বাক্য সংকোচন | Vakhya Sankuchan in Bengali Grammar

বাক্য সংকোচন | Vakhya Sankuchan in Bengali Grammar Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter বাক্য সংকোচন | Vakhya Sankuchan in Bengali Grammar and select needs one.

বাক্য সংকোচন | Vakhya Sankuchan in Bengali Grammar

Join Telegram channel

These Grammar are part of SCERT Syllabus. Here we have given বাক্য সংকোচন | Vakhya Sankuchan in Bengali Grammar, You can practice these here.

SEBA Class 9 Bengali Medium Solutions

SEBA Class 10 Bengali Medium Solutions

বাক্য সংকোচন

রচনার চমৎকারিত্ব সৃষ্টির জন্য এবং ভাবের সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য বাক সংহতির প্রয়োজন। বাক্য সংহতির অন্য নাম একপদে পরিণতকরণ। কতকগুলি উপায়ে বাক্যাংশের বা পদ-সমষ্টির সংকোচন সম্ভব। সেই উপায়গুলি হল: ১ কৃৎ-প্রত্যয় যোগে, ২. তদ্ধিত-প্রত্যয় যোগে, ৩. সমাস-প্রয়োগে এবং ৪. সম্পূর্ণ ভিন্ন শব্দের প্রয়োগে।

১। কৃৎ প্রত্যয় যোগে –

★ অনুকরণ করিবার ইচ্ছা = অনুচিকীর্ষা।

★ উপকার করিবার ইচ্ছা = উপচিকীর্ষা।

★ লাভ করিবার ইচ্ছা = লিপ্সা।

★ গমনের ইচ্ছা = জিগমিষা।

★ জয় করিবার ইচ্ছা জিগীষা।

★ জানিবার ইচ্ছা = জিজ্ঞাসা।

★ শুনিবার ইচ্ছা = শুশ্রূষা।

★ মুক্তির বাসনা = মুমুক্ষা।

★ মরিবার ইচ্ছা = মুমূর্ষা।

★ যাহার মৃত্যু নিকটবর্তী = মুমূর্ষু।

★ খাইবার ইচ্ছা = বুভুক্ষা।

★ ক্ষমা করিবার ইচ্ছা = তিতিক্ষা।

★ দেখিবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা।

★ পার হইতে বা ত্রাণ লাভ করিতে অভিলাষী = তিতীর্ষ।

★ হনন [হত্যা বা বধ] করিবার ইচ্ছা = জিঘাংসা ।

★ পান করিবার ইচ্ছা = পিপাসা।

★ সহ্য করা যাহার স্বভাব = সহিষ্ণু।

★ যাহা বৃদ্ধি পাইতেছে = বর্ধিষ্ণু।

★ যাহা ক্ষয় পাইতেছে = ক্ষয়িষ্ণু।

★ যাহা পুনঃ পুনঃ দুলিতেছে = দোদুল্যমান।

★ যাহা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে বা জ্বল্ জ্বল্ করিতেছে = জাজ্বল্যমান।

★ যে পুনঃ পুনঃ কাঁদিতেছে = রোরুদ্যমান।

★ যাহা উড়িয়া যাইতেছে = উড়ন্ত, উড্ডীয়মান।

★ যাহা ধূম উদিগরণ করিছে = ধূমায়মান।

★ যাহা দীপ্তি পাইতেছে = দীপ্যমান।

★ যাহা সঞ্চয় করা হইতেছে = সঞ্চীয়মান।

★ যে বস্তুর অপচয় হইতেছে = অপচীয়মান।

★ যে কষ্ট সহিতে পারে = কষ্টসহিষ্ণু।

★ যাহারা এক স্থান হইতে অন্যস্থানে যাতায়াত করে = যাযাবর।

★ যে নিজেকে পণ্ডিত মনে করে = পণ্ডিতন্মন্য।

★ যে নারী সূর্যকে দেখে নাই = অসূর্যম্পশ্যা।

★ যিনি বহু দেখিয়াছেন = বহুদর্শী, ভুয়োদর্শী।

★ যিনি দূরের ঘটনাও দেখিতে পান = দূরদর্শী।

★ পরিণামে কি হইবে দেখার ক্ষমতা যাহার নাই = অপরিণামদর্শী।

★ যে নারীর বিবাহ হয় নাই = অনূঢ়া।

★ যে কর্মের অযোগ্য = অকর্মণ্য

★ অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী।

★ মধু পান করে যে = মধুপ।

★ গৃহে থাকে যে = গৃহস্থ।

★ ঈশ্বরের অস্তিত্বে যে বিশ্বাস করে = আস্তিক।

★ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না যে = নাস্তিক।

★ মনুর পুত্র = মানব।

★ দনুর পুত্র = দানব।

★ অদিতির পুত্র আদিত্য। পৃথুর পুত্র = পার্থ।

★ ভৃগুর পুত্র = ভাগব।

★ কুন্তীর পুত্র = কৌন্তেয়।

★ জনকের কন্যা = জানকী।

★ ব্যাকরণ জানেন যিনি = বৈয়াকরণ।

★ বিজ্ঞান জানেন যিনি = বৈজ্ঞানিক।

★ ইতিহাস জানেন যিনি = ঐতিহাসিক

★ স্মৃতি জানেন যিনি = স্মার্ত।

★ বুদ্ধের উপাসনা করেন যিনি = বৌদ্ধ।

★ বিষ্ণুর উপাসনা করেন যিনি = বৈষ্ণব

★ শক্তির উপাসনা করেন যিনি = শাক্ত।

★ গণপতির উপাসনা করেন যিনি গাণপত্য।

★ শিবের উপাসনা করেন যিনি = শৈব

★ সব চেয়ে বড় = জ্যেষ্ঠ।

★ সব চেয়ে ছোট = কনিষ্ঠ।

★ যাহা বনে জাত = বন্য, বনজ।

★ যাহা যুক্তিসঙ্গত নহে = অযৌক্তিক।

★ যে স্ত্রীর বশীভূত = স্ত্ৰৈণ।

★ রেশমে নির্মিত = রেশমী।

★ শরীর সম্বন্ধীয় = শারীরিক।

★ যাহা হেমন্তকালে জন্মে = হৈমন্তিক।

★ যাহা শরৎকালে ঘটে = শারদীয়।

★ যিনি ঋষির মতন = ঋষিকল্প।

★ বোকার মত = বোকাটে।

★ পাগলের মত = পাগলাটে

★ ডুব দিতে জানে যে = ডুবুরি।

★ যে বিনা বেতনে কাজ করে বা যাহাতে বেতন লওয়া হয় না = অবৈতনিক।

★ দিবসের শেষ ভাগ = অপরাহ্ন।

★ যে তীর নিক্ষেপ করে = তীরন্দাজ।

★ পরিতুষ্ট হইয়া যাহা দেওয়া হয় =পারিতোষিক।

★ যিনি পুরাকালের বিষয় জানেন = পুরাতাত্ত্বিক।

★ পার হইবার জন্য যে মূল্য = পারানি।

★ পূর্বকাল সম্পর্কিত = প্রাক্তন।

★ বালকের অহিত = বালাই।

★ বার মাসের কাহিনী = বারমাস্যা।

★ ময়ূরের কণ্ঠের ন্যায় রং যাহার = ময়ূরকণ্ঠী।

★ জুয়া খেলে যে = জুয়ারী বা জুয়াড়ী।

★ চৈত্রমাসে উৎপন্ন = চৈতালী।

★ পাটনায় উৎপন = পাটনাই।

★ যে সাপ ধরিতে পটু = সাপুড়িয়া, সাপুড়ে।

★ প্রভাত হয় হয় = প্রভাতকল্প।

★ যে বহু কথা বলে বাচাল। যে মায়া জানে না = অমায়িক।

★ আট মাস যে জন্মিয়াছে = আটাশে।

★ এক পঙ্ক্তিতে বসার অযোগ্য = অপাঙ্ক্তেয়।

★ কোথাও উঁচু কোথাও নীচু = বন্ধুর।

★ যাহা সারাদিন [আট প্রহর] ব্যবহৃত হয় = আটপৌরে।

★ নদী মাতা যাহার = নদীমাতৃক।

★ যে রোগ নির্ণয়ে হাতড়াইয়া মরে = হাতুড়ে।

★ যে বিচার না করিয়া কাজ করে = অবিমৃষ্যকারী।

★ পতিপুত্রযুক্তা নারী = বীরা।

★ যে নারী পতিপুত্রহীনা = অবীরা।

★ যে জমিতে দুইবার ফসল হয় = দোফসলী।

★ দুই দিকের হার [অনুপাত] সমান যাহার = দোহারা।

★ দুইয়ের মধ্যে একটি = অন্যতর।

★ বর্ণমালার পারম্পর্য রক্ষা করিয়া = বর্ণানুক্রমিক।

★ যিনি পণ্ডিত হইয়াও মূৰ্খ = পণ্ডিতমূৰ্খ।

★ গো-র ন্যায় বেচারী = গোবেচারী।

★ শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।

★ বীর যে শিশু = শিশুবীর।

★ শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী।

★ পা হইতে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক।

★ জীবন পর্যন্ত = আজীবন।

★ দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ।

★ ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ।

★ কূলের বিরুদ্ধে = প্রতিকূল।

★ জন্ম হইতে অন্ধ = জন্মান্ধ।

★ পুত্র নাই যাহার = অপুত্রক।

★ পত্নী মৃত হইয়াছে যাহার = বিপত্নীক।

★ পত্নীর সহিত বর্তমান = সপত্নীক।

★ একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ।

★ কানে কানে যে মন্ত্রণা = কানাকানি।

★ যাহার সর্বস্ব হৃত হইয়াছে = হৃতসর্বস্ব।

★ কৃষি মাতা যে দেশের = কৃষিমাতৃক।

★ দুইদিকে অপ্ [জল] যাহার = দ্বীপ।

★ যে স্ত্রীর ভর্তা [স্বামী] বিদেশে আছেন = প্রোষিতভর্তৃকা।

★ যাহার মন অন্য দিকে নাই = অনন্যমনা।

★ যাহার দাড়ি জন্মায় নাই = অজাতশ্মশ্রু।

★ সুগন্ধ আছে যাহার = সুগন্ধি।

★ গাণ্ডীব ধনু যাহার = গাণ্ডীবধন্বা।

★ স্বামী নাই যাহার = বিধবা।

★ যাহার মমতা নাই = নির্মম।

★ সমুদ্র হইতে হিমাচল পর্যন্ত = আসমুদ্র-হিমাচল।

★ সাগর সমেত পৃথিবী = সসাগরা-পৃথিবী।

★ যাহার পরিমাণ করা যায় না= অপরিমেয়

★ যাহার উপায় নাই = নিরুপায়।

★ যাহার অন্য উপায় নাই = অনন্যো পায়।

★ যাহার ভাতের অভাব আছে = হাভাতে।

★ যাহার ঘরের অভাব আছে = হা-ঘরে।

★ যাহার কুল ও শীল জানা নাই = অজ্ঞাতকূলশীল।

★ যাহা খুব [অতি] দীর্ঘ নহে = নাতিদীর্ঘ।

★ যাহা অতি শীতও নয়, উষ্ণও নয় = নীতিশীতোষ্ণ।

★ সামান্য উষ্ণ = কবোষ্ণ।

★ যাহা হইতে পারে না = অসম্ভব।

★ যাহা শোনার যোগ্য নহে = অশ্রাব্য।

★ যাহা বলার যোগ্য নহে = অকথ্য।

★ কৰ্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত = আকর্ণ। জন্ম হইতে = আজন্ম।

★ মৃত্যু [মরণ] পর্যন্ত = আমৃত্যু [আমরণ]।

★ উপস্থিত বুদ্ধি যাহার আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি।

★ যাহা প্রথমে মধুর = আপাতমধুর।

★ যতটা পারা যায় [শক্তিকে অতিক্রম না করিয়া] = যথাশক্তি।

★ যে বিদেশে থাকে = প্রবাসী।

★ শৈশব হইতে = আশৈশব।

★ কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ।

★ জানু পর্যন্ত লম্বিত = আজানুলম্বিত।

★ নাভি পর্যন্ত লম্বিত হার = ললন্তিকা

★ পথ দেখায় যে =পথপ্রদর্শক।

★ শিক্ষার উপর নির্ভর না করিয়া = শিক্ষা-নিরপেক্ষ।

★ যে পরিমিত কথা বলে = মিতভাষী।

★ যে আয় বুঝিয়া ব্যয় করে = মিতব্যয়ী।

★ যে গলায় কাপড় দিয়াছে = গললগ্নীকৃতবাস।

★ ইন্দ্রিয় জয় করিয়াছেন যিনি = জিতেন্দ্রিয়।

★ যাহার দ্বিতীয় বা সদৃশ নাই = অদ্বিতীয়।

★ যাহা নিজ অধিকারের বহির্ভূত, তাহার চর্চা = অনধিকারচর্চা।

★ যাহা অন্য ব্যক্তিতে সাধারণ নয় = অনন্যসাধারণ।

★ কুৎসিত আকার যাহার = কদাকার।

★ খেলায় পটু যে = খেলোয়াড়।

★ যে নারীর একটিমাত্র সন্তান = কাকবন্ধ্যা।

★ যে শুভক্ষণে জন্মিয়াছে = ক্ষণজন্মা

★ যাহার ঘাম ঝরিতেছে = গলদঘর্ম।

★ দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের সন্ধিক্ষণ = গোধূলি।

★ যে গাছে বছরে দুইবার ফল ধরে = দোফলা।

★ দুই রথীর যুদ্ধ = দ্বৈরথ।

★ ধনুর দ্বারা যে যুদ্ধ করে = ধনুর্ধর।

★ যে কাহারও অপেক্ষা রাখে না = নিরপেক্ষ।

★ যাহার গুণ নাই = নির্গুণ।

★ যাহার জন্য কর দিতে হয় না = নিষ্কর।

★ পরের সৌভাগ্য দেখিলে যে কাতর হয় = পরশ্রী কাতর।

★ মৃত্যু কামনায় উপবাস = প্রায়োপবেশন।

★ সর্বজন সম্বন্ধীয় • সার্বজনীন।

★ সর্বজনের কল্যাণে = সবর্জনীন।

★ যাহার অনুরাগ দূরত্ব হইয়াছে = বীতরাগ।

★ খরচের হিসাব নাই যাহার =বেহিসাবী।

★ বন্দোবস্তের অভাব=বেবন্দোবস্ত।

★ ছল করিয়া কান্না = মায়াকান্না।

★ যে নারীর হাসি শুচি = শুচিস্মিতা।

★ স্ত্রীর সহিত বর্তমান = সন্ত্ৰীক।

★ হৃদয়ের প্রীতিকর = হৃদ্য।

★ যেখানে মাছি প্রবেশ করিতে পারে না = নিমক্ষিক।

★ যে কোন অবলম্বন ছাড়াই থাকে = নিরালম্ব।

★ যাহার কিছুই নাই = নিঃস্ব, অকিঞ্চন।

★ হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের সমাহার = চতুরঙ্গ।

★ যে নারীর সন্তান হয় না = বন্ধ্যা।

★ যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।

★ বেদান্ত জানেন যিনি = বৈদান্তিক।

★ বেদ জানেন যিনি = বেদজ্ঞ।

★ যাহার শ্রী আছে = শ্রীমান, শ্রীমতী [নারী]।

★ পুরুষের উদ্দাম নৃত্য = তাণ্ডব।

★ বাঘের চামড়া = কৃত্তি।

★ হরিণের চামড়া = অজিন।

★ পরিব্রাজকের বৃত্তি = প্রব্রজ্যা।

★ পরিব্রাজকের ভিক্ষা = মাধুকরী।

★ হস্তীর চীৎকার = বৃংহণ, বৃংহিত।

★ ধনুকের শব্দ = টঙ্কার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top