Class 11 Advanced Bengali Chapter 3 সনেট

Class 11 Advanced Bengali Chapter 3 সনেট Question Answer | AHSEC Class 11 Advanced Bengali Question Answer to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapters Class 11 Advanced Bengali Chapter 3 সনেট Notes and select needs one.

Class 11 Advanced Bengali Chapter 3 সনেট

Join Telegram channel

Also, you can read the SCERT book online in these sections Class 11 Advanced Bengali Chapter 3 সনেট Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 11 Advanced Bengali Chapter 3 সনেট Solutions for All Subjects, You can practice these here.

সনেট

Chapter: 3

ADVANCED BENGALI

পদ্যাংশ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘সনেট’ কবিতাটিতে কবির বক্তব্য বিষয়কে তোমার নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখো।

অথবা, 

‘সনেট’ কবিতার বিষয়বস্তু লেখো।

অথবা, 

‘সনেট’ কবিতার ভাবার্থ বা মূলভাব সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ হুমায়ুন কবির তার ‘সনেট’ নামক কবিতাটিকে দুইটি অংশে বিভক্ত করেছেন। প্রথম অংশে রয়েছে দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থার বিবরণ, দ্বিতীয় অংশে রাম রাজ্য অযোধ্যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন। এই দুটি অংশের মধ্য দিয়ে কবির অনুভূতি ও ধারণার প্রকাশ ঘটেছে। কবি বলছেন গৃহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও স্নেহ-ভালোবাসার সমন্বয়েই পৃথিবীতে স্বর্গের মায়াজাল তৈরি হয়। আত্মীয় স্বজনের স্নেহ-ভালোবাসা জীবনকে আরও গভীর করে ভালোবাসার ইন্ধন যোগায়। এই জীবন আনন্দই নিরন্তর নদীর মতো দিন হতে দিনান্তে অনাহত গতিতে চলতে থাকে। অবশেষে শান্ত সমুদ্রের বুকে সে তার পরিণতি খোঁজে নেয়। কবির মতে এই শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ তার জন্য নয়। এই শান্তিময় পরিবেশকে বৈশাখের ঝড়, কালো মেঘ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কবি এই আসন্ন ঝড়ের কথা স্মরণ করেই শান্তির প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে রেখে তার মনের শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। যাতে তার জীবন শান্তিতে ভরে উঠে। কবিতার দ্বিতীয় অংশে কবি বলছেন তিনি নিদ্রার ঘোরে রামরাজ্য অযোধ্যাকে স্মরণ করছেন। নিদ্রার ঘোরে দেখলেন স্বর্ণপুরী অযোধ্যা। অনবরত অযোধ্যার পথে-পথে শত শত নরনারী কাঁদছে। কারণ দশরথের কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা দিতে গিয়ে দেবতাসম কিশোর বয়সী রাম যৌবনে সন্ন্যাসীবেশ ধারণ করে চৌদ্দ বছরের জন্য সীতাকে নিয়ে বনবাসে যান। রামচন্দ্র ও সীতার বিরহে অযোধ্যাবাসীর কান্নায় আকাশ, বাতাস মুখরিত। গ্রীষ্মের সূর্যের কিরণে চারিদিক ক্লান্ত। স্টেশনের প্রাঙ্গনে গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে ক্লান্ত মানুষ অযোধ্যার নাম উচ্চারণ করে। সেখানে ধূসর ধূলির উপর বসে আছে বানরের দল। কাছেই দেখা যাচ্ছে সূর্যের আলোতে ঝলমল করছে ভগ্ন মন্দিরের সোনার চূড়া।

২। ‘সনেট’ কাকে বলে ? কবিতাটির নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ইংরেজি ‘সনেট’ শব্দের বাংলা অর্থ হল ‘চতুর্দশপদী কবিতা’। চৌদ্দটি পংক্তিতে বা লাইনে সীমাবদ্ধ এক বিশেষ ধরনের গীতিকবিতা হল ‘সনেট’ বা চতুদ্দশপদী কবিতা।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলায় প্রথম এই সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার প্রবর্তন করেন।

‘সনেট’ কবিতার নামকরণ: গল্প, উপন্যাস বা কবিতার নামকরণ সাধারণত করা হয় তার বিষয়বস্তু উপর নির্ভর করে বা কখনো প্রধান চরিত্রের নামকে কেন্দ্র করে। হুমায়ুন কবির সনেট নামকরণ করলেও কবিতায় সনেট সম্বন্ধে কিছু লেখেননি। কবিতাটি দুটি অংশে বিভক্ত।কবিতার দুটি অংশের মধ্য দিয়ে কবির অনুভূতি ও ধারণার প্রকাশ ঘটেছে। কবিতার প্রথম ভাগে রয়েছে গৃহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও স্নেহ-ভালোবাসার সমন্বয়েই পৃথিবীতে স্বর্গীয় প্রশান্তি সৃষ্টি হয়। আত্মীয় স্বজনের স্নেহ-ভালোবাসা জীবনকে আনন্দময় ও গৌরবে ভরে দেয়। তবে এই শান্তিকে বৈশাখের ঝড়, বজ্র ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই কবি আসন্ন ঝড়ের কথা মনে রেখেই শান্তির প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে রেখে তাঁর মনের শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। কবিতার দ্বিতীয়ভাগে দেখা যায় কবি রামরাজ্য অযোধ্যার বর্ণনা দিয়েছেন। পিতা দশরথের কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা রাখতে গিয়ে রামচন্দ্র কৈশোরে সন্ন্যাসীবেশে চৌদ্দবছরের জন্য পত্নী সীতা ও অনুজ লক্ষ্মণকে সংগে নিয়ে বনবাসে যাত্রা করেন। তখন চারিদিকে তাঁদের বিরহে অযোধ্যার সুখ-শান্তি বিনষ্ট হয়। রাম, সীতা, লক্ষ্মণের জন্য অযোধ্যাবাসী অনবরত চোখের জল ফেলছেন।

কবিতার বহিরঙ্গের দিক দিয়ে দুটি অংশের মধ্যে অষ্টক ও ষটক ভাগ রয়েছে. ও আভ্যন্তরীণ দিক দিয়েও কবিতার দুটি অংশের মিল রয়েছে। উভয় অংশেই কবি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বিনষ্টের উল্লেখ করেছেন। সনেটের উভয় অংশের ‌প্রতিটি পদ চৌদ্দটি বর্ণ থাকে, কিন্তু কবি কবিতার নাম কেন সটেন রেখেছেন তা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছা যায়নি। সুতরাং কবিতাটির অভ্যন্তরীণ ও বহিরঙ্গের দিক দিয়ে বিচার করলে কবিতাটির নামকরণ সার্থক।

৩। ‘সনেট’ কবিতাটির প্রথম অংশের সঙ্গে দ্বিতীয় অংশের কোন মিল আছে কি ? বিশ্লেষণ করে আলোচনা করো।

উত্তরঃ হুমায়ূন কবির তার ‘সনেট’ নামক কবিতাটির দুইটি অংশ বিন্যস্ত করেছেন । প্রথম অংশে রয়েছে পৃথিবীতে সুখ ও শান্তির কথা, দ্বিতীয় অংশে রামরাজ্য অযোধ্যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে। এই দুইটির অংশের মধ্য দিয়ে কবির অনুভূতি ও ধারণার প্রকাশ ঘটেছে। তবে কবিতার প্রথম অংশের সঙ্গে দ্বিতীয় অংশের কোন মিল খুঁজে ঐ যায়না। কবিতার প্রথম ভাগে রয়েছে গৃহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও স্নেহ-ভালোবাসার সমন্বয়েই পৃথিবীতে স্বর্গীয় প্রশান্তির সৃষ্টি হয়। আত্মীয়স্বজনের স্নেহ-ভালোবাসা জীবনকে আনন্দময় ও গৌরবে ভরে দেয়। তবে এই শান্তিকে বৈশাখের ঝড়, বজ্র ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই কবি এই আসন্ন ঝড়ের কথা মনে রেখেই শান্তির প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে রেখে তাঁর মনের শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। 

যাতে তাঁর জীবন শান্তিতে ভরে উঠে। কবিতার দ্বিতীয়ভাগে দেখা যায় কবি হুমায়ূন রামরাজ্য অযোধ্যার বর্ণনা দেন। রাম অযোধ্যায় থাকাকালীন পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিরাজিত। কিন্তু যখন পিতা দশরথের কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা রাখতে গিয়ে রামচন্দ্র কৈশোর বয়সে সন্ন্যাসী বেশে চৌদ্দ বছরের জন্য পত্নী সীতাকে নিয়ে বনবাসে চলে যান, তখন চারিদিকে তাদের বিরহে অযোধ্যার সুখ-শান্তি বিনষ্ট হয়। রাম-সীতার জন্য অযোধ্যাবাসী অনবরত চোখের জল ফেলতে থাকেন। সুতরাং বলা যেতে পারে কবিতার বহিরঙ্গের দিক দিয়ে প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশের কোন মিল না থাকলেও আভ্যন্তরীণ দিক দিয়ে কবিতার দুটি অংশের মধ্যে মিল রয়েছে । কবিতার দুইটি অংশেই কবি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বিনষ্টের উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো

১। “যে-শান্তি গৃহের কোণে স্নেহস্নিগ্ধ ছায়া

মেলি’ রচে ধরাতলে অমরার মায়া,

পরিজন প্রীতিপুষ্প অম্লান সৌরভে

ভরি দেয় এ-জীবন আনন্দ গৌরবে।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু হুমায়ূন কবিরের রচিত ‘সনেট’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। এখানে পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ-শান্তির কথা রয়েছে। কবির মতে গৃহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও স্নেহ-ভালোবাসার সমন্বয়েই পৃথিবীতে স্বর্গের মায়াজাল তৈরি হয়। অর্থাৎ পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখশান্তি বিরাজিত। আত্মীয়-স্বজনের স্নেহ-ভালোবাসা জীবনকে আনন্দময় ও গৌরবে ভরে দেয়। কবি মনে করেন এই সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য তাঁর জন্য নয়। কিন্তু পৃথিবীর স্বর্গীয় প্রশান্তি তিনি বজায় রাখতে চান।

২। “তবু জ্বলে যেই দীপশিখা

তারি চিত্তে শঙ্কাকুল সেই শান্তি-সম

শান্তিতে ভরিয়া যাক এ জীবন মম।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু হুমায়ুন কবিরের রচিত ‘সনেট’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ-শান্তি নানা কারণে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই কবি শান্তির প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে মনের শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। যাতে তার জীবন আনন্দে ভরে ওঠে।

পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ শান্তি থাকলেও তা নানাকারণে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। এই শান্তিময় পরিবেশকে বৈশাখের ঝড়, কালোমেঘ ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কবি এই আসন্ন ঝড়ের কথা স্মরণ করেই শান্তির প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে রেখে তার মনের শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। যাতে তার জীবন শান্তিতে ভরে উঠে।

৩। “শুনিনু নিদ্রার ঘোরে অযোধ্যার নাম।

হেরিলাম স্বর্গপরী, পথে পথে তার

শতশত নরনারী কাঁদে অবিরাম,

আর্তকন্ঠে নভোতলে ওঠে হাহাকার।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু হুমায়ুন কবিরের রচিত ‘সনেট’ নামে কবিতা থেকে গৃহীত। এখানে রামচন্দ্র ও সীতার বিরহে অযোধ্যাবাসীর অন্তর্বেদনা ব্যক্ত হয়েছে। 

তরুণ দেবতা হলেন দশরথ পুত্র রাম। রামচন্দ্র পিতা দশরথের কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা রাখতে গিয়ে দেবতাসম রাম কিশোর বয়সে সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে চৌদ্দ বছরের জন্য পত্নী সীতাকে নিয়ে বনবাসে যান। রামচন্দ্র ও সীতার বিরহে অযোধ্যার শত-শত নর-নারী কাঁদছে। তাঁদের আর্তকন্ঠে হাহাকার ওঠে আকাশের নীচে।

৪। “তরুণ দেবতা-সম কিশোর কুমার

যৌবনে সন্ন্যাসী সাজি’ চলিয়াছে বনে,

সীতার বিরহ-ভয়ে পুরী অন্ধকার,

গগন শ্বাসিয়া ওঠে নিরুদ্ধ ক্রন্দনে।

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু হুমায়ুন কবিরের রচিত ‘সনেট’ কবিতা থেকে গৃহীত। সীতার বিরহে অযোধ্যাবাসীর অবরুদ্ধ কান্নায় আকাশে শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্পর্শ করতেছে। দশরথ পুত্র রামচন্দ্র পিতার মাতা কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা রাখতে গিয়ে কিশোর বয়সে সন্যাসীর বেশ ধারণ করে পত্নী সীতাকে নিয়ে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে যান। সীতার বিরহে স্বর্ণপুরী অযোধ্যা অন্ধকার হয়ে আছে। তাঁদের বিরহে অযোধ্যাবাসীরা অবিরাম ক্রন্দন করতেছে। তাদের ক্রন্দনে আকাশ-বাতাস মুখরিত।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘সনেট’ কাকে বলে ?

অথবা, 

‘সনেট’ কি ধরনের কবিতা ?

উত্তরঃ ইংরেজি ‘সনেট’ শব্দের বাংলা অর্থ হল ‘চতুর্দশপদী কবিতা’। চৌদ্দটি পংক্তিতে বা লাইনে সীমাবদ্ধ এক বিশেষ ধরনের গীতিকবিতা হল ‘সনেট’ বা চতুদ্দশপদী কবিতা। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলায় প্রথম এই সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার প্রবর্তন করেন।

২। “যে শান্তি গৃহের কোণে স্নেহস্নিগ্ধ ছায়া

মেলি’ রচে ধরাতলে অমরার মায়া,

পরিজন প্রীতিপম্প অম্লান সৌরভে

ভরি দেয় এ-জীবন আনন্দ গৌরবে,

– পংক্তিটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ কবির মতে গৃহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও স্নেহ-ভালোবাসার সমন্বয়েই পৃথিবীতে স্বর্গের মায়াজাল তৈরি হয়। অর্থাৎ পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখশান্তি বিরাজিত। আত্মীয়-স্বজনের স্নেহ-ভালোবাসা জীবনকে আনন্দময় ও গৌরবে ভরে দেয়। কবি মনে করেন এই সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য তাঁর জন্য নয়। কিন্তু পৃথিবীর স্বর্গীয় প্রশান্তি তিনি বজায় রাখতে চান।

৩। “….. আসন্ন ঝটিকা

বক্ষে করি’ তবু জ্বলে যেই দীপশিখা

তারি চিত্তে শঙ্কাকুল সেই শান্তি-সম

শান্তিতে ভরিয়া যাক এ-জীবন মম।”

অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ শান্তি থাকলেও তা নানাকারণে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। এই শান্তিময় পরিবেশকে বৈশাখের ঝড়, কালোমেঘ ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কবি এই আসন্ন ঝড়ের কথা স্মরণ করেই শান্তির প্রদীপ শিখা জ্বালিয়ে রেখে তার মনের শঙ্কাকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। যাতে তার জীবন শান্তিতে ভরে উঠে।

৪। “শতশত নরনারী কাঁদে অবিরাম,

আর্তকন্ঠে নভোতলে ওঠে হাহাকার।

তরুণ দেবতা-সম কিশোর কুমার

যৌবনে সন্ন্যাসী সাজি’ চলিয়াছে বনে, –

তরুণ দেবতা কে ? শতশত নরনারী কাঁদে কেন ?

অথবা, অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ তরুণ দেবতা হলেন দশরথ পুত্র রাম। রামচন্দ্র পিতা দশরথের কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা রাখতে গিয়ে দেবতাসম রাম কিশোর বয়সে সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে চৌদ্দ বছরের জন্য পত্নী সীতাকে নিয়ে বনবাসে যান। রামচন্দ্র ও সীতার বিরহে অযোধ্যার শত-শত নর-নারী কাঁদছে। তাঁদের আর্তকন্ঠে হাহাকার ওঠে আকাশের নীচে।

৫। ‘‘তরুণ দেবতা সম কিশোর কুমার

যৌবনে সন্ন্যাসী সাজি, চলিয়াছে বনে, –

সীতার বিরহ-ভয়ে পুরী অন্ধকার,

গগণ শ্বাসিয়া ওঠে নিরুদ্ধ ক্রন্দনে।

– তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ দশরথ পুত্র রামচন্দ্র পিতার মাতা কৈকেয়ীকে দেওয়া কথার মর্যাদা রাখতে গিয়ে কিশোর বয়সে সন্যাসীর বেশ ধারণ করে পত্নী সীতাকে নিয়ে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে যান। সীতার বিরহে স্বর্ণপুরী অযোধ্যা অন্ধকার হয়ে আছে। তাঁদের বিরহে অযোধ্যাবাসীরা অবিরাম ক্রন্দন করতেছে। তাদের ক্রন্দনে আকাশ-বাতাস মুখরিত।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘সনেট’ কবিতার রচয়িতা কে?

উত্তরঃ হুমায়ূন কবির।

২।‘‘মেলি’ রচে ধরাতলে অমরার মায়া,’- ‘অমরা’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ অমরা শব্দের অর্থ স্বর্গ বা ইন্দ্রের বাসভূমি।

৩। ‘সনেট’ বলতে কি বুঝ ?

উত্তরঃ চৌদ্দ পংক্তিতে সীমিত একধরণের গীতিকবিতা হল সনেট।

৪। ‘সনেট’ প্রথম বাংলায় কে প্রবর্তন করেন ?

উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

৫। “মেলি রচে ধরাতলে অমরার মায়া, ‘ধরাতলে’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ ধরাতলে শব্দের অর্থ পৃথিবীতে।

৬। ‘বৈশাখী ঝটিকা যবে দুর্নিবার বেগে’ -‘ঝটিকা’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘ঝটিকা’ শব্দের অর্থ ঝড়।

৭। শুনিনু নিদ্রার ঘোরে ………… নাম। (শূন্যস্থান পূর্ণ কর)

উত্তরঃ অযোধ্যার।

৮। “তরুণ দেবতা মম কিশোর কুমার” – এখানে ‘তরুণ কুমার’ কে ?

উত্তরঃ রামচন্দ্র।

৯। “দিন হতে দিনান্তে অনাহত গতি” – ‘অনাহত’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ অনাহত শব্দের অর্থ আহত হয় নাই এমন।

১০। সীতার ………. পুরী অন্ধকার (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তরঃ বিরহে ভয়ে।

১১। “শতশত নরনারী কাঁদে অবিরাম” – কোথাকার শতশত নর-নারী কাঁদছে ?

উত্তরঃ অযোধ্যার শতশত নর-নারী কাঁদছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top