Class 12 Bengali Chapter 15 গণেশ জননী – বনফুল

Class 12 Bengali Chapter 15 গণেশ জননী – বনফুল | Class 12 Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Assam Board HS 2nd Year Bengali Chapter 15 গণেশ জননী Notes and select needs one.

Class 12 Bengali Chapter 15 গণেশ জননী

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Assam Board Class 12 Bengali Chapter 15 গণেশ জননী Solutions for All Subject, You can practice these here.

গণেশ জননী – বনফুল

Chapter: 15

বাংলা (MIL)

গোট – ২ নির্বাচিত গদ্যাংশ

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের লেখকের জীবিকা কী ? 

উত্তরঃ ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখকের জীবিকা হল তিনি একজন পশু চিকিৎসক । 

( খ ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখক কোন বিভাগে চাকরি করতেন ? 

উত্তরঃ ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখক সরকারি পশু বিভাগে চাকরি করতেন । 

( গ ) ‘ সেদিন এমনি একটি অপ্রত্যাশিত ____ ছুটিল । ‘  ( শূণ্যস্থান পূর্ণ কর )

উত্তরঃ ‘ সেদিন এমনি একটি অপ্রত্যাশিত কল ছুটিল । ‘

( ঘ ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখক সেকেণ্ড ক্লাসের রেলের টিকিট কিনেছিলেন কেন ? 

উত্তরঃ ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের লেখক নিজের স্টাইল জাহির করার জন্য সেকেণ্ড ক্লাসের টিকিট কিনেছিলেন । 

( ঙ ) হাতির বাচ্চাটির নাম কে রেখেছিলেন ? 

উত্তরঃ হাতির মালিকের স্ত্রী হাতির বাচ্চাটির নাম রেখেছিলেন গণেশ । 

( চ ) গণেশ কত ঘণ্টা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে রেখেছিল ? 

উত্তরঃ গণেশ একটানা ছত্রিশ ঘণ্টা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে রেখেছিল । 

( ছ ) গণেশ কোথায় বসেছিল ? 

উত্তরঃ একটি হল ঘরে প্রকাণ্ড শতরঞ্জিত উপর গণেশ গুম হয়ে বসেছিল। 

( জ ) প্রতিপালক এবং প্রতিপালক গিন্নির অনুপস্থিতিতে গণেশ কী খেয়েছিল ? 

উত্তরঃ প্রতিপালক এবং প্রতিপালক গিন্নির অনুপস্থিতিতে গণেশ বাগান থেকে আনা ল্যাংড়া আমগুলি সব খেয়ে নিয়েছিল । 

( ঝ ) গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের কত বিঘা জমি ছিল ? 

উত্তরঃ গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের একশো বিঘা জমি ছিল । 

( ঞ ) গণেশ জননী গণেশের জন্য কী বানিয়ে দিয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ গণেশ জননী গণেশের জন্য পূজোর সময় একটি রূপোর ঘণ্টা বানিয়ে দিয়েছিলেন । 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ হাতীর বাচ্চাটি দেখতে চমৎকার ’ – হাতির বাচ্চাটির বর্ণনা দাও। 

উত্তরঃ হাতীর বাচ্চাটি দেখতে চমৎকার ছিল , চোখ দুটি দুষ্টু দুষ্টু , ছোট্ট শুঁড় , খুব ভালো লাগে দেখতে । এই ছোট্ট হাতীকে দেখে প্রতিপালক আনন্দে আত্মহারা । ‘ ও আমার গণেশ এসেছে ‘ বলে এক বাটি দুধ এগিয়ে দিলেন । 

( খ ) গণেশ তার পালক – গিন্নির বিভিন্ন কাজে কীভাবে সাহায্য করত , তার বর্ণনা দাও । 

উত্তরঃ গণেশ তার পালক গিন্নিকে খুব ভালোবাসত । গণেশ তার পালক গিন্নির জন্য অনেক কাজ করে দিত । পালক গিন্নি যখন স্নান করতে যান তখন গণেশ বালতি – গামছা শুঁড়ে করে নিয়ে দোলাতে দোলাতে পিছু পিছু যেত । আর গরমের দিনে যখন পালক গিন্নি রান্না করেন তখন গণেশ শুঁড়ে করে পাখা ধরে হাওয়া করত । 

( গ ) গণেশের প্রতিপালক পশু চিকিৎসককে ডেকেছিলেন কেন ? হাতীটির কী অসুখ হয়েছিল ? 

উত্তরঃ গণেশের প্রতিপালক পশু চিকিৎসককে ডেকেছিলেন গণেশের চিকিৎসার জন্য । গণেশ ছত্রিশ ঘণ্টা ধরে খাওয়া বন্ধ করেছে তাই গণেশের প্রতিপালকা ও প্রতিপালক চিন্তায় পড়ে গেছেন গনেশের অসুখ করেছে ভেবে । প্রতিপালকা স্বামীকে অনুরোধ করেন একজন নামকরা পশু চিকিৎসককে ডেকে পাঠাতে । পশু চিকিৎসক যখন এসেছেন ও গণেশকে পরীক্ষা করে দেখলেন গণেশের কোনোরকম অসুখ করেনি । গণেশ আসলে তার প্রতিপালিকার উপর অভিমান করে খাওয়া বন্ধ করেছে ।

( ঘ ) গণেশ কেন খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ? 

উত্তরঃ গণেশ একদিন তার প্রতিপালক ও প্রতিপালিকার অনুপস্থিতিতে বাগান থেকে আনা ল্যাংড়া আম সব খেয়ে ফেলেছিল । একটাও অবশিষ্ট ছিল না । তাই বাড়ি এসে গিন্নি রেগে গিয়ে গণেশকে একটি চাপড় মেরে বলেছিলেন যে ‘ রাক্ষস সব খেয়ে বসে আছ , একটি রাখতে পারনি আমাদের জন্যে । ‘ সেই থেকে গণেশ ফোঁস করে যে গুম হয়ে বসে আছে। ছত্রিশ ঘণ্টা পর্যন্ত অভিমানে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল । 

( ঙ ) প্রতিপালকের গিন্নি গণেশের খাওয়ার জন্য কী তৈরি করেছিলেন এবং সেই খাদ্য কোথায় রেখেছিলেন ? 

উত্তরঃ প্রতিপালকের গিন্নি গণেশের খাওয়ার জন্য লেবু দিয়ে বার্লি তৈরি করেছিলেন । সেই খাদ্য তিনি একটি বড় ‘ বাথটবে ’ রেখেছিলেন । 

( চ ) বাড়িতে গণেশের অবাধ বিচরণের জন্য গনেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক কী করেছিলেন ? 

উত্তরঃ বাড়িতে গণেশের অবাধ বিচরণের জন্য গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক ঘরগুলি হলঘরের মত বৃহৎ আকারের করেছেন এবং ঘরগুলির দরজা গুলি কেটে কেটে বড় করেছিলেন । 

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যাবার জন্য যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন , তাঁর চেহারা এবং পোশাক – পরিচ্ছদ বর্ণনা দাও । 

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কথা – সাহিত্যিক বনফুল । তাঁর রচিত ‘ গণেশ জননী ’ গল্পে লেখক নিজেকে পশু চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছেন । তিনি সরকারি পশু চিকিৎসা বিভাগে চাকরি করতেন । এতে তার জীবিকা নির্বাহ ভালো ভাবেই হত । কিন্তু তবুও তাঁকে অন্যান্য অনেক কাজ করতে হত । যেমন কমিশনার সাহেবের ঘোড়ার স্বাস্থ্য তদারক করতে হত , ম্যাজিস্টেট সাহেবের কুকুরের স্বাস্থ্য তদারক এবং পুলিশ সাহেবের গাভীর স্বাস্থ্য তদারক করতে হত । এছাড়া ছ্যাকড়া গাড়ীর ঘোড়া ‘ পাশ ’ করাতে হত অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য ।

( খ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যাবার জন্য যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন , তাঁর চেহারা এবং পোশাক – পরিচ্ছদ বর্ণনা দাও ? 

উত্তরঃ বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক বনফুলের রচিত ‘ গণেশ জননী ’ একটি অনবদ্য গল্প । গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যাবার জন্য যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন তার চেহারাটা ছিল জমিদারের গোমস্তার মতো । তিনি মলিন কেম্বিসের জুতো পড়েছিলেন এবং গায়েও মলিন জামা । তাঁর মুখে খোঁচা খোঁচা কাচা পাকা গোঁফ – দাড়ি ছিল , তাকে দেখে মনে হয় যে পাঁচ সাতদিন তিনি দাড়ি কামাননি । তাঁকে দেখে লেখকের মনে হয়েছিল তিনি সেই জমিদারের হাতির চিকিৎসা করতে যাচ্ছেন এই গোমস্তা ভদ্রলোক হয়তো তাঁরই কর্মচারী । 

( গ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের ভদ্রলোক হাতি কীভাবে পেয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের ভাণ্ডারের একটি অনবদ্য গল্প ‘ গণেশ জননী ‘ । প্রখ্যাত কথা – সাহিত্যিক বনফুলের একটি অবিস্মরণীয় কীর্তি । গল্পটিতে একজন ভদ্রলোকের কথা বলা হয়েছে যিনি গনেশের প্রতিপালক । তিনি গণেশকে পেয়েছিলেন একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে । গণেশ হল একটি হাতি । 

প্রতিপালক ভদ্রলোকের একশো বিঘা ক্ষেতি জমি আছে । দশ বছরের আগের কথা । একদিন তিনি মাঠ থেকে ফিরছিলেন প্রায় অনেক রাত । ফেরার পথে তিনি দেখতে পেলেন একজন লোক মুখ গুঁজে মাঠের মধ্যে পড়ে আছে । ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে কাছে গিয়ে লোকটিকে দেখলেন যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে । তখন তিনি লোকজন ডেকে মানুষটিকে কাঁধে করে বাড়ি নিয়ে আসেন । তারপর তিনি তার সেবা শুশ্রূষা করেন । লোকটির জ্ঞান ফিরলে পরিচয়ে জানতে পারেন তিনি একজন কচ্ছি ব্যবসায়ী । লোকটি ঘোড়া ছুটিয়ে মাঠ দিয়ে আসছিলেন , কিন্তু হঠাৎ ঘোড়াটি তাঁকে ফেলে পালিয়ে গেছে । 

এর পরদিন তার লোকজন ঘোড়াটিকে খুঁজে নিয়ে এল । ভদ্রলোকটি অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেলেন । এর কয়েকদিন পর একটা লোক একটি ছোট্ট হাতির বাচ্চা নিয়ে প্রতিপালক ভদ্রলোকটির বাড়ি এলেন সঙ্গে একটি চিঠি নিয়ে । কচ্ছের এই ভদ্রলোক হাতির ব্যবসা করেন । তিনি তার অজ্ঞান অসুস্থ অবজ্ঞার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হাতির বাচ্চাটি তাঁকে উপহার পাঠিয়েছেন । ভদ্রলোক হাতির বাচ্চাটিকে গ্রহণ করবেন কিনা চিন্তা করছেন তখন তাঁর গিন্নি বলে উঠেছিলেন ‘ ও আমাদের গণেশ এসেছে ’ – বলে বাচ্চাটিকে একবাটি দুধ খেতে দিলেন । সেই থেকে গণেশ এই নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তানের স্থান গ্রহণ করেছে ।

( খ ) “ আরে মশাই আমাদের ঘর কি আর মানুষের ঘর আছে , হাতীর ঘর হয়ে গেছে । ” — এই উক্তটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ লেখক বনফুলের ‘ গণেশ জননী ’ একটি অনবদ্য সৃষ্টি । গণেশ এই গল্পের একটি পরিবারের পোষা হাতি । গণেশ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে , দেখে প্রতিপালকেরা গনেশের অসুস্থতা ভেবে পশু চিকিৎসককে ডেকে পাঠান । পশু চিকিৎসক গল্পের কথক । তিনিও খবর পেয়ে ভাবেন কোনো জমিদারের হাতির অসুখ করেছে , যাকে চিকিৎসা করে দুশো টাকা পারিশ্রমিক পেতে পারবেন । এই আশায় তিনি সেকেণ্ড ক্লাসের টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে বসেছিলেন । কিন্তু যখন তিনি গনেশের বাড়ি এসে পৌছালেন তখন হতাশ হলেন প্রতিপালকের দরিদ্রতা দেখে । ভদ্রলোক খুব সাধারণ লোক , লেখকের ভাবনামত কোনো জমিদার নন। 

তবে ভদ্রলোক সদালাপী তাই গণেশকে কিভাবে পেয়েছেন থেকে শুরু করে গিন্নির সঙ্গে গনেশের মধুর সম্পর্কের সমস্ত বিবরণ শোনান । আর এই কথা প্রসঙ্গেই লেখক জানতে পারেন গণেশ তাদের রান্নাঘরেও যায় । তখন লেখক অবাক হয়ে ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলে ভদ্রলোক উক্ত উক্তিটি করে বলেন । গণেশের যাতায়াতের জন্য তিনি সব ঘরই হল ঘরের মতো করে বড় বড় দরজা করেছেন । কথাটি বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে ঘরগুলি তাদের নয় হাতির বরং তারাই যেন হাতির ঘরে থাকেন । 

( ঙ ) গণেশ জননী গল্পে ‘ গণেশ জননী ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ? কেন ? 

উত্তরঃ প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক বনফুলের লেখা ‘ গণেশ জননী ’ একটি অনবদ্য গল্প । গল্পটিতে ‘ গণেশ ’ নামক হাতিটির প্রতিপালকের স্ত্রীকে ‘ গণেশ জননী ’ বলা হয়েছে । 

গণেশের প্রতিপালক পিতা গণেশকে দশ বছর আগে একজন ভদ্রলোকের থেকে উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন । তখন হাতিটি বচ্চা ছিল । দেখতেও সুন্দর ছিল । হাতিটির চোখ দুটি খুব দুষ্টু দুষ্টু ছিল আর শুঁড়টি ও ছিল খুব ছোট্ট । হাতিটকে উপহার পেয়ে ভদ্রলোক খুশি হলেও প্রতিপালন করবেন কিভাবে হাতিটিকে পুষবেন কিনা ভেবে উঠতে পারছিলেন না । তখন ঐ হাতির শাবকটিকে দেখেই ভদ্রলোকের গৃহিনী আনন্দে একেবারে আত্মহারা হয়ে বলে উঠেলেন — ‘ ও আমার গণেশ এসেছে ’ । এরপর তিনি একবাটি দুধ ও এগিয়ে দিলেন । তখন হাতিটি গণেশ নাম পেয়ে নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান সেহে প্রতিপালিত হতে থাকল । 

গণেশ হাতি হলেও ভদ্রলোকের গৃহিনী গণেশকে পুত্রস্নেহেই দেখেন । আর গণেশও গৃহিনীকে মাতৃস্নেহেই সেবা করে , শ্রদ্ধা করে । গণেশও গৃহিনীর সম্পর্ক মা ও সন্তানের সম্পর্কই হয়ে । উঠেছে – তাই গৃহিনী যথার্থ ‘ গণেশ জননী ’ । গণেশ রূপী সন্তানের প্রতি এই জননীর স্নেহ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে । গৃহিনী গনেশেরে জন্য পূজার সময় রূপার ঘন্টা বানিয়ে দিয়েছেন । স্যাকারর কাছে ধার করে রূপার ঘণ্টা বানাতেও তাঁর মাতৃস্নেহই প্রকাশিত হয়েছে । গণেশ অভিমান করে ছত্রিশ ঘণ্টা খাওয়া বন্ধ করেছিল বলে তিনিও খাওয়া দাওয়া ত্যাগ করেছিলেন । গণেশের চিকিৎসার জন্য তিনি নিজের সোনার গয়না বন্ধক দিয়েছেন । গণেশের প্রতি এধরনের স্নেহ , ভালোবাসা , গৃহিনীকে যথার্থ রূপেই ‘ গণেশ জননী’ করে তুলেছেন । 

( চ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো। 

উত্তরঃ বিখ্যাত কথা – সাহিত্যিক বনফুলের রচিত ‘ গণেশ জননী ’ একটি অনবদ্য সৃষ্টি । গল্পটি হাতি ও মানুষের একটি মানবিকতার মেলবন্ধন । তাই গল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করা যেতে পারে। 

সাহিত্যের নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ নামের মধ্য দিয়েই রচনাটির একটি সামগ্রিক ধারণা প্রকাশ পায় । সাহিত্যে নামকরণ করা হয় সাধারণত মুখ্য চরিত্রের নামে বা বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে । আবার কখনো প্রতীক বা ব্যঞ্জনার মধ্য দিয়েও নামকরণ করা হয় । 

গল্পটির কাহিনি একটি হাতিকে নিয়ে । যার নাম গণেশ । হাতিটি দশ বছর আগে উপহার হিসাবে প্রতিপালকের গৃহে এসেছিল । প্রতিপালক ভদ্রলোক হাতিটিকে পুষবেন কিনা ভাবছেন এমন সময় তার স্ত্রী হাতিটিকে দেখে বলে উঠে – “ ও গণেশ এসেছে ’ বলে তাকে একবাটি দুধ এগিয়ে দেয় । আর সেই থেকে হাতিটির নাম হয় গণেশ । আর গণেশও নিঃসন্তান দম্পতির গৃহে পুত্রস্নেহে প্রতিপালত হতে থাকে । আর প্রতিপালিকা তার এই গণেশকে এতটাই স্নেহ করতেন যে তিনি প্রকৃত অর্থেই গনেশের জননী হয়ে উঠেছেন । গণেশও তার জননীকে সেবা ও শ্রদ্ধা করত । গৃহিনী যখন স্নান করতে যেতেন তখন গামছা , ও শুঁড়ে বালতি নিয়ে গৃহিনীর পেছন পেছন যেত । গরমের দিনে রান্নাঘরে শুঁড়ে পাখা নিয়ে গণেশ তার জননীকে বাতাস করত । আবার জননীও ঠিক তেমনি গণেশ অন্তে পান । গনেশের জন্য তিনি পূজোর সময় স্যাকরার দোকানে ধার করে রূপোর ঘণ্টা বানিয়ে দিয়েছেন । 

এরপর একবার যখন অভিমান করে ছত্রিশ ঘণ্টা খাওয়া – দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল তখন তিনি উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠেছিলেন গণেশের অসুখ করেছে ভেবে । তাকে লেবু দিয়ে বার্লি বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য বার বার অনুরোধ করেছেন । মানব সন্তানের জন্য মায়ের যেমন ব্যাকুলতা দেখা যায় ঠিক তেমনি গণেশের জন্যও গণেশ জননী ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন । এরপরেও যখন গণেশ খায়নি তখন তিনি নিজের গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা যোগার করে পশু চিকিৎসক ডেকে এনেছিলেন । এই ঘটনা একজন সন্তানের স্বাস্থ্য বিষয়ে উৎকণ্ঠিত মায়ের পরিচয় দেয় । গল্পটির সমগ্র অংশ জুড়ে গনেশের জননীর ভূমিকাই প্রধান হয়েছে । তাই গল্পের নামকরণ ‘ গণেশ জননী ’ সার্থক । 

( ছ ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের চরিত্র বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ ‘ গণেশ জননী ’ গল্পে একটি হাতির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে । গনেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক এক অতিশয় ভালো মানুষ । তিনি একশো বিঘা মাটির মালিক হয়েও অবস্থা সম্পন্ন স্বাচ্ছন্দ্য জীবন না কাটিয়ে খুব সাধারণ জীবন কাটিয়েছেন । কারণ তিনি হাতি পুষেছেন । এই হস্তীশাবক তিনি উপহার হিসাবে পেয়েছেন । তাঁর গৃহিনী ঐ বাচ্চা হাতিটিকে ভালোবেসে গণেশ নাম দেন । ভদ্রলোক তার পত্নীর এই শখ পূরণ করেছেন । ভদ্রলোক এতটাই অমায়িক ছিলেন যে , তার চরিত্রে মানবিকতার যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায় । তিনি একবার মাঠ থেকে ফেরার পথে রাত্রে মৃতপ্রায় এক অচেনা ব্যক্তিকে বাড়িতে এনে চিকিৎসা করেছেন । 

এই আহত মানুষটি ছিলেন একজন কচ্ছি ব্যবসায়ী । এই ভদ্রলোকেই শুশ্রূষার বিনিময়ে গণেশকে উপহার দিয়েছেন । প্রতিপালক ভদ্রলোক এই গণেশকে খুব যত্ন করে পালন করেছেন । ভদ্রলোক ছিলেন খুব অতিথি বৎসল । তিনি তার বাড়িতে আসা পশু চিকিৎসককে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে ষ্টেশন থেকে ছ্যাকরা গাড়ি করে নিয়ে এসেছেন । চিকিৎসককে যথেষ্ট সমাদর করেছেন এমনকী চিকিৎসকের পারিশ্রমিকের কথাও জানতে চেয়েছেন । তিনি অত্যন্ত বিনীতভাবে চিকিৎসকের সঙ্গে নিজের সংসারের গল্প করেছেন । প্রতিপালক ভদ্রলোক অত্যন্ত অমায়িক ও মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষ । 

( জ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের পশু চিকিৎসক রোগী দেখার ‘ ফি ’ নেননি কেন ? 

উত্তরঃ বনফুলের রচিত ‘ গণেশ জননী ’ গল্পটি একটি অপূর্ব গল্প । গল্পটিতে মানুষ এবং পশুর অত্যন্ত অমায়িক মানবতাবোধ সম্পর্ককে দেখানো হয়েছে । এই গল্পের কথা হলেন পশু চিকিৎসক । তিনি সরকারি পশু চিকিৎসা বিভাগে চাকরি করেন । লেখক একদিন টেলিগ্রাম পেলেন যে , এক ভদ্রলোকের হাতির অসুখ করেছে তাই চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানে যেতে হবে । চিকিৎসক ভেবেছেন হাতির চিকিৎসা মানে তো জমিদারের ঘরের ব্যাপার । দুশো টাকা অন্তত ফি পাওয়া যাবে । তাই তিনি সেকেণ্ড ক্লাশের টিকিট কেটে ট্রেনে হাতি চিকিৎসার জন্য হাতি প্রতিপালকের ঘরে গিয়েছিলেন । কিন্তু তিনি যেমনটা ভেবে গিয়েছিলেন সেখানে পৌঁছে তিনি অন্য এক অভিজ্ঞতা লাভ করলেন । 

তিনি দেখলেন হাতির প্রতিপালকের জমিদারের অবস্থা তো নেই ই বরং দরিদ্রতার মধ্য দিয়েই তিনি দিন যাপন করছেন । চিকিৎসক দেখলেন হাতি পোষার মত ক্ষমতা ভদ্রলোকের নেই তবুও তিনি দশবছর ধরে বাচ্চা হাতিটিকে পুষে বড় করছে এবং অত্যন্ত স্নেহ করেন । বিে করে প্রতিপালকের গৃহিনী হাতিটিকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ করেন । তিনি বাচ্চাটিকে গণেশ নাম দিলেন । তিনি এতটাই স্নেহ করতেন যে নিজের গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা যোগার করেছেন গণেশের চিকিৎসার জন্য । পশু চিকিৎসককে ফি দেওয়ার জন্য । এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে চিকিৎসক মানবিক হয়ে পড়েন । তিনি মানবিক মূল্যবোধে বোধিত হয়ে রোগী দেখার ‘ ফি ’ নেননি । 

( ঝ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পে মানুষ এবং জীব জগতের যে সম্প্রীতি এবং বাৎসল্যের ছবি প্রকাশিত হয়েছে , তা পরিস্ফুট করো । 

উত্তরঃ কথা সাহিত্যিক বনফুল রচিত ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পে মানুষ জীবজগতের যে সম্প্রীতি এবং বাৎসল্যের ছবি প্রকাশিত হয়েছে । এই গল্পে গণেশ হল একটি হাতি । দশ বছর আগে একজন কচ্চি ব্যবসায়ী এই হাতিটিকে উপহার হিসাবে প্রতিপালক ভদ্রলোককে দিয়েছেন । প্রতিপালক যখন হাতিটি উপহার পেয়েছিলেন তখন তিনি পুষবেন কিনা ভাবছেন ঠিক তখনই তার স্ত্রী হাতিটিকে দেখে স্নেহে আপ্লুত হয়ে বলে উঠেন ‘ ও গণেশ এসেছে ’ বলে তিনি এক বাটি দুখ ও খেতে দিলেন । প্রতিপালকেরা নিঃসন্তান দম্পত্তি ছিলেন তাই হাতিটিকে দেখে গৃহিনীর মাতৃস্নেহ জেগে উঠে । সেই থেকে হাতিটি গণেশ নাম নিয়ে প্রতিপালকের গৃহে পুত্রস্নেহে পালিত হতে থাকল । 

গৃহিণী গণেশকে মানুষের সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন । এমনকী গণেশকে পূজোর সময় রূপোর ঘণ্টা বানিয়ে দিয়িছেন । সন্তানের জন্য রূপার ঘণ্টা বানানোর জন্য স্যাকরার কাছে ধার করতেও দ্বিধা করেননি । এরপর গণেশ অসুস্থ ভেবে তার চিকিৎসা করানোর জন্য নিজের গয়না বন্ধক দিতেও দ্বিধা বোধ করেনি । একটি পশুর জন্য মানুষের এই মমত্ব স্নেহ অসাধারণ । অন্যদিকে গল্পটিতে পশুর চরিত্রেও মানবিক গুন ফুটে উঠতে দেখা যায় । পশু ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে স্থাপনে তৎপর হয়ে উঠে । 

পশুরাও মানুষের ভালোবাসাকে বুঝতে পারে । তাই হাতিটি তার পালিকা জননীর জন্য অনেক কাজ করে দেয় । গণেশ গৃহিনীর স্নানের সময় তার বালতি , গামছা শুঁড়ে করে নিয়ে যায় । আবার গরমে রান্নাঘবে শুঁড়ে পাখা ধরে গৃহিনীকে হাওয়া করে দেয় । সে তার জননীর সব কথা শোনে এবং বোঝে । এমনকী মানব সন্তানের মত অভিমানও করতে জানে । তাই দেখা যায় একবার গৃহিনীর ঘরে আনা কিছু ল্যাংড়া আম জননীর অনুপস্থিতিতে গণেশ সব খেয়ে ফেলে এবং পরে গৃহিনী গণেশকে একটি থাপড় মেরে বকুনি দেন । এতে গণেশের অভিমান হয় এবং সেছত্রিশ ঘণ্টা খাওয়া – দাওয়া বন্ধ করে শুয়ে থাকে । সমগ্র গল্পটিতে ঘটনা পরস্পরায় মানুষ এবং পশুর সম্প্রীতি ও বাৎসল্যের ছবিই ফুটে উঠেছে । 

( ঞ ) ব্যাখ্যা করোঃ  

“ তাহলে আর টাকার দরকার হবে না পোদ্দার । গয়নাগুলো তুমি ফেরত দিয়া যাও । ” 

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি বনফুল রচিত ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পাংশ থেকে গৃহিত হয়েছে । এখানে হাতির চিকিৎসার জন্য পশু চিকিৎসকের ‘ ফি ’ যোগাড় করার প্রসঙ্গটি ব্যক্ত করা হয়েছে । 

গ্রামের এক ভদ্রলোক ও তার গৃহিনী একবার এক হাতি উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন । ভদ্রলোক দম্পত্তি নিঃসন্তান ছিলেন । তাই হাতিটিকে সন্তান স্নেহে পুষেছেন । হাতি পোষা তো সাধারণ লোকের পক্ষে সম্ভব নয় , তবুও তারা মানবিক মূল্যবোধে পশুকেও সন্তানের মর্যাদা দিয়েছেন । বিশেষ করে প্রতিপালিকা হাতিটিকে দেখেই স্নেহে আপ্লুত হয়ে গণেশ নাম রেখে দুধ খেতে দিয়েছিলেন । সেই থেকে গণেশ এদের সংসারের একজন সদস্য হয়ে যায় । মা ও সন্তানের মধ্যে যেমন মান – অভিমানের পালা থাকে গণেশ ও গণেশ জননীর মধ্যেও সেইরকম ছিল । একদিন বাড়িতে রাখা কিছু ল্যাংড়া আম গণেশ সবগুলো খেয়ে ফেলেছিল , তাই গণেশ জননী যখন রেগে গিয়ে গণেশকে একটি চাপড় মারল ও রাক্ষস বলে বকুনি দিল অমনি গণেশ অভিমান করে ছত্রিশ ঘণ্টা খাওয়া – দাওয়া বন্ধ করে দিল । 

গণেশের এই অবস্থা দেখে দম্পত্তি ভাবলেন গণেশের অসুখ করেছে তাই পশু চিকিৎসককে ডেকে পাঠালেন । গণেশ জননী চিকিৎসকের ফি যোগাড় করার জন্য নিজের সোনার গয়না বন্ধক দিলেন । ‘ পোদ্দার ’ উপাধিধারী কোন একজন মানুষের কাছে । দেখলেন যে তার কোনো অসুখ হয়নি এবং প্রতিপালিকার পশু সম্প্রীতি দেখে ‘ ফি ’ নেবেন না বলে জানিয়ে দেন তখন প্রতিপালক ভদ্রলোক পোদ্দার নামক ভদ্রলোককে উদ্ধৃত কথাগুলি বলেছেন । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। বনফুল কার ছদ্মনাম ? 

উত্তরঃ বনফুল বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম। 

২। ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের গণেশ কে ? 

উত্তরঃ ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের গণেশ একটি হাতি। 

৩। এই পরাধীন দরিদ্র দেশে কী থাকবার কথা নয় ? 

উত্তরঃ এই পরাধীন দরিদ্র দেশে প্রাইভেট প্র্যাকাটিস থাকার কথা নয় । 

৪। পশু চিকিৎসক ট্রেনে কত সময় সফর করেছিলেন ? 

উত্তরঃ পশু চিকিৎসক ট্রেনে সাত – আট ঘণ্টা সফর করেছিলেন । 

৫। যিনি কথককে স্টেশনে নিতে এসেছিলেন তিনি কী প্রশ্ন করেছিলেন ? 

উত্তরঃ যিন কথককে স্টেশনে নিতে এসেছিলেন তিনি কথকের সুটকেশটা তুলে নিলেন । 

৬। ভদ্রলোককে দেখে চিকিৎসকের কী মনে হয়েছিল ? 

উত্তরঃ ভদ্রলোককে দেখে চিকিৎসকের মনে হয়েছিল তিনি যেই জমিদারের হাতির চিকিৎসা করতে যাচ্ছেন ইনি বোধহয় তার কর্মচারী। 

৭। হাতির বাচ্চাটি ভদ্রলোকের ঘরে কত বছর আগে এসেছিল ? 

উত্তরঃ হাতির বাচ্চাটি ভদ্রলোকের ঘরে দশ বছর আগে এসেছিল । 

৮। যে লোকটি মাঠের মাঝখানে পড়েছিল সে লোকটি কোথাকার লোক ? 

উত্তরঃ যে লোকটি মাঠের মাঝখানে পড়েছিল সে লোকটি কচ্ছের লোক। 

৯। প্রতিপালকের কত বিঘা জমি ছিল ? 

উত্তরঃ প্রতিপালকের একশ বিঘা জমি ছিল । 

১০। গণেশ মানুষের মতো কী করে ? 

উত্তরঃ গণেশ মানুষের মতো মান – অভিমান করে।

১১। ‘ আমার রুগী কোথায় ’ ? – বক্তা কে ? 

উত্তরঃ বক্তা গল্পের কথক পশু চিকিৎসক । 

১২। “ এইখানেই আছে । আমারই হাতী ’ — কে কাকে বলেছে ? 

উত্তরঃ প্রতিপালক ভদ্রলোক , পশু চিকিৎসককে উক্তিটি করেছেন । 

১৩। বিশেষ কিছু নয় , খাওয়া বন্ধ হয়েছে । ‘ — বক্তা কে ? কার খাওয়া বন্ধ হয়েছে এবং কেন ? 

উত্তরঃ বক্তা প্রতিপালক ভদ্রলোক । হাতির খাওয়া বন্ধ হয়েছে । কারণ সে প্রতিপালকা গিন্নির উপর অভিমান করে খাওয়া বন্ধ করেছে । 

১৪। “ আপনাদের এইটুকু বাসায় একে রাখেন কোথায় ? ” – এখানে কার বাসার কথা বলা হয়েছে এবং কাকে রাখার কথা বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ এখানে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের বাসার কথা বলা হয়েছে। গণেশকে রাখার কথা বলা হয়েছে ।

১৫। “ খাও লক্ষ্মী তো – লেবু দিয়ে কেমন সুন্দর বার্লি করে এনেছি । চেখেই দেখ না একটু ” — কে , কার উদ্দেশ্যে কথাটি বলেছে ? 

উত্তরঃ উক্তিটির বক্তা হলেন গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের গৃহিনী । গণেশ অভিমান করে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াতে গৃহিনী গণেশকে খাওয়ানোর জন্য মিনতি করছেন । গণেশের উদ্দেশ্যেই উক্তি করেছেন । 

শব্দার্থ : 

জীবিকা :- জীবনধারণের উপায়।

জ্যাকড়া গাড়ি :- ঘোড়ার গাড়ি।

নির্বাহ :- কাটানো।

কমিশনার :- ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। 

পুলিশ :- পাহারাদার।

তদারক :- দেখাশোনা।

গোমস্তা :- জমিদারের খাজনা।

ক্যামিস :- ইংরাজি শব্দ , মোটা কাপড়।

হ্যারিকেন লণ্ঠন :- গোলাকার যুক্ত বিশেষ ধরনের কেরোসিন বাতি।

আহ্বান :- ডাক দেওয়া।

কচ্ছি :- গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চলের অধিবাসী।

স্যাকরা :- সোনা – রূপার কাজ করে যারা।

বন্ধক :- ঋণের বিনিময়ে গচ্ছিত বস্তু।

শতরঞ্জি :- সুতির মোটা চাদর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top