Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব

Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব and select needs one.

Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Science Chapter 11 মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব for All Subject, You can practice these here..

মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব

               Chapter – 11

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

১। চোখের উপযােজন ক্ষমতা কাকে বলে ?

উত্তরঃ চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে উপযােজন। (accomodation) ক্ষমতা বলে।

২। নিকট দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি 12 মিটার থেকে অধিক দূরত্বের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পারে না। সঠিক দর্শন ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য সংশােধনী লেন্সের প্রকৃতি কি হবে ?

উত্তরঃ অপসারী বা অবতল লেন্স।

৩। স্বাভাবিক দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির নিকট বিন্দু এবং দূর বিন্দু কাকে বলে ?

উত্তরঃ স্বাভাবিক দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির নিকট বিন্দু 25 সে.মি. এবং দূর বিন্দু হবে অসীম।

৪। শেষের সারিতে বসে কোন ছাত্রের ব্রেক বাের্ডের লেখা পড়তে অসুবিধা হয়। ছাত্রটি কোন প্রকারের দৃষ্টিদোষে ভুগছে ? এই ত্রুটি কিভাবে সংশােধন কর যায় ?

উত্তরঃ ছাত্রটি মায়ােপিয়া বা নিকট দৃষ্টি দোষে ভুগছে। এই ত্রুটি দূর করতে হলে নির্দিষ্ট ক্ষমতা বিশিষ্ট অবতল লেন্স ব্যবহার করতে হবে।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণের দ্বারা বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুকে রেটিনায় ফোকাস করার ক্ষমতা চোখের আছে। এর কারণ হল

(a) প্রেসমায়ােপিয়া।

(b) উপযােজন।

(c) নিকট দৃষ্টি দোষ।

(d) দূর দৃষ্টি দোষ।

উত্তরঃ (b) উপযােজন।

২। মানুষের চোখ বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করে-

(a) কর্নিয়ায়।

(b) আইরিসে।

(c) পিউপিলে।

(d) রেটিনায়।

উত্তরঃ (d) রেটিনায়।

৩। স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন উঠতি তরুণের ন্যূনতম দৃষ্টি দূরত্ব।

(a) 25 সে. মি.

(b) 25 সে. মি.

(c) 25 সে. মি.

(d) 25 সে. মি.

উত্তরঃ (c) 25 সে. মি.।

৪। চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন সাধন করে

(a) পিউপিল।

(b) রেটিনা।

(c) সিলিয়ারী পেশী।

(d) আইরিস।

উত্তরঃ (c) সিলিয়ারী পেশী।

৫। কোন ব্যক্তির দূর দৃষ্টিদোষ দূর করার জন্য প্রয়ােজনীয় লেন্সের ক্ষমতা -55 ডায়প্টার এবং নিকট দৃষ্টি দোষ দূর করার জন্য লেন্সের ক্ষমতা +15 ডায়প্টার। 

(i) দুর দৃষ্টি দোষ। এবং 

(ii) নিকট দৃষ্টি দোষের প্রতিকারের জন্য প্রয়ােজনীয় লেন্স দুইটির ফোকাস দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।

উত্তরঃ (i) দূর-দৃষ্টি দোষ দূর করার জন্য প্রয়ােজনীয় লেন্সের ক্ষমতা, p₁, = -5.5 ডায়স্টার।

∴ এর ফোকাস দূরত্ব, f₁ = 1/p₁

= 1/-5.5

= -10/55 মিটার

= -2/11 মিটার

= – 2×100/11 মিটার

= – 18 19 সে.মি.

(ii) আবার নিকট দৃষ্টি দোষ দূর করার জন্য প্রয়ােজনীয় লেন্সের ক্ষমতা P = +1.5 ডায়প্টার ।

∴ P₁ + P₂ = P

= P₂ = P – P₁

= + 1.5 – (-5.5)

= + 1.5 + 5.5

= 7 ডায়স্টার।

∴ এর ফোকাস দূরত্ব, f₂ = 1/p₂

= 1/+7 মি.

= 100/7 সে.মি.

= +14.29 সে.মি.

৬। মায়ােপিয়া যুক্ত ব্যক্তির দূর বিন্দুর দূরত্ব চোখের সম্মুখে 80 সে.মি.। এই সমস্যার প্রতিকারের জন্য প্রয়ােজনীয় লেন্সের প্রকৃতি এবং ক্ষমতা নির্ণয় কর।

উত্তরঃ প্রতিকারের জন্য বস্তুর দূরত্ব, u = -a (অসীম)

মায়ােপিয়া যুক্ত চোখের প্রতিবিম্বের দূরত্ব, v = – 80 সে.মি. এতেকে, লেন্স সূত্র মতে, 1/f = 1/v – 1/u

= 1/-80 – 1/-a

= -1/80 + 0

= -1/80

∴ f = – 80 সে.মি.

∴ ক্ষমতা, P= 1/f মিটার

= 100/f সে.মি.

= 100/-80

= – 1:25 ডায়প্টার।

∴ ক্ষমতা ঋণাত্মক সুতরাং প্রতিকারের জন্য লেন্সটি হবে অবতল লেন্স।

৭। হাইপারমেট্রোপিয়ার প্রতিকারের উপায় চিত্র এঁকে দেখাও একটি হাইপার মেট্রোপিয়াযুক্ত চোখের নিকট বিন্দুর দূরত্ব 1 মিটার। এই দোষের প্রতিকারের জন্য প্রয়ােজনীয় লেন্সের ক্ষমতা নির্ণয় কর। স্বাভাবিক চোখের নিকট বিন্দুর দূরত্ব 25 সে.মি. ধরে নাও।

উত্তরঃ এখানে বস্তুর দূরত্ব, u = -25 সে.মি.

প্রতিবিম্বের দূরত্ব, v = – 100 সে.মি. (=1 মিটার)

∴ লেন্স সূত্র মতে, 1/f = 1/v – 1/u

= 1/f = 1/-100 – 1/-25

= 1/-100 + 1/25

= -1+4/100

= +3/100

= f = + 100/3 সে.মি.

=+1/3 মিটার

∴ ক্ষমতা, P = 1/f

= +3/1

= +3 ডায়প্টার

৮। স্বাভাবিক চোখের পক্ষে 25 সে.মি. থেকে কম দূরত্বে স্থাপন করা বস্তু স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব হয় না কেন ?

উত্তরঃ চোখের সিলিয়ারী পেশী 25 সে. মি.-এর কম দূরত্বে থাকা বস্তুর প্রতিবিম্ব ভালভাবে সংকুচিত করে রেটিনাতে ঠিকমত স্থাপিত করতে না পারার জন্য বস্তু স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব হয় না।

৯। চোখ থেকে বস্তুর দূরত্ব বৃদ্ধি করলে প্রতিবিম্বের দূরত্বের কি পরিবর্তন হয় ?

উত্তরঃ চোখ থেকে বস্তুর দূরত্ব বৃদ্ধি করলে প্রতিবিম্বের দূরত্ব একই থাকে। সিলিয়ারী পেশীর দ্বারা ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তিত করে রেটিনাতে স্পষ্ট প্রতিবিম্বের সৃষ্টি করে।

১০। নক্ষত্রগুলাে মিটমিট করে কেন ?

উত্তরঃ রাত্রে নক্ষত্রদের মিটমিট করতে দেখা যায়। কারণ উপরের থেকে পৃথিবীর দিকে যতই আসা যায় ততই বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। ফলে নক্ষত্র থেকে আগত আলােকরশ্মি বায়ুমণ্ডলে ক্রমাগত প্রতিসারিত হতে থাকে। ঘনত্রর বায়ু আলােকের ঘনতর মাধ্যম। অতএব নক্ষত্র থেকে আসা আপতিত রশ্মি অনবরত অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়। ফলে তার প্রকৃত অবস্থান থেকে উপরে দেখা যায়। যেহেতু বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা বিশৃংখল অর্থাৎ পরিবর্তনশীল, বায়ুমণ্ডলে নক্ষত্রালােকের পথও অনবরত পরিবর্তিত হতে থাকে। সেইজন্য আলােকের উৎস হিসাবে নক্ষত্রকে অস্থির দেখায়। নক্ষত্রকে আমরা কখনও উজ্জ্বলতর, কখনও নিষ্প্রভ দেখি। এই জন্য নক্ষত্রগুলাে মিটমিট করতে দেখি ।

১১। গ্রহগুলি মিটমিট করে না কেন ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ নক্ষত্রের তুলনায়, গ্রহগুলি পৃথিবীর অনেক নিকটবর্তী এবং এরা তুলনামূলকভাবে আলােকের বৃহত্তর উৎস। সেইজন্য গ্রহগুলিকে মিটমিট করতে দেখা যায় না। অর্থাৎ গ্রহগুলি স্থির দেখায়।

১২। উষাকালে (অতি সকালে) সূর্যকে রক্তিম দেখার কারণ কি ?

উত্তরঃ ঊষাকালে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের সময় সূর্যকে রক্তিম দেখায়। আকাশও রক্তিমাভা যুক্ত হয় ; যা দর্শনীয় প্রাকৃতিক পরিঘটনা। সূর্যোদয়ের সময় সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে। ওই সময় সূর্যালােককে দীর্ঘ বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করতে হয় এবং আলােকের বিক্ষেপণের ফলে উৎপন্ন নীলাভ পথেই হারিয়ে যায়। লাল বর্ণের আলােক যার বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম অবশেষে পর্যবেক্ষকের চোখে এসে পড়ে। সেইজন্য উদিত সূর্য রক্তিম বর্ণ দেখায়।

১৩। মহাকাশচারীদের নিকট আকাশ নীলের পরিবর্তে অন্ধকার দেখার কারণ কি ?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল না থাকলে সূর্যালােকের বিক্ষেপণ হত না। তখন আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকত। অতি উচ্চ উচ্চতায় উড়ে যাওয়া যাত্রীর (মহাকাশ যাত্রিরা) আকাশকে অন্ধকার দেখেন কারণ ওই উচ্চতায় বিক্ষেপণের পরিমাণ অতি সামান্য।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। সুস্থ চোখের স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত ?

উত্তরঃ 25 সে.মি.।

২। সুস্থ চোখের দূর বিন্দু চোখ হতে কত দূরত্বে অবস্থিত ?

উত্তরঃ অসীমে অবস্থিত।

৩। একজন ব্যক্তির স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব 25 সে.মি. হলে তার ব্যবহৃত প্রতিকারী লেন্সের প্রকৃতি কি হবে ?

উত্তরঃ অবতল।

৪। একজন ব্যক্তির দূরবিন্দুর অবস্থান চোখ হতে 5 মি দূরে অবস্থিত হলে তার ব্যবহৃত প্রতিকারী লেন্সের প্রকৃতি কি হবে ?

উত্তরঃ উত্তল।

৫। আলােকের কি পরিঘটনার জন্য আকাশের তারাগুলি মিটমিট করে ?

উত্তরঃ আলােকের প্রতিসরণের জন্য।

৬। আকাশের রং নীল হওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ নীল রং-এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ার জন্য ইহা আকাশে সবচেয়ে বেশী বিক্ষেপিত হয়। সেইজন্য আকাশের রং নীল।

৭। নীচের প্রশ্নসমূল্পে উত্তর দাও-

(a) প্রিজমের মধ্যদিয়ে পার হওয়া একটি আলােক রশ্মির গতিপথ নির্দেশ করে একটি রশ্মিচিত্র অংকন কর।

উত্তরঃ

(b) সূর্যের আলােকে থাকা রং সাতটির নাম লিখ।

উত্তরঃ সূর্যের সাতটি রং হল- বেগুনী, ঘন নীল, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল।

(c) আলােকের বিচ্ছুরণ বলতে কি বুঝ ?

উত্তরঃ সূর্যের সাদা আলােকের সাতটি রং-এ পৃথক হওয়াকে আলােকের বিচ্ছুরণ বলে। প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসারিত হলে নির্গত রশ্মিগুলির আপতিত রশ্মির সাপেক্ষে বিচ্যুতি ঘটে। এর ফলে প্রিজমে সাদা আলােকের বিচ্ছুরণ হয়।

(d) চোখের উপযােজন ক্ষমতা বলতে কি বুঝ ?

উত্তরঃ লেন্সের ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতাকে চোখের উপযােজন ক্ষমতা বলা হয়।

(e) মায়ােপিয়া কি ? মায়ােপিয়ার প্রতিকারের জন্য কি ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয় এবং কেন ?

উত্তরঃ মায়ােপিয়া বা নিকট দৃষ্টিগ্রস্ততা বিকার থাকলে একজন লােক দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না। কিন্তু কাছের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে অসুবিধা হয় না। উপযুক্ত ক্ষমতার অবতল লেন্স ব্যবহার করে মায়ােপিয়ার প্রতিকার করা যায়। দূরের লক্ষ্যবস্তু হতে আসায় রশ্মিগুলিকে অবতল লেন্স উপযুক্ত পরিমাণে অপসারী করার পর প্রতিবিম্ব অক্ষিপটে গঠিত হয়।

(f) হাইপারমেট্রোপিয়া কি ? হাইপারমেট্রোপিয়ার প্রতিকারের জন্য কি ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয় এবং কেন ?

উত্তরঃ হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরদৃষ্টি থাকলে একজন লােক কাছের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না কিন্তু সে দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে বাধাগ্রস্থ হয় না।

উপযুক্ত ক্ষমতার উত্তল লেন্স ব্যবহার করে হাইপারমেট্রোপিয়ার প্রতিকার করা যায়। কাছের লক্ষ্যবস্তু হতে আসা রশ্মিগুলিকে উত্তল লেন্স উপযুক্ত পরিমাণে অভিসারী করার পর প্রতিবিম্ব অক্ষিপটে গঠিত হয়।

৮। টিণ্ডেলের পরিঘটনা কি ?

উত্তরঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধোঁয়া, জলের ক্ষুদ্রকণিকা এবং ধূলিকণা যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। ফলে ইহা একপ্রকার দ্রব্যের রূপ নেয় ; যেখানে ছােট ছােট কণিকাগুলি ভেসে থাকে। যখন এই কণিকাগুলিতে আলােকের বিক্ষেপণ ঘটে তখন আলােকের গতিপথ দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। একে টিণ্ডেলের পরিঘটনা বলা হয়।

৯। আকাশের রং কেন নীল ?

উত্তরঃ রংভেদে আলােকের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পৃথক পৃথক হয়। বেগুনী আলােকের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম ; বায়ুর অণু এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র কণিকাগুলির আকার আলােকের যে কোন রং-এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হতে কম, এরা কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলােককে বেশী করে বিক্ষেপিত করে। সেইজন্য, বায়ুতে নীল রং এর আলােকের সর্বাধিক বিক্ষেপণ ঘটে। বিক্ষেপিত আলােকের প্রধান অংশটির রং নীল। এই বিক্ষেপিত নীল আলােকই আমাদের চোখে পড়ে। ফলে আমরা আকাশের রং নীল দেখি।

১০। প্রাথমিক বর্ণ (Primary Colours) কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে নিটি বিশেষ বর্ণ যথােপযুক্তভাবে মিশালে যে কোন বর্ণ সৃষ্টি করা যায়। তাদের প্রাথমিক বর্ণ বলে। এই লিটি বিশেষ বর্ণ হল- লাল, সবুজ এবং নীল।

১১। পরিপূরক বর্ণ কাদের বলে (Complementary Colours) ?

উত্তরঃ যদি দুইটি বর্ণের মিলনে সাদা বর্ণের সৃষ্টি হয় তবে এই বর্ণ দুইটিকে বলা হয় পরিপূরক বর্ণ। যেমন- হলদে এবং গাঢ় নীল অথবা নারাঙ্গ এবং নীল মিশালে সাদা বর্ণের সৃষ্টি হয়। এরা পরিপূরক বর্ণ।

১২। বর্ণালী কি ?

উত্তরঃ প্রিজমের ভিতর দিয়ে যাবার ফলে সাদা রং-এর আলাে বিশ্লিষ্ট হয়ে সাতটি বর্ণের আলােতে বিভক্ত হওয়ার প্রণালীকে আলােকের বিচ্ছুরণ বলে। এই বর্ণের সজ্জাকে বর্ণালী বলে। স্যার আইজেক নিউটন প্রথম এটি আবিষ্কার করেন।

১৩। চোখের উপযােজন ক্ষমতা কি ?

উত্তরঃ সিলিয়ারী মাংসপেশীর সংকোচন অথবা প্রসারণ ঘটিয়ে চোখের ফোকাস দূরত্ব পরিবর্তন করে চোখ থেকে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুর প্রতিবিম্ব অক্ষিপটে গঠন করার ক্ষমতাকে চোখের উপযােজন ক্ষমতা বলে।

১৪। দৃষ্টি নিবন্ধ কি ?

উত্তরঃ দৃষ্টির অনুভূতির সংকেত না থাকার পরেও সেকেণ্ড পর্যন্ত দৃষ্টির অনুভূতির অস্তিত্ব থাকে। একে দৃষ্টি নিবন্ধ বলে।

১৫। দৃষ্টি দোষ কত প্রকার ও কি কি ?

উত্তরঃ দৃষ্টি দোষ সাধারণত তিন প্রকার-

(ক) মায়ােপিয়া।

(খ) হাইপারমেট্রোপিয়া।

(গ) প্রেসবায়ােপিয়া।

১৬। তারারা ঝিকমিক মিটমিট করে। কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর দিকে ক্রমশ বেশি হয়। ফলে বায়ুমণ্ডলে তারা থেকে আসা আলাের অবিরাম প্রতিসরণ ঘটে। তদুপরি বায়ুমণ্ডলের অবস্থা প্রায়ই পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে তারা থেকে আসা আলােকের গতিপথও পরিবর্তন হয়। সেইজন্য তারার আপেক্ষিক অবস্থান এবং আলােকের পরিমাণ পরিবর্তন হলে আমাদের চোখে প্রবেশ করে। সেইজন্যই তারারা ঝিকমিক বা মিটমিট করে।

১৭। কাল এবং সন্ধ্যার সূর্যের রং লাল হয় কেন ?

উত্তরঃ সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্য দিগন্তের কাছে অবস্থান করে। এই অবস্থায় সূর্য থেকে আসা আলােক বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে বেশ দূরত্ব অতিক্রম করে। এই যাত্রাকালে বিক্ষেপণের জন্য সূর্যের আলাের নীল রং প্রায় শেষ হয়ে যায়। লাল রঙের বিক্ষেপণ খুব কম হয়, তাই শুধু লাল রং আমাদের চোখে পড়ে। সেইজন্যই সকাল এবং সন্ধ্যার সূর্যের রং লাল হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top