Class 11 Environmental Studies Chapter 3 জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন

Class 11 Environmental Studies Chapter 3 জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন Question Answer | AHSEC Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Class 11 Environmental Studies Chapter 3 জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন Notes and select needs one.

Class 11 Environmental Studies Chapter 3 জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 11 Environmental Studies Chapter 3 জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 11 Environmental Studies Chapter 3 জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন Solutions for All Subjects, You can practice these here.

জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন

Chapter: 3

প্ৰশ্ন ১। জৈব বৈচিত্র্যের সংজ্ঞা লেখ। (Define biodiversity) 

উত্তরঃ পৃথিবীর জীব সকলের মধ্যে থাকা বিভিন্নতা এবং বৈচিত্র্যকে জৈব বৈচিত্র্য বলে। জীবের সংখ্যা, পৃথিবীর সমস্ত  ধরনের প্রাণীর বিভিন্নতা এবং স্বকীয়তা বোঝাতে এই সংজ্ঞা ব্যবহার করা হয়। এতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি উদ্ভিদ, জীব জন্তুর তথা অণুজীব সমুহ, তাতে থাকা জিন সমুহ এবং তারা যার অংশ, সেই সমস্ত কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রশ্ন ২। উদাহণসহ ব্যাখ্যা কর – অনুবাংশিক (বা, জিন) বৈচিত্র্য, প্রজাতি বৈচিত্র্য এবং পরিস্থিতি তন্ত্র বৈচিত্র্য। (Explain with suitable example – genetic diversity, species diversity and ecosystem diversity) 

উত্তরঃ অনুবাংশিক বা জিনগত জৈব বৈচিত্র্য: একই প্রজাতির জীবের দেহেও জিন সমূহের মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়। এই বৈচিত্র্যকে জিনগত জীব বৈচিত্র্য বলে। এই জিনগুলো বাংশানুক্রমিকভাবে উওর প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে থাকে। এই বৈচিত্র্য এমন এক ধরনের বৈচিত্র্য যার প্রজাতি  একই জীব সমূহের মধ্যে বিভিন্নতা  সৃষ্টি করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে বাসমতি চাল জোহা চাল থেকে একেবারে পৃথক।

প্রজাতি জৈব বৈচিত্র্য: পৃথিবীতে থাকা জিবোগুলিকে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগ করা হয়েছে। একটি প্রজাতির জীব অন্য প্রজাতির  জীব থেকে ভিন্ন হয়। প্রজাতির এই ভিন্ন তাকে প্রজাতিগত জৈব বৈচিত্র্য বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে ঘোড়া এবং গাধা দুইটি ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং উহাদের মধ্যে প্রচুর ভিন্নতা বিদ্যমান। এই ধরনের বৈচিত্র্যই হল প্রজাতি জৈব বৈচিত্র্য।

পরিস্থিতির জৈব বৈচিত্র্য: জীবসমুরের বসতি স্থানের বৈচিত্র্য অর্থাৎ তারা যে পরিস্থিতির তন্ত্রগুলিতে বাস করে সেই পরিস্থিতিরগুলির মধ্যে থাকা ভিন্নতা বা বৈচিত্র্যকে পরিস্থিতির তন্ত্র গত জৈব বৈচিত্র্য বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে সামুদ্রিক মাছ এবং পুকুরের মাছের মধ্যের ভিন্নতা।

প্রশ্ন ৩। জৈব বৈচিত্র্যের মূল্যসমুহ কি কি? (What are the values of biodiversity) 

উত্তরঃ এই পৃথিবীর অসংখ্য ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী আছে। এই বৈচিত্র্যই সমগ্র বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য, রোগ নিরাময় বস্তু, বস্ত্র আশ্রয়, আধ্যাত্মিক এবং বিনোদন মূলক প্রয়োজনগুলি পূরণ করে। এইগুলিই হল জৈব বৈচিত্র্যের মূল্য। জৈব বৈচিত্র্যেই পরিস্থিতি তন্ত্রে ক্রিয়া – প্রক্রিয়া অব্যহত রাখাকে সুনিশ্চিত করে। অর্থাৎ জৈব বৈচিত্র্যের ক্ষতির অর্থ হল মানব জাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকি।

প্রশ্ন ৪। জৈব বৈচিত্র্যের উপভোক্তামূলক মূল্য কী? (What is the consumptive value of biodiversity) 

উত্তরঃ মানুষ স্মরণাতীত কাল থেকে জৈব বৈচিত্র্যের উপাদান সমূহকে উপভোক্তামূলক ব্যবহার করে আসছে। এই ব্যবহারগুলি হল খাদ্য, ইন্ধন, ঔষধ, পরিধান ইত্যাদি রূপে।বিশ্বের খাদ্যের 90% আসে উদ্ভিদ থেকে। উন্নয়নশীল দেশের 80% মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভশীল। উদাহরণ স্বরূপ পেন্সিলিন নামক  ছত্রাক থেকে এন্টিবায়টিক ঔষধ তৈরী করা হয়। এইভাবে ব্যাক্টেরিয়াম থেকে তৈরি হয় টেট্রাসাইক্লিন, পিলিপেগুলৌমারিয়া নামক উদ্ভিদ থেকে এসপিরিন, সিনকোনা গাছের  ছাল থেকে কুইনাইন, সর্পগন্ধ গাছ থেকে সাপের কামড়ের ঔষধ ইত্যাদি পাওয়া যায়। ইন্ধন হিসাবে ব্যবহৃত কাঠ, জীবাশ্ম, ইন্ধন, প্রাকৃতিক  গ্যাস প্রভৃতি আমরা জৈব বৈচিত্র্যের থেকেই পেয়ে থাকি।

প্রশ্ন ৫। জৈববৈচিত্র্যের উৎপাদনমূলক মূল্য কী? (What are the productive value of biodiversity) 

উত্তরঃ জৈববৈচিত্র্যের বিভিন্ন উৎস থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত বা উৎপাদন করা সামগ্রীই উৎপাদনমূলক সামগ্রী। বর্তমান কালেও পরম্পরাগত  সম্প্রদায় সমূহের অধিকাংশই সম্পূর্ন ভাবে অথবা আংশিকভাবে তাদের দৈনিক প্রয়োজনের সামগ্রী, খাদ্য আশ্রয় স্থল, বস্তু বিশেষ ঘরোয়া প্রয়োজনের সমগ্রী, ঔষধ, সার এবং বিনোদনের জন্য এই সমস্ত উৎপাদনের  উপর নির্ভর করে। হাতির দাঁত, পাটপোকা থেকে তৈরি করা পাটের কাপড়, ভেড়ার লোম, থেকে তৈরি উলের কাপড়, লা  পোকা থেকে উৎপন্ন লা ইত্যাদি  প্ৰাণী  বৈচিত্ৰ্য থেকে আহরণ করা হয়। বহু শিল্পোদ্যোগ, উদ্ভিদ সামগ্রীর উপর নির্ভরশিল, যেমন – কাগজ এবং  কাগজের মন্ড উদ্যোগ, চিনি উদ্যোগ, প্লাইউড উদ্যোগ, রেলর স্নিপার ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। জৈববৈচিত্র্যের প্রতি প্রধান হুমকিসমুহ কি কি? (What are the major threats to biodiversity) 

উত্তরঃ প্রজাতির অবলুপ্তি বা নিশ্চিহ্ন করণ হচ্ছে বিবর্তনের একটি  প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া । কিন্তু সাম্প্রতিককালে অসংখ্য প্রজাতির নিঃশেষিত হয়ে যাওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ  আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

সাধারণভাবে পরিবেশ এবং বিশেষত জৈব বৈচিত্র্য সম্পর্কে মানব সমাজের পরিবর্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষন একটা বড় গুরুত্বপূর্ন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে জৈব বৈচিত্র্যর প্রতি  আসা হুমকি  সমুহ হচ্ছে। 

১। বাসস্থান ধ্বংস। 

২। পাশুধনের অনিয়ন্ত্রিত বিচরণ । 

৩। ছড়াশিকার।

৪। প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

৫। জলবায়ু পরিবর্তন এবং গোলকীয় উষ্ণতাবৃদ্ধি। এবং

৬। প্রাণী সম্পদের চোরাকারবার।

প্রশ্ন ৭। জৈব বৈচিত্র্যের বহিঃ এবং আন্ত সংরক্ষন কী? প্রত্যেকটির উদাহরণ দাও। (What are ex – situ conservation and in – situ conservation of biodiversity? Give examples of each)

উত্তরঃ অন্ত সংরক্ষণ: বনজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীকে তাদেরই প্রাকৃতিক বাসস্থানে সংরক্ষণ করাকে অন্ত সংরক্ষণ বলে। এই ধরনের সংরক্ষনে উদাহরণ হল – ১

১। ব্যাপক বৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চল বা Hot spot: এই এলকাগুলিতে প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় এবং বিপন্ন  প্রজাতির জীব পাওয়া যায়। সমস্ত পৃথিবীতে 34 টি হটস্পট আছে। যার মধ্যে পশ্চিমঘাট, পূর্বহিমালয়, ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত।

২। সংরক্ষিত জীবমণ্ডল (Biosphere reserve): এইগুলি সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বাসস্থান যেখানে মানুষের প্রবেশ নিষেধ। ভারত 18টি সংরক্ষিত জীব মণ্ডল আছে।

৩। জাতীয় উদ্যান: ভারতে মোট 10টি জাতীয় উদ্যান আছে। আসামের কাজীরঙ্গা জাতীয় উদ্যান এর অন্যতম।

৪। বন্যপ্রাণী  অভযারণ্য: ভারতে মোট 515টি অভয়ারণ্য আছে। যার মধ্যে আসামে আছে 22টি।

৫। পবিত্র অরণ্য: স্থানীয় অধিবাসী বা কোন কোন NGO ছোট ছোট অরণ্য  হিসাবে উদ্ভিদ  সংরক্ষন করে।

বহিঃ সংরক্ষন: এই ধরনের সংরক্ষনে বিপন্ন প্রজাতির জীবকে তাদের বাসস্থান গার্ডেন, জুলজিকাল গার্ডেন, ক্লোনিং, কলাকর্ষণ, কৃত্রিম নিষেচন পদ্ধতি, জিন ব্যাংক, বীজ ব্যাংক, জার্ম প্লাজম ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৮। জীব সম্পদের চোরাব্যবসা বা বায়োপাইরেসি কি? (What is biopiracy)

উত্তরঃ বায়োপাইরেসি হল একটি দেশ থেকে জীব সম্পদ হস্তান্তর করে কোন অন্য একস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং তার মাধ্যমে উৎপাদিত দ্রব্যের পেটেন্ট বা অধিকার আদায় করা। কোন কোন দেশের স্থানীয় জনসাধারণ হচ্ছে জ্ঞান এবং বিশ্বাসের সঞ্চয় কেন্দ্র স্বরূপ । কিছু কিছু কোম্পানির এজেন্ট বা দালাবাদ এই পরম্পরাগত জ্ঞান বা মূল্যবান জীব পদার্থ সংগ্রহ করে এবং সেওলোকে নিজেদের পেটেন্ট লাভ করার উপযোগী করে তুলে। এইভাবে তারা এই সমস্ত সামগ্রীর ব্যবসা – বাণিজ্য  করার জন্য অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার অধিকার আদায় করে। কিছু নির্দিষ্ট জীব সম্পদের চোরাকারবার বা বায়োপাইরেসি জৈব বৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।

প্রশ্ন ৯। আমাদের দেশের দুটো জৈব বৈচিত্র্যে সংরক্ষন ব্যবস্থার বিষয়ে উল্লেখ কর। (Mention two conversation strategies of  our country) 

উত্তরঃ আমাদের দেশের জৈব বৈচিত্র্যের সংরক্ষনের দুটো ব্যবস্থা নিম্নরূপ: 

১। পরিবেশ সুরক্ষা আইন, ১৯৮৬: কিছু বিশেষ এলাকায় শিল্পো উদ্যোগ এবং অন্যান্য কিছু  কাজ কর্মে নিষেধাজ্ঞাসহ পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্য হাতে নেওয়া ব্যবস্থার, নিগর্মন এবং সরবরাহ ইত্যাদি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে জড়িত।

২। বন আইন, ১৯৭২: এই আইন সংরক্ষিত, সুরক্ষিত গ্রাম্য বনাঞ্চলের পরিচালনার সঙ্গে, বনজ সম্পদের সরবরাহ নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্ন ১০। ধরিত্রী সম্মেলন কোন বৎসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল? (In which year Earth summit was held) 

উত্তরঃ ১৯৯২ সালের জুনমাসে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রশ্ন ১১। রাষ্ট্রীয় সংরক্ষন কৌশল সম্পর্কে লেখো।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র্যের সংরক্ষনের জন্য ভারতে  কয়েকটি আইন বলবৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আইন নিন্মরূপ: 

বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন, ১৯৭২ এবং বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) সংশোধিত আইন, ১৯৯১: এই দুই আইন জীব জন্তুর শিকারে বাধা দেওয়া এবং নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রী কিছু বিশেষ উদ্ভিদকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বন্যপ্রাণীর প্রাণীজাত সামগ্রী এবং সজ্জিত সামগ্রী ইত্যাদির ব্যবসা এবং বাণিজ্যকে এই আইন নিয়ন্ত্রণ করে।

বন সংরক্ষন আইন, ১৯৮০: বনাঞ্চলের মাটি অ অবনাঞ্চলীয় কার্যকলাপে বাধা আরোপ বা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি তদারক করে এই আইন।

পরিবেশ সুরক্ষা আইন, ১৯৮৬: কিছু বিশেষ এলাকায় শিল্পো উদ্যোগ এবং অন্যান্য কিছু কাজ কর্মে নিষেধাজ্ঞাসহ পরিবেশ সুরক্ষা উদ্দেশ্য হতে নেওয়া ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত এই আইন। এই আইন ক্ষতিকারক দ্রব্যের উৎপাদন ব্যবহার, নির্গমন এবং সরবরাহ ইত্যাদির প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে জড়িত।

উপরোক্ত আইন সমুহ রাষ্ট্রীয় সংরক্ষন কৌশলের উন্নতি ঘটিয়েছে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

(ক) উত্তর দাও –

প্রশ্ন ১। জৈব বৈচিত্র্য কি? 

উত্তরঃ পৃথিবীর জীবসমুহের মধ্যে থাকা বিভিন্নতা এবং বৈচিত্র্যকে জৈববৈচিত্র্য বলে।

প্রশ্ন ২। জৈব বৈচিত্র্যের পর্যায় তিনটির নাম লিখ।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র্যের তিনটি পর্যায় নাম হল – 

১। জিনগত।

২।প্রজতিগত। এবং

৩। পরিস্থিতি তন্ত্রগত জৈব বৈচিত্র্য।

প্রশ্ন ৩। জৈব বৈচিত্র্য কয়টি পর্যায়ে বর্ণনা করা হয়।

উত্তরঃ তিনটি।

প্রশ্ন ৪। কোন গাছ থেকে কুইনাইন জাতীয় ঔষধ পাওয়া যায়? 

উত্তরঃ কুইনাইন জাতীয় ঔষধ পাওয়া যায় সিনকোনা গাছের ছাল থেকে।

প্রশ্ন ৫। এন্টিবায়োটিক কিসের থেকে তৈরি করা হয়?

 উত্তরঃ  পেনসিলিন জাতীয় ছত্রাক থেকে।

প্রশ্ন ৬। পবিত্র অরণ্য কী?

উত্তরঃ যে সকল অরণ্যকে দেবতার বাসস্থান ভেবে পবিত্রভাবে সংরক্ষন করা হয় তাদেরকে পবিত্র অরণ্য বলে।

প্রশ্ন ৭। জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি একটি প্রধান হুমকি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ বাসস্থান। 

প্রশ্ন ৮। আন্ত সংরক্ষন বলতে কি বুঝ? 

উত্তরঃ বনজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীকে তাদেরই প্রাকৃতিক বাসস্থানে সংরক্ষণ করাকে আন্ত সংরক্ষন বলে।

প্রশ্ন ৯। আন্ত সংরক্ষনে একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জাতীয় উদ্যান।

প্রশ্ন ১০। বহিঃ সংরক্ষন কী?

উত্তরঃ বিপন্ন প্রজাতির জীবকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য স্থানে বিশেষ যত্ন সহকারে সংরক্ষন করাকে বহিঃ সংরক্ষন বলে।

প্রশ্ন ১১। আসামের একটি জাতীয় উদ্যানের নাম লিখ।

উত্তরঃ কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান।

প্রশ্ন ১২। আসামে কতটি জাতীয় উদ্যান আছে?

উত্তরঃ আসামে মোট ৫টি জাতীয় উদ্যান আছে।

প্রশ্ন ১৩। আসামে মোট কয়টি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য আছে?

উত্তরঃ ২২ টি।

প্রশ্ন ১৪। ভারতে মোট কতটি জাতীয় উদ্যান আছে?

উত্তরঃ ভারতে মোট ১০২ টি জাতীয় উদ্যান আছে।

প্রশ্ন ১৫। বন আইন কখন প্রণীত হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯২৭ সনে।

প্রশ্ন ১৬। ভারতে মোট কতটি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য আছে? 

উত্তরঃ ভারতে মোট ৫১৫টি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য আছে।

প্রশ্ন ১৭। বন্য প্রাণী (সুরক্ষা) সংশোধিত আইন কখন প্রণয়ন করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৯১ সনে।

(খ) সত্য অথবা মিথ্যা লিখ।

প্রশ্ন ১। জৈব বৈচিত্র্যেকের তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ২। বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য একটি বহিঃ সংরক্ষন।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৩। বিশ্বের খাদ্যের ৯০ শতাংশই আসে উদ্ভিদ প্রজাতি থেকে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৪। কাজিরাঙ্গা একটি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য।

উত্তরঃ মিথ্যা। 

প্রশ্ন ৫। চোরাশিকার জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি হুমকি।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৬। মানস একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৭। কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান হল হরিণ এবং হাতির বাসস্থান।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৮। জৈব প্রজাতির সংরক্ষন দুই ধরনের আছে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৯। আসামে মোট ১৬ টি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য আছে।

উত্তরঃ মিথ্যা। 

প্রশ্ন ১০। পরিবেশ সুরক্ষা আইন ১৯৮৬ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল।

উত্তরঃ সত্য।

(গ) শূন্যস্থান পূরণ কর:

প্রশ্ন ১। একেকটা প্রজাতির শরীরে থাকা জিনসমুহের বৈচত্র্যই হচ্ছে __________ জৈব বৈচিত্র্য।

উত্তরঃ জিনগত জৈব বৈচিত্র্য।

প্রশ্ন ২। উন্নয়নশীল দেশগুলির __________ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পরম্পরাগত ঔষধের উপর নির্ভশীল।

উত্তরঃ ৮০ শতাংশ।

প্রশ্ন ৩। এসপিরিন জাতীয় ঔষধ তৈরি হয় _________ উদ্ভিদ থেকে।

উত্তরঃ পিলিপেগুলৌমারিয়া।

প্রশ্ন ৪। দেশের ভূ – খণ্ডের মোট __________ শতাংশ অঞ্চল সংরক্ষিত।

উত্তরঃ ৪.৩।

প্রশ্ন ৫। ডিব্রু সৈখোয়া একটি ___________।

উত্তরঃ জাতীয় উদ্যান।

প্রশ্ন ৬। অভয়ারণ্য দেওয়া সংরক্ষন হল ___________ সংরক্ষন।

উত্তরঃ অন্ত সংরক্ষন।

প্রশ্ন ৭। পবিতরা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য __________ গণ্ডার সংরক্ষন করা হয়।

উত্তরঃ এশীয়।

প্রশ্ন ৮। ___________ জাতীয় উদ্যানে এক খড়গ বিশিষ্ট গণ্ডার পাওয়া যায়।

উত্তরঃ কাজিরাংগা।

প্রশ্ন ৯। বন আইন ___________ সনে বলবৎ করা হয়।

উত্তরঃ ১৯২৭ সনে।

প্রশ্ন ১০। কয়লা এবং পেট্রোলিয়াম হল __________ ইন্ধন।

উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধন।

প্রশ্ন ১১। আসামের একটি জৈব সংরক্ষিত (বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ) অঞ্চলের নাম লেখো।

উত্তরঃ মানস বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। জৈব বৈচিত্র্যের কতটি পর্যায় আছে? সেগুলির উল্লেখ কর।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র্যের সাধারণত: তিনটি পর্যায় আছে। 

সেইগুলি হল- 

১। জিনগত।

২। প্রজাতিগত। এবং

৩। পরিস্থিতিগত জৈব বৈচিত্র্য।

প্রশ্ন ২। জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি প্রধান হুমকিগুলির নাম লিখ।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি প্রধান হুমকিগুলি নিম্নরূপ – 

১। বাসস্থান ধ্বংস।

২। পশুধনের অনিয়ন্ত্রিত বিচরণ।

৩। চোরা শিকার।

৪। প্রাকৃতিক দূর্যোগ।

৫। জলবায়ু পরিবর্তন এবং গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি। এবং

৬। জীব সম্পদের চোরা কারবার বা বায়োপাইরেসি।

প্রশ্ন ৩। জৈব বৈচিত্র্যের নৈতিক ব্যবহার সম্বন্ধে লিখ।

উত্তরঃ প্রতিটি প্রজাতির অন্যান্য এবং এই প্রত্যেকটি প্রজাতির বেচে থাকার অধিকার হয়েছে। কোন প্রজাতির ধ্বংস করার অধিকার মানুষের নেই, কোনটা শুদ্ধ এবং কোনটা ভুল, ভাল অথবা মন্দ সেটা নির্ধারণ করার ভিত্তিটি আসে নৈতিকতা থেকে। ১৯৮২ সালে রাষ্ট্র সংঘের গ্রহন করা প্রকৃতির বিশ্ব সন্দে বলা হয়েছে। মানুষের জন্য মূল্যবান হোক বা না হোক ,যে কোন রূপের প্রতিটি জীবেরই মর্যাদা রয়েছে এবং অন্য অণুজীব সমুহও যাতে এই ধরনের স্বীকৃতি লাভ করে তার জন্য মানুষকে একটি  নৈতিক, কার্যবিধির মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে।

প্রশ্ন ৪। জৈব বৈচিত্র্যের বিকল্প মূল্য বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ এখনও অনাবিষ্কৃত এবং আবিষ্কারের গুরুত্ব থাকা জীবমণ্ডলের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণী রয়েছে। একটি বিশেষ অঞ্চল বা স্পটের জৈব বৈচিত্র্যের সম্ভাবনাই হল সেই স্থানটির বিকল্প মূল্য যা আমাদের প্রয়োজন পূরণের জন্য প্রকৃতি আমাদের উপহার দিয়েছে।

প্রশ্ন ৫। বাসস্থান ধ্বংস জৈব বৈচিত্র্যের উপর কী প্রভাব ফেলে?

উত্তরঃ বাণিজ্যিক কারণে গাছ কাটা, এবং বাসভূমি গড়ে তুলতে বনাঞ্চল বেদখল পাহাড়ের ঢালু এলাকায় জুম চাষ এবং আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রাকৃতিক বাসস্থান সমুহ ধ্বংস হওয়ার ফলে জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি গুরুতর হুমকির নেমে এসেছে । রাস্তাঘাট, রেলপথ, শিপ্লো উদ্যেগ বৃহৎ বাঁধ ইত্যাদির নির্মাণ কার্য পরিবেশের ওপর গুরুতর  ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে।

প্রশ্ন ৬। চোরাশিকার জৈব বৈচিত্র্যের কী ক্ষতি করছে? 

উত্তরঃ চোরাশিকার জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি একটি বড় হুমকি। আন্তর্জাতিক ব্যবসার  জন্য হাতি, গণ্ডার, বাঘ ইত্যাদির নিয়মিতভাবে চোরাশিকার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিপন্ন প্রজাতি সমূহের কাছ থেকে উৎপাদিত। সামগ্রীর ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বন্য প্রাণীর লোম, চামড়া, খড়গ, হাতির দাঁত ইত্যাদির ব্যবসা  পূর্নগতিত চলছে। ক্রমাগত এভাবে চোরাশিকারের ফলে জৈব বৈচিত্র্যের প্রচণ্ড ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

প্রশ্ন ৭। জৈব বৈচিত্র্যের সংরক্ষন মানে কি?

উত্তরঃ মানুষসহ অন্যান্য সমস্ত ধরনের জীবের লাভের জন্য নিজস্ব পরিস্থিতি তন্ত্রে সঙ্গে জীব সম্পদের উপযুক্ত সংরক্ষন এবং তার ব্যবস্থাপনাকেই জৈব বৈচিত্র্যের সংরক্ষন বলে।

প্রশ্ন ৮। ১৯৮৬ সনের পরিবেশ সুরক্ষা আইন সম্বন্ধে সংক্ষেপে লিখ।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র এবং পরিবেশকে সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্য ভারত বিভিন্ন আইন বলৎ করা হয়েছে। ১৯৮৬ সনে  পরিবেশ সুরক্ষা আইন চালু করা হয়। এই আইন হল কিছু বিশেষ এলাকায় শিপ্লো উদ্যেগ এবং অন্যান্য কিছু কাজ কর্মে নিষেধাজ্ঞা সহ পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্য নেওয়া ব্যবস্থা। এই আইন ক্ষতিকারক দ্রব্যের উৎপাদন,  নির্গমন এবং সরবরাহ ইত্যাদি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্ন ৯। কাজী রাষ্ট্রীয় উদ্যান কোন কোন বন্য প্রাণীর জন্য বিখ্যাত।

উত্তরঃ  কাজীরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট গণ্ডার, হরিণ এবং হাতির জন্য বিখ্যাত।

প্রশ্ন ১০। মানস জাতীয় উদ্যান কোন কোন বন্য প্রাণীর জন্য বিখ্যাত? 

উত্তরঃ মানস জাতীয় উদ্যান সোনালী বাঁদর এবং জলহস্তীর জন্য বিখ্যাত।

প্রশ্ন ১১। পশুধনের বিচরণ জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি  হুমকির কেন?

উত্তরঃ পশুধনের অনিয়ন্ত্রিত বিচরণ জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি এক হুমকি। পশুধনের অনিয়ন্ত্রিত বিচরণে কোন একটি স্থানের  উদ্ভিদ সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ঘাস থাকা অঞ্চলে পশুচারনের ফলে সেই স্থান পরিত্যক্ত স্থানে পরিণত হতে পারে।

প্রশ্ন ১২। আমাদের জাতীয় উদ্যানগুলির নাম লিখ।

উত্তরঃ আমাদের জাতীয় উদ্যানগুলির হল – 

১। কাজীরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান।

২। মানস জাতীয় উদ্যান।

৩। ওরাং জাতীয় উদ্যান।

৪। নামেরি জাতীয় উদ্যান। এবং

৫। ডিব্রু সৌখোয়া জাতীয় উদ্যান।

প্রশ্ন ১৩। সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও: জৈব বৈচিত্র্যের ধ্বংসের  কারণসমুহ।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র্যের ধ্বংসের  কারণসমুহ হল – বাসস্থান ধ্বংস, পশুধনের, অনিয়ন্ত্রিত বিচরণ, বন্য জীবজন্তুর চোরাশিকার, প্রাকৃতিক দূর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তন এবং গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি, প্রাণীজ সম্পদের চোরা কারবার ইত্যাদি।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। জৈববৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবহার এবং গুরুত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

উত্তরঃ ভারতবর্ষে বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি, উৎসব – পার্বণ,পূজা অর্চনা ইত্যাদিতে উদ্ভিদ এবং জীবজন্তুর ব্যবহারের প্রথা সুদূর অতীত  কাল থেকে চলে আসছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং অন্যান্য  সংস্কৃতিক মাঙ্গলিক আচার আচরণ। পুষ্প হিসাবে মন্দিরে দেবী কালীর পূজায় জবা ফুল অর্পণ করা হয়, শিবের পূজায় ধুতরা ফুল অর্পণ   করা হয়। একইভাবে আমার বিভিন্ন অংশ, তুলসী,পদ্ম,বেলগছ ইত্যাদিও বিভিন্ন উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয়।বিভিন্ন প্রকারের জীব জন্তুর প্রজাতি, যেমন – গরু, ছাগল মোষ ইত্যাদি 

বিভিন্ন দেব – দেবীর বাহন হিসাবে বিশ্বাস করা হয় এবং এইভাবে সেই সমস্ত জন্তুকে শ্রদ্ধা করা হয়। ভারত এবং অন্যান্য কিছু দেশে কোন কোন অরণ্যকে বিশেষ দেবতার বাসস্থান বলে বিশ্বাস করে পরম্পরাগতভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়।যুগ যুক ধরে স্থানীয় সমাজ এই অরণ্যসমুহকে সংরক্ষন করে আসছে এবং সেইগুলিকে পবিত্র অরণ্য বলে। এই নিরাপত্তার ফলে এই এলাকা সমুহ বিশেষ জৈব বৈচিত্র্য স্থান হিসাবে সংরক্ষিত হয়েছে।

প্রশ্ন ২। জল বায়ুর পরিবর্তন এবং গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি জীব বৈচিত্র্যের উপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করছে?

উত্তরঃ জলবায়ুর পরিবর্তন জৈব বৈচিত্র্যের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ। জলবায়ুর স্বরূপ পরিবর্তিত হওয়ার ফলে বহু জীব প্রজাতি তাকে সহ্য করতে পারে না এবং ফলে তাদের মৃত্যু ঘটে। কৃষিক্ষেত্রের ওপর জলবায়ুর পরিবর্তন এবং গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন জনের দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন। ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলসমূহের গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে এই অঞ্চলসমূহ বেশি প্রভাবিত হয়। ভূমির জলভাগ হ্রাস পেতে পারে এবং বাষ্পীভবন বৃদ্ধি পায়। গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি বিশ্বের জৈব বৈচিত্র্যকে সামূহিক বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিয়ে একটা গুরুতর হুমকির সৃষ্টি করেছে।

প্রশ্ন ৩। জৈব বৈচিত্র্যের নৈসর্গিক ব্যবহার সমন্ধে আলোচনা করা।

উত্তরঃ প্রতিটি প্রজাতি এবং পরিস্থিতি তন্ত্র পৃথিবীর জীব জগতকে ব্যতিক্রমী এবং সৌন্দর্যময় করে তুলে। সাগরের ওপর সূর্যাস্ত, নৃত্যরত হরিণী, পাখির সুমিষ্ট গান, প্রথম বর্ষনের শেষে উঠে আসা সোদা মাটির গন্ধ ইত্যাদি থেকে মানুষ যে অনাবিল আনন্দ লাভ করে তা অন্য কোন কৃত্রিম মাধ্যম দিতে পারে না। একটি প্রাকৃতিক পরিস্থিতি তন্ত্র যদি একবার ধ্বংস  হয় তাকে ফের সৃষ্টি করা অসম্ভব। কোন একটি প্রাকৃতিক স্থানে যত বেশি মানুষ ভ্রমণ করে তাতেই এই স্থানটির নান্দনিক গুরুত্ব প্রকাশ পায়। কোনও মানুষই একটি পরিত্যক্ত স্থান দর্শন করতে চায় না। কাজেই নৈসর্গিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে জৈব বৈচিত্র্যের গুরুত্ব অপরসীম।

প্রশ্ন ৪। জৈব বৈচিত্র্যের সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার দ্বারা গ্রহন করা কৌশলসমুহ সম্বন্ধে আলোচনা কর।

উত্তরঃ জৈব বৈচিত্র্যের সংরক্ষনের জন্য ভারতে কয়েকটি আইন বলবৎ করা হয়েছে। সেই আইন গুলির মধ্যে কয়েকটি হল – 

পরিবেশ সুরক্ষা আইন, ১৯৮৬: কিছু বিশেষ এলাকায় শিপ্লো উদ্যোগ এবং অন্যান্য কিছু কাজ কর্মে নিষেধাজ্ঞাসহ পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্য হাতে নেওয়া ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত এই আইন। এই আইন ক্ষতিকারক দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার নির্গমন এবং সরবরাহ ইত্যাদি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে জড়িত।

বন্ আইন, ১৯৭২: এই আইন সংরক্ষিত, সুরক্ষিত এবং গ্রাম্য বনাঞ্চলের পরিচালনার সঙ্গে বনজ সম্পদের সরবরাহকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দশ্যে বলবৎ করা হয়েছিল।

বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন, ১৯৭২ এবং বন্য প্রাণী (সুরক্ষা) সংশোধিত আইন, ১৯৯১: এই দুইটি আইন জীব জন্তুর শিকারে বাধা দেয় এবং সেই সঙ্গে কিছু বিশেষ উদ্ভিদকে সুরক্ষা দেয়। অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানের স্থাপন এবং পরিচালনা , কেন্দ্রীয়  চিড়িয়াখানা কর্তৃ পক্ষ স্থাপন, চিড়িয়াখানা নিয়ন্ত্রণ এবং আবদ্ধ প্রজনন এই আইনের অন্তর্গত। বন্য প্রাণীর প্রাণীজাত সামগ্রী , এবং সজ্জিত সামগ্রী ইত্যাদির ব্যবসা এবং বাণিজ্যকে এই আইন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন ৫। জৈববৈচিত্র্যের সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তরঃ এই পৃথিবীতে অসংখ্য ধরনের জীব জন্তু এবং প্রাণী রয়েছে। এই সমস্ত জীব জন্তু এবং উদ্ভিদসকলে মিলে পৃথিবীকে এত সুন্দর এবং মনোরম  করে তুলেছে।প্রতিটি উদ্ভিদ এবং প্রাণী, জীবের এই বৈচিত্র্য অর্থাৎ জৈব বৈচিত্র্য সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করেছে। এই বৈচিত্র্যই সমগ্র বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য, রোগ নিরাময় বস্তু, বস্ত্র আশ্রয় আধ্যাত্মিক এবং বিনোদন মূলক প্রয়োজনগুলো পূরণ করে। জৈব বৈচিত্র্যেই পরিস্থিতি তন্ত্র ক্রিয়া – প্রক্রিয়া, যেমন – পরিছন্ন জল যোগান, পুষ্টি চক্র এবং ভূমি সংরক্ষন ইত্যাদি আব্যহত রাখাকে সুনিশ্চিত করে। অর্থাৎ মানুষ জৈব বৈচিত্র্যের অভাবে কোন স্থানে  বসবাস করতে সম্পূর্ন রূপে অক্ষম। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজন এবং অত্যধিক লোভের বশবর্তি হয়ে বর্তমান সময়ে জৈব বৈচিত্র্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে  যার ফলে মানুষ নিজেই নিজের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার করে তুলছে। কারণ একবার কোন স্থানের জৈব বৈচিত্র্যের ধ্বংস হলে সেটা পুনরায় সৃষ্টি হতে বহু বৎসর লাগবে যা মানুষের আগামী প্রজন্মের  জন্য মারাত্মক হয়ে উঠবে। কাজেই মানুষের নিজের স্বার্থেই জৈব বৈচিত্র্যের যত্ন এবং সংরক্ষন একান্ত প্রয়োজনীয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top