Class 9 Bengali Chapter 9 পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম

Class 9 Bengali Chapter 9 পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 9 Bengali Chapter 9 পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম and select needs one.

Class 9 Bengali Chapter 9 পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 9 Bengali Chapter 9 পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম for All Subject, You can practice these here…

পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম

               Chapter – 9

ক-বিভাগ পদ্যাংশ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর :-

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(ক) রাজস্থানের রাজধানীর নাম কী ?

উত্তরঃ জয়পুর।

(খ) পিপলান্ত্রি গ্রামটি জয়পুর থেকে কত কিলােমিটার দূরে অবস্থিত ?

উত্তরঃ জয়পুর থেকে ৩৫০কিলােমিটার দূরে অবস্থিত।

(গ) পিপলান্ত্রি গ্রামটি রাজস্থানের কোন জেলার অন্তর্গত ?

উত্তরঃ রাজস্থানের রাজসমন জেলার অন্তর্গত।

(ঘ) পিপলান্ত্রি গ্রামের নাম গিনিজ বুক অফ ওয়ার্লড রেকর্ডে কেন উঠেছিল ?

উত্তরঃ মার্বেল পাথরের জন্য।

(ঙ) গ্রামটিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে কে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন ?

উত্তরঃ শ্যামসুন্দর পালিওয়াল প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।

(চ) পৃথিবীতে কোন দেশের শিক্ষা পাঠক্রমেপিপলান্ত্রি গ্রামের কাহিনি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ?

উত্তরঃ ডেনমার্কের প্রাথমিক শিক্ষা পাঠক্রমে।

(ছ) আর্জেন্টিনার একটি দল ভারতে এসে এই গ্রামটিকে নিয়ে যে সিনেমা নির্মাণ করেছে সেই সিনেমার নাম কী ?

উত্তরঃ সিনেমাটির নাম ‘Tree Sister’।

(জ) শ্যামসুন্দর পালিওয়াল কত সালে গ্রামের কোন দায়িত্ব পালন করেন ?

উত্তরঃ ২০০৫ সালে গ্রামের গ্রাম-প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

(ঝ) শ্যামসুন্দর পালিওয়ালের কন্যার নাম কী ?

উত্তরঃ ‘কিরণ’।

(ঞ) কন্যা-সন্তানের জন্ম হলে কয়টি গাছ লাগাতে হবে ?

উত্তরঃ ১১১টি গাছ লাগাতে হবে।

(ট) রাখিবন্ধনের দিন গ্রামের মানুষ কী করেন ?

উত্তরঃ গ্রামের কন্যা এবং মহিলারা গাছে রাখি বেঁধে গাছ ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে আরাে বেশি অর্থবহ করে তােলেন।

(ঠ) ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পিপলান্ত্রি গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশােনার জন্য কত টাকা দান করেছে ?

উত্তরঃ ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পিপলান্ত্রিগ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশােনার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা দান করেছে।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(ক) পিপলান্ত্রি গ্রামে পরিবেশ দূষণের ফলে কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ মার্বেল পাথর তােলার জন্য খনিগুলিতে দিনরাতকাজ চলার ফলে পিপলান্ত্রি গ্রামের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ে। সামান্য পরিমাণ বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য মানুষ হাহাকার শুরু করে। গাছপালার সংখ্যা দ্রুতগতিতে কমতে শুরু করে। বৃষ্টির পরিমাণও কমে যায়। এর ফলে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(খ) পিপলান্ত্রি গ্রামে কেন পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছিল ?

উত্তরঃ মার্বেল পাথরের জন্য পিপলান্তি গ্রামে বড়াে বড়াে ব্যবসায়ীরা বিশাল বিশাল খনি শুরু করে। বিশাল খনিগুলির জন্য প্রকৃতি ধ্বংস হবার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদগুলিও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যায়। মার্বেল পাথর তােলার জন্য খনিগুলিতে দিনরাত রাজ চলার ফলে পিপলান্ত্রি গ্রামের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ে।

(গ) পিপলান্ত্রি গ্রামকে নিয়ে কোথায় কোথায় কী হয়েছে লেখাে।

উত্তরঃ পিপলান্ত্রি গ্রামটিকে দেখার জন্য প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ, সরকারী প্রতিনিধি আসে। ডেনমার্কের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রমে এই গ্রামটির সাফল্য এবং কাজকর্মের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজের দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। রাজস্থান সরকারের শিক্ষাবিভাগও সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে এই গ্রামের কথা অন্তর্ভুক্ত করেছে। আর্জেন্টিনার একটি দল ভারতে এসে এই গ্রামকে নিয়ে Tree Sister নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছে, শতাধিক তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। এমনকী পিপলান্ত্রি নামে একটি হিন্দি ছায়াছবিও তৈরি হয়েছে।

(ঘ) অকালপ্রয়াত কন্যার জন্য শ্যামসুন্দর কী করেছিলেন ?

উত্তরঃ কন্যার অকাল মৃত্যুতে ম্রিয়মান পালিওয়াল ঘটনাটিকে নিয়তির ইচ্ছা মনে করে কন্যার স্মৃতিতে একটা চারাগাছ রােপণ করলেন। সেদিনই তিনি গ্রামে একটানতুন নিয়ম প্রবর্তন করেন। নিয়মটি হল গ্রামটিতে জন্মানাে প্রতিটি কন্যার নামে জনগণকে ১১১টা চারাগাছ রােপণ করতেহবে।

(ঙ) শ্যামসুন্দর গ্রামের প্রতিটি মানুষকে কয়টি দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং কী কী ?

উত্তরঃ শ্যামসুন্দর গ্রামের প্রতিটি মানুষকে চারটি দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। 

চারটি দায়িত্ব হল- 

১।কন্যা-সন্তানকে পুত্র-সন্তানের মতোই ভালােভাবে প্রতিপালন করে বড়াে করে তুলতে হবে।

২। জল সংরক্ষণ করতে হবে, ৩. গাছপালা রােপণ করে প্রতিপালন করতে হবে।

৪। কৃষিকাজ করে নিজের প্রয়ােজন পূরণ করতে হবে।

(চ) কন্যা-সন্তানের প্রতি সাধারণত আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী ? শ্যামসুন্দর এতে কী পরিবর্তন এনেছিলেন ?

উত্তরঃ কন্যা-সন্তানের প্রতি সাধারণত বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। অনেকেই কন্যা-সন্তানকে ফেলে দিতে চায় বা গর্ভাবস্থাতেইহত্যা করতে চায়। বহু মানুষ গােপনে গর্ভস্থসন্তানের লিঙ্গ পরীক্ষা করে কন্যা-সন্তান বলে জানতে পারলে গর্ভপাত করিয়ে ‘নেওয়া হয়। এর ফলে দেশের কিছু রাজ্যে ছেলেমেয়েদের অনুপাতের যথেষ্টতারতম্য রয়েছে।

শ্যামসুন্দর পালিওয়ালের নির্দেশে গ্রামে কন্যা-সন্তান জন্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কন্যার জন্ম হলে দুঃখ করার পরিবর্তে আনন্দ উল্লাস করা হয় এবং সেই কন্যা-সন্তানের নামে ১১১টি চারাগাছ রােপণ করা হয়। গ্রামের কেউ দ্রুণহত্যা করতে পারবে না। কোনাে কন্যাকে শিক্ষার সুযােগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ ছাড়া কোনাে পরিস্থিতিতে কন্যার বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না। কন্যাব নামে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত ৩১,০০০ টাকা কন্যার বিয়ে বা শিক্ষার কাজে খরচ করা যাবে।

(ছ) কন্যা-সন্তানের জন্ম হলে গ্রামবাসীরা কীভাবে টাকা জমান ? সেই টাকা কীভাবে খরচ করা হবে ?

উত্তরঃ কন্যা-সন্তানের জন্ম হলেই গ্রামবাসীরা ২১,০০০ টাকা চাঁদা তুলে এবং সন্তানের পিতা-মাতার কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা নেয়। মােট ৩১,০০০ টাকা উক্ত কন্যা সন্তানটির নামে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপােজিট করে রাখা হয়। ঐ টাকা পিতামাতা কোনাে অবস্থাতেই আগেই ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারবেন না।

পড়াশােনা করে কন্যা যখন বিয়ের উপযুক্ত বয়সে উপনীত হয় একমাত্র তখনই ওই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তােলা যায়। ফিক্সড ডিপােজিট হিসাবে সঞ্চিত এই টাকা ততদিনে লক্ষাধিক টাকায় পরিণত হয়। সেই টাকা কন্যার বিয়েতে খরচ করা হয়।

(জ) শ্যামসুন্দরের এই উদ্যোগের ফলে গ্রামে বর্তমানে কী কী পরিবর্তন লক্ষ করা যায় ?

উত্তরঃ পিপলান্ত্রি গ্রামটি ধীরে ধীরে সুন্দর সবুজ হয়ে ওঠে। গাছপালার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় পাখি, জীবজন্তুর আগমন ঘটে। দূষিত বায়ু কমে গিয়ে মুক্ত এবং বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত হতে লাগল। অত্যাধিক উষ্ণতার প্রকোপ কমে গেল এবং সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভূগর্ভের জলের স্তর উপরে উঠে এল। পুকুর জলাশয় ভরে গেল। কৃষিকাজের জন্যও জনগণ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পেতে সক্ষম হল। ধীরে ধীরে গ্রামে আবার সুখ সমৃদ্ধি ফিরে এল।

(ঙ) কত সালে পিপলান্ত্রি গ্রাম রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় ?

উত্তরঃ ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি এ. পি. জে আব্দুল কালাম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার দেন।

৩। দীর্ঘ উত্তর দাও।

(ক) পিপলান্ত্রি গ্রামে যে ভয়ঙ্কর পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছিল সে সম্পর্কে আলােচনা করাে।

উত্তরঃ আদর্শ গ্রাম পিপলান্ত্রি একসময় পরিবেশ দূষণ এবং জলসেচের অভাবে ভুগছিল। এর ফলে গ্রামের মানুষের অবস্থা অত্যন্ত করুণ ও শােচনীয় হয়ে পড়েছিল। প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী হওয়া সত্ত্বেও গ্রামটির মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছিল। মার্বেল পাথরের জন্য বিখ্যাত গ্রামটিতে ব্যবসায়ীরা মার্বেল পাথরের খনি শুরু করে। এই বিশাল খনিগুলির জন্য প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদগুলিও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যায়। মার্বেল পাথর তােলার জন্য খনিগুলিতে দিনরাত কাজ চলার ফলে পিপলান্ত্রি গ্রামের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ে। সামান্য পরিমাণ বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য মানুষের হাহাকার শুরু হয়ে যায়। গাছপালার সংখ্যাও দ্রুতগতিতে কমতে থাকে। যার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়াতে কৃষিকাজের জলের জন্য গ্রামের মানুষের মধ্যে তীব্র সংকট শুরু হয়ে যায়। মার্বেল খনির জন্য নদী পুকুর প্রভৃতি জলাশয়ের জলও শুকিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে মানুষ সেই দূষিত জল খাওয়ার কাজে ব্যবহার করে এবং অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। স্বাভাবিকভাবে রােগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে গাছপালা না থাকার কারণে ভূগর্ভের জলের স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। কৃষিজমির উর্বরাশক্তিও হ্রাস পায়। পাখি, জীবজন্তুর সংখ্যা কমে যায়। নিদারুণ দারিদ্রের কবলে পড়ে পরিবারের যুবকরা কাজের খোঁজে জয়পুর, ভােপাল, ইন্দোর হায়দ্রাবাদ, দিল্লি, মুম্বাইয়ে চলে যেতে বাধ্য। হয়। গ্রামটি দ্রুতগতিতে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।

(খ) পিপলান্ত্রি গ্রামের উজ্জীবনে শ্যামসুন্দরের অবদান আলােচনা করাে ?

উত্তরঃ পিপলান্ত্রি গ্রামকে পুনর্জীবিত করে তােলার নেপথ্যে রয়েছে শ্যামসুন্দর পালিওয়ালের অবদান। শ্যামসুন্দরের হাতে নতুন রূপ প্রাপ্তপিপলান্ত্রি গ্রামকে দেখার জন্য প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ, সরকারী প্রতিনিধিরা আসেন।

শ্যামসুন্দর পালিওয়াল যেসময় জন্মেছিলেন সেসময় পিপলান্ত্রি গ্রামের অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ। মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি নিজের মাকে হারিয়েছেন। এরপর জীবনসংগ্রামের জন্য গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়। কিন্তু গ্রাম ছেড়ে চলে যাবার পরও তাঁর মন থেকে গ্রামের হতদরিদ্র পরিস্থিতির ছবি মুছে যায়নি। ফলে একসময় তিনিগ্রামে ফিরে এলেন। গ্রামে এসে শুরু করলেন কঠিন সংগ্রাম।

ততদিনে মার্বেল পাথরের বড়াে বড়াে খনি সব শেষ করে দিয়েছিল। ভূগর্ভের জল ৮০০ ফুট নিচে নেমে গিয়েছিল। এর ফলে গ্রামের জনগণ বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে শ্যামসুন্দর পালিওয়াল গ্রামপ্রধানের দায়িত্ব লাভ করার পর সবকিছু পালটে যায়। নিজের কন্যার স্মৃতিতে একটি চারাগাছ রােপণ করলেন। সেদিনই গ্রামে একটি নতুন নিয়ম প্রবর্তন করলেন যে গ্রামটিতে জন্মানাে প্রতিটি কন্যার নামে জনগণকে ১১১টা চারাগাছ রােপণ করতে হবে। তার দ্বারা প্রচলিত এই একক এবং মহৎ প্রচেষ্টাই সম্পূর্ণ গ্রামটিকে নতুন জীবন দান করে।

(গ) কিরণ নিধি যােজনা কী ? সে সম্পর্কে বিস্তৃত লেখাে।

উত্তরঃ শ্যামসুন্দর পালিওয়াল মাত্র ছয় বছর বয়সে মাকে হারান। এরপর জীবনসংগ্রামের জন্য তাকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়। কিন্তু গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও তাঁর মন থেকে হতদরিদ্র গ্রামের পরিস্থিতির ছবি মুছে যায়নি। ফলে একসময় তিনি গ্রামে ফিরে এলেন। গ্রামে এসে শুরু করলেন কঠিন সংগ্রাম। ততদিনে মার্বেল পাথরের বড়াে বড়াে খনি সব শেষ করে দিয়েছিল। ভূগর্ভের জল ৮০০ ফুট নিচে নেমে গিয়েছিল। এর ফলে গ্রামের মানুষ বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে শ্যামসুন্দর পালিওয়াল গ্রামপ্রধানের দায়িত্ব লাভ করার পর সবকিছু পরিবর্তিত হয়ে যায়। একদিনের একটি ঘটনা সবকিছু বদলে দেয়। শ্যামসুন্দরের কন্যা অসুখে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। কন্যার মৃত্যুতে ম্রিয়মান পালিওয়াল ঘটনাটিকেনিয়তির ইচ্ছা মনে করে কন্যার স্মৃতিতে একটি চারাগাছ রােপণ করলেন। সেদিনই তিনি গ্রামে একটি নতুন নিয়ম প্রবর্তন করলেন। নিয়মটি হল গ্রামে জন্মানাে প্রতিটি কন্যার নামে জনগণকে ১১১টি চারাগাছ রােপণ করতে হবে। এইভাবে কিরণ নিধি যােজনার অধীনে কাজ শুরু হল। ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গ্রামপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন শ্যামসুন্দর। তার দ্বারা প্রচলিত এই একক ও মহৎ প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ গ্রামটি একটা নতুন জীবন পায়।

(ঘ) শ্যামসুন্দর পালিওয়াল যে নিয়মগুলাে চালু করেছিলেন তা উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ শ্যামসুন্দর পালিওয়াল গ্রামের প্রতিটি লােককে চারটি দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই চারটি দায়িত্ব হল—কন্যা-সন্তানকে পুত্র-সন্তানের মতােই ভালােভাবে প্রতিপালন করে বড়াে করতে হবে, জল সংরক্ষণ করতে হবে, গাছপালা রােপণ করে প্রতিপালন করতে হবে এবং কৃষিকাজ করে নিজের প্রয়ােজন পূরণ করতে হবে। এই চারটি দায়িত্ব যখন গ্রামবাসীরা পালন করতে শুরু করল তখন গ্রামের চেহারা বদলে গেল।

আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এখনাে কন্যা- সন্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। অনেকেই কন্যা-সন্তানকে ত্যাগ করতে চায় বা গর্ভাবস্থাতেই হত্যা করতে চায়। ভ্রণ হত্যা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ । যদিও বহু মানুষ গােপনে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ পরীক্ষা করে কন্যা সন্তান বলে জানতে পারলে গর্ভপাত করিয়ে নেন। এর ফলে দেশের কিছু রাজ্যে ছেলেমেয়ের অনুপাতের তারতম্য ঘটে। কিন্তু শ্যামসুন্দর পিপলান্ত্রি গ্রামের মানুষদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হন। তার নির্দেশে গ্রামে কন্যা-সন্তানের জন্ম হওয়ার সাথে সাথে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

কন্যার জন্ম হলে আনন্দ করা হয় এবং সেই কন্যা-সন্তানের নামে ১১১টি চারাগাছ রােপণ করা হয়। তিনি নিয়ম করে দিয়েছিলেন গ্রামে কেউ ভ্রণ হত্যা করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, কন্যা-সন্তানকে যেভাবে আদরযত্ন করে বড়াে করে তােলা হবে ঠিক একইভাবে স্নেহ মমতা এবং যত্নের মাধ্যমে ১১১টি চারাগাছকে প্রতিপালন করতে হবে। তৃতীয়ত, কোনাে কন্যাকে শিক্ষার সুযােগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না । চতুর্থত, কোনাে পরিস্থিতিতে কন্যার বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না। পঞ্চমত, কন্যার নামে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত ৩১,০০০ টাকা কন্যার শিক্ষার বা বিয়ের কাজে খরচ করা যাবে। পরিশেষে কন্যার জন্মের সময় রােপণ করা গাছগুলি হবে গ্রামের সম্পত্তি। একটি স্ট্যাম্প পেপারে লিপিবদ্ধ এই নিয়মের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করে গ্রামবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।

রাখিবন্ধনের দিন গ্রামের কন্যা ও মহিলারা গাছে রাখি বেঁধে গাছ ও মানুষের সম্পর্ককে আরাে বেশি গভীর অর্থবহ করে তােলেন। ২০০৫ সাল থেকে যখন পিপলান্ত্রি গ্রামের মানুষ কন্যা-সন্তানের জন্ম হলে ১১১টি মূল্যবান প্রজাতির চারাগাছ রােপণ করা শুরু করলেন তখন থেকেই গ্রামের সুদিন দেখা দেয়।

(ঙ) শ্যামসুন্দরের দ্বারা গৃহীত উদ্যোগে গ্রামের বর্তমান পরিবেশ কীভাবে সজীব হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে।

উত্তরঃ শ্যামসুন্দর পালিওয়াল জানতেন যে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হলে কেবল চারাগাছ রােপণ করলেই হবে না, সেগুলিকে প্রতিপালন করতে হবে এবং জল সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ গাছপালা একটি শুকনাে অঞ্চলকে পুনরায় সবুজ করে তােলার পাশাপাশি মাটিকে সজীব করে তােলে এবং ভূগর্ভের জলের স্তরকে উপরে তুলে আনতে সাহায্য করে। অন্যভাবে বলা যায় বর্যার জলকে সংরক্ষণ করতে পারলে তা যেমন পুনরায় ব্যবহারের উপযােগী হয় তেমনি ভূগর্ভেও জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্থানটি কৃষিকার্যের জন্য সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে।

২০০৫ সাল থেকে যখন পিপলান্ত্রিগ্রামের মানুষ কন্যা- সন্তানের জন্ম হলে ১১১টি মূল্যবান প্রজাতির চারাগাছ রােপণ করা শুরু করলেন তখন থেকেই গ্রামের সুদিন দেখা দিল।

ধীরে ধীরে গ্রামটি সবুজ হতে শুরু করল। গাছগাছালির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় পাখি জীবজন্তুর আগমন ঘটল। দূষিত বায়ু কমে গিয়ে মুক্ত এবং বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত হতে লাগল। অত্যাধিক উষ্ণতার তীব্র প্রকোপ কমে গেল এবং সময়মতাে বৃষ্টিপাত হও য়ায় ভূগর্ভের জলের স্তর উপরে উঠে এল। পুকুর জলাশয় ভরে গেল। কৃষিকাজের জন্যও জনগণ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পেতে সক্ষম হল।

বর্তমানে পিপলান্ত্রি গ্রামে বিভিন্ন প্রগতির পাখি দেখার জন্য প্রতিবছর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসেন। গ্রামের পাশে প্রকৃতি ধ্বংসকারী যে সকল অবৈধ খনিগুলি ছিল সরকার সেগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামটিকে দেখার জন্য বিদেশ থেকেও মানুষ গ্রামটিকে দেখার জন্য আসতে শুরু করল, বিশেষ করে গবেষকের দল তথ্যচিত্র নির্মাণকারী দল, সিনেমা নির্মাণকারী দল তখন রাজস্থান সরকার গ্রামটির রাস্তা পাকা করে দেয়। কন্যার জন্মের সময় রােপণ করা এক একটি চারা গাছ বড়াে হয়ে যায়। ১১১টি গাছের মূল্যও ১কোটি ১১ লক্ষ টাকার সমান হয়। কারণ গাছগুলি অত্যন্ত মূল্যবান প্রজাতির। কিন্তু গাছের দেওয়া অক্সিজেন এর থেকেও বেশি মূল্যবান। ফলে প্রতিটি চারাগাছকে এক একটি পূর্ণাঙ্গ গাছে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রতিটি গ্রামবাসী পালন করে আসছেন।

বস্তুত শ্যামসুন্দ’ পালিওয়াল এবং পিপলান্ত্রি গ্রামের মানুষ দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছে যে চারাগাছ রােপণ করুন, প্রতিপালন করুন, কৃষিকাজ করুন। তবেই নিজেৰ বাসস্থানটি স্বর্গতুল্য হয়ে উঠবে। বর্তমানে রাজস্থানের অন্যান্য স্থানেও পিপলন্ত্রি গ্রামের আদর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।

(চ) পিপলান্ত্রি গ্রাম কীভাবে সারা ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীকে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছে আলােচনা করো।

উত্তরঃ ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি ড. এ. পি. জে. আব্দুল কালাম পিপলান্ত্রি গ্রামকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত করেন। সরকারি প্রকল্পগুলির সফল রূপায়ণ করার জন্য পিপলান্ত্রি গ্রাম রাজস্থান সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছে। ২০১৫ সালে ভারত সরকারের সূচিত “স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বহু আগেই গ্রামটিতে সম্পূর্ণ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার কাজ চলছিল। খােলা স্থানে কেউ প্রস্রাব করে না। বাইরে থেকে আসা কোনাে ব্যক্তি গ্রামের কোনাে জায়গা অপরিষ্কার করতে পারে না। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পিপলান্ত্রি ভ্রমণ করে এর কাজকর্মের খতিয়ান নিয়ে এবং অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন নতুন প্রকল্প আরম্ভ করেছেন। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসােদিয়া পিপলান্ত্রি গ্রাম থেকে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেন এবং দিল্লির মতাে প্ৰদূষিত স্থানে এগুলি রূপায়িত করার চেষ্টা করেছেন। দেশের এমন একটি সংবাদপত্র নেই, সংবাদমাধ্যম নেই যেখানে পিপলন্ত্রি গ্রামের কথা লেখা হয়নি বা প্রচার করা হয়নি। ইউটিউব, ফেসবুক, ইত্যাদিতে এই গ্রামটির বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। গ্রামের বিধবা, শারীরিকভাবে অক্ষম লােকেরাও গাছগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করার কাজে নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন। বর্তমানে গ্রামটির কোনাে লােক মারা গেলে তার স্মৃতিতে ১১টা গাছ রােপণ করা হয়। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গ্রামটির ৩০০ ছেলেমেয়ের পড়াশােনার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। কৃষিকাজ করতে গেলে জলের অভাব। জল না থাকলে বর্ষার জল সংরক্ষণ করে তাকে পুনরায় ব্যবহারের চেষ্টা করলে বা বৃক্ষরােপণ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করলে সময়মতাে বৃষ্টিপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটির উর্বরাশক্তিও বৃদ্ধি পায়। ঘটে চলা পরিবেশ দূষণও রােধ করা যায়। শ্যামসুন্দর পালিওয়াল এবং পিপলান্ত্রি গ্রামের মানুষ দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছে যে, চারাগাছ রােপণ করুন, প্রতিপালন করুন, কৃষিকাজ করুন, তবেই নিজের বাসস্থানটি স্বর্গতুল্য হয়ে উঠবে।

(ছ) নিজে করাে।

১০। ভাষা বিষয়ক (ব্যাকরণ)

(ক) বাক্য রচনা-

উত্তরঃ শব্দহীন :- জায়গাটি এত নির্জন যে পুরােপুরি শব্দহীন।

বাক্যহীন :- তার কাজকর্ম দেখে আমি বাক্যহীন হয়ে পড়েছি।

উষর :- উষর মরুপ্রান্তরে সূর্য ডুবছে।

অভিনয় :- কিছু মানুষের অভিনয় সহজে বােঝা যায় না

উচ্ছ্বাস :- রেজাল্ট দেখে বালকেরা উচ্ছাস প্রকাশ করছে।

প্রলয় :- কল্লোল- ঝড়ের আগমনে সমুদ্রে প্রলয় কল্লোল দেখা দিয়েছে।

ভয়ংকর :- শব্দবাজীর তাণ্ডবে ভয়ংকর অবস্থা।

(খ) পদান্তর করাে।

উত্তরঃ ঈশ্বর – ঈশ্বরীয়।

বন্ধু – বন্ধুত্ব।

সুন্দর – সৌন্দর্য।

দর্শন – দর্শনীয়।

সত্য- সত্যতা।

উত্তেজনা – উত্তেজিত।

চুরি – চোর্য।

উচ্ছসিত – উচ্ছাস।

নির্বাসন – নির্বাসিত।

অবসন – বসন্নতা।

রােমাঞ্চ – রােমাঞ্চিত।

প্রতারণা – প্রতারিত।

প্রভু – প্রভুত্ব।

(ঘ) অসমের গণ্ডার :- ভারতীয় গণ্ডার অথবা বৃহত্তর একশৃঙ্গযুক্ত গণ্ডার গণ্ডার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি অরক্ষিত প্রজাতির তালিকাভুক্ত। এই বৃহৎপ্রাণীটি পাণ্ডয়া যায় আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপালের সংরক্ষিত এলাকায় যেখানে জনসংখ্যায় এরা হিমালয়ের পাদদেশে সীমাবদ্ধ থাকে।

গণ্ডারের চামড়া বর্মের মতাে, মােটা ও অনেকগুলাে খাঁজযুক্ত। এদের ঘাড়, কাঁধ ও দেহের পাশের চামড়া স্ফীত। এই প্রজাতির মেয়ে গণ্ডারের উচ্চতা ১.৮ মিটার। ইন্দো-গঙ্গা সমভূমিতে আগে এই গণ্ডার বাস করত কিন্তু এদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে চোরাশিকারীদের উৎপাতে। এখন সারা ভারতে এই ভারতীয় গণ্ডারের সংখ্যা ৩,০০০, তাদের মধ্যে ২,০০০ গণ্ডারই ভারতের আসামে দেখা যায়।

(ঙ) প্রধান শিক্ষকের নিকট ছুটির আবেদন পত্র।বিষয়- ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ।

উত্তরঃ

মাননীয়

প্রধান শিক্ষক সমীপেষু-

শিলচর বয়েজ, শিলচর

মহাশয়,

আমি আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি ক-বিভাগের ছাত্র, ক্রমিক নং-৪। আগামী ৫-১০-২০১৮ তারিখে আমার একটি ফুটবল ম্যাচ রয়েছে।

আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরােধ এই যে উক্ত দিনটিতে আমার ছুটি মঞ্জুর করলে অত্যন্ত বাধিত থাকব।

নমস্কারান্তে-

আপনার অনুগত ছাত্র।

সুনির্মল রায়

(চ) সন্ধিবিচ্ছেদ করা।

উত্তরঃ নির্ভর- নিঃ + ভর।

পরিচ্ছন্ন – পরিঃ + ছন্ন।

দুর্লভ – দুঃ + লভ।

শতক – শত + এক।

যথেষ্ট – যথা + ইষ্ট।

তেজস্ক্রিয় – তেজঃ + ক্রিয়।

(ছ) বাক্য রচনা করাে।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল :- আমাদের চারিদিকে বায়ুমণ্ডল ঘিরে আছে।

অস্তিত্ব :- দূষণের কারণে-মাযের অস্থিত্ব সংকটের মুখােমুখি।

নিরাপত্তা :- বৃদ্ধ মানুষটি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।

আক্রান্ত :- রামবাবু ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত।

উৎকর্ষ :- অনুশীলনের ফলে যেকোন কিছুর উৎকর্ষ বা মান বৃদ্ধি পায়।

শ্রুতিগােচর :- প্রচণ্ড আওয়াজে তােমার কথা আমার শ্রুতিগােচর হয়না।

প্রাবল্য :- নিম্নচাপের জেরে সমুদ্রের ঢেউয়ে প্রাবল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

আলােচনাচক্র :- সাহিত্য সভায় আলােচনাচক্র চলছে।

জনস্ফীতি :- ভারতবর্যেজনস্ফীতি ঘটেছে।

মতদ্বৈধ :- বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে মতদ্বৈধ চলছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top