Class 10 Social Science Chapter 4 স্বাধীনতা আন্দোলন ও অসমে জাতীয় জাগরণ Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Social Science Chapter 4 স্বাধীনতা আন্দোলন ও অসমে জাতীয় জাগরণ and select needs one.
Class 10 Social Science Chapter 4 স্বাধীনতা আন্দোলন ও অসমে জাতীয় জাগরণ
Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Social Science Chapter 4 স্বাধীনতা আন্দোলন ও অসমে জাতীয় জাগরণ Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Social Science Chapter 4 স্বাধীনতা আন্দোলন ও অসমে জাতীয় জাগরণ These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Social Science Chapter 4 স্বাধীনতা আন্দোলন ও অসমে জাতীয় জাগরণ for All Subject, You can practice these here..
সঠিক উত্তরটি বেছে উত্তরটির পাশে টিক্ ( √ ) চিহ্ন দাও:
১। অসমে প্রদেশ কংগ্রেস কখন প্রতিষ্ঠিত হয় ?
( ক ) ১৮৮৫
( খ ) ১৯২১
( গ ) ১৯২৩
( ঘ ) ১৯২৪
উত্তরঃ ( খ ) ১৯২১ ( √ ) ।
২। কত সালে অসমে ব্যবস্থাপক সভা হয় ?
( ক ) ১৯১৯
( খ ) ১৯২১
( গ ) ১৯৩০
( ঘ ) ১৯৩১
উত্তরঃ ( ঘ ) ১৯৩১ ( √ ) ।
৩। সর্বজনীন সভা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
( ক ) ১৮৮৪ সালে।
( খ ) ১৮৮৬ সালে।
( গ ) ১৮৯০ সালে।
( ঘ ) ১৮৯২ সালে।
উত্তরঃ ( ক ) ১৮৮৪ সালে ( √ ) ।
৪। সর্বজনীন সভার প্রথম সভাপতি কে ছিলেন ?
( ক ) নরনারায়ণ সিংহ।
( খ ) জগন্নাথ বরুয়া।
( গ ) লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া।
( ঘ ) প্রভাতচন্দ্র বরুয়া।
উত্তরঃ ( খ ) জগন্নাথ বরুয়া ( √ ) ।
৫। সর্বজনীন সভার প্রথম অধিবেশন কোথায় অনুষ্ঠিত হয় ?
( ক ) যোরহাটে।
( খ ) গৌহাটীতে।
( গ ) তেজপুরে।
( ঘ ) ডিব্ৰুগড়ে।
উত্তরঃ ( খ ) গৌহাটীতে ( √ ) ।
৬। মহাত্মা গান্ধি প্রথম কবে অসম এসেছিলেন ?
( ক ) ১৯১৯ সালে।
( খ ) ১৯২১ সালে।
( গ ) ১৯২৬ সালে।
( ঘ ) ১৯৪৬ সালে।
উত্তরঃ ( খ ) ১৯২১ সালে ( √ ) ।
৭। “ অসম সংরক্ষিণী ” সভার প্রতিষ্ঠাপক কে ছিলেন ?
( ক ) নীলমণি ফুকন।
( খ ) অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরী।
( গ ) বিষ্ণুরাম মেধি।
( ঘ ) গোপীনাথ বরদলৈ।
উত্তরঃ ( খ ) অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরী ( √ ) ।
৮। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৪১ তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল—
( ক ) পাণ্ডুতে।
( খ ) কলকাতাতে।
( গ ) দিল্লীতে।
( ঘ ) শিবসাগরে।
উত্তরঃ ( ক ) পাণ্ডুতে ( √ ) ।
৯। পাণ্ডু কংগ্রেস কবে অনুষ্ঠিত হয় ?
( ক ) ১৯২০ সালে।
( খ ) ১৯২১ সালে।
( গ ) ১৯২৪ সালে।
( ঘ ) ১৯২৬ সালে।
উত্তরঃ ( ঘ ) ১৯২৬ সালে ( √ ) ।
১০। পাণ্ডু কংগ্রেস অধিবেশনের সভাপতি কে ছিলেন ?
( ক ) গোপীনাথ বরদলৈ।
( খ ) তরুণরাম ফুকন।
( গ ) শ্রীনিবাস আয়াঙ্গার।
( ঘ ) মহাত্মা গান্ধি।
উত্তরঃ ( ক ) গোপীনাথ বরদলৈ ( √ ) ।
১১। অসম ছাত্র সম্মেলন প্রতিষ্ঠিত হয় কবে ?
( ক ) ১৯১৬ সালে।
( খ ) ১৯১৯ সালে।
( গ ) ১৯২১ সালে।
( ঘ ) ১৯২৬ সালে।
উত্তরঃ ( ক ) ১৯১৬ সালে ( √ ) ।
১২। অসম ছাত্র সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় কোথায় ?
( ক ) ডিব্ৰুগড়ে।
( খ ) যোরহাটে।
( গ ) গৌহাটিতে।
( ঘ ) তেজপুরে।
উত্তরঃ ( গ ) গৌহাটিতে ( √ ) ।
১৩। অসম ছাত্র সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন কে ?
( ক ) লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া।
( খ ) চন্দ্ৰনাথ শৰ্মা।
( গ ) পদ্মনাথ গোঁহাঞি বরুয়া।
( ঘ ) তরুণরাম ফুকন।
উত্তরঃ ( ক ) লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া ( √ ) ।
১৪। ক্যানিংহাম সার্কুলার কবে প্রকাশিত হয় ?
( ক ) ১৯৩০ সালে।
( খ ) ১৯৩৫ সালে।
( গ ) ১৯৪১ সালে।
( ঘ ) ১৯৪৬ সালে।
উত্তরঃ ( খ ) ১৯৩৫ সালে ( √ ) ।
১৫। অসমে মুসলিম লিগ কবে স্থাপিত হয় ?
( ক ) ১৯০৭ সালে।
( খ ) ১৯১০ সালে।
( গ ) ১৯৩০ সালে।
( ঘ ) ১৯৩৪ সালে।
উত্তরঃ ( ঘ ) ১৯৩৪ সালে ( √ ) ।
১৬। অসমে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা গঠিত হয় কবে ?
( ক ) ১৯৩৮ সালে।
( খ ) ১৯৪১ সালে।
( গ ) ১৯৪৩ সালে।
( ঘ ) ১৯৪৬ সালে।
উত্তরঃ ( ঘ ) ১৯৪৬ সালে ( √ ) ।
১৭। অসমে প্রথম সাদুল্লা মন্ত্রীসভা কখন গঠিত হয় ?
( ক ) ১৯৩৮ সালে।
( খ ) ১৯৪০ সালে।
( গ ) ১৯৪১ সালে।
( ঘ ) ১৯৪২ সালে।
উত্তরঃ ( ক ) ১৯৩৮ সালে ( √ ) ।
১৮। ১৯৪১ সালের ৬ ই ডিসেম্বর কার নির্দেশে কটন কলেজের ছাত্রদের উপর পুলিশ লাঠি চালনা করে ?
( ক ) উপায়ুক্ত হামফ্রের।
( খ ) লর্ড ক্যানিং – এর।
( গ ) হপসকিনের।
( ঘ ) মোঃ সাদুল্লার।
উত্তরঃ ( ক ) উপায়ুক্ত হামফ্রের ( √ ) ।
সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো
১। দীননাথ বেজবরুয়া ।
২। তেজপুর রায়ত সভা ।
৩। রাজ প্রভাতচন্দ্র বরুয়া ।
৪। জগন্নাথ বরুয়া ।
৫। চন্দ্রনাথ শর্মা ।
৬। পূর্ণ স্বরাজ দিবস ।
৭ । কানিংহাম সার্কুলার ।
৮। ধনঞ্জয় বুড়াগোহাঞি ।
৯। টিকেন্দ্রজিৎ ।
১০। গোপীনাথ বরদলৈ ।
১১। মিলের রিপোর্ট ।
১। দীননাথ বেজবরুয়া :- দীননাথ বেজবরুয়া ছিলেন অসমের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব । তিনি ছিলেন গুয়াহাটী ইংলিশ সেমিনারের সক্রিয় কর্মী । তাঁর ও অন্যান্যদের প্রচেষ্টায় গৌহাটি ১৮৬৭ সালে সেমিনারী প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৮৮০ সালে ইহার দ্বিতীয় সম্মেলনে এবং ১৮৮২ সালের তৃতীয় সম্মেলনে দীননাথ বেজবরুয়া সভাপতিত্ব করেন ।
২। তেজপুর রায়ত সভা :- ১৮৮৪ সালে তেজপুর রায়ত সভা প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সভার সংগঠন ও কর্মসূচী রূপায়ণে বিশেষত লক্ষ্মীকান্ত বরককেতী , হরিলাল আগরওয়ালা , ভবানীচরণ ভট্টাচার্য , জয়দেব শর্মা , লক্ষ্মীকান্ত দাস , মহেন্দ্র দে প্রমুখ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন । রায়ত সভার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদ করা ।
৩। রাজা প্রভাতচন্দ্র বরুয়া :- রাজা প্রভাতচন্দ্র বরুয়া ছিলেন অসম এসোসিয়েশনের একজন অন্যতম সক্রিয় কর্মী। মানিকচন্দ্র বরুয়া ১৯০৩ সালে অসম এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন । রাজা প্রভাতচন্দ্র বরুয়া অসম এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহক সমিতির সভাপতি নিযুক্ত হন । তাঁর প্রচেষ্টায় উক্ত প্রতিষ্ঠান অসমের সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
৪। জগন্নাথ বরুয়া :- জগন্নাথ বরুয়া ছিলেন অসমের বিশিষ্ট চা – বাগিচার মালিক । তিনি যোরহাট সর্বজনীন সভার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন । সর্বজনীন সভা গঠনের প্রথম জনসভায় অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে জগন্নাথ বরুয়াও হাজির ছিলেন । ১৮৯৩ সালের ১১ ই নভেম্বর জগন্নাথ বরুয়ার সভাপতিত্বে যোরহাট সর্বজনীন সভার সভায় অসমে আফিং চাষ বনধ করিবার দাবী জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয় । এই সভাপতি জগন্নাথ বরুয়া ও সম্পাদক দেবীচরণ বরুয়ার স্বাক্ষর করা স্মারকপত্র অসমের চীফ কমিশনারের নিকট পেশ করা হয় ।
৫। চন্দ্রনাথ শৰ্মা :- চন্দ্রনাথ শর্মা ছিলেন অসমের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী । তিনি ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯২০ সালে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন । চন্দ্রনাথ শর্মা মূলত ছিলেন ছাত্রনেতা । তাঁর নেতৃত্বে অসমে ছাত্রসমাজ গান্ধিজির অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে । ১৯২২ সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারী চৌরিচৌরার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ই ফেব্রুয়ারী গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন । এতে চন্দ্ৰনাথ শর্মা ভীষণ অসন্তুষ্ট হন । সেই সময় তিনি বিশ্রামের জন্য পুরীতে চলে যান । যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯২২ সালের ২০ জুলাই শিলং – এ পরলোকগমন করেন ।
৬। পূর্ণ স্বরাজ দিবস :- ১৯৩০ সালের ১২ ই মার্চ গান্ধিজি দান্ডি যাত্রা করে লবণ আইন ভঙ্গ করেন । এই সঙ্গে দেশে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয় । এটা ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে পরিচালিত স্বাধীনতা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব । অবশ্য ১৯২৯ সালের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব গ্রহণ করার পর ১৯৩০ সালের ২৬ শে জানুয়ারী প্রারম্ভিক কার্যসূচি শুরু হয় । সেইদিন সমগ্র দেশে “ পূর্ণ স্বরাজ দিবস ” পালন করা হয় । সেই সঙ্গে কংগ্রেসের পতাকা উত্তোলন কার্যসূচি রূপায়িত হয় ।
৭। কানিংহাম সার্কুলার :- ১৯৩০ সালের মে মাসে অসমের শিক্ষাধিকর্তা ক্যানিংহাম এক নির্দেশনামায় ছাত্র – ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের হরতাল , পিকেটিং , রাজনৈতিক সভাযাত্রায় অংশ নেওয়া নিষেধ করা এবং সব ধরনের সরকারী অনুশাসন মেনে চলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দানের কথা ঘোষণা করেন । ফলে অসমে ছাত্র – ছাত্রীগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে দলে দলে স্কুল – কলেজ ত্যাগ করে । এই সময়ে করিমগঞ্জে পাবলিক হাইস্কুল , গুয়াহাটীতে কামরূপ অ্যাকাডেমী স্কুল প্রভৃতি স্থাপিত হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ছেড়ে ঐগুলিতে ভর্তি হয়েছিল । জাতীয় স্কুলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অসহযোগ আন্দোলনের তীব্রতা হ্রাস সরকার বাধ্য হয়ে পরবর্তীকালে এই সার্কুলার প্রত্যাহার করেন।
৮। ধনজয় বুড়াগোহাঞি :- ধনঞ্জয় বুড়াগোহাঞি ছিলেন গোমধর কোয়রের অন্যতম সহযোগী । ব্রিটিশের বিরুদ্ধে গোমধরের বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ১৮৩০ সালে ধনঞ্জয় বুড়াগোহাঞি বদন চাঁদের পুত্র পিয়লী ‘ বরফুকনের সহযোগিতায় ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন । কিন্তু কতিপয় বিদ্রোহী নেতার বিশ্বাসঘাতকায় ধনঞ্জয়ের পরিকল্পনা সফল হয়নি । এর পর ইংরেজগণ ভবিষ্যতে যাতে এইরূপ বিদ্রোহের চেষ্টা না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।
৯। টিকেন্দ্রজিৎ :- বীর টিকেন্দ্রজিৎ রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন । নেতা হিসাবে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন । সেনাপতি হিসাবে টিকেন্দ্রজিৎ ছিলেন অসাধারণ দক্ষ । ব্রিটিশ মণিপুর রাজ্যে হস্তক্ষেপ করলে টিকেন্দ্রজিৎ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । টিকেন্দ্রজিতের তীক্ষ্ণবুদ্ধির জন্যই মহারাজা সুরচন্দ্র ১৮৯০ সালের ২১ শে সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন । পরে ফুলচন্দ্র নামে এক ব্যক্তি মণিপুরের সিংহাসন আরোহণ করেন । ব্রিটিশ সরকার কতিপয় শর্তে ফুলচন্দ্রকে স্বীকৃতি প্রদান করে । শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম হল টিকেন্দ্রজিতকে মণিপুর থেকে বিতাড়ন । সেই অনুযায়ী টিকেন্দ্রজিৎকে বিতাড়নের জন্য ব্রিটিশ অফিসারদেরকে নির্দেশ দেওয়া হল । কুইন্টন নামে এক ব্রিটিশ অফিসার টিকেন্দ্রজিতকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি টিকেন্দ্রজিতের পক্ষ থেকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হন । টিকেন্দ্রজিত ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে চারজন ব্রিটিশ নিহত হয় । ব্রিটিশ সরকার টিকেন্দ্রজিতকে গ্রেপ্তার করে মৃতুদণ্ডে দণ্ডিত করে ।
১০। গোপীনাথ বরদলৈ :- ১৮৯০ সালে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ জন্মগ্রহণ করেন । তিনি কলকাতা হতে স্নাতকোত্তর ও আইন অধ্যয়ন করে অসমে আসেন এবং কিছুকাল গুয়াহাটির সোনারাম হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন । পরে তিনি আইন ব্যবসায় যোগদান করেন । ১৯২০ সালে গান্ধিজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আইন ব্যবসা পরিত্যাগ করে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন । ১৯২২ সালে তাঁকে এক বৎসর কারাদণ্ড দেওয়া হয় । ১৯২৬ সালে পাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের ৪১ তম অধিবেশনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন । ১৯৩২ সালে গোপীনাথ গুয়াহাটী পৌরসভার সভাপতি হন ।
তিনিই প্রথম অসমের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইকোর্টের দাবী জানান । তিনি অসম হতে শ্রীহট্টের পৃথকীকরণের পক্ষে ছিলেন । ১৯৩৬ সালে তিনি অসম বিধান সভায় কংগ্রেস দলনেতা হন ও সাদুল্লা মন্ত্রীসভার তীব্র বিরোধিতা করেন । ১৯৩৮ সালে তিনি অসমে কংগ্রেস কোয়ালিশন মন্ত্রীসভা গঠন করেন । পরে ১৯৪৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে অসমে আবার কংগ্রেস মন্ত্রীসভা গঠিত হয় । গোপীনাথ বরদলৈয়ের প্রচেষ্টায় ১৯৪৬ সালের কেবিনেট মিশন পরিকল্পনার “ সমষ্টি পরিকল্প ” অনুযায়ী অসমকে বাংলার সঙ্গে একজোট করার প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায় । ১৯৫০ সালে গোপীনাথ বরদলৈ পরলোকগমন করেন ।
১১। মিলের রিপোর্ট :- মোপট মিল ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক । তিনি ১৮৫৩ সালে উজান অসমের শাসনব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য অসমে আসেন । মণিরাম দেওয়ান অসমে ব্রিটিশ অপশাসন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মিলের নিকট পেশ করেন এবং অসমে আহোম শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান । মিল বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করে ১৮৫৩ সালের শেষদিকে ভারতে ব্রিটিশ সরকারকে একটি রিপোর্ট বা প্রতিবেদন দাখিল করেন । মিলের রিপোর্ট থেকে অসমের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় । প্রশাসনিক সেবা ও বিচার বিভাগে মুখ্যপদাধিকারী এইরূপ ছিল —
( ক ) একজন আয়ুক্ত ।
( খ ) একজন উপায়ুক্ত ।
( গ ) ছয়জন মুখ্য সহকারী ।
( ঘ ) ৩ জন কনিষ্ঠ সহায়ক ।
( ঙ ) ৮ জন উপসহায়ক ।
( চ ) একজন মুখ্য সদর আমিন ।
( ছ ) ৬ জন সদর আমিন ।
( জ ) ১৭ জন মুন্সেফ ।
পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছিল । ভূমি ও রাজস্ব সংস্কারের ফলে সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি পায় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। অসম এসোসিয়েশন সম্পর্কে কী জান ?
উত্তরঃ ১৯০৩ সালে অসমে “ অসম এসোসিয়েশন ” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় চেতনার একটি নূতন অধ্যায়ের শুরু হয় । ১৯০৩ সালে জগন্নাথ বরুয়া , ঘনশ্যাম বরুয়া , ফৈজনুর আলী, মানিকচন্দ্র বরুয়ার উদ্যোগে ডিব্রুগড়ে অসম এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয় । এর প্রথম সভাপতি ছিলেন গৌরীপুর রাজ প্রভাতচন্দ্র বরুয়া । ঐ সংঘ অসম এবং অসমীয়া স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবীগুলির সাংবিধানিক উপায়ে মীমাংসার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করেছিল । প্রথমদিকে অসম এসোসিয়েশন মধ্যম পন্থী ছিল , কিন্তু বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের উপর এটি চরম ইংরাজ বিরোধী হয়েছিল । এই সংস্থায় যুবকেরা যোগ দিয়েছিল । ১৯১৭ সালে ঐ সংস্থা স্বায়ত্ত্ব শাসনের ক্ষেত্রে অসমকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানিয়েছিল । কিন্তু অসম সরকার এর বিরোধিতা করে । পরে সভ্যদের দাবি চলতে থাকায় সরকার অসমকে ঐ নির্দেশিকার অন্তর্ভুক্ত করে । ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনে অসম অ্যাসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ১৯২১ সালে অসম প্রদেশ কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অসম অ্যাসোসিয়েশনের বিলুপ্তি ঘটে ।
প্রশ্ন ২। অসমের নবজাগরণ বা নবচেতনা সম্পর্কে কী জান ?
উত্তরঃ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ভারতে যে জাতীয় চেতনার জাগরণ ঘটেছিল অসমেও তার প্রভাব পড়েছিল । ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ করে অসমবাসীও স্বাধীনতা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করেছিল । যোগাযোগ এবং যাতায়াতের প্রসার ঘটায় স্বাধীনতাপ্রিয় অসমবাসীরা সারা অসমে মনের কথা আদান – প্রদান করতে সমর্থ হয় । রায়ত সভা , সর্বজনীন সভা, অসম অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি সামাজিক ও অথনৈতিক প্রতিষ্ঠান নবচেতনা জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া , হেমচন্দ্র গোস্বামী , চন্দ্রকুমার আগরওয়ালা প্রভৃতি মনীষীগণ তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে অসমবাসীকে সচেতন করেন । এছাড়াও কতিপয় সংবাদপত্র নবজাগরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
প্রশ্ন ৩। অসমে রাজনৈতিক চেতনা বিকাশে “ অসম ছাত্র সম্মিলন ” -এর ভূমিকা বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ ১৯১৬ সালে অসম ছাত্র সম্মেলন প্রতিষ্ঠিত হয় । এর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় গুয়াহাটীতে । অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া । স্বদেশী আন্দোলনে বাংলার ছাত্রদের যোগদান , শ্রীমতী অ্যানি বেসান্তের নেতৃত্বে হোমরুল আন্দোলন , তিলক , গোখলে প্রমুখ জাতীয় নেতাদের বক্তৃতা , ভারত ও বিশ্বের সমসাময়িক ঘটনাবলী অসমের ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে । ফলে তাদের মধ্যে নবচেতনার উন্মেষ ঘটে । অসম ছাত্র – সম্মেলন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই নবচেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে । সারা ভারতে যখন সংগঠিত ছাত্র সংস্থার অভাব তখন অসমে এই সম্মেলন আন্দোলনকারীগণকে উদ্দীপিত করে ।
প্রশ্ন ৫। পাণ্ডু কংগ্রেস সম্পর্কে কী জান ?
উত্তরঃ ১৯২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে গুয়াহাটির নিকট পাণ্ডুতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৪১ তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় । দক্ষিণ ভারতে বিখ্যাত স্বদেশপ্রেমিক ও রাজনীতিবিদ শ্রীনিবাস আয়াঙ্গার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন । অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরী ও উমেশচন্দ্র চৌধুরী রচিত দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের মাধ্যমে অধিবেশনের উদ্বোধন হয় । তরুণরাম ফুকন ও নবীনচন্দ্র বরদলৈ অধিবেশন সফল করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন । উক্ত অধিবেশনে ব্রিটিশ নীতির বিরোধিতা ও গঠনমূলক কর্মসূচীর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় । মহাত্মা গান্ধি অধিবেশনে উপস্থিত থেকে মৌলবাদী আব্দুল রসিদ কর্তৃক নিহত স্বামী শ্রদ্ধানন্দের শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন ।
প্রশ্ন ৬। অসমে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে কী জান ?
উত্তরঃ ভারতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ১৮৮৫ সালে হলেও ১৯২১ সালে অসম প্রদেশ কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় । এতদিন পর্যন্ত অসম বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির মাধ্যমে জাতীয় কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করত । ১৯২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনে অসমে আলাদা প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি গঠিত হয় ।
প্রশ্ন ৭। অসমের মহাত্মা গান্ধির আগমনের প্রতিক্রিয়া কীরূপ ছিল ?
উত্তরঃ ১৯২১ সালের আগস্ট মাসে মহাত্মা গান্ধি আলী ভ্রাতৃদ্বয়ের সঙ্গে প্রথমবার অসমে আসেন । ঐ সময় অসহযোগ আন্দোলন চলছিল । গান্ধিজি ঐ আন্দোলন শুরু করবার জন্য অসম ভ্রমণ করেন । তাঁর আগমনে অসমে ঐ আন্দোলন জোরদার হয় । মহাত্মাজিকে দর্শনের উদ্দেশ্যে গুয়াহাটী রেল স্টেশনের আশেপাশে বিরাট সংখ্যক মানুষ সমবেত হয় । গুয়াহাটি , তেজপুর , নগাঁও , যোরহাট , ডিব্রুগড় , শিলচর প্রভৃতি অন্যান্য স্থানে মহাত্মা গান্ধির জনসভায় মানুষের ভিড় উপচিয়ে পড়ে । গান্ধিজির আহ্বানে সমগ্র ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা উপত্যকার স্কুল – কলেজ প্রভৃতি বর্জন করা হয় । গুয়াহাটীতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলাতী বস্ত্র বর্জন শুরু হয় । তরুণরাম ফুকন , নবীনচন্দ্র বরদলৈ , রোহিনী চৌধুরী , মোঃ তায়েবউল্লা প্রমুখ নেতাগণ অসমে এই সময়ে আন্দোলন পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন । গান্ধিজির অসম ভ্রমণ সম্পূর্ণ সফল হয় । “ ইয়ং ইণ্ডিয়া ” পত্রিকায় “ লাভলি অসম ” , প্রবন্ধে গান্ধিজি নিজেই এটি স্বীকার করেছিলেন ।
প্রশ্ন ৮। স্বাধীনতা সংগ্রামে অসমের ছাত্র সমাজের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসমের ছাত্র সমাজের উল্লেখযোগ্য অবদান আছে । ১৯০৫ সালের স্বদেশী আন্দোলন থেকে অসমে ছাত্রসমাজ সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে । ১৯১৬ সালে “ অসম ছাত্র সম্মেলন ” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র সমাজ স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । ছাত্র সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় গুয়াহাটিতে । অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া । স্বদেশী আন্দোলনে বাংলার ছাত্রদের যোগদান , শ্রীমতি অ্যানি বেসান্তের নেতৃত্বে হোমরুল আন্দোলন , তিলক , গোখলে প্রভৃতি জাতীয় নেতাদের বক্তৃতা , ভারত ও বিশ্বের সমসাময়িক ঘটনাবলী অসমের ছাত্র যুব সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে । ফলে তাদের মধ্যে নবচেতনার উন্মেষ ঘটে ।
এই নবচেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ছাত্র – সম্মেলন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে । এটি কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না । কিন্তু সারা ভারতের ছাত্রসমাজের আবেদনে ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনে ছাত্র সম্মেলন নানা ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় এবং অসমের রাজনৈতিক চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
১৯২০ মহাত্মা গান্ধি সালে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে সারা দেশের সঙ্গে অসমের জনগণ তথা ছাত্রসমাজ অসহযোগ আন্দোলন যোগদান করে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জন করা হয়।একইভাবে ১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনে অসমের ছাত্রসমাজ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে । ১৯৩০ সালে ক্যানিংহাম সার্কুলারের প্রতিবাদে অসমের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে । দলে দলে স্কুল – কলেজ ত্যাগ করে। আন্দোলনের তীব্রতা হ্রাস করতে সরকার বাধ্য হয়ে এই সার্কুলার প্রত্যাহার করেন ।
১৯৪২ সালে ভারত ত্যাগ আন্দোলন শুরু হলে অসমের ছাত্রসমাজ সক্রিয়ভাবে আন্দোলন অংশগ্রহণ করে । ১৯৪৬ সালের “ সমষ্টি পরিকল্পনা ” র বিরুদ্ধেও অসমের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে মুখর হয় ।
প্রশ্ন ৯। অসমে ভারত ত্যাগ আন্দোলনের প্রভাব বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ ১৯৪২ সালের ভারত ত্যাগ আন্দোলনের প্রভাব অসমে ছিল স্বতঃস্ফূর্ত । অসমে এই আন্দোলন স্থানে স্থানে সহিংস সংগ্রামে পরিণত হয় । ব্রিটিশ সরকারের অফিস আদালত , থানা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নিরস্ত্র দৃঢ়সংকল্প জনতা আক্রমণ শুরু করে । ব্রিটিশ সরকারও নির্মম নির্যাতন চালায়। এই গণঅভ্যুত্থান দমন করতে ব্রিটিশ সরকার স্ত্রী – পুরুষ নির্বিশেষে গুলি করে হত্যা , পিটুনি , ট্যাক্স আরোপ প্রভৃতি অত্যাচার করে । আগস্ট আন্দোলনে অসমে যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য নিহত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ভোগেশ্বরী ফুকনানী , বীরবালিকা , কনকলতা ও তিলক ডেকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য । এই সময়েই আহোম যুবক কুশান কোয়ার ব্রিটিশ কারাগারে ফাঁসিকাষ্ঠে আত্মত্যাগ করেন । তাঁদের চরম ত্যাগ ছাড়াও ভারত ত্যাগ আন্দোলনের সময় অসমের বহু বীরসন্তান অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন ।
প্রশ্ন ১০। সাদুল্লা মন্ত্রীসভা সম্পর্কে কী জান ?
উত্তরঃ স্যার মহম্মদ সাদুল্লা ছিলেন অসমে মুসলিম লীগের নেতা । ১৯৩৭ সালে তিনি অসমে প্রথম মন্ত্রীসভা গঠন করেন। কিন্তু সাদুল্লা মন্ত্রীসভা জনস্বার্থে কোনো কাজ করেনি। উপরন্তু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ফলে জনমনে অসন্তোষ দেখা দেয় । আস্থা ভোটের সম্মুখীন না হয়ে ১৯৩৮ সালের ১৩ ই সেপ্টেম্বর সাদুল্লা মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করে । ১৯ শে সেপ্টেম্বর গোপীনাথ বরদলৈয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস কোয়ালিশন মন্ত্রীসভা গঠিত হয় । ১৯৩৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর কংগ্রেস মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করলে সাদুল্লা দ্বিতীয় বারের জন্য মন্ত্রীসভা গঠন করেন এবং ১৯৪১ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করে । ১৯৪২ সালের ভারত ত্যাগ আন্দোলনে কংগ্রেস বিধায়কগণকে কারারুদ্ধ করা হয় । এই সুযোগে মোঃ সাদুল্লা ১৯৪২ সালের ২৫ শে আগস্ট শেষবারের মত মন্ত্রীসভা গঠন করেন । এই সময়ে অসমে চরম বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেয় । কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে আলোচনা হয় , কিন্তু তা ব্যর্থ হয় ।
প্রশ্ন ১১। অসমে ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা গঠন সম্পর্কে কী জান ?
উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে অসম বিধানসভার ১০৮ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস মোট ৫০ টি আসন লাভ করে । কয়েকজন নির্দল সদস্যের সমর্থনে কংগ্রেস বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত হয় । ১৯৪৬ সালে ১০ ই ফেব্রুয়ারী গোপীনাথ বরদলৈয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা গঠন করে । নূতন মন্ত্রীসভা সমস্যা জর্জরিত অসমে সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটায় । কেবিনেট মিশনের “ সমষ্টি পরিকল্প ” ( Grouping Plan ) প্রস্তাবে অসমকে মুসলিম সংখ্যাধিক্য বাংলার সহিত একজোটে যুক্ত করে দেওয়া হয় । গোপীনাথ বরদলৈ – এর নেতৃত্বে কংগ্রেস এর তীব্র প্রতিবাদ করলে প্রস্তাবটি রদ হয় । কংগ্রেস মন্ত্রীসভা অসমের অন্যান্য নানা সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করে । এর মধ্যে আফিং – এর ব্যবসা বন্ধ , কালাজ্বর প্রতিরোধ , শ্রমিকের কল্যাণ , সরকারী চাকুরী জীবীর কল্যাণ , বিদ্যালয় গৃহ নির্মাণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।
প্রশ্ন ১২। অসমে কেবিনেট মিশন পরিকল্পনার প্রভাব বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ কেবিনেট মিশনের “ সমষ্টি পরিকল্প ” বা রাজ্যগুলির বিভাগকরণ এবং অসম ও বাংলাদেশকে “ গ ” বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনায় অসমে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। অসম হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য । অসমকে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বঙ্গদেশের সঙ্গে যুক্ত করলে অসমের নিজস্ব পরিচয় এবং অসমিয়াদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে । একমাত্র মুসলিম ব্যতীত রাজ্যের সকলশ্রেণির জনগণই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে । অসম প্রদেশ কংগ্রেস এই সমষ্টি পরিকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করে । সারা রাজ্যে অসম সম্পর্কিত এই প্রস্তাব বাতিলের দাবী জানানো হয় । ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজয়চন্দ্র ভগবতী এবং মহেন্দ্রমোহন চৌধুরী গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে তাকে ওয়াকিবহাল করেন । অবশেষে মহাত্মা গান্ধি ও গোপীনাথ বরদলৈয়ের প্রচেষ্টায় সমষ্টি পরিকল্পের অসম সম্পর্কিত বিষয়টি বাতিল হয় ।
প্রশ্ন ১২। আহোম সভা ( আহোম অ্যাসোসিয়েশন ) -র সংগঠন এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তরঃ আহোম জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি সামাজিক – রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে ১৮৯৩ সালে পদ্মনাথ গোঁহাই বরুয়া এবং অন্যান্য অনেক শিক্ষিত ব্যক্তির প্রচেষ্টায় আহোম সভা এবং আহোম অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয় । সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রায় ৪০ বৎসর পদ্মনাথ গোঁহাই আহোম সভার সম্পাদক ছিলেন । এই সংগঠনটি ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ছিল । প্রত্যেক জেলায়ই এর শাখা স্থাপন করেছিল ।
আহোম সভার মূল অধিবেশনে আহোমগণকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্যাদা প্রদান করবার দাবি উত্থাপন করা হয় । তাদের জন্য বিধান সভায় আসন সংরক্ষণ করে পৃথক ভোটাধিকারের দাবি উত্থাপন করা হয় ।
১৯৩৫ সালের ২০-২১ এপ্রিল ডিব্ৰুগড়ে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে একাংশ আহোম লোক আহোম সভাকে কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী আদর্শ গ্রহণ করতে জোর দিয়েছিল । এই অধিবেশনের পরই আহোম সভায় কংগ্রেসীগণের প্রাধান্য বৃদ্ধি পায় ।
১৯৪১ সালের এপ্রিল মাসে শিবসাগরে অনুষ্ঠিত নবম অধিবেশনে আহোম সভা বিভাজিত হয়।আহোম সভার একটি অংশ বের হয়ে “ জাতীয়তাবাদী আহোম সম্মেলন ” নামে একটি সংস্থা গঠন করে ।
প্রশ্ন ১৩। অসমে কেবিনেট মিশন পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বভারতীয় একটি যুক্তরাষ্ট্র গঠন করা হবে এবং প্রদেশগুলি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে । ভারতীয় প্রদেশগুলি ক , খ ও গ — এই তিনভাগে ভাগ হবে । “ ক ” ভাগে থাকবে হিন্দুপ্রধান , মাদ্রাজ, বোম্বাই ( মুম্বাই ) , মধ্যপ্রদেশ , যুক্তপ্রদেশ ( বর্তমান উত্তরপ্রদেশ ) , বিহার ও উড়িষ্যা । “ খ ” ভাগে থাকবে বঙ্গদেশ ও অসম ৷ প্রত্যেক ভাগ নিজ নিজ এলাকার জন্য সংবিধান স্থির করবে । কিন্তু সকল ভাগ থেকেই প্রতিনিধিগণ এবং যে সকল দেশীয় রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যোগদানে স্বীকৃত হরে সেই সকল রাজ্যের প্রতিনিধিগণ সমবেতভাবে ভারত ইউনিয়নের সংবিধান স্থির করবেন । নূতন সংবিধান অনুযায়ী প্রথম নির্বাচনের পর যেকোন প্রদেশ এক ভাগ থেকে অপর ভাগে যোগদান করতে পারবে ।
কেবিনেট মিশনের “ সৃষ্টি পরিকল্প ” বা রাজ্যগুলির বিভাগকরণ ও অসম এবং বাংলাদেশকে “ গ ” বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা অসমে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় । একমাত্র মুসলিম লীগ ছাড়া রাজ্যের সকল শ্রেণির জনগণ কেবিনেট মিশনের এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানায় । ১৯৪৬ সালের ১৬ ই মে তারিখে কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা ঘোষণার দিনই অসম প্রদেশ কংগ্রেস এই পরিকল্পনায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করে । অসম জাতীয় মহাসভাও এইরূপ প্রতিবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করে । সমগ্র অসমে কেবিনেট মিশনের এই “ বিভাগকরণ ” প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয় । সারা রাজ্যে বিভিন্ন সভা – সমিতির মাধ্যমে কেবিনেট মিশনের অসম সম্পর্কিত এই পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানানো হয় । ১৯৪৬ সালের ১৬ ই জুলাই অসমের প্রধানমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ অসম বিধানসভার এই প্রস্তাব বাতিলের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং বিধানসভায় এটি গৃহীত হয় ।
কেবিনেট মিশনের উক্ত পরিকল্পনা প্রস্তাবে অসমে অসন্তোষ ও ভয়ের প্রকৃত কারণ আছে । অসম সর্বদাই একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য । অসমকে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য বঙ্গদেশের সঙ্গে যুক্ত করলে অসমের পরিচয় ও অস্তিত্ব বিপন্ন হবে । উপরন্তু অসম সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে লিপ্ত হবে। দিল্লীতে গোপীনাথ বরদলৈ কেবিনেট মিশন ও লর্ড ওয়াভেলের সঙ্গে আলোচনাকালে এই ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেন । ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজয়চন্দ্র ভগবতী এবং মহেন্দ্রমোহন চৌধুরী শ্রীরামপুরে মহাত্মা গান্ধির সঙ্গে দেখা করে উক্ত বিষয়টি উত্থাপন করেন । মহাত্মা গান্ধি অসমের দাবী সমর্থন করে বললেন যে কেবিনেট মিশনের উক্ত প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে অসমের অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হবে ।
প্রশ্ন ১৫। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসমের অবদান বা ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ব্রিটিশ শাসন ও শোষণ মুক্ত হতে ভারতবাসীর প্রথম প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয় ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে । অসমেও মণিরাম দেওয়ান এবং আরোও কতিপয় দূরদর্শী ব্যক্তি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ষড়যন্ত্র করেছিলেন । ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ হতে সারাদেশে এক নবজাগরণ শুরু হয় । অসমেও এই নবজাগরণের প্রভাব বিস্তার করে । ফলে ভারতবাসী তথা অসমবাসীর মনে স্বাধীনতার স্পৃহা জাগরিত হয় ।
১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর অসমের জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে । ১৯০৩ সালে “ অসম অ্যাসোসিয়েশন ” প্রতিষ্ঠার পর ১৯২০ সাল পর্যন্ত ঐ সংস্থা স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । অসমের প্রতিনিধি দেবীচন্দ্র বরুয়া কংগ্রেসের একটি সম্মেলনে অসমে একটি ব্যবস্থাপক সভা স্থাপনের জন্য দাবী উত্থাপন করেন । অবশেষে ব্রিটিশ সরকার এই দাবী মেনে নেয় । ১৯১৯ সালে মন্টেগু চেমস্ ফোর্ড সংস্কারের ফলে অসম একটি গভর্নর শাসিত প্রদেশে উন্নীত হয় এবং সমগ্র প্রদেশের জন্য একটা ব্যবস্থাপক সভা গঠন হয় ।
১৯১৯ সালে গান্ধিজি কংগ্রেসের নেতৃত্ব গ্রহণ করে কংগ্রেসকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন । ১৯২০ সালে সারা দেশে তাঁর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় । এই আন্দোলন আরম্ভ করার জন্য গান্ধিজি ১৯২১ সালে অসম সফর করেন । গান্ধিজির আহ্বানে সমগ্র ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা উপত্যকার স্কুল – কলেজ প্রভৃতি বর্জন আরম্ভ হয় । গুয়াহাটীতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলাতী বস্ত্র দাহ ও বিদেশী দ্রব্য বর্জন শুরু হয় । তরুণরাম ফুকন , নবীনচন্দ্র বরদলৈ , রোহিনী চৌধুরী প্রমুখ অসমে এই আন্দোলন পরিচালনা করেন । অসমের ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণ অসমের শিক্ষাধিকর্তা ক্যানিংহামের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করে ।
১৯৩০ সালে মহাত্মা গান্ধি অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়রূপে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন । অসমেও গোপীনাথ বরদলৈ , বিষ্ণুরাম মেধি , অমিয় কুমার দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দের পরিচালনায় আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয় । সুরমা উপত্যকায় বসস্ত দাস , ব্রজেন্দ্র চৌধুরী , শিবেন্দ্র বিশ্বাস, সুরেশ বিশ্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ আন্দোলন আরম্ভ করেন। অসংখ্য যুবক , ছাত্র , কৃষক ইত্যাদি সর্বস্তরের মানুষ এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন , পুলিশের অত্যাচারেও অনেক সস্তান ত্যাগ স্বীকার করেন ।
ক্রিপস্ মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে সারাদেশে ‘ ভারত ত্যাগ ’ আন্দোলন শুরু হয় । অসমের বিভিন্ন স্থানে এই আন্দোলন সহিংস সংগ্রামে পরিণত হয় । ব্রিটিশ সরকারের অফিস , আদালত , থানা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নিরস্ত্র ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ জনতা আক্রমণ শুরু করে । ব্রিটিশ সরকারও নির্মম নির্যাতন চালায় । আগস্ট আন্দোলনে অসমে যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য নিহত হয়েছিলেন , তাঁদের মধ্যে ভোগেশ্বরী ফুকনানী , কনকলতা , তিলক ডেকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য । এই সময়েই আহোম যুবক কুশল কোয়র ব্রিটিশ কারাগারে ফাঁসির কাঠে আত্মত্যাগ করেন । তাঁদের চরম ত্যাগ ছাড়াও “ ভারত ত্যাগ ” আন্দোলনের সময় অসমের অনেক বীর সন্তান কারাবরণ করেন ।
ইতিমধ্যে মুসলিম লীগ নেতা জিন্না ভারত বিভাগের দাবী করেন এবং অসমকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেন ।
১৯৪৬ সালের কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যসমূহের “ বিভাগকরণ ” প্রস্তাব অনুযায়ী অসমকে “ গ ” ভাগে বাংলার সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয় । ফলে সমগ্র রাজ্য ব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয় । গোপীনাথ বরদলৈ, শরৎ বসু , মহেন্দ্রমোহন চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সহায়তায় অসম – বাংলার একজোট সংযুক্তির বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন শুরু হয় । অবশেষে কেবিনেট মিশনের অসম সংক্রান্ত উক্ত প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায় ।
অবশেষে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুইটি স্বাধীন দেশ সৃষ্টি হয় । মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা মতে শ্রীহট্টে এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় । এর ফলে শ্রীহট্ট জেলাকে অসম হতে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত করা হয় ।

Hi! my Name is Parimal Roy. I have completed my Bachelor’s degree in Philosophy (B.A.) from Silapathar General College. Currently, I am working as an HR Manager at Dev Library. It is a website that provides study materials for students from Class 3 to 12, including SCERT and NCERT notes. It also offers resources for BA, B.Com, B.Sc, and Computer Science, along with postgraduate notes. Besides study materials, the website has novels, eBooks, health and finance articles, biographies, quotes, and more.