Class 12 Economics Chapter 14 পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন

Class 12 Economics Chapter 14 পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন | Class 12 Economics Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter AHSEC Board HS 2nd Year Economics Chapter 14 পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন Notes and select needs one.

Class 12 Economics Chapter 14 পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given AHSEC Board Bengali Medium Class 12 Economics Chapter 14 পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন Solutions for All Subject, You can practice these here.

পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন

Chapter: 14

খ – অংশ (ভারতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পরিবেশ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ পরিবেশ হল মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা যাহা জীব ও জড় জগতের সমন্বয়ে গঠিত এক বিস্তৃত গতিশীল ব্যবস্থা যেখানে সমস্ত রকমের জীবন পরস্পরের উপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন ২। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ণ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ CO₂, CH₄, CFC, N₂O এবং জলীয় বাষ্প স্বাভাবিক ঘনত্বের তুলনায় বায়ুমণ্ডলে বৃদ্ধি পেলে, গ্যাসগুলির তাপধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ইহাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ণ বলে।

প্রশ্ন ৩। পরিবেশের অন্তর্গত জৈবিক উপাদানসমূহ কী কী ? 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Join Now

উত্তরঃ উদ্ভিদ, প্রাণী, অনুজীব।

প্রশ্ন ৪। পরিবেশের অন্তর্গত অজৈবিক উপাদানসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ বায়ু, জল, মাটি, সূর্যালোক প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৫। ‘Ecology’ শব্দটি প্রথম কে কত সালে ব্যবহার করেন ?

উত্তরঃ 1866 সালে আর্নষ্ট হেকেল প্রথম ‘ইকোলজি’ শব্দটি ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন ৬। কোন্ দিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপিত হয় ?

উত্তরঃ 5 ই জুন।

প্রশ্ন ৭। সংস্কৃতি কাকে বলে ?

উত্তরঃ মানবজাতির সদ্গুণের সমাহারকে সংস্কৃতি বলে।

প্রশ্ন ৮। ‘Smog’ কী ?

উত্তরঃ ধোয়া ও কুয়াসার মিশ্রণকে Smog বলে।

প্রশ্ন ৯। দুটা গ্রীণ হাউস গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂)

(২) মিথেন (CH₄)

প্রশ্ন ১০। বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরার আন্দোলনের নাম কী ?

উত্তরঃ চিপকো আন্দোলন।

প্রশ্ন ১১। চিপকো আন্দোলনের সূচনা হয় কত সালে ?

উত্তরঃ 1973 সালে।

প্রশ্ন ১২। CFC মানে কী ?

উত্তরঃ ক্লোরোফ্লুরোকার্বন।

প্রশ্ন ১৩। CNG কথাটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ Compressed Natural Gas.

প্রশ্ন ১৪। ভূ-পৃষ্ঠের তাপবৃদ্ধির জন্য দায়ী কে ?

উত্তরঃ গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ।

প্রশ্ন ১৫। ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গ্যাসটির নাম কী ?

উত্তরঃ মিথাইল আয়সো সায়ানেট।

প্রশ্ন ১৬। ওজন গহ্বর কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে।

প্রশ্ন ১৭। ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনা কবে হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1984 সালে।

প্রশ্ন ১৮। গাড়োয়াল হিমালয়ে অরণ্য সংরক্ষণ আন্দোলনের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ চিপকো আন্দোলন।

প্রশ্ন ১৯। ওজোন স্তরের অবক্ষয় রোধ সংক্রান্ত কনভেশনটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ মন্ট্রিল-এ 1987 সালে।

প্রশ্ন ২০। কোন্ গ্যাস সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মিকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দিয়ে জীবকূলকে রক্ষা করে ?

উত্তরঃ ওজোন গ্যাস।

প্রশ্ন ২১। UNEP এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তরঃ United Nations Environment Programme.

প্রশ্ন ২২। বসুন্ধরা সম্মেলন কী ?

উত্তরঃ রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনকে বসুন্ধরা সম্মেলন বলে।

প্রশ্ন ২৩। বসুন্ধরা সম্মেলন কখন কোথায় হয়েছিল ?

উত্তরঃ বসুন্ধরা সম্মেলন সালে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনিরো শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রশ্ন ২৪। সহনশীল বা বহনক্ষম উন্নয়ন কী?

উত্তরঃ ভবিষ্যৎ উন্নয়ন সম্ভাবনাকে ব্যাহত না করে বর্তমান উন্নয়নের গতি বজায় রাখার প্রক্রিয়াকে বহনক্ষম উন্নয়ন বলে।

প্রশ্ন ২৫। ‘পরিবেশ সুরক্ষা আইন’ কত সালে প্রণয়ন করা হয় ?

উত্তরঃ 1986 সালে।

প্রশ্ন ২৬। ‘জলদূষণ প্রতিরোধ আইন’ কত সালে পাশ হয় ?

উত্তরঃ 1947 সালে।

প্রশ্ন ২৭। ‘বায়ুদূষণ প্রতিরোধ আইন’ কত সালে পাশ হয় ?

উত্তরঃ 1981 সালে।

প্রশ্ন ২৮। কত সালে ভারতের পূর্ব উপকূলে সুনামী হয়েছিল ?

উত্তরঃ 2004 সালের 26 ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ২৯। বহনক্ষম উন্নয়নের সংজ্ঞা কোন আয়োগ কত সালে প্রদান করেছিল ?

উত্তরঃ 1987 সালে ব্রাগুল্যাও আয়োগ বহনক্ষম উন্নয়নের সংজ্ঞাটি প্রদান করেছিল।

প্রশ্ন ৩০। জল শক্তি কী ধরনের শক্তি ?

উত্তরঃ জল শক্তি হল চিরাচরিত নবীকরণযোগ্য শক্তি।

প্রশ্ন ৩১। UNFCCC-এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তরঃ United Nations Framework Conventions on Climate Change.

প্রশ্ন ৩২। কম্পোস্ট সার তৈরিতে যে জীবের সাহায্য নেওয়া তা কী ?

উত্তরঃ কেঁচো।

প্রশ্ন ৩৩। গৃহস্থালীতে ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন কীভাবে ছড়ায় ?

উত্তরঃ এয়ার কণ্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর-এর জন্য।

প্রশ্ন ৩৪। একটি প্রচলিত শক্তির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ কয়লা শক্তি।

প্রশ্ন ৩৫। বায়োগ্যাস তৈরিতে কী ব্যবহার হয় ?

উত্তরঃ গোবর।

প্রশ্ন ৩৬। একটি অপ্রচলিত শক্তির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ কয়লা শক্তি।

প্রশ্ন ৩৭। সামাজিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের নাম কী ?

উত্তরঃ মানুষ।

প্রশ্ন ৩৮। পরিবেশের একটি সজীব উপাদানের নাম লেখো।

উত্তরঃ জীবজন্তু।

প্রশ্ন ৩৯। পরিবেশের একটি জড় উপাদানের নাম লেখো।

উত্তরঃ বাতাস।

প্রশ্ন ৪০। ভারতবর্ষের একটি প্রধান আন্দোলনের নাম লেখো।

উত্তরঃ নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন।

প্রশ্ন ৪১। পরিবেশ নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন কোথায় হয়েছিল ?

উত্তরঃ ষ্টকহোমে, 1972 সালে।

প্রশ্ন ৪২। জাট্রোপা গাছের নাম কীসের সঙ্গে যুক্ত ?

উত্তরঃ বায়োডিজেল।

প্রশ্ন ৪৩। বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরার আন্দোলনের নাম কী ?

উত্তরঃ চিপকো আন্দোলন।

প্রশ্ন ৪৪। গাড়োয়াল হিমালয়ে অরণ্য সংরক্ষণ আন্দোলনের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ চিপকো আন্দোলন।

প্রশ্ন ৪৫। অম্ল বৃষ্টির জন্য দায়ী দুটি গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ SO₂ ও NO₂ I

প্রশ্ন ৪৬। জলদূষণ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ অত্যধিক পরিমাণে অবাঞ্চিত বর্জ্য পদার্থের সংযোগের ফলে জলের স্বাভাবিক ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণগুলি পরিবর্তিত হয়ে যখন মানুষ ও জীবের পক্ষে অনুপযোগী হয়ে ওঠে তখন তাকে বলা হয় জলদূষণ।

প্রশ্ন ৪৭। জল দূষণের জন্য দায়ী কে ?

উত্তরঃ ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস।

প্রশ্ন ৪৮। শব্দ দূষণের একক কী ?

উত্তরঃ ডেসিবেল (dB)

প্রশ্ন ৪৯। ‘বন্যজন্তু সংরক্ষণ আইন’ কত সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1972 সালে।

প্রশ্ন ৫০। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কত ?

উত্তরঃ 20.94%

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। পরিবেশ কয় প্রকার ও কী কী ?

উত্তরঃ পরিবেশ দুই প্রকার – 

(১) প্রাকৃতিক পরিবেশ। 

(২) মানব-সৃষ্ট পরিবেশ।

প্রশ্ন ২। প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে ?

উত্তরঃ আমাদের চারপাশে প্রকৃতি সৃষ্ট বা প্রকৃতিতে থাকা পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, সাগর, রৌদ্র, বাতাস, মাটি, উদ্ভিদ, প্রাণী ইত্যাদি যে স্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে সেটিই প্রাকৃতিক পরিবেশ।

প্রশ্ন ৩। মানব-সৃষ্ট পরিবেশ কাকে বলে ?

উত্তরঃ মানুষ নিজের সুবিধামতো গড়ে তোলা পরিবেশকেই মানবসৃষ্ট পরিবেশ বলে।

উদাহরণস্বরূপ – পরিবেশের উপর নির্ভর করে মানুষ নিজের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করে, খাদ্যশস্য উৎপাদন করে, কলকারখানা, রাস্তা, সেতু, যানবাহন, TV, Internet, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আমোদ-প্রমোদ ইত্যাদির সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলে।

প্রশ্ন ৪। নবীকরণযোগ্য সম্পদ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ যে সকল সম্পদ মানুষ সবসময় ব্যবহার করতে থাকলেও শেষ হবে না, কারণ প্রকৃতি তাকে নবীকরণ করতে থাকে। এই সম্পদগুলিকে নবীকরণযোগ্য সম্পদ বলে।

উদাহরণস্বরূপ – মাটি, জল, বায়ু, অরণ্য, বন্য জীবজন্তু, প্রাকৃতিক ঘাসজমি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫। অনবীকরণযোগ্য সম্পদ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সকল সম্পদ একবার আহরণ করে ব্যবহার করার পর পুনরায় সৃষ্টি হয় না এবং প্রকৃতিও এই ধরনের সম্পদ পুনরায় উৎপাদন করে না, এই সম্পদগুলিকে অনবীকরণযোগ্য সম্পদ বলে। যেমন কয়লা, খনিজ তেল, তামা, লোহা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। বিশ্ব উষ্ণায়ণ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ সারা বিশ্বজুড়ে বায়ুমণ্ডলে গ্রিণ হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি জনিত কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ঘটনাকে Global Warming বা বিশ্ব উষ্ণায়ণ বলে।

প্রশ্ন ৭। গ্রীণ হাউস গ্যাসের উৎস কী কী ?

উত্তরঃ (ক) কার্বন-ডাই-অক্সাইড। 

(খ) মিথেন। 

(গ) জলীয় বাষ্প। 

(ঘ) ক্লোরোফ্লোরোকার্বন। 

(৫) নাইট্রাস অক্সাইড।

প্রশ্ন ৮। বিশ্ব উষ্ণায়ণ সৃষ্টির জন্য দায়ী গুরুত্বপূর্ণ দুটি গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ (ক)  কার্বন – ডাই – অক্সাইড (CO₂)। ও 

(খ) মিথেন (CH₄)।

প্রশ্ন ৯। বহনক্ষম উন্নয়ন বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ পরিবেশ এবং উন্নয়নের বিশ্ব আয়োগ (WCED) বহনক্ষম উন্নয়নের সংজ্ঞাটি দিয়েছে – “Sustainable development is development that meets the needs of the present without compromising the ability of future to meet their own needs.” অর্থাৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আঘাত না করে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করে অর্জিত আর্থিক উন্নয়নকে বহনক্ষম উন্নয়ন বলে।

প্রশ্ন ১০। সবুজ অর্থনীতি বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ যে অর্থনীতির মূল লক্ষ পরিবেশের বিপদাবস্থা এবং পরিস্থিতিতন্ত্রের সমস্যা দূর করা এবং বহনক্ষম উন্নয়নকে প্রসারিত করা তাকে সবুজ অর্থনীতি বলে।

প্রশ্ন ১১। অক্ষয়িষ্ণু প্ৰদূষক কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সকল পদার্থ প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, সেই সকল প্রদূষককে অক্ষয়িষ্ণু প্ৰদূষক বলে। যেমন – DDT, পলিথিন, গ্লাস, সীসা, পারদ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১২। জুম চাষ কী ?

উত্তরঃ জুম চাষ পাহাড়িয়া জনগণের একটি চিরাচরিত কৃষি পদ্ধতি। জুম চাষ পাহাড়ী অঞ্চলের ঢালু স্থানে করা হয়। কিছুদিন চাষের পর নির্দিষ্ট স্থানের মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় ফলে মানুষ নতুন স্থানে উর্বর জমিতে নতুন করে কৃষিকার্যের পত্তন করে। একে জুম চাষ বা স্থানান্তর চাষ বলা হয়।

প্রশ্ন ১৩। প্ৰদূষণ কাকে বলে ?

উত্তরঃ অত্যধিক পরিমাণে অবাঞ্ছিত পদার্থের সংযোগে পরিবেশ যখন স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়ে মানুষ জীব ও উদ্ভিদের জীবন হানির কারণ হয় তখন তাকে প্রদূষণ বা Pollution বলে।

প্রশ্ন ১৪। ওজোন স্তর বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে থাকা ওজোন নামে একটি গ্যাস পৃথিবীপৃষ্ঠকে একটা ছাতার ন্যায় আবৃত করে। একে ওজোন স্তর বলে।

প্রশ্ন ১৫। গোলকীয় উষ্ণায়ণ এর ফলাফলগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ গোলকীয় উত্তাপের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি হতে পারে। গোলকীয় উত্তাপের ফলে মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা ইত্যাদির বিস্তর ক্ষতিসাধন হয়। তাছাড়া মেরু অঞ্চলের পর্বতগাত্রে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহ প্লাবিত করতে পারে।

প্রশ্ন ১৬। ওজোন ছিদ্র কী ?

উত্তরঃ বিশ্বজুড়ে ক্লোরো-ফ্লোরো-কার্বনের অবাধ ব্যবহারের ফলে ওজোন স্তরের ঘনত্ব ক্রমশ পাতলা হয়ে যে গহ্বর সৃষ্টি হয়েছে তাকে Ozone hole বা ওজোন ছিদ্র বলে।

প্রশ্ন ১৭। সবুজ গৃহ প্রভাব (Greenhouse Effect) কী ?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প, ক্লোরো-ফ্লোরো-কার্বন ইত্যাদি গ্যাসগুলি পৃথিবী থেকে তাপ বাইরে যেতে বাধা প্রদান করে। বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসগুলির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং একেই সবুজ গৃহ প্রভাব বলা হয়।

প্রশ্ন ১৮। বিকল্প শক্তির উৎসগুলি কী কী ?

উত্তরঃ (ক) সৌরশক্তি। 

(খ) বায়ু শক্তি। 

(গ) সমুদ্র জোয়ার শক্তি। 

(ঘ) ভৃত্তাপ শক্তি।

প্রশ্ন ১৯। স্থিতিশীল উন্নয়ন  বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ পরিবেশের সাথে সঙ্গতি রেখে অর্থাৎ পরিবেশকে সুরক্ষিত রেখে যে উন্নয়ন ব্যবস্থা সামগ্রিকভাবে মানুষের কল্যাণ সাধন করে তাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে।

প্রশ্ন ২০। ভারতের পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের অন্যতম কর্ণধার কে ছিলেন ?

উত্তরঃ সুন্দরলাল বহুগুণা।

প্রশ্ন ২১। চিপকো আন্দোলনের মতো কর্ণাটকে যে আন্দোলন তৈরি হয় তার নাম কী ?

উত্তরঃ অপিক্কো।

প্রশ্ন ২২। ‘চিপকো’ এবং ‘অপিক্কো’ কী শব্দ ?

উত্তরঃ চিপকো হিন্দী শব্দ এবং অপিক্কো কন্নড় শব্দ।

প্রশ্ন ২৩। চিপকো এবং অপিক্কো শব্দ দুটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ শব্দ দুটির অর্থ হল জাপটে ধরা বা আলিঙ্গন করে ধরে রাখা।

প্রশ্ন ২৪। বায়ো গ্যাসের অপর নাম কী ?

উত্তরঃ গোবর গ্যাস।

প্রশ্ন ২৫। বায়ো গ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি ?

উত্তরঃ মিথেন।

প্রশ্ন ২৬। জীবাশ্ম জল্বালানীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ কী ?

উত্তরঃ কয়লা ও পেট্রোলিয়াম।

প্রশ্ন ২৭। পরিবেশ কী ?

উত্তরঃ জীবের জীবন ও বিকাশ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারা বাহ্যিক অবস্থার সামগ্রিক রূপকে পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন ২৮। সবুজ গৃহ গ্যাস বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ শিল্প-কারখানা ও যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরো- ফ্লোরো কার্বন প্রভৃতি গ্যাস নির্গমণের ফলে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। এটাই সবুজ গৃহ গ্যাস।

প্রশ্ন ২৯। স্টকহোম পরিবেশ সম্মেলন কোন্ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1972 সালে।

প্রশ্ন ৩০। ভূমিক্ষয়ের দুটি কুফল লেখো।

উত্তরঃ (১) ভূমিক্ষয়ের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। জমি অনুর্বর হয়ে পড়লে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।

(২) বৃষ্টির জলের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পলি, বালি প্রভৃতি নদীতে সঞ্চিত হলে নদীর নাব্যতা হ্রাস পায়, ফলে বন্যা হয়।

প্রশ্ন ৩১। অনবীকরণযোগ্য সম্পদের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ কয়লা, খনিজ তেল।

প্রশ্ন ৩২। বর্তমান বিশ্ব যে দুইটি প্রধান পরিবেশগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ  (১) গোলকীয় উষ্ণায়ণ (Global Warming)।

(২) ওজোন স্তর বিদীর্ণ হওয়া (Ozone layer depletion)।

প্রশ্ন ৩৩। নবীকরণযোগ্য সম্পদের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বৃক্ষ, মাছ ।

প্রশ্ন ৩৪। জীব বৈচিত্র্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাসকারী জীবদের মধ্যে প্রজাতিভেদে, স্থানভেদে, বাস্তুতন্ত্রভেদে, জীব সম্প্রদায়ভেদে ও জিন ভেদে যে বৈচিত্র্য গড়ে ওঠে তাকে জীব বৈচিত্র্য বলে।

প্রশ্ন ৩৫। জলবাহিত তিনটি রোগের নাম লেখো।

উত্তরঃ কলেরা, টাইফয়েড, ডাইরিয়া।

প্রশ্ন ৩৬। জীব বৈচিত্র্য বিনাশের দুটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ (১) গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন। 

(২) নির্বিচারে বন্যপ্রাণী নিধন।

প্রশ্ন ৩৭। জীব বৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্বন্ধে অঙ্গুলি নির্দেশ করো।

উত্তরঃ (১) জীব বৈচিত্র্যের জন্য মানুষ তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

(২) পরিবেশকে রক্ষা করে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার্থে জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখা।

প্রশ্ন ৩৮। সামাজিক পরিবেশ কাকে বলে ?

উত্তরঃ সমাজের বিভিন্ন বিভাগ বা গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুষম আত্মঃক্রিয়ার মাধ্যমে যে পরিবেশ গড়ে উঠে তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে। সামাজিক পরিবেশের প্রধান উপাদান হল মানুষ। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো হল- পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক কাঠামো, সামাজিক যোগাযোগ, অধিকার ও ক্ষমতা, আচার-আচরণ, সংস্কৃতি, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি।

প্রশ্ন ৩৯। বায়ু দূষণ কাকে বলে ?

উত্তরঃ অত্যধিক পরিমাণে অবাঞ্চিত বর্জ্য পদার্থের সংযোগের ফলে বায়ুর স্বাভাবিক ভৌত ও রাসায়নিক গুণগুলি পরিবর্তিত হয়ে যখন মানুষ, পশু-পাখী ও উদ্ভিদের অনুপযোগী হয়ে ওঠে তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।

প্রশ্ন ৪০। কোন্ পন্থা পরিবেশকে সুরক্ষা দিতে পারে ?

উত্তরঃ বহনক্ষম উন্নয়ন।

প্রশ্ন ৪১। বায়ুতে ভাসমান সূক্ষ্ম কণাগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ অ্যারোসল, ধুলিকণা, ছাই, কুয়াশা ও ধোঁয়াসা।

প্রশ্ন ৪২। অম্ল বৃষ্টি (Acid Rain) কী ?

উত্তরঃ বায়ুতে উপস্থিত আম্লিক অক্সাইডগুলি যখন বায়ুর আর্দ্রতায় দ্রবীভূত হয়ে ছোট ছোট জলকণায় পৃথিবীপৃষ্ঠে পতিত হয় তখন একে বলা হয় অম্ল বৃষ্টি।

প্রশ্ন ৪৩। অম্ল বৃষ্টির দুটি কুপ্রভাব উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) বৃষ্টির জলের pH হ্রাস পায়।

(২) তাজমহলের মত সৌধ নষ্ট করে।

প্রশ্ন ৪৪। বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাওয়ার দুটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ জীবাশ্ম জ্বালানি ও অরণ্য ধ্বংস।

প্রশ্ন ৪৫। Ecology শব্দের উৎপত্তি লেখো।

উত্তরঃ Ecology শব্দটি দুটা গ্রিক শব্দের সমষ্টি। এই শব্দ দুটা হল OIKOS এবং LOGOS OIKOS এর অর্থ হল বাসস্থান এবং LOGOS এর অর্থ হল বাসস্থান। তাই পরিস্থিতি বিজ্ঞানের অর্থ হল বাসস্থানের অধ্যয়ন।

প্রশ্ন ৪৬। পৃথিবীর মোট ভূমির কত শতাংশ ভারতে আছে এবং পৃথিবীর মোট ভূমির ভারতে আছে এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ভারতে বসবাস করে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর মোট ভূমির 2.4% ভারতে আছে এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার 17.5% ভারতে বসবাস করে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। শহরীকরণ কীভাবে পরিবেশকে দূষিত করে ?

উত্তরঃ আধুনিক সভ্যতার সুযোগ সুবিধায় সমৃদ্ধ ঘনবসতিপূর্ণ জাকজমক ও কোলাহলময় অঞ্চলকে শহর বা নগর বলে। শিল্প বিপ্লবের পর দ্রুতহারে কলকারখানা সম্প্রসারিত হওয়ার ফলশ্রুতি হিসাবে সারা বিশ্ব জুড়ে শিল্পকেন্দ্রিক নগর বা শহর সভ্যতা সমানতালে বিকশিত হয়েছে।

কিন্তু গ্রামের মানুষের জন্য সুযোগ সুবিধা তেমনভাবে বৃদ্ধি না পাওয়ায় গ্রামের গরিব গৃহহীন সাধারণ মানুষ জীবন ও জীবিকার তাড়নায় শহর বা নগরমুখী হয়েছে। ফলে শহরাঞ্চলগুলি ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে এবং বসবাসযোগ্য বা ব্যবসাযোগ্য জমির দাম দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ গরিব মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবে শহরের চারিদিকে বস্তি এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে।

ভীষণভাবে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি শহরবাসীকে জটিল পরিবেশগত ভারসাম্যহীন অবস্থায় নিয়ে গেছে। বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যত্র তত্র বাসগৃহ গড়ে ওঠা, নাগরিকদের সচেতনতার অভাব, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিকল্পনা ও নক্সাবহির্ভূত পাকাবাড়ী নির্মাণ, বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ীর প্রচলন, উপযুক্ত পয়ঃপ্রণালীর অভাব, আবর্জনা পরিষ্কারের অব্যবস্থা, যানবাহনের প্রতুলতা ইত্যাদি মাটি, বাতাস, জলকে ভীষণভাবে দূষিত করছে। ফলে নগরজীবন এক ভারসাম্যহীন পরিবেশে অবস্থান করছে। এছাড়া শহরে অজস্র যানবাহন চলাচল করে। গাড়ির ইঞ্জিন থেকে নির্গত ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করছে। ফলে মানুষ, জীব ও উদ্ভিদের স্বাস্থ্যহানি ঘটছে এবং ধাতব ও অধাতব বস্তু ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

প্রশ্ন ২। রাজ্য প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কার্যাবলী লেখো।

উত্তরঃ (১) রাজ্যে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করার জন্য Water reservoirs এবং Tube Wells কে দূষণমুক্ত করা।

(২) রাজ্য সরকারকে জল, বায়ু দূষণ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সচেতন করা।

(৩) রাজ্যবাসীকে জল, বায়ু ও পরিবেশ দূষণ সম্বন্ধে সচেতন করা।

(৪) জলের গুণমান কি হবে সেটা স্থির করা।

(৫) বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন করে তার পুনঃব্যবহার করা।

প্রশ্ন ৩। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগ করার ফলে পরিবেশ কীভাবে দূষিত হয়েছে ?

উত্তরঃ ভারতবর্ষে ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। খাদ্য চাহিদা পূরণ করার জন্য ভারতবর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার প্রয়াস শুরু হয়। প্রয়াসের ফলশ্রুতি হিসাবে শুরু হয় জমির উর্বরতা বজার রাখার জন্য সার প্রয়োগ। রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য উদ্ভিদদেহে ছড়ানো হল বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। ফলে কৃষিক্ষেত্রে গড় ফলনমাত্রা উচ্চহারে বৃদ্ধি পেল কিন্তু উন্নত কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠলো। যেমন,

(১) কৃষিজমি সম্প্রসারিত করতে গিয়ে ব্যাপকভাবে অরণ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হল।

(২) উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটাতে কৃষিজমিতে অতিরিক্ত পরিমাণে অজৈব সার প্রয়োগের ফলে ধীরে ধীরে কৃষিজমি বন্ধ্যা হয়ে পড়ে।

(৩) কৃষিজমিতে নাইট্রেট ও ফসফেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জলাশয়ে আগাছার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

(৪) কৃষিজমিতে কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগের ফলে জল দূষিত হচ্ছে। এই দূষিত জল ব্যবহারে মানুষ দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত হয়।

প্রশ্ন ৪। আধুনিক শিল্প কীভাবে পরিবেশকে দূষিত করে ? আলোচনা করো।

উত্তরঃ অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতিকল্পে ভারতে স্বাধীনতার পর ভারী ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন করা হয়। শিল্প স্থাপন সম্প্রসারিত হওয়ার ফলে ভারতের জাতীয় আয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে মানুষ প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

যেমন-

(১) শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডল দূষিত করে।

(২) শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ জলে পতিত হওয়ার ফলে নদ-নদী, পুকুর, হ্রদ ইত্যাদি জলাশয়গুলির স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।

(৩) শিল্পাঞ্চলকে ঘিরে পরিকল্পনাহীন জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরাঞ্চলে ক্রমাগত বর্ধিত বর্জ্য পদার্থ মানুষের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রাকে দুর্বিসহ করে তোলে।

(৪) কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থ লেড, আর্সেনিক, পারদ, জিংক এবং বিষাক্ত গ্যাস থেকে মানুষ দুরারোগ্য অসুখ যেমন- ক্যানসার, টিবি, হাঁপানী ইত্যাদি চারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে এক সময়ে পতিত হবে।

প্রশ্ন ৫। বহনক্ষম উন্নয়ন কী ? বহনক্ষম উন্নয়নের যে কোনো তিনটি কৌশলের উল্লেখ করো।

উত্তরঃ যে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আবশ্যকীয় জিনিষপত্রের যোগান অক্ষুণ্ণ রেখে বর্তমান প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হয় তাকেই বহনক্ষম উন্নয়ন বলে।

বহনক্ষম উন্নয়নের তিনটি কৌশল হল – 

(ক) হ্রাস (Reduce)। 

(খ) পুনরাবর্তন (Recycle)। 

(গ) পুনর্ব্যবহার (Reuse)।

(ক) হ্রাস: হ্রাস এর অর্থ হল সম্পদ এবং শক্তির ব্যবহার কমানো। যেমন প্রয়োজন না থাকলে বৈদ্যুতিক বাতি এবং পাখার স্যুইচ বন্ধ করে বিদ্যুতের অপচয় কমানো।

(খ) পুনরাবর্তন: অনেক কঠিন বর্জ্য আছে যেগুলি শিল্প কারখানা থেকে নির্গত হয়ে পুনঃব্যবহৃত হয়। আখের ছিবড়াকে কাগজের খণ্ড তৈরি করতে ব্যবহার করা যায়। এইরূপ ব্যবহারকে পুনরাবর্তন বা Recycling বলে।

(গ) পুনর্ব্যবহার: এই পদ্ধতিতে কোনো অক্ষত বস্তু ফেলে না দিয়ে সম্ভব হলে সেটাকে বারবার ব্যবহার করতে হবে। যেমন- জ্যাম, জেলী ইত্যাদির খালি বোতল ফেলে না দিয়ে তাতে অন্য দ্রব্য রাখার কাজে ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশ প্রদূষণের চারটি কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা করো। 

উত্তরঃ পরিবেশ প্রদূষণের প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ –

(১) জনসংখ্যা বৃদ্ধিঃ দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ প্রদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। বর্ধিত জনসংখ্যার কারণে বাসস্থান ও আহারের জন্য বনজঙ্গল ধ্বংস করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বেশি হওয়ায় গ্রামের গরিব মানুষ জীবন ও জীবিকার তাড়নায় শহরের চারিদিকে বস্তি এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বস্তি এলাকায় উপযুক্ত পয়ঃপ্রণালীর অভাব, আবর্জনা পরিষ্কারের অব্যবস্থা ইত্যাদি মাটি, বাতাস, জলকে ভীষণভাবে দূষিত করছে।

(খ) শিল্পায়ন: দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশ প্রদূষণ হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডল দূষিত করে। শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ জলে পতিত হওয়ার ফলে নদ-নদী, পুকুর, হ্রদ ইত্যাদি জলাশয়গুলির স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।

(গ) নির্বনানীকরণ: নির্বিচারে বনভূমির ধ্বংস সাধনের ফলে মাটি আলগা হয়ে পড়ে ও ভূমিক্ষয় ত্বরান্বিত হয়। ভূমিক্ষয়ের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়।

(ঘ) পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি: পরিবহন ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে অটোমোবাইলের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত জ্বালানি তেল ব্যবহারের যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের কারণ হয়। বায়ুদূষণের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ দেখা দেয়।

প্রশ্ন ৭। পরিবেশের কার্যাবলী কী কী ?

উত্তরঃ পরিবেশের কার্যাবলী নিম্নরূপ –

(১) পরিবেশ নবীকরণযোগ্য ও অনবীকরণযোগ্য সম্পদের যোগান দেয়।

(২) পরিবেশ বর্জ্যপদার্থ শোষণ করে।

(৩) পরিবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের শোভা বৃদ্ধি করে।

(৪) পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও সৃষ্টি সম্পর্কিত উপাদানের যোগান দিয়ে জীবনধারা বহন করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ৮। ভূমিক্ষয় কাকে বলে ? ভারতে ভূমিক্ষয়ের কারণগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ মাটি একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু প্রাকৃতিক বা মানবিক কারণে এই মৃত্তিকা স্তরের অপসারণ ও মৃত্তিকার গঠনগত পরিবর্তন ঘটে, যাকে ভূমিক্ষয় বলে।

ভূমিক্ষয়ের কারণগুলি দুভাগে ভাগ করা হয় – 

(ক) প্রাকৃতিক কারণ। ও 

(খ) মনুষ্যসৃষ্ট কারণ।

(ক) প্রাকৃতিক কারণ –

(১) ভূমিকম্পের ফলে ভূমিক্ষয় হয়ে থাকে।

(২) প্রবল বর্ষণে মৃত্তিকার উপরিস্তর ধুয়ে যায়।

(৩) বন্যার ফলে নদীর পাড় ভেঙ্গে পড়ে।

(৪) পাহাড়ের ঢালে ধসের ফলে মৃত্তিকাস্তর অপসারিত হয়।

(খ) মনুষ্যসৃষ্ট কারণ –

(১) নির্বিচারে বনভূমির ধ্বংস সাধনের ফলে মৃত্তিকাস্তর অপসারিত হয়।

(২) অতিরিক্ত পশুচারণ ভূমিক্ষয় ঘটায়।

(৩) পাহাড়ের ঢালে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ধাপ কেটে চাষ করার ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রবাহের আঘাতে মাটি ধুয়ে যায়।

(৪) ত্রুটিপূর্ণ জলসেচ পদ্ধতি ভূমিক্ষয় ঘটায়।

প্রশ্ন ৯। ভারত সরকার সাম্প্রতিককালে জলসেচ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে। এর ফলে পরিবেশগত কী বিপর্যয় হতে পারে ?

উত্তরঃ ভারত সরকার নদীর জলস্রোতের মুখে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করে কৃত্রিম জলাধার তৈরি করার ফলে জলসেচ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়। কিন্তু এই ধরনের প্রকল্প পরিবেশগত নানা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। 

যেমন-

(১) কৃত্রিম জলাধার তৈরীর কারণে মানুষের কৃষিজমি, বাস্তুজমি, বনভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।

(২) জলাধারের আশে পাশে চাষের জমিতে অযথা জল জমে থাকে।

(৩) নদী তার স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়ে ফেলে।

(৪) প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় জলাধার থেকে জল ছাড়া হয় ফলে মানুষ বন্যার প্রকোপে পড়ে।

প্রশ্ন ১০। বহনক্ষম উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি কী কী ?

উত্তরঃ বহনক্ষম উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি বা শর্তগুলি হল –

(১) দারিদ্র্য পরিবেশের অবনমনের কারণ এবং ফল। দারিদ্র্যের জন্যই বনাঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতিরা কাঠ কেটে বিক্রি করে। দরিদ্র লোকেরা একান্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধিটুকু মানতে পারে না। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। তাই দরিদ্রদের নিয়োগ বাড়িয়ে তাদের আয় বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত নীতি গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা প্রভৃতি সেবা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

(২) বিদ্যুৎ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, ডিজেল, পেট্রোল, গ্যাস প্রভৃতির উপর ভর্তুকি অনেক সময়ই তাদের অত্যধিক এবং অপচয়মূলক ব্যবহার ঘটায়। এদের  অত্যধিক ব্যবহার পরিবেশের ক্ষতি করে। এটি বন্ধ করতে হলে এই সমস্ত জিনিষের উপর ভর্তুকি প্রদান বন্ধ করতে হবে।

(৩) যৌথ সম্পত্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নিয়মকানুন না থাকলে প্রায়শই সেগুলির অতি ব্যবহার (Overutilisation) ঘটে। যেমন, সাধারণের ব্যবহার্য গোচারণ ভূমির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তা ঊষর ভূমিতে পরিণত হয়। যৌথ বা সাধারণ সম্পত্তির এই অপব্যবহার বন্ধ করতে হলে সেগুলির ব্যবহারের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা দরকার।

(৪) পরিবেশের অবনমন কমাতে জনসাধারণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণে সবচেয়ে বেশি জরুরি। এজন্য উপযুক্ত নীতির মাধ্যমে জনসাধারণকে পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে হবে এবং তাদের মধ্যে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

প্রশ্ন ১১। ভারতে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ আছে- এর যথার্থতা প্রমাণ করো।

উত্তরঃ ভারত প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। ভারতে সকল ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়া যায়।

ভারত খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। ভারতে প্রধান প্রধান খনিজ সম্পদ যেমন পেট্রোলিয়াম, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, অভ্র প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া বক্সাইট, ক্রোমাইট, ডায়মণ্ড, সোনা, রূপা প্রভৃতি খনিজ আকরগুলি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত।

ভারতের বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মূল্যবান কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি পাওয়া যায়। ভারতের বনজঙ্গল বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পশুপক্ষীর আবাসস্থল। ভারতে এক বিশাল উর্বর জমি ও অজস্র নদী-উপনদী দেখা যায়। এই উর্বরভূমিতে চাষ আবাদ হয় এবং উক্ত জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে এবং বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং ভারতবর্ষ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশ বললে অত্যুক্তি হবে না।

প্রশ্ন ১২। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণগুলি হল –

(১) মানুষের দারিদ্র্য ও বৈজ্ঞানিক চেতনার অভাব।

(২) নগরায়ণ ও শিল্পায়ণ।

(৩) অসাধু মনোবৃত্তি ও কাঠ বিক্রির লোভ।

(৪) অধিক জনসংখ্যার কারণে বনচ্ছেদন করে বসতবাড়ি নির্মাণ।

(৫) বাণিজ্যিক কেন্দ্র স্থাপন।

(৬) বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস।

প্রশ্ন ১৩। জল দূষণের চারটি কারণ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) গৃহস্থালীর পরিত্যক্ত জলের মধ্যে কাগজ, পলিব্যাগ, প্লাষ্টিক নির্মিত বস্তু, কাপড়, সাবান, মলমূত্র, শাকসব্জীর উচ্ছিষ্ট অংশ, জ্বালানির অবশিষ্টাংশ প্রভৃতি থাকে। এই দূষিত জল বিভিন্ন পুকুর, জলাশয়, নদীতে গিয়ে জমা হয় ও প্রচুর মাত্রায় জলদূষণ হয়।

(২) বিভিন্ন শিল্পের উপজাতি দ্রব্যগুলি জলে মেশার ফলে প্রচুর মাত্রায় জলদূষণ ঘটে। এইসব শিল্পগুলির মধ্যে চর্মশিল্প, কাগজশিল্প, রং শিল্প, রাসায়নিক শিল্প প্রভৃতি থেকে বেশি মাত্রায় জলদূষণ ঘটে।

(৩) কৃষিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে সেগুলি বৃষ্টির জল দ্বারা বাহিত হয়ে জলাশয়ে ও নদীতে জমা হয় এবং জলদূষণ ঘটায়।

(৪) বন্যার ফলে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী মারা গেলে তাদের দেহ পঁচে যায়। নানা আবর্জনা ও পচে যাওয়া দেহ জলে মিশে জলকে দূষিত করে।

প্রশ্ন ১৪। বায়ু দূষণের কারণগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে বায়ু দূষণ ঘটে। 

যেমন-

(১) জনসংখ্যা বৃদ্ধি: অধিক সংখ্যক মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসের ফলে বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

(২) অত্যধিক কলকারখানা বৃদ্ধি: বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার- ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই- অক্সাইড ইত্যাদি বায়ুতে যুক্ত হয়।

(৩) যত্রতত্র রাসায়নিক কারখানা স্থাপন: রাসায়নিক কারখানা থেকে নির্গত কীটনাশক পদার্থের বাষ্প, বিষাক্ত গ্যাস, বেঞ্জিন, জাইলিন ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ বায়ুকে দূষিত করে।

(৪) অতিরিক্ত বৃক্ষছেদন: বায়ুতে উপস্থিত অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।

প্রশ্ন ১৫। মৃত্তিকা দূষণ কী ? মৃত্তিকা দূষণের কারণগুলি লেখো।

উত্তরঃ মৃত্তিকার সাথে যখন অনির্দিষ্ট অনুপাতে রাসায়নিক পদার্থ, বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ যুক্ত হয়ে মৃত্তিকার উর্বরতা নষ্ট বা পরিবর্তন করে তখন তাকে মৃত্তিকা দূষণ বলে। 

মৃত্তিকা দূষণের কারণগুলি হল –

(১) মানুষ ও জীবজন্তুর কঠিন ও তরল বর্জ্য পদার্থ।

(২) গৃহস্থালী ও শিল্পকারখানার বর্জ্য পদার্থ মাটিতে নিক্ষেপ করা।

(৩) রাসায়নিক পদার্থ যেমন- সার, কীটপতঙ্গ নাশক, জীবাণুনাশক জমি ও উদ্ভিদে প্রয়োগ করা।

(৪) ত্রুটিপূর্ণ ক্রিয়াকর্মের জন্য শিল্পকারখানা থেকে বায়ুতে নির্গত গ্যাসীয় পদার্থ।

(৫) থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নির্গত ফ্লাই অ্যাস।

প্রশ্ন ১৬। পরিবেশের প্রধান সমস্যাসমূহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বর্তমানে পরিবেশের যে সকল সমস্যা মানুষের সঙ্গে জীবজগতের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে, সেইসবের মধ্যে নানা ধরনের প্রদূষণ, খরুময়তা, ভূমিস্খলন, ভূমিক্ষয়, গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি, কৃত্রিম বন্যা, সাগরপৃষ্ঠের উত্থান ইত্যাদি প্রধান।

প্রশ্ন ১৭। বহনক্ষম উন্নয়নের তিনটি উদ্দেশ্য লেখো।

উত্তরঃ বহনক্ষম উন্নয়নের প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষের জীবনযাপনের মানের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। জীবনযাত্রার গুণমান বাড়াতে গেলে যে সমস্ত লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে হবে সেগুলি হল উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শিক্ষার সুযোগসুবিধা প্রদান করা, দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, সামাজিক জীবনের বিভিন্ন কাজকর্মে সকল অংশ গ্রহণের সুযোগ, বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে সুযোগের সমতা বিধান।

বহনক্ষম উন্নয়নের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হল, অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিট সুবিধা সর্বাধিক করা।

বহনক্ষম উন্নয়নের তৃতীয় উদ্দেশ্য হল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোনো সুযোগ সুবিধা না কমিয়ে এমনভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো যাতে পরিবেশগত, মানবিক ও ভৌত মূলধনের ভাণ্ডার অন্তত অক্ষুণ্ণ থাকে।

প্রশ্ন ১৮। বর্তমান আসামে বিদ্যুৎ সংকটের প্রধান কারণগুলি লেখো।

উত্তরঃ (১) বর্তমান আসামে থাকা তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদক যন্ত্রের কয়েকটা বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদন পর্যাপ্ত নহে।

(২) পাওয়ার গ্রিড লাইন কম দক্ষ হওয়ার জন্যে অন্যান্য রাজ্য থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে প্রায় অসুবিধা হয়।

(৩) অসম রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষদের পরিচালনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বহু সমাজবিরোধী লোক বিদ্যুৎ চুরি করে উদ্যোগ চালায় তথা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে হুক লাগিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

এইসব কারণে আসামে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিচ্ছে। নগরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে এই সংকট আরও বেশি তীব্র। বহু অঞ্চলে যে সময়ে বিদ্যুতের প্রয়োজন সর্বাধিক, সেই সময়টুকুতেই মানুষকে কেরোসিন তেল কাজ চালাতে হয়। ফলস্বরূপ, গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার লোক ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন থাকা সত্বেও বিদ্যুৎ শক্তির সুবিধা লাভ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top