Class 9 Science Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ?

Class 9 Science Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ? Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Science Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ? and select needs one.

Class 9 Science Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ?

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 9 Science Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ? Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 9 Science Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ? These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Science in Bengali Chapter 2 আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ? for All Subject, You can practice these here…

আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ?

               Chapter – 2

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। দ্রব্য (Substance) বলতে কি বোঝায় ?

উত্তরঃ প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ দ্রব্য খুবই বিরল। একটি বিশুদ্ধ পদার্থ কেবল এক ধরনের অণুর দ্বারা গঠিত। বিশুদ্ধ পদার্থ কেবলমাত্র নির্দিষ্ট উষ্ণতায় গলে বা কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়। যেমন- চিনি, লবণ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২। সমসত্ব ও অসমসত্ব মিশ্রণের পার্থক্যগুলো বর্ণনা কর।

উত্তরঃ সমসত্ব ও অসমসত্ব মিশ্রণের পার্থক্যগুলো হল-

সমসত্ব মিশ্রণঅসমসত্ব মিশণ
(ক) পদার্থের অণুগুলির পৃথকীকরণের কোন সীমারেখা থাকে না।(ক) পদার্থের অণুগুলির পৃথকীকরণের  সীমারেখা থাকে।
(খ) মিশ্রণের গঠন বা প্রকৃতি মিশ্রণের সব অংশেই সমান হয়। যেমন চিনি বা লবণ এবং জলের মিশ্রণ সমসত্ব।(খ) মিশ্রণের গঠন বা প্রকৃতি সব অংশে সমান থাকে না। যেমন কয়েকটি চক্রের টুকরো এবং সম পরিমাণের পটাসিয়াম পারমাঙ্গনেট ভালভাবে মিশ্রিত করলে মিশ্রণটি অসমসত্ব মিশ্রণ হয়।

প্রশ্ন ৩। উদাহরণসহ সমসত্ব ও অসমসত্ব মিশ্রণের পার্থক্যগুলো দেখাও।

উত্তরঃ মিশ্রণে থাকা উপাদান সমূহের প্রকৃতি অনুযায়ী যে কোন মিশ্রণকে সমসত্ব এবং অসমসত্ব এই দুইটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়।

যে মিশ্রণের গঠন বা প্রকৃতি মিশ্রণের সব অংশেই সমান হয় তাকে সমসত্ব মিশ্রণ বলে।

যেমন- কঠিন দ্রবণ – শঙ্কর ধাতু যথা- ষ্টিল, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি।

তরল দ্রবণ – জলের সঙ্গে চিনির দ্রবণ, সমুদ্রের জল ইত্যাদি।

গ্যাসীয় দ্রবণ – বায়ু, স্বাভাবিক গ্যাস ইত্যাদি হল সমসত্ব মিশ্রণ।

এবং কঠিন + কঠিন – চিনি ও বালি।

কঠিন + তরল – পেষ্ট।

কঠিন + গ্যাস – ধোঁয়া।

তরল + তরল – দুধ ।

তরল + গ্যাস – সাবানের বুদবুদ ইত্যাদি হল অসমসত্ব মিশণ।

প্রশ্ন ৪। সল (Sol), দ্রবণ ও প্রলম্বনের মধ্যে পার্থক্য কি কি ?

উত্তরঃ দ্রবণ (Sol) – দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ব মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। দ্রবণ বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন- তরলে কঠিন পদার্থ, তরলে গ্যাসীয় পদার্থ অথবা তরলে অন্য একটি তরল পদার্থ মিশ্রিত করে।

কলয়ডীয় দ্রবণ (Colloidal Solution) – এই দ্রবণে কণিকাগুলি খালি চোখে দেখা যায় না। আবার তরলটি থেকে সহজে পৃথক করাও যায় না। কলয়ডীয় দ্রবণ অস্বচ্ছ হয়।

প্রলম্বন (Suspension) – যে সমস্ত অসমসত্ব মিশ্রণে পদার্থের কণিকাগুলিকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় সেই মিশ্রণগুলিকে প্রলম্বন বলে। একটি প্রলম্বনকে নাড়াচাড়া না করে রেখে দিলে প্রলম্বিত বা ভাসমান কণিকাগুলি ধীরে ধীরে পাত্রের নীচে জমা হয়। দ্রবণের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ধরনের হয় না।

প্রশ্ন ৫। কোন সম্পৃক্ত দ্রবণ বানাতে 293 k উষ্ণতায় 36 গ্রাম সোডিয়াম ক্লোরাইড 100 গ্রাম জলে দ্রবীভূত করা হয়। এই উষ্ণতায় দ্রবণটির গাঢ়তা নিরূপণ কর।

উত্তরঃ সোডিয়াম ক্লোরাইডের (দ্রাব্য) ভর = 36 গ্রাম।

জলের (দ্রাবকের) ভর = 100 গ্রাম।

এতেকে, দ্রবণের ভর = (100 + 36) = 136 গ্রাম।

এতেকে, দ্রবণের ঘনত্ব = 36⁹/136₃₄ × 100%

= 900/34%

= 26.47 %

প্রশ্ন ৬। কেরোসিন এবং পেট্রলের মিশ্রণীয় দ্রবণকে কিভাবে পৃথক করবে? (তাদের উতলাংকের পার্থক্য 25°C% থেকে বেশী)

উত্তরঃ কেরোসিন এবং পেট্রোল দুইটিকেই গরম করলে, উহাদের অণুগুলি ভেঙ্গে যায় না এবং তাদের স্কুটনাংক এক নয়। সেইজন্য এদের সাধারণ পাতন প্রণালীতে পৃথক করা যায়।

প্রথমে কেরোসিন এবং পেট্রোলের মিশ্রণ পাতন ফ্লাক্সে রেখে একে উত্তপ্ত করলে পেট্রোলিয়াম বাষ্পীভূত হয়ে শীতক নলীর মধ্যদিয়া প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ঘনীভূত হয়ে ফ্লাক্সে জমা হবে। পাতন ফ্লাক্সে একটি থার্মোমিটার লাগাতে হবে। কোন এক নির্দিষ্ট উষ্ণতায় থার্মোমিটারের তাপমাত্রা স্থির থাকবে। থার্মোমিটারের তাপমাত্রা পুনরায় পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ফলে কেরোসিন পাতন ফ্লাক্সে জমা হবে।

এইভাবে পেট্রোল এবং কেরোসিনের মিশ্রণ পৃথক করা যায়।

প্রশ্ন ৭। কি পদ্ধতি দ্বারা পৃথক করা যায়-

(ক) দই থেকে মাখন ।

(খ) সাগর জল থেকে নুন ।

(গ) নুন থেকে কর্পূর।

উত্তরঃ পৃথকীকরণ পদ্ধতি হল-

(ক) দই থেকে মাখন = অপকেন্দ্রীক।

(খ) সমুদ্রের জল থেকে লবণ = বাষ্পীভবন।

(গ) নুন থেকে কর্পূর = ঊর্ধপাতন।

প্রশ্ন ৮। স্ফটিকীকরণ পদ্ধতির সাহায্যে কোন ধরনের মিশ্রণকে পৃথক করা যায় ?

উত্তরঃ স্ফটিকীকরণ পদ্ধতি সাধারণত ব্যবহার করা হয়-

(ক) সমুদ্রের জল হতে পাওয়া লবণ বিশুদ্ধ করতে।

(খ) বিভিন্ন দ্রবণ হইতে বিশুদ্ধ পদার্থ বের করতে।

প্রশ্ন ৯। নিম্নোক্তগুলো ভৌতিক না রাসায়নিক পরিবর্তন ?

(ক) গাছ কাটা।

(খ) পাত্রে মাখন লাগানো।

(গ) আলমারীতে মরিচা ধরা।

(ঘ) জল ফুটিয়ে বাষ্পে পরিণত করা।

(ঙ) জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ জলের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে জলকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে পরিবর্তন করা।

(চ) জলে নুন দ্রবীভূত করা।

(ছ) আঁরাধ (raw) ফল দিয়ে ফলের স্যালাড তৈরী করা।

(জ) কাগজ এবং কাঠের দহন।

উত্তরঃ (ক) গাছ কাটা – ভৌত পরিবর্তন।

(খ) পাত্রে মাখন গলানো – ভৌত পরিবর্তন।

(গ) আলমারীতে মরিচা ধরা – রাসায়নিক পরিবর্তন।

(ঘ) জলকে ফুটিয়ে বাষ্পে পরিণত করা – ভৌত পরিবর্তন।

(ঙ) জলের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে জলকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্যাসে পরিণত করা – রাসায়নিক পরিবর্তন।

(চ) জলের সঙ্গে সাধারণ লবণের দ্রবণ – ভৌত পরিবর্তন।

(ছ) বিভিন্ন ফল হতে ফলের সালাড তৈরী করা – ভৌত পরিবর্তন।

(জ) কাগজ এবং কাঠ জ্বালানো – রাসায়নিক পরিবর্তন।

প্রশ্ন ১০। তোমার চারিদিকে দেখা পদার্থগুলিকে বিশুদ্ধ পদার্থ এবং মিশ্রণে পৃথক কর।

উত্তরঃ আমাদের চারিদিকে থাকা বিশুদ্ধ পদার্থগুলি হল- জল, চিনি, তার, লবণ ইত্যাদি। এবং মিশ্রণ হল-বায়ু, দই, রুটি, L.P.G ইত্যাদি।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নিম্নলিখিতগুলোকে পৃথক করার জন্য কোন পৃথকীকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করবে ?

(ক) সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণ থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড।

(খ) সোডিয়াম ক্লোরাইড ও এমোনিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণ থেকে এমোনিয়াম ক্লোরাইড।

(গ) মোটর গাড়ীর ইঞ্জিন তেলে থাকা ছোট ছোট ধাতুর টুকরা।

(ঘ) ফুলের পাপড়ির নির্যাস (extract) থেকে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ।

(ঙ) দই থেকে মাখন।

(চ) জল থেকে তেল।

(ছ) চা থেকে চা-পাতা।

(জ) বালি থেকে লোহার পিন।

(ঝ) তুষ (husk) থেকে ভুট্টার দানা।

(ঞ) জলে প্রলম্বিত হয়ে থাকা বালির সূক্ষ্ম কণাগুলি।

উত্তরঃ (ক) স্ফটিকাকরণ অথবা বাষ্পীভবন।

(খ) ঊর্ধপাতন।

(গ) অপকেন্দ্রীক পদ্ধতি বা পরিস্রাবণ।

(ঘ) বর্ণবিন্যাস পদ্ধতি।

(ঙ) অপকেন্দ্রীক পদ্ধতি।

(চ) ফানেল দ্বারা পৃথকীকরণ।

(ছ) পাতন প্রণালী।

(জ) চুম্বক দ্বারা পৃথকীকরণ।

(ঝ) ঝেড়ে পৃথক করার পদ্ধতি।

(ঞ) অপকেন্দ্রীক পদ্ধতি।

প্রশ্ন ১। চা তৈরী করতে অবলম্বন করা ধাপগুলোর নাম লিখ। নিম্নোক্ত শব্দগুলি ব্যবহার করবে- দ্রবণ, দ্রাবক, দ্রাব্য, দ্রবীভূত, দ্রবণীয়, অদ্রবণীয়, পরিশ্রুত এবং অবশেষ।

উত্তরঃ প্রথমে একটি কেটলিতে দ্রাবক জল নেওয়া হল। একে গরম করতে হবে। দ্রাবক জল যখন ফুটতে আরম্ভ করবে তখন দ্রাব্য দুধ জলের সঙ্গে মিশাতে হবে এবং এই মিশ্রণটি হবে দ্রবণ। এতে কিছু চা-পাতা এবং চিনি দিতে হবে যারা দ্রাব্য। চিনি দ্রবীভূত হবে কিন্তু চা-পাতা অবশিষ্ট হিসাবে থেকে যাবে, যা দ্রবীভূত নহে। এখন ছাকনীর দ্বারা হেঁকে নিলে চা-পাতা অবশিষ্ট হিসাবে ছাকনীতে থেকে যাবে এবং দ্রবীভূত চা তৈরী হবে।

প্রশ্ন ৩। প্রজ্ঞা বিভিন্ন উষ্ণতায় তিনটি বিভিন্ন পদার্থের দ্রাব্যতা পরীক্ষা করল এবং নিম্নোক্ত তথ্য সংগ্রহ করল। (100 গ্রাম সংপৃক্ত দ্রবণ তৈরী করতে কত গ্রাম পদার্থ লাগবে সেই হিসাবে গণনার ফলাফল নীচের তালিকাতে দেখানো হলো।

উত্তরঃ (ক) 313 k উষ্ণতায় 62 গ্রাম পটাসিয়াম নাইট্রাইট 100gm জলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সংপৃক্ত দ্রবণ তৈরী করে।

এতেকে, 50 gm. জলের জন্য প্রয়োজন হবে 31gm. পটাসিয়াম নাইট্রাইটের।

(খ) যেহেতু দ্রবণটি ঠাণ্ডা সুতরাং পটাসিয়াম ক্লোরাইড স্ফটিকাকার বা অধঃক্ষেপ হিসাবে থাকবে। কারণ 353k উষ্ণতায় পটাসিয়াম ক্লোরাইডের 54gm দ্রবণে 100 gm জলের প্রয়োজন হবে। যেখানে ঘরের তাপমাত্রা 20°C -এ 35gm. সুতরাং অতিরিক্ত পটাসিয়াম ক্লোরাইড দ্রবীভূত হয়ে অধঃক্ষেপ হিসাবে থাকবে।

(গ) 20°C বা 293 k উষ্ণতায় এমোনিয়াম ক্লোরাইডের দ্রাব্যতা সবচেয়ে বেশী।

(ঘ) উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রবণীয়তাও বাড়ে।

প্রশ্ন ৪। উদাহরণসহ নিম্নোক্ত অবস্থাগুলো ব্যাখ্যা কর।

(ক) সংপৃক্ত দ্রবণ।

(খ) বিশুদ্ধ দ্রব্য।

(গ) কলয়ড।

(ঘ) প্রলম্বন ।

উত্তরঃ সংপৃক্ত দ্রবণ – কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোন দ্রবণে যদি আর দ্রাব্য দ্রবীভূত না হয় তবে তাকে সংপৃক্ত দ্রবণ বলে। মনে করি 35 gm. দ্রাব্য যা সবচেয়ে বেশী 100 gm জলে দ্রবীভূত হয় 290k উষ্ণতায় তবে (100 + 35) gm = 135 হবে সংপৃক্ত দ্রবণ।

বিশুদ্ধ পদার্থ – প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ পদার্থ খুবই বিরল। একটি বিশুদ্ধ পদার্থ কেবল. এক ধরনের অণুর দ্বারা গঠিত হয়। বিশুদ্ধ পদার্থ সর্বদা নির্দিষ্ট উষ্ণতায় গলে বা কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়। যেমন- বিশুদ্ধ জল।

কলয়ডীয় দ্রবণ – কলয়ডীয় দ্রবণে কণিকাগুলিকে খালি চোখে দেখা যায় না। এদের তরলটি হতে সহজে পৃথক করা যায় না। কলয়ডীয় দ্রবণ অস্বচ্ছ। যেমন- ধোঁয়া, মেঘ, কুয়াশা, দুধ ইত্যাদি।

প্রলম্বন – যে সমস্ত অসমসত্ব মিশ্রণে পদার্থের কণিকাগুলিকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায়, সেই মিশ্রণগুলিকে প্রলম্বন বলে। এরা অসমসত্ব মিশ্রণ। যেমন- জলের মধ্যে কাদার কণিকা।

প্রশ্ন ৫। নিম্নোক্তগুলিকে সমসত্ব অথবা অসমসত্ব মিশ্রণে ভাগ কর- সোডা ওয়াটার, কাঠ, বায়ু, ভিনিগার, পরিশ্রুত চা।

উত্তরঃ সমসত্ব মিশ্রণ – সোডা জল, বায়ু, ভিনিগার, পরিশোধিত চা।

অসমসত্ব মিশ্রণ – কাঠ, মাটি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। তোমাকে দেওয়া বর্ণবিহীন তরলটি যে বিশুদ্ধ জল তা তুমি কিভাবে নিশ্চিত করে বলবে ?

উত্তরঃ প্রত্যেক তরলের 1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের স্কুটনাংক থাকে। যদি রংবিহীন তরল পদার্থটির ঠিক 373k উষ্ণতায় বায়ু মণ্ডলীয় চাপে থাকে তবে এটি বিশুদ্ধ জল হবে।

প্রশ্ন ৭। নিম্নোক্তগুলোর মধ্যে কোনগুলো “বিশুদ্ধ দ্রব্য” শ্রেণীতে পড়ে-

(ক) বরফ। 

(খ) দুধ। 

(গ) লোহা। 

(ঘ) হাইড্রোক্লরিক এসিড। 

(ঙ) ক্যালসিয়াম অক্সাইড। 

(চ) পারদ (মার্কারী)। 

(ছ) ইঁট। 

(জ) কাঠ। 

(ঝ) বায়ু।

উত্তরঃ বিশুদ্ধ পদার্থ হল-

(ক) বরফ ।

(খ) লোহা ।

(ঘ) হাইড্রোক্লোরিক এসিড ।

(ঙ) ক্যালসিয়াম অক্সাইড ।

(চ) পারদ ।

প্রশ্ন ৮। নিম্নোক্ত দ্রব্যগুলোর মধ্যে কোনগুলো বণ ?

(ক) মাটি । 

(খ) সাগরের জল ।

(গ) বায়ু ।

(ঘ) কয়লা ।

(ঙ) সোডা ওয়াটার।

উত্তরঃ দ্রবণ হল- সমুদ্রের জল, বায়ু এবং সোডা জল।

প্রশ্ন ৯। নিম্নোক্ত দ্রব্যগুলোর মধ্যে কোনটি টিন্ডেল প্রভাব (Tyndall effect) প্রদর্শন করে ?

(ক) নুনের দ্রবণ। 

(খ) দুধ।

(গ) কপার সালফেট দ্রবণ।

(ঘ) শ্বেতসার দ্রবণ (Starch Solution)

উত্তরঃ (খ) দুধ । এবং 

(ঘ) ষ্টার্চ (শ্বেতসার) দ্রবণ হল কলয়ডীয় দ্রবণ যারা (Tyndall effect) দেখায়।

প্রশ্ন ১০। নিম্নোক্তগুলিকে মৌল, যৌগ ও মিশ্রণে ভাগ কর-

(ক) সোডিয়াম।

(খ) মাটি।

(গ) চিনির দ্রবণ।

(ঘ) রূপা।

(ঙ) কেলসিয়াম কার্বনেট।

(চ) টিন।

(ছ) সিলিকন। 

(জ) কয়লা।

(ঝ) বায়ু।

(ঞ) সাবান। 

(ট) মিথেন।

(ঠ) কার্বন-ডাই অক্সাইড।

(ড) রক্ত।

উত্তরঃ মৌল- সোডিয়াম, সিল্ভার, টিন, সিলিকন।

যৌগ- কেলসিয়াম কার্বনেট, মিথেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড।

মিশ্রণ- মাটি, চিনির দ্রবণ, কয়লা, বায়ু সাবান, রক্ত।

প্রশ্ন ১১। নিম্নোক্ত প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে কোনগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়া ?

(ক) উদ্ভিদের বৃদ্ধি। 

(খ) লোহায় মরিচা ধরা। 

(গ) লৌহ চূর্ণ ও বালি মিশ্রিত করা। 

(ঘ) খাদ্য রন্ধন। 

(ঙ) খাদ্যের পরিপাক। 

(চ) জলের হিমায়ন (freezing of water) 

(ছ) মোমের প্রজ্বলন।

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি হল-

(ক) উদ্ভিদের বৃদ্ধি।

(খ) লোহায় মরিচা ধরা। 

(গ) খাদ্য রন্ধন করা।

(ঘ) খাদ্য পাচন হওয়া প্রণালী।

(ঙ) মোমের জ্বলা।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। একটি ঊর্ধ্বক্ষেপ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ আয়োডিন।

প্রশ্ন ২। জল ও অ্যালকোহলের মিশ্রণকে কোন পদ্ধতিতে আলাদা করবে ?

উত্তরঃ আংশিক পাতন দ্বারা।

প্রশ্ন ৩। কালির উপাদানগুলিকে কোন পদ্ধতিতে পৃথক করবে।

উত্তরঃ ক্রোমাটোগ্রাফি দ্বারা।

প্রশ্ন ৪। একটি অর্ধভেদ্য পর্দার উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ মাছের পটকা।

প্রশ্ন ৫। জল ও কেরোসিনের মিশ্রণকে কোন পদ্ধতিতে পৃথক করা যায়।

উত্তরঃ বিয়োজি ফানেল দ্বারা।

প্রশ্ন ৬। এমন একটি মিশ্রণের নাম লেখো যার উপাদানগুলি ঊর্ধ্বপাতন দ্বারা পৃথক করা যায়।

উত্তরঃ বালি ও আয়োডিনের মিশ্রণ।

প্রশ্ন ৭। একটি সোদক কেলাসের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ তুঁতে।

প্রশ্ন ৮। দুটি অধাতব মৌলিক পদার্থের নাম লেখো।

উত্তরঃ সালফার ও কার্বন।

প্রশ্ন ৯। দুটি ধাতব মৌলিক পদার্থের নাম লেখো।

উত্তরঃ লোহা, তামা।

প্রশ্ন ১০। দুটি গ্যাসীয় মৌলের নাম লেখো।

উত্তরঃ অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন।

প্রশ্ন ১১। দুটি গ্যাসীয় যৌগের নাম লেখো।

উত্তরঃ অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড।

প্রশ্ন ১২। দুটি সমসত্ব মিশ্রণের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জল ও চিনির দ্রবণ, জল ও লবণের দ্রবণ।

প্রশ্ন ১৩। দুটি অসমসত্ব মিশ্রণের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বায়ু, লবণ ও বালির মিশ্রণ।

প্রশ্ন ১৪। উষ্ণতার সাথে দ্রাব্যতা কিভাবে পরিবর্তিত হয় ?

উত্তরঃ সাধারণত উষ্ণতা বাড়লে দ্রাব্যতা বাড়ে।

প্রশ্ন ১৫। কার্বনের দুটি রূপভেদের নাম লেখো।

উত্তরঃ হীরক ও গ্রাফাইট।

প্রশ্ন ১৬। দ্রবণ, প্রলম্বন এবং কলয়ড প্রত্যেকটির চারটি করে ধর্ম উল্লেখ কর।

উত্তরঃ দ্রবণের ধর্ম –

(ক) দ্রবণ হচ্ছে একটি সমসত্ব মিশ্রণ।

(খ) দ্রবণের কণাগুলির ব্যাস 1 নেনোমিটার (10⁻⁹ মিটার) থেকে কম। সেজন্য এগুলিকে খালি চোখে দেখা যায় না।

(গ) দ্রবণের কণাগুলির আকার খুব কম হওয়ার ফলে আলোক রশ্মি দ্রবণের ভিতর দিয়ে গেলেও বিচ্ছুরিত হয় না। সেজন্য দ্রবণে আলোক রশ্মির গতিপথ যায় না।

(ঘ) দ্রবণকে স্থির অবস্থায় রাখলেও দ্রাব্যের কণাগুলি পাত্রের নীচের দিকে জমা হয় না অর্থাৎ দ্রবণ হচ্ছে সুস্থির।

প্রলম্বনের ধর্ম –

(ক) প্রলম্বন হচ্ছে অসমসত্ব মিশ্রণ।

(খ) প্রলম্বনের কণাগুলিকে খালি চোখে দেখা যায়।

(গ) আলোক রশ্মি প্রলম্বনের মধ্যে পড়লে প্রলম্বনের কণাগুলি আলোক রশ্মিকে বিচ্ছুরিত করে এবং এর ফলে আলোক রশ্মির গতিপথ দেখা যায়।

(ঘ) প্রলম্বনকে স্থিরভাবে রেখে দিলে দ্রাব্য কণাগুলি ধীরে ধীরে পাত্রের নীচে অধঃক্ষিপ্ত হয় অর্থাৎ প্রলম্বন সুস্থির নয়।

কলয়ডের ধর্ম –

(ক) কলয়ড অসমসত্ব মিশ্রণ।

(খ) কলয়ডের কণাগুলি এত ছোট যে এগুলিকে খালি চোখে দেখা যায় না।

(গ) কলয়ডের কণাগুলি কলয়ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত করতে পারার মতো বড় আকারের হয়, ফলে আলোক রশ্মির গতিপথ দেখা যায়।

(ঘ) কলয়ডকে স্থির অবস্থায় রেখে দিলে কলয়ডের কণাগুলি পাত্রের নীচে জমা হয় অর্থাৎ কলয়ড অনেকটা সুস্থির।

প্রশ্ন ১৭। দ্রবণ বলতে কি বুঝ ?

উত্তরঃ দ্রবণ হচ্ছে দুই বা ততোধিক দ্রব্যের সমসত্ব মিশ্রণ। যেমন লেমোনেড, সোডা ওয়াটার ইত্যাদি। যে তরলে কঠিন, তরল বা গ্যাস দ্রবীভূত হয়ে থাকে তাকেই আমরা সাধারণত দ্রবণ বলে মনে করি। কিন্তু তাছাড়াও কঠিন দ্রবণ যেমন সংকর ধাতু, গ্যাসীয় দ্রবণ, বায়ু ইত্যাদি আছে। দ্রবণের কণাস্তরে সমসত্বতা পরিলক্ষিত হয়।

প্রশ্ন ১৮। দ্রাব্য ও দ্রাবক কাকে বলে ?

উত্তরঃ দ্রবণের যে উপাদানটি দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় এবং যার পরিমাণ কম তাকে দ্রাব্য বলে। দ্রবণের যে উপাদান অন্য উপাদানকে দ্রবীভূত করে ও যেটির পরিমাণ বেশি সেই উপাদানটিকে দ্রাবক বলা হয়।

প্রশ্ন ১৯। দ্রবণের কয়েকটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ দ্রবণের কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হল-

(ক) জলে চিনির দ্রবণটি হচ্ছে কঠিন তরল দ্রবণ। এই দ্রবণে চিনি হচ্ছে দ্রাব্য এবং জল হচ্ছে দ্রাবক।

(খ) সোডা ওয়াটারের মতো গ্যাসপূর্ণ পানীয়গুলি হচ্ছে তরলে গ্যাস থাকা দ্রবণ। এগুলোতে দ্রাব্য হচ্ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (গ্যাস) এবং দ্রাবক হচ্ছে জল (তরল)।

(গ) বায়ু হচ্ছে গ্যাসে গ্যাস থাকা মিশ্রণ। বায়ু কতকগুলি গ্যাসের সমসত্ব মিশ্রণ।

প্রশ্ন ২০। টিন্ডেল প্রভাব কি ? নীচের কোনগুলি টিন্ডেল প্রভাব প্রদর্শন করে ?

(ক) দুধ। 

(খ) জলের দ্রবণ। 

(গ) কপার সালফেটের দ্রবণ।

উত্তরঃ কলয়ডীয় কণাগুলি এত ছোট যে সেগুলিকে চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এগুলি আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত করতে পারে। আলোক রশ্মির এই বিচ্ছুরণকে টিন্ডেল প্রভাব (Tyndall effect) বলে।

(ক) দুধ। ও 

(খ) জলের মিশ্রণ টিন্ডেল প্রভাব প্রদর্শন করে।

প্রশ্ন ২১। ঘন অরণ্যের চন্দ্রাতপের মধ্য দিয়ে যখন সূর্যরশ্মি গতি করে তখন টিন্ডেল প্রভাব দেখা যায় কেন ?

উত্তরঃ অরণ্যের কুয়াশাতে থাকা জলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলি কলয়ডের কণার মতো কাজ করে। এই কণাগুলি আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত করতে পারার মতো যথেষ্ট বড়। সেজন্য ঘন অরণ্যের চন্দ্রাতপের মধ্য দিয়ে যখন সূর্যরশ্মি গতি করে তখন টিন্ডেল প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

প্রশ্ন ২২। কোন ঘরের ছোট একটি ছিদ্রের মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি প্রবেশ করলে টিন্ডেল প্রভাব দেখা যায়। এর কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোন ঘরের ছোট একটি ছিদ্রের মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি প্রবেশ করলে টিন্ডেল প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এর কারণ হল বাতাসে থাকা ধূলিকণা ও ধোঁয়ার কণা আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত করে।

প্রশ্ন ২৩। নীচে কতকগুলো কলয়ডের উদাহরণ দেওয়া হল। এই কলয়ডগুলির বিস্তারিত প্রাবস্থা, বিস্তারণ মাধ্যম ও ধরন উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রস্তুত কর।

ঘন কুয়াশা, মেঘ, ধোঁয়া, শেভিং ক্রীম, দুধ, মুখে লাগানো ক্রীম, মিল্ক অফ মেগনেসিয়া, ফেনা, স্পঞ্জ, জেলী, চীজ, মাখন, রঙীন রত্নমণি, অস্বচ্ছ কাচ।

উত্তরঃ

প্রশ্ন ২৪। মিশ্রণের উপাদানগুলি পৃথকীকরণের প্রয়োজনীয়তা কেন ?

উত্তরঃ প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ পদার্থ খুবই বিরল। একটি মিশ্রণে যে কোনো অনুপাতে মিশ্রিত একাধিক পদার্থ থাকে। উপযুক্ত পৃথকীকরণ পদ্ধতির সাহায্যে মিশ্রণকে বিশুদ্ধ দ্রব্যে পৃথক করা যায়। মিশ্রণের উপাদানগুলি পৃথকীকরণ করলে মিশ্রণের প্রতিটি উপাদান সম্বন্ধে জানা যায় ও সেগুলি ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্ন ২৫। অসমসত্ব মিশ্রণগুলিকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সাধারণ ভৌতিক প্রক্রিয়ার দ্বারা তাদের উপাদানগুলিতে পৃথক করা যায় সেই ভৌতিক প্রক্রিয়াগুলো কি কি ?

উত্তরঃ অসমসত্ব মিশ্রণের উপাদানগুলি পৃথকীকরণ করতে ব্যবহৃত কতকগুলি ভৌতিক প্রক্রিয়া হল- হাত দিয়ে বাছা, চালনি দিয়ে চালা, পরিস্রাবণ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৬। অপকেন্দ্রণ প্রক্রিয়া কি ?

উত্তরঃ কখনও তরলে থাকা কঠিন কণাগুলি এত ছোটো হয় যে এগুলিকে পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ার দ্বারা পৃথক করা যায় না। অপকেন্দ্রণ প্রক্রিয়ার দ্বারা এই মিশ্রণগুলিকে পৃথক করা সম্ভবপর হয়। এই প্রক্রিয়ার মূল নীতি হচ্ছে অপকেন্দ্রীকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে নির্দিষ্ট গতিতে মিশ্রণটির ঘূর্ণনের ফলে ভারী কণাগুলি নীচে চলে আসে এবং হাল্কা কণাগুলি উপরেই থেকে যায়।

প্রশ্ন ২৭। জল ও কেরোসিন তেলের মিশ্রণকে কি পদ্ধতি দ্বারা পৃথক করা যায় তা চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তরঃ পৃথকীকরণ ফানেলের সাহায্যে জল ও কেরোসিন তেলের মিশ্রণকে পৃথক করা যায়। এই দুটি অমিশ্রণীয় তরলকে একটি পৃথকীকরণ ফানেলে ঢালি। এটাকে কিছু সময়ের জন্য স্থির অবস্থায় রেখে দিলে তেল ও জলের পৃথক স্তর সৃষ্টি হয়। এখন পৃথকীকরণ ফানেলের স্টপ কক খুলে দিলে নীচের স্তরে জমা হওয়া বেশী ঘনত্বের তরল জল প্রথমে নির্গত হয়। যখন তেল স্টপ ককের কাছে পৌঁছে যায় তখন স্টপ ককটি বন্ধ করি। ফলে কম ঘনত্বের তেল ফানেলেই থেকে যায়। এভাবে জল ও কেরোসিন তেলের মিশ্রণ থেকে জল ও কেরোসিন তেল পৃথক করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মূল নীতি হচ্ছে অমিশ্রণীয় তরল উপাদানগুলি তাদের ঘনত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ২৮। সাধারণ লবণ এবং এমোনিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণকে কিভাবে পৃথক করা যায় তা চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তরঃ ঊর্ধপাতন প্রক্রিয়ায় উদ্বায়ী পদার্থ এমোনিয়াম ক্লোরাইডকে অনুদ্বায়ী পদার্থ সাধারণ লবণ থেকে পৃথক করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় একটি পোর্সেলিনের ‘বেসিনে সাধারণ লবণ (নুন) এবং এমোনিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণ লই। এবার বেসিনটি একটি ফানেলের সাহায্যে ঢেকে উত্তপ্ত করলে উদ্বায়ী এমোনিয়াম ক্লোরাইড সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়ে ফানেলটির ভিতর দিকে গিয়ে জমা হয়। তারপর ফানেলটি সরিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করলে আবার আগের সম পরিমাণে কঠিন এমোনিয়াম ক্লোরাইড পাওয়া যায়। অপরদিকে অনুদ্বায়ী সাধারণ লবণ বা নুন বেসিনে পড়ে থাকে। এভাবে সাধারণ লবণ এবং এমোনিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণ থেকে সাধারণ লবণ (নুন) এবং এমোনিয়াম ক্লোরাইড পৃথক করা হয়।

প্রশ্ন ২৯। কালো কালিতে থাকা রঞ্জকগুলি দুই বা ততোধিক উপাদানের মিশ্রণ তা প্রদর্শন করতে একটি পদ্ধতি বর্ণনা কর।

উত্তরঃ বর্ণ লিখন পদ্ধতি দ্বারা কালো কালিতে থাকা রঞ্জকগুলিকে পৃথকীকরণ – প্রথমে ফিল্টার পেপারের একটি সরু ফিতে কেটে নিই। ফিতেটির নীচের প্রান্ত থেকে প্রায় 3 সে.মি. উপরে একটি রেখা আঁকি। রেখাটির ঠিক মাঝখানে ফাউন্টেন পেন থেকে এক ফোঁটা কালি রাখি এবং সেটি শুকাতে দেই। এখন একটি বিকারে বা জারে জল নিয়ে ফিতেটিকে এমনভাবে ডুবাই যাতে কালির ফোঁটাটি জলের উপরে থাকে। এটিকে স্থিরভাবে রেখে দিলে দেখা যাবে যে জল ধীরে ধীরে ফিল্টার কাগজের উপরের দিকে উঠছে। কালো কালিতে থাকা রঞ্জকগুলি দুই বা ততোধিক রঙের মিশ্রণ। রঙিন উপাদান যেটি বেশি দ্রবণীয় সেটি দ্রুত উপরের দিকে উঠে এবং এভাবে কালিতে থাকা রঞ্জকগুলি পৃথক হয়ে যায়। মিশ্রণের উপাদানগুলি এভাবে পৃথকীকরণের পদ্ধতিকে বর্ণ লিখন বা ক্রোমাটোগ্রাফি (Chromatography) বলা হয়।

প্রশ্ন ৩০। আংশিক পাতন প্রক্রিয়ার মূলনীতি কি ? আংশিক পাতন প্রক্রিয়ার দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক মিশ্রণীয় তরলের মিশ্রণের উপাদানগুলির স্ফুটনাংকের পার্থক্য যদি 25k থেকে কম হয় তাহলে আংশিক পাতন প্রক্রিয়ার দ্বারা উপাদানগুলিকে পৃথক করা হয়।

ব্যবহারিক প্রয়োগ – আংশিক পাতন প্রক্রিয়ার দ্বারা (ক) বায়ুতে থাকা বিভিন্ন গ্যাস পৃথক করতে (ক) পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ থেকে বিভিন্ন অংশ পৃথক করতে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩১। এসিটোন ও জলকে তাদের মিশ্রণ থেকে কিভাবে পৃথক করা যায় তা বর্ণনা কর।

উত্তরঃ এসিটোন ও জলকে তাদের মিশ্রণ থেকে পৃথক করতে প্রথমে মিশ্রণটিকে একটি পাতন ফ্লাস্কে লই। ফ্লাস্কের মুখে একটি থার্মোমিটার লাগাই।

মিশ্রণটিকে ধীরে ধীরে গরম করি ও থার্মোমিটারের দিকে লক্ষ্য রাখি। মিশ্রণের উষ্ণতা এসিটোনের স্ফুটনাংকে পৌঁছানো মাত্র এসিটোন বাষ্পীভূত হয় ও শীতকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ঘনীভূত হয়। শীতকের নির্গম নল থেকে এটাকে সংগ্রহ করা হয়। জল পাতন ফ্লাস্কে থেকে যায়। এভাবে এসিটোন ও জলকে তাদের মিশ্রণ থেকে পাতন প্রক্রিয়ার দ্বারা পৃথক করা যায়।

প্রশ্ন ৩২। পাতন প্রক্রিয়ার দ্বারা কি প্রকারের মিশ্রণকে তাদের উপাদানগুলিতে পৃথক করা হয় ?

উত্তরঃ দুটি মিশ্রণীয় তরল যদি তাদের স্ফুটনাংকে বিয়োজিত না হয় এবং যদি তাদের স্ফুটনাংকের যথেষ্ট প্রভেদ থাকে তাহলে তাদের মিশ্রণকে উপাদানগুলিতে পৃথক করতে পাতন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩৩। পদার্থের ভৌতিক পরিবর্তন বলতে কি বুঝ উদাহরণসহ লেখ।

উত্তরঃ কোনো পদার্থের বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে যে পরিবর্তন ঘটে তাকে ভৌতিক পরিবর্তন বলে। কারণ এই পরিবর্তনের সময় পদার্থটির সংযুতি বা রাসায়নিক ধর্মের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। যেমন- বরফ, জল ও জলীয়বাষ্প এই তিনটির ভৌতিক ধর্ম ভিন্ন কিন্তু রাসায়নিক দিক থেকে এরা একই।

প্রশ্ন ৩৪। রাসায়নিক পরিবর্তন বলতে বুঝ কি ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে পরিবর্তনে পদার্থের ধর্মের আমূল পরিবর্তন হয় ও নতুন পদার্থ সৃষ্টি করে তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। এই প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ আরেকটির সাথে ক্রিয়া করে এবং এর ফলে তাদের রাসায়নিক সংযুতির পরিবর্তন হয়।

রাসায়নিক পরিবর্তনের কয়েকটি উদাহরণ, যথা-

(ক) লোহায় মরিচা ধরা।

(খ) গোটা চূণ গলে যাওয়া।

(গ) জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ করা।

প্রশ্ন ৩৫। নিম্নোক্তগুলো ভৌতিক না রাসায়নিক পরিবর্তন ?

(ক) গাছ কাটা। 

(খ) পাত্রে মাখন গলানো। 

(গ) আলমারীতে মরিচা ধরা। 

(ঘ) জল ফুটিয়ে বাষ্পে পরিণত করা। 

(ঙ) জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ করা। 

(চ) জলে নুন দ্রবীভূত করা। 

(ছ) কাঁচা ফল দিয়ে ফলের স্যালাড তৈরি করা। 

(জ) কাগজ এবং কাঠের দহন।

উত্তরঃ (ক) গাছ কাটা – ভৌতিক পরিবর্তন। 

(খ) পাত্রে মাখন গলানো – ভৌতিক পরিবর্তন। 

(গ) আলমারীতে মরিচা ধরা – রাসায়নিক পরিবর্তন।

(ঘ) জল ফুটিয়ে বাষ্পে পরিণত করা – ভৌতিক পরিবর্তন। 

(ঙ) জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ করা – রাসায়নিক পরিবর্তন। 

(চ) জলে নুন দ্রবীভূত করা – ভৌতিক পরিবর্তন। 

(ছ) কাঁচা ফল দিয়ে ফলের স্যালাড তৈরি করা – ভৌতিক পরিবর্তন। 

(জ) কাগজ এবং কাঠের দহন – রাসায়নিক পরিবর্তন।

প্রশ্ন ৩৬। বিশুদ্ধ পদার্থ কি কি প্রকারের হয় ?

উত্তরঃ রাসায়নিক সংযুতির উপর ভিত্তি করে বিশুদ্ধ পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা- মৌল ও যৌগ।

প্রশ্ন ৩৭। মৌলের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ মৌল হচ্ছে পদার্থের মূল রূপ যা কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা সরলতর পদার্থে বিভাজিত করা যায় না।

প্রশ্ন ৩৮। মৌলগুলোকে সাধারণত কি কি ভাগে ভাগ করা হয় ? প্রতিটির দুটি করে উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ মৌলগুলোকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

ধাতু – লোহা, তামা ইত্যাদি।

অধাতু – হাইড্রোজেন, কার্বন ইত্যাদি।

ধাতুল্প – বোরন, সিলিকন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৯। কতকগুলি ধাতুর উদাহরণ দাও। সাধারণ উষ্ণতায় একমাত্র তরল ধাতু কোনটি ?

উত্তরঃ কতকগুলি ধাতুর উদাহরণ, যথা- সোনা, রূপা, লোহা, তামা, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি।

সাধারণ উষ্ণতায় তরল থাকা একমাত্র ধাতুটি হল- মার্কারি বা পারদ।

প্রশ্ন ৪০। অধাতুর কয়েকটি ধর্ম উল্লেখ কর। এদের কয়েকটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অধাতুর কয়েকটি ধর্ম, যথা-

(ক) অধাতুর বর্ণ বৈচিত্র্য আছে। 

(খ) অধাতুগুলি তাপ ও বিদ্যুতের কুপরিবাহী। 

(গ) এদের দ্যুতি নেই, এরা ঘাতসহনীয় নয়।

অধাতুর উদাহরণ যথা- 

হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, আয়োডিন, কার্বন, ব্রোমিন, ক্লোরিন, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪১। ধাতুকল্প কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ কতকগুলি মৌলের ধর্ম ধাতু ও অধাতুর ধর্মের মধ্যবর্তী। এই ধরনের মৌলকে ধাতুকল্প বলা হয়। উদাহরণ- বোরন সিলিকন, জারমেনিয়াম ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪২। মিশ্রণ ও যৌগের মধ্যে চারটি পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ 

মিশ্রণযৌগ
১। মৌল বা যৌগকে কেবল মিশিয়ে দিলেই মিশ্রণ তৈরি হয়ে যায়। কোন নতুন যৌগ উৎপন্ন হয় না।১। মৌলগুলির মধ্যে বিক্রিয়া ঘটার ফলে যৌগ উৎপন্ন হয়।
২। মিশ্রণের সংযুতি পরিবর্তনশীল।২। যৌগের সংযুতি স্থির।
৩। একটি মিশ্রণ তার উপাদানগুলির ধর্ম প্রদর্শন করে।৩। উৎপন্ন নতুন পদার্থটির ধর্ম হয়।
৪। মিশ্রণের উপাদানগুলিকে  সহজেই ভৌতিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পৃথক করা যায়।৪। যৌগের উপাদানগুলিকে রাসায়নিক বা তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে পৃথক করা যায়।

প্রশ্ন ৪৩। এমন দুটি মৌলের নাম কর যারা সাধারণ উষ্ণতা থেকে একটু বেশি উষ্ণতায় (303k) তরল হয়ে যায়।

উত্তরঃ গেলিয়াম এবং সিজিয়াম।

প্রশ্ন ৪৪। যৌগ কি ?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকা দুই বা ততোধিক মৌলের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া পদার্থটি হল যৌগ।

প্রশ্ন ৪৫। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

(ক) সকল পদার্থকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি ………….., ……………., এবং……………..।

উত্তরঃ কঠিন, তরল এবং গ্যাস।

(খ) বায়ু হচ্ছে গ্যাসের ………….মিশ্রণ।

উত্তরঃ সমসত্ব।

(গ) বিশুদ্ধ পদার্থে কেবল মাত্র এক প্রকারের …………….. বা…………….. থাকে।

উত্তরঃ মৌল, অণু।

(ঘ) বিশুদ্ধ পদার্থ এক নির্দিষ্ট উষ্ণতায়…………….. এবং ……………..।

উত্তরঃ গলে, ফোটে।

(ঙ) পদার্থ ……………..অধিকার করে এবং এর…………….. আছে।

উত্তরঃ নির্দিষ্ট স্থান, ভর।

(ছ) সব প্রাকৃতিক পদার্থ…………….. রূপে পাওয়া যায়।

উত্তরঃ মিশ্রণ।

(জ) সংকর ধাতুগুলি হল…………….. মিশ্ৰণ।

উত্তরঃ সমসত্ব।

(ঝ) বালি ও চকমাটি মিশালে ……………..মিশ্রণ পাওয়া যায়।

উত্তরঃ অসমসত্ব।

(ঞ) পেট্রোলে কেরোসিন মিশালে…………….. মিশ্রণ প্রস্তুত হয়।

উত্তরঃ অসমসত্ব।

(ট) শীতকালে যে ……………..দেখা যায় তা আসলে বাতাসে ভাসমান জল কণা।

উত্তরঃ কুয়াশা।

(ঠ) …………….. সনে সুইডেনের বিজ্ঞানী কার্ল শ্বীলে প্রথম বায়ুর দুইটি উপাদান পৃথক করেন।

উত্তরঃ 1771

(ড) 1772 সনে …………….. বায়ুতে নাইট্রোজেনের উপস্থিতি প্রমাণ করেন।

উত্তরঃ ড্যানিয়েল রাদার ফোর্ড।

(ঢ) বায়ু একটি ……………..মিশ্রণ।

উত্তরঃ সমসত্ব।

(ণ) যে সমস্ত অসমসত্ব মিশ্রণে পদার্থের কণিকাগুলিকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় সেই মিশ্রণকে ……………..বলে।

উত্তরঃ প্রলম্বন।

(ত) বিশুদ্ধ জল সমসময়ই ………….উষ্ণতায় ফোটে এবং জলীয় বাষ্প ………….উষ্ণতায় ঘনীভূত হয়ে জল গঠন করে।

উত্তরঃ 100°C, 100°C

(থ) সাগরের জলের উতলাংক জলের সাধারণ উতলাংকের (100°C) থেকে………….।

উত্তরঃ বেশী।

(দ) কর্পূর কঠিন অবস্থা হতে তাপ পেলে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় যাকে ………….বলে।

উত্তরঃ ঊর্ধ্বপাতন।

(ধ) পিতল ………….এবং…………. এর সংকর ধাতু।

উত্তরঃ কপার, জিংক।

(ন) রক্তের থেকে মাদক দ্রব্য…………. প্রক্রিয়ার সাহায্যে পৃথক করা হয়।

উত্তরঃ বর্ণলেখন।

(প) সমান সংযুতি থাকা মিশ্রণ হচ্ছে…………. মিশ্রণ।

উত্তরঃ সমসত্ব।

(ফ) খনিজ তেল থেকে…………. পদ্ধতিতে এর উপাদানগুলি পৃথক করা হল।

উত্তরঃ আংশিক পাতন।

(ব) পিতল হল ………….ও ………….এর মিশ্রণ।

উত্তরঃ দস্তা, তামা।

(ভ) ………….পদার্থের উপাদানগুলি সহজ ভৌত উপায়ে আলাদা করা যায়।

উত্তরঃ মিশ্র।

(ম) খাদ্য পরিপাক একটি ………….পরিবর্তন।

উত্তরঃ রাসায়নিক।

(য) দ্রবণ এক প্রকার ………….মিশ্রণ।

উত্তরঃ সমসত্ব।

প্রশ্ন ৪৬। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে খাতায় লেখো।

(ক) নীচের কোনটি ভৌত পরিবর্তন নয়।

(ক) বরফের গলন। 

(খ) প্লাটিনাম তার উত্তপ্ত করা।

(গ) লোহাকে চুম্বনে পরিণত করা।

(ঘ) জলে চুন যোগ করা।

উত্তরঃ (ঘ) জলে চুন যোগ করা।

(খ) নীচের কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তন ?

(ক) জলের স্ফুটন।

(খ) হিমবাহের গলন।

(গ) জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ। 

(ঘ) কর্পূরের ঊর্ধ্বপাতন।

উত্তরঃ (গ) জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ।

(গ) কোনটি মৌল নয়।

(ক) গন্ধক।

(খ) বালি।

(গ) লোহা। 

(ঘ) আর্সেনিক।

উত্তরঃ (খ) বালি।

(ঘ) নীচের কোনটি ধাতুকল্প ?

(ক) বিসমাথ।

(খ) অর্গন।

(গ) অক্সিজেন।

(ঘ) গ্রাফাইট।

উত্তরঃ (ক) বিসমাথ।

(ঙ) কোনটি অধাতু অথচ তড়িৎ পরিবাহী।

(ক) লোহা। 

(খ) তামা।

(গ) গ্রাফাইট। 

(ঘ) সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণ।

উত্তরঃ (গ) গ্রাফাইট।

(চ) নীচের কোন মিশ্রণটির উপাদানগুলিকে ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় আলাদা করা যায় ?

(ক) বালি ও লবণের মিশ্রণ। 

(খ) বারুদের উপাদান। 

(গ) জল থেকে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন তৈরি 

(ঘ) বালি ও নিশাদলের মিশ্রণ।

উত্তরঃ (ঘ) বালি ও নিশাদলের মিশ্রণ।

(ছ) বায়ুতে সব থেকে বেশি আছে।

(ক) অক্সিজেন। 

(খ) নাইট্রোজেন। 

(গ) হিলিয়াম।

(ঘ) আর্গন।

উত্তরঃ (খ) নাইট্রোজেন।

(জ) একটি তরল ধাতু হল-

(ক) ব্রোমিন।

(খ) জল।

(গ) আর্গন। 

(ঘ) পারদ।

উত্তরঃ (ঘ) পারদ।

(ঝ) কোন শর্তে মিশ্রণের উপাদানগুলিকে আংশিক পাতন দ্বারা পৃথক করা হয় ?

(ক) স্ফুটনাঙ্কের পার্থক্য থাকলে। 

(খ) ঘনত্ব পৃথক হলে।

(গ) দুটি তরল পরস্পরের সাথে না মিশলে।

(ঘ) দুটি তরলের স্ফুটনাঙ্ক একই হলে।

উত্তরঃ (ক) স্ফুটনাঙ্কের পার্থক্য থাকলে।

(ঞ) কঠিনতম মৌল হল-

(ক) আয়োডিন।

(খ) হীরক।

(গ) গ্রাফাইট। 

(ঘ) লোহা।

উত্তরঃ (খ) হীরক।

(ট) নীচের কোনটি অধাতু-

(ক) লোহা।

(খ) তামা।

(গ) দস্তা।

(ঘ) নাইট্রোজেন।

উত্তরঃ (ঘ) নাইট্রোজেন।

(ঠ) বায়ুর প্রধান উপাদানগুলি-

(ক) নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন। 

(খ) অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড।

(গ) অক্সিজেন।

উত্তরঃ (ক) নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন।

(ড) বিশুদ্ধ জল-

(ক) একটি মৌল।

(খ) একটি যৌগ।

(গ) একটি সমসত্ব মিশ্রণ। 

(ঘ) একটি কলয়ডীয় দ্রব।

উত্তরঃ (গ) এটি সমসত্ব মিশ্রণ।

(ঢ) প্রাকৃতিক পদার্থ হতে রঞ্জক পদার্থ আলাদা করা হয়।

(ক) পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে 

(খ) বর্ণলেখন পদ্ধতিতে 

(গ) পাতন প্রণালীতে

(ঘ) ঊর্ধ্বপাতন পদ্ধতিতে।

উত্তরঃ (খ) বর্ণলেখন পদ্ধতিতে।

(ণ) তেল ও জলের মিশ্রণ-

(ক) সমসত্ব মিশ্রণ। 

(খ) অসমসত্ব মিশ্রণ।

উত্তরঃ (খ) অসমসত্ব মিশ্রণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top