Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন

Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন Question Answer in Bengali Medium | AHSEC Class 12 History Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Assam Board Class Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন Notes and select needs one.

Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 12 History Chapter 14 মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন Solutions for All Subjects, You can practice these here.

মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন

তৃতীয় খণ্ড

Chapter: 14

HISTORY

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অহিংস নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন?

উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধী।

প্রশ্ন ২। গান্ধীজি কখন সবরমতী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তরঃ ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ৩। গ্রাম-স্বরাজের প্রবক্তা কে ছিলেন?

উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধী।

প্রশ্ন ৪। ‘ভারত রক্ষা আইন’ কখন প্রবর্তন করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ৫। জালিয়ানওয়ালাবাগ কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ পাঞ্জাবের অমৃতসরে।

প্রশ্ন ৬। গান্ধীজি কখন লবণ আইন ভঙ্গ করেন?

উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল।

প্রশ্ন ৭। গান্ধীজি কখন ডাণ্ডি যাত্রা করেন?

উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল।

প্রশ্ন ৮। সীমান্ত গান্ধী কাকে বলা হত?

উত্তরঃ খান আব্দুল গফুর খানকে।

প্রশ্ন ৯। প্রথম গোলটেবিল বৈঠক কখন অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১০। গান্ধী-আরউইন চুক্তি কখন স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৫ই মার্চ।

প্রশ্ন ১১। দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক কোন্ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১২। সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কখন ঘোষিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগস্ট।

প্রশ্ন ১৩। ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ কে ঘোষণা করেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাকডোনাল্ড।

প্রশ্ন ১৪। গান্ধীজিকে কে ‘নগ্ন ফকির’ বলেছিলেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল।

প্রশ্ন ১৫। ক্রিপস্ মিশন কখন ভারতবর্ষে আসে?

উত্তরঃ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে মার্চ।

প্রশ্ন ১৬। জার্মানি কখন পোল্যান্ড আক্রমণ করে?

উত্তরঃ ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর।

প্রশ্ন ১৭। জার্মানি কখন সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণ করে?

উত্তরঃ ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ২২শে জুন।

প্রশ্ন ১৮। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কখন শুরু হয়?

উত্তরঃ ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর।

প্রশ্ন ১৯। কোন্ আন্দোলনকে ৪২-এর গণআন্দোলন বলে অভিহিত করা হয়?

উত্তরঃ ভারত ত্যাগ আন্দোলনকে।

প্রশ্ন ২০। কোন্ আন্দোলনকে আগস্ট বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়?

উত্তরঃ ভারত ত্যাগ আন্দোলনকে।

শুদ্ধ উত্তরটি বের কর:

প্রশ্ন ১। গান্ধীজি সর্বপ্রথম কোথায় অহিংসা নীতি প্রয়োগ করেছিলেন?

(ক) দক্ষিণ আফ্রিকায়।

(খ) সবরমতী আশ্রমে।

(গ) চম্পারণে।

(ঘ) ডাণ্ডিতে।

উত্তরঃ (ক) দক্ষিণ আফ্রিকায়।

প্রশ্ন ২। গান্ধীজির কল্পনা করা গ্রাম-স্বরাজের মধ্যমণি ছিল—

(ক) গ্রাম।

(খ) পঞ্চায়েত।

(গ) শহর।

(ঘ) সংসদ।

উত্তরঃ (খ) পঞ্চায়েত।

প্রশ্ন ৩। ভারতরক্ষা আইন প্রবর্তিত হয়—

(ক) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (গ) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ৪। গান্ধীজি কত খ্রিস্টাব্দে চম্পারণ সত্যাগ্রহ আরম্ভ করেন?

(ক) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (ক) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ৫। মহাত্মা গান্ধীকে কে ‘অর্ধনগ্ন ফকির’ বলেছিলেন?

(ক) লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

(খ) উইনস্টন চার্চিল।

(গ) লর্ড পামারস্টোন।

(ঘ) বেঞ্জামিন ডিজরেলি।

উত্তরঃ (খ) উইনস্টন চার্চিল।

প্রশ্ন ৬। গান্ধীজি কত খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন?

(ক) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (ক) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ৭। পুণা চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়?

(ক) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (ঘ) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ৮। কত তারিখে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড হয়?

(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১০ই এপ্রিল।

(খ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ২১ই এপ্রিল।

(গ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল।

(ঘ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই এপ্রিল।

উত্তরঃ (গ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল।

প্রশ্ন ৯। মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়—

(ক) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (খ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১০। জওহরলাল নেহরু সর্বপ্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন—

(ক) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর।

(খ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি।

(গ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি।

(ঘ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট।

উত্তরঃ (ক) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ১১। কোন্ দিনটিকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়েছিল?

(ক) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট।

(খ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি।

(গ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট।

(ঘ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি।

উত্তরঃ (খ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি।

প্রশ্ন ১২। শের-ই-পাঞ্জাব কাকে বলা হয়?

(ক) চন্দ্রশেখর আজাদ।

(খ) লালা লাজপত রায়।

(গ) রঞ্জিত সিং।

(ঘ) গুরু গোবিন্দ সিং।

উত্তরঃ (খ) লালা লাজপত রায়।

প্রশ্ন ১৩। “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার; এবং আমি তা চাই-ই।” এই উক্তিটি করেছিলেন—

(ক) লোকমান্য তিলক।

(খ) মহাত্মা গান্ধী।

(গ) গোপালকৃষ্ণ গোখলে।

(ঘ) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।

উত্তরঃ (ক) লোকমান্য তিলক।

প্রশ্ন ১৪। সীমান্ত গান্ধী কাকে বলা হত?

(ক) মহম্মদ আলি জিন্না।

(খ) সৈয়দ কাশিম রাজভী।

(গ) খান আব্দুল গফ্ফর খান।

(ঘ) শওকত আলি।

উত্তরঃ (গ) খান আব্দুল গফ্ফর খান।

প্রশ্ন ১৫। স্বাধীন ভারতের গভর্নর-জেনারেল ছিলেন-

(ক) মতিলাল নেহেরু।

(খ) লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

(গ) রাজা গোপালাচারী।

(ঘ) ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ।

উত্তরঃ (খ) লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

প্রশ্ন ১৬। ভারতের স্বাধীনতার সময় ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-

(ক) উইনস্টন চার্চিল।

(খ) গ্লাডস্টোন।

(গ) ক্লিমেন্ট এটলি।

(ঘ) ডিজরেলি।

উত্তরঃ (গ) ক্লিমেন্ট এটলি।

প্রশ্ন ১৭। অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল-

(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১৮। আইন অমান্য আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল—

(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।

(খ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে।

(ঘ) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ (খ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১৯। হোমরুল আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা কে?

(ক) অ্যানি বেসান্ত।

(খ) মহাত্মা গান্ধী।

(গ) জওহরলাল নেহরু। 

(ঘ) গোপালকৃষ্ণ গোখলে।

উত্তরঃ (ক) অ্যানি বেসান্ত।

প্রশ্ন ২০। কোন্ ভারতীয় মনীষীর পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে ইংরাজি শিক্ষা প্রবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়?

(ক) পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। 

(খ) রাজা রামমোহন রায়।

(গ) গোবিন্দ রানাডে। 

(ঘ) দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর।

উত্তরঃ (গ) গোবিন্দ রানাডে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত যে-কোন দুটি আন্দোলনের উল্লেখ কর।

উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত দুটি আন্দোলন হল—

(ক) অসহযোগ আন্দোলন। এবং 

(খ) আইন অমান্য আন্দোলন।

প্রশ্ন ২। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারত শাসন আইন’ মর্লি-মিন্টো আইন-এর দুটি শর্ত উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইনের দুটি শর্ত নিম্নরূপ:

(ক) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার বেসরকারি সভ্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

(খ) হিন্দু ও মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন প্রথার প্রবর্তন করা।

প্রশ্ন ৩। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের দুটি শর্ত লেখ।

উত্তরঃ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের দুটি শর্ত নিম্নরূপ:

(ক) সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের প্রতি প্রযোজ্য আইন প্রণয়নের জন্য দ্বিকক্ষ-সম্বলিত একটি আইনসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

(খ) প্রত্যেক প্রদেশের শাসনভার একজন গভর্নরের উপর ন্যস্ত হয়।

প্রশ্ন ৪। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের যে-কোন দুটি শর্ত উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের দুটি শর্ত নিম্নরূপ:

(ক) ব্রিটিশ শাসিত প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলি নিয়ে কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

(খ) প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থায় পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের প্রবর্তন।

প্রশ্ন ৫। অসহযোগ আন্দোলনের যে-কোন দুটি লক্ষ্য সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলনের দুটি লক্ষ্য নিম্নরূপ:

(ক) পাঞ্জাবে ব্রিটিশের অমানুষিক অত্যাচারের প্রতিবাদ।

(খ) ভারতে স্বরাজ গঠন করা।

প্রশ্ন ৬। ভারতে খিলাফৎ আন্দোলনের যে-কোন দুটি লক্ষ্য লেখ।

উত্তরঃ ভারতে খিলাফৎ আন্দোলনের দুটি লক্ষ্য নিম্নরূপঃ

(ক) তুর্কী সাম্রাজ্যের উপর ব্রিটিশের অবিচারের প্রতিবাদ।

(খ) ভারতে হিন্দু ও মুসলিম ঐক্য স্থাপন করা।

প্রশ্ন ৭। স্বদেশী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার দুটি কারণ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ স্বদেশী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার দুটি কারণ নিম্নরূপ:

(ক) ব্রিটিশ সরকার আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করে।

(খ) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস বিভাজনের ফলে আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ৮। আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠিত হওয়ার মূল আদর্শগুলি লেখ।

উত্তরঃ আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠিত হওয়ার আদর্শগুলি হল—

(ক) ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ। এবং 

(খ) দেশপ্রেমের আদর্শ।

প্রশ্ন ৯। ভারতের জাতীয় আন্দোলনে চরমপন্থী উত্থানের দুটি কারণ লেখ।

উত্তরঃ ভারতের জাতীয় আন্দোলনে চরমপন্থী উত্থানের দুটি কারণ নিম্নরূপ:

(ক) কংগ্রেসের দাবি পূরণের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের উদাসীনতা।

(খ) লর্ড কার্জনের দমনমূলক নীতি।

প্রশ্ন ১০। ক্রিপস্ মিশন ব্যর্থ হওয়ার দুটি কারণ লেখ।

উত্তরঃ ক্রিপস্ মিশন ব্যর্থ হওয়ার দুটি কারণ নিম্নরূপ:

(ক) ক্রিপসের প্রস্তাবে ভারতের স্বাধীনতা দানের কোন উল্লেখ না থাকায় কংগ্রেস তা গ্রহণ করেনি।

(খ) স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের উল্লেখ না থাকায় মুসলিম লীগও তা প্রত্যাখ্যান করে।

প্রশ্ন ১১। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কোন্ সভায় পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল? সেই সভার সভাপতির নাম লেখ।

উত্তরঃ ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করা হয়। সেই অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

প্রশ্ন ১২। একক সত্যাগ্রহ আন্দোলন কে এবং কখন আরম্ভ করেছিলেন?

উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধী ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে লবণ আইন ভঙ্গ করার জন্য একক সত্যাগ্রহ আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৩। কে, কোথায় লবণ আইন ভঙ্গ করেছিলেন?

উত্তরঃ গান্ধীজি গুজরাটের ডাণ্ডিতে লবণ আইন ভঙ্গ করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৪। মুসলমানদের জন্য মুসলিম লীগ কোন্ সভায় একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছিলেন? লীগের সেই সভার সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তরঃ। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের লাহোর অধিবেশনে। লীগের সেই সভার সভাপতি ছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না।

প্রশ্ন ১৫। কখন এবং ভারতের কোথায় গান্ধীজি সর্বপ্রথম অহিংসা নীতির পরীক্ষা করেছিলেন?

উত্তরঃ ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের বিহারের চম্পারণে।

প্রশ্ন ১৬। কে, কখন ‘করবো অথবা মরবো’ এই আহ্বান জানিয়েছিলেন?

উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধী ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে এই আহ্বান জানিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ১৭। কে এবং কখন ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধী ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ১৮। গান্ধীজি কাদের আদর্শের দ্বারা অহিংসা নীতি উদ্ভাবনে প্রভাবিত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ গান্ধীজি 

(ক) ইমার্সন। 

(খ) থরো। ও 

(গ) টলস্টয়-এর দ্বারা অহিংসা নীতি উদ্ভাবনে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

প্রশ্ন ১৯। অসহযোগ আন্দোলনের তিনটি কারণ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলনের তিনটি কারণ নিম্নরূপ:

(ক) রাওলাট আইন।

(খ) জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড।

(গ) তুর্কী সমস্যা।

প্রশ্ন ২০। অসহযোগ আন্দোলনের কার্যসূচীর প্রধান দুটি ভাগ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলনের কার্যসূচীর প্রধান দুটি ভাগ হল – 

(ক) গঠনমূলক কার্যসূচী। এবং 

(খ) ধ্বংসমূলক কার্যসূচী।

প্রশ্ন ২১। অসহযোগ আন্দোলনের তিনটি গঠনমূলক কার্যসূচীর উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলনের গঠনমূলক কার্যসূচীগুলি নিম্নরূপ:

(ক) শিক্ষার জাতীয়করণ।

(খ) স্বদেশী দ্রব্য গ্রহণ এবং প্রচার।

(গ) খাদি বস্ত্রের ব্যবহার।

প্রশ্ন ২২। গ্রাম-স্বরাজের অর্থ কি? কে উদ্ভাবন করেছিলেন?

উত্তরঃ গ্রামের সকল মানুষের অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতাকেই গ্রাম-স্বরাজ বলে। মহাত্মা গান্ধী উদ্ভাবন করেছিলেন।

প্রশ্ন ২৩। ডাণ্ডিযাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হওয়ার তিনটি কারণ দাও।

উত্তরঃ ডাণ্ডিযাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হওয়ার তিনটি কারণ নিম্নরূপ:

(ক) ডাণ্ডিযাত্রা প্রথমবারের মতো গান্ধীজিকে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

(খ) ডাণ্ডিযাত্রায় মহিলাগণ বিশাল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছিল।

(গ) ডাণ্ডিযাত্রার ফলে ইংরেজ সরকার ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিল।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

অথবা,

মন্ট-ফোর্ড সংস্কার মানে কি বোঝ? তাঁদের সংস্কারের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

অথবা,

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন সম্পর্কে একটি টীকা লেখ।

উত্তরঃ লর্ড চেমসফোর্ডের শাসনকালে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করা হয়। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সচিব মিঃ মন্টেগু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ঘোষণা করেন যে, ভারতবাসীকে স্বায়ত্ত শাসন দেওয়া হবে। পরে ভারত সচিব ও বড়লাট চেমস্‌ফোর্ড সম্মিলিতভাবে যে ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন তাই-ই মন্টেগু-চেমফোর্ড সংস্কার নামে পরিচিত। একে ভিত্তি করে গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট নামে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে এক আইন পাস করা হয়। ফলে ভারত শাসন নীতির নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়:

(ক) সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের প্রতি প্রযোজ্য আইন প্রণয়নের জন্য দ্বি-কক্ষ সম্বলিত একটি আইনসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের নাম ব্যবস্থাপক সভা এবং রাষ্ট্রীয় পরিষদ।

(খ) কেন্দ্রীয় আইনসভায় দেশীয় জনসাধারণ কর্তৃক নির্বাচিত সভ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল।

(গ) প্রত্যেক প্রদেশের শাসনভার একজন গভর্নরের উপর ন্যস্ত করা হল।

(ঘ) প্রত্যেক গভর্নরকে সাহায্য করবার নিমিত্ত এক একটি শাসন পরিষদের সৃষ্টি করা হল।

(ঙ) আইন প্রণয়নের মাধ্যমে প্রত্যেক প্রদেশে একটি করে প্রাদেশিক আইনসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

(চ) প্রাদেশিক শাসনতন্ত্রকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হল — (অ) রক্ষিত, এবং (আ) হস্তান্তরিত। রক্ষিত বিষয়গুলি গভর্নরের শাসন পরিষদের অধীনে রইল। হস্তান্তরিত বিষয়গুলি দেশীয় মন্ত্রীদের হাতে ন্যস্ত হল। এইরূপ শাসনব্যবস্থা  দ্বৈতশাসন বা ডায়ার্কি নামে পরিচিত হল।

প্রশ্ন ২। রাওলাট আইনের সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের সাংবিধানিক সংস্কার, মূলত ভারত শাসন আইন, ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে নি। তাছাড়া বিধ্বংসী বিশ্বযুদ্ধের ফলে সমগ্র দেশে খাদ্যাভাব, মহামারী ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় মানুষের দুর্দশা বেড়ে গেল। এইরূপ অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার শাসন সংস্কার দূরে রেখে কঠোর দমননীতির আশ্রয় গ্রহণ করে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই মার্চ কুখ্যাত রাওলাট আইন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত হয়। এই আইন অনুসারে যে-কোন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আটক রাখা যায়।

প্রশ্ন ৩। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই মার্চ কুখ্যাত রাওলাট আইন প্রবর্তন করে। এই আইন দমনমূলক ছিল। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশে প্রতিবাদ হয়; হরতাল ও শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু সরকার দমননীতি অব্যাহত রেখে পাঞ্জাবে সামরিক আইন বলবৎ করে। এই সামরিক আইন, দমননীতি প্রভৃতি অগ্রাহ্য করে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল ‘বৈশাখী’ উৎসবের দিন পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অমৃতসরের নিকটবর্তী এই স্থানে সেই দিন নিরস্ত্র প্রতিবাদীদের উপর ব্রিটিশ সরকারের সেনানায়ক ডায়ার গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়ে বহু নরনারী ও শিশুকে হত্যা করেন। এই ঘটনা ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ৪। অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার রাওলাট আইন প্রণয়ন করেন। এই আইন ছিল দমনমূলক। এই আইনের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশে প্রতিবাদ হয়। গান্ধীজি এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। ভারতবাসীর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ অত্যাচার চলতে থাকে। গান্ধীজি সত্যাগ্রহের আহ্বান জানান এবং অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব দেন। জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে গান্ধীজির দেওয়া অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ফলে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে গান্ধীজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ হয়। অসংখ্য ভারতবাসী এই আন্দোলনে যোগদান করে। ছাত্রছাত্রীগণ স্কুল-কলেজ বর্জন করে। আইনজীবীগণ আদালত বর্জন করেন। বিদেশি দ্রব্য বর্জিত হয়। বিশিষ্ট নেতৃবর্গ কারাবরণ করেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের চৌরিচৌরাতে আন্দোলনকারীরা হিংসার পথ অবলম্বন করায় ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গান্ধীজি তাঁর আন্দোলন স্থগিত করেন।

প্রশ্ন ৫। আইন অমান্য আন্দোলন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে কংগ্রেস পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় রূপে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ই এপ্রিল গান্ধীজি তাঁর অনুচরবর্গসহ লবণ আইন ভঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী ‘ডাণ্ডি’ অভিযান করেন। অনুচরবর্গসহ গান্ধীজিকে গ্রেপ্তার ও কংগ্রেসকে বেআইনি ঘোষণা করা হল। সমগ্র দেশে আইন অমান্য ও বিদেশি দ্রব্য বর্জন আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন তীব্র হতে তীব্রতর হয়। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পরপর তিনটি গোলটেবিল বৈঠক হয়। কিন্তু এইগুলি নিষ্ফল হওয়ায় গান্ধীজি পুনরায় আইন অমান্য আন্দোলন আরম্ভ করেন।

প্রশ্ন ৬। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

অথবা,

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত সরকার আইনের চারটি দফা উল্লেখ কর।

উত্তরঃ সাইমন কমিশন ও গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে শাসন সংস্কারের একটি নূতন প্রস্তাব সংযুক্ত করে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করা হয়। উক্ত ভারত শাসন আইনে সর্বপ্রথম ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। 

এই আইনে প্রধানত নিম্নোক্ত চারটি বিধান ছিল:

(ক) ব্রিটিশ শাসিত প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলি নিয়ে কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

(খ) প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের প্রবর্তন।

(গ) কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থায় দ্বৈতশাসন প্রতিষ্ঠা।

(ঘ) ব্রহ্মদেশকে ভারত হতে বিচ্ছিন্নকরণ।

প্রশ্ন ৭। ক্রিপস্ মিশন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

অথবা,

ক্রিপসের প্রস্তাব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

অথবা,

ক্রিপস্ মিশন ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে জাপান কর্তৃক ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, মালয়, ইন্দো-চীন, ব্রহ্মদেশ ও ইন্দোনেশিয়া অধিকৃত হয়। জাপানের ভারত আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয়। জাপানের সাফল্যে ভীত হয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা ভারতের জনগণের সহযোগিতা লাভের জন্য স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস্‌কে ভারতে পাঠায়। 

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ক্রিপস্ মিশন ভারতে এসে ভারতীয় নেতৃবর্গের সঙ্গে আলোচনাক্রমে নিম্নলিখিত প্রস্তাব সুপারিশ করে:

(ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ভারতকে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস দেওয়া হবে।

(খ) ভারতের সংবিধান রচনার জন্য একটি সংবিধান সভা আহ্বান করা হবে।

(গ) গভর্নর-জেনারেলের কার্যনির্বাহক সভায় অধিক সংখ্যক ভারতীয় প্রতিনিধি নেওয়া হবে।

(ঘ) সংবিধান রচনার পূর্ববিধি প্রতিরক্ষার ভার ব্রিটিশ সরকারের উপর ন্যস্ত থাকবে।

(ঙ) যুদ্ধের সময় ভারতের নিরাপত্তা রক্ষিত হবে।

ক্রিপসের প্রস্তাবে ভারতের স্বাধীনতা দানের কোন উল্লেখ না থাকায় কংগ্রেস তা গ্রহণ করেনি। আবার স্বাধীন মুসলিমপ্রধান সাম্রাজ্য স্থাপনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মুসলীম লীগও তা প্রত্যাখ্যান করে। এই সকল কারণে ক্রিপস্ মিশন কার্যত ব্যর্থ হয়।

প্রশ্ন ৮। ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়। ভারতবাসীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারতকে যুদ্ধে জড়ানো হয়। ভারতবাসীকে সন্তুষ্ট করবার জন্য ব্রিটিশ সরকার স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস্কে ভারতে প্রেরণ করে। কিন্তু ক্রিপস্ মিশন ভারতবাসীকে সন্তুষ্ট করতে পারে নি।

ক্রিপস্ মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের বোম্বাই (মুম্বাই) কংগ্রেসে ভারত ছাড়ো প্রস্তাব গৃহীত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনও একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে উপনীত হয়। বহু নেতা কারাবরণ করেন। সমগ্র ভারতে গণবিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। জনগণ ‘করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে’ ধ্বনি দিতে দিতে গ্রেপ্তার বরণ করেন। বিদ্রোহ দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার জনসাধারণের উপর অমানুষিক অত্যাচার আরম্ভ করে। এই আন্দোলন ‘আগস্ট বিপ্লব’ বা ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ৯। আজাদ হিন্দ ফৌজ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

অথবা,

ভারতীয় জাতীয় বাহিনী সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর ব্রিটিশ সরকার সুভাষচন্দ্রকে তাঁর কলকাতাস্থ এলগিন রোডের বাড়িতে নজরবন্দী করে রাখে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার খুব বেশি দিন তাঁকে নজরবন্দী করে রাখতে ব্যর্থ হয়। নেতাজী কাবুলিওয়ালার ছদ্মবেশে ইংরেজ সরকারের চোখে ধুলি দিয়ে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসের কোন এক সময় পলায়ন করে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে জার্মানি হতে জাপান চলে যান। জাপানের হাতে মালয় ও ব্রহ্মদেশস্থ ভারতীয় বন্দী সৈন্যদিগকে নিয়ে সুভাষচন্দ্র ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে আজাদ হিন্দ সরকার ও আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রহ্মদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে মণিপুর ও নাগা পাহাড়ে প্রবেশ করে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু নানা কারণে নেতাজীর এই অভিযান ব্যর্থ হয়।

প্রশ্ন ১০। অসহযোগ আন্দোলনের তিনটি ধ্বংসাত্মক কার্যসূচীর উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলনের তিনটি ধ্বংসাত্মক কার্যসূচী নিম্নরূপ:

(ক) ব্রিটিশ আইন-আদালত বর্জন।

(খ) ব্রিটিশ শিক্ষানুষ্ঠান বর্জন।

(গ) সরকারি কার্যসূচী ও উৎসব বর্জন।

প্রশ্ন ১১। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন গড়ে ওঠা যে-কোন চারটি জাতীয় শিক্ষানুষ্ঠানের নাম উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন গড়ে ওঠা জাতীয় শিক্ষানুষ্ঠানগুলি নিম্নরূপ:

(ক) বিহার বিদ্যাপীঠ (পাটনা)।

(খ) বেঙ্গল ন্যাশন্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

(গ) আলিগড় ন্যাশনাল মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়।

(ঘ) গুজরাট বিদ্যাপীঠ।

প্রশ্ন ১২। ম্যাকডোনাল্ডের ঘোষণা অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষের কোন্ কোন্ জাতি/শ্রেণীর লোকদের সংখ্যালঘুরূপে স্বীকৃতি দিয়েছিল?

উত্তরঃ সংখ্যালঘু জাতিগুলি হল — 

(ক) মুসলমান। 

(খ) অবদলিত শ্রেণী। 

(গ) অবহেলিত শ্রেণী। 

(ঘ) ভারতীয় খ্রিস্টান। 

(ঙ) অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। 

(চ) ইউরোপীয়। 

(ছ) বণিক ও উদ্যোগপতি শ্রেণী।

(জ) মাটিগিরি। 

(ঝ) শ্রমিক। ও 

(ঞ) শিখ।

প্রশ্ন ১৩। বিয়াল্লিশের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চারটি সংস্থার নাম লেখ।

উত্তরঃ বিয়াল্লিশের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চারটি সংস্থা নিম্নরূপ:

(ক) সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট লীগ।

(খ) সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লক।

(গ) ভগৎ সিংয়ের হিন্দুস্থান সোসালিস্ট রিপ্লাবিকান আর্মি।

(ঘ) জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সমাজবাদী দল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top