Class 11 Environmental Studies Chapter 8 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

Class 11 Environmental Studies Chapter 8 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা Question Answer | AHSEC Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Class 11 Environmental Studies Chapter 8 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা Notes and select needs one.

Class 11 Environmental Studies Chapter 8 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 11 Environmental Studies Chapter 8 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 11 Environmental Studies Chapter 8 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা Solutions for All Subjects, You can practice these here.

পথ সুরক্ষা

Chapter: 8

প্রশ্ন ১। পথ সুরক্ষা বললে কী বোঝায়?

উত্তরঃ রাস্তাঘাট নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাচল করে সুরক্ষিতভাবে গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোই হল পথ সুরক্ষা।

প্রশ্ন ২। পথ সুরক্ষার ক্ষেত্রে চারটি E অক্ষরের সাহায্যে কী বোঝায়? সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ পথ সুরক্ষার চারটি কৌশলকে 4E বলা হয়ে থাকে। এই চারটি কৌশল হলো – 

১। কারিগরী বিদ্যা (Engineering): রাস্তাঘাটে পথচারী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর বাহন চলাচল করে। সকল শ্রেণীর যান বাহন চলাচলের কথা ভেবে রাস্তাঘাট সঠিক কারিগরী বিদ্যার প্রয়োগের দ্বারা বিজ্ঞান সম্মতভাবে নির্মাণ করা উচিত।

২। বলবৎকরণ (Enforcement): যান বাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ এবং নিয়মাবলীর প্রবর্তন এবং সেগুলির  বলবৎকরণ বলিষ্ঠভাবে করলে পথ দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।

৩। শিক্ষা (Education): পথ সুরক্ষা সম্পর্কীয় বিভিন্ন কৌশল পথ – বিধান পথচিহ্ন, পথ নির্দেশ ইত্যাদির বিষয়ে জনসাধারনের মধ্যে প্রচার করে সকলকে সুশিক্ষিত করতে পারলে পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৪। জরুরিকালীন পরিষেবা (Emergency): পথ দুর্ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারলে হতাহতের সংখ্যা কমানো সম্ভব এজন্য জরুরিকালীন চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থা উন্নটকরন অত্যন্ত প্রয়োজন ।

প্রশ্ন ২। হেলমেট কী এবং এটি ব্যবহার করা কেন প্রয়োজন সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ মাথার সুরক্ষার্থে পরিহিত শিরস্ত্রাণকে হেলমেট বলে। যানবাহন আইন ১৯৮৮ এর ১২৯ নং ধারা অনুযায়ী দু – চাকাযুক্ত যান বাহনের চালক এবং আরক্ষীর জন্য হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক । হেলমেট পরিধান চালক এবং আরোহীকে মৃত্যু ও মাথার গুরুতর আঘাতের হাত থেকে যথাক্রমে ৪০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ সুরক্ষা প্রদান করে। নিয়ম অনুযায়ী aei হেলমেটের মান ” ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যাণ্ডার্ড ” এর নির্ধারিত মান সম্পন্ন হওয়া জরুরী। দু – চাকার বাহনের পেছনের আরোহীরও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৪। সিটবেল্টের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ ঘণ্টার ৭০ কি: মি: বেগে চলতে থাকা গাড়ী চালকের বা আরোহীর দেহও একই গতিতে চলতে থাকে। হঠাৎ গাড়িকে থামতে হলে গাড়ীর ভিতরের যাত্রী এবং চালকের শরীরও ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কি: মি: গতি সামনে থাকা স্টিয়ারিং হুইল, ড্যাসবোর্ড বা সামনের কাছে ধাক্কা মারতে পারে। যার ফলে চালক বা আরোহীর মৃত্যু বা পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেজন্য যাত্রী এবং চালকের সুরক্ষার জন্য সিটবেল্ট পরা প্রয়োজনীয়।

প্রশ্ন ৫। ড্রাইভিং লাইসেন্স কী? কোন কোন শ্রেণীর যান বাহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স দেওয়া হয়? 

উত্তরঃ কর্তৃত্বযুক্ত প্রাধীকারীর জারি করা যে অনুমতিপত্র ব্যবহার করে নির্দিষ্ট শ্রেণীর গাড়ী চালানো যায়, তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

নিন্মোক্ত শ্রেণীর যানবাহন চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।

১। গিয়ারবিহিন মোটর সাইকেল।

২। গিয়ারযুক্ত মোটর সাইকেল। 

৩। প্রতি বন্দ্ধীর বাহন।

৪। লঘু যানবাহন।

৫। যাত্রী পরিবহনের যান বাহন।

৬। রোড রোলার। এবং 

৭। নির্দিষ্ট ধরনের যান বাহন।

প্রশ্ন ৬। সুরাপান করে গাড়ী চালানোর ক্ষেত্রে যানবাহন আইনে কী কী বিধি নিষেধ আছে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ গাড়ী চালানোর সময় কোনো ব্যক্তির রক্তের নমুনায় প্রতি ১০০ মি: লি: রক্তে ৩০ মি: গ্রা: অথবা তার চেয়ে বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল থাকলে যানবাহন আইন অনুযায়ী সেই ব্যক্তির জেল অথবা জরিমানা বা দুটোই হতে পারে। এছাড়াও এই ধরনের অপরাধে ধরা পড়লে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্ন ৭। স্কুল বাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পাঁচটি নিয়ম লেখো।

উত্তরঃ স্কুল বাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পাঁচটি নিয়ম হল – 

১। স্কুল বাসের চালকের ৫ বৎসর ভারী যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।

২। কোন স্কুলবাস চালককে ইউনিফর্ম পরিধান করতে হবে এবং বাসের সামনে স্কুল কর্তব্যরত লেখা থাকতে হবে।

৩। কোনো স্কুল বাস চালক অত্যাধিক বেগে সুরাযুক্ত হয়ে বিপদজ্জনক গাড়ী চালানোর অপরাধে একবার অভিযুক্ত হলে স্কুল বাস চালানোর যোগ্যতা হারাবে।

৪। স্কুল বাসের গতিবেগ অনুর্দ্ধ ৪৯ কি: মি: প্রতি ঘন্টা হতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাসে গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্র থাকা প্রয়োজন। এবং

৫। শিক্ষিত লাইসেন্সধারী কণ্ডাক্টর থাকা বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৮। পথচিহ্নগুলি কী কী ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে?

উত্তরঃ পথচিহ্নগুলি তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১। বাধ্যতামূলক চিহ্ন।

২। সতর্কীকরণ চিহ্ন। এবং

৩। বিজ্ঞপ্তি বা সুচনাত্মক চিহ্ন।

প্রশ্ন ৯। পথ দুর্ঘটনা ঘটলে গাড়ী চালকের কী কর্তব্য?

উত্তরঃ পথ দুর্ঘটনা ঘটলে চালকের তৎক্ষণাৎ গাড়ী থামানো উচিত। দুর্ঘটনা স্থান থাকা অন্য লোকজনের পক্ষে সম্ভব না হলে বা আহত ব্যক্তি বা তার অভিভাবকেরা নিজে দায়িত্বে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না চাইলে চালকের উচিত আহতকে চিকিৎসালয়ে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। সেজন্য কাছাকাছি থাকা পুলিশ থানায় দূর্ঘটানার খবর জানানো এবং বীমা কতৃপক্ষকে দূর্ঘটনা সম্পর্কে অবগত করানো প্রয়োজন।

প্রশ্ন ১০। অপরিবহন বা ব্যক্তিগত গাড়িতে কী কী নথি রাখা প্রয়োজন? 

উত্তরঃ অপরিবহন বা ব্যক্তিগত গাড়িতে নীচের নথিগুলো থাকা আবশ্যক।

১। পঞ্জীয়ন প্রমাণ পত্র।

২। বীমা।

৩। এক বছরের বেশি পুরোনো গাড়ীর ক্ষেত্রে প্রদুষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট। এবং

৪। ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রশ্ন ১১। পথ দুর্ঘটনার মুখ্য কারণ কী কী?

উত্তরঃ পথ দুর্ঘটনার মুখ্য কারণগুলো হল – 

১। মানবীয় কারণ: প্রকাশিত তথ্য মতে ৮৫ শতাংশ পথ দুর্ঘটনা মানুষের ভুলেই সংঘটিত হয়। সুরার নেশা, ঘুমের আবেগ, অন্যমনস্কতা, পথ নির্দেশনা বুঝতে ভুল হওয়া অথবা অন্যান্য করা, গাড়ী চালানোর সময় মোবাইল কথা বলা, পথচারীর অমনোযোগিতা বা ভুল দিকে হাটা, রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইল কথা বলা ইত্যাদি।

২। আর্ন্তগঠন মূলক কারক: ক্ষতি গ্রন্থ অথবা অসমান রাস্তা, রাস্তা নির্মাণে প্রযুক্তিগত ক্রটি ইত্যাদি।

৩। যান্ত্রিক কারক: চলন্ত গাড়িতে হঠাৎ কোন যান্ত্রিক গোলমাল, গাড়ীর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, পুরোনো বা বিকল যন্ত্রাংশের ব্যবহার ইত্যাদি।

৪। পারিপার্শ্বিক কারক: অন্যান্য কারণ যেমন খারাপ আবহাওয়া, প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থিত, আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পথ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রশ্ন ১২। ২০১১ সনে গুরু হওয়া পথ সুরক্ষা কর্মসূচীর নাম কী? এই প্রকল্পটির বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ ২০১১ সনে গুরু হওয়া পথ সুরক্ষা কর্মসূচীর নাম হল – ” দ্য গ্লোবাল প্ল্যান ফর দ্য ডিকেড অফ অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০১১- ২০২০ “।

২০১১ সনের ১১মে এই কর্মসূচী আরম্ভ করা হয়েছে। এই কর্মসূচীর আঁধারে প্রত্যেকটি দেশ দৃঢ়ভাবে পথ সুরক্ষা সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন কার্যপন্থা গ্রহন করেছে। ২০১০ সনের মার্চ মাসে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ অধিবেশনে ঘোষিত এই কর্মসূচীর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল পথ দুর্ঘটনার ফলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিম্নমুখী করা। ভারতেও ২০০৫ সনে গঠিত ‘ সুন্দর কমিটি ‘ র দেওয়া পরামর্শ বলির ভিত্তিতে ২০১০ সনের ১৫ মার্চ তারিখে রাষ্ট্রীয় পথ সুরক্ষা প্রকল্প কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এর অন্তর্গত ১১ টি কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম হল পথ সুরক্ষা সম্পর্কে সজাগতা।

প্রশ্ন ১৩। ভারতবর্ষে বলবৎ হওয়া পথ সুরক্ষা কর্মসূচী কবে প্রবর্তন হয়েছে?

উত্তরঃ ২০১০ সনের ১৫ মার্চ তারিখে রাষ্ট্রীয় পথ সুরক্ষা প্রকল্প কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রশ্ন ১৪। পথ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হলে গাড়ী চালানোর সময় কোন পাচটি নিয়ম মেনে চলা উচিত।

উত্তরঃ পথ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গাড়ী চালানোর সময় যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হয়। তার মধ্যে পাচটি হল – 

১। গাড়ী যথা সম্ভব রাস্তার বাঁদিকে ঘেঁষে চলানো এবং বিপরীত দিকের থেকে আসা যান বাহনকে নিজের ডানদিকে দিয়ে অতিক্রম করতে দেওয়া উচিত।

২। বাঁদিকে গাড়ী ঘোরানোর সময় যথা সম্ভব বাদিক ঘেঁষে নতুন রাস্তায় উঠতে হবে। ডানদিকে ঘোরানোর সময় মাঝামাঝি গিয়ে নতুন রাস্তাটির বাঁদিক ঘেঁষে প্রবেশ করতে হবে।

৩। একদিকে চলতে থাকা গাড়িকে ডানদিক দিয়ে অতিক্রম করতে হবে।

৪। গাড়ী চালানোর সময় পিছন দিকের দৃশ্য আয়নায় দেখে প্রয়োজন সাপেক্ষে হাতের সাহায্যে সংকেত দিতে হবে। এবং

৫। ‘ ওয়ান ওয়ে ‘ লেখা রাস্তায় কখনোই উল্টো দিক থেকে গাড়ী চালানো উচিত নয়। 

প্রশ্ন ১৫। বিদেশ গাড়ী চালাতে হলে কোন প্রবাসীকে কী করতে হবে?

উত্তরঃ কোন ভারতীয়কে বিদেশে গাড়ী চালাতে হলে আন্তর্জাতিক গাড়ী চালনা অনুজ্ঞাপত্র প্রধানের ব্যবস্থা যানবাহন আইনে সন্নিবিষ্ট আছে। এই অনুজ্ঞাপত্র এক বছরের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। 

এটি পাওয়ার জন্য নীচে দেওয়া নথিপত্র সহ নির্ধারিত আবেদন ফর্মে আবেদন করতে হয় – 

১। ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রতিলিপি।

২। পাসপোর্ট ও ভিসার প্রতিলিপি।

৩। চালকের সু – স্বাস্থ্যের প্রমাণ।

৪। তিন কপি ফটো। এবং

৫। নির্ধারিত মাসুল।

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতবর্ষে কোন সন থেকে প্রতি বৎসরের জানুয়ারি মাসে ‘ পথ সুরক্ষা সপ্তাহ ‘ উদযাপন করা হয়ে আসছে? 

উত্তরঃ ১৯৯০ সনে থেকে।

প্রশ্ন ২। ভারতে ‘ ন্যাশনাল রোড সেফটি পলিসি ‘ কবে থেকে প্রযোজ্য হয়েছে?

উত্তরঃ ২০১০ সনের ১৫ মার্চ থেকে।

প্রশ্ন ৩। কোন আইন দ্বারা মটর সাইকেল আরোহী এবং চালক উভয়েরই হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক?

উত্তরঃ যানবাহন আইন ১৯৮৮ এর ১২৯ নং ধারা অনুযায়ী।

প্রশ্ন ৪। মটর সাইকেলের হেলমেটের মান কোন সংস্থা নির্ধারণ করে?

উত্তরঃ ‘ ব্যুরো অফ ইণ্ডিয়ান স্ট্যাণ্ডার্ড ‘ নামক সরকারি সংস্থা।

প্রশ্ন ৫। আসামে ড্রাইভিং লাইসেন্স কে মঞ্জুর করেন?

উত্তরঃ আসামে জেলা পরিবহন অফিসার ড্রাইভিং লাইসেন্স মঞ্জুর করেন।

প্রশ্ন ৬। ‘ লানার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স ‘ পেতে হলে নূন্যতম কত বয়স হতে হয়? 

উত্তরঃ ১৮ বৎসর।

প্রশ্ন ৭ রাসায়নিক বা পরিবাহক গাড়িতে কী কী রাখা বাধ্যতামূলক? 

উত্তরঃ রাসায়নিক বা পরিবাহক গাড়িতে নিন্মোলিখিত থাকা বাধ্যতামূলক।

১। উপযুক্ততার প্রমাণ পত্র।

২। পার্মিট বা অনুজ্ঞা পত্র।

৩। পথকর প্রদানের রচিদ।

৪। কন্ডাক্টরের (বাসের ক্ষেত্রে) লাইসেন্স। এবং

৫। পার্মিটের শর্তে উল্লেখ থাকা অন্যান্য নথি।

প্রশ্ন ৮। হলুদ রঙের ট্রাফিক সিগন্যাল কি নির্দেশ করে? 

উত্তরঃ হলুদ রঙের ট্রাফিক সিগন্যাল থামার বা যাওয়ার জন্য তৈরি হতে নির্দেশ দেয়।

প্রশ্ন ৯। লাল রঙের ট্রাফিক সিগন্যাল কী নির্দেশ করে? 

উত্তরঃ লাল লাইটের ট্রাফিক সিগন্যাল থামার নির্দেশ করে।

প্রশ্ন ১০। সবুজ রঙের ট্রাফিক সিগন্যাল কী নির্দেশ করে? 

উত্তরঃ সবুজ লাইট চলার সিগন্যাল দেয়।

প্রশ্ন ১১। ট্রাফিক সিগন্যালের লাল লাইটের জ্বলতে নিভতে থাকা কী নির্দেশ দেয়?

উত্তরঃ লাল লাইট নিভতে বা জ্বলতে থাকলে থামুন, সামনের বাহন বা পথচারী পার গেলে সাবধানে এগোনোর নির্দেশ দেয়।

প্রশ্ন ১২। হলুদ লাইট জ্বলতে নিভতে থাকা কী নির্দেশ করে? 

উত্তরঃ হলুদ লাইট জ্বলতে নিভতে থাকলে গতি কমানো এবং সাবধানে এগোনোর নির্দেশ দেয়।

প্রশ্ন ১৩। UNECE এর সম্পূর্ন নাম কী?

উত্তরঃ United Nations Economic Commission of Europe. 

প্রশ্ন ১৪। পথ সংকেতের উপর UNECE এর অধীনে কখন কর্ম পদ্ধতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৪৯ সনের ২০ সেপ্টেম্বর।

প্রশ্ন ১৫। কখন আন্তর্জাতিক পথ সংকেতের দন্তবেজ বলবৎ করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৫৩ সনের ২০ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ১৬। জেব্রা ক্রসিং কাকে বলে?

উত্তরঃ পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার জন্য রাস্তার কিছু অংশে জেব্রার পিঠের মত সাদাকালো রেখা আঁকা থাকে। এই রেখাকে পথচারী রাস্তা পার হতে থাকলে গাড়ী থামিয়ে পারাপার সম্পূর্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রশ্ন ১৭। সাদা স্তম্ভরেখা বা স্টপ লাইন কী নির্দেশ করে?

উত্তরঃ রাস্তার সংযোগ স্থান বা ট্রাফিক লাইটের কাছে এই ধরনের রেখা আঁকা থাকলে সেখানে গাড়ী থামানোর সময় রেখাটি স্পর্শ বা অতিক্রম না করে থামতে নির্দেশ করে।

প্রশ্ন ১৮। বিভাজক রেখা কী?

উত্তরঃ চওরা ও একাধিক সারিযুক্ত রাস্তায় সাদা রেখাখণ্ডের সাহায্যে সারিগুলোকে পৃথক করা হয়। এই রেখাকে বিভাজক রেখা বলে।

প্রশ্ন ১৯। বিভাজকযুক্ত রাস্তায় সারি পরিবর্তনের আগে কী করতে হয়?

উত্তরঃ বিভাজকযুক্ত রাস্তায় সারি পরিবর্তনের আগে সংকেত দিতে হবে।

প্রশ্ন ২০। রাস্তার মাঝ বরাবর অখণ্ড রেখা কী নির্দেশ করে?

উত্তরঃ রাস্তার মাঝ বরাবর অখণ্ড রেখা থাকলে সেই রাস্তায় অন্য গাড়িতে অতিক্রম করা নিষিদ্ধ।

প্রশ্ন ২১। রাস্তার মধ্যে হলুদ রেখা থাকা কী নির্দেশ করে ?

উত্তরঃ রাস্তার হলুদ রঙের বিভাজক রেখা থাকলে কোনো গাড়ী একই দিকে যাওয়া অন্য গাড়িকে অতিক্রম করার সময় হলুদ রেখাটিকে কোনভাবেই স্পর্শ করতে পারবে না।

প্রশ্ন ২২। রাস্তার একেবারে বাঁদিকের সীমানায় হলুদ রঙের রেখা আঁকা থাকলে সেই রেখাটি কী নির্দেশ করে?

উত্তরঃ রাস্তার একেবারে বাঁদিকের সীমানায় হলুদ রঙের রেখা আঁকা থাকলে সেই অঞ্চলে সীমিত সময়ের জন্য গাড়ী থামানো যায়। বেশি সময় গাড়ী থামানো নিষেধ।

প্রশ্ন ২৩। কোনো রাস্তার মাঝখানে অখণ্ড রেখা থাকা কী নির্দেশ করে?

উত্তরঃ রাস্তার মাঝখানে অখণ্ড রেখা থাকলে সেই রাস্তায় অন্য গাড়িতে অতিক্রম করা নিষিদ্ধ।

প্রশ্ন ২৪। লার্নার্স লাইসেন্স পাওয়ার নুন্যতম কতদিন পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়?

উত্তরঃ গাড়ী চালাতে শিখে আত্ম বিশ্বাসী হয়ে উঠে অথবা ‘ লার্ণার্স লাইসেন্স ‘ পাওয়ার পর অন্তত ৩০ দিন পরে গাড়ী চালানোর ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ডাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ২৫। যে কোন দুটি সুচানাত্মক পথ চিহ্ন উল্লেখ করো।

উত্তরঃ          

প্রশ্ন ২৬। দুই দিকে যাওয়া যায় এমন পথে সাদা খণ্ডিত রেখা কী সূচিত করে?

উত্তরঃ এই ধরনের রাস্তায় সারি পরিবর্তনের আগে অবশ্যই সংকেত দিতে হবে।

প্রশ্ন ২৭। দ্য ফার্স্ট ডিকেড অফ অ্যাকশন ফর রোড সেফটি হল _________।

উত্তরঃ পথ সুরক্ষার দশকজোড়া কর্মসূচী।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। রাস্তার হাঁটার সময় পালনীয় নিরাপত্তা বিধানসমুহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ রাস্তার হাঁটার সময় পালন করা। কয়েকটি নিরাপত্তা বিধানসমুহ হল – 

১। রাস্তা পার হওয়ার সময় বাঁদিক বাঁদিক এবং ডানদিক লক্ষ্য করা উচিত।

২। হাঁটার সময় যতদূর সম্ভব ফুটপাত ব্যবহার করা উচিত।

৩। রাস্তায় চলতে সবসময় বাঁদিকে হাটা উচিত।

৪। ফুটপাতে চলতে কোনো গর্ত আছে কি না তা দেখে চলা প্রয়োজন। এবং

৫। থেমে থাকা গাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য গাড়ী আসছে কি না তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন ২। বাধ্যতামূলক পদচিহ্ন কী? এ ধরনের যে কোনো চারটি পদচিহ্নের নাম লেখো।

উত্তরঃ ভারতবর্ষে ১৯৮৮ সনের যানবাহন বিধিতে পথের পাশে কিছু চিহ্ন সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। যে সকল চিহ্নের নির্দেশ মানা বাধ্যতামূলক এবং না মানলে অপরাধ হয় সে সকল পথচিহ্নকে বাধ্যতামূলক পথচিহ্ন বলে।

এই ধরনের চারটি পথচিহ্ন হল – 

১। থামুন।

২। রাস্তা দিন।

৩। প্রবেশ নিষেধ। এবং

৪। গাড়ী নিষেধ।

প্রশ্ন ৩। পথচিহ্ন কী? পথচিহ্নগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তরঃ পথের পাশে থাকা চিহ্নগুলোকে পথ চিহ্ন বলে। এই চিহ্নের অর্থ চালক, পথচারী এবং অন্যান্য পথ ব্যবহারীদের জানা প্রয়োজন।

পথচিহ্নগুলো তিন ধরনের হয় – 

১। বাধ্যতামূলক পথচিহ্ন।

২। সতর্কীমূলক পথচিহ্ন।

৩। বিজ্ঞপ্তিমূলক পথচিহ্ন।

প্রশ্ন ৪। ‘ লার্ণর্স লাইসেন্স ‘ দিয়ে গাড়ী চালানোর শর্ত কী?

উত্তরঃ লার্ণর্স লাইসেন্স পাওয়ার পরে গাড়ীর সামনে এবং পিছনে ‘ L ‘ অক্ষরটি সাদার উপরে লাল অক্ষরে লিখে রাখতে হয়। এই লাইসেন্স যেহেতু শুধুমাত্র শিখার জন্য সেজন্য চালকের সঙ্গে একজন প্রশিক্ষক বা লাইসেন্সধারী ব্যক্তি থাকা আবশ্যক।

প্রশ্ন ৫। তিন ধরনের পথ রেখাংকনের নাম লেখো।

উত্তরঃ তিন ধরনের পথ রেখাংকনের নাম হল – 

১। গোলাকার সংযোগ স্থল।

২। জেব্রা ক্রসিং। এবং

৩। সাদা রেখা।

প্রশ্ন ৬। গোলাকার সংযোগ স্থল কী?

উত্তরঃ 

ট্রাফিক দ্বীপকে কেন্দ্র করে চারপাশের পথ সংযোগ হলে স্থানটিকে গোলাকার সংযোগ স্থলে। এই সংযোগ স্থলে একাধিক লাইন বা সারি থাকলে নির্দিষ্ট লাইনে সাবধানে যাত্রা করতে হয়। ডানদিকে থাকা গাড়িকে অগ্রাধিকার দেওয়াই নিয়ম।সোজা রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় ঢোকা বা বেরোনোর সময় ইন্ডিকেটর লাইট অবশ্যই ব্যবহার করতে হয়।

প্রশ্ন ৭। ধোয়া প্রদুষণ নিয়ন্ত্রণ প্রমাণ পত্র কী? 

উত্তরঃ যানবাহন আইন অনুসারে গাড়ীর প্রথম পঞ্জিয়ন তারিখের থেকে একবছর সম্পূর্ণ হলে প্রত্যেক গাড়িকেই ৬ মাস পর পর অনুমোদিত কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করিয়ে প্রদুষণ নিয়ন্ত্রণ প্রমাণ পত্র সংগ্রহ করতে হয়। অন্যথায় এটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।

প্রশ্ন ৮। দুই চাকা বাহনের চালক এবং আরোহীর শিরস্ত্রাণ (হেলমেট) পরিধান করা উচিত কেন?

উত্তরঃ যানবাহন আইন ১৯৮৮ এর ১২৯ ধারা অনুযায়ী দু ‘ চাকাযুক্ত যানবাহনের চালক এবং আরোহীর জন্য হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক। কারণ হেলমেট পরিধান চালক এবং আরোহীর মৃত্যু ও মাথার গুরুতর আঘাতের হাত থেকে যথাক্রমে ৪০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ সুরক্ষা প্রদান করে। এই হেলমেটের মান ‘ ব্যুরো অফ ইণ্ডিয়ান ষ্ট্যাণ্ডার্ড ‘ এর নির্ধারিত মান সম্পন্ন হওয়া জরুরী।

প্রশ্ন ৯। বাহনের ভিতর সিটবেল্ট পরিধান করার উদ্দেশ্যে কী?

উত্তরঃ পথচিহ্নগুলি তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে- 

১। বাধ্যতামূলক চিহ্ন।

২। সতর্কীকরণ চিহ্ন। এবং

৩। বিজ্ঞপ্তি বা সুচনাত্মক চিহ্ন।

প্রশ্ন ১০। কোন কোন অপরাধে কোন চালাকেক স্কুল বাস চালানোর জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে।

উত্তরঃ নীচে উল্লেখিত অপরাধের জন্য কোনো চালক দুবারের বেশি অভিযুক্ত হলে তাকে স্কুল বাস চালানোর জন্য অবিবেচিত করা হয়।

১। লাল লাইট জ্বলতে থাকা সত্ত্বেও পথ সংযোগ স্থল অতিক্রম করলে।

২। নিষেধাজ্ঞা থাকা জায়গায় পার্কিং করলে।

৩। নীতি বিরুদ্ধেভাবে অন্য গাড়িকে অতিক্রম করলে।

৪। কর্তৃত্বহীন ব্যক্তিকে গাড়ী চালানোর অনুমতি দিলে। এবং

৫। পথ সংযোগ স্থলে গাড়ী দাড় করানোর সময় রাস্তায় একে Stopline চিহ্ন অতিক্রম করলে।

তাছাড়া কোনো স্কুল বাস চালক অত্যাধিক বেগে বা সুরাযুক্ত হয়ে বিপদজ্জনকভাবে গাড়ী চালানোর অপরাধে একবার অভিযুক্ত হলেই স্কুল বাস চালানোর যোগ্যতা হারাবে।

প্রশ্ন ১১। মোবাইল ফোনে কথা বলে গাড়ী চালানোর ক্ষেত্রে কী নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা আছে?

উত্তরঃ কোনো অবস্থাতেই গাড়ী চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা উচিত নয়। এই ধরনের আচরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। এই ধরনের পারাধে ধরা পড়লে জরিমানা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা পর্যন্ত যান বাহন আইনে বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ১২। সতর্কতামূলক পথচিহ্ন কী? চার প্রকারের সতর্কতামূলক পথচিহ্নের নাম লেখো।

উত্তরঃ যে সকল পথচিহ্ন চালককে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয় তাদের সতর্কতামূলক পথচিহ্ন বলে। চার প্রকার সতর্কতামূলক পথচিহ্নের নাম হল – 

১। রাস্তা ডানদিকে বাঁকা।

২। রাস্তা বাঁদিকে বাঁকা।

৩। খাড়াই রাস্তা। এবং

৪। ঢালু অবরোহন।

প্রশ্ন ১৩। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো: আন্তগাথনিমূলক কারক এবং যান্ত্রিক কারক।

উত্তরঃ আন্তগাথনিমূলক কারক: পথ দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারন। ক্ষতি গ্রন্থ অসমান রাস্তা, নির্মাণে প্রযুক্তিগত ক্রটি ইত্যাদি হলো আন্তগাথনিমূলক কারক। 

যান্ত্রিক কারক: চলমান গাড়িতে হঠাৎ কোনো যান্ত্রিক গোলমাল, গাড়ীর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, পুরোনো বা বিকল যন্ত্রাংশের ব্যবহার ইত্যাদির ফলে পথ দুর্ঘটনা হতে দেখা যায়। এ ধরনের কারক পথ দুর্ঘটনার যান্ত্রিক কারক।

প্রশ্ন ১৪। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো: রোড মার্কিং এবং জেব্রা ক্রসিং।

উত্তরঃ রোড মার্কিং: পথ সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম উপাদান। সুষ্ঠভাবে পথ চলাচল ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য পথে বিভিন্ন প্রকারের রেখাংকন করা হয়। মুখ্য রাস্তায় ঢোকা বা এতে পথচারী এবং গাড়ী চালকদের পথের ওপর দিয়ে চলাচল করতে যথেষ্ট সুবিধা হয়।

জেব্রা ক্রসিং: পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার জন্য রাস্তার কিছু অংশে জেব্রার পিঠের মতো সাদাকালো রেখা আঁকা থাকে।এই রেখাতে পথচারী রাস্তা পার হতে থাকলে গাড়ী থামিয়ে পারাপার সম্পূর্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রশ্ন ১৫। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও। আন্তর্জতিক ড্রাইভিং পার্মিট।

উত্তরঃ কোনো ভারতীয় নাগরিক বিদেশে গাড়ী চালাতে হলে আন্তর্জতিক ড্রাইভিং পার্মিট ( International Driving Permit) প্রদানের ব্যবস্থা যানবাহন আইনে সন্নিবিষ্ট আছে। এই পার্মিট এক বছরের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। নীচে দেওয়া নথিপত্রসহ নির্ধারিত আবেদন ফর্মে আবেদন করতে হয়।

১। ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রতিলিপি।

২। পাসপোর্ট ও ভিসার প্রতিলিপি ।

৩। চালকের সু – স্বাস্থ্যের প্রমাণ।

৪। তিন কপি ফটো। এবং

৫। নির্ধারিত মাসুল।

প্রশ্ন ১৬। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো : পথ রেখাঙ্কন এবং জেব্রা ক্রসিং।

উত্তরঃ পথ রেখাঙ্কন: পথের উপর অঙ্কিত থাকা বিভিন্ন ডিজাইনের রেখাকে পথ রেখাঙ্কন ( Road Marking) বলে। এই পথ রেখাঙ্কনের অর্থ কেবল গাড়ীর চালক নয়, পথচারী বা পথ ব্যবহারকারীকেও জানতে হবে। পথের উপর নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে সুসংহতভাবে গাড়ী চলাচলের জন্য এই রেখাঙ্কন থাকে। গোলাকার সংযোগ স্থল (Roundabout or Rotary), জেব্রা ক্রসিং, সাদাস্তব্ধ রেখা, সাদা বিভাজক রেখা, হলুদ বিভাজক রেখা এসব পথ রেখাঙ্কন।

জেব্রা ক্রসিং: পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার জন্য রাস্তার কিছু অংশে জেব্রার পিঠের মতো সাদাকালো রেখা আঁকা থাকে।এই রেখাতে পথচারী রাস্তা পার হতে থাকলে গাড়ী থামিয়ে পারাপার সম্পূর্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

পার্থক্য: গাড়ী চালক রেখাঙ্কনের অর্থ অনুযায়ী গাড়ী চালনা করে আর পথচারী জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হয়।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী পথ দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করো।

উত্তরঃ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী – 

১। আমাদের দেশে ২০১৪ সনে সংঘটিত ৪,৫০,৮৯৮ টি পথ দুর্ঘটনায় ১,৪১,৫২৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৪,৭৭,৭৩১ জন গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।

২। দেশে প্রতি ঘণ্টায় ৫১ টি পথ দুর্ঘটনা ঘটে এবং ১৬ জনের প্রাণহানি হয়। অর্থাৎ প্রতি চার মিনিটে একজন পথ দূর্ঘটানায় প্রাণ হারায়।

৩। পথ দুর্ঘটনার ২৭.৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় সড়কে এবং ২৫.৩ শতাংশ  রাজ্যিক সড়কে সংঘটিত হয়।

৪। ৩৬.৮ শতাংশ পথ দূর্ঘটনা তীব্র গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে ঘটে থাকে।

৫। ৩২ শতাংশ দূর্ঘটনা খারাপ আবহাওয়ার ফলে ঘটে। এবং

৬। দেশে সংঘটিত পথ দুর্ঘটনার ৫৪.৭ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে এবং ৪৫.৩ শতাংশ নগর অঞ্চলে সংঘটিত হয়।

প্রশ্ন ২। স্কুল বাসের চলাচলের জন্য কী কী আইন পাযোজ্য করা হয়েছে?

উত্তরঃ স্কুল বাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পাঁচটি নিয়ম হল – 

১। স্কুল বাসের চালকের ৫ বৎসর ভারী যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।

২। কোন স্কুলবাস চালককে ইউনিফর্ম পরিধান করতে হবে এবং বাসের সামনে স্কুল কর্তব্যরত লেখা থাকতে হবে।

৩। কোনো স্কুল বাস চালক অত্যাধিক বেগে সুরাযুক্ত হয়ে বিপদজ্জনক গাড়ী চালানোর অপরাধে একবার অভিযুক্ত হলে স্কুল বাস চালানোর যোগ্যতা হারাবে।

৪। স্কুল বাসের গতিবেগ অনুর্দ্ধ ৪৯ কি: মি: প্রতি ঘন্টা হতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাসে গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্র থাকা প্রয়োজন।

৫। শিক্ষিত লাইসেন্সধারী কণ্ডাক্টর থাকা বাধ্যতামূলক ।

৬। স্কুল বাস চালককে ইউনিফর্ম পরিধান করতে হবে এবং বাসের সামনে স্কুল কর্তব্যরত লেখা থাকতে হবে।

৭। স্কুল বাসে দরজা বন্ধ করার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এবং

৮। উচ্চতম ন্যায়ালয়ের নির্দেশমত স্কুল বাসে অনুমোদিত আসন সংখ্যার ১.৫ গুন ছাত্র ছাত্রী উঠানো যাবে অর্থাৎ ৩০ জনের আসন যুক্ত বাসে সর্বোচ্চ ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী থাকতে পারবে।

প্রশ্ন ৩। গাড়ী চালানোর ক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলতে হয়? 

উত্তরঃ গাড়ী চালানোর ক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য নিয়মগুলো হল – 

১। গাড়ী যথা সম্ভব রাস্তার বাঁদিকে ঘেঁষে চলানো এবং বিপরীত দিকের থেকে আসা যান বাহনকে নিজের ডানদিকে দিয়ে অতিক্রম করতে দেওয়া উচিত।

২। বাঁদিকে গাড়ী ঘোরানোর সময় যথা সম্ভব বাদিক ঘেঁষে নতুন রাস্তায় উঠতে হবে। ডানদিকে ঘোরানোর সময় মাঝামাঝি গিয়ে নতুন রাস্তাটির বাঁদিক ঘেঁষে প্রবেশ করতে হবে।

৩। একদিকে চলতে থাকা গাড়িকে ডানদিক দিয়ে অতিক্রম করতে হবে।

৪। গাড়ী চালানোর সময় পিছন দিকের দৃশ্য আয়নায় দেখে প্রয়োজন সাপেক্ষে হাতের সাহায্যে সংকেত দিতে হবে।

৫। ‘ ওয়ান ওয়ে ‘ লেখা রাস্তায় কখনোই উল্টো দিক থেকে গাড়ী চালানো উচিত নয়।

৬। রাস্তায় চলাচল করার সময় দুটি গাড়ীর মধ্যে ব্যবধান থাকা প্রয়োজন যাতে একটি গাড়ী হঠাৎ থামলে পেছনের গাড়ী ধাক্কা না মারে।

৭। পাহাড়ে উঠানামার সময় উপরদিকে  উঠা গাড়ীটিক অগ্রাধিকার দিতে হয়।

৮। গাড়িতে ইন্ধন ছাড়া অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ থাকা অনুচিত।

৯। মাদক দ্রব্য সেবন করে গাড়ী চালানো নিষেধ। এবং

১০। গাড়ী চালানোর সময় কখনোই মোবাইল কথা বলা নিষেধ।

প্রশ্ন ৪। পথচারীদের কী কী সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হয়?

উত্তরঃ পথচারীদের সুরক্ষাবিধি  অথবা রাস্তার হাঁটার সময় পালন করা। কয়েকটি নিরাপত্তা বিধানসমুহ হল – 

১। রাস্তা পার হওয়ার সময় বাঁদিক বাঁদিক এবং ডানদিক লক্ষ্য করা উচিত।

২। হাঁটার সময় যতদূর সম্ভব ফুটপাত ব্যবহার করা উচিত।

৩। রাস্তায় চলতে সবসময় বাঁদিকে হাটা উচিত।

৪। ফুটপাতে চলতে কোনো গর্ত আছে কি না তা দেখে চলা প্রয়োজন।

৫। থেমে থাকা গাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য গাড়ী আসছে কি না তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। 

৬। প্রাত: ভ্রমণ করার সময় পেছনে থেকে আসা গাড়ী থেকে সাবধান থাকা প্রয়োজন।

৭। রাতে রাস্তায় চলাচল করার সময় কালো রঙের পোশাক পরা অনুচিত।

প্রশ্ন ৫। বাসে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীদের কী কী সুরক্ষা  বিধি মেনে চলা উচিত?

উত্তরঃ বাসে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীদের নীচের সুরক্ষা বিধিগুলো মেনে চলা উচিত।

১। বেশি সংখ্যক যাত্রী থাকলে লাইন ধরে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বাসে উঠা উচিত। 

২। বাসে উঠার সময় হাতল ধরে উঠা উচিত এবং বাসের পাদানিতে দাড়িয়ে যাত্রা করা অনুচিত।

৩। চলন্ত বাস থেকে বাইরে থু থু ফেলা অনুচিত।

৪। গাড়ীর ছাদে বসে যাত্রা করা অথবা হাত বা মাথা বাইরে রেখে যাত্রা করা বিপদজ্জনক ।

৫। বাসের ভিতর ধূমপান বা মদ্য আইন বিরুদ্ধ।

৬। গাড়ী চালানোর সময় চালকের সঙ্গে কথা বলে মন সংযোগ নষ্ট করা উচিত নয়।

৭। চলন্ত গাড়ী থেকে লাফিয়ে নামা বিপদজ্জনক। 

প্রশ্ন ৬। বাহন চালকের অনুজ্ঞা পত্র কী? চালকের অনুজ্ঞা পত্র প্রাপ্তির যোগ্যতার জন্য থাকা নিয়মসমুহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কতৃত্বযুক্ত প্রাধিকারীর জারি করা যে অনুমতি পত্র ব্যবহার করে নির্দিষ্ট শ্রেণীর গাড়ী চালানো যায়, তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বলে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ প্রার্থীর লাইসেন্স নিয়ে গাড়ী চালাতে শেখা প্রয়োজন। এর পরবর্তী পর্যায়ের মূল লাইসেন্স প্রদান করা হয়।১৮ বছর বয়সের নিচে ‘ লার্নর্স লাইসেন্স ‘ দেওয়া হয় না। অবশ্য ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের ব্যক্তিরা পিতা মাতা বা অভিভাবকের অনুমতি সূচক স্বাক্ষর সহ আবেদন পত্র দ্বারা গিয়ার বিহীন দু চাকার বাহন চালানোর জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য ট্রাফিক সংকেত, পথচিহ্ন এবং পথ নিয়ম সমূহের জ্ঞান যাচাই করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৭। ভারত বর্ষের প্রধান যানবাহন আইনগুলো কী কী?

উত্তরঃ ভারত বর্ষের প্রধান যানবাহন আইনগুলো হল – 

১। মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট ১৯৮৮

২। সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট ১৯৮৯

৩। অসম মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট ২০০৩

৪। অসম মোটর ভেহিকলস ট্রাক্সেশন অ্যাক্ট ১৯৩৬

৫। অসম মোটর ভেহিকলস ট্রাক্সেশন রুলস ১৯৩৬

প্রশ্ন ৮। পথ চিহ্নের বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ পথের পাশে থাকা চিহ্নকে পথচিহ্ন বলে। এই চিহ্নে অর্থ গাড়ীর চালক, পথচারী ছাড়াও প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জানা প্রয়োজন। ১৯৪৭ সালে সুরক্ষার বিষয়টি United Nations Economics Commission of Europe (UNECE) এর মুখ্য উদ্দেশ্য তালিকায় স্থান দিয়ে সে সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্মী বাহিনী গঠন করা হয়।

১৯৪৯ সনের ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে জেনিভায় UNECE এর অধীনে অনুষ্ঠিত কর্ম পদ্ধতি সম্মেলনে পথ সংকেত ও চিহ্নের উপর একটি দস্তাবেজ গ্রহন করা হয় এবং ২০ ডিসেম্বর ১৯৫৩ সনে এটি বলবৎ করা হয়। অংশীদার ভারতবর্ষ এর ।এই সম্মেলনে স্বাক্ষরকারী সব দেশেই এই ধরনের পথ চিহ্নের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৯৬৮ সনের ৮ নভেম্বর ভিয়েনায় হওয়া সম্মেলনে এই পথ চিহ্ন সমূহের উপর বিস্তৃত  আলোচনার পর কিছু সংশোধনী ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। ভারত বর্ষে ১৯৮৮ সনের যানবাহন বিধিতে এই পথ চিহ্নগুলি সন্নিবিষ্ট করা আছে। 

এই পথ চিহ্নগুলি তিন ধরনের- 

১। বাধ্যতামূলক।

২। সতর্কীকরণ। এবং 

৩। বিজ্ঞপ্তি বা সুচনাত্মক চিহ্ন।

বাধ্যতামূলক পথচিহ্ন

সাধারণত বাধ্যতামূলক চিহ্ন গোলাকৃতির হয়।অবশ্য দুটি চিহ্ন যথাক্রমে অষ্টভুজ এবং ত্রিভুজ আকৃতির। এই চিহ্ন বেশির ভাগ সময়েই লাল  যদিও কয়েকটি চিহ্নের রং নীল। এই চিহ্নের নির্দেশনা না মানলে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হয়।

বাধ্যতামূলক পথচিহ্ন

সাধারণত বাধ্যতামূলক চিহ্ন গোলাকৃতির হয়।অবশ্য দুটি চিহ্ন যথাক্রমে অষ্টভুজ এবং ত্রিভুজ আকৃতির। এই চিহ্ন বেশির ভাগ সময়েই লাল  যদিও কয়েকটি চিহ্নের রং নীল। এই চিহ্নের নির্দেশনা না মানলে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হয়।

সূচনামূলক পথচিহ্ন

চতুর্ভুজ আকৃতির পথচিহ্নগুলি পথে থাকা সুবিধা সমূহের সূচনা দেয়। সাধারণত এই চিহ্নগুলি নীল রঙের হয়।

জেব্রা ক্রসিং ( Zebra Crossing): পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার জন্য রাস্তার কিছু আশে পিঠের মত সাদাকালো রেখা আঁকা থাকে।এই রেখাতে পথচারী রাস্তা পার হতে থাকলে গাড়ী থামিয়ে পারাপার সম্পূর্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top