লেখো ।
উত্তৰঃ United National Educational Scientific and Cultural Organisation– আন্তর্জাতিক শিক্ষা , বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ।
প্রশ্ন ৩৩। রাষ্ট্রসংঘের সনদ বলতে কী বুঝ ?
উত্তৰঃ সনদ হল একটি চুক্তিপত্র । এতে রাষ্ট্রসংঘের সাংবিধানিক নীতি ও উদ্দেশ্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।
প্রশ্ন ৩৪। কোন সনে রাষ্ট্রসংঘের সনদ গ্রহণ করা হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৪৫ সনের ২৪ শে অক্টোবর ।
প্রশ্ন ৩৫। রাষ্ট্রসংঘের সনদে মোট কয়টি অনুচ্ছেদ আছে ?
উত্তৰঃ ১১১ টি ।
প্রশ্ন ৩৬। রাষ্ট্রসংঘের দুটি প্রধান অঙ্গের নাম লেখো ।
উত্তৰঃ ( ১ ) সাধারণ সভা । ও
( ২ ) নিরাপত্তা পরিষদ ।
প্রশ্ন ৩৭। রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ কখন গঠিত হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৪৬ সনে রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ গঠন করা হয়েছে ।
প্রশ্ন ৩৮। মানব অধিকার আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্র কখন প্রকাশিত হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৪৮ সনের ১০ ই ডিসেম্বর তারিখে মানব অধিকারের আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয় ।
প্রশ্ন ৩৯। ভারতবর্ষের মানব অধিকার আয়োগ কখন গঠিত হয় ?
উত্তৰঃ ১৯৯৩ সনে ।
প্রশ্ন ৪০। মানব অধিকার ঘোষণাপত্রে সন্নিবিষ্ট যে কোন একটি বিষয়ের নাম লেখো ।
উত্তৰঃ বেঁচে থাকার অধিকার , স্বাধীনতার অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তার অধিকার ।
প্রশ্ন ৪১। সর্বভারতীয় মানব অধিকার আয়োগের সভাপতি কে হতে পারেন ?
উত্তৰঃ উচ্চতম ন্যায়ালয়ের অবসরপ্রাপ্ত একজন মুখ্য ন্যায়াধীশ এর সভাপতি হতে পারেন ।
প্রশ্ন ৪২। সর্বভারতীয় বা জাতীয় মানব অধিকার আয়োগের কার্য উল্লেখ করো ।
উত্তৰঃ ( ১ ) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা কার্যব্যবস্থার পর্যালোচনা করতে পারে ।
( ২ ) মানব অধিকার ক্ষেত্রে করা কোনো আন্তর্জাতিক সন্ধি ইত্যাদির পর্যালোচনা করতে পারে ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। রাষ্ট্রসংঘের মূল উদ্দেশ্য কী কী ?
উত্তৰঃ রাষ্ট্রসংঘের উদ্দেশ্যগুলি হল—
( ১ ) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।
( ২ ) পৃথিবীর জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন সাধন করা ।
( ৩ ) অর্থনৈতিক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক এবং মানবীয় সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা সৃষ্টি করা এবং জাতি – ধর্ম – ভাষা – বর্ণ নির্বিশেষে সকল লোকে যাতে মানব অধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
( ৪ ) উপরে উল্লেখ করা উদ্দেশ্যসমূহ কার্যকরী করার জন্য রাষ্ট্রসমূহের কাজের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের সমন্বয় রক্ষাকারী কেন্দ্র হিসাবে কর্ম সাধন করা ।
প্রশ্ন ২। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের তিনটি কার্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের তিনটি কার্য নীচে উল্লেখ করা হল—
( ১ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক , সামাজিক , স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সমস্যার সমাধান করবার জন্য চেষ্টা করতে হবে ।
( ২ ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য কাজ করা ।
( ৩ ) জনসাধারণের জীবন ধারণের মানদণ্ড উন্নত করার জন্য চেষ্টা করা ।
( ৪ ) বেকার সমস্যা দূর করার জন্য চেষ্টা করা , সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম করার জন্য চেষ্টা করা ।
( ৫ ) জাতি – ধর্ম – বর্ণ – ভাষা নির্বিশেষে সকল লোক মানব অধিকার ও মৌলিক অধিকার ভোগ করবার পরিবেশ সৃষ্টি করা ।
প্রশ্ন ৩। আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয়ের তিনটি কার্য উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ ( ১ ) বিবাদ লিপ্ত রাষ্ট্রসমূহ বিবাদ মীমাংসার জন্য আবেদন করলে এই ন্যায়ালয় এর বিচার করতে পারে ।
( ২ ) রাষ্ট্রসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্র কোনো বিষয় বিচারের জন্য এই ন্যায়ালয়ে আবেদন করলে এই ন্যায়ালয়ের রায় রাষ্ট্রকে মেনে চলতে হয়।
( ৩ ) সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদ আইন সংক্রান্ত বিষয়ে এই ন্যায়ালয়ের পরামর্শ চাইলে , এই ন্যায়ালয় সেই বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে ।
প্রশ্ন ৪। ভেটো কাকে বলে ? কয়টি রাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতার অধিকারী ? এই রাষ্ট্রগুলির নাম লেখো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যগণের প্রতিরোধক ভোটদানকে ভেটো বলা হয় । ভেটো হল স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের বিশেষ এক অধিকার বা ক্ষমতা যার মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া যায়। কারণ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যের সম্মতি ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র কয়টি হল — আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন , ফ্রান্স , রাশিয়া ও চীন ।
প্রশ্ন ৫। সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের চারটি যুগ্ম কার্য উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ ( ১ ) রাষ্ট্রসংঘের সচিব প্রধানকে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ পরিষদ নিয়োগ করে ।
( ২ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় ন্যায়ালয়ের ন্যায়াধীশগণকে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ পরিষদ নিযুক্ত করে ।
( ৩ ) কোনো রাষ্ট্রকে নতুন করে সদস্যভুক্তির জন্য সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতির আবশ্যক ।
( ৪ ) কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হতে বহিষ্কার করার ক্ষেত্রেও দুটি অনুষ্ঠানের সম্মতির আবশ্যক ।
প্রশ্ন ৬। আন্তর্জাতিক শিক্ষা , বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (UNESCO) চারটি উদ্দেশ্য লেখো ।
উত্তরঃ ( ১ ) এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হল পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষা ও বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করা ।
( ২ ) পৃথিবীর অনুন্নত দেশে শিক্ষা বিস্তার করা ।
( ৩ ) পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষা , প্রশিক্ষণ ও বিদ্যালয় স্থাপন করা ।
( ৪ ) পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা ও প্রকাশ করা ।
প্রশ্ন ৭। রাষ্ট্রসংঘের এজেন্সিসমূহের নাম লেখো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘের এজেন্সিসমূহ হল—
( ১ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় শ্রমিক সংঘ ( ILO ) ।
( ২ ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO ) ।
( ৩ ) রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন পরিকল্পনা ( UNDP )।
( ৪ ) রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ ( UNHRC ) ।
( ৫ ) রাষ্ট্রসংঘের শিশু পুঁজি ( UNICEF ) ।
( ৬ ) রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা , বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ( UNESCO ) ।
( ৭ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় মুদ্রানিধি ( IMF ) । ও
( ৮ ) খাদ্য ও কৃষি সংগঠন ( FAO ) ।
প্রশ্ন ৮। রাষ্ট্রসংঘের শিশুপুঁজি সংস্থার চারটি কার্যাবলী উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ ( ১ ) পৃথিবীর অনগ্রসর দেশের শিশুদের ঔষধ যোগান দেওয়া ।
( ২ ) প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের উপযুক্ত সাহায্য দান করা ।
( ৩ ) শিশুদের স্বাস্থের জন্য পুষ্টিকর আহার যোগান দেওয়া ।
( ৪ ) শিশুদের জন্য উন্নত ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করা ।
প্রশ্ন ৯। মানব অধিকার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকা তিনটি বিষয় উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ ( ১ ) সকল মানুষই মুক্ত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে । সুতরাং সকলেরই সমান অধিকার থাকতে হবে ।
( ২ ) সকল মানুষ নিজের জাতি , ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় অধিকার ভোগ করতে পারবে ।
( ৩ ) সকল মানুষের সঙ্গে সমান ব্যবহার করতে হবে ।
( ৪ ) সকল মানুষকে আইনের সুরক্ষা অর্থাৎ নিরাপত্তা দিতে হবে । প্রত্যেক মানুষকেই নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের দ্বারা সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা পেতে হবে ।
প্রশ্ন ১০। “ মানব অধিকারের আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্র ” বলতে কি বোঝ ?
উত্তরঃ বিশ্ব থেকে যুদ্ধ পরিহার অর্থাৎ দূর করা এবং সব রাষ্ট্রের মধ্যে শাস্তি ও মৈত্রী স্থাপন করাই সম্মিলিত জাতি সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য । তাই ১৯৪৮ সালে ১০ ই ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদ মানব অধিকারের ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে এবং সমগ্র বিশ্বের মানব জাতির কল্যাণের জন্য প্রচার করা কিছু সংখ্যক মৌলিক অধিকারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।এখানে আরও বলা হয়েছে যে মানুষের এই অধিকারসমূহ রক্ষা করা সকল সদস্য রাষ্ট্রের মহান কর্তব্য ।
প্রশ্ন ১১। ছয়টি মানব অধিকার উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ ছয়টি মানর অধিকার নীচে উল্লেখ করা হল—
( ১ ) বাক্ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ।
( ২ ) ধর্মীয় স্বাধীনতা ।
( ৩ ) অভাবের তাড়না হতে মুক্তি লাভ ।
( ৪ ) নির্ভয়ে বসবাস করার অধিকার ।
( ৫ ) স্বাধীনতার অধিকার । ও
( ৬ ) সংস্থা গঠনের অধিকার ।
প্রশ্ন ১২। কোন দিনটি মানব অধিকার দিবস হিসাবে পালন করা হয় ?
উত্তরঃ প্রত্যেক বৎসর ১০ ই ডিসেম্বর তারিখে মানব অধিকার দিবস হিসাবে পালন করা হয় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। রাষ্ট্রসংঘ ব্যতীত বর্তমান বিশ্বে থাকা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃর্জাতিক অনুষ্ঠানের নাম এবং তাদের মুখ্য কার্যালয়গুলি কোথায় অবস্থিত লেখো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘ ব্যতীত বর্তমান বিশ্বে থাকা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান হল—
আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান | মুখ্য কার্যালয় |
১। কমনওয়েলথ অব্ ন্যাশেনস | লন্ডন |
২। এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনেল | লন্ডন |
৩। নর্থ আটলান্টি ট্রিটি অর্গেনাইজেশন ( NATO ) | ব্রুসেলস্ |
৪। ইন্টারনেশন্যাল রিনিওয়েল এনার্জি এজেন্সি | ইউ.এ.ই |
৫। এশিয়া স্পেসিফিক ইকনমিক কর্পোরেশন | সিঙ্গাপুর |
৬। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ – ইস্ট এশিয়ান নেশন ( ASEAN ) | জাকার্তা |
৭। ইন্টার ন্যাশনেল ক্রিকেট কাউন্সিল | দুবাই |
৮। ফিফা ( FIFA ) | জুরিক |
৯। ওয়াল্ড ইকনমিক ফরাম | জেনেভা |
১০। ইন্টার ন্যাশনেল হকি ফেডারেশন | লোচেন |
প্রশ্ন ২। রাষ্ট্রসংঘের সচিব প্রধান কে নিযুক্ত করে ? তাঁর ক্ষমতা ও কার্যাবলিসমূহ আলোচনা করো ।
উত্তরঃ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ক্রমে সাধারণ সভা সচিব – প্রধানকে পাঁচ বৎসরের জন্য নিযুক্ত করে । সচিবালয় রাষ্ট্রসংঘের প্রধান প্রশাসনীয় কেন্দ্র । সচিব – প্রধান রাষ্ট্রসংঘের প্রধান প্রশাসক ।
ক্ষমতা ও কার্যাবলি :- ( ১ ) সাধারণ সভা , সভা , নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং ন্যায়রক্ষা পরিষদের সভায় সচিব- প্রধানকে উপস্থিত থাকতে হয় । এই সভা এবং পরিষদের ন্যস্ত করা দায়িত্ব সচিব – প্রধানকে পালন করতে হয় ।
( ২ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সচিব প্রধান কিছু সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন ।
( ৩ ) নিরাপত্তা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন ক্রমে সচিব প্রধান সাধারণ সভার বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন ।
( ৪ ) সাধারণ সভার রচনা করা নিয়ম অনুসারে সচিব – প্রধান রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন কর্মচারী নিয়োগ করতে পারেন । রাষ্ট্রসংঘের কর্মচারীগণ যাতে নিরপেক্ষভাবে কার্য- নির্বাহ করে তার প্রতি সচিব প্রধানকে লক্ষ্য রাখতে হয় ।
( ৫ ) রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ অঙ্গ , বিশেষ সংস্থা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয়সমূহ এবং কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করার দায়িত্ব সচিব – প্রধানকে পালন করতে হয় ।
( ৬ ) রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সভা সমিতির স্থান নির্ণয় করা , আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করা , প্রতিনিধিগণের যাতায়াত এবং থাকার সুবন্দোবস্ত করা ইত্যাদির দায়িত্বও সচিব – প্রধানকে বহন করতে হয় ।
( ৭ ) রাষ্ট্রসংঘের বাৎসরিক বাজেট সচিব – প্রধানের তত্ত্বাবধানে করা হয় । সচিব – প্রধানকে বাৎসরিক বাজেট রচনা করে সাধারণ সভায় অনুমোদন করার ব্যবস্থা করতে হয় ।
( ৮ ) সাধারণ সভার বাৎসরিক অধিবেশনে রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্মের অগ্রগতি সম্পর্কে সচিব – প্রধানকে প্রতিবেদন দাখিল করতে হয় । এই প্রতিবেদনে কোনো সমস্যা সম্পর্কে সচিব – প্রধান নিজস্ব মন্তব্য ব্যক্ত করতে পারেন ।
প্রশ্ন ৩। মানব অধিকার রক্ষা করবার জন্য নাগরিকগণের কী করা উচিত ?
উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘের পক্ষে সকল সদস্য রাষ্ট্রের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় । যেভাবে রাষ্ট্রের মধ্যে নিজের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক মানুষের নিজে সজাগ থেকে কার্যপস্থা হাতে নিতে হয় , সেইভাবে নিজ দেশের নাগরিকগণের মানব অধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্রগুলিকেও নিজে সচেষ্ট থাকতে হবে । তদুপরি বৃহৎ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র মানব অধিকার লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্রসংঘ বিশেষ কিছু করতে পারে না । যা হোক রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার ঘোষণা এবং রাষ্ট্রসমূহ নিজে নেওয়া ব্যবস্থার ফলে মানব অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অনেক পরিমাণে কমেছে । তাছাড়া প্রত্যেক মানুষকে সজাগ থাকতে হবে যে তার নিজের কাজের দ্বারা যাতে অন্যের মানব অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয় । মানব অধিকার সম্পর্কে প্রত্যেক নাগরিককে জ্ঞান ও শিক্ষা দিতে হবে । প্রত্যেক নাগরিকের মানব অধিকারের বিষয়বস্তু জনগণের কাছে প্রচার করতে হবে , বিশেষ শিক্ষার বিস্তার করতে হবে । কারণ শিক্ষাই নাগরিকগণকে মানব অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়তা করে ।
প্রশ্ন ৪। ভারতের মানব অধিকার আয়োগের কার্যসমূহ আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ভারতের মানব অধিকার আয়োগের কার্যসমূহ নীচে আলোচনা করা হল—
( ১ ) ( ক ) যদি কোনো ব্যক্তি মানব অধিকার লঙ্ঘন করে নতুবা লঙ্ঘন করতে উস্কানি দেয় বা ।
( খ ) সরকারী বিষয়া এই অধিকার লঙ্ঘনকে বাধা দিতে অবজ্ঞা করে তখন এর বলি হওয়া লোক নতুবা অন্য লোক আবেদন করে তখন বিচার করবে ।
( ২ ) কোনো ন্যায়ালয়ের মানব অধিকার লঙ্ঘনের বিপক্ষে কোনো মামলা চলে থাকলে সেই ন্যায়ালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে মানব অধিকার আয়োগ হস্তক্ষেপ করতে পারে ।
( ৩ ) মানব অধিকার আয়োগ রাজ্য সরকারের জেলখানা পরিদর্শন করে বন্দীগণের অবস্থার খোঁজ খবর নিতে পারে । প্রয়োজন অনুসারে এর পরিবর্তনের পরামর্শ দিতে পারে ।
( ৪ ) মানব অধিকার আয়োগ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা কার্য ব্যবস্থারও পর্যালোচনা করতে পারে ।
( ৫ ) মানব অধিকারের ক্ষেত্রে থাকা কোনো আন্তর্জাতিক সন্ধি ইত্যাদিরও পর্যালোচনা করতে পারে ।
( ৬ ) কোনো বেসরকারী সংস্থা মানব অধিকার রক্ষার জন্য চেষ্টা করলে উৎসাহ দিতে পারে ।
প্রশ্ন ৫। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো :
( ক ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ।
( খ ) আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয় ।
( গ ) খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ।
উত্তরঃ ( ক ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ :- বর্তমানে ৫৪ জন সদস্য নিয়ে এই পরিষদ গঠিত । সদস্যগণ সাধারণ সভার দ্বারা তিন বৎসরের জন্য নির্বাচিত হন । সদস্যগণ নিজেদের মধ্য হতে একজন সভাপতি নির্বাচন করেন । তার কার্যকাল এক বৎসর । এই পরিষদে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক , শিক্ষা , স্বাস্থ্য ও আনুষঙ্গিক এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যনির্বাহ করে । উপরোক্ত বিষয়গুলি দেখা – শুনা করে পরিষদ সাধারণ সভায় প্রতিবেদন ও পরামর্শ পাঠাতে পারে । এই পরিষদের বিভিন্ন শাখা আছে।
( খ ) আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয় :- ১৫ জন ন্যায়াধীশকে নিয়ে এটি গঠিত । রাষ্ট্রসংঘের সকল সদস্যরাষ্ট্রই এই ন্যায়ালয়ের সদস্য । ন্যায়াধীশগণ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ সভার স্বতন্ত্র ভোটে নির্বাচিত হন । তাঁদের কার্যকাল ৯ বৎসর । ন্যায়াধীশগণ নিজেদের মধ্য হতে তিন বৎসরের জন্য একজন সভাপতি নির্বাচন করেন । এই ন্যায়ালয়ের প্রধান কর্তব্য হল আন্তর্জাতিক বিবাদের বিচার করা ও আইন – সংক্রান্ত বিষয়গুলির মীমাংসা করা ।
( গ ) খাদ্য ও কৃষি সংস্থা :- রাষ্ট্রসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা । এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য কৃষিকার্য , বনজ সম্পদ , মৎস উৎপাদন , গ্রাম উন্নয়ন ইত্যাদির উপর দৃষ্টি রাখা । এর প্রধান কার্যালয় রোম নগরীতে অবস্থিত ।