ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar

ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar and select needs one.

ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar

Join Telegram channel

These Grammar are part of SCERT Syllabus. Here we have given ব্যঞ্জনসন্ধি | Vyanjan Sandhi In Bengali Grammar, You can practice these here.

SEBA Class 9 Bengali Medium Solutions

SEBA Class 10 Bengali Medium Solutions

ব্যঞ্জনসন্ধি

১। ব্যঞ্জনসন্ধি

স্বরবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলা হয়।

১। স্বরবর্ণের পর ছ থাকিলে ছ-স্থানে ‘চ্ছ’ হয়। যেমন –

পরি + ছন্ন = পরিচ্ছন্ন।

পবি + ছেদ=পরিচ্ছেদ।

প্রেত + ছায়া = প্রেতচ্ছায়া। 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Join Now

অ+ ছদ= অচ্ছদ।

রাজ + ছত্র = রাজচ্ছত্র।

২। স্বরবর্ণ, গ্ ম্ দ্ প্ র্ ভ্ কিংবা য্ র্ ল্ পরে থাকলে পূর্বপদের অন্তঃস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন –

জগৎ + ইন্দ্ৰ = জগদিন্দ্র।

তৎ + উপরি = তদুপরি। 

ণিচ্ + অন্ত = নিজস্ত।

কিন্তু স্মরণীয় – যাচ্ + অক = যাচক [যাজক নয়], 

পত্ + অঙ্গ = পতঙ্গ [পদঙ্গ নয়]।

৩। চ্ বা ছ্ পরে থাকলে ত্ ও দ় স্থানে ‘চ্” হয়। যেমন –

উৎ+ ছল = উচ্ছল।

উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ। 

উৎ + চকিত = উচ্চকিত।

৪। জ্ বা ঝ পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘জ্’ হয়। যেমন –

সৎ + জন = সজ্জন। 

কুৎ + ঝটিকা = কুজ্বাটিকা।

৫। ট্‌ বা ঠু পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘ট্‌’ হয়। যেমন –

তৎ + টীকা = তট্টীকা। 

মহৎ +ঠক্কর = মহট্ঠক্কর।

৬। ড্ বা ঢ় পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘ড্’ হয়। যেমন –

উৎ + ডীন = উড্ডীন।

বৃহৎ + ডম্বরু = বৃহড্ডম্বরু। 

বৃহৎ + ডঙ্কা = বৃহড্‌ডঙ্কা।

৭। ল পরে থাকলে ত্ ও দ স্থানে ‘ল্’ হয়। যেমন –

উৎ + লাস্ = উল্লাস।

৮। পদের অন্তঃস্থ ত্ বা দ্-এর পর হ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে যথাক্রমে ‘দ’ ও ‘প্’ হয়। যেমন –

উৎ+হত = উদ্ধত। 

তৎ + হিত = তদ্ধিত।

৯। পদের শেষে ত্ বা দ্-এর পর শ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘চ্’ এবং শ্ স্থানে ‘ছ’ হয়। যেমন –

উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস। 

উৎ + শ্বসিত = উচ্ছ্বসিত।

১০। চ্ বর্গের পরস্থিত নৃ-স্থানে ‘ঞ’ হয়। যেমন –

যাচ্ + না = যাচ্ঞা। 

রাজ্ + নী = রাজ্ঞী।

১১। ষ্-এর পরস্থিত ত্ ও থ্ স্থানে যথাক্রমে ‘ট্’ ও ‘ঠ’ হয়। যেমন –

হৃষ্ + ত = হৃষ্ট।

রুষ + ত = রুষ্ট। 

ষষ + থ = ষষ্ঠ। 

কৃষ্ + তি = কষ্টি।

১২। ন্ বা ম্ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ত্, দ্ ও প্-স্থানে ‘ন্’ এবং ক্-স্থানে ‘ঙ’ হয়। যেমন –

উৎ + মন = উন্মন। 

উৎ + মীলিত = উন্মীলিত।

১৩। ক-বর্গ, ত-বর্গ ও প-বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ণ কিংবা ‘স্’ পরে থাকলে ‘দ্’ ও ‘স্’ স্থানে ত্ [ৎ] হয়। যেমন –

হৃদ্ +পিণ্ড = হৃৎপিণ্ড। 

হৃদ্ + পদ্ম = হৃৎপদ্ম।

১৪। ‘উৎ’ উপসর্গের পরবর্তী ‘স্থা’ ও ‘স্তম্ভ’ ধাতুর ‘স্’ লুপ্ত হয়। যেমন–

উৎ + স্থা = উত্থান।

উৎ + স্থাপন = উত্থাপন। 

উৎ + স্থাপিত = উত্থাপিত। 

উৎ + স্তম্ভন = উত্থম্ভন।

১৫। স্পর্শবর্ণ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ম্-স্থানে ‘ং’ বা বর্গের ‘পঞ্চম বর্ণ’ হয়। যেমন –

প্রিয়ম্ + বদা = প্রিয়ংবদা। 

স্বয়ম +বয় = স্বয়ংবর বা স্বয়ম্বর। 

স্বয়ম্ + ভর = স্বয়ংভর বা স্বয়ম্ভর। 

সম্ + গীত = সংগীত বা সঙ্গীত বা সঙ্গীত।

১৬। ‘সম্’ ও ‘পরি’ উপসর্গের পর কৃ-ধাতু থাকলে ধাতুর পূর্বে ‘স্’-এর আগম হয়। যেমন –

সম্ + কৃত = সংস্কৃত। 

সম্ + কৃতি = সংস্কৃতি।

১৭। য্, র্, ল্, ব্ কিংবা শ, ষ্, স্, হ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত ম্-স্থানে ‘ং’ হয়। যেমন –

সম্ + যত = সংযত্।

সম্ + বাদ = সংবাদ। 

সম্ + হার = সংহার।

১৮। বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ বর্ণ বা য্, র্, ল্, ব্, হ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে ‘তৃতীয় বর্ণ’ হয়। যেমন–

বাক্ + বিস্তার = বাগ্‌বিস্তার।

ষট্ + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র।

সৎ+গুরু = সদ্গুরু।

উৎ + ভব = উদ্ভব।

১৯। নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি –

পর + পরা = পরম্পরা। 

বন + পতি = বনস্পতি।

দিব্‌ + লোক = দ্যুলোক।

আ + পদ = আস্পদ।

২০। খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি : বাংলার নিজস্ব উচ্চারণ-রীতি অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি সংঘটিত হয়।

(ক) বর্গের তৃতীয় চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণ বা য্, র্, ল্ ব্, হ পরে থাকলে বর্গের প্রথম বর্ণের স্থানে ‘তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন –  

ছোট + দি = ছোড়দি। 

এত + দূর = এদ্দূর।

(খ) বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ পরে থাকিলে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে সেই বর্গের যথাক্রমে ‘প্রথম’ ও ‘দ্বিতীয়’ বর্ণ হয়। যেমন – 

বড় + ঠাকুর = বঠাকুর। 

আধু + খানা = আখানা।

(গ) শ্, ষ্, স্ থাকলে চ্-স্থানে ‘শ্’ হয়। যেমন –

পাঁচ + সের = পাঁসের।

(ঘ) চ-বর্গ পরে থাকলে পূববর্তী ত-বর্গ স্থানে ‘চ্’-বর্গ হয়ে যায়। যেমন –

নাতি [নাত্‌] + জামাই = নাজ্জামাই। 

ভাত + জল = ভাজ্জল।

(ঙ) চ-বর্গ পরে থাকলে পূববর্তী স্বর লুপ্ত হয় এবং চ-বর্গের ‘দ্বিত্ব’ হয়। যেমন –

জুয়া + চোর = জোচ্চোর।

(চ) র্-কারের পর ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে র্-এর লোপ হয় এবং ব্যঞ্জনবর্ণের ‘দ্বিত্ব’ হয়। যেমন –

বাপের + জন্মে = বাপেজ্জন্মে। 

ব্যাটার + ছেলে = ব্যাটাচ্ছেলে।

(ছ) ট-বর্গ পরে থাকলে ত-বর্গ স্থানে ‘ট-বর্গ’ হয়। যেমন –

হাত + টান = হাট্টান।

এত + টুকু = এট্‌টুকু।

(জ) ত্-বর্ণের পর ‘স্’ থাকলে উভয়ে মিলে ‘চ্ছ’ হয়। যেমন–

উৎ + সব = উচ্ছব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top