Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি

Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি | Class 12 Economics Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter AHSEC Board HS 2nd Year Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Notes and select needs one.

Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given AHSEC Board Bengali Medium Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Solutions for All Subject, You can practice these here.

বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি

Chapter: 6

ক – অংশ (সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আমদানি ফলন দেওয়া আছে M = 50 + 0.4Y। প্রান্তিক আমদানি প্রবণতা কী ? 

উত্তরঃ প্রান্তিক আমদানি প্রবণতা হল 0.4

প্রশ্ন ২। মুক্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে আর্থিক ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়, সেই আর্থিক ব্যবস্থা হবে মুক্ত অর্থ ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Join Now

GDP অনুপাতে মোট বৈদেশিক বাণিজ্য হল একটি অর্থনীতি কী পরিমাণে মুক্ত তা পরিমাপ করা হয়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। 2006-07 সালে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য ছিল GDP অর্থাৎ মোট ঘরোয়া উৎপাদনের 34.9%, 1985-86 সনে এটি ছিল 20.9%। এই তথ্যের ভিত্তিতে কোন্ সনে ভারতের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে অধিক মুক্ত ছিল ?

উত্তরঃ 2006-07 সালে ভারতের অর্থনীতি অধিক মুক্ত ছিল।

প্রশ্ন ৫। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রচলন করা একক মুদ্রা থাকে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৬। বৈদেশিক লেনদেনের সমতা কী ?

অথবা, 

পরিশোধের সমতা কী ?

উত্তরঃ একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রের মধ্যে এক নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পাদিত হওয়া অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রণালীবদ্ধ বিবৃতিই হল বৈদেশিক লেনদেনের সমতা বা পরিশোধের সমতা।

প্রশ্ন ৭। লেনদেনের সমতার দুটি প্রধান হিসাব উল্লেখ করো।

অথবা, 

পরিশোধের সমতার মূল উপাদান দুটি কী কী ?

উত্তরঃ (১) চলতি হিসাব।

(২) মূলধনী হিসাব।

প্রশ্ন ৮। একটি দেশের বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলিত হিসাবে উদ্বৃত্ত একসঙ্গে থাকতে পারে কি ?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৯। অদৃশ্য বাণিজ্য কী ?

উত্তরঃ স্পর্শ অযোগ্য এবং হস্তান্তর অযোগ্য সামগ্রী লেনদেনকে অদৃশ্য বাণিজ্য বলে। যেমন – সেবার লেনদেন।

প্রশ্ন ১০। হস্তান্তর পরিশোধ কী ?

উত্তরঃ একটি দেশের বাসিন্দাগণ যে সকল আয় মুক্তভাবে লাভ করে এবং যার বিনিময়ে কোন মূল্য প্রদান করতে হয় না, এইরূপ প্রাপ্তিকে হস্তান্তর পরিশোদ বলে। যেমন- উপহার, দান।

প্রশ্ন ১১। বৈদেশিক বিনিময় বাজারের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয় বিক্রয় হয়, সেই বাজারকে বৈদেশিক বিনিময় বাজার বলে।

প্রশ্ন ১২। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লেখো।

উত্তরঃ বাণিজ্যিক ব্যাংক।  

প্রশ্ন ১৩। বৈদেশিক বিনিময় হারের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ একটি দেশের মুদ্রা অন্য একটি দেশের মুদ্রায় যে হারে রূপান্তর করা হয়, সেই হারটিই হল বৈদেশিক বিনিময় হার। যেমন- বর্তমানে টাকার বিনিময় মূল্য ডলারের নিরিখে 68 টাকা।

প্রশ্ন ১৪। ‘টাকা-ডলারের বিনিময় হার হল 45 টাকা’ এই উক্তিটির দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তরঃ $1 = ₹ 45 এর অর্থ হল আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য থাকা কোনো দ্রব্য সামগ্রীর ভারতীয় মূল্য 45 টাকা হলে, আমেরিকায় বাজার দর হবে 1 ডলার। অর্থাৎ আমেরিকার এক ডলারের বিনিময় হার ভারতীয় মুদ্রায় 45 টাকা।

প্রশ্ন ১৫। ক্রয়ক্ষমতার সমতা কী ?

উত্তরঃ দীর্ঘকালে সমজাতীয় সামগ্রীর উৎপাদন ব্যয় বিভিন্ন রাষ্ট্রে একই হবে। ক্রয়ক্ষমতার সমতাতত্ত্ব অনুসারে, যখন কোনো বাণিজ্যিক অবরোধ থাকে না তখন বিনিময় হার নিজেই সমন্বয় সাধন করে নেয় যাতে উৎপন্ন দ্রব্যের ব্যয় একই হয়। সহজ কথায়, দুটি বিদেশি মুদ্রার আভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতার অনুপাতকে ক্রয়ক্ষমতার সমতা বলে।

প্রশ্ন ১৬। প্রকৃত বিনিময় হার কী ?

উত্তরঃ একই মুদ্রায় ঘরোয়া দামকে বৈদেশিক দামে পরিমাপ করার অনুপাতকে প্রকৃত বিনিময় হার বলে।

প্রশ্ন ১৭। Y = C + I + G + NX সমীকরণে NX কী বোঝায় ? 

উত্তরঃ NX বোঝায় Net Export অর্থাৎ শুদ্ধ রপ্তানি।

প্রশ্ন ১৮। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।

ইতিবাচক NX বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বুঝায়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৯। সঠিক শব্দ বের করো।

সরকারি প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিথিল বিনিময় হারে ঘরোয়া মুদ্রার দাম হ্রাস হওয়াকে ……….  বলা হয়। (অবক্ষয়/অবমূল্যায়ন/পুনর্মূল্যায়ন)

উত্তরঃ অবমূল্যায়ন।

প্রশ্ন ২০। বিভিন্ন দেশে একই ধরনের দ্রব্যের দাম একই হয় বলা আন্তরাষ্ট্রীয় বিনিময় সূত্রটির নাম লেখো।

উত্তরঃ ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব।

প্রশ্ন ২১। দ্বৈত নামিক বিনিময় হার কী ?

উত্তরঃ টাকার মূল্যে দুটি দেশের মুদ্রার মধ্যে লেনদেনের হারকে দ্বৈত নামিক বিনিময় হার বলে। উদাহরণস্বরূপ – $1 = ₹ 68 হল দ্বৈত নামিক বিনিময় হার।

প্রশ্ন ২২। বৈদেশিক মুদ্রার যোগানের দুটি উৎসের নাম লেখো।

উত্তরঃ বৈদেশিক মুদ্রার যোগানের উৎস হল –

(১) রপ্তানিকারীদের নিকট বৈদেশিক মুদ্রা।

(২) বৈদেশিক বিনিয়োগ।

প্রশ্ন ২৩। NEER ও REER এই দুটি ধারণার পূর্ণাঙ্গ রূপ লেখো।

উত্তরঃ NEER = Nominal Effective Exchange Rate

REER = Real Effective Exchange Rate.

প্রশ্ন ২৪। সত্য না অসত্য লেখো।

যদি প্রকৃত বিনিময় হার একের সমান হয়, তবে মুদ্রাগুলোর ক্রয়ক্ষমতা সমতায় উপনীত হয়।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ২৫। বৈদেশিক লেনদেন বিবৃতির তৃতীয় উপাদান কী ?

উত্তরঃ ভ্রান্তি ও বর্জন।

প্রশ্ন ২৬। বাণিজ্যিক সমতা কী ?

উত্তরঃ রপ্তানিজাত দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য এবং আমদানিজাত দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যের পার্থক্য হল বাণিজ্যিক সমতা।

প্রশ্ন ২৭। হিসাব রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে লেনদেন সমতা কীরূপ হবে ?

উত্তরঃ সর্বদাই সমান হবে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

1. আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের সদস্য রাষ্ট্র কতটি ?

উত্তরঃ 185

2. জাপানের মুদ্রাকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ ইয়েন (Yen)।

3. ব্রিটেনের মুদ্রাকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ পাউণ্ড স্টার্লিং।

4. লেনদেন সমতা ঘাটতি দূর করবার প্রধান উপায় কী ?

উত্তরঃ রপ্তানি বৃদ্ধি।

5. PPP-র সম্পূর্ণ রূপ কী ?

উত্তরঃ Purchasing Power Parity (PPP)

6. একটি দেশের মুদ্রার উর্ধমূল্যায়ন মান বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ যখন বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় ঘরোয়া মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন তাকে মুদ্রার ঊর্ধমূল্যায়ন মান বলে। অর্থাৎ সমান দেশীয় মুদ্রার বিপরীতে অধিক মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। মুক্ত অর্থনীতি প্রসঙ্গে বাজার সংযোগ, আর্থিক বাজার সংযোগ এবং উৎপাদনের উপাদানের বাজার সংযোগের অর্থ লেখো।

উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতিতে ক্রেতা বিক্রেতারা আভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পণ্য পছন্দ করার সুযোগ পায়। এটা হচ্ছে উৎপাদন বাজারের সংযুক্তিকরণ।

মুক্ত অর্থনীতিতে মূলধন জাত সম্পদের চলমানতা দেশের গণ্ডি পার হয়ে বিদেশে পৌঁছে। এটা হচ্ছে আর্থিক বাজারের সংযুক্তিকরণ। ফার্মগুলো উপাদানস্থল নির্বাচন এবং কর্মীরাও কোথায় কাজ করবে তা নিজেরা স্থির করতে পারে। এটা হল উৎপাদনের উপাদানের বাজার সংযোগ।

প্রশ্ন ২। শিথিল বিনিময় হার কী ?

উত্তরঃ শিথিল বিনিময় হার পদ্ধতিতে এক বিশেষ স্তরে বিনিময় হার আটকানো থাকে। শিথিল বিনিময় হার মুদ্রাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই পদ্ধতিতে যখন সামাজিক কার্যকলাপ দ্বারা বিনিময় হার বৃদ্ধি করা হয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। মুদ্রার অবমূল্যায়ন কী ? মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলতে কী বোঝ ? মুদ্রার অবমূল্যায়ন একটি দেশের আমদানির পরিমাণকে কীভাবে প্রভাবিত করে ?

উত্তরঃ সরকার দ্বারা একটি দেশের প্রচলিত মুদ্রার মূল্য অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় হ্রাস করা প্রক্রিয়াকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। সরকারি আদেশের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। একটি দেশ দীর্ঘদিন লেনদেনে ঘাটতির সম্মুখীন হলে সেই দেশ মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যতা অর্জন করতে পারে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন হলে বৈদেশিক দ্রব্যের দাম দেশীয় বাজারে বৃদ্ধি হয়, ফলে আমদানি হ্রাস পায়।

প্রশ্ন ৪। স্বর্ণমান (Gold Standard) কী ?

উত্তরঃ স্বর্ণমান হল স্থির বিনিময় ব্যবস্থার নামান্তরমাত্র। এই ব্যবস্থায় সকল দেশের মুদ্রার মূল্য সোনার মানে প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশ নিজের‌ মুদ্রা এক স্থির মূল্যে সোনার মানে প্রকাশ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। 1870 সন থেকে 1914 সাল পর্যন্ত স্বর্ণমান ব্যবস্থা প্রচলন ছিল। এই ব্যবস্থার দ্বারা মুক্ত বাণিজ্যে লেনদেনের ঘাটতি সমস্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করতে সহায়ক হয়েছিল।

প্রশ্ন ৫। পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার কী ?

উত্তরঃ এটি একটি পদ্ধতি যেখানে আন্তর্জাতিক বিত্তীয় বাজারে চাহিদা ও যোগান শক্তির দ্বারা বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। কিন্তু সময়ে এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হার নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করে। এভাবে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হারের গতিশীলতাকে সুস্থ করতে চেষ্টা চালায়। সহজ কথায়, পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার হল নমনীয় বিনিময় হার পদ্ধতি এবং স্থির বিনিময় হার পদ্ধতির সংমিশ্রণ।

প্রশ্ন ৬। ব্রিটন উডস্ পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ United Nations Monetary Financial Conference 1944 সালে আমেরিকার ব্রিটন উডসে অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে বৈদেশিক বিনিয়মের অস্থিরতা দূর করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

যার মধ্যে অন্যতম হল –

() IMF ও IBRD স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

(২) বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য সাংগঠনিক সমন্বয় ব্যবস্থার সুপারিশ।

(৩) ব্রিটন উডস পদ্ধতিতে বিশ্বের সব মুদ্রা আমেরিকার ডলারের সাথে আবদ্ধ। আমেরিকান ডলারকে স্থির মূল্যে স্বর্ণ প্রদান করা হয়। ডলারের নিরিখে একটি দেশের মুদ্রার মূল্যই স্বর্ণসাপেক্ষ সেই মুদ্রার মূল্যসূচক।

প্রশ্ন ৭। ধরা হল, এক আমেরিকান ডলার ($1) ক্রয়ের জন্য 45 টাকা প্রয়োজন। যদি এক কাপ কফির দাম ভারতে 10 টাকা হয় এবং আমেরিকাতে 0.5 ডলার হয়,‌ তাহলে প্রকৃত বিনিময় হার নির্ণয় করো।

উত্তরঃ আমরা জানি যে,

প্রশ্ন ৮। বৈদেশিক লেনদেন হিসাবের ‘লাইনের ওপর’ এবং ‘লাইনের নিচের’ বিষয়টি কী ?

উত্তরঃ বৈদেশিক লেনদেন বিবৃতির লাইনের ওপর বিষয়টি হল স্বনিরূপিত লেনদেন এবং লাইনের নিচের বিষয়টি হল প্রণোদিত লেনদেন।

প্রশ্ন ৯। একটি মুক্ত অর্থনীতিতে যদি প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা (C) 0.8 হয় এবং প্রান্তিক আমদানি প্রবণতা (m) 0.2 হয়, তাহলে আয় গুণক কত ?

উত্তরঃ দেওয়া আছে,

C = 0.8

m = 0.2

আমরা জানি যে,

প্রশ্ন ১০। একটি উদাহরণসহ হস্তান্তরিত দেনার ধারণাটি দাও।

উত্তরঃ হস্তান্তরিত দেনার অর্থ হল এমন একটি আয় যা কোনো দেশের অধিবাসীরা দায়মুক্তভাবে পেয়ে থাকেন। যার প্রতিদানস্বরূপ বর্তমান বা ভবিষ্যতে কোনো অর্থপ্রদান করতে হয় না। যেমন – উপহার, দান।

প্রশ্ন ১১। ক্রয়ক্ষমতার সমতার অর্থ স্পষ্ট করো।

উত্তরঃ ক্রয়ক্ষমতার সমতা বলতে প্রকৃত বিনিময় হার একের সমান হওয়া বুঝায়। অর্থৎ দুটি দেশের দ্রব্যসামগ্রী যখন একটি মুদ্রায় পরিমাপ করা হয়, তখন সেই মূল্য উভয় দেশে সমান থাকে।

প্রশ্ন ১২। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান তিনটি আইনগত ব্যবস্থা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান তিনটি আইনগত ব্যবস্থা নিম্নরূপ –

(১) শুল্ক ও বাণিজ্যিক সাধারণ চুক্তি।

(২) সেবা ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সাধারণ চুক্তি।

(৩) বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কিত সম্পত্তির অধিকারসমূহের সাধারণ চুক্তি।

প্রশ্ন ১৩। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যিক ঘাটতি কখন অপকারী বা উদ্বেগের কারণ নয় ?

উত্তরঃ বাণিজ্যিক ঘাটতি যদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে যা মূলধন ভাণ্ডারকে দ্রুত গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে উৎপন্ন বৃদ্ধি করবে, সেইক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঘাটতি অপকারী বা বিপদ সংকেতের কারণ নয়। 

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর 

পশ্ন ১। বাণিজ্যিক সমতা এবং লেনদেন সমতার মধ্যে পার্থক্য লেখো। 

উত্তরঃ বাণিজ্যিক সমতা এবং লেনদেন সমতার মধ্যে পার্থক্য হল –

প্রশ্ন ২। লেনদেন সমতার দুটি মূল্য হিসাব ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ লেনদেন সমতার হিসাবকে দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। চলতি হিসাব এবং মূলধনী হিসাব।

চলতি হিসাবে বাণিজ্য খাতের লেনদেন, সেবা সামগ্রীর লেনদেন এবং হস্তান্তর দেনা পাওনার হিসাব ধরা হয়। বস্তুর হিসাবে আছে দৃশ্যমান বাণিজ্য এবং সেবাকার্যের হিসাবে আছে অদৃশ্যমান বাণিজ্য। সেবা সামগ্রী বা অদৃশ্য রপ্তানি হল পরিবহন, পর্যটন বাবদ লেনদেন, বিমা, শিক্ষার ব্যয়, বৈদেশিক ঋণ বা বিনিয়োগের সুদ ইত্যাদি। আমরা যদি বিদেশি বিমান ব্যবহার করি, তাহলে ওর ভাড়া বাবদ ব্যয় হল অদৃশ্য আমদানি। যদি বিদেশি পর্যটক আমাদের দেশে আসে, সে আমাদের দেশে এসে যা ব্যয় করবে তা হবে রপ্তানি। হস্তান্তর দেনা বলতে প্রতিদানহীন দেনা বুঝায়। এটি চলতি খাতের অন্তর্ভুক্ত।

মূলধনের আগমন ও বহির্গমনকে নিয়ে নির্ধারণ করা হয় মূলধনী হিসাব। একটি রাষ্ট্র যখন বিদেশ থেকে মূলধন আমদানি করে, তখন বিদেশি রাষ্ট্র সেই মূলধনের যোগান দেয়। অন্যদিকে, একটি দেশ যখন মূলধন রপ্তানি করে, তখন বিদেশি রাষ্ট্র এই মূলধন লাভ করে। এই দেনা-পাওনার হিসাবের ভিত্তিতে মূলধনী হিসাব নিয়ন্ত্রিত হয়।

প্রশ্ন ৩। আন্তর্জাতিক মুদ্রানিধি বা IMF এর চারটি উদ্দেশ্য লেখো।

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রানিধি অর্থাৎ IMF এর চারটি প্রধান উদ্দেশ্য নিচে দেওয়া হলঃ

(১) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা স্থাপন করা।

(২) বৈদেশিক বিনিময় হারের অস্থিরতা দূর করে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের সমতা স্থাপন করা।

(৩) বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় অবমূল্যায়ন প্রতিরোধ করা।

(৪) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৈদেশিক লেনদেনের সমন্বয়হীনতার সংশোধনের জন্য সুযোগ প্রদান এবং উপযুক্ত নিরাপত্তাসহ পুঁজির ব্যবস্থা করে সদস্যদের মধ্যে আস্থা স্থাপন করা।

প্রশ্ন ৪। বাণিজ্য ঘাটতি কি দেশের জন্য ক্ষতিকারক ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বাণিজ্য ঘাটতি যদি ক্ষুদ্রতর সঞ্চয় এবং যমজ ঘাটতি প্রতিফলিত করে তখন দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে। বাণিজ্যিক ঘাটতি এবং বাজেট ঘাটতি মিলে যমজ ঘাটতির উদ্ভব হয়।

যমজ ঘাটতির কারণ হল অধিক পরিমাণে ব্যক্তিগত বা সরকারি ভোগকার্য। এই বর্ধিত ভোগকার্যই সঞ্চয়ের পরিমাণ হ্রাস করবে এবং মূলধন গঠনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। এরকম পরিস্থিতিতে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশংকা থাকে। সুতরাং আমরা মন্তব্য করতে পারি –

(১) বাণিজ্য ঘাটতি দেশের আয়ের স্তর হ্রাস করে।

(২) বাণিজ্য ঘাটতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষিত তহবিলে প্রতিকূল প্রভাব ফেলায়।

(৩) বাণিজ্য ঘাটতি লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করে।

(৪) বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি করতে পারে।

এসকল কারণে বাণিজ্যিক ঘাটতি একটি অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে অনিষ্টকারী বা ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়।

প্রশ্ন ৫। মুক্ত অর্থনীতি এবং বদ্ধ অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য দর্শাও।

উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতি এবং বদ্ধ অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য হল –

(ক) একটি অর্থনীতির সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতির বাণিজ্য এবং লেনদেনের সম্পর্ক থাকলে আমরা বলি মুক্ত অর্থনীতি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একটি অর্থনীতির বাণিজ্যিক লেনদেন না থাকলে বলা হয় বদ্ধ অর্থনীতি।

(খ) মুক্ত অর্থনীতি আন্তর্জাতিক নির্ভরশীলতাকে স্বীকৃতি দেয় কিন্তু বদ্ধ অর্থনীতি ঘরোয়া দেশের অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মনে করে। সুতরাং অন্যান্য দেশের নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজনবোধ করে না।

(গ) মুক্ত অর্থনীতি আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সমস্থিতি অর্জন করতে চায়। কিন্তু বদ্ধ অর্থনীতি ঘরোয়া সম্পদের পূর্ণ নিয়োগ অর্জন করতে চায়।

প্রশ্ন ৬। লেনদেন উদ্বৃত্ত এবং বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।

উত্তরঃ লেনদেন উদ্বৃত্ত এবং বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তের মধ্যে পার্থক্য হল নিম্নরূপ- 

(১) লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবে দৃশ্য বাণিজ্য, অদৃশ্য বাণিজ্য, একতরফা লেনদেন ও মূলধনী লেনদেনের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। অপরদিকে, বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তে কেবলমাত্র দৃশ্য বাণিজ্যের লেনদেনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। কাজেই লেনদেনের উদ্বৃত্তের হিসাবের একটি অংশ হল বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত।

(২) হিসাব রক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবে সবসময়ই সমতা বজায় থাকে। বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হিসাবে ঘাটতি বা উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হতে পারে।

(৩) লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবটি চলতি খাত ও মূলধনী খাতের হিসাবের সমষ্টি। বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হিসাবটি চলতি খাতের হিসাব।

(৪) বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হিসাবটি জাতীয় আয়কেই প্রভাবিত করে। এই হিসাবে উদ্বৃত্ত জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি এবং এই হিসাবে ঘাটতি জাতীয় আয়ের হ্রাস বোঝায়। কিন্তু লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবে প্রতিকূলতার অর্থ হল দেশের ঋণগ্রস্ততা বৃদ্ধি এবং অনুকূলতার অর্থ হল দেশের সম্পদ বৃদ্ধি।

প্রশ্ন ৭। লেনদেন উদ্বৃত্ত বা লেনদেন সমতা কী ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ একটি দেশের লেনদেন সমতা বলতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের হিসাবকে বোঝানো হয়ে থাকে। একটি বিশেষ সময়ে সাধারণত এক বৎসরে, বিদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে এবং কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে প্রদান করা হয়েছে তারই হিসাব হল লেনদেন উদ্বৃত্ত বা লেনদেন সমতা। অধ্যাপক কিণ্ডলবার্জারের মতে, ‘একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি দেশের অধিবাসীদের সঙ্গে অন্যান্য দেশের অধিবাসীগণের সকল প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেনের বিবরণীকে ওই দেশের লেনদেন সমতা বলা হয়।

এই বিবরণীতে যাবতীয় লেনদেন যেমন – দ্রব্য ও সেবা রপ্তানি বাবদ পাওনা, অন্য দেশ থেকে আগত মূলধন এবং দ্রব্য এবং সেবা আমদানি বাবদ দেনা এবং বিদেশে মূলধন হস্তান্তর সংক্রান্ত হিসাব থাকে। এই হিসাবের মধ্যে দান, উপহার প্রভৃতিও ধরা হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ৮। লেনদেন সমতার ভারসাম্যহীনতা বলতে কী বোঝ ? প্রতিকূল লেনদেনের সমতার দুটি কারণ লেখো। 

উত্তরঃ হিসাব রক্ষার দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করলে লেনদেন সমতা সর্বদাই সমান থাকে। কিন্তু অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করলে লেনদেন ঘাটতি বা উদ্বৃত্ত সর্বদাই ঘটিয়া থাকে।

যদি বিদেশের নিকট পাওনার তুলনায় দেনা বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে দেশের লেনদেনের হিসাব ঋণাত্মক হয়েছে। এই অবস্থাকে লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা বলে।

প্রতিকূল লেনদেন সমতার দুটি কারণ হল –

(১) চাহিদার পরিবর্তন: কোনও দ্রব্য বা সেবার চাহিদা বিদেশে পরিবর্তিত হলে লেনদেনের সমতার ভারসাম্যে অভাব ঘটে থাকে। কোন দ্রব্য বা সেবার বিকল্প বিদেশে উদ্ভাবিত হলে কিংবা বিদেশি সরকারের কোন নীতির ফলে রপ্তানি কমে গেলেও প্রতিকূল লেনদেন সমতার সৃষ্টি হয়।

(২) মূল্য বৃদ্ধি: রপ্তানি শিল্পে মজুরি বৃদ্ধি বা কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পেলে রপ্তানি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে প্রতিকূল লেনদেন সমতার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৯। স্বনিরূপিত ও প্রণোদিত লেনদেনের সমতার ধারণা দুটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ যে সকল লেনদেন অন্যান্য লেনদেনের প্রভাব থেকে মুক্ত সেগুলো হল স্বনিরূপিত লেনদেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি দেশের পণ্য রপ্তানির সঙ্গে বিদেশি পর্যটকদের আগমন সেবাকার্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। স্বনিরূপিত লেনদেনের ক্ষেত্রে সামগ্রী হিসাব, সেবাকার্যের হিসাব, হস্তান্তর হিসাব বা মূলধনী হিসাব দেখা দিতে পারে। এধরনের লেনদেনকে রেখার ওপরের লেনদেন বলা হয়।স্বনিরূপিত লেনদেনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল লাভ সর্বাধিক করা।

স্বনিরূপিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেখা দেওয়া ঘাটতির পরিমাণ দূর করার জন্য‌ যে হ্রস্বকালীন মূলধন লেনদেন সম্পাদিত হয় তাকেই প্রণোদিত লেনদেন বা ব্যবস্থাপনীয় লেনদেন বলে। অর্থাৎ একটি দেশের আন্তঃরাষ্ট্রীয় লেনদেনের বিবৃতির পরিণতি হিসাবে ব্যবস্থাপনীয় লেনদেন সম্পাদিত হয়। এধরনের লেনদেনকে ‘রেখার নিচের লেনদেন’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

প্রশ্ন ১০। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার নির্ধারণে ফাটকা ব্যবসায়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বিনিময় হার নির্ধারণে ফাটকা ব্যবসা একটি অন্যতম উপাদান। বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার বাজারে ফাটকা ব্যবসায়ীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বৈদেশিক বিনিময় হারের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে ফাটকা ব্যবসায়ীরা বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রা কেনাবেচা করে। এরকম ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে ফাটকা ব্যবসায়ীরা লাভ অর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, মনে করি পাউণ্ড ষ্টালিং এবং টাকার বিনিময় হার £1 = 70 টাকা। যদি ফাটকা ব্যবসায়ী আশা করে যে টাকার তুলনায় পাউণ্ড ষ্টালিং-এর মূল্য বেড়ে যাবে তাহলে ফাটকা ব্যবসায়ী বর্তমানে পাউণ্ড স্টালিং অধিক সংগ্রহ করবে এবং টাকার বিপরীতে যে পরিমাণ পাউণ্ড স্টালিং বর্তমানে পাওয়া গেছে, পাউণ্ডের মূল্য বৃদ্ধি ভবিষ্যতে যখন পাউণ্ড স্টালিং এর মূল্য বৃদ্ধি হবে তখন তার লাভ হবে। ভারতীয় হলে একই পরিমাণ পাউণ্ডের বিনিময়ে অধিক পরিমাণ ভারতীয় টাকা পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন ১১। বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণে সুদের হারের তাৎপর্য বিচার করো।

উত্তরঃ সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিনিময় হার এই তিনটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হারকে প্রভাবিত করে। পরিবর্তিত সুদের হার মুদ্রামূল্য ও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রভাবিত হয়। সুদের হার অধিক হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেই দেশে অধিক বিনিয়োগ করবে, ফলে সেই দেশের বিনিময় হার বৃদ্ধি পাবে। পক্ষান্তরে, যে দেশে সুদের হার কম, সেই দেশের মুদ্রার চাহিদা কম হবে। ফলে মুদ্রার মূল্যও হ্রাস পাবে। ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি, বিত্তশালী ব্যক্তি, যারা বিশাল তহবিলের মালিক, তারা অধিক আয়ের জন্য উচ্চ সুদের হারের সন্ধানে সারা বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়ান।

সহজ কথায়, সুদের হার অধিক হলে বিনিময় হার অধিক হয় এবং সুদের হার কম হলে বিনিময় হার কম হয়।

প্রশ্ন ১২। মুক্ত অর্থনীতিতে আয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমদানি এবং রপ্তানির ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতিতে Y = C + I + G + X – M,

এখানে X = রপ্তানি, M = আমদানি। রপ্তানি ও আমদানির পার্থক্যকে শুদ্ধ রপ্তানি বলে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত হবে। পক্ষান্তরে, রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ অধিক হলে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়।

আমদানি চাহিদা দুটি উপাদানের দ্বারা সৃষ্টি হয় – আভ্যন্তরীণ আয়ের পরিমাণ এবং প্রকৃত বিনিময় হার। আভ্যন্তরীণ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত বিনিময় হার বৃদ্ধি পেলে বিদেশে উৎপাদিত সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পায় এবং তার ফলস্বরূপ সেইগুলি সামগ্রীর আমদানি কমে যাবে। রপ্তানি ক্ষেত্রে বিদেশি রাষ্ট্রের আয়ের পরিবর্তনের পরিমাণ এবং প্রকৃত বিনিময় হারের পরিবর্তন ক্রিয়া করে। বিদেশি রাষ্ট্রে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তারা নিজ দেশের উৎপাদিত সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি করবে অর্থাৎ স্বদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। তদ্রূপ প্রকৃত বিনিময় হার বৃদ্ধি পেলে ঘরোয়া সামগ্রীর চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি হবে।

আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে আমদানির পরিমাণ কী পরিমাণ বৃদ্ধি হবে তা নির্ভর করে প্রান্তিক আমদানির স্পৃহার ওপর। মুক্ত অর্থনীতিতে গুণক কার্যকর হয়। এই গুণক হল = 1/1 – C + M

প্রশ্ন ১৩। মুদ্রার বহির্মূল্য হ্রাস ও মুদ্রার বহির্মূল্য বৃদ্ধির পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ যখন বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় ঘরোয়া মুদ্রার মূল্য হ্রাস পায়, তখন ‘মুদ্রার বহির্মুল্য হ্রাস বা Currency depreciation’ হয় অর্থাৎ সমান দেশীয় মুদ্রার পরিবর্তে কম মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া

যায়।

পক্ষান্তরে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় ঘরোয়া মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন মুদ্রার বহির্মূল্য বৃদ্ধি বা Currency appreciation হয়। অর্থাৎ সমান দেশীয় মুদ্রার বিপরীতে অধিক মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। স্থির বিনিময় হার কী ? স্থির বিনিময় হারের সুবিধা ও অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ স্থির বিনিময় হারকে ‘পেজ’ ভিত্তিক বিনিময় হারও বলা হয়। সরকার বা বিত্তীয় প্রতিষ্ঠানে এক নির্দিষ্ট হারে বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা অবস্থাকে স্থির বিনিময় হার বলা হয়।

স্থির বিনিময় হারের সুবিধা-

(১) বিশ্ব বাণিজ্যকে গতিশীল করে তোলে।

(২) বিনিময় হারে স্থিরতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

(৩) আকস্মিক আয়ের উত্থিত অবস্থা প্রতিরোধ করে।

(৪) স্থির বিনিময় হার উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্য আবশ্যকীয়।

স্থির বিনিময় হারের অসুবিধা-

(১) স্থির বিনিময় হার হল পরম্পরাগত ব্যবস্থা যার ব্যবহারিক গুরুত্ব থাকে না।

(২) বিনিময় হারের অস্থিরতার জন্য মূল্যের স্থিরতা রক্ষা করা যায় না।

(৩) আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বাজারের ব্যয় তথা লাভের পরিমাণ প্রতিফলিত করে না।

প্রশ্ন ২। পরিবর্তনশীল বা নমনীয় বিনিময় হার কী ? নমনীয় বিনিময় হারের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো লেখো।

উত্তরঃ নমনীয় বিনিময় হার বলতে সেই অবস্থাকে বুঝায় যার মাধ্যমে কাগজী নোটের ব্যবহারিক একক চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থির করা হয়। চাহিদা এবং যোগানের পরিবর্তনের ফলে এই বিনিময় হারের পরিবর্তন ঘটে। 

নমনীয়/পরিবর্তনশীল/ভাসমান বিনিময় হারের সুবিধা –

(১) অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রগতির হার প্রতিফলিত করে।

(২) লেনদেন সমতা রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়।

(৩) আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের প্রগতি সাধন করে।

(৪) আন্তঃরাষ্ট্রীয় তরলতার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে না। নমনীয় 

বিনিময় হারের অসুবিধা –

(১) এই বিনিময় হার অস্থির এবং অনিশ্চিত।

(২) ব্যাপক মূলধনের সঞ্চারে অর্থনীতি অস্থির করে তোলে।

(৩) ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতির কারণে আর্থিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৩। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় কীভাবে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় ? ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার এবং স্থির বৈদেশিক বিনিময় হারের পার্থক্য নির্ণয় করো।

উত্তরঃ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার এবং স্থির বৈদেশিক বিনিময় হারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

(১) যে বিনিময় হার বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার বাজারে কার্যকরী হয়ে থাকা চাহিদা এবং যোগানের দ্বারা নির্ণয় করা হয়, তাকে নমনীয় বা ভাসমান বিনিময় হার বলে। পক্ষান্তরে, সোনার মূল্য বা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যের আধারে সরকার দ্বারা নির্ধারণ করে দেওয়া মুদ্রার বিনিময় হার হল স্থির বৈদেশিক বিনিময় হার।

(২) নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণতঃ কোন হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু স্থির বিনিময় হার নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ হস্তক্ষেপ থাকে।

(৩) নমনীয় বিনিময় হার বাজার ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। কিন্তু স্থির বিনিময় হার স্বর্ণ বিনিময় হার এবং পেগ পদ্ধতি দ্বারা বের করা হয়।

(৪) বর্তমানে নমনীয় বিনিময় হার প্রায় সকল দেশ প্রয়োগ করে। স্থির বিনিময় হার বর্তমানে কোনো দেশ ব্যবহার করে না।

প্রশ্ন ৪। অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) এর ভূমিকা বর্ণনা করো।

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) সমগ্র বিশ্বের বিত্তীয় ব্যবস্থার তত্ত্বাবধায়ক। বিশ্ব মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিরতা রক্ষা, আন্তরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা করা IMF-এর মূল উদ্দেশ্য। IMF এর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বিশ্বের 185টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে তার উপযুক্ত ব্যবহার করা। কোনো একটি সদস্য রাষ্ট্র বিত্তীয় ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার বিত্তীয় সাহায্য এগিয়ে দেয়। এই সংকট সাধারণত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা থেকেই সৃষ্টি হয়।

অনুন্নত রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে IMF এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মুদ্রার ভাণ্ডার রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে ঋণ এগিয়ে দিয়ে IMF সদস্য রাষ্ট্রগুলোর হ্রস্বকালীন বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বৈদেশিক বিনিময় মূল্যের স্থিরতা রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান যুগিয়ে আসছে। এছাড়া সদস্যরাষ্ট্রগুলোর আভ্যন্তরীণ সুস্থিরতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন ৫। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় বিনিময় হারের নির্ধারকসমূহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বৈদেশিক বিনিময় বাজারে পরিবর্তনশীল বিনিময় হার নির্ধারণে যোগান এবং চাহিদা প্রভাব বিস্তার করে।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার কারণ হল –

(১) অন্য দেশের দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করা।

(২) আন্তর্জাতিক ঋণ ও সুদ প্রদান করা।

(৩) বহির্বিশ্বে বিনিয়োগ করা।

(8) বিদেশে বিত্তীয় সম্পদ ক্রয় করা।

(৫) বিদেশ ভ্রমণ, তীর্থযাত্রা, দান ইত্যাদির জন্য ব্যয়।

(৬) বৈদেশিক মুদ্রার ফাটকা বাজার কার্যাবলি।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও বিনিময় হারের মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। যদি বিনিময় হার কম হয়, তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা অধিক হয়। 

বৈদেশিক মুদ্রার যোগান নির্ভর করে –

(১) ঘরোয়া বাজার থেকে বিদেশি ব্যক্তির দ্রব্য ও সেবা ক্রয়।

(২) ঘরোয়া বাজারে বিদেশি কোম্পানি বা বিত্তশালী ব্যক্তির বিনিয়োগ।

(৩) বিদেশির ঘরোয়া সম্পদের ক্রয়।

(৪) ফাটকা কারবারীর কার্যাবলির ফলে বিদেশি মুদ্রার প্রবাহ।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার বাজারে যোগান এবং চাহিদা পরস্পর সমান হলে ভারসাম্য বিনিময় হার পাওয়া যায়।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার যোগান এবং চাহিদার উপরিও অন্য তিনটি উপাদান বিনিময় হার প্রক্রিয়াকে প্রভাবান্বিত করে। এই তিনটি উপাদান হল – ফটকা ব্যবসা, সুদের হার এবং আয়ের পরিমাণ।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির উত্তর

প্রশ্ন ১। বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ এবং চলতি লেনদেনের হিসাবনিকাশের পার্থক্য দেখাও।

অথবা, 

পরিশোধের সমতা এবং বাণিজ্যের সমতার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ এবং চলতি লেনদেনের হিসাব নিকাশের মধ্যে পার্থক্য হল –

(১) মোট দৃশ্য আমদানি এবং মোট দৃশ্য রপ্তানির পার্থক্যই হল বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ। যাকে ইংরেজিতে বলে balance of trade। অর্থাৎ দ্রব্য রপ্তানি ও দ্রব্য আমদানির পার্থক্যই হল বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ। কিন্তু বস্তুর হিসাব এবং সেবাকার্যের হিসাবের সমষ্টিই হল চলিত হিসাব।

(২) বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশে শুধু দৃশ্যমান বস্তুর হিসাব করা হয়।কিন্তু চলতি লেনদেনে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান বস্তুর হিসাব করা হয়।

(৩) বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ একটি সংকীর্ণ ধারণা। এটি চলতি লেনদেন হিসাবনিকাশের একটি অংশ বিশেষ। চলতি লেনদেনের হিসাব নিকাশ একটি বিস্তৃত ধারণা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক সমতা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

প্রশ্ন ২। সরকারি সংরক্ষিত তহবিলের লেনদেন সমূহ কী?

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকার কিছু আর্থিক নীতি পূরণ করতে সরকারি সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন ও বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি পূরণ  করতে সরকারি সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করা হয়। সরকারি সংরক্ষিত তহবিলের লেনদেনসমূহ স্বয়ংচালিত লেনদেন নয়। এটি প্রণোদিত লেনদেন হিসাবে দেখা যায়। এধরনের লেনদেনের তহবিল বৈদেশিক মুদ্রা সিকিউরিটিস, স্বর্ণমান এবং SDR এ রাখা হয়।

প্রশ্ন ৩। নামিক বিনিময় হার এবং প্রকৃত বিনিময় হারের পার্থক্য নিরূপণ করো।

উত্তরঃ একটি দেশের মুদ্রা এবং অন্য একটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হারকে নামিক বিনিময় হার বলে। এই বিনিময় হার মুদ্রার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, 1 ডলার = 68 টাকা।

দ্রব্যসামগ্রীর আভ্যন্তরীণ মূল্যস্তর এবং সেই সামগ্রীসমুহের বৈদেশিক মূল্যস্তরের অনুপাত হল প্রকৃত মূল্যস্তর।

প্রশ্ন ৪। ধরে নাও, একটি রুপি ক্রয় করতে 1.25 ইয়েনের প্রয়োজন হয় এবং জাপানে দামস্তর হচ্ছে 3 এবং ভারতের দাম স্তর 1.2। ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রকৃত বিনিময় হার গণনা করো।

উত্তরঃ দেওয়া আছে,

প্রশ্ন ৫। বৈদেশিক লেনদেনের হিসাবের সমস্থিতি স্বর্ণমানের অধীনে উৎপন্নকারী স্বয়ংচালিত পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ স্বর্ণমান ব্যবস্থা স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থার এক নামান্তর। স্বর্ণমান ব্যবস্থায়‌ সকলগুলি দেশের মুদ্রার মূল্য সোনার মানে প্রকাশ করা হয়। এই বিনিময়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশসমূহের মুদ্রা সোনার হতে পারে অথবা অন্য ধাতুর মুদ্রা হলেও একে সোনায় রূপান্তর করার ব্যবস্থা থাকে। সোনার মূল্যের মানে দেশের মধ্যে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কারেন্সী A এর এককের মূল্য যদি 1 গ্রাম সোনা এবং কারেন্সী B এর এককের মূল্য 2 গ্রাম সোনা হয়, তাহলে Bর কারেন্সী মূল্য A এর দ্বিগুণ হবে। এক্ষেত্রে বিনিময় হার হবে B এক একক কারেন্সীর মূল্য A এর কারেন্সীর দুই একক হবে। স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার সঠিকভাবে নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের পর্যাপ্ত পরিমাণে সোনার মজুত থাকতে হবে। স্বর্ণমান ব্যবস্থায় দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন সমতার মধ্যে তারতম্যের জন্য ভারসাম্যহীনতা উদ্ভব হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি দেশের মধ্যে কারেন্সীর স্বর্ণমূল্যের ভিত্তিতে বিনিময় হার পুনরায় নির্ধারিত হবে।

প্রশ্ন ৬। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় কীভাবে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়, ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

নমনীয় বিনিময় হার প্রণালীতে বিনিময় হার কীভাবে নিরূপিত হয় ?

উত্তরঃ পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় বাজারের চালিকা শক্তির দ্বারা বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় কোন একটি দেশের কারেন্সীর বিনিময় হার বৈদেশিক বিনিময় বাজারে বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রার চাহিদা এবং যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। যখন বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার যোগান এবং চাহিদা পরস্পর সমান হয় তখন ভারসাম্য বিনিময় হার পাওয়া যায়।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার চাহিদা হয় –

(১) ঘরোয়া গ্রাহকেরা বিদেশি উৎপাদিত সামগ্রী ক্রয় করার জন্য।

(২) বিদেশে দান ও অনুদান প্রেরণ করার জন্য।

(৩) দেশের নাগরিক বিত্তীয় পরিসম্পদ ক্রয় করার জন্য।

(৪) আন্তর্জাতিক ঋণ মেটানোর জন্য।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার যোগানের উৎস হল –

(১) বহির্বিশ্বে দেশের রপ্তানি।

(২) প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।

(৩) ঘরোয়া বাজার থেকে অনাবাসীরা দ্রব্য ও সেবার প্রত্যক্ষ ক্রয়।

নিচে চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য বিনিময় হার দেখানো হল –

ওপরের চিত্রে ভারসাম্য বিনিময় হার হল E

প্রশ্ন ৭। অবমূল্যায়ন এবং অবচয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ একটি দেশের প্রচলিত মুদ্রার মূল্য সেই দেশের সরকারের দ্বারা অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় হ্রাস করার প্রক্রিয়াকে অবমূল্যায়ন বলে। সরকারি আদেশের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। পক্ষান্তরে, পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় বাজার ব্যবস্থার দ্বারা দেশীয় মুদ্রার বহির্মূল্য সংকুচিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে অবচয় বলে। একটি দেশের মুদ্রার বৈদেশিক চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতে দেশীয় মুদ্রার অবচয় বা অবক্ষয় ঘটে।

স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থায় অবমূল্যায়ন ঘটে এবং পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় অবচয় ঘটে।

প্রশ্ন ৮। বৈদেশিক বিনিময় বাজারের দুটি ভাগ কী কী ?

উত্তরঃ বৈদেশিক বিনিময় বাজারের দুটি ভাগ হল-

(1) Spot Market.

(2) Forward Market.

প্রশ্ন ৯। দেশীয় সামগ্রীর চাহিদা ও সামগ্রীর দেশীয় চাহিদা – এই দুটি ধারণা কি এক ?

উত্তরঃ না, উভয় ধারণা সমান নয়। ঘরোয়া এবং বিদেশের চাহিদার সমষ্টি হল দেশীয় সামগ্রীর চাহিদা। শুধু ঘরোয়া চাহিদা সামগ্রীর দেশীয় চাহিদা নির্দেশ করে।

প্রশ্ন ১০। আয় অপেক্ষক প্রান্তিক আমদানি কী, যখন M = 60 + 0.06Y। আয়‌ অপেক্ষক প্রান্তিক আমদানি এবং সামগ্রিক চাহিদা অপেক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক কী ?

উত্তরঃ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে আমদানির পরিমাণ কী পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তা প্রান্তিক আমদানি প্রবণতার ওপর নির্ভর করে।

M = 60 + 0.06Y

M = M + MY

∴ এখানে প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা = 0.06

যখন আয় বৃদ্ধি পায়, তখন সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়। কারণ, অতিরিক্ত আয় বৈদেশিক দ্রব্যের ক্ষেত্রে ব্যয় হয়, ঘরোয়া দ্রব্যের জন্য নয়।

প্রশ্ন ১১। বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি হ্রাস করার দুটি ব্যবস্থা লেখো।

উত্তরঃ বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি কমাবার জন্য প্রধানতঃ দুটি ব্যবস্থা একই সময়ে গ্রহণ করতে হয়। এই ব্যবস্থা দুটি হল রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি হ্রাসকরণ।

রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য রপ্তানি সামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর রেহাই, রপ্তানিকারীদের পুরস্কার ও সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে উৎসাহিত করা, রপ্তানি সামগ্রীর মান উন্নত করা, রপ্তানি সামগ্রীর দাম হ্রাসকরণ, রপ্তানি সামগ্রীর বাজার চাহিদা অধ্যয়ন করা, প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন চাহিদা সৃষ্টি করা ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমদানি কমাবার জন্য বিলাস দ্রব্যের আমদানি কমানো, আমদানি সামগ্রীর ওপরে উচ্চহারে শুল্ক বসানো, আমদানি দ্রব্যের বিকল্প সামগ্রী নিজের দেশেই উৎপাদন করে নেওয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ১২। ভারতের লেনদেন সমতার ঘাটতির কারণগুলো বর্ণনা করো।

অথবা, 

বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার যে কোন চারটি কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভারতের প্রতিকূল লেনদেন সমতার প্রধান কারণগুলো হল –

(১) আমদানীজাত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি: ভারতের প্রধান আমদানিজাত দ্রব্য হল পেট্রোলিয়াম, খনিজ তেল, কল-কারখানার কাঁচামাল, রাসায়নিক সার, ধাতব দ্রব্য, যন্ত্রপাতি ও পরিবহনের সরঞ্জাম, লৌহ-ইস্পাত ইত্যাদি। এইসকল সামগ্রীর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি তৎসঙ্গে ঘরোয়া বাজারে এগুলির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের লেনদেন সমতায় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।

(২) রপ্তানিজাত দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস: ভারতের প্রধান আমদানিজাত দ্রব্য চা, পাটজাত দ্রব্য, সূতী বস্ত্র। কিন্তু এগুলো বহির্বাণিজ্যে বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছে। চা রপ্তানির ক্ষেত্রে শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়া, পাট রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, সূতীবস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও কোরিয়া – এসকল দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ফলে ভারতের রপ্তানি বহুলাংশে হ্রাস পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।

(৩) বৈদেশিক বাণিজ্যে সুদ প্রদান: বৈদেশিক লেনদেন ঘাটতির আরও একটি কারণ হচ্ছে অদৃশ্য দেনাপাওনার খাতে পাওনার তুলনায় দেনার আধিক্য। বিদেশি ঋণের পরিশোধ, বিদেশি ঋণের অত্যধিক সুদের বোঝা ইত্যাদি কারণে প্রতিকূল লেনদেন সমতার সৃষ্টি হয়েছে।

(৪) সোভিয়েত রাশিয়ার অস্তিত্ব লোপ: সোভিয়েত ইউনিয়ন 80 এর দশক পর্যন্ত ভারতের অন্যতম বাণিজ্যের অংশীদার ছিল। কিন্তু 1990 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ১৩। SDR কী ?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার 1970 সালে বিশেষ ঋণ গ্রহণ অধিকার অর্থাৎ SDR প্রবর্তন করেছে। Special Drawing Rights বা সংক্ষেপে SDR ব্যবস্থাটি হল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) সদস্য রাষ্ট্রকে স্বল্পমেয়াদী আন্তর্জাতিক লেনদেনের সমস্যা মিটাইবার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের কোটা অনুযায়ী এক নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পমেয়াদী ঋণ দিয়ে থাকে। SDR থেকে যা তোলা হয় তা IMF এর নিকট ঋণ বলে গণ্য হয় না। 1981 সালে SDR ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে 5 নিযুত ডলার ঋণ লাভ করে।

প্রশ্ন ১৪। NEER এবং REER ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ NEER এর পূর্ণ রূপ হল Nominal Effective Exchange Rate অর্থাৎ নামিক কার্যকরী বিনিময় হার। এই হার প্রত্যেক মুদ্রার মূল্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঘরোয়া দেশে তার প্রভাব বা ভারের ওপর নির্ভর করে আরোপিত করা হয় অর্থাৎ গুরুত্ব অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রাসমূহ ওজন যুক্ত করা হবে। এভাবে মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করাকে মৌদ্রিক সক্রিয় বিনিময় হার বা নামিক কার্যকরী বিনিময় হার বলে (NEER)।

REER এর পূর্ণ রূপ হল Real Effective Exchange Rate অর্থাৎ প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার। প্রত্যেক অংশীদারী রাষ্ট্রের প্রকৃত বিনিময় হারের ভারমুক্ত গড় হিসাবে প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার গণনা করা হয়। এক একক বৈদেশিক সামগ্রী ক্রয় করতে হলে কী পরিমাণ দেশীয় সামগ্রীর প্রয়োজন হবে – তা প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার দ্বারা নির্ধারিত হয়।

প্রশ্ন ১৫। একটি সারণীর মাধ্যমে লেনদেন সমতার বিভিন্ন খাত দেখাও।

উত্তরঃ লেনদেন সমতার বিভিন্ন হিসাব/খাত

পাওনাদেনা
১। দ্রব্য রপ্তানি বা দৃশ্য রপ্তানি১। দ্রব্য আমদানি বা দৃশ্য আমদানি
২। সেবা রপ্তানি বা অদৃশ্য রপ্তানি২। সেবা আমদানি বা অদৃশ্য আমদানি
৩। স্বর্ণ রপ্তানি৩। স্বর্ণ আমদানি
৪। প্রতিদানহীন দেনা৪। প্রতিদানহীন দেনা
৫। মূলধনী প্রাপ্তি৫। মূলধনী দেনা

প্রশ্ন ১৬। ধরো, C = 40 + 0.8YD, T = 50, I = 60, G = 40, X = 90, M = 50 + 0:05Y

(ক) ভারসাম্য আয় বের করো।

(খ) ভারসাম্য আয়ে শুদ্ধ রপ্তানি নির্ণয় করো।

(গ) যদি সরকারি ব্যয় 40 থেকে 50 বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভারসাম্য আয় এবং শুদ্ধ রপ্তানির কী পরিবর্তন হবে ?

প্রশ্ন ১৭। ধরা হল, C = 60 + 0.7Y, সরকারি ব্যয় G = 50, X = 80, সরকারি কর রাজস্ব (T) = 60 এবং আমদানি (M) = 50 + 0.107

(ক) ভারসাম্য আয়ের স্তর নির্ণয় করো।

(খ) ভারসাম্য আয়ের পরিমাণে শুদ্ধ রপ্তানি নির্ণয় করো।

(গ) যদি সরকারি ব্যয় 50 হতে 60 এ বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভারসাম্য আয় এবং শুদ্ধ রপ্তানি আয়ের কী পরিবর্তন হবে ?

উত্তরঃ 

দেওয়া আছে,

(গ) যদি সরকারি ব্যয় 50 থেকে 60 এ বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভারসাম্য আয়ের পরিবর্তন হয়,

প্রশ্ন ১৮। বৈদেশিক লেনদেন সমতার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বৈদেশিক লেনদেন সমতার বৈশিষ্ট্যগুলি হলঃ

(১) পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে কোন দেশের সবরকমের আর্থিক লেনদেনের সামগ্রিক ও পূর্ণাঙ্গ হিসাবকে বৈদেশিক লেনদেন হিসাব বলে।

(২) সাধারণত লেনদেনের হিসাব এক বছর হিসাবে হয়।

(৩) চলতি এবং মূলধনী হিসাবের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রকার আন্তরাষ্ট্রীয় লেনদেনের হিসাব বৈদেশিক লেনদেনের হিসাবে উল্লেখ থাকে।

(৪) এতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের দেনা এবং পাওনা এই দুটি হিসাব অন্তর্ভুক্ত হয় ।

(৫) লেনদেন হিসাবে দেনা ও পাওনার হিসাব সর্বদাই সমান হয়।

প্রশ্ন ১৯। বিভিন্ন দেশ যে সকল বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় তাদের বৈদেশিক হিসাবনিকাশ স্থির করার উদ্দেশ্যে মনোনিবেশ করেছে, তার কয়েকটি সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ বিনিময় হার নির্ধারণের তিনটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

(১) স্থির বিনিময় হার: দুই বা দুইয়ের বেশি দেশের চলতি মুদ্রার বিনিময় হার যা একটি পর্যায়ে স্থির এবং কদাচিৎ সংশোধিত হয়। স্থির বিনিময় হার দুই প্রকার -স্বর্মমান ও ব্রেটন উডস পদ্ধতি।

স্বর্ণমান: 1870 সাল থেকে 1914 সাল পর্যন্ত স্বর্ণমান প্রচলিত ছিল। সকল প্রচলিত মুদ্রা সোনা দিয়েই তৈরি হত। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশ নিজের মুদ্রা এক স্থির মূল্যে সোনার মানে প্রকাশ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল।

ব্রেটন উডস পদ্ধতি: এই পদ্ধতি অনুসারে বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসমূহ আমেরিকান ডলারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করা হয়। ডলার সাপেক্ষে একটি দেশের মুদ্রামূল্যেই স্বর্ণসাপেক্ষে সেই মুদ্রার মূল্য সূচক। IMF এর অনুমোদন সাপেক্ষে একটি দেশের মুদ্রার সমতা মূল্য পরিবর্তন সম্ভব হয়।

(২) নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বাজারের চাহিদা ও যোগানের শক্তিদ্বারা মুদ্রা বিনিময় হার স্থিরীকরণকে নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার বলে।

(৩) পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার: পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার হল একটি পদ্ধতি যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার শক্তির দ্বারা বিনিময় হার নির্ধারণে অনুমতি দেয় কিন্তু বিনিময় হার স্থির করার ব্যাপারে কখনো কখনো হস্তক্ষেপ করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top