ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar and select needs one.
ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar
These Grammar are part of SCERT Syllabus. Here we have given ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar, You can practice these here.
SEBA Class 9 Bengali Medium Solutions
- Class 9 Bengali Question Answer | নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রমের প্ৰশ্নোত্তর
- Class 9 Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
- Class 9 Social Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর সামাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
SEBA Class 10 Bengali Medium Solutions
- Class 10 Bengali Question Answer | নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রমের প্ৰশ্নোত্তর
- Class 10 Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
- Class 10 Social Science Question Answer in Bengali | নবম শ্রেণীর সামাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর
ব্যঞ্জনসন্ধি
১। ব্যঞ্জনসন্ধি
স্বরবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলা হয়।
১। স্বরবর্ণের পর ছ থাকিলে ছ-স্থানে ‘চ্ছ’ হয়। যেমন –
পরি + ছন্ন = পরিচ্ছন্ন।
পবি + ছেদ=পরিচ্ছেদ।
প্রেত + ছায়া = প্রেতচ্ছায়া।
অ+ ছদ= অচ্ছদ।
রাজ + ছত্র = রাজচ্ছত্র।
২। স্বরবর্ণ, গ্ ম্ দ্ প্ র্ ভ্ কিংবা য্ র্ ল্ পরে থাকলে পূর্বপদের অন্তঃস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন –
জগৎ + ইন্দ্ৰ = জগদিন্দ্র।
তৎ + উপরি = তদুপরি।
ণিচ্ + অন্ত = নিজস্ত।
কিন্তু স্মরণীয় – যাচ্ + অক = যাচক [যাজক নয়],
পত্ + অঙ্গ = পতঙ্গ [পদঙ্গ নয়]।
৩। চ্ বা ছ্ পরে থাকলে ত্ ও দ় স্থানে ‘চ্” হয়। যেমন –
উৎ+ ছল = উচ্ছল।
উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ।
উৎ + চকিত = উচ্চকিত।
৪। জ্ বা ঝ পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘জ্’ হয়। যেমন –
সৎ + জন = সজ্জন।
কুৎ + ঝটিকা = কুজ্বাটিকা।
৫। ট্ বা ঠু পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘ট্’ হয়। যেমন –
তৎ + টীকা = তট্টীকা।
মহৎ +ঠক্কর = মহট্ঠক্কর।
৬। ড্ বা ঢ় পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘ড্’ হয়। যেমন –
উৎ + ডীন = উড্ডীন।
বৃহৎ + ডম্বরু = বৃহড্ডম্বরু।
বৃহৎ + ডঙ্কা = বৃহড্ডঙ্কা।
৭। ল পরে থাকলে ত্ ও দ স্থানে ‘ল্’ হয়। যেমন –
উৎ + লাস্ = উল্লাস।
৮। পদের অন্তঃস্থ ত্ বা দ্-এর পর হ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে যথাক্রমে ‘দ’ ও ‘প্’ হয়। যেমন –
উৎ+হত = উদ্ধত।
তৎ + হিত = তদ্ধিত।
৯। পদের শেষে ত্ বা দ্-এর পর শ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘চ্’ এবং শ্ স্থানে ‘ছ’ হয়। যেমন –
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস।
উৎ + শ্বসিত = উচ্ছ্বসিত।
১০। চ্ বর্গের পরস্থিত নৃ-স্থানে ‘ঞ’ হয়। যেমন –
যাচ্ + না = যাচ্ঞা।
রাজ্ + নী = রাজ্ঞী।
১১। ষ্-এর পরস্থিত ত্ ও থ্ স্থানে যথাক্রমে ‘ট্’ ও ‘ঠ’ হয়। যেমন –
হৃষ্ + ত = হৃষ্ট।
রুষ + ত = রুষ্ট।
ষষ + থ = ষষ্ঠ।
কৃষ্ + তি = কষ্টি।
১২। ন্ বা ম্ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ত্, দ্ ও প্-স্থানে ‘ন্’ এবং ক্-স্থানে ‘ঙ’ হয়। যেমন –
উৎ + মন = উন্মন।
উৎ + মীলিত = উন্মীলিত।
১৩। ক-বর্গ, ত-বর্গ ও প-বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ণ কিংবা ‘স্’ পরে থাকলে ‘দ্’ ও ‘স্’ স্থানে ত্ [ৎ] হয়। যেমন –
হৃদ্ +পিণ্ড = হৃৎপিণ্ড।
হৃদ্ + পদ্ম = হৃৎপদ্ম।
১৪। ‘উৎ’ উপসর্গের পরবর্তী ‘স্থা’ ও ‘স্তম্ভ’ ধাতুর ‘স্’ লুপ্ত হয়। যেমন–
উৎ + স্থা = উত্থান।
উৎ + স্থাপন = উত্থাপন।
উৎ + স্থাপিত = উত্থাপিত।
উৎ + স্তম্ভন = উত্থম্ভন।
১৫। স্পর্শবর্ণ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ম্-স্থানে ‘ং’ বা বর্গের ‘পঞ্চম বর্ণ’ হয়। যেমন –
প্রিয়ম্ + বদা = প্রিয়ংবদা।
স্বয়ম +বয় = স্বয়ংবর বা স্বয়ম্বর।
স্বয়ম্ + ভর = স্বয়ংভর বা স্বয়ম্ভর।
সম্ + গীত = সংগীত বা সঙ্গীত বা সঙ্গীত।
১৬। ‘সম্’ ও ‘পরি’ উপসর্গের পর কৃ-ধাতু থাকলে ধাতুর পূর্বে ‘স্’-এর আগম হয়। যেমন –
সম্ + কৃত = সংস্কৃত।
সম্ + কৃতি = সংস্কৃতি।
১৭। য্, র্, ল্, ব্ কিংবা শ, ষ্, স্, হ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত ম্-স্থানে ‘ং’ হয়। যেমন –
সম্ + যত = সংযত্।
সম্ + বাদ = সংবাদ।
সম্ + হার = সংহার।
১৮। বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ বর্ণ বা য্, র্, ল্, ব্, হ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে ‘তৃতীয় বর্ণ’ হয়। যেমন–
বাক্ + বিস্তার = বাগ্বিস্তার।
ষট্ + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র।
সৎ+গুরু = সদ্গুরু।
উৎ + ভব = উদ্ভব।
১৯। নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি –
পর + পরা = পরম্পরা।
বন + পতি = বনস্পতি।
দিব্ + লোক = দ্যুলোক।
আ + পদ = আস্পদ।
২০। খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি : বাংলার নিজস্ব উচ্চারণ-রীতি অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি সংঘটিত হয়।
(ক) বর্গের তৃতীয় চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণ বা য্, র্, ল্ ব্, হ পরে থাকলে বর্গের প্রথম বর্ণের স্থানে ‘তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন –
ছোট + দি = ছোড়দি।
এত + দূর = এদ্দূর।
(খ) বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ পরে থাকিলে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে সেই বর্গের যথাক্রমে ‘প্রথম’ ও ‘দ্বিতীয়’ বর্ণ হয়। যেমন –
বড় + ঠাকুর = বঠাকুর।
আধু + খানা = আখানা।
(গ) শ্, ষ্, স্ থাকলে চ্-স্থানে ‘শ্’ হয়। যেমন –
পাঁচ + সের = পাঁসের।
(ঘ) চ-বর্গ পরে থাকলে পূববর্তী ত-বর্গ স্থানে ‘চ্’-বর্গ হয়ে যায়। যেমন –
নাতি [নাত্] + জামাই = নাজ্জামাই।
ভাত + জল = ভাজ্জল।
(ঙ) চ-বর্গ পরে থাকলে পূববর্তী স্বর লুপ্ত হয় এবং চ-বর্গের ‘দ্বিত্ব’ হয়। যেমন –
জুয়া + চোর = জোচ্চোর।
(চ) র্-কারের পর ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে র্-এর লোপ হয় এবং ব্যঞ্জনবর্ণের ‘দ্বিত্ব’ হয়। যেমন –
বাপের + জন্মে = বাপেজ্জন্মে।
ব্যাটার + ছেলে = ব্যাটাচ্ছেলে।
(ছ) ট-বর্গ পরে থাকলে ত-বর্গ স্থানে ‘ট-বর্গ’ হয়। যেমন –
হাত + টান = হাট্টান।
এত + টুকু = এট্টুকু।
(জ) ত্-বর্ণের পর ‘স্’ থাকলে উভয়ে মিলে ‘চ্ছ’ হয়। যেমন–
উৎ + সব = উচ্ছব।