Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার

Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Assam Board Bengali Medium Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার and select needs one.

Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Assam Board Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার Bengali Medium Solutions for All Subject, You can practice these here.

অধিকার

পাঠ: ১৫

দ্বিতীয় খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। একটি মৌলিক অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সমতার অধিকার। 

প্রশ্ন ২। যে কোনো একটি অর্থনৈতিক অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ কাজ করার অধিকার। 

প্রশ্ন ৩। প্রাকৃতিক অধিকারের সমর্থক কে ছিলেন?

উত্তরঃ থমাস হবস্ ও জন লক্। 

প্রশ্ন ৪। নাগরিকের যে কোনো একটি কর্তব্য লেখো?

উত্তরঃ রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা। 

প্রশ্ন ৫। মানবাধিকার বলতে তুমি কী বোঝ?

উত্তরঃ বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও স্বাধীনতার মূল হচ্ছে সমগ্র মানব সমাজে সকলের মর্যাদা ও সমান অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া। এই উদ্দেশ্যে মানবাধিকার সনদে কতিপয় অধিকার বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলোকে মানবাধিকার আখ্যা দেওয়া হয়। 

প্রশ্ন ৬। কাণ্ট প্রদত্ত অধিকার প্রদান সম্পর্কে একটি কারণ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ মানুষ নিজেদের মধ্যে মুল্যবান। তাই প্রত্যেক মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করার জন্য অধিকার প্রদান করা প্রয়োজন। 

প্রশ্ন ৭। “অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত।”– এ কথা কে বলেছেন?

উত্তরঃ অধ্যাপক লাস্কি।

প্রশ্ন ৮। কোন্ অধিকার নাগরিক ও বিদেশি উভয়েই ভোগ করতে পারে?

উত্তরঃ শিক্ষার অধিকার।

প্রশ্ন ৯। স্বামীর নিকট বিবাহিত স্ত্রীর ভরণ–পোষণ দাবি কী ধরনের অধিকার?

উত্তরঃ আইনগত অধিকার।

প্রশ্ন ১০। “যে সামাজিক শর্ত বা সুযোগ–সুবিধা ব্যতীত মানুষ তার ব্যক্তিত্বের পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারে না, সেই সামাজিক শর্তই হল অধিকার।” এটি কার উক্তি? 

উত্তরঃ অধ্যাপক লাস্কি। 

প্রশ্ন ১১। “অধিকার হল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী সেইসকল সুযোগ–সুবিধা যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সংরক্ষিত।” – এটি কার উক্তি?

উত্তরঃ বার্কার।

প্রশ্ন ১২। একটি পৌর অধিকার উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ সম্পত্তির অধিকার।

প্রশ্ন ১৩। UNDP-র সম্পূর্ণ রূপটি কী? 

উত্তরঃ United Nations Development Programme.

প্রশ্ন ১৪। মানব অধিকারের একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ জীবনের অধিকার (Right to life)।

প্রশ্ন ১৫। কোন্ দিনটিকে ‘বিশ্ব মানব অধিকার দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়?

উত্তরঃ ১০ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ১৬। একটি রাজনৈতিক অধিকারের উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ ভোটদানের অধিকার।

সঠিক উত্তর বেছে লেখো:

প্রশ্ন ১। পৌর অধিকারগুলো নাগরিকদের প্রদান করে –

(ক) প্রকৃতি।

(খ) ঈশ্বর।

(গ) জনগণ।

(ঘ) রাষ্ট্র।

উত্তরঃ (ঘ) রাষ্ট্র।

প্রশ্ন ২। প্রাকৃতিক অধিকার আমাদের প্রদান করেঃ

(ক) সংবিধান।

(খ) সংসদ।

(গ) ঈশ্বর বা প্রকৃতি।

(ঘ) রাজা।

উত্তরঃ (গ) ঈশ্বর বা প্রকৃতি।

প্রশ্ন ৩। জীবনের অধিকার একটিঃ

(ক) নৈতিক অধিকার।

(খ) রাজনৈতিক অধিকার।

(গ) পৌর অধিকার।

(ঘ) অর্থনৈতিক অধিকার।

উত্তরঃ (গ) পৌর অধিকার।

প্রশ্ন ৪। কোন্ দিনটি মানবাধিকার দিবস হিসাবে পালিত হয়?

(ক) ১০ই ডিসেম্বর।

(খ) ২৪শে অক্টোবর।

(গ) ১১ই সেপ্টেম্বর।

(ঘ) ২৬শে নভেম্বর।

উত্তরঃ (ক) ১০ই ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ৫। রাষ্ট্রসংঘ সর্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছিল ১৯৪৫/ ১৯৪৮/ ১৯৫০ সনে। (সঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)

উত্তরঃ ১৯৪৮।

প্রশ্ন ৬। জীবনের অধিকার হল একটি নাগরিক অধিকার/রাজনৈতিক অধিকার/ অর্থনৈতিক অধিকার।

উত্তরঃ নাগরিক অধিকার।

শূন্যস্থান পূর্ণ করোঃ

প্রশ্ন ১। ভোটদানের অধিকার একটি …………….. অধিকার।

উত্তরঃ রাজনৈতিক।

প্রশ্ন ২। অধিকার এবং ………….. একই মুদ্রার দুদিক।

উত্তরঃ কর্তব্য।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অধিকারের অর্থ ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনের সার্বিক বিকাশ কাম্য। সেই বিকাশ সাধনে কতকগুলো সুযোগ–সুবিধার প্রয়োজন হয়। ব্যক্তির এই সার্বিক বিকাশে প্রয়োজনীয় সামাজিক অবস্থা বা সুযোগ–সুবিধাকেই অধিকার আখ্যা দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ২। অধিকার ও দাবিসমূহের মধ্যে পার্থক্য দেখাও?

উত্তরঃ দাবি ও অধিকারের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। অধিকার ও দাবিসমূহের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ 

(ক) সকল দাবি অধিকার নয়, কিন্তু সকল অধিকারই দাবি। 

(খ) অধিকার আইন অনুমোদিত। কিন্তু দাবি আইন অনুমোদিত নয়। 

(গ) অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। কিন্তু দাবির জন্য এরূপ কোনো সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। কারণ রাষ্ট্র দাবিকে স্বীকৃতি ও সংরক্ষণ দিলে এটি অধিকারে পরিণত হবে।

প্রশ্ন ৩। যে কোনো দুটি রাজনৈতিক অধিকারের বিবরণ দাও?

উত্তরঃ রাজনৈতিক অধিকার বলতে রাষ্ট্রীয় কার্যে নাগরিকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ গ্রহণের সুযোগ বোঝায়। 

দুই প্রকার রাজনৈতিক অধিকার হল নিম্নরূপঃ

(ক) ভোটদানের অধিকারঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের ভোটদানের অধিকার। ভারতে সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার ১৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর প্রত্যেক নাগরিক লাভ করে।

(খ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারঃ প্রত্যেক নাগরিক রাষ্ট্রীয় কার্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারী। 

প্রশ্ন ৪। আইনগত অধিকার ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ আইনগত অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত অধিকার। এই অধিকার সমূহ সরকারি আইন দ্বারা অনুমোদিত। এই অধিকার খর্ব হলে বঞ্চিত ব্যক্তি বিচারালয়ের দ্বারস্থ হতে পারে। আইনগত অধিকারকে 

(ক) পৌর অধিকার। 

(খ) রাজনৈতিক অধিকার।

(গ) অর্থনৈতিক অধিকার।

(ঘ) সামাজিক অধিকারে বিভক্ত করা যায়।

প্রশ্ন ৫। অধিকারসমূহ ব্যক্তির নিকট প্রয়োজনীয় কেন?

উত্তরঃ অধিকারের ধারণা সমাজ হতে উদ্ভূত। প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার জীবনের সার্বিক বিকাশ সাধনের জন্য কতকগুলো সামাজিক শর্তের প্রয়োজন হয়। এই সামাজিক শর্ত সমূহকেই অধিকার বলা হয়। অধিকার ব্যতীত ব্যক্তির পূর্ণ আত্মবিকাশ সম্ভব নয়। 

প্রশ্ন ৬। “অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত।” আলোচনা করো?

উত্তরঃ প্রবাদ আছে – “Rights imply duties.” অর্থাৎ অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত। অধ্যাপক লাস্কির মতে “অধিকার শুধু সমাজের কাছ হতে পাওয়ার ব্যাপার নয়। বিনিময়ে সমাজকে দিতেও হয়, সমাজের সঙ্গে এই দেওয়া–নেওয়ার সম্পর্কই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক।” মানুষের দাবি রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতির মাধ্যমে অধিকার রূপে গণ্য হয়। অধিকার স্বীকৃতির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার এসে পড়ে, আর এই দায়িত্ব পালনকেই আমরা কর্তব্য হিসাবে গণ্য করি। প্রতিটি অধিকারের সঙ্গে দায়িত্ব বা কর্তব্য জড়িত থাকে। এরা যেন একই মুদ্রার দুপিঠ। যার মূল লক্ষ্য হল ব্যক্তি ও সমাজ উিভয়ের কল্যাণ সাধন ।

প্রশ্ন ৭। কাজের অধিকার সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?

উত্তরঃ কাজের অধিকার একটি অর্থনৈতিক অধিকার। অধ্যাপক লাস্কির মতে, কাজের অধিকার নাগরিকদের একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। জীবনের উদ্দেশ্য/লক্ষ্য পূরণ করার জন্য কাজের অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কাজের অধিকারের মাধ্যমে নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতিও তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য কাজের অধিকারের প্রয়োজন। চৈনিক সংবিধান (১৯৮২) কাজের অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

প্রশ্ন ৮। “বাক্ ও মতামত প্রকাশে স্বাধীনতা”– অধিকার সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?

উত্তরঃ বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য কবি, দার্শনিক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এ অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন। মিলটন এবং জন স্টুয়ার্ট মিল এ অধিকারের প্রধান সমর্থক। 

প্রশ্ন ৯। আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিকরা উপভোগ করেন এমন দু প্রকার পৌর অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের উপভোগ করা দু প্রকার পৌর অধিকার হলঃ

(ক) স্বাধীনভাবে বাক ও মতামত প্রকাশের অধিকার।

(খ) জীবনের অধিকার। 

প্রশ্ন ১০। প্রাকৃতিক অধিকার বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক অধিকার হল যে সকল অধিকার রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে প্রকৃতি–রাজ্যে (State of Nature) মানুষ ভোগ করত। হবস্ ও লক্ এর মতানুযায়ী প্রকৃতির রাজ্যে মানুষ এই অধিকার ভোগ করত। প্রাকৃতিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নয়। বর্তমান কালে এই অধিকারের কোনো গ্রহণ যোগ্যতা নেই।

প্রশ্ন ১১। নাগরিকের অধিকার রক্ষার দুটি উপায় উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নাগরিকের অধিকার রক্ষার দুটি উপায় নিম্নরূপঃ

(ক) লিখিত সংবিধান।

(খ) স্বাধীন বিচার বিভাগ ।

প্রশ্ন ১২। ‘অধিকার’ এর যে কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো?

উত্তরঃ “অধিকার” এর দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ 

(ক) অধিকার চূড়ান্ত বা স্বতঃসিদ্ধ নয়।

(খ) অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। 

প্রশ্ন ১৩। ব্যক্তিগত অধিকার রাষ্ট্রের উপর সীমাবদ্ধ কেন? দুটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ সংবিধান, প্রাথমিকভাবে অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়। আমাদের দেশে নাগরিকদের জন্য যে অধিকারগুলো সংবিধানে স্বীকৃত সেগুলোকে ‘মৌলিক অধিকার’ বলা হয়। অধিকার রাষ্ট্রের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। 

কারণ –

(ক) আমাদের সংবিধান নাগরিকদের জন্য কতকগুলো মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে। এই অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। নাগরিকের এই ব্যক্তিগত অধিকার রাষ্ট্রের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। 

(খ) কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা সরকার কর্তৃক কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট নাগরিক তার অধিকার রক্ষাকল্পে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। উচ্চতম আদালত/উচ্চতর আদালত বিভিন্ন ধরনের লেখ জারি করে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের অধিকার রক্ষা করে। সুতরাং দেখা যায় যে ব্যক্তিগত অধিকার রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের উপর সীমাবন্ধতা বা বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। 

প্রশ্ন ১৪। মানবাধিকারের ধারণা বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ মানবাধিকার সুসভ্য সমাজের মুখ্য বিষয়। মানব সমাজের সভ্য হিসাবে আত্মবিকাশ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য মানুষের কতকগুলো অধিকার ভোগ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই অধিকারগুলোকে মানবাধিকার আখ্যা দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বের সকল মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ ১৯৪৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অনেক পরিশ্রমের পর রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ মানবাধিকারের সার্বিক ঘোষণাপত্র তৈরি করে। এই ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত অধিকারগুলো। বিশ্বজনীন অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারগুলো হল–

(ক) জীবনধারণের অধিকার। 

(খ) স্বাধীনতা ও সমতার অধিকার।

(গ) সম্পত্তির অধিকার।

(ঘ) স্বাধীনভাবে কথা বলার ও মতামত প্রকাশের অধিকার। 

(ঙ) ভয় থেকে মুক্তির অধিকার ইত্যাদি।

মানবাধিকার বিশ্বের মানব সমাজকে সর্বাঙ্গীন ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুবিধা দান করেছে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অধিকারের অর্থ ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ বার্কারের মতে, অধিকার হল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী সেই সকল সুযোগ–সুবিধা যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত বা সংরক্ষিত; অর্থাৎ অধিকার সকল ব্যক্তির আত্মবিকাশের সহায়ক এবং রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। অধিকার সুষ্ঠু সমাজ জীবন প্রতিষ্ঠার সহায়ক। অধিকারের মধ্যে কর্তব্য নিহিত থাকে। 

প্রশ্ন ২। নৈতিক অধিকার বলতে তুমি কী বোঝ?

উত্তরঃ যে সকল অধিকারের ভিত্তি মানুষের নৈতিক বোধ জাগ্রত হয় সেই সকল অধিকারকে নৈতিক অধিকার আখ্যা দেওয়া হয়। এ অধিকারগুলো সমাজের রীতিনীতি, আচার–আচরণ, প্রচলিত প্রথার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। এ অধিকারগুলো আদালত দ্বারা বলবৎযোগ্য নয়। পিতামাতাকে পুত্র সেবা করবে – এটি একটি নৈতিক অধিকার। স্ত্রীর স্বামীর নিকট হতে সদ্ব্যবহারের দাবি নৈতিক অধিকারের একটি উদাহরণ। 

প্রশ্ন ৩। অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?

উত্তরঃ অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক আছে। প্রবাদ আছে, Rights imply duties অর্থাৎ অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত। এরা যেন একই মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ। লাস্কির মতে, “অধিকার শুধু সমাজের কাছ হতে পাওয়ার ব্যাপার নয়। বিনিময়ে সমাজকে দিতে হয়, সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির এই দেওয়া–নেওয়ার সম্পর্কই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক”। অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও নৈতিকতার জীবনে বিদ্যমান। 

প্রশ্ন ৪। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে শিক্ষার ভূমিকা ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য শিক্ষার অধিকার অপরিহার্য। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল শিক্ষাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। ব্যক্তির সার্বিক বিকাশের জন্য শিক্ষার অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিক্ষা ব্যতীত ব্যক্তি অন্যান্য অধিকার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারে না। শিক্ষাই ব্যক্তিকে ভাল নাগরিকে পরিণত করে। শিক্ষাই নাগরিককে সর্ববিষয়ে সচেতন করে তোলে। এ জন্য শিক্ষার অধিকার ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ৫। আইনগত অধিকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো? 

উত্তরঃ রাষ্ট্র স্বীকৃত অধিকারগুলো আইনগত অধিকার। এই অধিকারগুলো রাষ্ট্র সংরক্ষণ করে। আইনগত অধিকার চার প্রকার– পৌর অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার ও সামাজিক অধিকার। এই চারপ্রকার অধিকার রাষ্ট্রের আইন দ্বারা অনুমোদিত। তাই এই অধিকার রক্ষার দায়িত্বও রাষ্ট্রের হাতে থাকে। রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি আত্ম সচেতন হয়ে উঠতে পারে। আইনগত অধিকার রাষ্ট্রকে কেবলমাত্র নির্দেশ দেয় না, এ অধিকার রাষ্ট্রকে পথও দেখায় এবং কীভাবে তা সমাজের সার্বিক কল্যাণ করে তাও সুনিশ্চিত করে। সরকারের সহযোগিতা ও আইন প্রণয়নের দ্বারাই মানুষের সকল অধিকার সুনিশ্চিত ও সুরক্ষিত হয়। আইনগত অধিকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। 

প্রশ্ন ৬। নাগরিকের যে কোনো চারটি রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নাগরিকের চারটি রাজনৈতিক অধিকার হল নিম্নরূপঃ

(ক) ভোটদানের অধিকার।

(খ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার।

(গ) সরকারের সমালোচনা করার অধিকার। 

(ঘ) রাজনৈতিক দল গঠন করার অধিকার।

প্রশ্ন ৭। যে কোনো দুটি নৈতিক ও দুটি আইনগত কর্তব্য লেখো?

উত্তরঃ দুটি নৈতিক কর্তব্য হল – 

(ক) বৃদ্ধ পিতামতার সেবা করা।

(খ) প্রতিবেশীকে সহায়তা করা। 

দুটি আইনগত কর্তব্য হল –

(ক) রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা। এবং 

(খ) কর প্রদান করা।

প্রশ্ন ৮। নাগরিকের যে–কোন চারটি অর্থনৈতিক অধিকারের নাম করো?

উত্তরঃ চারটি অর্থনৈতিক অধিকার হলঃ

(ক) জীবিকার অধিকার।

(খ) উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অধিকার।

(গ) অবকাশের অধিকার।

(ঘ) শ্রমিক সংঘ গঠনের অধিকার। 

প্রশ্ন ৯। নাগরিকের যে কোনো চারটি পৌর অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ চারটি পৌর অধিকার হলঃ

(ক) জীবনধারণের অধিকার।

(খ) স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার।

(গ) মতামত প্রকাশের অধিকার।

(ঘ) সম্পত্তির অধিকার।

প্রশ্ন ১০। সমতার অধিকারের উপর একটি টীকা লেখো?

উত্তরঃ সমতার অধিকার বলতে ধনী–নির্ধন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, স্ত্রী–পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি ব্যক্তিকে তার আত্মবিকাশের উপযোগী সমান সুযোগ–সুবিধা প্রদান করাকে বোঝায়। ভারতীয় সংবিধানের ১৪–১৮ নং অনুচ্ছেদে সমতার অধিকার বিধিবন্ধ করা হয়েছে। ভরতের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং আইন সকলকে সমানভাবে সংরক্ষণ করবে। কোনো ভারতীয় নাগরিককে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, স্ত্রী ও পুরুষ ইত্যাদির ভিত্তিতে বৈষম্য করা যাবে না। ভারতীয় সকল নাগরিককে সমান সুযোগ–সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানে সমাজের কিছু শ্রেণির জনগণের জন্যে বিশেষ পরিকল্পনা ও পদ্ধতি রূপায়ণ করা হয়েছে যেমন–শিশু ও অনুন্নত শ্রেণির উন্নতি, মহিলাদের জন্য সুরক্ষণ ব্যবস্থা প্রভৃতি। এছাড়া চাকুরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা রাখার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হয়েছে। এ সকল ব্যবস্থা বা পদ্ধতি গ্রহণ করার মূলে রয়েছে সমাজের ওই সকল পিছিয়ে থাকা শ্রেণির জনগণ যাতে সমাজের বাকি শ্রেণির সম পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ সমতা নীতির ভিত্তিতে অধিকার ভোগ করতে পারে। সুতরাং এই বিশেষ ব্যবস্থা বা পদ্ধতি সমতা নীতির পরিপন্থি নয়। সমতার অধিকার সমাজের সকল শ্রেণির জনগণকে সকল ধরনের স্বাধীনতা উপভোগ করার সমান সুযোগ প্রদান করে। ভারতীয় সংবিধানে সমতার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। 

প্রশ্ন ১১। নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে একটি টাকা লেখো?

উত্তরঃ অধিকারের ধারণা সমাজ থেকে উদ্ভূত। প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার জীবনের সার্বিক বিকাশ সাধনের জন্য কতকগুলো সামাজিক শর্তের প্রয়োজন হয়। এই শর্তগুলোকেই অধিকার বলা হয়। অধিকার ছাড়া ব্যক্তির পূর্ণ আত্মবিকাশ ঘটে না। সুতরাং নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা একান্ত আবশ্যক। নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায় আছে। এই উপায়সমূহ হল নিম্নরূপঃ- 

(ক) গণতান্ত্রিক সরকারঃ অধিকারগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকের অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকে। কারণ গণতান্ত্রিক সরকার নাগরিকের অধিকারগুলো সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

(খ) লিখিত সংবিধানঃ লিখিত সংবিধানে নাগরিকের অধিকারগুলো বিধিবন্ধ করা থাকে। ভরতীয় সংবিধানের তৃতীয় অংশে (Part-III তে) নাগরিকের আত্মবিকাশের প্রয়োজনীয় মৌলিক অধিকারগুলো বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো খর্ব হলে বঞ্চিত নাগরিক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তার অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারে। সংবিধানে বিধিবন্ধ অধিকারগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য নাগরিকগণ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।

(গ) আইনের সুশাসনঃ অধিকার সংরক্ষণের অন্যতম উপায় হল আইনের সুশাসনের বাস্তবায়ন। আইনের চোখে সকলেই সমান। আইনের সুশাসনের নীতি অনুসারে সকলের ক্ষেত্রেই একই আইন প্রযোজ্য হয় এবং অধিকার উপভোগ করার ক্ষেত্রে আইন সকলকেই সমানভাবে সুরক্ষা প্রদান করে।

(ঘ) স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থাঃ নাগরিকের সকল প্রকার অধিকারে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার একান্ত প্রয়োজন। কারণ কোনো নাগরিকের কোনো অধিকার খর্ব হলে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমেই সেই নাগরিক তার অধিকার রক্ষা করতে পারে। সুতরাং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থাই নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষা কবচ।

প্রশ্ন ১২। ইমানুয়েল কান্ট–এর অধিকারের ধারণাটি ব্যাখ্যা করোঃ

উত্তরঃ ইমানুয়েল কান্ট–এর (১৭২৪-১৮০৪) একজন বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক। তিনি ব্যক্তির মর্যাদা ও অধিকারের পক্ষে জোরালো মত পোষণ করেছেন। তাঁর মতে প্রত্যেক ব্যক্তিরই মর্যাদা আছে এবং প্রত্যেক মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করতে হবে। তারা নিজেদের মধ্যে মূল্যবান। একজন লোক অশিক্ষিত, দরিদ্র কিংবা ক্ষমতাহীন হতে পারে তথাপি সে মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকতে পারে এবং সেই হিসাবে সেই মানুষ ন্যূনতম মর্যাদার দাবি করতে পারে।

কাণ্টের মতে, মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার মানে হল তাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবহার করা। এই ধারণা তখনই মূল্যবান হয়ে উঠে যখন মানুষ সামাজিক পরম্পরার বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করতে পারে। কাণ্টের অভিমত থেকে এটাই স্পষ্ট যে, আমাদের সব মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করতে হবে। তাদের মর্যাদাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। কাণ্ট নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অধিকারের ধারণাটি উপস্থাপনা করেছেন। তিনি মানবাধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আমাদের সব মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করতে হবে। আমাদের মানুষকে সম্মান করা উচিত। 

প্রশ্ন ১৩। অধিকার ও দায়বদ্ধতার মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ অধিকার রাষ্ট্র এবং আমাদের উপর দায়বদ্ধতা আরোপ করে। অধিকার এবং দায়বদ্ধতা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কারণ আমরা সবাই সমান অধিকারের অধিকারী। আমরা আমাদের অধিকার ভোগ করার ক্ষেত্রে অন্য কাউকে বঞ্চিত করতে পারি না। যাতে ব্যক্তি স্বাধীনতার অপব্যবহার না হয় সেদিকে সরকারকে সতর্ক হতে হবে। রাষ্ট্র কেবল অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করলেই চলবে না, রাষ্ট্রকে নাগরিকের অধিকারের সংরক্ষণও করতে হবে এবং কিছু দায়–দায়িত্বও নাগরিককে পালন করতে বাধ্য করতে হবে। অধিকার ও দায়বদ্ধতা বা কর্তব্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। 

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকারসমূহ কী কী? 

অথবা,

ব্যক্তির উন্নতি কল্পে প্রয়োজনীয় অধিকার সমূহ কী কী? 

উত্তরঃ সমাজে প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য নানা প্রকার অধিকারের প্রয়োজন হয়। অধিকারসমূহের শ্রেণী বিভাজন করে নিম্নে সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলঃ 

নাগরিকের অধিকারকে প্রধানত তিনভাগে করা যায়; যথা– 

(ক) প্রাকৃতিক অধিকার।

(খ) নৈতিক অধিকার। এবং 

(গ) আইনগত অধিকার। 

(ক) প্রাকৃতিক অধিকারঃ যে সকল অধিকার মানুষ প্রকৃতি রাজ্যে উপভোগ করত সেই অধিকারগুলোকে প্রাকৃতিক অধিকার আখ্যা দেওয়া হয়। হবস্ ও লক্ এর মতানুসারে, প্রকৃতি রাজ্যের মানুষ এ অধিকার ভোগ করত। বর্তমানকালে এই প্রকার অধিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই।

(খ) নৈতিক অধিকারঃ যে সকল অধিকারের ভিত্তি মানুষের নৈতিক বোধ সেইগুলোকে নৈতিক অধিকার বলে। নৈতিক অধিকারগুলোকে আদালত কর্তৃক বলবৎ করা যায় না। পিতা–মাতাকে পূত্রের সেবা করা, একটি নৈতিক অধিকার। সমাজে নৈতিকতার মূল্য বৃদ্ধির জন্য এই প্রকার অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

(গ) আইনগত অধিকারঃ এ ধরনের অধিকার রাষ্ট্র প্রদান করে। এই অধিকারসমূহ আইন দ্বারা অনুমোদিত। পুলিশ ও বিচারালয় এই অধিকারগুলো সুরক্ষা করে। নাগরিকদের এই প্রকার অধিকার একান্ত আবশ্যক। 

আইনগত অধিকারকে আবার-

(ক) পৌর অধিকার।

(খ) রাজনৈতিক অধিকার।

(গ) অর্থনৈতিক অধিকার। এবং 

(ঘ) সামাজিক অধিকার এ চার শ্রেণীতে ভাগ করা।

(ক) পৌর অধিকারঃ যে সকল অধিকার মানুষের সামাজিক জীবনের প্রাথমিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করে সেইগুলিকে পৌর অধিকার বলা হয়। এই অধিকারগুলো ব্যতীত নাগরিক তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন করতে সক্ষম হয় না। জীবনধারণের অধিকার, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার, মতামত প্রকাশের অধিকার, সভা সমিতি করার অধিকার, পরিবার গঠনের অধিকার প্রভৃতি পৌর অধিকারের উদাহরণ।

(খ) রাজনৈতিক অধিকারঃ রাজনৈতিক অধিকার বলতে নাগরিকের রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যে অংশ গ্রহণের সুযোগকে বোঝায়। ভোটাধিকার, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার প্রভৃতি রাজনৈতিক অধিকারের উদাহরণ। এই অধিকারগুলো নাগরিকের রাজনৈতিক সচেতনা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

(গ) অর্থনৈতিক অধিকারঃ অর্থনৈতিক অধিকার ব্যতীত রাজনৈতিক অধিকার মূল্যহীন। অর্থনৈতিক অধিকার বলতে আর্থিকভাবে জীবনে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগকে বোঝায়। জীবিকা অর্জনের অধিকার, যথাযথ পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার, অবকাশের অধিকার প্রভৃতি হল অর্থনৈতিক অধিকার।

(ঘ) সামাজিক অধিকারঃ যে সকল অধিকার সমাজ জীবনের জন্য একান্ত আবশ্যক সেগুলোকে সামাজিক অধিকার বলে। এ অধিকার ছাড়া ব্যক্তি তার জীবনের সার্বিক বিকাশ সাধন করতে পারে না। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার, স্বাস্থ্য সংরক্ষণের অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার প্রভৃতি হল সামাজিক অধিকার। 

প্রশ্ন ২। অধিকার বলতে কি বোঝ? বিভিন্ন প্রকারের অধিকারসমূহ আলোচনা করো?

উত্তরঃ অধিকার হল সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও রাষ্ট্র কর্তৃক প্রযুক্ত দাবি। অধিকার বলতে আমরা সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে আত্মবিকাশের জন্য মানুষের কতকগুলো সুযোগ–সুবিধা যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত। আর এই সুযোগ–সুবিধাগুলো মানুষের বেঁচে থাকার ন্যায্য দাবি।

প্রাথমিকভাবে অধিকার হল মানব জীবনের সেসকল অবস্থা যার দ্বারা মানুষ তার সত্যিকারের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয় এবং এর ফলে সমাজেরও উন্নয়ন তৃরান্বিত হয়। সুতরাং অধিকার প্রত্যেক মানুষের জীবনকে দেয় সম্মান ও সম্ভ্রম।

নাগরিকের অধিকারকে প্রধানত তিনভাগে করা যায়; যথা– 

(ক) প্রাকৃতিক অধিকার।

(খ) নৈতিক অধিকার। এবং 

(গ) আইনগত অধিকার। 

(ক) প্রাকৃতিক অধিকারঃ যে সকল অধিকার মানুষ প্রকৃতি রাজ্যে উপভোগ করত সেই অধিকারগুলোকে প্রাকৃতিক অধিকার আখ্যা দেওয়া হয়। হবস্ ও লক্ এর মতানুসারে, প্রকৃতি রাজ্যের মানুষ এ অধিকার ভোগ করত। বর্তমানকালে এই প্রকার অধিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই।

(খ) নৈতিক অধিকারঃ যে সকল অধিকারের ভিত্তি মানুষের নৈতিক বোধ সেইগুলোকে নৈতিক অধিকার বলে। নৈতিক অধিকারগুলোকে আদালত কর্তৃক বলবৎ করা যায় না। পিতা–মাতাকে পূত্রের সেবা করা, একটি নৈতিক অধিকার। সমাজে নৈতিকতার মূল্য বৃদ্ধির জন্য এই প্রকার অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

(গ) আইনগত অধিকারঃ এ ধরনের অধিকার রাষ্ট্র প্রদান করে। এই অধিকারসমূহ আইন দ্বারা অনুমোদিত। পুলিশ ও বিচারালয় এই অধিকারগুলো সুরক্ষা করে। নাগরিকদের এই প্রকার অধিকার একান্ত আবশ্যক। 

আইনগত অধিকারকে আবার-

(ক) পৌর অধিকার।

(খ) রাজনৈতিক অধিকার।

(গ) অর্থনৈতিক অধিকার। এবং 

(ঘ) সামাজিক অধিকার এ চার শ্রেণীতে ভাগ করা।

(ক) পৌর অধিকারঃ যে সকল অধিকার মানুষের সামাজিক জীবনের প্রাথমিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করে সেইগুলিকে পৌর অধিকার বলা হয়। এই অধিকারগুলো ব্যতীত নাগরিক তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন করতে সক্ষম হয় না। জীবনধারণের অধিকার, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার, মতামত প্রকাশের অধিকার, সভা সমিতি করার অধিকার, পরিবার গঠনের অধিকার প্রভৃতি পৌর অধিকারের উদাহরণ।

(খ) রাজনৈতিক অধিকারঃ রাজনৈতিক অধিকার বলতে নাগরিকের রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যে অংশ গ্রহণের সুযোগকে বোঝায়। ভোটাধিকার, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার প্রভৃতি রাজনৈতিক অধিকারের উদাহরণ। এই অধিকারগুলো নাগরিকের রাজনৈতিক সচেতনা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

(গ) অর্থনৈতিক অধিকারঃ অর্থনৈতিক অধিকার ব্যতীত রাজনৈতিক অধিকার মূল্যহীন। অর্থনৈতিক অধিকার বলতে আর্থিকভাবে জীবনে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগকে বোঝায়। জীবিকা অর্জনের অধিকার, যথাযথ পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার, অবকাশের অধিকার প্রভৃতি হল অর্থনৈতিক অধিকার।

(ঘ) সামাজিক অধিকারঃ যে সকল অধিকার সমাজ জীবনের জন্য একান্ত আবশ্যক সেগুলোকে সামাজিক অধিকার বলে। এ অধিকার ছাড়া ব্যক্তি তার জীবনের সার্বিক বিকাশ সাধন করতে পারে না। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার, স্বাস্থ্য সংরক্ষণের অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার প্রভৃতি হল সামাজিক অধিকার।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অধিকার বলতে কী বোঝ? অধিকারের গুরুত্ব কী ? অধিকারের দাবি তৈরি করতে কী কী মূল ভিত্তি আছে?

উত্তরঃ অধিকার হল সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত ও রাষ্ট্র কর্তৃক প্রযুক্ত দাবি। অধিকার বলতে আমরা সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে আত্মবিকাশের জন্য মানুষের কতকগুলো সুযোগ–সুবিধা যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত। আর এই সুযোগ–সুবিধাগুলো মানুষের বেঁচে থাকার ন্যায্য দাবি।

প্রাথমিকভাবে অধিকার হল মানব জীবনের সেসকল অবস্থা যার দ্বারা মানুষ তার সত্যিকারের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয় এবং এর ফলে সমাজেরও উন্নয়ন তৃরান্বিত হয়। সুতরাং অধিকার প্রত্যেক মানুষের জীবনকে দেয় সম্মান ও সম্ভ্রম।

অধিকারের গুরুত্বঃ বর্তমান সমাজজীবনে অধিকারের গুরুত্ব অপরিসীমঃ

(ক) সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে আত্মবিকাশের জন্য অধিকার অপরিহার্য।

(খ) অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের সহায়ক।

(গ) অধিকারের দ্বারা প্রত্যেক ব্যক্তি তার বুদ্ধি ও দক্ষতাকে উন্নত করতে পারে।

(ঘ) অধিকার সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের সহায়ক উপাদান।

(ঙ) অধিকার ব্যক্তিকে তার সম্ভাবনাময় জীবন নির্মাণে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগায়। 

অধিকারের ভিত্তিঃ অধিকার হল সমাজ স্বীকৃত এবং রাষ্ট্র কর্তৃক বলবৎ দাবি। অধিকার দাবি করার বিভিন্ন ভিত্তি রয়েছে। ন্যায্য দাবির অর্থ হল সর্বসম্মতভাবে আত্মসম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার ও মর্যাদা যার মূল ভিত্তি হচ্ছে আত্মসম্মান বোধ। আর এই আত্মসম্মানবোধ প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই অন্তর্নিহিত আছে। 

আরেকটি দাবি হল রাষ্ট্রকর্তৃক জনকল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতি ও সংরক্ষণ। এর মূল ভিত্তি হল এই অধিকারের দাবি দ্বারা প্রত্যেক ব্যক্তি তার বুদ্ধি ও দক্ষতাকে উন্নত করতে পারে। 

প্রশ্ন ২। কী কী ক্ষেত্রে কিছু অধিকারকে সার্বজনীন অধিকার বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে? এবং দেখাও যে তিনটি অধিকার যেগুলোকে বিশ্বজনীন অধিকার বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ মানবাধিকার সুসভ্য সমাজের মুখ্য বিষয়। মানবসমাজের সভ্য হিসাবে আত্মবিকাশ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য মানুষ কতকগুলো অধিকার উপভোগ করে। এ অধিকারগুলোকে সার্বজনীন অধিকার হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বের সকল মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করবার জন্য অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিশ্রমের পর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকারের সার্বিক ঘোষণা পত্র তৈরি করে ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর তা কার্যকরী করে। উক্ত ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত অধিকারগুলো বিশ্বজনীন অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। 

এই ঘোষণা পত্রে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ অধিকারগুলো নিম্নরূপঃ

(ক) জীবনধারণের অধিকার।

(খ) স্বাধীনতা ও সমতার অধিকার।

(গ) সম্পত্তির অধিকার।

(ঘ) স্বাধীনভাবে কথা বলা ও মতামত প্রকাশের অধিকার।

প্রশ্ন ৩। বিশদভাবে আলোচনা করো যে নতুন দাবিগুলো আমাদের দেশে উল্লেখ করা হয়েছে; উদাহরণস্বরূপ উপজাতি লোকদের জীবন সংরক্ষণ এবং বসবাসের ব্যবস্থা কিংবা শিশুদের শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার।

উত্তরঃ সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজবদ্ধ মানুষের অধিকারের তালিকাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন অধিকারের দাবিগুলো সমাজে নানা প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করছে। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রও ব্যক্তির সমস্যা সমাধানকল্পে নুতন নুতন দাবিগুলোকে অধিকার রূপে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আমাদের দেশেও অনুসূচীত জাতি ও উপজাতিদের কল্যাণার্থে নানাপ্রকার বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে। সমাজের যে কোনো অনগ্রসর শ্রেণীয় উন্নতিকল্পে আমাদের দেশে নানাপ্রকার ব্যবস্থা অবলম্বন করা হচ্ছে।

আমাদের দেশের সংবিধানের ২৪নং ধারা অনুযায়ী ১৪ বৎসরের কমবয়ঙ্ক শিশুদের কোনো কারখানা, খনি বা অন্য কোনো বিপদজনক কাজে নিযুক্ত করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবিধানের ২৩নং ধারা অনুযায়ী মানুষ ক্রয় বিক্রয় করা, বলপ্রয়োগ করে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা, স্ত্রীলোকদের ব্যভিচার করতে বাধ্য করা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

ভারতে উপজাতিদের তাদের ভাষা, হরফ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। তারা স্বাধীনভাবে তাদের জীবনপ্রণালী রক্ষা করতে পারে।

প্রয়োজনবোধে উপজাতি সমাজের লোক ব্যতীত সমাজের অন্যান্য শ্রেণীর জমিগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

প্রশ্ন ৪। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের পার্থক্য নির্ণয় করো এবং প্রত্যেকটির উদাহরণ দাও?

অথবা,

উপযুক্ত উদাহরণসহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করো?

উত্তরঃ অধিকার প্রধানত – 

(ক) প্রাকৃতিক।

(খ) নৈতিক। ও 

(গ) আইনগত এই তিনভাগে বিভক্ত। 

আইনগত অধিকারকে আবার পৌরঅধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক অধিকার ইত্যাদি কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

রাজনৈতিক অধিকারঃ রাজনৈতিক অধিকার হল রাষ্ট্রের শাসনকার্যে অংশগ্রহণের অধিকার। ভোটদানের অধিকার, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার প্রভৃতি রাজনৈতিক অধিকার।

অর্থনৈতিক অধিকারঃ অর্থনৈতিক অধিকার ব্যতীত অন্যান্য অধিকার অর্থহীন। আর্থিক ক্ষেত্রে জীবনের সুনিশ্চয়তা প্রদানকারী অধিকারগুলোকে অর্থনৈতিক অধিকার বলা হয়। কাজ করার অধিকার, যথাযথ পারিশ্রমিকের অধিকার প্রভৃতি অর্থনৈতিক অধিকারের উদাহরণ।

সাংস্কৃতিক অধিকারঃ সমাজের প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য, লিপি, সঙ্গীত, নৃত্য, শিল্পকলা, চিত্রাঙ্কন, ঐতিহ্য প্রভৃতি রক্ষার অধিকারকে সাংস্কৃতিক অধিকার বলা হয়।

প্রশ্ন ৫। রাষ্ট্রের উপর অধিকারের সীমাবদ্ধতা উদাহরণসহ বর্ণনা করো?

উত্তরঃ অধিকার রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের উপর বাধানিষেধ আরোপ করে। আমাদের সংবিধান নাগরিকদের জন্য কতকগুলো মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে। এই অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রও কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। যদি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা সরকার কর্তৃক কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট নাগরিক তার অধিকার রক্ষাকল্পে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্ট নানা ধরনের লেখ (writ) জারি করে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে। সুতরাং দেখা যায় যে অধিকার রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের উপর বাধানিষেধ বা সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top