Class 9 Science Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন

Class 9 Science Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Science Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন and select needs one.

Class 9 Science Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 9 Science Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 9 Science Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Science in Bengali Chapter 15 খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন for All Subject, You can practice these here…

খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন

               Chapter – 15

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। খাদ্য-শস্য, ডাল, ফল ও শাক্-সবজি থেকে আমরা কি পাই?

উত্তরঃ খাদ্য-শস্য থেকে পাই কার্বোহাইড্রেট। ডাল থেকে পাই প্রোটিন, ফল ও শাক্-সবজি থেকে পাই ভিটামিন, খনিজ লবণ ও সামান্য পরিমাণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং সামান্য তেল।

প্রশ্ন ২। জৈব এবং অজৈব কারণ কিভাবে শস্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলে?

উত্তরঃ শস্যের উৎপাদনে কিছু কিছু জৈব বাধা বিপত্তি, যেমন— রোগ, পোকামাকড়, গোলকৃমির জন্য এবং কিছু কিছু অজৈব বিপত্তি, যেমন— খরা, জলের লোনাভাব, জল জমা, উচ্চতাপ, শীত এবং তুষার-এর জন্য হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু যেসব শস্যের প্রকার এইসব বিপদের প্রতিবন্ধক সেই সব শস্যের উৎপাদনে উন্নতি হবে।

প্রশ্ন ৩। শস্যের উৎপাদনে উন্নতি সাধন করতে কি কি বাঞ্ছনীয় শস্য-বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্য আছে?

উত্তরঃ শস্যের উৎপাদনে উন্নতি সাধন করতে বাঞ্ছনীয় শস্য-বৈজ্ঞানিক (agronomic) বৈশিষ্ট্য হল উচ্চতা এবং প্রচুর শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গাছ পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত গাছের জন্য বাঞ্ছনীয়। খাদ্যশস্যের জন্য কম পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এইভাবে বাঞ্ছনীয় শস্য-বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্য থাকা শস্যের ধরন বেশী উৎপাদনে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ৪। ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট কি? এদেরকে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট কেন বলা হয়?

উত্তরঃ উদ্ভিদ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সাধারণত বায়ু, জল ও মাটি থেকে পায়। উদ্ভিদের জন্য 16 রকমের পুষ্টির প্রয়োজন। বায়ু সরবরাহ করে কার্বন ও অক্সিজেন, জল থেকে পায় হাইড্রোজেন এবং বাকী 13টি পুষ্টি মাটি জোগায়। এদের মধ্যে 6টি বেশী পরিমাণে প্রয়োজন হয়। 6টি হল নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফার। এদের ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (Macronutriant) বলে। এদের ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলার কারণ হল এইগুলি উদ্ভিদের বেশী পরিমাণে প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন ৫। উদ্ভিদ কিভাবে পুষ্টি আহরণ করে?

উত্তরঃ উদ্ভিদের 16টি পুষ্টির প্রয়োজন। এই 16টির মধ্যে বায়ু থেকে পায় 2টি-কার্বন এবং অক্সিজেন। জল থেকে পায় 1টি-হাইড্রোজেন এবং বাকি 13টি অর্থাৎ নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, বোরন, জিঙ্ক, কপার, মলিবডেনাম এবং ক্লোরিন পায় মাটি থেকে।

প্ৰশ্ন ৬। মাটির উর্বরতা ধরে রাখতে ম্যানিওর ব্যবহার এবং ফার্টিলাইজার ব্যবহারের তুলনামূলক আলোচনা কর।

উত্তরঃ ম্যানিওর (manure) বা সারে প্রচুর পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকে এবং এরা মাটিতে স্বল্প পরিমাণে পুষ্টি প্রদান করে। ইহা সাধারণতঃ প্রাণীর মল পচে এবং উদ্ভিদের বর্জ্য থেকে উৎপন্ন হয়। এই সার মাটিকে পুষ্টি ও জৈব পদার্থ দ্বারা সমৃদ্ধ করে এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সারের প্রচুর পরিমাণে জৈব পদার্থ মাটির গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। এই সার বালি মাটির জল ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়। কাদা মাটিতে প্রচুর পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকলেও জল জমা হয় না এবং জল নিকাশে সুবিধা হয়।

ফার্টিলাইজার (Fertilizers) হ’ল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত করা উদ্ভিদের পুষ্টি। ফার্টিলাইজার নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সরবরাহ করে। উদ্ভিদের শারীরিক বৃদ্ধি অর্থাৎ পাতা, শাখা-প্রশাখা ও ফুল এবং উন্নতি করে সুস্থ সতেজ উদ্ভিদ জন্মাতে সাহায্য করে। বেশী খরচের কৃষিতে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনের জন্য ফার্টিলাইজারের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। ফার্টিলাইজার ব্যবহার করার সময় উপযুক্ত পরিমাণ, উপযুক্ত সময় দেখে খুব সতর্কভাবে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করার জন্যে পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সাবধানতা অবলম্বন করে প্রয়োগ করা উচিত। অনেক সময় অতিরিক্ত জলসিঞ্চনের ফলে ফার্টিলাইজার ধুয়ে চলে যায় এবং পুরোপুরিভাবে উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত হয়।

প্রশ্ন ৭। নীচের কোন ব্যবস্থায় সর্বাধিক শস্যের উৎপাদন হবে? কেন?

(a) কৃষকেরা সর্বাপেক্ষা বেশী গুণ সম্পন্ন বীজ ব্যবহার করলে জল সিঞ্চন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এবং ফার্টিলাইজার ব্যবহার না করলে।

(b) কৃষকেরা সাধারণ বীজ ব্যবহার করলে, জলসিঞ্চন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং ফার্টিলাইজার ব্যবহার করলে।

(c) কৃষকেরা গুণ সম্পন্ন বীজ ব্যবহার করলে, জল সিঞ্চন ব্যবস্থা করলে এবং শস্য রক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে।

উত্তরঃ নীচের (c) ব্যবস্থায় সর্বাধিক শস্যের উৎপাদন হবে।

কারণ— 

(i) গুণ সম্পন্ন বীজ শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শস্যের সৃষ্টি করে।

(ii) প্রকৃত জলসিঞ্চনের ফলে জলের প্রয়োজনীয়তা এবং সময়মত জলের ব্যবহার হয়।

(iii) ফার্টিলাইজার মাটিতে খনিজ লবণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর দ্বারা একজন কৃষক উচ্চমানের সর্বাধিক শস্যের উৎপাদন করতে পারে।

(iv) শস্য রক্ষণ ব্যবস্থার ফলে শস্য নষ্ট হওয়াকে প্রতিহত করে। ইহার দ্বারা একজন কৃষক উচ্চমানের সর্বাধিক শস্যের উৎপাদন করিতে পারে।

প্রশ্ন ৮। শস্য সংরক্ষণ করার জন্য প্রতিষেধক ব্যবস্থা এবং জৈব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হয়।

উত্তরঃ কৃষির উৎপন্ন শস্য ইত্যাদি মজুত রাখার সময়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী কারণসমূহ হল, জৈব কারণ—কীটপতঙ্গ, রোডেন্টসম (তীক্ষ্ণ দাঁত থাকা ইঁদুর জাতীয় প্রাণী), ছত্রাক, ছোট ছোট পোকা এবং ব্যাক্টেরিয়া এবং অজৈব কারণ—মজুত করা স্থানে অনুপযুক্ত আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা। এইসব কারণে শস্যের গুণে ঘাটতি পাওয়া যায়, ওজন হ্রাস হয়, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা দুর্বল হয়, ফসলের রং নষ্ট হয় এবং সবকিছুর ফলে বাজার দর কমে যায়। এইসব কারণকে উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুদাম ঘরের সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা করলে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য মজুত করার পূর্বে প্রতিষেধক ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিত। এই প্রক্রিয়া হল মজুত করার পূর্বে শস্য সঠিক পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা, প্রথমে সূর্যালোকে ও পরে ছায়ায় শস্য সঠিক প্রথায় শুষ্ক করা এবং রাসায়নিক ব্যবহার করে ধূপন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যার ফলে কীটপতঙ্গ নাশ হয়।

প্রশ্ন ৯। মজুত করার সময়ে শস্যের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার জন্য কি কি কারণ দায়ী?

উত্তরঃ শস্য মজুত করার সময় জীবজন্তুর দ্বারা প্রায় 9.3% শস্য নষ্ট হয়। শস্য ক্ষয়ক্ষতির কারণ হল – 

(i) জৈব কারণ— কীটপতঙ্গ, রোডেন্টসম, ছত্রাক, ছোট পোকা এবং ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি।

(ii) অজৈব কারণ—মজুত করার স্থানে অনুপযুক্ত আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা।

প্রশ্ন ১০। গবাদি পশুর জাতির গুণসমূহ বৃদ্ধি করার জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করা হয় এবং কেন?

উত্তরঃ দুইটি উদ্দেশ্যে গবাদি পশু পালন করা হয়, একটি হল দুধের জন্য এবং অন্যটি হল কৃষিকার্য্যে খরার সাহায্যকারী হিসাবে লাঙল চষতে, জলসেচনে এবং গাড়ী টানতে গবাদি পশু ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় গবাদি পশু দুই প্রজাতির হয়—বস্ ইণ্ডিকাম এবং বস্ বিউবালিস। মহিষ, দুধ উৎপন্ন কর স্ত্রীদের বলা হয় মিলক পশু এবং যাদের দিয়ে ক্ষেতে কাজ করানো হয় তাদের ড্রাফট পশু বলে।

দুধ উৎপাদন সাধারণত স্তনদানের সময় কালের উপর নির্ভর করে অর্থাৎ পশুটির বাচ্চার জন্ম দেওয়ার পর থেকে বাচ্চাকে স্তনদান করার সময়কাল। অর্থাৎ এই স্তনদানের সময়কাল বাড়িয়ে দিতে পারলে দুধের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। বিদেশী বা বাইরের জাতি (যেমন জার্সি, ব্রাউন সুইস ইত্যাদি) বেশী দুধের জন্য ভাল আবার দেশী জাতির (যেমন বেভ সিন্ধি, সাহিওয়াল) রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। এই দুই জাতিকে মিলিত করে দুইটি বাঞ্ছনীয় গুণ থাকা নতুন জাতির জন্ম দেওয়া যেতে পারে।

প্রশ্ন ১১। নিম্নোক্ত উক্তিটির ভাবার্থ আলোচনা কর – “এটি কৌতূহল জনক যে, পোলট্রি চাষ ভারতবর্ষে কম আঁশযুক্ত খাদ্যকে (যে খাদ্য মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত নয়) সর্বাধিক পুষ্টিকর প্রাণীজ প্রোটিন খাদ্যে পরিবর্তিত করতে সর্বাপেক্ষা দক্ষ চাষ।”

উত্তরঃ এর অর্থ হল যে ভারতবর্ষ হল বিশ্বের পঞ্চম সর্ববৃহৎ দেশ যারা পোলট্রি চাষ করে প্রধানত কম আঁশযুক্ত খাদ্য, যে খাদ্য মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত নয় তা সর্বাধিক প্রোটিন থাকা পুষ্টিকর খাদ্যে পরিবর্তিত করতে পারে। পোলট্রি চাষ দ্বারা ডিম এবং মাংস পাওয়া যায় যা হতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। মাংসাহারীরা পোলট্রির ডিম এবং মাংস খুবই পছন্দ করে।

প্রশ্ন ১২। ডেয়ারী ফার্মিং এবং পোলট্রি ফার্মিং-এর মধ্যে পরিচালনা ব্যবস্থার কি কি সাধারণ ব্যবস্থা আছে?

উত্তরঃ ডেয়ারী ফার্মিং এবং পোলট্রি ফার্মিং-এর পরিচালনার কয়েকটি জরুরী দিক হল—

(i) ঠিকমত বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া।

(ii) বিভিন্ন রোগ থেকে প্রতিরোধ করার জন্য Vaccination -এর ব্যবস্থা করা।

(iii) উৎকৃষ্ট ধরনের ছানাগুলিকে নির্বাচন করে ব্রয়লার মুরগী বানিয়ে মাংসের যোগান ধরা।

(iv) তাপমাত্রার সমতা বজায় রাখতে হবে এবং আলো বাতাসের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে।

(v) ডিম এবং মাংসের উৎপাদনের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া।

প্রশ্ন ১৩। ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগীর মধ্যে এবং তাদের পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যে কি কি পার্থক্য আছে?

উত্তরঃ ব্রয়লার মুরগীর ছানাকে ভিটামিন সমৃদ্ধ অতিরিক্ত খাদ্য দেওয়া হয় যাতে তাদের বৃদ্ধির হার ভাল হয় এবং বেশী মাংস উৎপাদন করে। তাদের মৃত্যুর হার কমানোর জন্য এবং দেহের পালক ও দেহের কাঠামো ভাল রাখার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।

পোলট্রি পাখীর ভাল উৎপাদনের জন্য ভাল পরিচালনা ব্যবস্থা থাকা জরুরী। এর মধ্যে তাপমাত্রা এবং বাসস্থানের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং পোলট্রি খাদ্য পুষ্টিকর হওয়া এবং রোগ ও পোকামাকড়ের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারা।

লেয়ার মুরগীর (ডিম দেওয়া মুরগী) বাসস্থান, পুষ্টি এবং পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা থেকে ব্রয়লার মুরগীর (মাংস যোগান দেওয়া মুরগী) বাসস্থান, পুষ্টি ও পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা পৃথক। ব্রয়লারের প্রতিদিনের খাদ্যে প্রচুর প্রোটিন ও অনুরূপ চর্বী থাকা উচিত। পোলট্রি খাদ্যে ভিটামিন A এবং K এর পরিমাণ খুব বেশী থাকে। পোলট্রী মুরগী ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ফানজাই ও পরজীবী ঘটিত বিভিন্ন রোগ এবং পুষ্টির অভাবজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর জন্য উপযুক্ত পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নিয়মিত ব্যবধানে জীবাণু নাশক ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন। উপযুক্ত প্রতিষেধক সংক্রামক রোগের প্রতিরোধ করতে পারে, হ্রাস করতেও পারে।

প্রশ্ন ১৪। মাছের উৎপাদন কিভাবে করা হয়?

উত্তরঃ মাছের উৎপাদন বলতে আঁশযুক্ত ও পাখনাযুক্ত সত্যিকারের মাছ বা চিংড়ী ও শামুক জাতীয় খোলস থাকা মাছ এর উৎপাদন বুঝায়। মাছ প্রাপ্তির দুইটি উপায় আছে। একটি হল প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে মাছ ধরা এবং অন্যটি হল মাছের চাষ করা— ফিসারি কালচার বা মৎস চাষ। 

সমুদ্র এবং আভ্যন্তরীণ জলাশয় দুই জলসম্পদ থেকেই মাছ সংগ্রহ করা হয়। মাছের উৎপাদন বাড়াতে সামুদ্রিক এবং আভ্যন্তরীণ উভয় প্রকারের বাস্তুতন্ত্রেই মাছের চাষ করা যেতে পারে।

প্রশ্ন ১৫। নিবিড় মাছ চাষ পদ্ধতির কি কি সুবিধা আছে?

উত্তরঃ নিবিড় মাছ চাষ পদ্ধতির একটি সুবিধা হল— অনেক মাছের প্রজনন একই সময়ে অর্থাৎ বর্ষাকালে হয়। সেই সময় বিভিন্ন মাছের ডিমের মিশ্রণ ঘটে। যদিও কিছু কিছু অর্থকরী মাছের ডিম শিকারী মাছের ডিম থেকে পৃথক করে সংগ্রহ করা হয় তথাপি অন্যান্য প্রজাতির ডিমের সাথে মিশে যায়। সুতরাং ভাল জাতের মাছের ডিম না পাওয়াই হল এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের সমস্যা। এই সমস্যার উদ্দেশ্যে নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার করা হয়েছে, যে পদ্ধতিতে পুকুরে পোনামাছকে হরমোন ইনজেকশনের সাহায্যে ডিম পাড়তে বাধ্য করা হয় এবং এর ফলে অধিক পরিমাণে খাঁটি ডিম পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১৬। মধু উৎপাদনের জন্য বাঞ্ছনীয় মৌমাছির প্রজাতির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কি কি?

উত্তরঃ বাণিজ্যিক উপায়ে মধু প্রস্তুত করতে যেসব দেশী মৌমাছি প্রতিপালন করা হয় সেগুলি হচ্ছে এপিস্ সেরানা ইণ্ডিকা (Apis cerana indica), সাধারণত বলা হয় ভারতীয় মৌমাছি, প্রপিস্ ডর্সাটা (Afis darsata), পাহাড়ী মৌমাছি এবং এপিস্ ফ্লোরি (Afis floral) বা ক্ষুদে মৌমাছি। একটি ইটালীয়ান বা ইউরোপীয়ান মৌমাছি, এপিস্ মেলিফেরা (Afis melhifera) মধুর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রতিপালন করা হয়। এই প্রজাতির মৌমাছি বাণিজ্যিক মধু উৎপাদনের জন্য চাষ করা হয়।

ইটালীয়ান বা ইউরোপীয়ান মৌমাছির অধিক পরিমাণে মধু উৎপন্ন করার ক্ষমতা আছে ; এরা কম পরিমাণে হুল ফোটায়। এগুলি একটি মৌচাকে দীর্ঘদিন বাস করে এবং বেশী প্রজনন ঘটায়। বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন করার জন্য মৌচাষ ক্ষেত্র বা এপিয়ারি স্থাপিত করা হয়।

প্রশ্ন ১৭। চারণভূমি মানে কি? মধু উৎপাদনের সঙ্গে এর কি সম্পর্ক?

উত্তরঃ মৌমাছির চারণভূমি বা ফুলের মধু বা পরাগ সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে মধুর গুণ বা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মৌমাছির পর্যাপ্ত চারণভূমির আয়তন, ফুলের প্রকৃতির প্রাপ্তি ইত্যাদি মধুর স্বাদ নির্ধারণ করে।

মধু এবং মোমের জন্য মৌমাছির চাষ করা হয়।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য যেসব পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় তার একটির ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ অধিক শস্যের উৎপাদনের জন্য শস্যের প্রকারের বিভিন্নতার উন্নতি সাধন প্রয়োজন। এই প্রকল্পটি প্রধানতঃ বেশী পরিমাণে উৎপন্ন শস্য পাওয়ার জন্য সঠিক প্রকারের শস্য নির্বাচন করার উপর নির্ভর করে। শস্যের প্রকার নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সারের প্রতি সাড়া দেওয়া, উৎপাদিত শস্যের গুণ এবং প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন ইত্যাদির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শস্যের প্রকারের ভিতর বাঞ্ছনীয় বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে দেওয়ার পদ্ধতিকে সংকরায়ন (Hybridization) বলে। ইহা জিনগতভাবে পৃথক পৃথক উদ্ভিদের মিলন (Crossing)। এই মিলন বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের ভিতর বা একই গণের কিন্তু বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের ভিতর অথবা বিভিন্ন গণের ভিতর হতে পারে। অন্য আর একটি শস্যের গুণের উন্নতি সাধনের উপায় হল বাঞ্ছনীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকা জিন প্রবেশ করিয়ে দেওয়া। এর ফলে জিনগতভাবে উন্নত শস্য উৎপন্ন হবে।

প্রশ্ন ২। ক্ষেতে ম্যানিওর এবং ফার্টিলাইজার ব্যবহার কেন করা হয়?

উত্তরঃ বার বার শস্য উৎপাদনের ফলে মাটির উর্বরা শক্তি হ্রাস পায়। মাটিকে শস্যের উপযোগী করে তোলার জন্য ‘ম্যানিওর এবং ফার্টিলাইজার প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে মাটিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম জাতিয় খনিজের অভাব পূরণ হয় এবং ভাল শস্য উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ৩। (ইন্টার ত্রুক্রপিং) বা শস্যাকরণ এবং (ক্রপরোটেশন) বা শস্যাবর্তন পদ্ধতি গ্রহণ করলে কি উপকার হয়?

উত্তরঃ একই জমিতে একই সময়ে একটি নির্দিষ্ট প্রথায় দুইটি বা তার থেকে বেশী শস্য ফলানো পদ্ধতিকে ইন্টার ক্রপিং (inter cropping) বলে। কয়েক সারি একটা শস্য বা সবজি লাগিয়ে আবার কয়েক সারি অন্য শস্য বা সবজির বীজ লাগিয়ে আবার কয়েক সারি অন্য শস্য বা সবজির বীজ লাগিয়ে দিতে হয় যেমন— সোয়াবিন, ভুট্টা, বজরা লোরিয়া। শস্যগুলি এমনভাবে নির্বাচন করা হয় যেন একটির পুষ্টির প্রয়োজন অন্যটির পুষ্টির প্রয়োজনে পৃথক হয়। এর ফলে

প্রত্যেকটি শস্যের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হয় না ; সম্পূর্ণ পুষ্টির ব্যবহারও হয় এবং একই জমিতে একটি শস্যের সকল গাছে যে কীট বা অন্যান্য রোগ ছড়ায় অন্য শস্যের গাছে সেই সংক্রমণ হয় না। ফলে উভয় শস্যই ভাল ফলন দেয়।

আবার একই জমিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটির পর অন্যটি এইভাবে বিভিন্ন শস্যের ফলন করানোর পদ্ধতিকে বলে শস্যাবর্তন বা ক্রপ রোটেশন (Crop Rotation)। স্থিতিকালের উপর ভিত্তি করে ক্রপ রোটেশন-এর শস্য নির্বাচন করা হয়। আর্দ্রতা এবং জলের প্রাপ্তির উপর নির্ভর করেও শস্য নির্বাচন করা হয়। যদি এই পদ্ধতি উপযুক্তভাবে করা হয় তবেই এক বৎসরে প্রচুর ফসল ফলানো সম্ভব হয়।

প্ৰশ্ন ৪। জেনেটিক ম্যানিপুলেশন (হস্তকৌশলজাত জেনেটিক পরিবর্তন) কি? কৃষিকার্যে এই পদ্ধতির কি সুবিধা?

উত্তরঃ জেনেটিক ম্যানিপুলেশন হল হাইব্রিডাইজেশন (hybridisation), মিউটেশন (Mutation), ডি, এন, এর পুনর্মিলন (DNA recombination) ইত্যাদির পরিবর্তনের একটি বৈশিষ্ট্য। এর দ্বারা উত্তম মানের বীজ উৎপাদন করা যায়। এই বীজ দ্বারা অধিক শস্য উৎপাদন করা যায় এবং খরচও কম হয়।

প্রশ্ন ৫। শস্য ভাণ্ডারে শস্যের ক্ষয়ক্ষতি কিভাবে হয়?

উত্তরঃ কৃষির উৎপন্ন শস্য ভাণ্ডারে মজুত রাখার সময় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী কারণসমূহ হল জৈব কারণ— কীটপতঙ্গ, রোডেন্টসম, ছত্রাক, ছোট ছোট পোকা এবং ব্যাক্টেরিয়া, আর অজৈব কারণ হল— মজুত করার স্থানে অনুপযুক্ত আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা। এই সব কারণে শস্যের গুণে ঘাটতি পাওয়া যায়, ওজন হ্রাস হয়, অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা দুর্বল হয়, ফসলের রং নষ্ট হয় এবং সবকিছুর ফলে বাজারদর কমে যায়।

প্রশ্ন ৬। পশুপালন ভাল করে করতে পারলে কৃষকেরা কিভাবে উপকৃত হয়?

উত্তরঃ পশুপালন হচ্ছে ব্যবসার জন্য রক্ষিত পশুর প্রতিপালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া যেমন প্রজনন করানো এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। পশু সংক্রান্ত চাষে গবাদি পশু, ভেড়া, ছাগল, পোলট্রি, পাখি এবং মৎস চাষ হয়। মানুষেরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবন ধারণের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পশুপাখীর প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে পশুপালন ও চাষে নতুন নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকেরা উপকৃত হয়।

প্রশ্ন ৭। গবাদি পশুপালনের উপকারিতা কি?

উত্তরঃ দুইটি কারণে বা উদ্দেশ্যে গবাদি পশু পালন করা হয়। একটি হল দুধের জন্য এবং অন্যটি কৃষিকাজে খরার সাহায্যকারী হিসাবে লাঙল চষতে জল সেচনে এবং গাড়ী টানতে গবাদি পশু ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় গবাদি পশু দুই প্রজাতির হয় বস্ ইণ্ডিকাস্, গরু এবং বস্ বিউবালিস, মহিষ, দুধ উৎপন্ন করা স্ত্রীদের বলা হয় মিলক পশু (Milck animal) এবং যাদের দিয়ে ক্ষেতে কাজ করানো হয় তাদের বলে ড্রাফট পশু (draugat animal)।

বিদেশী বা বাইরের জাতি (যেমন জার্সি, ব্রাউন সুইস ইত্যাদি) বেশী দুধের জন্য ভাল আবার দেশী জাতির (যেমন বেড সিন্ধি, সাহিওয়াল) রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। এই দুই জাতিকে মিলিত করে দুইটি বাঞ্ছনীয় গুণ থাকা নতুন জাতির জন্ম দেওয়া যেতে পারে।

প্রশ্ন ৮। উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পোলট্রি, মাছ চাষ এবং মৌমাছি চাষে সাধারণ পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ পোলট্রি, মাছ চাষ এবং মৌমাছির চাষের উৎপাদন বৃদ্ধির সাধারণ পদ্ধতি হল উন্নত মানের ক্রস ব্রিডিং বা সংকর প্রজনন ঘটানো।

প্রশ্ন ৯। মাছ ধরা, মেরীকালচার (সামুদ্রিক মৎস চাষ) এবং ক্র্যাকোয়া কালচার এর পার্থক্য বল।

উত্তরঃ মাছ ধরা প্রাকৃতিক উৎস যেমন নদী, সমুদ্র ইত্যাদি থেকে যখন মাছ ধরা হয় তখন ইহাকে সাধারণত বলা হয় মাছ ধরা বা capture fishing. মেরীকালচার— যেহেতু সামুদ্রিক মাছের ভাণ্ডার ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায় তাই অধিক মাছের চাহিদা মেটানোর জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাই মেরীকালচার।

ক্র্যাকোয়া কালচার— যখন কোন আবদ্ধ জায়গায়, চৌবাচ্চায় ইত্যাদিতে মাছের চাষ হয় তখন তাকে বলে ক্র্যাকোয়া কালচার।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। খাদ্য আমাদের কি কি উপাদান দেয়?

উত্তরঃ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ।

প্রশ্ন ২। অধিক পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পদ্ধতিকে কি বলে?

উত্তরঃ সবুজ বিপ্লব (Green Revolution)।

প্রশ্ন ৩। অধিক পরিমাণে দুগ্ধ উৎপাদনের পদ্ধতিকে কি বলে?

উত্তরঃ শ্বেত বিপ্লব (White Revolution)।

প্রশ্ন ৪। অধিক পরিমাণে ডাল উৎপাদনের পদ্ধতিকে কি বলে?

উত্তরঃ স্বর্ণ বিপ্লব (Golden revolution)

প্রশ্ন ৫। কার্বোহাইড্রেট আমরা কি থেকে পাই?

উত্তরঃ চাউল, গম, ভুট্টা, যব, জোয়ার প্রভৃতি থেকে আমরা কার্বোহাইড্রেট পেয়ে থাকি।

প্রশ্ন ৬। আমাদের ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে এমন কয়েকটি শস্যের নাম লিখ।

উত্তরঃ সয়াবীন, বাদাম, সরষে, তিল, সূর্যমুখী ইত্যাদি আমাদের ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে।

প্রশ্ন ৭। বর্ষাকালে উৎপন্ন শস্যকে কি শস্য বলা হয়?

উত্তরঃ খারিফ (Kharif) শস্য।

প্রশ্ন ৮। শীতকালে উৎপন্ন শস্যকে কি শস্য বলা হয়।

উত্তরঃ রবি (Rabi) শস্য।

প্রশ্ন ৯। আমাদের প্রধান দুটি ঋতু শস্য কি কি?

উত্তরঃ (a) খারিফশস্য (Kharif Season)— জুন থেকে অক্টোবর। উদাহরণ – গম, ছোলা, মটর, সরষে প্রভৃতি।

(b) রবি শস্য— নভেম্বর থেকে এপ্রিল, উদাহরণ— গম, ছোলা, সরষে, মটর প্রভৃতি।

প্রশ্ন ১০। ম্যাক্রো ও মাইক্রো এলিমেন্টের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ম্যাক্রো এলিমেন্ট – নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার।

মাইক্রো এলিমেন্ট – আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, বোরণ, জিঙ্ক, কপার, মলিবডেনাম, ক্লোরিণ।

প্রশ্ন ১১। হাইব্রিডাইজেশন এবং ফটোপিরিয়ড কি?

উত্তরঃ দুটি বা ততোধিক ভিন্ন জাতের প্রজাতির মধ্যে সংকরায়ন (Crossing) করার পদ্ধতিকে হাইব্রিডাইজেশন বলা হয়। পর্যাপ্ত সূর্যালোকের সময়কালকে ফটোপিরিয়ড বলা হয়।

প্রশ্ন ১২। শস্য উৎপাদনের পরিমাণ পরিবেশের উপর নির্ভর করে। আলোচনা কর।

উত্তরঃ বিভিন্ন শস্য এবং তার উৎপাদন মাত্রা পরিবেশের বিভিন্ন শর্তের উপর নির্ভর করে যেমন তাপমাত্রা, ফটোপিরিয়ড, জলের পরিমাণ এবং লাইফ সাইকেল (Life Cycle) সম্পূর্ণ হওয়ার সময়কালের উপর নির্ভর করে। রবি শস্যের চাষ শীতকালে ভালো হয় আবার খারীফ (Kharif) শস্যের চাষ বর্ষাকালে ভালো হয়।

প্রশ্ন ১৩। এগ্রিকালচারে বেশি ইনপুট দিলে ভাল উৎপাদন হয়। আলোচনা কর। 

উত্তরঃ এগ্রিকালচারে বেশি ইনপুট দিলে ভাল উৎপাদন হয় অর্থাৎ বেশি পরিমাণ টাকা যোগান দেওয়া হলে ভালো উৎপাদন হয়। যেমন বেশি পরিমাণ টাকার যোগান থাকলে কৃষকেরা ভাল জাতের ফসল লাগাতে পারবে এবং তারা লালন পালনের জন্য উন্নতমানের প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার তার করতে পারবে ফলে শস্য উৎপাদন বেশি হবে।

প্রশ্ন ১৪। জৈব উপাদান শস্য উৎপাদনের জন্য জরুরি কেন?

উত্তরঃ জৈব উপাদান শস্য উৎপাদনের জন্য জরুরি কারণ—

(a) এটি মাটির (Structure) গুণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

(b) এটি বালি মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। 

(c) এটি গাছে জল জমতে দেয় না।

প্রশ্ন ১৫। জৈব পদার্থ ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ম্যানিওরকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?

উত্তরঃ জৈব পদার্থ ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ম্যানিওরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

(a) কম্পোস্ট এবং ভার্মি কম্পোস্ট (Compost and Vermi Compost) – খামারের বর্জ্য পদার্থ যেমন পশুর মল (গোবর ইত্যাদি), শাক সবজির খোসা, প্রাণীর বর্জ্য, গৃহের আবর্জনা, মল-মূত্র, পচে যাওয়া মৃত ও আগাছা ইত্যাদিকে বড় গর্ত করে তার ভিতরে পচন ঘটিয়ে নেওয়ার পদ্ধতিকে সার বানানো বা কম্পোস্ট বলে। এই কম্পোস্ট জৈব পদার্থে এবং পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্য থেকে সার বানানোতে কেঁচো সাহায্য করে এবং এই সারকে বলে ভার্মি কম্পোস্ট।

(b) গ্রীণ ম্যানিওর বা সবুজ সার – শস্যের বীজ বপন করার আগে ঐ মাটিতে শন জাতীয় গাছ লাগিয়ে কিছুদিন পর গাছগুলি বেড়ে উঠলে লাঙল চাষ করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়। এই সবুজ গাছগুলি তখন সবুজ সারের কাজ করে এবং মাটিকে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস যোগান দিয়ে সমৃদ্ধ করে।

প্রশ্ন ১৬। ফার্টিলাইজার কি?

উত্তরঃ ফার্টিলাইজার হল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উদ্ভিদের পুষ্টি যা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে উৎপন্ন।

ফার্টিলাইজার প্রধানত মাটিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম (NPK)এর পরিমাণ বাড়ায় যা উদ্ভিদের পুষ্টিতে অত্যাবশ্যক।

প্রশ্ন ১৭। ক্রপ রোটেশন কি? শীম্বাকার (Leguminous) উদ্ভিদের সাথে এর সম্পর্ক কি?

উত্তরঃ একই জমিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটির পর অন্যটি বিভিন্ন শস্যের ফলন করানোর পদ্ধতিকে গ্রুপ রোটেশন (Crop Rotation) বলে।

শীম্বাকার উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে তা মাটিতে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট আকারে জমা করে। এই নাইট্রোজেন সমন্বিত যৌগ উদ্ভিদ দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ১৮। শস্যের উন্নতির কারণগুলি কি কি?

উত্তরঃ শস্যের উন্নতির কারণগুলি হল—

(a) অধিক উৎপাদন। 

(b) উন্নত মানের শস্য উৎপাদন।

(c) জৈব এবং অজৈব প্রতিবন্ধক। 

(d) শস্য পরিপক্ক হওয়ার স্থিতিকালের পরিবর্তন।

(e) মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।

প্রশ্ন ১৯। কয়েকটি Mixed Cropping-এর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ভুট্টা + শীম, চীনাবাদাম + সূর্যমুখী, গম + তৈলবীজ।

প্রশ্ন ২০। Mixed Cropping-এর সুবিধা কি?

উত্তরঃ (a) এটি ফসল চাষের ঝুঁকি কমায়।

(b) একটি ফসল লালন পালনের খরচ কমায়। 

(c) এটি বিভিন্ন উদ্ভিদের পর্যাপ্ত পুষ্টিতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ২১। শস্য বা ফসল বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ উদ্ভিদ থেকে আমরা যে সকল খাদ্যবস্তু সংগ্রহ করি সেগুলিকে শস্য বলা হয়।

প্রশ্ন ২২। খারিফ শস্য এবং রবিশস্য কাকে বলে উদাহরণসহ লেখ।

উত্তরঃ বর্ষা ঋতুতে বীজ বপণ করে যে শস্যগুলি উৎপাদন করা হয় তাদেরকে খারিফ শস্য বলে। ভারতবর্ষে বর্ষা ঋতুটি সাধারণত জুন মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।

খারিফ শস্যের কয়েকটি উদাহরণ, যথা— ধান, ভুট্টা, সয়াবীন, অড়হর, মুগ, মাসকলাই ইত্যাদি।

শীতকালে উৎপন্ন হওয়া শস্যগুলিকে রবিশস্য বলে। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত রবিশস্য উৎপাদনের সময়।

রবিশস্যের কয়েকটি উদাহরণ, যথা— গম, ছোলা, মটর, সরষে, তিল, তিসি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৩। উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (macro-nutrient) বা মুখ্য পোষক মৌলগুলির নাম লিখ।

উত্তরঃ উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা মুখ্য পোষক মৌলগুলির নাম, যথা— নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার।

প্রশ্ন ২৪। উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (macro-nutrient) বা গৌণ পোষক মৌলগুলির নাম লিখ।

উত্তরঃ উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা গৌণ পোষক মৌলগুলির নাম, যথা— আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ, বোরণ, জিঙ্ক, কপার, মলিবডেনাম, ক্লোরিন।

প্রশ্ন ২৫। ম্যানিওর বা জৈব সার কাকে বলে? কয়েকটি জৈব সারের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সার মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে মাটির ভৌতিক গুণাগুণ উন্নত করে তাকে ম্যানিওর বা জৈব সার বলে। জৈব সারের কয়েকটি উদাহরণ, যথা— পচন সার ও ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচো সার, সবুজ সার ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৬। ম্যানিওর বা জৈব সার ব্যবহারের সুবিধাগুলি কি কি?

উত্তরঃ ম্যানিওর বা জৈব সার ব্যবহারের সুবিধাগুলি হল—

(১) জৈব সার মাটির জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

(২) জৈব সার মাটিকে ছিদ্রযুক্ত করে বায়ু চলাচলের পথ সুগম করে।

(৩) ইহা উপকারী অণুজীবগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

(৪) ইহা মাটির গঠনকে উন্নত করে।

প্রশ্ন ২৭। ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার কাকে বলে? এই সার ব্যবহারের সুবিধাগুলি কি?

উত্তরঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্য থেকে সার তৈরি করতে কেঁচো সাহায্য করে থাকে। এই প্রকার সারকে কেঁচো সার বলে। কেঁচো সার মাটিতে বায়ু চলাচলের পথ সুগম করে এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া মাটিকে উর্বর করে অধিক শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে।

প্রশ্ন ৩৮। সবুজ সার কিভাবে প্রস্তুত করা হয়?

উত্তরঃ ক্ষেতের জমিতে শস্যের বীজ বপণ করার আগে ঐ মাটিতে শনজাতীয় গাছ লাগিয়ে কিছুদিন পর সেগুলি বেড়ে উঠলে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পরে গাছগুলি পচে গিয়ে সারে পরিণত হয়। এই সারকে সবুজ সার বলে। সবুজ সার মাটিকে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস জোগান দেয় এবং মাটিকে উর্বর করে তোলে।

প্রশ্ন ২৯। পশুপালন কি?

উত্তরঃ পশুপালন হচ্ছে ব্যবসায়ের জন্য পশুধন প্রতিপালনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। পশু সংক্রান্ত চাষে গবাদি পশু, ছাগল, ভেড়া, পোলট্রি পাখি এবং মৎস্য চাষ করা হয়। খামারের পশুর উপযুক্ত যত্ন আদি এবং বিভিন্ন প্রতিপালন ব্যবস্থা যেমন বিজ্ঞানসম্মত বাসস্থান, খাদ্য, প্রজনন ব্যবস্থা, রোগ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদির প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৩০। পোলট্রি চাষ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব পাখি প্রতিপালন করে মানুষ ডিম ও মাংস উৎপাদনের সাহায্যে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করে সেইসব পাখি প্রতিপালনকে পোলট্রি চাষ বলে।

প্রশ্ন ৩১। ব্রয়লার এবং লেয়ার ব্রিড বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যেসব জাতের মুরগী খুব দ্রুত বৃদ্ধিলাভ করে এবং মূলত মাংস জোগান দেয় তাদের ব্রয়লার ব্রিড বলে।

উদাহরণ— আসীল, চিটাগং ও কোচিন ব্রিড।

যেসব জাতের মুরগী বেশী ডিম উৎপাদন করে তাদের লেয়ার ব্রিড বলে।

উদাহরণ- লেগইন। এই লেয়ার ব্রিড বছরে প্রায় 220 টি ডিম পাড়ে।

প্রশ্ন ৩২। মৌমাছি প্রতিপালন বা মৌ-চাষ কাকে বলে? বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছির নাম লেখ।

উত্তরঃ যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মৌমাছি লালন-পালন করে মৌচাক থেকে মধু ও মৌ-মোম সংগ্রহ করা হয় তাকে মৌমাছি প্রতিপালন বা মৌ-চাষ বলে।

ভারতে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছিগুলি হল—

(i) এপিস সেরানা ইণ্ডিকা (Apis cerana indica), বা ভারতীয় মৌমাছি।

(ii) এপিস ডর্সাটা ‘(Apis dorsata) বা পাহাড়ী মৌমাছি।

(iii) এপিস ফ্লোরি (Apis florae) বা ক্ষুদে মৌমাছি।

(iv) এপিস মেলিফেরা (Apis mellifera) বা ইউরোপিয়ান মৌমাছি।

প্রশ্ন ৩৩। সঠিক উত্তর নির্বাচন করো।

(ক) নীচের কোনটি তেল উৎপাদনশীল উদ্ভিদ-

(a) মুসুর ডাল। 

(b) সূর্যমুখী।

(c) ফুলকপি। 

(d) গোলাপফুল।

উত্তরঃ (b) সূর্যমুখী।

(খ) দেশের খাবারের ঘাটতি মেটাবার জন্য কোনটি জরুরী?

(a) অধিক উৎপাদন এবং শস্যের মজুত। 

(b) খাদ্য শস্যের সহজে ব্যবহার।

(c) মানুষের কাছে খাদ্যশস্য কেনার যথেষ্ট টাকা পয়সা। 

(d) উপরের সবকটি।

উত্তরঃ (d) উপরের সবকটি।

(গ) নিম্নোক্ত কোনটি সঠিক?

(a) হাইব্রিডাইজেসন হল সংকর দুটি ভিন্ন প্রজাতির। 

(b) একই গণ ও একই প্রজাতির সংকর হল ইণ্টারস্পেসিফিক (interspecific) 

(c) দুটি ভিন্ন প্রজাতির সংকর বেশি শস্য উৎপাদন করে। 

(d) দুটি একই জাতের সংকর হল ইণ্টারজেনেরিক (intergeneric)

উত্তরঃ (a) ও (c)

(ঘ) নিচের কোনটি ইটালিয়ান মৌমাছি?

(a) এপিস ডোরসাটা (Apis dorsata) 

(b) এপিস ফ্লোরা (Apis flora)

(c) এপিস সেরেনা ইণ্ডিকা (Apic Cerana indica) 

(d) এপিস ম্যালিফেরা (Apis Melifera)

উত্তরঃ (d) এপিস ম্যালিফেরা।

(ঙ) গবাদিপশুর চাষ নিম্নোক্ত কারণে করা হয়।

(i) দুধ উৎপাদন। 

(ii) কৃষিকার্যের সুবিধা। 

(iii) মাংসের উৎপাদন।

(iv) ডিম উৎপাদন। 

(a) (i), (ii) এবং (iii) 

(b) (ii), (iii), এবং (iv) 

(c) (iii) এবং (iv)

(d) (i) এবং (iv)

উত্তরঃ (i), (ii) এবং (iii)

(চ) নীচের কোনটি ভারতীয় গবাদি পশু?

(i) বস্ ইণ্ডিকাস (Bos indicus) 

(ii) বস্ ডোমেসটিকা (Bos domestica) 

(iii) বস্ বুবালিস (Bos Bubalis) 

(iv) বস্ বুলগারিস (Bos Vulgaris )

উত্তরঃ (a) (i) ও (iii)

(ছ) নীচের কোনটি বিদেশীজাত?

(i) জরানশূকর। 

(ii) জার্সী।

(iii) ব্রাউন সুইস। 

(iv) জার্সী সুইস।

উত্তরঃ (i) এবং (iii)

(জ) পোলট্রি চাষ করা হয় কি বাড়ানোর জন্য?

(i) ডিম উৎপাদন। 

(ii) পালক উৎপাদন। 

(iii) মুরগি মাংস। 

(iv) দুধ উৎপাদন।

উত্তরঃ (i) এবং (iii)

(ঝ) নিচের খনিজ উপাদানের মধ্যে কোনটি ফার্টিলাইজারে পাওয়া যায় না?

(a) নাইট্রোজেন। 

(b) ফসফরাস।

(c) পটাসিয়াম।

(d) আয়রণ।

উত্তরঃ (d) আয়রণ।

(ঞ) Murrab কার প্রজাতি

(a) গরু। 

(b) মোষ। 

(c) ছাগল। 

(d) উট।

উত্তরঃ মোষ।

(ট) নিচের মাছগুলির মধ্যে কোনটি সামুদ্রিক জলে হয়?

(a) সালমন।

(b) ইলিশ।

(c) কাতলা।

(d) a ও b উভয়েই।

উত্তরঃ (d) a ও b উভয়েই।

(ঠ) কোন ক্ষেত্রে শস্যের অধিক ক্ষতি হয়?

(a) জলের অভাব।

(b) কম জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মৃত্তিকা।

(c) হালকা মাটি।

(d) উপরের সবকটি।

উত্তরঃ (d) উপরের সবকটি।

(ড) Organic ferming হল ferming পদ্ধতি যেখানে—

(a) অধিক পরিমাণে ফার্টিলাইজার ব্যবহার হয়।

(b) Pesticides ব্যবহার করা হয়।

(c) herbicides ব্যবহার করা হয়।

(d) কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না।

উত্তরঃ (d) কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না।

(ঢ) ‘Inland fishery’ হল

(a) পরিষ্কার জলে মাছের চাষ।

(b) সমুদ্রের জল থেকে মাছ ধরা।

(c) মাছ থেকে তেল বের করা।

(d) গভীর সমুদ্রের মাছ।

উত্তরঃ (a) পরিষ্কার জলে মাছের চাষ।

প্রশ্ন ৩৪। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

(i) ভারতবর্ষের শস্যসমূহকে জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত ভাবে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয় রবি এবং………………..শস্য।

উত্তরঃ খারিফ।

(ii) উপযুক্ত সময়ের ব্যবধানে শস্যে জল যোগান দেওয়াকে……………… বলে।

উত্তরঃ জল সিঞ্চন।

(iii) ক্ষেতে গজানো অপ্রয়োজনীয় গাছকে……….……. বলে।

উত্তরঃ অপতৃণ।

(iv) শস্যে…………… প্রকার অনুপোষক দ্রব্যের প্রয়োজন।

উত্তরঃ 13

(v) শস্যকে যোগান দেওয়া অনুপোষক দ্রব্যগুলির প্রধান উৎস হইল জৈব সার এবং ……………।

উত্তরঃ কৃত্রিম সার।

(vi) দুই বা ততোধিক শস্যকে সারি সারি করে এক নির্দিষ্ট শৈলীতে করা কৃষি প্রণালীকে ………….. কৃষিপদ্ধতি বলে।

উত্তরঃ অন্তবর্তী।

(vii) প্রাক পরিকল্পনায় একই টুকরা কৃষিভূমিতে আলাদা আলাদা শস্য একটার পর আরেকটা চাষ করার পদ্ধতিকে …………… বলে।

উত্তরঃ শস্যাবর্তন।

(viii) প্রতিধ্বনির এবং …………..র সাহায্য নিয়ে ফসিং নেট এর সাহায্যে সাগরীয় মাছ সংগ্রহ করা হয়।

উত্তরঃ উপগ্রহ।

(ix) মৎস পালন সাধারণত …………. মৎস্য পালন করা হয়।

উত্তরঃ মিশ্রিত।

(x) মধু এবং মোম পাওয়ার জন্য …………… পালন করা হয়।

উত্তরঃ মৌমাছি।

(xi) মৌমাছির ভিতরে..………… কে ভারতীয় মৌমাছি বলে জানা যায়।

উত্তরঃ এ্যাপিস্ সেরানা ইণ্ডিকা (Apis Cerana Indica)।

(xii) কেচোর দ্বারা পচন ঘটিয়ে তৈরী করা সারকে ………..বলে।

উত্তরঃ কেঁচো মাটি সার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top