Class 12 Bengali Chapter 19 ব্যাকরণ

Class 12 Bengali Chapter 19 ব্যাকরণ | Class 12 Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Assam Board HS 2nd Year Bengali Chapter 19 ব্যাকরণ Notes and select needs one.

Class 12 Bengali Chapter 19 ব্যাকরণ

Join Telegram channel

Table of Contents

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Assam Board Class 12 Bengali Chapter 19 ব্যাকরণ Solutions for All Subject, You can practice these here.

ব্যাকরণ

Chapter: 19

বাংলা (MIL)

গোট – ৪

প্রবাদ – প্রবচন

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট :- অত্যাধিক লোভ করলেই ক্ষতি হয় ।

অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট :- সহজ কাজে অনেকের হাত লেগে জটিলতা সৃষ্টি হওয়া ।

গেয়োঁ যোগী ভিখ পায় না :- খুব পরিচিত প্রতিভাবান ব্যক্তিকে তার প্রতিভার কেউ মূল্য দেয়না ।

নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা :- একজন অক্ষম ব্যক্তি সময় সময় নিজের অক্ষমতা ঢেকে অন্যকে দোষ দেয় ।

ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায় :- ভুল করলে অভিজ্ঞতা বাড়ে ।

চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে :- যখন কিছু করা উচিত তখন না করে , সময় অভিক্রান্ত হলে মাথায় পরিকল্পনা আসে ।

ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আঁকাড়া :- যারা কিছু আশা করে তাদের কোনো বাছ বিচার করা উচিত নয় ।

যেমনি বুনো ওল , তেমনি বাঘা তেঁতুল :- যেমন লোক তার সঙ্গে সেই রকম ব্যবহার করা ।

অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী :- যে অল্প জেনে নিজেকে বেশি করে জাহির করার চেষ্টা করে ।

যত গর্জে তত বর্ষে না :- যে বেশি চিৎকার করে সে কাজের কাজ কিছুই করতে পারে না । 

চকচক করলেই সোনা নয় :- বাইরেটা দেখে কখনও বিচার করা উচিত নয় । 

দুষ্টু গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো :- খারাপ লোকের সঙ্গ নেওয়ার থেকে একা চলা ভালো । 

ফলেন পরিচয়তে :- মানুষের ব্যবহারেই তার পরিচয় ।

কারোও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ :- একজনের সুখ তো অন্যের দুঃখ ।

চোরে চোরে মাসতুতো ভাই :- যে যেমন চরিত্রের লোক তার সঙ্গে সেই রকম চরিত্রের লোকেরই বন্ধুত্ব হয় ।

পচা শামুকে পা কাটে :- তুচ্ছ জিনিসও অনেক সময় মানুষের ক্ষতি করতে পারে ।

বাঁশের চেয়ে কাঞ্জি দড় :- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির চেয়ে তুচ্ছ ব্যক্তির প্রতাশ বেশি ।

নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো :- বেশির জন্য অপেক্ষা না করে অল্প কিছু পেলেও গ্রহণ করা উচিত ।

টকের আলু :- বিনা পারিশ্রমিকে কাজ বারিয়ে নেওয়ার পরেও তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না ।

নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা :- নিজের ক্ষতি করে অপরের অসুবিধা সৃষ্টি করা ।

গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল :- ফল পাওয়ার আগেই পরিকল্পনা শুরু ।

মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন :- ঝুঁকি না নিয়ে জীবনে বড়ো হওয়া যায় না ।

চাচা আপন প্রাণ বাঁচা :- সবাই নিজের স্বার্থ প্রথমে দেখে ।

যারা দেখতে নারি , তার চলন বাঁকা :- যাকে পছন্দ হয় না তার সবকিছুই খারাপ লাগে ।

ক্ষমা করো ও ভুলে যাও :- ক্ষমা পরম ধর্ম ।

চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী :- দুরাত্মা ব্যক্তি কখনই কারুর উপদেশ শোনে না ।

সব ভেড়ার এক রা :- সব বোকাদের কাজ করার ধরণ একই রকম হয় ।

বড়ো গাছেই ঝড় লাগে :- উচ্চস্থানীয় ব্যক্তিদেরই বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় ।

কাদা ঘেঁটো না :- তুচ্ছ জিনিস নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয় ।

মেঘ না চাইতে জল :- আশাতীত ভাবে কিছু পাওয়া ।

একতাই ফল :- একসঙ্গে না অগ্রসর হলে বিরাট কিছু সাফল্য পাওয়া যায় না ।

যার জ্বালা সেই জানে :- যে কোনো রকম সমস্যায় পড়ে , সে ছাড়া তার কষ্ট আর কেউ বুঝতে পারে না । 

ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় :- যেমন কর্ম তেমনি ফল ।

মুনিনাএচ মতিভ্রম :- মানুষ মাত্রেই ভুল হয় ।

মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত :- যার যতটা জ্ঞান সে ততটাই লাভ করে ।

পর্বতো বহ্নিমাণ ধূমাৎ :- কারণ ছাড়া কাজ হয় না ।

যদি হয় সুজন , তেঁতুল পাতায় নজন :- ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ।

কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ট্যাঁস ট্যাস :- ছোটো অবস্থায় শাসন না করে প্রশ্রয় দিলে বড়ো হলে সে মাথায় উঠে যায় কারো কথা শোনে না ।

বাগ্‌বিধি – বাগধারা

ভাঁড়ে মা ভবানী :- ( রিক্ত ) তাদের আজ ভাঁড়ে মা ভবানী , অর্থ সম্পদ বলতে কিছু নেই । 

চায়ের পেয়ালায় তুফান :- ( অতি সামান্যকে অসামান্য করিয়া তোলা ) – এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলছো দেখছি ।

গোড়ায় গলদ :- ( আরম্ভই গণ্ডগোল ) – গোড়ায় গলদের জন্যই কাজটা শেষে নষ্ট হল । 

ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির :- ( অসাধুকে সাধু বলিয়া ঠাট্টা করা ) – কি আমার ছেলে রে !। উনি যেন ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির , কিছুই জানেন না ।

কাঁঠালের আমসত্ব :- ( অসম্ভব বস্তু ) – কুকুর মানুষের মতো অঙ্ক করে এই কথা আর কাঁঠালের আমসত্ব একই ব্যাপার ।

আক্কেল সেলামী :- ( নিজের বোকামীর জন্য দণ্ড ) – দিনেশ সিং সেদিন ফাটকা বাজারে বেশি লাভ করতে গিয়ে আক্কেল সেলামী দিয়ে এলেন ।

অকাল কুষ্মাণ্ড :- ( অপদার্থ ) সমিরের ভাইটা অকাল কুণ্ডাণ্ড , তিনবারেও ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাশ করতে পারল না ।

একাদশে বৃহস্পতি :- ( সবদিক হইতে ভাল ) ছেলেটার ভাল চাকরি হল , মেয়েটাও পাশ করল , তোমরা তো দেখছি একাদশে বৃহস্পতি ।

গৌরচন্দ্রিকা :- ( ভূমিকা ) আর বাড়িয়ো না , এবার গৌরচন্দ্রিকা ছেড়ে আসল কথা বলো ।

ডান হাতের ব্যাপর :- ( খাওয়া ) একটু খুলে বলো , ডান হাতের ব্যাপার কিছু আছে কিনা সেদিন ।

দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার :- ( অব্যবস্থার সৃষ্টি ) সেদিন একটা সামান্য ব্যাপার নিয়ে কী দক্ষযজ্ঞ ব্যাপারই না হয়ে গেল । 

পরের সুখে ঝাল খাওয়া :- ( পরের কথায় হাঁ করা ) তুই নিজে যা জানিস তাই বল পরের মুখে ঝাল খেয়ে লাভ কি ?

শ্মশান বৈরাগ্য :- ( মুহূর্তের জন্য মানসিক পরিবর্তন ) – সুদখোর ভুবনমোহনের একমাত্র সন্তানের মৃত্যু হলে অধমর্ণদের কাছে বলল , ‘ আমার সন্তানের চেয়ে অর্থ বড় নয় । তোমাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আর সুদ নেবো না । সবাই মুচকি হেসে বলল যে এ হচ্ছে ভুবন বাবুর শ্মশান বৈরাগ্য ।

ডুমুরের ফুল :- ( যা দেখা যায় না সহজে ) – কি হে ভাই তুমি দেখি একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেছো ।

মিছরির ছুরি :- ( শুনতে মিষ্টি কিন্তু খোঁচা আছে ) — বিধবা পিসিমার কথাগুলো একেবারে মিছরির ছুরি যেন । 

রাঘব বোয়াল :- ( সর্বগ্রাসী ) দিগেন ঘোষের মতো রাঘব বোয়ালকে পুলিশে ধরবে না । 

শিবরাত্রির সলতে :- ( একমাত্র সন্তান ) — মিনতি তার মায়ের শিবরাত্রির সলতে কারণ তার আগের সব কটা ভাইবোন মারা গেছে ।

সুখের পায়রা :- ( সুখের বন্ধু ) – বন্ধুরা সবাই সুখের পায়রাই হয় , দুর্দিনে তাদের দেখা যায় না । 

শাঁখের করাত :- ( উভয় সংকট ) ওর কথা শুনলেও বিপদ না শুনলেও বিপদ , শাঁখের করাত আর কি , আসতওে কাটে যেতেও কাটে।

অগস্ত্য যাত্রা :- ( শেষযাত্রা ) — নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অন্তর্ধান অগস্ত্য যাত্রা হয়েই রইল ।

এক চোখা :- ( বেপরোয়া ) – মিন্টুর মতো একচোখা ছেলেকে যে ধমক দিয়ে কথা শোনা যায় না । 

তীর্থের কাক :- ( প্রতিক্ষারত ) – মহাজনের সামান্য একটু সাহায্যেরূপ প্রার্থনায় ভিক্ষারিটি তীর্থের কাকের মতো বসে আছে । 

শিরে সংক্রান্তি :- ( আসন্ন বিপদ ) – কাঞ্জিলালের তো এখন শিরে সংক্রান্তি আয়কর দফতরের অফিসারদের আগমন বার্তা এসেছে । 

হ-য-ব-র-ল :- ( বিশৃঙ্খল অবস্থা ) – ব্যাপারটা অত্যন্ত  হ-য-ব-র-ল কিছুই বোঝা যাচ্ছে না । 

অন্ধকারে ঢিল মারা :- ( অনুমান নির্ভর কাজ ) — ব্যাঙ্কের পরীক্ষাটায় বেশির ভাগ প্রশ্নই অন্ধকারে ঢিল মারা হয়েছে । 

কলুর বলদ :- ( নিস্ফল পরিশ্রম ) – সংসারে আর কত কলুর বলদ হয়ে থাকবে এখন নিজের হিসাবটা একটু বোঝে নাও ভাই ।

খয়ের খাঁ :- ( চাটুকার ) – নির্বাচনের সময় প্রতাপী নেতারও জনসাধারণের খয়ের খাঁ হয়ে পড়েন । 

গোঁফ খেজুরে :- ( অত্যন্ত অলস ) – এত যদি গোঁফ খেজুরে স্বভাব হয় তো সংসারে চলবে না গো বলে দিচ্ছি । 

চোখের বালি :- ( বিরক্তিকর ব্যক্তি ) – সংসারের সংসারে লীলা চোখের বালি হয়ে উঠেছে ।

ডুমুরের ফুল :- ( দুর্লভ দর্শন ) – মিসেস ব্যানার্জী তো ডুমুরের ফুল হয়ে উঠেছেন মেয়ের রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকে ।

বিড়াল তপস্বী :- ( ভণ্ড ) – আজকের যুগে কে বিড়াল তপস্বী আর কে প্রকৃত ভালো সহজে চেনা যায় না ।

যমের অরুচি :- ( মূল্যহীন জীবন ধারণ ) ভবেশ চাটুজ্যে যিনি একসময় গ্রামের কর্তা ছিলেন তিনি আজ যমের অরুচি হয়েছে ।

হাতের পাঁচ :- ( শেষ সম্বল ) — মেয়ের বিয়েতে পাতের পাঁচটাও শেষ করেও পাত্র পক্ষের মন জোগাতে পারেননি ।

আলালের ঘরে দুলাল :- ( ধনীর বখাটে সন্তান ) — আলালের ঘরের দুলাল তো পেটের খিদে বুঝবে কী করে ? 

শাপে বর :- ( মন্দ বিষয়ে ভাল পরিণাম ) — যথা সময়ে ট্রেনটা ধরতে না পারায় তোমার পক্ষে শাপে বর হয়েছে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছো ।

আদা জল খেয়ে লাগা :- ( উদ্যমের সঙ্গে কাজ শুরু করা ) — পরীক্ষার সময় ছাত্র – ছাত্রীদের আদা জল খেয়ে লেগে পড়তে হয় ।

উলুবনে মুক্তাছড়ানো :- ( অপাত্রে দান ) — এমন অপদার্থ মানুষকে মহাভারতের কাহিনি শোনানো উলুবনে মুক্তা ছড়ানো ।

প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ প্রতিশব্দ

বাবা :- পিতা , জনক , জন্মদাতা , পিতৃদেব , বাপ ।

মা :- মাতা , জননী , গর্ভধারিণী , জন্মদাত্রী , জনয়িত্রী ।

ভাই :- ভ্রাতা , সহোদর , ভ্রাতৃ , অনুজ ।

বোন :- ভগিনী , সহোদরা , স্বসা ।

পুত্র :- ছেলে , নন্দন , তনয় ।

কন্যা :- মেয়ে , তনয়া , দুহিতা , পুত্ৰী ।

বন্ধু :- সখা , মিত্র , সুহৃদ , বান্ধব ।

স্বামী :- পতি , নাথ , বর , প্রভু , ভর্তা ।

স্ত্রী :- পত্নী , জায়া , ভার্যা ।

কাকা :- খুড়ো , খুড়া , পিতৃব্য ।

চাকর :- ভৃত্য , দাস , সেবক , অনুচর ।

শিক্ষক :- আচার্য গুরুমহাশয় , শিক্ষাদাতা ।

আকাশ :- গগন , নভঃ , অম্বর , আসমান , ব্যোম ।

বাতাস :- বায়ু , পবন , অনিল , সমীর ।

আলো :- আলোক , প্রভা , দীপ্তি ।

চাঁদ :- চন্দ্র , শশী , শশধর , ইন্দু , বিধু ।

সূর্য :- রবি , ভানু , দিবাকর , তপন ।

জল :- বারি , সলিল , নীর , পানি ।

নদী :- নদ , তটিনী , স্রোতাস্বিনী ।

পাহাড় :- পর্বত , গিরি , শৈল , নগ , অদ্রি ।

সমুদ্র :- সিন্ধু , সাগর , বারিধি জলধি ।

পৃথিবী :- জগৎ , ধরিণী , বসুমতী , ধরিত্রী , বসুধা ।

মেঘ :- জলদ , জলধর , বারিদ ।

রাত্রি :- রাত , নিশা , রজনী , যামিনী ।

গাছ :- বৃক্ষ , তরু , শখী ।

ফুল :- পুষ্প , কুসুম ।

বাড়ি :- ঘর , ভবন , গৃহ , আলয় , নিলয় ।

গ্রাম :- গাঁ , পল্লী , সাকিল , দেহাত ।

শহর :- নগর , নগরী , পুর ।

রাস্তা :- পথ , সরক , মার্গ ।

অঙ্গন :- উঠান , অঙ্গিনা , প্রাঙ্গন ।

পদ্ম :- মৃণাল , কমল , পঙ্কজ , উৎপল ।

শরীর :- দেহ , তনু , কলেবর , কায়া ।

মাথা :- মস্তক , শির , মুণ্ড , শীর্ষ ।

নাক :- নাসিকা , নাসা , ঘ্রাণোন্দ্ৰিয় ।

দাঁত :- দত্ত , রদ , দশন ।

চুল :- কেশ , চিকুর , কুন্তল , অলক ।

গরু :- ধেনু , গো , গাভী , গাই ।

ঘোড়া :- অশ্ব , ঘোটক , তুরগ ।

হাতি :- হস্তী , গজ , মাতঙ্গ , বারী ।

পাখি :- খেচর , পক্ষী , বিহঙ্গ ।

সাপ :- সৰ্প , নাগ , অহি , ফণী ।

মাহ :- মৎস , মীন ।

বানর :- কপি , মৰ্কট ।

কুকুর :- সারমেয় , শ্বা ।

ব্যাঙ :- ভেক , দাদুরী , মণ্ডুক ।

কাক :- বায়স , কটক ।

কোকিল :- পিক , বসন্তসখা ।

ঈশ্বর :- ভগবান , বিধাতা , পরমেশ্বর , জগদীশ্বর ।

আল্লা :- খোদা , খোদাতালা , খালেক , রাজ্জাক , রহমান ।

দুর্গা :- ঊমা , পার্বতী , গৌরী ।

সরস্বরী :- বীণাপানি , সারদা , বাগদেবী ।

লক্ষী :- কমলা , পদ্মা , নারায়ণী ।

শিব :- শঙ্কর , মহাদেব , শম্ভু , গিরিশ , ভোলানাথ ।

সমাস

১। সমাস কাকে বলে ? 

উত্তরঃ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে । 

২। সমায় কয় প্রকার ও কী কী ? 

উত্তরঃ সমাস প্রধানত ছয় প্রকার । প্রকারগুলো হলো – দ্বন্দ্ব সমাস , তৎপুরুষ সমাস , কর্মধারয় সমাস , দ্বিগু সমাস , বহুব্রীহি সমাস , অব্যয়ীভাব সমাস । 

৩। ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :

উত্তরঃ দিবারাত্র :- দিবা ও রাত্রি ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

হাত পা :- হাত ও পা ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

ধনদৌলত :- ধন ও দৌলত ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

দেবাসুর :- দেব ও সুর ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

মুখচোখ :- মুখ ও চোখ ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

রামলক্ষণ :- রাম ও লক্ষণ ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

লজ্জাশরম :- লজ্জা ও শরম ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

কুশীলব :- কুশ ও লব ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

মশামাছি :- মশা ও মাছি ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

হিতাহিত :- হিত ও অহিত ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

আইন – কানুন :- আইন ও কানুন ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

খাদ্যাখাদ্য :- খাদ্য ও অখাদ্য ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

চাকরবাকর :- চাকর ও বাকর ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

অহোরাত্র :- অহঃ ও রাত্র ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

পাপপুণ্য :- পাপ ও পুণ্য ( দ্বন্দ্ব সমাস ) 

কেনাবেচা :- কেনা ও বেচা ( দ্বন্দ্ব সমাস )

তৎপুরুষ সমাস

গাছপাকা :- গাছে পাকা ( তৎপুরুষ সমাস ) 

বনস্পতি :- বনের পতি ( তৎপুরুষ সমাস ) 

ছায়াতরু :- ছায়া দেয় যে তরু ( তৎপুরুষ সমাস )  

সাম্যবাদ :- সাম্যের বাদ ( তৎপুরুষ সমাস )

বিপদাপন্ন :- বিপদকে আপন্ন ( তৎপুরুষ সমাস )  

বাক্যাহত :- বাক্য দ্বারা আহত ( তৎপুরুষ সমাস )

শ্রীযুক্ত :- শ্রী দ্বারা যুক্ত ( তৎপুরুষ সমাস )

রাজপুত্র :- রাজার পুত্র ( তৎপুরুষ সমাস )

পিতৃগৃহ :- পিতার গৃহ ( তৎপুরুষ সমাস )

বনবাস :- বনের আবাস ( তৎপুরুষ সমাস )

রাজমিস্ত্রী :- মিস্ত্রিদের রাজা ( তৎপুরুষ সমাস )

মদ্যপ :- মদ পান করে যে ( তৎপুরুষ সমাস )

মধুমাখা :- মধু দ্বারা মাখা ( তৎপুরুষ সমাস )

দেশেনেতা :- দেশের নেতা ( তৎপুরুষ সমাস )

রাতকানা :- রাতে কানা ( তৎপুরুষ সমাস )

স্বর্গপ্রাপ্ত :- স্বৰ্গকে প্রাপ্ত ( তৎপুরুষ সমাস )

রথদেখা :- রথকে দেখা ( তৎপুরুষ সমাস )

ঢেঁকিছাটা :- ঢেঁকি দ্বারা ছাটা ( তৎপুরুষ সমাস )

পান্থনিবাস :- পাস্থের নিমিত্ত নিবাস ( তৎপুরুষ সমাস )

বিয়ে পাগলা :- বিয়ের জন্য পাগলা ( তৎপুরুষ সমাস )

স্বর্গভ্রষ্ট :- স্বর্গ হইতে ভ্রষ্ট ( তৎপুরুষ সমাস )

মড়াকান্না :- মড়ার জন্যে কান্না ( তৎপুরুষ সমাস )

বিদেশাগত :- বিদেশ হইতে আগত ( তৎপুরুষ সমাস ) 

রাজপুত্র :- রাজার পুত্র ( তৎপুরুষ সমাস )  

কর্মধারয় সমাস

নরাধম :- অধম যে নর ( কর্মধারয় সমাস ) 

রবীন্দ্রোত্তর :- রবীন্দ্রনাথের উত্তর ( কর্মধারয় সমাস ) 

মনমাঝি :- মন রূপ মাঝি ( কর্মধারয় সমাস ) 

পুরুষসিংহ :- পুরুষ সিংহের ন্যায় ( কর্মধারয় সমাস ) 

চরণকমল :- চরণ কমলের ন্যায় ( কর্মধারয় সমাস ) 

বিদ্যাধন :- বিদ্যার মতো ধন ( কর্মধারয় সমাস ) 

শশব্যস্ত :- শশের ন্যায় ব্যস্ত ( কর্মধারয় সমাস ) 

সিংহাসন :- সিংহ চিহ্নিত আসন ( কর্মধারয় সমাস ) 

নীলোৎপল :- নীল যে উৎপল ( কর্মধারয় সমাস ) 

ঘিভাত :- ঘি মিশ্রিত ভাত ( কর্মধারয় সমাস ) 

কচিখোকা :- যে কচি সেই খোকা ( কর্মধারয় সমাস ) 

নবান্ন :- নব যে অন্ন ( কর্মধারয় সমাস ) 

সিঁদুর রাঙা :- সিঁদুরের মতো রাঙা ( কর্মধারয় সমাস ) 

জ্ঞানালোক :- জ্ঞান রূপ আলোক ( কর্মধারয় সমাস )

আনন্দ সাগর :- আনন্দ রূপ সাগর ( কর্মধারয় সমাস ) 

ঘরজামাই :- ঘরে পালিত জামাই ( কর্মধারয় সমাস ) 

হাতঘড়ি :- হাতে পরার ঘড়ি ( কর্মধারয় সমাস ) 

বজ্রকঠোর :- বজ্রের মতো কঠোর ( কর্মধারয় সমাস ) 

ননীকোমল :- ননীর মতো কোমল ( কর্মধারয় সমাস )  

বিদ্যারত্ন :- বিদ্যার ন্যায় রত্ন ( কর্মধারয় সমাস )  

রাজর্ষি :- যিনি রাজা তিনিই ঋষি ( কর্মধারয় সমাস ) 

নরাধম :- অধম যে নর ( কর্মধারয় সমাস ) 

ফলাহার :- ফলযুক্ত আহার ( কর্মধারয় সমাস ) 

বকধার্মিক :- বকের মতো ধার্মিক ( কর্মধারয় সমাস ) 

দ্বিগু সমাস

পাঁচভরি :- পাঁচ ভরির সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

অষ্টধাতু :- আটটি ধাতুর সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

নবরত্ন :- নব রত্নের সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

পঞ্চবটী :- পঞ্চ বটের সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

পাঁচমাথা :- পাঁচটি মাথার সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

শতাব্দী :- শত অব্দের সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

ত্রিজগৎ :- তিনটি জগতের সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

ত্রিফলা :- তিন ফলের সমাহার ( দ্বিগু সমাস ) 

বহুব্রীহি সমাস

বৃষাবাহন :- বৃষ বাহন যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

মধ্যবিত্ত :- বিত্ত মধ্য যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

লাঠালাঠি :- লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই ( বহুব্রীহি সমাস ) 

পদ্মনাভ :- পদ্ম নাভিতে যার ( বহুব্রীহি সমাস )  

বিপত্নীক :- বিগত হয়েছে পত্নী যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

বীণাপানি :- বীণা পানিতে যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

পাপমতি :- পাপে মতি যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

চন্দ্রচূড় :- চন্দ্র চূড়ায় যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

পঞ্চানন :- পঞ্চ আনন যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

দশানন :- দশ আনন যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

দশহাতি :- দশটি হাত যার ( বহুব্রীহি সমাস )

অজ্ঞান :- নেই জ্ঞান যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

বেহায়া :- নাই হায়া যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

অদ্বিতীয় :- দ্বিতীয় নেই যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

সতীর্থ :- সমান তীর্থ যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

অনভিজ্ঞ :- নেই অভিজ্ঞতা যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

বিশ্বামিত্র :- বিশ্বমিত্র যাহার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

দণ্ডপানি :- দণ্ড পাণিতে যার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

কানাকানি :- কানে কানে যে যুদ্ধ ( বহুব্রীহি সমাস ) 

হাতাহাতি :- হাতে হাতে যে যুদ্ধ ( বহুব্রীহি সমাস ) 

মাংসগন্ধ :- মাংসের গন্ধের ন্যায় গন্ধ যাহার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

গায়ে হলুদ :- গায়ে হলুদ দেয় যে অনুষ্ঠানে ( বহুব্রীহি সমাস ) 

পদ্মলোচন :- পদ্মের ন্যায় লোচন যাহার ( বহুব্রীহি সমাস ) 

অব্যয়ীভাব সমাস

উপবন :- বনের সমীপ ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

হাভাত :- ভাতের অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

প্রতিচ্ছবি :- ছবির সদৃশ ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

বদহজম :- হজমের অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

উপকূল :- কুলের সমীপে ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

প্রতিমন :- মন প্রতি ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

নিরামিষ :- আমিষের অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

প্রতিক্ষণ :- ক্ষণে ক্ষণে ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

দুর্ভিক্ষ :- ভিক্ষার অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

বেকায়দা :- কায়দার অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

অনুসরণ :- সরণের পশ্চাৎ ( অব্যয়ীভাব সমাস )

হাঘর :- ঘরের অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

অনুরূপ :- রূপের যোগ্য ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

প্রতিদিন :- দিন দিন ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

যথাশক্তি :- শক্তিকে অতিক্রম না করিয়া ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

যথারীতি :- রীতিকে অতিক্রম না করিয়া ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

আসমুদ্র :- সমুদ্র পর্যন্ত ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

উপমন্ত্রী :- মন্ত্রীর সদৃশ ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

উপগৃহ :- ক্ষুদ্র গৃহ ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

গরমিল :- মিলের অভাব ( অব্যয়ীভাব সমাস ) 

উপাচার্য :- আচার্যের সদৃশ ( অব্যয়ীভাব সমাস )

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top