Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা

Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা Notes to each chapter is provided in the list so that you can easily browse throughout different chapter Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা and select needs one.

Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা

Join Telegram channel

Also, you can read SCERT book online in these sections Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা Solutions by Expert Teachers as per SCERT (CBSE) Book guidelines. Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা These solutions are part of SCERT All Subject Solutions. Here we have given Class 10 Bengali Chapter 12 কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা for All Subject, You can practice these here…

কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা

               Chapter – 12

অনুশীলনীর প্ৰশ্নোত্তরঃ

১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

(ক) কম্পিউটারের প্রাক পুরাতন প্রাজ্ঞ প্রপিতামহ হিসাবে কোন যন্ত্রটিকে গণ্য করা যায়?

উত্তরঃ কম্পিউটারের প্রাক পুরাতন প্রাজ্ঞ প্রপিতামহ হিসাবে অ্যাবাকাস যন্ত্রটিকে গণ্য করা যায়।

(খ) কোন বিজ্ঞানীকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়?

উত্তরঃ চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

(গ) কম্পিউটার সাধারণভাবে কী কী কাজ করে?

উত্তরঃ কম্পিউটারের দ্বারা সাধারণভাবে অঙ্ক করা, ছবি আঁকা, মুদ্রণের কাজ করা, হিসাব রাখা, অফিসে দ্রুত কাজ নিষ্পত্তি করা।

(ঘ) আমাদের দেশে এই যন্ত্রটি কবে জনপ্রিয়তা লাভ করে?

উত্তরঃ আমাদের দেশে এই যন্ত্রটি বিংশ শতাব্দীতে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

(ঙ) আধুনিক পৃথিবীকে কম্পিউটার কী পরিচিতি দান করেছে।

উত্তরঃ আধুনিক পৃথিবীকে এই কম্পিউটার যন্ত্রটি ডিজিট্যাল ওয়ার্লড হিসাবে পরিচিতি দান করেছে।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(ক) এ মুহূর্তে জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অনুপ্রবেশ ঘটেছে?

উত্তরঃ এই মুহূর্তে শহর থেকে গ্রাম, বন্দর সর্বত্রই আটপৌরে প্রাত্যহিক জীবনের চৌহদ্দিতে কম্পিউটারের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গবেষণাগার, কলকারখানা, স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ।

(খ) কম্পিটারের কোন জিনিসগুলি সম্পর্কে আমরা একেবারেই অচেতন?

উত্তরঃ কম্পিউটারের অসীম সম্ভাবনার দিকটি সম্পর্কে আমরা একেবারেই অচেতন। কম্পিউটারকে নিছক টাইপরাইটার, সাউন্ডবক্সের ন্যায় ব্যবহার, ই-মেল কিংবা সিনেমা দেখা—এগুলির বেশি কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই কম।

(গ) কম্পিউটার কী সত্যিই আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়েছে?

উত্তরঃ কম্পিউটারের রয়েছে অজস্র ভালো কাজের ক্ষমতা। কিন্তু আমরাই কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালিত না করে অপব্যবহার করছি। তাই সত্যিই কম্পিউটার আমাদের কর্মদক্ষতা বাড়ায়নি।

(ঘ) কম্পিউটারের কাজের সঙ্গে কী অকাজের বন্দোবস্ত করা আছে?

উত্তরঃ কম্পিউটারে একটি ক্লিকের আওতায় ইতিহাস, বিজ্ঞান, ভূগোল, সাহিত্য, ভাষা জ্ঞান সবকিছু। কিন্তু এর সাথে রয়েছে বিনোদনের ছদ্মবেশে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অকেজো করে দেওয়া। অজস্র ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত আসছে অসত্য তথ্য।

(ঙ) আমাদের শিশু কিশোর পড়ুয়ারা কেন কম্পিউটারকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারে না?

উত্তরঃ আমাদের শিশু কিশোর পড়ুয়ারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব তথ্যকে জেনে নিতে চায়। এতে নিজের সৃজনশীলতা বলে কিছুই থাকে না। গুগুল সব জানে এই বিশ্বাসের কাছেই আত্মসমর্পন করে।

(চ) ইন্টারনেটের বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তরঃ ইন্টারনেটের বাংলা প্রতিশব্দ আন্তর্জাল।

(ছ) কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে কি মাতৃভাষায় কাজ খুব কঠিন।

উত্তরঃ কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে মাতৃভাষায় কাজ করা সহজ। প্রথমে control panel-এ Region and Language অংশে ক্লিক করতে হবে। যে ট্যাব খুলবে সেখানে keyboard and language-এ ক্লিক করতে হবে। এরপব change keyboard-এ ক্লিক করতে হবে। মেনু দেখে general-এ ক্লিক করলে add বোতাম পাওয়া যাবে। সেখানে ক্লিক করলেই বিশ্বের অনেকগুলি ভাষা এসে উপস্থিত হবে। তার মধ্যে থেকে নিজের মাতৃভাষাটিকে খুঁজে নিলেই হল।

(জ) কম্পিউটারকে একটি মুক্ত বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় বলার যুক্তি কী?

উত্তরঃ কম্পিউটার অতি সহজে এবং নিখরচায় ওয়ার্ডে, ই-মেল, ফেসবুক ব্লগে মাতৃভাষায় লেখা যায়। কম্পিউটার নিছক টাইপরাইটার, জেরক্স মেশিন, ভিডিও গেম কিংবা সাউন্ড সিস্টেমের বিকল্প নয়। কম্পিউটার এর চাইতেও আরো অনেক কিছু। ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের সৃষ্টিকে খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া যায়। তাই ইন্টারনেট কিংবা আন্তর্জালের দৌলতেই কম্পিউটার এখন একটি মুক্ত বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়।

(ঝ) মুনীর অপটিমা কী?

উত্তরঃ বাংলা লিখনকর্মের আদি কী-বোর্ড মুনীর অপটিমা কী-বোর্ড (১৯৬৫)। যার নামে পরিচিতি পেয়েছে তিনি অধ্যাপক ভাষাবিজ্ঞানী মুনীর চৌধুরী, যিনি ১৯৭১ সালে পাক সেনার হাতে নিহত হন।

(ঞ) যে দুজন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামী ভাষাবিজ্ঞানী কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের বাংলা প্রয়োগে বিশেষ অবদান রেখেছেন তাদের নাম করো।

উত্তরঃ ১৯৮৮ সালে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিসংগ্রামী ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মুস্তাফা জব্বার এবং মেহেদি হাসান খান কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের বাংলা প্রয়োগে বিশেষ অবদান রেখেছেন।

(গ) অনুশীলনা করো।

(ক) তোমরা বন্ধুরা মিলে কাঠ দিয়ে একটা অ্যাবাকাস যন্ত্র বানানোর চেষ্টা করো।

উত্তরঃ নিজে করো ।

(খ) কয়েকটি সুন্দর বাংলা সফটওয়্যারের নাম বলো।

উত্তরঃ কয়েকটি সুন্দর বাংলা সফটওয়্যার হল—আমার বাংলা, অভ্র, লিপিকার, সুমিলি ইত্যাদি।

(গ) ইন্টারনেট থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী এবং একটি ছবি ডাউনলোড করো।

উত্তরঃ নিজে করো।

টীকা :–

চার্লস ব্যাবেজ – চার্লস ব্যাবেজ (২৬ ডিসেম্বর ১৭৯১-১৮ অক্টোবর ১৮৭১), একজন ইংরেজ যন্ত্র প্রকৌশলী, গণিতবিদ, আবিষ্কারক ও দার্শনিক। তাঁকে কম্পিউটারের জনক হিসাবে অভিহিত করা হয়। চার্লস ব্যাবেজ ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন নামের দুটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরি করেন। তার তৈরি অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন যান্ত্রিকভাবে গাণিতিক অপারেশন সম্পাদন করতে পারত এবং এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আজকের কম্পিউটারের ডিজাইনে এখনো গুরুত্বপূর্ণ। অর্থের অভাবে ব্যাবেজ তার প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি।

চার্লসের জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে। Oxford dictionary of Biography অনুযায়ী তিনি সম্ভবত ৪৪ ক্রসবি রো, লন্ডন, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। বেঞ্জামিন ব্যাবেজ এবং বেটসি প্লামলি টিপের চার সন্তানের মধ্যে চার্লস ছিলেন একজন। তার স্বাস্থ্যের কারণে তিনি বেশিরভাগ সময় ব্যক্তিগত মাস্টারমশাই-এর কাছে পড়াশোনা করতেন এবং তা উচ্চপর্যায়ের স্তরে পৌঁছান যা কিনা কেমব্রিজ কর্তৃক গ্রহণযোগ্য ছিল। ১৮১০ সালের অক্টোবরে তিনি টকেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে আসেন। ইতিমধ্যে সমসাময়িক গণিতের কিছু অংশে শিক্ষিত ছিলেন। তিনি রবার্ট উডহাউস, জোসেফ লউইস, লেগারজন এবং মারিয়া এগনেসির লেখা পড়েছিলেন। ফলস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ মান গাণিতিক নির্দেশনায় তিনি হতাশ হন। ১৮১২ সালে চার্লস, জন হার্শেল, জর্জ পিকক এবং আরো কয়েকজন বন্ধু অ্যানালিটিক্যাল সোসাইটি গঠন করেন। ১৮১২ সালে চার্লস পিটারহাউস কেমব্রিজে স্থানান্তরিত হন। তিনি সেখানে শীর্ষ গণিতবিদ ছিলেন কিন্তু সম্মানসূচক সংখ্যা দিয়ে স্নাতক হননি। ১৮১৪ সালে পরীক্ষা ছাড়াই তিনি স্নাতক হন।

১৮২৮ সালে চার্লস লুকাসিয়ান প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৮৩৯ সাল পর্যন্ত এ পদে আসীন ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতে ভালোবাসতেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে আরো সংহত দেখতে চেয়েছিলেন বিশেষত গবেষণা ও বৃহত্তর পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে। ছয়বছর ধরে রিচার্ড জোনসের সাথে তার এই নিয়ে বিতর্ক চলে। তিনি কখনো অধ্যাপনা করেননি। চালর্স বেরা অফ ফিনসবারীর প্রার্থী হিসেবে দুবার সংসদে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ১৮৩২ সালে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় স্থান পান। ১৮৩৯ সালের শেষে তিনি লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে পদত্যাগ পত্র পাঠান। ভ্যাভেলের সাথে কেমব্রিজের সংগ্রাম থেকেও দূরে চলে যান। গণিত ও আন্তর্জাতিক পরিচিতিগুলির উপর আরো মনোযোগী হয়ে ওঠেন। তিনি নাইটহুড় এবং ব্যারনেটের খেতাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

১৮ অক্টোবর ১৮৭১ সালে ৭৯ বছর বয়সে চার্লস মারা যান। তাঁকে লন্ডনের কেন্সাল গ্রিন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছিল।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর।

১। লেখকের সাথে কম্পিউটারের প্রথম সাক্ষাৎ কোথায় হয়?

উত্তরঃ গত শতকের সাতের দশকে লেখকের সাথে কম্পিউটারের প্রথম সাক্ষাৎ হয় গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে।

২। কম্পিউটার কেমন ঘরে রাখা হত?

উত্তরঃ সুদৃশ্য কাচের দরজাওয়ালা কার্পেট বিছানো সুরক্ষিত ঘরে কম্পিউটার থাকত। জুতো খুলে সেই ঘরে ঢুকতে হত।

৩। মানুষে কিসের সাহায্যে দ্রুত মগজের কাজ করত?

উত্তরঃ ব্যাবিলনে আবিষ্কৃত আড়াআড়িভাবে পুঁতি লাগানো চারকোণা কাঠের যন্ত্র দিয়েই মানুষ দ্রুত মগজের কাজ করত।

৪। কম্পিউটারের সঙ্গে আরেকটা জিনিস কী জুড়ে গেল?

উত্তরঃ কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট জুড়ে গেল।

৫। কম্পিউটারের কাজে কি ধরনের ভুল দেখা দিয়েছে?

উত্তরঃ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অফিসে দপ্তরে কম্পিউটারে কাজের ভুল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মার্কশিটে নামের ভুল, সংখ্যার ভুল, হাসপাতাল ল্যাবরেটরি রিপোর্টে ভুল, টেলিফোন, বিদ্যুতের রিডিংয়ে ভুল, ইনকাম ট্যাক্সের কম্পিউটেশনে ভুল, মুদ্রণ মাধ্যম, বৈদ্যুতিন মাধ্যম এমনকি পাঠ্যপুস্তকেও ভুল দেখা যাচ্ছে।

৬। কম্পিউটারের অপজ্ঞান সম্পর্কে কবীর সুমনের গানটি লেখো।

উত্তরঃ কবীর সুমনের গানটি হল–

কম্পিউটার খেলছে আমার মেয়ে

নিধনের খেলা এ মেরে ফেলছে ওকে,

অথবা দৈত্য ফেলছে কাউকে খেয়ে

মগজে এখন শুধু ভাইরাস ঢোকে।

৭। কম্পিউটারে নিধনের খেলার অনুপান হিসেবে কী কী চলে?

উত্তরঃ কম্পিউটারে নিধনের খেলায় অনুপাত হিসেবে চলে উৎকট গানের প্রহসন, তীব্র যান্ত্রিক চিৎকার, বিকট শব্দময় ধ্বনিময় ইন্দোপপ, ফেকো মডার্ন আর ভাঙড়া ভাটিয়ালির ফিউশন।

৮। কম্পিউটারের কি-বোর্ড কী রকম?

উত্তরঃ কম্পিউটারের কি-বোর্ডটি ফোনেটিক (Phonetic) অর্থাৎ উচ্চারণ অনুগ।

৯। মুক্ত বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় কাকে বলা হয়েছে।

উত্তরঃ কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় কম্পিউটার এখন মুক্ত বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়।

১০। কার আক্রমণে কম্পিউটারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়?

উত্তরঃ ভাইরাসের আক্রমণে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায়।

১১। ভাইরাসের পুরো নাম কী?

উত্তরঃ ভাইরাসের পুরো নাম হল— Vital information resources under siege.

১২। Virus মূলত কী?

উত্তরঃ Virus মূলত কম্পিউটার প্রোগাম। কম্পিউটারের সূক্ষ্ম কার্যক্ষম প্রোগ্রামগুলো সংযুক্ত হয়ে বিপত্তি ঘটাতে পারে।

১৩। Virus-কে কীভাবে রোধ করা যায়?

উত্তরঃ অ্যান্টিভাইরাস সফট্ওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারকে পুনরায় কার্যক্ষম করে তোলা যায়।

১৪। কম্পিউটারে Virus কীভাবে ঢোকে?

উত্তরঃ বাইরের উৎস থেকে যেমন চিপ্‌, পেনড্রাইভ বা ই-মেলের মাধ্যমে কম্পিউটারে Virus ঢোকে।

১৫। কিসের সাহায্যে বিশ্বের কাছে নিজের সৃষ্টিকে পৌঁছে দেওয়া যায়?

উত্তরঃ Internet Service Provider অর্থাৎ আন্তর্জালের সাহায্যে নিজের সৃষ্টিকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

১৬। কী-বোর্ড অভ্র কে তৈরি করেছেন?

উত্তরঃ কী-বোর্ড অভ্র তৈরি করেছেন মেহেদি হাসান খান।

১৭। মুদ্রণ প্রযুক্তি এবং ছাপাখানার জগতে বাংলা ভাষা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ঊনবিংশ শতাব্দীতে মুদ্রণ প্রযুক্তি এবং ছাপাখানার জগতে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮। ছাপাখানার জগতে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে কার কার অবদান রয়েছে?

উত্তরঃ ছাপাখানার জগতে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইংরেজ পাদরি ভাষাবিজ্ঞানী হালহেড, তাঁর সহচর পঞ্চানন কর্মকার, মিশনারি পণ্ডিত উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান এবং পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১৯। কম্পিউটারে কীভাবে নিজের মাতৃভাষায় লেখা যাবে?

উত্তরঃ কম্পিউটারে প্রথমে control panel-এ Region and Language অংশে ক্লিক করতে হবে। যে ট্যাব খুলবে সেখানে Keyboard and language-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর change keyboard-এ ক্লিক করতে হবে। উপরের মেনু দেখে general-এ ক্লিক করতে হবে। add বোতাম টিপলে বিশ্বের অনেক ভাষা দেখা যাবে। সেখানে নিজের মাতৃভাষাটাও পাওয়া যাবে।

২০। কম্পিউটারের অপব্যবহারের সম্পর্কে লেখো।

উত্তরঃ কিশোর-কিশোরীরা মূলত কম্পিউটারের অপব্যবহার করে। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে রয়েছে অজস্র অবিদ্যার বিষয় যেগুলি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। সহস্র ওয়েবসাইট দেয় নানা বিনোদনমূলক হাতছানি। ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়। এতে তাদের জানবার আগ্রহ, ইচ্ছা, সৃজনশীলতা উৎসাহ সবই নষ্ট হয়ে যায়। গুগুল সব জানে এই বিশ্বাসে তারা সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে বসে। ক্রমশ ডুবে যায় অবাস্তবের কুহকে।

টীকা :–

ইন্টারনেট — আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হল সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাটা আদানপ্রদান করা হয়।

ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টারকানেক্টেড নেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে। যখন সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়।

ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়ের দৈনন্দিন আলাপচারিতায় প্রায়ই কোনো পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়। ইন্টারনেটের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটার সমূহের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। ওয়েব ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিষেবাগুলির একটি। এটা পরস্পর সংযুক্ত কাগজপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের হাইপারলিংক এবং URL দ্বারা যুক্ত।

১৯৬০-এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি বা আরপা পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক ARPANET নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৯ সালে মাঝামাঝি থেকে পরবর্তী সময়ের দিকে পশ্চিমবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হতে থাকে।

ব্যাকরণ

১। বাচ্য পরিবর্তন করো।

(ক) তোমার শুধু হত্যার বিদ্যাই জানা আছে। (কর্তবাচ্যে)

উত্তরঃ তুমি শুধু হত্যার বিদ্যাই জান।

(খ) আগে কি তোমাকে কোথাও দেখেছি? (ভাৰবাচ্যে)

উত্তরঃ আগে কি তোমার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে।

(গ) রামসুন্দর তাহা জানিতেন। (কর্মবাচ্যে)

উত্তরঃ রামসুন্দর কর্তক তাহা জ্ঞাত ছিল।

(গ) গান শুনলে? (ভাববাচ্যে)

উত্তরঃ গান শোনা হল।

(ঙ) তোমার কোথায় থাকা হয়? (কর্তবাচ্যে)

উত্তরঃ তুমি কোথায় থাকো?

(চ) এই দণ্ড মঞ্জুর করুন (ভাববাচ্যে)।

উত্তরঃ এই দণ্ড মঞ্জুর করা হোক।

(ছ) পথ দেখাও। (ভাববাচ্যে)

উত্তরঃ পথ দেখানো হোক।

(জ) সভ্য সমাজ এ কাজ অনুমোদন করেন না। (কর্মবাচ্যে)।

উত্তরঃ সভ্য সমাজ কর্তৃক এ কাজ অনুমোদিত হয় না।

(ঝ) নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন। (ভাববাচ্যে)।

উত্তরঃ নিমাইবাবুর চুপ করিয়া থাকা হল।

(ঞ) কী করার আছে? (কর্তবাচ্যে)।

উত্তরঃ কী করব?

(ট) রবীন্দ্রনাথ গোরা উপন্যাস রচনা করেন। (কর্মবাচ্যে)।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ কর্তক গোরা উপন্যাস রচিত হয়।

এককথায় প্রকাশ :-

১। অপকারের ইচ্ছা — অপচিকীর্ষা।

২। অংশ আছে যার — অংশীদার।

৩। ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি — জিতেন্দ্রিয়।

৪। স্মৃতিশাস্ত্র জানেন যিনি — স্মার্ত।

৫। নীর দান করে যে — নীরদ।

৬। সরস্বতীর বীণা — কচ্ছপী।

৭। স্বামীর সাথে মৃত্যু — সহমরণ।

৮। অদিতির পুত্র — আদিত্য।

৯। গাণ্ডীব ধনু যার — গাণ্ডীবধন্বা।

১০। জনের সমূহ — জনতা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top