উক্তি-পরিবর্তন | Ukti Poriborton in Bengali Grammar Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter উক্তি-পরিবর্তন | Ukti Poriborton in Bengali Grammar and select needs one.
উক্তি-পরিবর্তন | Ukti Poriborton in Bengali Grammar
These Grammar are part of SCERT Syllabus. Here we have given উক্তি-পরিবর্তন | Ukti Poriborton in Bengali Grammar, You can practice these here.
SEBA Class 9 Bengali Medium Solutions
- Class 9 Bengali Question Answer | নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রমের প্ৰশ্নোত্তর
- Class 9 Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
- Class 9 Social Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর সামাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
SEBA Class 10 Bengali Medium Solutions
- Class 10 Bengali Question Answer | নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রমের প্ৰশ্নোত্তর
- Class 10 Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
- Class 10 Social Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর সামাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
উক্তি-পরিবর্তন
এই বক্তা এবং শ্রোতাকে লইয়া কথার কারবার। বক্তা যখন অন্যের কথা শ্রোতার কাছে বিবৃত করে, তখন সে দুইভাবে এরকম করতে পারে : এক নিজের জবানিতে এবং দুই অন্যে যেভাবে বলেছে, হুবহু ঠিক সেইভাবে—সেই অন্যের জবানিতে। উক্তি বলা হয়।
উক্তি [Narration] – বক্তার বাক্যটিকে অবিকৃতভাবে উদ্ধৃত করা বা প্রকাশকের নিজের কথায় রূপান্তরিত করে বলাকে ব্যাকরণে উক্তি বলে।
বক্তা শ্রোতার সম্মুখে তাঁর বক্তব্য দুই প্রকারের উপস্থাপিত করতে পারেন, নিজস্ব উক্তিতে অথবা অপরের উক্তিতে। কাজেই, উক্তি দুই প্রকাবঃ প্রত্যক্ষ উক্তি এবং পরোক্ষ উক্তি।
১। প্রত্যক্ষ উক্তি [Direct Narration] – বক্তা যদি অন্য কোন বক্তার উক্তি অপরিবর্তিতভাবে হুবহু শ্রোতার সম্মুখে উপস্থাপিত করেন, তবে তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলা হয়। যেমন – আলেকজাণ্ডার পুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি আমার নিকট কিরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা করেন?’
২। পরোক্ষ উক্তি [Indirect Narration] – বক্তা অন্য কোন বক্তার উক্তিকে নিজের মতো করে অর্থাৎ নিজের উক্তিতে প্রকাশ করলে তাকে পরোক্ষ উক্তি বলা হয়। যেমন – আলোকজাণ্ডার পুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে তিনি তাঁহার নিকট কিরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা করেন।
প্রত্যক্ষ উক্তিকে পরোক্ষ উক্তিতে পরিবর্তিত করার নিয়মঃ
১। প্রত্যক্ষ উক্তিতে যে উদ্ধৃত চিহ্ন বা ড্যাস-চিহ্ন থাকে, তা উঠিয়ে পরোক্ষ উক্তিতে তার স্থানে ‘যে এই সংযোজক অব্যয় বসাতে হয়।
২। প্রত্যক্ষ উক্তিতে যে পুরুষের ক্রিয়া থাকে, পরোক্ষ উক্তিতে তা উক্তিটির ভাব-অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
৩। সাধারণতঃ উত্তম ও মধ্য পুরুষের স্থানে প্রথম পুরুষ হয়। ক্ষেত্র-বিশেষে ভাবপ্রকাশের সহায়ক নূতন শব্দও ব্যবহার করতে হয়।
৪। ইংরেজিতে যেমন প্রত্যক্ষ উক্তির প্রধান ক্রিয়াটির কাল-অনুযায়ী পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়ার কাল পরিবর্তিত হয়, বাংলায় তেমন হয় না।
৫। প্রত্যক্ষ উক্তির সর্বনাম পদকে পরোক্ষ উক্তিতে ভাব-অনুযায়ী পরিবর্তিত করতে হয়।
৬। প্রত্যক্ষ উক্তিতে সম্বোধন পদ থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে উহা কর্মকারকে রূপান্তরিত হয়।
৭। প্রত্যক্ষ উক্তিতে অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া থাকলে উহা পরোক্ষ উক্তিতে অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত হয়।
৮। প্রত্যক্ষ উক্তিতে বিস্ময়বোধক বাক্য থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে উহা ভাবানুযায়ী শব্দের প্রয়োগে রূপান্তরিত করতে হয়।
৯। প্রত্যক্ষ উক্তিতে মূল ক্রিয়া যদি সাধু ভাষায় হয়, তবে পরোক্ষ উক্তিতে সম্পূর্ণ বাক্যই সাধুভাষায় হবে ; আর মূল ক্রিয়া চলিত ভাষায় হলে পরোক্ষ উক্তিতে সম্পূর্ণ বাক্যই চলিত ভাষায় হবে।
১০। প্রত্যক্ষ উক্তিতে অদ্য, এখন, এখানে, আগামীকল্য, গতকল্য, ইতিমধ্যে ইত্যাদি শব্দ থাকলে তা পরোক্ষ উক্তিতে পরিবর্তিত আকারে যথাক্রমে সেইদিন, তখন, সেখানে বা সেইখানে, পরদিন, পূর্বদিন, তৎপূর্বে ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়।
উক্তি-পরিবর্তন
এক. প্রত্যক্ষ উক্তি – রামকানাই ছুটিয়া আসিয়া বলিলেন, ‘মেজবউ, তোমার তো বুদ্ধিনাশের সময় হয় নাই ; তবে তোমার এমন ব্যবহার কেন? দাদা গেলেন, এখন আমি তো রহিয়া গেলাম। তোমার যা-কিছু বক্তব্য আছে, অবসর মত আমাকে বলিও, এখন ঠিক সময় নয়।’
পরোক্ষ উক্তি – রামকানাই ছুটিয়া আসিয়া মেজবউকে ডাকিয়া বলিলেন যে তাঁহার [মেজবউর] তো বুদ্ধিনাশের সময় তখন হয় নাই। তবে তাঁহার তেমন ব্যবহারের কারণ কি তাহা তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন। রামকানাইয়ের দাদা গিয়াছিলেন, তখন তিনি তো রহিয়া গিয়াছিলেন। তাই তাঁহার যা-কিছু বক্তব্য ছিল, তাহা অবসর মত তাঁহাকে বলিবার জন্য তিনি তাঁহাকে অনুরোধ করিলেন। কারণ তখন ঠিক সময় ছিল না।
দুই. প্রত্যক্ষ উক্তি – ঠাকুরদাস যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগুলি খাইলেন, তাহা এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, ঐ স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপঠাকুর, আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই? তিনি বলিলেন, না, মা, আজ আমি, এখন পর্যন্ত, কিছুই খাই নাই। তখন, সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর, জল খাইও না, একটু অপেক্ষা কর।
পরোক্ষ উক্তি – ঠাকুরদাস যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগুলি খাইলেন, তাহা এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া ঐ স্ত্রীলোক তাঁহাকে সস্নেহে জিজ্ঞাসা করিলেন যে সেদিন তাঁহার খাওয়া হইয়াছে কিনা। তিনি [ঠাকুরদাস] সসম্ভ্রমে তাঁহাকে জানাইলেন যে সেদিন তখন পর্যন্ত তিনি কিছুই খান নাই। তখন সেই স্ত্রীলোক সস্নেহে ঠাকুরদাসকে জল না খাইতে এবং একটু অপেক্ষা করিতে অনুরোধ করিলেন।
তিন. প্রত্যক্ষ উক্তি – কারখানার লোকেরা বললে, ‘আজ কিছু করা অসম্ভব কাল চেষ্টা দেখা যাবে।’ আমরা জিজ্ঞাসা করলুম, ‘রাত্রে আশ্রয় কোথায়?’ তারা বলল, ‘ডাক বাংলায়।
পরোক্ষ উক্তি – কারখানার লোকেরা আমাদের জানালে যে, সেদিন কিছু করা অসম্ভব। পরের দিন চেষ্টা দেখবে তারা বললে। আমরা রাত্রে কোথায় থাকবো তাদের জিজ্ঞাসা করলুম। তারা আমাদের ডাক বাংলায় থাকতে বললে।
চার. প্রত্যক্ষ উক্তি – রাজকুমারী তখন হীরে-জড়ানো হাতের বালা সখীর হাতে দিয়ে বললেন, “যা ভাই, এই বালার বদলে ঐ রাখালের কাছ থেকে এক গাছা দড়ি নিয়ে আয়।”
রাজকুমারীর সখী সেই বালা হাতে বাপ্পার কাছে এসে বললে, “এই বালার বদলে রাজকুমারীকে এক গাছা দড়ি দিতে পার ?”
হাসতে হাসতে বাপ্পা বললেন, “পারি, যদি রাজকুমারী আমায় বিয়ে করেন।”
পরোক্ষ উক্তি – রাজকুমারী তখন হীরে-জড়ানো হাতের বালা সখীর হাতে দিয়ে ঐ বালার বদলে ঐ রাখালের কাছ থেকে একগাছা দড়ি নিয়ে আসবার জন্যে অনুরোধ করলেন। রাজকুমারীর সখী সেই বালা হাতে বাপ্পার কাছে গিয়ে তিনি ঐ বালার বদলে রাজকুমারীকে এক গাছা দড়ি দিতে পারেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে। হাসতে হাসতে বাপ্পা বললেন যে, যদি রাজকুমারী তাঁকে বিয়ে করেন, তাহলে তিনি তা পারেন।